26/09/2022
হিজাব
ইরানের বর্তমান প্রটেস্ট চলতেছে এন্ট্রি হিজাব মানে মেয়েরা হিজাব পরতে চাই না। আবার ভারতের কন্নাড়টর্কে মেয়েরা হিজাবের জন্য আনদোলন করে তারা চাই হিজাব পরতে।দুই দেশের মানুষের চয়েস ভিন্ন কেনো।
সবকিছুর পেছনে ডিক্টেটরশিপ। সব নেতারা চাই সবাই তাদের নিয়মে চলোক। বেশি করে এই নিয়মটা মেয়েদের প্রতি। ছেলেদের ক্ষেত্রে এত রুলস রেগুলেশন নাই। একটা ছেলে কি পরবে এইটার কোনো ধরাবাদা নিয়ম নাই। এখন ধরেন বাংলাদেশ জাতীয় পোশাক পাঞ্জাবি পাজামা। এখন কোনো ছেলে জিন্স শার্ট পরলো। সমাজের কেউ কিছু বলবে না। একটা মেয়ে শাড়ি ছাড়া বা বোরকা ছাড়া বের হয়লে সমস্যা। আবার কোনো দেশে শাড়ি বা বোরকা পরে তাহলে ঐ মেয়েদের সমস্যা। যেমন টিভ চ্যানেল গুলোতে মেয়েগুলো বলাহয় একটু টাই কাপড় পরতে। এখন এক দেশে মেয়েরা হিজাব পরতে আরেক দেশে পরতে চাইনা কেনো। মেয়ের চাই কি কেউ যনো ডমিনেন না করে তাদের ওপর। তারা ফ্রিডম ও চাই না তারা তাদের অধিকার চাই। এখন জিন্স শার্ট হিজাব বোরকা শাড়ী এই গুলো কি ফ্রিডম। না। এই গুলোর মাধ্যমে নারীদের থেকে বড় বড় বৈষম্যের দূরে রাখা। এবং তাদেরকে ব্যবহার করে পুরুষরা নিজেদের মত করে। নারীদের ফ্রিডম শিক্ষায়। একটা জাতির নারী সমাজ যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত হয়।
একটা জাতি কি রকম প্রোগ্রেশ সেইটা ডিপেন্ডে করে ঐজাতির নারীরা কত শিক্ষিত। নারী শিক্ষা নিয়ে কোনো সমাজে বা নেতা কথা বলবে না কারণ ব্যবহার করতে পারবে না। বাংলাদেশ কত জন নারী স্নাতক ডিগ্রী পাশ 20℅ আসে পাশে আরো কম আর ট্যাকনিকেল ইউনিভার্সিটি তে ৯℅ নারী। এইটা নিয়েত কোনো আইন নাই নারী কি পরলো এইটা নিয়ে সব দেশে আইন হয়। তাদেরকে চুয়েস দেওয়ার দরকার তারা কি পরতে চাই
বিশ্ব এখন এমন অনেক বড় বড় এক্টিভিস্ট আছে যারা উচ্চ শিক্ষিত তারা নিজের ইচ্ছেতে হিজাব পরে।
"স্কেটার জাহরা লারি৷ড.ডালিয়া মুজাহিদ She was selected as an advisor by U.S. President Barack Obama on the Faith-Based & Neighborhood Partnerships. ইনগিড মেডসন she was elected Vice-President of ISNA and in 2006 she was elected President of the organization. Mattson is the first female to lead the Islamic Society of North America (ISNA). She is the author of The Story of the Qur'an: It's History and Place within Muslim Life, আরো অনেক আছে গুগুল গিয়ে তাদের একটি ছবিও আপনি হিজাব ছাড়া পাবেন না তারা হিজাব সম্পর্কে জানে তাই পরে। এখন আপনি একটা মানুষকে জানতেই দিলেন না পোশাক না পরলে কি হয়। তার উপর জোর করে চাপায় দিলেন। চাপানোর দ্বায়িত্ব আপনাকে কে দিছে। বলবেন ধর্মে বলা আছে। ধর্ম কি শুধু নারীদের জন্য?
