Bdlawnews24.com

Bdlawnews24.com আইনবিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল bdlawnews24.com এক‌টি সরকারী নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠান হওয়ার অ‌পেক্ষায়।
(3)

21/02/2024

বগুড়া জজশী‌পের পক্ষ থে‌কে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়
আজ বুধবার সকাল ৮ ঘ‌টিকায় মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্ততা‌জিক মাতৃভাষা দিবস উপল‌ক্ষে ‌কোর্ট প্রাঙ্গ‌নে শহীদ‌দের প্রতি শহীদ বেদী‌তে পুস্পমাল‌্য অর্পন শে‌ষে এক মি‌নিট নিরবতা পালন এর পর প্রধান অ‌তি‌থির বক্তব‌্য শে‌ষে মোনাজা‌ত করা হয় তার আ‌গে শহ‌রের প্রধান প্রধান সড়‌কে মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ জনাব এ কে এম মোজা‌ম্মেল হোক চৌধুরী সহ জজশীব ও ম‌্যা‌জি‌ট্রেসীর চীফ জু‌ডি‌সিয়াল ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেটসহ সকল বিচারকবৃন্দ, পি‌পিসহ আইনকর্মকর্তাবৃন্দ, বা‌রের আইনজীবীগন ও সকল আদাল‌তের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

21/02/2024

বগুড়া জজশী‌পের পক্ষ থে‌কে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়
আজ বুধবার সকাল ৮ ঘ‌টিকায় মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্ততা‌জিক মাতৃভাষা দিবস উপল‌ক্ষে ‌কোর্ট প্রাঙ্গ‌নে শহীদ‌দের প্রতি শহীদ বেদী‌তে পুস্পমাল‌্য অর্পন শে‌ষে এক মি‌নিট নিরবতা পালন ও মোনাজা‌ত করা হয় তার আ‌গে শহ‌রের প্রধান প্রধান সড়‌কে মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ জনাব এ কে এম মোজা‌ম্মেল হোক চৌধুরী সহ জজশীব ও ম‌্যা‌জি‌ট্রেসীর চীফ জু‌ডি‌সিয়াল ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেটসহ সকল বিচারকবৃন্দ, পি‌পিসহ আইনকর্মকর্তাবৃন্দ, বা‌রের আইনজীবীগন ও সকল আদাল‌তের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

01/01/2024

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ ইউনাই‌টেড লইয়ার্স ফ্রন্ট ১ হই‌তে ৭ জানুয়ারী নির্বাচ‌নের দিন পর্যন্ত, আদালত বর্জনের ঘোষনা দি‌লে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউ‌নি‌টের নেত্রীবৃন্দ আদালত বি‌ল্ডিং এর স‌ঙ্গে বগুড়া বার স‌মি‌তির আইনজীবীবৃন্দ না‌মে ব‌্যানা‌রে উ‌ল্লেখ ক‌রে প‌্যানা টাঙগা‌লে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষদ এর পক্ষ থে‌কে তা‌দেরকে ব‌্যানার বার বার সড়ানোর অনু‌রোধক‌রেও না সড়ালে পরব‌র্তিতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষদ এর নেত্রীবৃৃন্দ ব‌্যানার নামি‌য়ে কোর্ট গে‌টে পু‌ড়ে ফে‌লি‌য়ে দেয়।

https://youtu.be/leDGvS5b4dM?si=26BB-8ylNPwODKsh
18/12/2023

https://youtu.be/leDGvS5b4dM?si=26BB-8ylNPwODKsh

বিচারকদের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে নম্রতার দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রপতির | President Mohammed ShahabuddinBayanno TV is a private satellite television in Bangladesh. ...

নৌকা প্রতিক পেলেন বগুড়া জেলায় : বগুড়া -১ সাহাদারা মান্নান শিল্পী , বগুড়া -২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ সিরাজুল ইসলাম খ...
26/11/2023

নৌকা প্রতিক পেলেন বগুড়া জেলায় :
বগুড়া -১ সাহাদারা মান্নান শিল্পী ,
বগুড়া -২ তৌহিদুর রহমান মানিক,
বগুড়া-৩ সিরাজুল ইসলাম খান রাজু
বগুড়া-৪ হেলালউদ্দিন কবিরাজ
বগুড়া -৫ মজিবুর রহমান মজনু
বগুড়া - ৬ রাগেবুল আহসান রিপু
বগুড়া -৭ মোস্তফা আলম নান্নু

আইকর আইন ২০২৩ অনুযায়ী গনকর্মচারী হিসা‌বে রির্টান দা‌খি‌লের জন‌্য স্বাস্থ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নো‌টিশ।
07/11/2023

আইকর আইন ২০২৩ অনুযায়ী গনকর্মচারী হিসা‌বে রির্টান দা‌খি‌লের জন‌্য স্বাস্থ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নো‌টিশ।

অপমান আর বঞ্চনার নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। ছোট কোনো ইস্যু, এমনকি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে...
14/10/2023

অপমান আর বঞ্চনার নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। ছোট কোনো ইস্যু, এমনকি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে ডেকে দাঁড় করিয়ে রাখা, কিছু আইনজীবীর উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও প্রশাসন ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার না পাওয়াসহ তাদের সঙ্গে নানা বৈষম্যের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন তারা। সর্বশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সোহেল রানাকে এক মাসের জেল ঘোষণার রায় যেন ওই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে। ক্ষুব্ধ বিচারকরা ঘটনার দিনই (বৃহস্পতিবার) রাতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ আশপাশের এলাকার শতাধিক বিচারক উপস্থিত হন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক বিচারকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

