Letter=চিঠি

Letter=চিঠি ঠিকঠাক যতন করে রাখার মতন,
যেমনি করে তোমার বুকের হৃদপিণ্ড আগলে রাখো।
বিশ্বাস করো—
এত ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবো,
আমার মৃত্যুতে তোমার বুকেও রক্তক্ষরণ হবে।

নানাকে আটকে যেভাবে তাঁর নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন জসীম উদ্দীন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে...
17/02/2025

নানাকে আটকে যেভাবে তাঁর নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন জসীম উদ্দীন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে গেলেন কবি জসীমউদ্​দীন। সেখানে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়লেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর।

কবির বয়স যেন হুট করেই কুড়ি বছর কমে গেল। হৃদয়ে আনচান শুরু হলো। এ পর্যায়ে নানাভাবে মমতাজ বেগম নামের ওই কিশোরীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন তিনি। মমতাজের পিত্রালয় ফরিদপুর, কিন্তু তখন তিনি ঢাকায়, নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন।

মমতাজের প্রেমে জসীমউদ্দীন যখন দেওয়ানা, তখন কিশোরী মেয়েটি কি তা বোঝে? অগত্যা মমতাজের নানা মৌলভি ইদ্রিস মিয়াকে নানাভাবে বশে আনার চেষ্টা চালালেন কবি। বিভিন্ন অজুহাতে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলেন। মৌলভি সাহেব কাব্যপ্রেমী মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে কবির আনাগোনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিলেন। এভাবে এক দিন, দুই দিন করে মমতাজের ঘর অবধি পৌঁছে গেলেন জসীমউদ্দীন এবং তাঁকে অবাক করে দিয়ে টেবিল থেকে খাতা নিয়ে লিখলেন:

‘আমারে করিও ক্ষমা
সুন্দরী অনুপমা
তোমার শান্ত নিভৃত আলয়ে
হয়তো তোমার খেলার বাসরে
অপরাধ রবে জমা
আমারে করিও ক্ষমা।’

মমতাজ এবার কবির আকুতি বুঝতে পারলেন। নিজের অজান্তেই তাঁর প্রেমে ডুবে গেলেন। এ প্রসঙ্গে নিজের স্মৃতিকথায় বেগম মমতাজ লিখেছেন, ‘ভদ্রলোক তো আমারে দেখার পর নানা দিক থেইকা আমার নানাভাইকে হাত করার জন্য লাইগা গেল। অনেককে দিয়া সুপারিশ করতে লাগল। ওই যে আমারে দেখল, আমার রূপ তার মনে ধইরা নিল। কবি তো!’

কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা মৌলভি ইদ্রিসের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন জসীমউদ্দীন। এরপর মৌলভি সাহেব যখন বুঝলেন এ বিয়েতে তাঁর নাতনিও রাজি, সে সময় তাঁর রাজি না হওয়ার তো কোনো কারণই নেই, মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজি।

কিন্তু বাদ সাধলেন মমতাজের বাবা মোহসেনউদ্দিন। তিনি কিছুতেই এই ভবঘুরে কবির কাছে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। একে তো তাঁর বয়স বেশি, তার ওপর চেহারাও কৃষ্ণবর্ণ। এ অবস্থায় দীর্ঘ এক চিঠি লিখলেন তিনি মৌলভি ইদ্রিসের কাছে, ‘আপনি কি পাগল হইয়া গেলেন! এই লোকটা (জসীমউদ্​দীন) পাগল। চরে ঘুরে বেড়ায়। গান গেয়ে বেড়ায়। ভাবের গান, আধ্যাত্মিক গান, মুর্শিদি গান। গানের মজলিশে সারা রাত কান্নাকাটি করে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। এই রকম ছেলের সাথে বিয়া দেবেন? তার চাইতে নাতিনকে পদ্মায় ফালাইয়া দেন।’

চিঠি পাওয়ার পর উভয়সংকটে পড়লেন ইদ্রিস সাহেব। তাঁর নিজেরও কবিকে খুব পছন্দ হয়েছিল। তা ছাড়া পাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকও বটে।

অতঃপর পাত্র সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে বের হলেন ইদ্রিস সাহেব। কিন্তু নিউমার্কেট এলাকায় কবির মেসের সামনে গিয়ে ‘ধরা’ খেয়ে গেলেন তিনি, তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খুব আপ্যায়ন করলেন জসীম। পরে বললেন, ‘আমার কাছে নাতিন বিয়া দিবেন কি না, কথা দিয়া যাইতে হইব। নইলে আইজকা আপনাকে ছাড়ুম না।’ একবেলা আটক থাকার পর নাতনি বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মুক্তি মিলল মৌলভি ইদ্রিসের।