পুরুষদের জন্য ও বাট এইগুলো সমাজে ব্যবহার করা হয় না
পুরুষ মানুষের কাপড় টাখন্ উপর এবং হাঁটু নিচে পরার জন্য ১৭ টা সহীহ সনদে সহীহ বোখারী, সহীহ মুসলিম ও অন্যান প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থে আছে
আবূ হুরায়রা, আবূ সাঈদ, আবদুল্লাহ ইবনু উমর, আনসার ইবনু মালিক ও অন্যান সাহাবী (রাঃ) বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেন
"মুমিনের ইযার তাঁর পায়ের নলার মাংস পেশি পর্যন্ত থাকবে।এরপর পায়ের গিরা বা টাখ্নু পর্যন্ত। এর নিচে যা থাকবে তা জাহান্নামে "
প্রথমত সধারন নিয়মে দেখুন কোরআনে সুরা ৯ আয়াত ৭১: "আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।"
দেখুন এই আয়াতে ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একসাথে কাজ করছে একে অপরকে সহায়তা করছে , এটা কোন খালি লেকচার/বক্তব্য নয়। তারা একে অপরকে পুন্য কাজে সহায়তা করে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে ব্যক্তিগত উদাহরণ দেয়ার মাধ্যমে বা নিজে ভালো কাজ করে দেখানোর মাধ্যম, কারন তারা জানে যে কোরআন হচ্ছে ভালো ও খারাপের মধ্যে পার্থক্য নির্নয় কারী।
১। সুরা নং৭) সূরা আল আ’রাফ , আয়াত নং ২৬: হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
২। সুরা নং ২৪) সূরা আন-নূর , আয়াত ৩১: ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
(সোজা কথায় অপরিচিত/অনাত্বীয় মানুষের সামনে বুক ঢেকে রাখা আর স্টাইল করে হাটা চলা বন্ধ )
৩। সুরা নং ৩৩) সূরা আল আহযাব আয়াত নং ৫৯: হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
কোরআনে হিজাব শব্দ সর্ম্পকে : হিজাব শব্দটি অনেক মুসলমান ব্যবহার করেন মাথায় কাপড় দিয়ে ঢাকা যা হতে পারে চেহারা সহ বা চেহারা ছারা ঢাকা, শুধু মাত্র চোখ ছারা আবার কখনো কখনো একচোখও ঢাকাআবৃত করে রাখা। আরবি শব্দে হিজাবকে অনুবাদ করা হয় ঘোমটাপর্দা আবৃত করে রাখা ঢেকে রাখা অন্য অর্থে হিজাব বোঝায় পর্দা ঘেরা, বিভাগ বিভক্ত অবস্থা বিভাজক ইত্যাদি।
হিজাব শব্দটি কোরআনে সাত বার এসেছে, এর মধ্যে ৫ বার হিজাব এবং ২ বার হিজাবান দেখুন সুরা: আয়াত( হিজাব অর্থ) 7:46 (প্রাচীর ), 17:45(প্রচ্ছন্ন পর্দা ), 19:17 (নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো), 33:53(পর্দার আড়াল থেকে চাইবে), 38:32(সূর্য ডুবে গেছে সূর্য আড়ালে গেছে), 41:5(আমাদের ও আপনার মাঝখানে আছে অন্তরাল), 42:51(কিন্তু ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে).