অতীতের নানা ঘটনা তুলে ধরে বিচারকরা বৈঠকে আইনমন্ত্রীকে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে র‌্যাব-পুলিশ ও নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শিকার হয়েছেন, তাদেরও বিচার হয়নি। এমনকি কোনো কোনো ঘটনায় আইনজীবী নেতাদের হাইকোর্টে তলব করা হলেও তারা আদালতের কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা আদালত অবমাননা করলে ক্ষমা চাওয়ার পর তা মঞ্জুর করা হয়েছে। অথচ সামান্য অপরাধে একজন বিচারক ক্ষমা চাওয়ার পরও তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হলো। অভিভাবক হয়েও নমনীয় দৃষ্টিতে দেখতে পারলেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

বৈঠকে বিচারকরা আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের কথায় কথায় উচ্চ আদালতে তলব করা হয়। এতে করে সমাজ, পরিবার ও কর্মস্থলে বিচারকদের অপমানিত হতে হয়। এ ছাড়া ভীতসন্ত্রস্ত থাকতে হয়। বিচারকরা বলেন, তাদের সব সময় কাজের চাপে থাকতে হয়। দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এর মধ্যে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। ভুলভ্রান্তি আর অপরাধ এক জিনিস নয়। ভুল করলে ক্ষমা করাটাই স্বাভাবিক। অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু এভাবে জেল দিতে পারে না। এ ঘটনায় বিচারকরা নিজেদের অভিভাবকহীন বলে মনে করছেন।

তারা প্রশ্ন রেখে আইনমন্ত্রীকে বলেছেন, কোন আইনের ভিত্তিতে এভাবে বিচারকদের কাঠগড়ায় ডাকা হচ্ছে? ছোটখাটো ইস্যুতে এভাবে তলব করা হলে জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট রয়েছে কেন? বৈঠকে তারা জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্টের বাস্তবায়ন দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিচারকদের কথায় কথায় এভাবে তলব করা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া বিচারক সোহেল রানাকে জেল দেওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণার এবং বিবৃতি দেওয়ার জন্য জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বিচারকরা।

পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার বিচারকদের দাবির প্রতি সম্মতি জানান। এ ছাড়া গাড়ি নগদায়নের সুবিধা প্রদানসহ নানা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি বিষয়গুলো নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। এসব বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় ফোন করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে কিছু বলব না। তবে আমি বিষয়টি দেখছি।’ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সিনিয়র জেলা জজ মো. মজিবর রহমানও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমরা একটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আদালত অবমাননার দায়ে বিচারক সোহেল রানাকে ৩০ দিনের জেল-জরিমানার আদেশ দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে তার আইনজীবী, হাইকোর্টের একই বেঞ্চের কাছে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে জেল দেওয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আপিলের শর্তে ৩০ দিনের জামিন দেন বিচারক সোহেল রানাকে। এরপর বিচারক সোহেল রানার আইনজীবী হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। বিকেলেই এই আবেদনের শুনানি হয় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বিচারক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

জানা যায়, একটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও এক আসামিকে পলাতক ঘোষণার আদেশ দেওয়ায় বিচারক সোহেল রানাকে তলব করা হয়। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষার বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ওই বিচারককে গত ১৪ আগস্ট তলব করেন। ধার্য তারিখে তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়ে জবাব দাখিল করেন। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৯ অক্টোবর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন। এ ছাড়া বিচারক সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট তাকে জেল দেন।

এদিকে বিচারক সোহেল রানাকে জেল দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই বৃহস্পতিবার দুপুরেই বিচারকরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। সেদিন দুপুরের পর ঢাকার বেশকিছু আদালতের বিচারকাজও কিছু সময় বন্ধ ছিল। বিচারকরা কর্মবিরতে যাওয়ার ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন বলেও জানা যায়। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিচারকরা জানান, বৈঠকে বেশ কয়েকজন বিচারক তাদের ক্ষোভের কথা বলেন। কয়েকজন বিচারক নিজেদের অভিভাবকহীন বলে মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপস্থিত বিচারকরা আইনমন্ত্রীকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আমাদের অভিভাবক। আমরা বিচার বিভাগের সদস্য। সংবিধান ও আইনের আলোকে বিচারকাজ করাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ভুলভ্রান্তিগুলো নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করে সংশোধনের সুযোগ দেবেন, সেটাই প্রত্যাশা করি। যাতে করে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আমরা সচেষ্ট হতে পারি।

বিচারকরা মন্ত্রীকে আরও বলেন, দণ্ডিত বিচারক দুই দফায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। উচ্চ আদালত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট বিচারককে ক্ষমা করে দিতে পারতেন। এমনকি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেওয়ারও সুযোগ হাইকোর্টের সামনে ছিল। জেল ও জরিমানার পরিবর্তে ভিন্ন আদেশ দিলে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সবচেয়ে উপকৃত হতেন।

একজন বিচারক বৈঠকে বলেন, বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের পর কুষ্টিয়ার এসপি নিঃশর্ত ক্ষমা পান। ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন বার সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারিরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ থেকে ক্ষমা পেয়ে যান। আর বিচারকরা মাফ চেয়েও মাফ পান না। এটা অত্যন্ত লজ্জার, অত্যন্ত দুঃখজনক। বিচারকরা যেখানে সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে তারা শঙ্কিত, আতঙ্কিত।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে একজন বিচারক বৈঠকে বলেন, আর অপমান সহ্য করতে চাই না। কার্যকর পদক্ষেপ চাই। ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। সেই ভুল-ভ্রান্তি থেকে থেকে প্রটেকশনের ব্যবস্থা রয়েছে জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্টে। বিচারকের বিচারকাজের জন্য কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে না বা বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না বলে ওই আইনে উল্লেখ রয়েছে। একই ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে দণ্ডবিধির ৭৭ ধারায়ও। বিচারকরা বৈঠকে নিজেদের সুরক্ষা চান।