ছাড়া পেয়ে বিয়ের বন্দোবস্ত শুরু করলেন ইদ্রিস সাহেব, ১৯৩৯ সালে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো জসীমউদ্দীন ও বেগম মমতাজের বিয়ে। রবীন্দ্রনাথসহ সব বড় সাহিত্যিকই সেই বিয়েতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সূত্র: শতবর্ষে জসীমউদ্দীন বইয়ে প্রকাশিত বেগম মমতাজ জসীমউদ্দীনের লেখা ‘আমার কবি’

তুমি ভাবো তোমার ফুল দরকার নেইতুমি জানো না কেউ তোমাকে একটা রক্তজবা এনে দিলে তোমার আনন্দ উপচে পড়বে। তুমি ভাবো চোখের জল ফেল...
14/02/2025

তুমি ভাবো তোমার ফুল দরকার নেই
তুমি জানো না কেউ তোমাকে একটা রক্তজবা এনে দিলে তোমার আনন্দ উপচে পড়বে।

তুমি ভাবো চোখের জল ফেলার মানুষ না তুমি
তুমি জানো না একটা শক্ত কাঁধ কিংবা নরম বুকে তুমি কীভাবে আছড়ে পড়বে জলপ্রপাতের মতো৷

তুমি ভাবো রান্নার হাতটা তোমারই বেশ ভালো,
তুমি জানো না কেউ তোমার জন্য রেঁধে সামান্য ডাল ভাত পাতে অপেক্ষা করলে তুমি আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাবে।

তুমি ভাবো বৃষ্টি বিচ্ছিরি, সব কাদাজলে ভেসে যায়,
তুমি জানো না একটা ডাক পেলে তুমি বৃষ্টিতে কেমন উচ্ছল শিশুর মতো লাফাবে

তুমি ভাবো চিঠির যুগ নেই,
তুমি জানো না দুটো বাক্য লিখে ডাকবাক্সে পাঠালে তুমি কতবার পড়ে পড়ে যত্নে রেখে দিবে বই এর ভাঁজে৷

তুমি ভাবো তুমি আর ছোটো নেই,
তুমি জানো না একটু আস্কারা পেলে তুমি আবার চোখ বেঁধে লুকোচুরি খুলবে

তুমি ভাবো তোমার রাতে ঘুমোতে সমস্যা নেই,
তুমি জানো না কেউ আদরে মাথায় বিলি কেটে দিলে, গান শুনালে তুমি কী পরম নির্ভরতায় আরামে দু চোখ এক করবে

তুমি ভাবো তোমার মানুষ প্রয়োজন নেই,
তুমি জানো না প্রিয় মানুষের মতো প্রয়োজন আর কিছুর নেই।

লিখেছেন: নিশাত তাসনিম ফারিহা

"যেখানে আমার অস্তিত্বের মর্যাদা নেই, সেখানে আমি কখনোই থাকতে শিখিনি। যে ভালোবাসা নিজেকেই দিতে পারি না, তা অন্যের কাছ থেকে...
13/02/2025

"যেখানে আমার অস্তিত্বের মর্যাদা নেই, সেখানে আমি কখনোই থাকতে শিখিনি। যে ভালোবাসা নিজেকেই দিতে পারি না, তা অন্যের কাছ থেকে আশা করব কীভাবে? তাই আমি বেছে নিয়েছি নিজেকে ভালোবাসার পথ। যেখানে আমি থাকব, সেখানে আমার মূল্য থাকবে, আমার আত্মসম্মান থাকবে।

"মানুষের স্বীকৃতি সুন্দর, কিন্তু নিজের কাছে নিজের গুরুত্বই সবচেয়ে মূল্যবান। যখন নিজেকে সত্যিকারের ভালোবাসতে শিখবেন, তখন বুঝবেন আপনার অস্তিত্ব কারও অনুমোদনের অপেক্ষায় নয়, বরং আপনি নিজেই আপনার জন্য যথেষ্ট !!💔😥

10/02/2025

বেদনারা আজ ঘুমায়, ওদের ডেকো না!