জিন্স শার্ট হিজাব বোরকা শাড়ীর টিপ হচ্ছে সমাজের নারীদের জন্য বানানো প্রতার মত ব্যবহার করে দূর্বলের প্রতি । সমাজে পুরুষের জন্য কোনো প্রতা নাই। পুরুষ সমাজে আসে শাসন করার জন্য।
অথচ কোরআনে প্রথম পুরুষের পর্দার কথা বলা হয়েছে।
সূরা নুরের ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
'মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে জানেন। '
সুস্থ সমাজের জন্য পুরুষেরও পর্দা করতে হবে। মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন, এর বিশেষ তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। সমাজের বেশিরভাগ ধর্ষণ, পরকীয়ায় পুরুষকেই অগ্রগামী দেখা যায়। তাই পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখলে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে অশ্লীলতা অনেকাংশে কমে যাবে।
বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) একবার হজরত আলী (রা.)-কে বললেন,
‘হে আলী! পরনারীর দিকে চোখ পড়ে গেলে দ্বিতীয়বার আর তাকিয়ো না। প্রথমবার অনিচ্ছায় চোখ পড়ে যাওয়ার কারণে তুমি ক্ষমা পাবে, কিন্তু দ্বিতীয়বার তাকানো তোমার জন্য জায়েজ নয়। (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি)।
অথচ আমাদের সমাজে পুরুষের পর্দার ব্যাপারে তেমন আলোচনা হয় না
আপনি যেইভাবে চলেন না কনো ধর্মের উপর যায়তে পারবেন। ধর্ম নারী পুরুষ সহায়তা করার জন্য। এবং ভালো শিক্ষা গ্রহণের জন্য।
আমরাদের সমাজে নারী ৫ ম শ্রেণির পড়তে পারবে। আচছা পড়ার ঐই নিয়ম কে বের করছে মেয়েদের জন্য
শিক্ষা অর্জন করা সকলের উপর ফরজ। শিক্ষা লাভ করা থেকে নর-নারী কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। কেউ বিরত থাকতে পারবে না। আল্লাহপাক পুরুষকে যেমন শিক্ষা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন তেমন নারীকেও শিক্ষা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহর বিধানে শিক্ষা অর্জন করা নর-নারীর সমান অধিকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পবিত্র কোরআন নাজিল করে মহান আল্লাহপাক সর্ব প্রথম যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশটাই হচ্ছে নর-নারীর জন্য শিক্ষা বিষয়ক। ইরশাদ হচ্ছে-‘পড় তোমার প্রভুর নামে” (সূরা আলাক: আয়াত-১)। শিক্ষা ছাড়া আল্লাহকে জানা বুঝা যাবে না বিধায় শিক্ষা অর্জন করা প্রথম ও প্রধান ফরজ। এই ফরজ কাজ থেকে বিরত থাকা মানেই সকল ক্ষেত্রে ধ্বংস ডেকে আনা। মানবতার ইহ-পরকালীন শান্তির একমাত্র পথ হচ্ছে শিক্ষা। আর এই শিক্ষা নর-নারী উভয় কেই অর্জন করতে হবে। ইলম অর্জন করা সকল নর-নারীর উপর ফরজ ঘোষণা করে হযরত আনাস রা. বর্ণিত হাদীসে রাসূল সা. ইরশাদ করেন- ‘ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ’ (ইবনে মাজাহ, বায়হাকী)।
ইসলামে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নারীশিক্ষার বিকল্প নেই। বিশেষ করে একটি পরিবারকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হলে শিক্ষাক্ষেত্রে নারীকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোরআন হাদীস যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাব, নবী সা. সর্ব প্রথম নারীদেরকে শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করেছেন এবং এই শিক্ষার বিধান সর্ব প্রথম বাস্তবায়ন করার সুবর্ণ সুযোগ পান রাসুলে পাক সা. এর প্রিয় সহধর্মিণী হযরত খাদীজাতুল কুবরা রা.। কাজেই নারী শিক্ষার বিষয়টাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অগণিত হাদীস