বৈঠকে নানা বৈষম্য তুলে ধরে বিচারকরা বলেন, ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি দিতে ৩৮০ কোটি ব্যয় করে সরকার। অথচ গাড়ি নগদায়নের সুবিধা বিচারকদের দীর্ঘদিনের দাবি। গাড়ি কেনার জন্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান না উল্লেখ করে বিচারকরা বলেন, যে আসামিকে আদালতে আনতে ২০-৩০ জন পুলিশ লাগে, সেসব আসামির বিচার শেষে বিচারককে রিকশায় করে বাসায় ফিরতে হয়। এসব বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান তারা।

পরে আইনমন্ত্রী বিচারকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। মন্ত্রী, বিচারকদের অভয় দিয়ে, নিরপেক্ষভাবে, সতততার সঙ্গে বিচারকাজ পরিচালনা করতে বলেন বিচারকদের। তিনি বিষয়গুলো নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে শনিবার কথা বলবেন বলেও জানান। এ ছাড়া বৈঠকে শিগগিরই বিচারকদের গাড়ি নগদায়ন সুবিধার দাবি পূরণ করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। বৈঠকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান, মহাসচিব ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানসহ বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

11/10/2023
আপিল  বিভাগের  বিচারপতি  জনাব  ওবায়দুল হাসান শাহীন স্যার  বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় অভিনন্দন ও শুভকামন...
12/09/2023

আপিল বিভাগের বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান শাহীন স্যার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় অভিনন্দন ও শুভকামনা।

25/08/2023

বাংলাদেশ ভূমি আইন অনুযায়ি জমির দলিল মোট ৯ প্রকার। যথাঃ-
(১) সাফ-কবলা দলিল;
(২) দানপত্র দলিল;
(৩) হেবা দলিল;
(৪) হেবা বিল এওয়াজ দলিল;
(৫) এওয়াজ দলিল;
(৬) বন্টন নামা দলিল;
(৭) অছিয়তনামা দলিল;
(৮) উইল দলিল; ও
(৯) নাদাবি দলিলবা মুক্তি নামা দলিল।

১) সাফ-কবলা দলিল
কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় করে যে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন তাকে সাফ-কবালা বা বিক্রয় কবলা বা খরিদা কবলা বলা হয়। এই কবলা নির্ধারিত দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর দলিল দাতা অর্থাৎ বিক্রেতা সাবরেজিষ্টারী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল সহি সম্পাদন করে গ্রহিতা অর্থাৎ খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টারী করে দিবেন। এই দলিল রেজিষ্টারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের তফছিলে লিখিত অর্থাৎ বিক্রিত ভূমির যাবতীয় স্বত্ব দলিল দাতা হতে বিলুপ্ত হয়ে দলিল গ্রহিতাতে অর্থাৎ খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো। দলিলদাতা ময় ওয়ারিশানক্রমে উক্ত জমি হতে নিঃস্বত্ববান হলেন।

২) দানপত্র দলিল
যে কোন সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন। এই দানপত্র দলিলে শর্তবিহীন অবস্থায় সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদানের দান করতে হবে। স্বত্ব সম্পন্ধে দাতার কোন প্রকার দাবী থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না।

৩) হেবা দলিল
মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা অর্থাৎ দানপত্র দলিল, এই দলিল কোনকিছুর বিনিময়ে নয়, কেবলমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করা হয়। কিন্তু এই হেবা সর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়, কট রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সকল ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে। স্বত্ব সম্বন্ধে দাতার কোনরূপ দাবী থাকলে সেই দান বা হেবা শুদ্ধ হবে না এবং তা যে কোন সময় বাতিলযোগ্য। এরূপ দানপত্রে দাতার কোন স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।

৪) হেবা বিল এওয়াজ
এই হেবা বিল এওয়াজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল এই দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয় বটে। কিন্তু ইহা কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে, যেমন- পবিত্র কোরআন, জায়নামাজ, তছবিহ, মোহরানার টাকা, এমন কি যে কোন জিনিষের বিনিময়েও হতে পারে, যেমন আংটি ইত্যাদি। এই হেবা বিল এওয়াজ দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহিতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল প্রকার ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং দাতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহিতাতে অর্পিত হবে। দাতার স্বার্থে কোন প্রকার স্বত্ব দাতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না। এই হেবা বিল এওয়াজ অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে। এই হেবা বিল এওয়াজ যদি টাকা বিনিময়ে হয় এবং ক্রমিক ওয়ারিশী সূত্রে আগে পরে তিন ধাপের পরের ব্যক্তিকে বা তৃতীয় ব্যক্তিকে হেবা বিল এওয়াজ মুলে দান করে থাকে তা হলে শরীক কর্তৃক জানার তারিখ হতে ৪ মাসের মধ্যে প্রিয়েমশান করতে পারে।