— জ্বর কমেছে?— জানি না।— কিছু খেয়েছেন?— গত পাঁচদিনে একবারও ফোন করেননি কেন?— করলে কী জ্বর আসত না?— আসত। তবে চারপাশটা এত ...
07/02/2025

— জ্বর কমেছে?

— জানি না।

— কিছু খেয়েছেন?

— গত পাঁচদিনে একবারও ফোন করেননি কেন?

— করলে কী জ্বর আসত না?

— আসত। তবে চারপাশটা এত গুমোট লাগত না।

— আপনাকে মাঝেমধ্যে বুঝে উঠতে পারি না ঠিক।

— একটা মানুষকে চিনতে যে সারাজীবন‌ও কম পড়ে যায়।

— তা ঠিক। তবু, এই যে আপনার এত অভিমান অভিযোগ আমায় নিয়ে তার কোথাও কি একটুও ভালোবাসা নেই?

— কাউকে ভালোবাসলে তার অবহেলা পাবার জন্য‌ও মনকে প্রস্তুত রাখতে হয়। মনের সেই জোর আর আমার নেই।

— বড়ো সাবধানী আপনি।

— আমার মত ছাপোষা সাধারণ মেয়েদের সাবধান না হয়ে উপায় কই!

— ধরেই নিচ্ছেন ছেড়ে যাব?

— নিচ্ছি। বরং থেকে গেলেই আশ্চর্য হব।

— ভালোবাসলেন না কেন আমাকে?

— ভালোবাসলে সর্বস্ব উজাড় করে দিতে হয়। আমার সেই সবকিছুই আমি খুইয়েছি।

— আমি না হয় সেই অপ্রাপ্তি নিয়েই...

— জীবনটা যে কাব্যে চলে না।

— কুরিয়ারে একটা শাড়ি পাঠিয়েছি। পুজোর কোনো একদিন যদি পরেন আমার ভালো লাগবে।

— আপনার বইটা এখনও দিয়ে উঠতে পারলাম না।

— রেখে দিন। লাগবে না।

— লাগবে। আমার লাগবে।

— কী? বই?

— না। আপনাকে।

01/02/2025

আমি তাকে ভালোবাসি বললাম
সে হেসে উড়িয়ে দিলো,
আমি তাকে বোঝাতে চাইলাম
আমি তাকে খুব করে চাই,
সে তার আর আমার মাঝে
এক আকাশ দুরত্ব টেনে দিয়ে বললো
ঐ যে দেখুন আকাশে চাঁদ দেখা যায়
সবাই তাকে ভালোবাসে
কিন্তু সবাই তাকে পায় না।

01/02/2025

যদি তুমি দূরের কোনো আকাশ হওযদি হও অন্য কারো ফুলদানির ফুল,দিনের শেষে রাত্রি এলে যেমন চাঁদ হাসেযদি তেমন করে তুমিও হাসোযদি আমায় আর ভালো না বাসো,তবুও আমি চাইব তুমি ভালো থাকো।আমার কাছে ভালোবাসা মানেই তোমার হাসি,আমার কাছে ভালোবাসা মানে তোমার ভালো থাকা

11/01/2025

আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা কবরস্থান... মাঝে মধ্যে ফ্রি সময় কাটানোর জন্য ঘুরতে আসি এই জায়গায়। এতো কবরের মধ্যে সবচেয়ে পুরানো কবর কোনগুলো খুজতে থাকি... তখন এই কথা গুলো মনে পরে আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা।
তারাও আমাকে চিনবেনা।
কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবরবাসি হয়ে যাব।
আর ততদিন মুছে যাবে আমার নাম নিশানা।
কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে!

কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না।
হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে।
কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবেনা।

প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা।
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একিই বাড়ি, একিই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি।
কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা।
হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন।
কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই।

তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারবেননা।
আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারা ও আপনাকে মনে রাখবেনা এটা নিশ্চিত!

অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
তাহলে আপনি আস্ত একটা বোকা !
এই শব্দটা ব্যবহার করার জন্য স্যরি!
ক্ষমা করবেন।
আমাদের সময় খুব কম! তাই এই সুদ, ঘুষ ,দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার , সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি । কোন লাভ নেই ভাইজান ।। সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। আসুন নিজেকে সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য পূর্ণতা সন্ধয় করি।। ঐটাই আপনার জন্য প্রকৃত সম্পদ।।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দাও। আমিন.