দ্বারা এটাও সুস্পষ্ট প্রমাণিত- নবী সা. নিজেই নারীদেরকে শিক্ষাদান করতেন, নারীদেরকে শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করতেন। সাহাবায়ে কেরামের নিকট থেকে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতেন এমনকি বড় বড় সাহবীগণও নারীদেনিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতেন। হযরত জুবায়ের ইবনে মুতইম রা. বর্ণিত হাদীসে আছে- ‘একবার এক মহিলা রাসূল সা. এর দরবারে এসে কিছু বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করলো। বিদায় নিয়ে যাবার সময় রাসূল সা. তাকে বললেন আর জানার মত কিছু থাকলে অন্য সময় জেনে নিও। মহিলাটি আরজ করলো- ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনাকে না পাই অর্থাৎ যদি আপনি দুনিয়াতে না থাকেন তখন কি হবে? রাসূল সা. বললেন-
আবু বকর রা. এর নিকট তখন শিক্ষা গ্রহণ করিও’ (বুখারী ও মুসলিম, তিরমিজী)
। উক্ত হাদীস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত- নবী সা. স্বয়ং নিজে নারীদেরকে শিক্ষা দিতেন এবং তার অনুপস্থিতিতে অন্য জনের নিকট গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য নারীদেরকে উৎসাহিত করতেন। রাসূল সা. এর যুগে এবং পরবর্তী সময়ে অগণিত মহিয়সী মুসলিম নারী শিক্ষাদান করেছেন এবং তারা শিক্ষকতা করে নিরক্ষরতা দূর করেছেন। মহিলা সাহাবীদের মধ্যে অনেকে ছিলেন অগাধ পাÐিত্যের অধিকারী। হযরত আয়শা রা. ছিলেন হাদীস ও ফিকাহ শাস্ত্রের এক মহান পÐিত। চার খলিফা সহ বড় বড় সাহাবীরা তার নিকট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। হযরত আবু মুসা আশআরী রা. বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন-
“আমরা রাসূল সা. এর সাহাবীরা যখনই কোন মাসআলার ব্যাপারে সন্দেহ বা সমস্যায় পড়তাম তখনই আমরা হযরত আয়শা রা. এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করতাম এবং সঠিক সমাধান পেয়ে যেতাম (তিরমিজী, মিশকাত শরীফ: পৃষ্ঠা-৫৭৪)।
পুরুষ সাহাবীগণ মহিলা সাহাবীদের নিকট মাসআলা শিক্ষার জন্য যেতেন যা উক্ত হাদীসে উল্লেখ আছে। এর দ্বারা প্রমাণ হলো- মহিলাদের জন্য শিক্ষকতা করা বা মহিলাদের নিকট গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে ইসলামের কোনো বাধা নেই। তবে শর্ত হলো সর্বদা পর্দা রক্ষা করতে হবে। কেউ যদি পর্দাহীন হয় তাহলে সে তার চরিত্র ও নৈতিকতা হারিয়ে ফেলবে। আর চরিত্র নষ্ট হলে তো শিক্ষা লাভ করেও লাভ নেই। সাহাবায়ে কেরামগণ (নারী-পুরুষ) শিক্ষার জন্য পরস্পর সাক্ষাৎ করতেন, ইলম ব্যাপারে পরস্পর আলোচনা করতেন সত্য কিন্তু এতে পর্দার কোন ব্যাঘাত ঘটতো না। তারা সর্বদা পর্দা রক্ষা করেই চলতেন।
নারীদের জন্য শুধু প্রাথমিক শিক্ষা নয়, বরং উচ্চ শিক্ষা লাভ করতেও ইসলামের কোনো বাধা নেই। যদি নারীরা পর্দা রক্ষা করে চলতে পারে। কারণ শিক্ষা অর্জন করা একটি ফরজ কাজ এবং এর চেয়ে বড় ফরজ হল পর্দা রক্ষা করা। পুরুষের মত নারীরাও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবে, শিক্ষকতা করবে এবং শিক্ষার প্রসার করবে এ সম্পর্কিত নির্দেশ পবিত্র কোরআনেই রয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে-
‘হে নবী পরিবার! তোমাদের গৃহে যে আল্লাহর বাণী পাঠ করা হয় এবং হিকমত পরিবেশন করা হয় তা তোমরা স্মরণ কর এবং প্রচার কর’ (সূরা আহযাব: আয়াত-৩৪)।
নারীর ফ্রিম মানে নারীকে পুরুষ বানানো না। তার অধিকার ফিয়ে দেওয়া।পুরুষরা কে যে নারীর অধিকার তাদের হাতে রাখা।
নারী ১০০% শিক্ষিত না হয়তে পারলে কোনো দেশ সমাজ উন্নতি হয় না
©