৫) এওয়াজ দলিল
যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সহিত তাহাদের লপ্ত ও সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন অর্থাৎ পরস্পর এওয়াজ পরিবর্তন সরতে পারেন। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে।
এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হলো: ক এর জমি খ এর বাড়ীর নিকট এবং খ এর জমি ক এর বাড়ীর নিকট। উভয়ের জমিই উভয়ের বেলপ্ত। কাজেই ক তার জমি খ কে এবং তার জমি ক কে দিয়ে উভয়ে একটি দলিল সম্পাদন করে রেজিষ্টারী করে নিল। একেই এওয়াজ পরিবর্তন দলিল বলে। এই দলিলের কেহ প্রিয়েমশান করতে পারে না।

৬) বন্টনমানা দলিল
শরিকগণের মধ্যে সম্পত্তি ক্রমে নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের বাবদ যে দলিল করতে হয় তাকে বন্টননামা দলিল বলে। একই সম্পত্তিতে মালিক একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের, যথা- উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক ও কোন শরিক হতে খরিদ সূত্রে শরিক। ইংরেজীতে বলা হয় কো-শেয়ারার বাই ইনহেরিটেন্স এন্ড কো-শেয়ারার বাই পারচেজ। বন্টননামা দলিল করবার সময় সকল শরিকগণ দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে ও দস্তখত করে বন্টননামা দলিল করতে হবে। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা। বন্টননামা দলিল রেজিষ্টারী করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বন্টন করে সকল পক্ষগণ যদি বন্টননামা দলিলে দস্তখত করে থাকেন তা হলেও বন্টননামা কার্যকরী হতে পারে। যদি শরিকগণ আপোষ মতে বন্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।

৭) অছিয়তনামা দলিল
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি কাউকে বা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অছিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সকলকে না দিয়ে যদি একজনকে বা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তাহার উত্তরাধিকারীগণ দাবী উত্থাপন করেন তাহলে যাকে সম্পত্তি অছিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাবে এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারী দের মধ্যে সকলেই হবেন।

৮) উইল দলিল
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন। যিনি উইল করলেন তিনি জীবিত কালে একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল ঐটাই কার্যকরী হবে।

৯) নাদাবী দলিল
কোন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তিতে তার স্বত্ত্বাধিকার নাই মর্মে অথবা স্বত্ত্বাধিকার ত্যাগ করছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন। এরূপ দলিলকে নাদাবী দলিল বলে।
#

21/08/2023

২১ শে আগস্ট শেখ হা‌সিনাসহ আওয়ামী‌ নেতা‌দের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষদ, বগুড়া"র উ‌দ্যেগে প্রতিবাদ সমা‌বেশ।

জমি ক্রয় এবং রেজিষ্ট্রেশনের সময় যে বিষয় লক্ষ্য  করা আবশ্যকঃ* জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাত্‍ খতিয়ান ও নকশা যাচাই ক...
21/08/2023

জমি ক্রয় এবং রেজিষ্ট্রেশনের সময় যে বিষয় লক্ষ্য করা আবশ্যকঃ
* জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাত্‍ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করে নিতে হবে।
* জমির তফসিল অর্থাত্‍ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ যাচাই করে নিতে হবে।
* জমি ক্রয় করার পূর্বে উক্ত জমির সি.এস রেকর্ড, এস.এ রেকর্ড; আর.এস রেকর্ড এবং মাঠ পর্চাগুলি ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
* বিক্রেতা যদি জমিটির মালিক ক্রয় সূত্রে হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্রয়ের দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা সঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
* জমির বিক্রেতা উত্তরাধিকারসূত্রে জমিটি পেয়ে থাকলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ানে তার নাম আছে কিনা তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। যদি সর্বশেষ খতিয়ানে বিক্রেতার নাম না থাকে তাহলে তিনি যার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে জমিটি পেয়েছেন তা মূল মালিকের সংঙ্গে বিক্রেতার নামের যোগসূত্র কিংবা রক্তের সম্পর্ক আছে কিনা বিষয়টি ভালোভাবে দেখতে হবে।
* জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার নিকট রক্ষিত মাঠ পর্চা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। উল্লেখ্য যে, যদি মাঠ পর্চার মন্তব্য কলামে কিছু লিখা থাকে যেমনঃ তাহলে বুঝতে হবে উক্ত খতিয়ানের বিরুদ্ধে তসদিক বা সত্যায়ন বা শুদ্ধতা বা Attestation পর্যায়ে আপত্তি রয়েছে, সেক্ষেত্রে জমি ক্রয়ের আগে জরিপ অফিসে/ক্যাম্পে গিয়ে জমিটির সর্বশেষ অবস্থা জেনে নিতে হবে। তবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রেতার শরিকদের সঙ্গে জমি বিক্রেতার সম্পত্তি ভাগাভাগির বণ্টন নামা বা ফারায়েজ দেখে নিতে হবে।
* জমি বিক্রেতার নিকট থেকে সংগৃহীত দলিল, বায়না দলিল, খতিয়ান, মাঠ পর্চা ইত্যাদি কাগজ পত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে তলবকারী বা স্বত্বলিপি রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই করে নিতে হবে।
* সর্বশেষ নামজারী মাঠ পর্চা, ডিসিআর, খাজনার দাখিলা বা রশিদ যাচাই করে দেখতে হবে। জমির খাজনা বকেয়া থাকলে এবং বকেয়া খাজনা সহ জমি ক্রয় করলে বকেয়া খাজনা পরিশোধের দায়-দায়িত্ব ক্রেতাকেই নিতে হবে।
* ক্রেতা যে জমিটি ক্রয় করতে যাচ্ছে সেই জমিটি সার্টিফিকেট মকদ্দমা ভুক্ত কিনা, কিংবা জমিটি নিলাম হয়েছে কিনা তা তহসীল অফিস/উপজেলা ভূমি অফিস হতে জেনে নিতে হবে। তবে অবশ্যই ক্রেতাকে মনে রাখতে হবে যে, ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা/দাবী আদায় আইনের ৭ ধারায় বলা আছে সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত সম্পত্তি বিক্রয় যোগ্য নয়।
* বিবেচ্য জমিটি খাস, পরিত্যক্ত/অর্পিত, অধিগ্রহণকৃত বা অধিগ্রহণের জন্য নোটিশকৃত কিনা তা তহসিল অফিস বা উপজেলা ভূমি অফিস বা জেলা প্রশাসক (ডি.সি অফিস) এর কার্যালয়ের L.A (এল.এ) শাখা থেকে জেনে নিতে হবে।
* ক্রেতা যে জমিটি কিনতে যাচ্ছে সেই জমিটি নিয়ে কোনো আদালতে মামলা রুজু আছে কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। তবে মামলাভুক্ত কোনো জমি ক্রয় করা উচিত নয়।
* বিক্রেতা তার জমির নকশা দেখিয়ে ক্রেতার নিকট জমি বিক্রয় করতে চাইতে পারে (যেমনঃ বিভিন্ন প্রকল্পের জমি নকশা/ছবির বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি হয়) সেক্ষেত্রে ক্রেতাকে উক্ত নকশার সাথে সঠিকভাবে মিল আছে কিনা বিক্রেতার দখল ও মালিকানা আছে কিনা তা সরেজমিনে গিয়ে দতন্ত করে আসতে হবে।
* যে জমিটি বিক্রি হতে যাচ্ছে সেই জমিটি ঋণের দায়ে ব্যাংকে দায়বদ্ধ কিনা সেই বিষয়টি খোঁজ নিতে হবে।
* প্রস্তাবিত জমিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কিনা সেই বিষয়টিও সরেজমিনে তদন্ত করে জেনে নিয়ে জমি ক্রয় করতে হবে।