03/01/2025

রুটি-কাহিনী
ভিন্ন পথে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তা একেবারে ফাঁকা, চারদিকে সুনসান নীরবতা। হঠাৎ এক কুকুর এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। তার চোখে অদ্ভুত এক ধাঁধার মতো চাহনি। ভয়ে বুক ধুকধুক শুরু করলো। কুকুরটা যেন আমার পথ আগলে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিচ্ছে, "এই রাস্তা দিয়ে যেতে হলে, আমার অনুমতি লাগবে!"

পেছনে তাকালাম, কোনো মানুষ নেই। হঠাৎ পাশের একটা দোকান থেকে একজন চেঁচিয়ে বলল, "ভাই, ও আপনাকে যেতে দেবে না, আগে ওকে রুটি খাওয়ান। এখানে অপরিচিত কাউকে দেখলেই ও এমন করে।”
বাধ্য হয়ে দোকানে ঢুকে দুইটা রুটি কিনলাম। কুকুরটার সামনে রেখে আস্তে করে বললাম, "এই নে, শান্তি থাক।" কুকুরটা রুটি শুঁকে চমৎকার ভঙ্গিতে খেতে শুরু করল।

আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। মনে মনে ভাবলাম, "এটা কি কুকুর, নাকি রাস্তার টোল কালেক্টর!
নাকি দোকানের চালাকি!”

20/12/2024

আমার যাবতীয় চাওয়ার কেন্দ্রবিন্দু তুমি
তোমার বৃত্তের ভিতরে আমার
পাওয়া না পাওয়ার সম্ভাবনা,
যদি একবার বলো তুমি শুধু আমার
সত্যি বলছি ছেড়ে যেতে তোমায় দেব না।

এতটাই ভালোবাসবো তোমায়
এতটাই গভীরে যাব ছুঁয়ে
হৃদয়ের ঠিক মধ্যেখানে স্থান করে নেব
যেনো তোমার বলতে শুধুই আমি
ভাবো তুমি একাকীত্ব হারিয়ে ।

আমার ঘুমের ঘোরে মায়ার স্বপ্ন তুমি
তুমি জাগ্রত কন্ঠস্বরে আমার প্রিয় নাম
এতটাই ভালোবাসতে চাই তোমায় আমি
যেনো এর আগেও যুগ যুগ তোমারই ছিলাম।

08/12/2024

In the maze of your mind, where do you keep me?
How can I live without you, when I am dying of sorrow?

In the storm inside my heart, my heart is broken today,
Leaving me in the darkness, paint your clothes with light.

In the light of love, when life is colorful,
Who else loves in such a way, that there is sorrow in love?

Without you, it seems so hard to be alone,
When I am dying of sorrow, why do you keep silent?

In the maze of your mind, I am helpless, crushed,
How can I survive by fighting with my mind?

08/12/2024

হুট করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছলছল কাজল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন? মায়ায় মেরেছো, বিরহ অনলে পুড়িয়ে অঙ্গার করেছো! এখন দৃষ্টি সংযোগে মাতোয়ারা করে দাও, যে চোখে তাকিয়ে কভু ঘুম আসে না! নেশা ধরাও পরানে, অন্তরে আর চোখে।

07/12/2024

ভালোবাসায় ভরপুর একটা হৃদয় নিয়ে জন্মানো মানুষ একটা সময় এসে ভালোবাসার নামে যঘন্য বুমি করে। পিরিত তারে আর কোনোদিনও খায় না।

কাছের মানুষের কাছে কিঞ্চিৎ আগ্রহ চেয়ে যে মানুষটা চরম অবহেলা পেলো, সে মানুষটা আর কোনোদিন কারো কাছে আগ্রহ চায় না।

একটু যত্নের অভাবে যে মানুষটা ছটফট করতে করতে অনাদরে ভিতরে ভিতরে পলিথিনের মতো চুপসে গেল, সেই মানুষটা অ'যত্নে পঁচে গলে গেলেও আর কাউকে বলে না, আমায় একটু বাঁচাও।

আমারে তোমার কাছে রাইখা দাও, আমি তোমার কাছেই থাকতে চাই বলা মানুষটাকে যখন দূরে ঠেলে দেওয়া হয়, সেই মানুষটা আর কোনোদিন কারোর দরজায় কড়া নাড়ে না থেকে যাওয়ার আবদার নিয়ে।