14/08/2023

১৫ আগ‌স্ট জাতীয় শোক দিবস উপল‌ক্ষে অদ‌্য ১৪ই আগস্ট শোক র‌্যালী অনু‌ষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষদ বগুড়া এর আয়োজ‌নে উক্ত র‌্যা‌লি জজ কোর্ট গেট থে‌কে শুর হ‌য়ে শহ‌রের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদ‌ক্ষিন ক‌রে পুনরায় জজ কো‌র্টের গে‌টে এ‌সে এক সং‌ক্ষিপ্ত বক্ত‌ব‌্যর ম‌ধে‌্য দি‌য়ে শেষ হয় বক্তব‌্য দেন ‌ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষ‌দের সা‌বেক সভাপ‌তি এড, আব্দল ম‌তিন পি‌পি ও সভাপ‌তি বগুড়া বার স‌মি‌তি, এড খোদাবকস তালুকদার, এড, লাই‌জিন আরা লিনা এড স্বপ্না বেগম । উক্ত অনুষ্ঠান প‌রিচালনা ক‌রেন এড, ন‌রেশ মূখার্জী স্পেশাল পি‌পি নারী ও‌ শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন‌্যাল ১ বগুড়া।

16/06/2023

বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

প্রথমেই অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, বর্তমানে প্রবাস থেকে তালাক দেওয়ার কোন উপায় নাই বললেই চলে। কয়েক বছর পূর্বে যদিও প্রবাস থেকে অনেকে তালাক দিতে পারতো কিন্তু বিভিন্ন আইনি সমস্যা দেখা যাওয়া বর্তমানে প্রবাস থেকে তালাক দেওয়া বন্ধ আছে। প্রবাস থেকে হয়ত আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাকের ঘোষণা দিতে পারবেন, কিন্তু তালাকনামা নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে থাকা কাজীর ভলিউমে স্বাক্ষর দিতে হবে । মোট কথা, প্রবাসে থাকা অবস্থাই আপনি তালাকের পুরো পক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন না । তালাকের প্রক্রিয়া গুলো আইনসম্মত উপায়ে করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ১ দিনের জন্য হলেও দেশে থাকতে হবে। এখানে একটি কথা বলে রাখি, তালাক দাতা কে হয় তালাদ প্রাদনের দিন অথবা তালাক ঘোষণা দেওয়ার ৯০ দিন পরে যখন তালাকের মেয়াদ পূর্ণ হবে, তখন তালাকনামা কাজীর থেকে উত্তোলনের জন্য তাকে অবশ্যই বাংলাদেশে থাকতে হবে। তবে সব থেকে উত্তম হয়, তালাক ঘোষণা দেওয়ার সময় তালাক দাতার বাংলাদেশে থাকা। তো চলুন এখন আমি আপনাদের দেখাচ্ছি কিভাবে আইন সম্মত উপায়ে একজন প্রবাসী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে। এই জন্য মতিনকে (ছদ্মনাম) অন্তত ১ দিনের জন্য হলেও বাংলাদেশে আসতে হবে। বাংলাদেশে এসে মতিনকে কাজী অথবা একজন আইনজীবীর কাছে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে মতিনকে তার স্ত্রীকে তালাক প্রাদানের ঘোষণা দিতে হবে এবং যাবতীয় কার্যক্রম গুলো সম্পাদন করতে হবে। একই সাথে উক্ত তালাকের ঘোষণার ৭ ধারা নোটিশ তার স্ত্রীর বর্তমান ঠিকানায় এবং স্ত্রী যে এলাকাতে স্থায়ীভাবে থাকে উক্ত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে পৃথক দুটি নোটিশ পাঠাতে হবে অর্থাৎ এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন যে কথাটি আপনাদের জন্য বলবো তা হল, ল তালাকের ঘোষণা দেওয়ার দিন আপনারা অবশ্যই কাজীর কাছে থাকা তালাকের ভলিউমে আপনার স্বাক্ষর এবং টিপসই দিয়ে দিবেন। এতে করে ৯০ দিন পরে যখন তালাক সম্পর্ন হবে তখন তালাক নামা কাজী আপনার মনোনিত প্রতিনিধিকে কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দিতে পারবেন। অর্থাৎ এখানে আরেকটি কাজ করবেন তা হল তালাকের ৭ ধারা নোটিশের সাথে আপনি যদি ৫০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে হলফনামা করেন তবে উক্ত হলফনামায় এটা উল্লেখ করবেন যে পরিষদ থেকে যখন উক্ত তালাকের মধ্যস্থতার জন্য স্বামী এবং স্ত্রী উভয় পক্ষকে আমন্ত্রন জানাবে, তখন আপনার অবর্তমানে আপনার প্রতিনিধি হিসাবে কে উক্ত মধ্যস্ততায় উপস্থিত থাকবে? এছাড়া উক্ত ৭ ধারা নোটিশের সাথে আপনি যে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন, তার প্রমান স্বরূপ পাসপোর্টের একটি ফটোকপিও দিয়ে দিতে পারেন। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি, একজন ব্যক্তি তালাক দেশের যেকোন স্থান থেকেই দিতে পারবেন। মনে করুন, আপনারা বিবাহ করেছেন রাজশাহীতে এবং আপনার স্ত্রী বর্তমানে থাকেও রাজশাহীতে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক ঢাকা থেকে দিতে পারবেন । তালাকের কাজ গুলো ১ দিনের মধ্যেই সম্পাদন করে আপনি চাইলে আবার বিদেশে চলে যেতে পারেন। যাই হোক, মতিনের তালাকের ৭ ধারা নোটিশটি পাঠানোর দিন থেকে ১০০ দিন পূর্ন হবার পরে মতিনের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে পাঠাতে হবে। সেখানে গিয়ে লিখিত আবেদন করে তালাকটি কার্যকর হয়েছে এই মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আসতে হবে। এবার উক্ত প্রত্যয়ন পত্রটি নিয়ে মতিনের প্রতিনিধিকে যেতে হবে যে কাজীর মাধ্যমে তালাকটি দেওয়া হয়েছে উক্ত কাজীর কাছে সেখানে গিয়ে কাজীর থেকে তালাক নামা নিয়ে আসতে হবে। এভাবে সম্পাদন হয় প্রবাসে থাকা একজন ব্যক্তির তালাকের পুরো প্রক্রিয়া।

এ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত

16/06/2023

======= ডেথ রেফারেন্স শুনানি চেকলিস্ট =======

::: ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে যে সকল কাগজপত্র দেখতে হবে তার চেকলিস্ট :::

(০১) এজাহার।

(ক) এজাহার নামীয় আসামী।
(খ) সাক্ষীদের সাক্ষ্য হতে আগত আসামী।
(গ) আসামীর দোষস্বীকারোক্তি থেকে আগত আসামী।
(ঘ) ঘটনার তারিখ।
(ঙ) ঘটনার সময়।
(চ) ঘটনাস্থল।
(ছ) আসামীগণ ও আসামীদের পরিচয়।
(জ) ভিকটিমবৃন্দ ও ভিকটিমদের পরিচয়।
(ঝ) সাক্ষীবৃন্দ ও সাক্ষীদের পরিচয়।
(ঞ) ভিকটিমদের আঘাতের বিবরণ।
(ট) ভিকটিমদের আঘাত সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সার্টিফিকেট।
(ঠ) ভিকটিমদের আঘাত যে সকল অস্ত্র দ্বারা সংঘটিত হয়েছে।
(ড) সাক্ষীবৃন্দ:-
(ড-১) চাক্ষুষ সাক্ষী।
(ড-২) জনশ্রুতি সাক্ষী।
(ড-৩) পারিপার্শিক সাক্ষী।

(০২) পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর গৃহীত সাক্ষ্য।

(০৩) প্রস্তুতকৃত খসড়া মানচিত্র ও অন্যান্য:

(ক) খসড়া মানচিত্র।
(খ) সূচিপত্র।
(গ) সূচীপত্রের ব্যাখ্যা।

(০৪) জব্দ তালিকা:

(ক) অপরাধ সংশ্লিট আলামত বিষয়ে জব্দ তালিকা।
(খ) ঘটনাস্থলে আসামির উপস্থিতি সংশ্লিষ্ট আলামতের জব্দ তালিকা।
(গ) ভিকটিমের দৈহিক আলামত সংশ্লিষ্ট জব্দ তালিকা।

(০৫) সনাক্তকরণ মহড়া প্রতিবেদন:

(ক) আসামির সনাক্তকরণ মহড়া প্রতিবেদন।
(খ) আলামত সনাক্তকরণ মহড়া।

(০৬) আসামির দোষস্বীকারোক্তি:

(ক) বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গৃহীত দোষস্বীকারোক্তি।
(খ) তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যতা বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন।
(গ) আসামির দোষস্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন।
(ঘ) পুলিশ কর্তৃক ফোকাবি ১৬১ ধারায় গৃহীত আসামির বক্তব্য।