পাজড় ভাঙা ভঙ্গুর সম্পর্কগুলোকে যে মানুষটা নিজের সর্বোচ্ছ চেষ্টায় দিয়ে নকশিকাঁথার মতো সাবধানে সেলাই করে জুড়তে চেয়েও শেষমেষ জুড়তে না পেরে আলগা হয়েছে, সে মানুষটার আর কোনোদিও চোখের পাতা কেঁপে ওঠে না কোন সম্পর্কের ভাঙনে।

যে মানুষটা অন্ধের মতো কাউকে বিশ্বাস করার পর মুখোশ পেয়েছে, সে মানুষটাকে দ্বিতীয়বার কেউ বিশ্বাস করার কথা বললে শামুকের মতো ঘুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে।

এক চিমটি সুখের আশা করতে যেয়ে যে মানুষটা দুঃখের সমুদ্রে হাবুডুবু খেলো, সে মেনে নিয়েছে, দুঃখই চিরন্ত সত্য বাকি সব কুঁয়াশা।

ভালোবাসা চাইতে চাইতে যে মানুষটা কাঙাল হয়ে গেল, যে মানুষটা মাথা রাখার একটা কাঁধ চেয়ে বেহায়া হয়ে গেলো, প্রতিশ্রুতি চেয়ে যে মানুষটা প্রতারণার আঘাতে টুকরো টুকরো হলো, সে মানুষটাই একদিন ভাঙতে ভাঙতে এত কঠিন হয়ে উঠে যে পৃথিবীর কোনো শক্তপোক্ত আঘাতই তাকে আর ভাঙতে পারে না।

সে শিখে যায় নিজেই নিজেকে জড়িয়ে ধরতে, নিজের সঙ্গে নিজে হাসতে, নিজের সঙ্গে নিজে কাঁদতে, নিজের সঙ্গে নিজে হাঁটতে, নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলতে, সে শিখে যায় নিজেই নিজেকে পরম যত্নে ভালোবাসতে।

ঝুম বৃষ্টির উদাস কোনো হাওয়ার দুপুরে কেউ যদি তাকে ভালোবাসার নেমন্তন্ন পাঠায়, ফুল ফোটা কোন ফাল্গুনের ভোরে যদি ফের তার ভালোবাসার ইচ্ছে জাগে কাউকে, সে নিজেকে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেয়, না না ওসব ভালোবাসা আমার জন্য না। ভালোবাসা একটা ভয়ঙ্কর অসুখ; ওই অসুখে একবার বুকের ভেতর ক্ষত হলে দুনিয়ার আর কোন তাবিজ, কবজ, মলমে সেই ক্ষত সেরে ওঠে

04/12/2024

বিধাতার কাছে দুহাত তুলে
তোমায় যে কত চাই,
তবুও কি তুমি বলবে আমায়
হাতের রেখায় আমি নাই?

জানতে যদি কতটুকু আমি
মোনাজাতে তোমায় চাই
তবে হয়তো তোমার মোনাজাতে'ও
হতো আমার ঠাঁই!

16/11/2024

একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে এ-ধরণের মিথ্যে স্বান্তনা নিয়ে আমি কোনদিনই শান্ত হইনি।

আমি জানি, একদিন সবই হবে। তবে সেদিন আমি আর আমি থাকবো না। সমুদ্র পাড়ে বসে সমুদ্র দেখার ইচ্ছে থাকবে না। পাহাড়ে বসে চাঁদ দেখার স্বপ্ন থাকবে না। জীবনে সবই হয়,সবই আসে। কিন্তু সময় মতো জীবনে কিছুই হয়না, কিছুই আসেনা!

তবে এইটা বুঝতে পারছি যে আপনজন বলতে কিছু নেই! যারা ভাবেন আপনজনই সব তারা অতি আবেগি....

09/11/2024

পুরুষ যখন তার ফ্রাজাইল মেইল ইগো থেকে বের হয়ে আসেন, সেই পুরুষের মত সুন্দর কিছু দুনিয়াতে খুব কমই আছে!