(০৭) ভিকটিমদের আঘাত বিষয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট।

(০৮) মৃত ভিকটিম বিষয়ে প্রতিবেদন:-

(ক) মৃত ভিকটিমের সুরতহাল প্রতিবেদন।
(খ) মৃত ভিকটিমের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন।
(গ) মৃত ভিকটিমের ডিএনএ প্রতিবেদন।
(ঘ) মৃত ভিক্টিমের ভিসেরা প্রতিবেদন।

(০৯) মারণাস্ত্রের উপর আসামির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিষয়ক ফরেনসিক প্রতিবেদন।

(১০) উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র এর ব্যালিস্টিক প্রতিবেদন।

(১১) ডিএনএ প্রতিবেদন:

(ক) মৃত ব্যাক্তির ডিএনএ প্রতিবেদন।
(খ) আসামির ডিএনএ প্রতিবেদন।

(১২) মৃত ভিকটিমদের বিষয়ে কিছু বিষয়:

(ক) মৃত ভিকটিমের মৃত্যুকালীন ঘোষণা আছে কিনা?
(খ) মৃত ভিকটিম নারী হলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা?
(গ) মৃত ভিকটিম নারী হলে ধর্ষণ হত্যার পূর্বে না পরে হয়েছে?
(ঘ) ধর্ষণ বিষয়ে কোন মেডিকেল মতামত কি?
(ঙ) মৃত ভিকটিম নারী হলে গর্ভবতী ছিলেন কিনা?
(চ) মৃত ভিকটিম হত্যার সম্ভবনা বিষয়ে মৃত্যুর পূর্ব জিডি করেছিলেন কিনা?
(ছ) মৃত ভিকটিমের প্রাণহানি ঘটতে পারে এইরূপ শারীরিক রোগ ছিল কিনা?
(জ) মৃত ভিকটিম আত্মঘাতী হতে পারে এইরূপ মানসিক রোগ ছিল কিনা?
(ঝ) মৃত ভিকটিমের সাথে আসামীর পূর্ব পরিচয় ও পূর্ব শত্রুতা ছিল কিনা?

(১৩) অপরাধের প্রেরণা (Motive):

(ক) ব্যাবসায়িক বিরোধ।
(খ) প্রেম অতঃপর প্রত্যাখ্যান।
(গ) আর্থিক লেনদেন বিষয়ে বিরোধ।
(ঘ) সম্পত্তির দাবি নিয়ে বিরোধ।
(ঙ) অপরাধমূলক প্রবণতা (Criminal Propensity)।
(চ) বিভিন্ন কারণে শত্রুভাবাপন্ন। ইত্যাদি

(১৪) আসামির অপরাধমূলক ইতিহাস:

(ক) আসামির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সাজা হয়েছে তার রেকর্ড।
(খ) আসামির বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে তার রেকর্ড।

(১৫) তদন্ত প্রতিবেদন।

(১৪) রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য সমূহ।

(১৫) বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক আসামিদের পরীক্ষার কাগজ।

(১৬) বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক পরীক্ষার জবাবে আসামির সাক্ষ্য।

(১৭) মামলায় উপস্থাপিত সাক্ষ্য :

(ক) রাষ্ট্রপক্ষে দাখিলকৃত সাক্ষ্য সমূহ।
(খ) আসামিপক্ষে দাখিলকৃত সাক্ষ্য সমূহ।

(১৮) সাক্ষ্য তালিকা:

(ক) রাষ্ট্রপক্ষে দাখিলকৃত সাক্ষ্য সমূহের সাক্ষ্যতালিকা।
(খ) আসামিপক্ষে দাখিলকৃত সাক্ষ্য সমূহের সাক্ষ্যতালিকা।

(১৯) লিখিত যুক্তিতর্ক:

(ক) রাষ্ট্র পক্ষে লিখিত যুক্তিতর্ক।
(খ) আসামি পক্ষে লিখিত যুক্তিতর্ক।

(২০) বিজ্ঞ আদালত সমূহের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ আদেশ:

(ক) অপরাধ আমলে গ্রহণ করার আদেশ।
(খ) চার্জ গঠন করার আদেশ।
(গ) সাক্ষ্য শুরুর আদেশ।
(ঘ) সাক্ষ্য সমাপ্তির আদেশ।
(ঙ) আসামিকে বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক পরীক্ষা করার আদেশ।

(২১) রায় ও সাজা:
(ক) কোন আইনের কোন ধারা দণ্ড প্রদান করা হয়েছে?
(খ) মৃত্যু দণ্ড প্রদান করা হয়েছে কিনা?
(গ) মৃত্যু দণ্ড প্রাপ্তকে আর্থিক দণ্ড প্রদান করা হয়েছে কিনা?
(ঘ) মৃত্যু দণ্ড প্রদান না করা হলে কত বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে?
(ঙ) কারাদণ্ড প্রাপ্তকে আর্থিক দণ্ড দেয়া হয়েছে কিনা?
(চ) দণ্ডিতদেড় বিষয়ে বিজ্ঞ বিচারকের কোন পর্যবেক্ষণ আছে কিনা?