এখনো অসংখ্য পুরুষ আছেন যারা তাঁদের মা, বোন, কন্যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন ইনসাফের সাথে। আপনি রোদে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে পাড়ার কোনো এক ভাই চট করে রিকশা ডেকে দিবেন। বাসে নারী দেখলেই একদল পুরুষ আছেন নিজের সিট ছেড়ে দেবেন। কিছু আপু দেখবেন কি পরম নির্ভরতায় সংসারের আয় দায় স্বামীর হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন। কি চরম শান্তির সাথে তাঁরা পুরুষটার কাঁধে মাথা রেখে চলন্ত ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ছেন।

আছেন এমন অনেক পুরুষ যারা ঘরে কিংবা বাইরে নারীর সাথে কখনো উচ্চস্বরে কথা বলেন না। সম্মানের সাথে নারীর প্রয়োজনীয় বস্তু কেনা থেকে শুরু করে শখ আহ্লাদ পূরণ করার চেষ্টায় থাকেন। যত্নের সাথেই তাঁরা কন্যা জায়া জননীর দৈনন্দিন চাহিদা বিবেচনায় রাখেন।

এটিএম মেশিনের মতো ব্যাবহৃত হয়েও দেখবেন কিছু ধৈর্য্যশীল পুরুষ ঘরের কথা পরকে বলে ঘর বাজার বানিয়ে ফেলছেন না। টিউশনির টাকায় সংসার চালিয়েও চোখে পড়বে কিছু ভাই ছোট বোনের জন্য এক ঠোঙ্গা বাদাম নিয়ে আসছেন।

বিয়ে বাড়িতে খাবার শর্ট পড়েছে, দুই বন্ধুর মাঝে ক্যাচাল লাগছে, হাটে মারামারি লাগছে, মাঠে দলাদলি হচ্ছে, ঘাটে আটকে গেছে কেউ….একজন পুরুষই দেখবেন কি দক্ষতায় সামাল দিয়ে দিচ্ছেন সব!

অভিজাত পরিবারের উচ্চশিক্ষিত পরিবেশ থেকেই আসুক আর একেবারে নিচুতলার প্রতিনিধি হোক, সকল নারীকে সম্মান দেয়ার শিক্ষায় শিক্ষিত মহাপুরুষদের ডেডিকেটেড করে এই লিখা।

প্রিয় সুন্দর পুরুষের দল, প্রিয় সচেতন বিবেচিত মা-বাবার পুত্র সন্তানেরা, নারীকে ফুলের মতো ডেলিকেট ভেবে যত্ন নেয়া, মেয়েদের জন্য খাঁচা না হয়ে মুক্ত আকাশে হওয়া ভাইয়েরা আমার, আপনাদের জন্য ভালোবাসা

১একটা সময় পর তুমি বুঝতে পারবে যে যদি তুমি দরিদ্র হও তবে তোমার আঙুলে নখটাও তোমার গাল চুলকে দিতে অনিহাবোধ করবে। আর কোন আত্...
04/11/2024


একটা সময় পর তুমি বুঝতে পারবে যে যদি তুমি দরিদ্র হও তবে তোমার আঙুলে নখটাও তোমার গাল চুলকে দিতে অনিহাবোধ করবে। আর কোন আত্মীয়, কোন বন্ধুবান্ধব, এবং কী যে তোমাকে ভালোবাসি বলে দাবি করে সেও কাছে আসবে না তোমার দরিদ্রতা উপহাস করে। যখন তোমার খারাপ সময় আসবে, যখন পৃথিবী তোমার জন্য সংকীর্ণ হয়ে উঠবে, যখন তোমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে তখন তোমার পাশে তুমি কাউকে পাবে না। জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে যাদের কাছে তোমার কষ্টের কথা বলবে, বিশ্বাস করো তাদের অর্ধেক তোমার চিৎকারকে পাত্তা দিবে না আর বাকী অর্ধেক তোমার কষ্ট দেখে আনন্দ পাবে।


একটা সময় পর তুমি বুঝতে পারবে ভালোবেসে কারো প্রতি দূর্বল হতে নেই, দেখাতে নেই কোথায় তোমার উইক পয়েন্টের জায়গাটা, জানাতে নেই কোথায় আঘাত করলে তুমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাও। তুমি বুঝতে পারবে যারা তোমার পিঠে ছুরি মেরেছে তাদের ছুরি মারার সুযোগ তুমি নিজেই দিয়েছো, তুমি নিজেই তুলে দিয়েছ তাদের হাতে ধারালো খঞ্জর। তুমি বুঝবে যাদের তুমি প্রিয়জন মনে করো তাদের মতের সাথে যতোদিন তুমি কোনো প্রকার দ্বিমত পোষণ করবে না ততদিনই তাদের কাছে তুমি ভালো থাকবে, যেদিন থেকে তাদের মতের সাথে তুমি বিরোধিতা শুরু করবে সেদিন থেকে তারা তোমার জন্য হয়ে উঠবে এক-একটি নিষ্ঠুরতম তলোয়ার। ইতিপূর্বে তুমি তাদের জন্যে যা করেছে তারা সব ভুলে যাবে। তাদের চোখের ভেতর কোন কৃতজ্ঞতাবোধ থাকবে না, তোমার হৃদয় বিদারক আর্তনাদ শুনে তারা কষ্ট পাওয়া তো দূরের কথা নুন্যতম আফসোসও করবে না। তুমি হয়ে উঠবে তাদের কাছে ক্যাকটাসের মতো, যতোই সুন্দর হও না কেনো, যতোই ভালো হও না কেনো, তোমাকে জড়িয়ে ধরতে সবাই ভয় পাবে।

একটা সময় পর তুমি অনুভব করবে ভালোবাসা একটি সুন্দরতম মিথ্যা, যে সহে সে রহে এই কথা মিথ্যা, মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখে এটিও মিথ্যা, মানুষকে খুশি করা সহজ এটিও মিথ্যা, আমরা স্বাধীন এই কথা চুড়ান্ত মিথ্যা। তুমি বুঝতে পারবে যে বেশী ভালোবাসে প্রকৃতি সবসময় তার সাথেই অবিচার করে। যে বেশী মানুষ আগলে রাখতে চায়, সে সবচেয়ে বেশী মানুষ হারায়। যে বেশী যত্নশীল হয় সে ততবেশী অবহেলার স্বীকার হয়। তুমি বুঝতে পারবে, স্বার্থহীন ভালোবাসা একটি নেয়ামত যা হাতেগোনা কয়েকজন পায়, সবাই পায় না। যারা পায় তারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান।


জীবনে তুমি যত সুখী' ই হওনা না কেন একসময় তুমি জীবন নিয়ে ক্লান্তি অনুভব করবে। পৃথিবীর ও পৃথিবীর মানুষকে মনে হবে কুৎসিত। তোমার আশপাশের মানুষ তোমাকে যত কষ্ট দিয়েছে তার চেয়ে বেশী কষ্ট তোমাকে তোমার মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা দিবে। মনে হবে তুমি শত শত মুখোশধারী মানুষের ভীড়ের মাঝে আটকা পড়েছো, যেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোন পথ নেই। মানুষের থেকে নিজেকে সরিয়ে যখন তুমি একা বাঁচার চেষ্টা করবে তখন আশপাশের লোকজন তোমায় হয় অহংকারী ভাববে নয়তো ভাববে তুমি উন্মাদ।

সবশেষে তুমি বুঝবে পারবে, জীবনে তুমি যেমন হতে চেয়েছো তেমন হতো পারোনি, তুমি অনুভব করবে, অপলা পৃথিবীতে তুমি একা এক নিঃসঙ্গ পাখি। যার ডানা থাকার পরও সে উড়তে পারো না।

রিক্সা চালাই; বিয়ে করেছিলাম আজ থেকে একবছর আগে !!আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি। অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর...
26/10/2024

রিক্সা চালাই; বিয়ে করেছিলাম আজ থেকে একবছর আগে !!
আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি। অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছিলো ও। বুঝতে পারি বউ আমায় খুব ভালবাসে।

আমি যখন রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরি, ও আমার জন্য গোসলের পানি তুলে দেয়। মাঝেমাঝে আমিও অবশ্য তুলে দেই। বাড়িতে কারেন্ট নাই, খেতে বসলে ও পাখা দিয়ে বাতাস করে। গরমের রাতে দুজনে অদল বদল করে পাখা দিয়ে বাতাস করি, ভবিষ্যতটাকে সাজানোর গল্প করি দুজনে।

গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম বুঝতে পারতামনা। রিক্সায় বড়বড় সাহেবরা তাদের বউকে নিয়ে উঠত। দুজনে মিলে অনেক গল্প করত। সাহেবদের কাছে শুনতাম তারা যেদিন বিয়ে করেছে সেদিন আসলে তারা নাকি অনুষ্ঠান, পার্টি না কি জানি করে। এই সব আমার জানা নেই। যখন শুনতাম আমারো ইচ্ছে করত বউকে একটা শাড়ী কিনে দিতে।বউকে যে খুব ভালবাসি আমি।

কিন্তু পারিনা। অভাবের সংসার, দিন আনি দিন খাই।তাই একটা মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম। ওটাতে রোজ দুচার টাকা করে ফেলতাম। দেখতে দেখতে অভাবের সংসারে আজ একটা বছর হয়ে গেল। আজ সকালে রিক্সা নিয়ে বের হবার আগে বউ যখন রান্না ঘরে গেল তখন বউকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখা মাটির ব্যাংকটা বের করে ভেঙ্গে দেখলাম সেখানে প্রায় ৪৮০ টাকা হয়েছে।

বাসা থেকে বের হবার আগে বউকে বলেছিলাম, আজ বাড়িতে ফিরতে দেরী হবে। বউ মাথা নাড়ে, বলে ভালো কইরা থাকবেন। চলেগেলাম রিকশা নিয়ে। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় মার্কেটে গিয়েছিলাম বউয়ের জন্যে একটা শাড়ী কেনার জন্য। আজরাতে বউকে দিব।

ঘুরে ঘুরে অনেক শাড়ীই দেখছিলাম,পছন্দ হয় কিন্তু দামের জন্য বলতে পারিনা। অবশেষে দোকানীকে বললাম, ভাই এই কাপড়টার দাম কত? ১৫০০ টাকা। আমার কাছে তো আছে মাত্র ৪৮০ টাকা। তাই ফিরে আসলাম। মার্কেট থেকে বের হয়ে বাহিরে বসে থাকা দোকানদারদের থেকে ৪৮০ টাকায় একটা শাড়ী কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।

মাঝেমধ্যে ভাবি; এই দোকান গুলো যদি না থাকত, তাহলে কত কষ্ট হত আমাদের মত গরিবদের। ফুরফুরে মেজাজে বাড়িতে ঢুকলাম। অনেকদিন পর বউকে কিছু একটা দিতে পারব, ভাবতেই বুকটা খুশিতে ভরে উঠছে বারবার। রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরার ভান করে শুয়ে আছি।

বারটা বাজার অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছি। কল্পনার জগতে ভাসছিলাম, বউকে দেবার পর বউ কি বলবে, কতটা খুশি হবে। রাত বারটা বেজে গেল। বউকে ডেকে তুললাম। ডেকে তুলে বউয়ের হাতে শাড়ীটা তুলে দিয়ে বললাম, বউ আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।

আজকের তারিখে তুমি আমার এই কুড়ে ঘরটাতে এসেছিলে। আমার পক্ষথেকে তোমার জন্য এই ছোট্ট উপহার। বউ শাড়িটা বুকে জড়ায়, চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে ওর। তারপর উঠে গিয়ে ট্রাঙ্কটা খুলে শাড়িটা রেখে দেয়। তারপর কি যেন বের করে। আমি উকি মেরে দেখার চেষ্টা করেও দেখতে পাইনা।

বউ ট্রাঙ্কটা বন্ধ করে আমার হাতে একটা লুঙ্গি দিল।কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম আমি। কারন টাকা পেল কোথায়? জিজ্ঞাসা করলাম, টাকা পেলে কোথায় তুমি? অনেকদিন আগে থেকে প্রত্যেকদিন একমুঠ করে চাল খাবারের চাল থেকে আলাদা করে জমিয়ে রাখতাম।জমিয়ে জমিয়ে কিছুদিন আগে পাশের বাসার ভাবির কাছে বিক্রি করে দিছি।

সেই টাকা দিয়ে লুঙ্গি কিনছি। ভাবছিলাম আজকে দিব, আপনি তো এসেই ঘুমিয়ে পরলেন। তাই ঠিক করছিলাম কাল সকালে দিবো। আমি কিছু বলতে পারলামনা। শুধু লুঙ্গিটা উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলাম। তারপর বললাম, শুনছি বড় সাহেবরা নাকি বিয়ের দিন তারিখে কেক কাটে।

বউ বলে, আমাদের কি অত টাকা আছে। বাসায় মুড়ি আছে? আছে। যাও সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি নিয়ে এসো।সাথে একটা কাঁচামরিচ আর একটা পিয়াজ আনিও। আচ্ছা দাড়ান আনতেছি। টিনের ফাক আর জানালা দিয়ে চাঁদের আলো আসতেছে। দুজন জানালার পাশে বসে মুড়ি খাচ্ছি।

আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করছি। ছোট ছোট গিফট আর অফুরন্ত ভালবাসায় বেঁচে থাকুক আমাদের মত রিকশা ওয়ালাদের জীবন।

সমাপ্ত 🖤

লেখা : সংগৃহীত

Address

Dhaka
Brahmanbaria

Telephone

+97366982156

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Letter=চিঠি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category