জমি দলিলের সময় খেয়াল রাখুন:১। দলিল দাতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র ও রেকর্ডের সাথে মিল আছে কিনা। ২। দলিলে উল্লেখিত শ্রেণি রেক...
19/05/2023

জমি দলিলের সময় খেয়াল রাখুন:

১। দলিল দাতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র ও রেকর্ডের সাথে মিল আছে কিনা।

২। দলিলে উল্লেখিত শ্রেণি রেকর্ডীয় শ্রেণির সাথে মিল আছে কিনা। অনেক সময় দলিল লেখকেরা দলিলের খরচ বাচানোর জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদন করে। সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৩। দাগ ও খতিয়ান নম্বর সঠিক আছে কিনা।

৪। বিক্রেতার প্রাপ্য হিস্যা সঠিক আছে কিনা

৫। ওয়ারিশ সূত্রে জমি ক্রয়ের সময় বন্টন নাম দলিল করা হয়েছে কিনা।

৬। বিক্রিতব্য জমি কোন ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ কিনা। এক্ষেত্রে জমি ক্রয়ের পূর্বে বায়না দলিল করে জমিতে নোটিশ টানানো ও পত্রিকায় প্রচার করা যেতে পারে।

৭। দলিলে ভোগদখলীয় দাগ সুস্পষ্ট করা হয়েছে কিনা।

সচেতন হোন। ঝামেলা এড়াতে নিজে দলিল পড়ে দলিল সম্পাদন করুন।

04/04/2023

আসামির সঙ্গে যোগাযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪ আইন কর্মকর্তা প্রত্যাহার

দিনাজপুর: আসামির সঙ্গে যোগাযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে দিনাজপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি এবং তিনজন এপিপিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পাবলিক প্রসিকিউটর রবিউল ইসলাম (রবি) স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

ওই চিঠিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর- সলিসিটির/জিপি-পিপি দিনাজপুর কার্যালয়ের স্মারক নম্বর ০৫.৫৫.২৭০০.০০৮.০৪.০০১.২০-১৮৮(৭০) এর কথা উল্লেখ করা হয়।

প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৪ এর অতিরিক্ত পিপি দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৪ এর এপিপি মেহেরুল ইসলাম, অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি হাসনে ইমাম নয়ন এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আদালত-৩ এর এপিপি রনি চন্দ্র রায়।

পাবলিক প্রসিকিউটর রবিউল ইসলাম (রবি) স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত কোর্টে উপস্থিত থেকে মামলা পরিচালনা না করা, রাষ্ট্রপক্ষের স্বার্থ বাদ দিয়ে আসামির সঙ্গে যোগযোগ রেখে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করাসহ দল বিরোধী নানা কার্যক্রমে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট ও গুরুতর অভিযোগ থাকায় এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবলিক প্রসিকিউটর রবিউল ইসলাম (রবি) বলেন, আগামী ৮ এপ্রিল জেলা আইনজীবী পরিষদর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একটি প্যানেল হয়েছে এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের একটি প্যানেল হয়েছে। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তহিদুল হক সরকার জেলা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি হয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের বিপক্ষে একটি প্যানেল দিয়েছেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আ ন ম হাবিবুল্লাকে সেক্রেটারি (সাধারণ সম্পাদক) করে এ প্যানেল দেওয়া হয়েছে। আমার এপিপি সঙ্গে সরকারি যারা আইন কর্মকর্তা আছেন, তাদের নিয়ে মিটিং করেছি। তাদের বলা হয়েছে, আপনারা সরকার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন। যদি আলাদা প্যানেল করতে হয়, তবে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তারা পদত্যাগ করেননি। এ মর্মে চারজনকে আমি দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছি।
এ বিষয়ে কথা হলে এপিপি মেহেরুল ইসলাম বলেন, আদালতে নিয়মিত উপস্থিত হই না বা রাষ্ট্রপক্ষের স্বার্থ বাদ দিয়ে আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিই, এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আসন্ন জেলা আইনজীবী পরিষদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় আমরা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের পক্ষে অবস্থান নেইনি। আমরা রাষ্ট্রের কাজ করি। দিনাজপুর আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবীদের উন্নয়নের জন্য আসন্ন নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তহিদুল হক সরকারের পক্ষে কাজ করেছি। তাই তারা এমন অভিযোগ করেছে।

এপিপি রনি চন্দ্র রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

অতিরিক্ত পিপি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমি যোগদান করিনি।

03/04/2023

বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না’, পুলিশ কর্মকর্তাকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল (২২) হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানাকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আদালতে বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না। একদম কারাগারে পাঠিয়ে দেব।’

সোমবার বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন

শুনানির শুরুতে হত্যা মামলা ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার মতো পুলিশ অফিসার দরকার। আপনি মাত্র ৪২ ঘণ্টায় হত্যা মামলা তদন্ত শেষ করলেন? এই সময়ের মধ্যে কখন সাক্ষী নিলেন, কখন ঘুমালেন, কখন খাওয়া-দাওয়া করলেন তা আমাদের দেখান। আর কতটি মামলা আপনি তদন্ত করেছেন, সেগুলো কত সময়ে শেষ করেছেন তার তালিকা দেন।

জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘এটি আমার প্রথম তদন্ত।’

এর পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, চার্জশিট দ্রুত দিলেও সমস্যা। আবার দেরি করে দিলেও সমস্যা।

আদালত বলেন, তা হলে আমরা একটা মক ট্রায়াল করি। কত দ্রুত চার্জশিট দিতে পারেন, সেটা আমরা দেখতে চাই।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সেটা দেখার এখতিয়ার আপনাদের আছে। একপর্যায়ে আদালত দাখিল করা নথিতে দেখতে পান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার মামলার একটি তদন্ত প্রতিবেদন রেফারেন্স হিসেবে নথিতে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আদালত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানাকে ভর্ৎসনা করে বলেন, কেন আপনি এটা দিলেন। আপনার কাছে তো রেফারেন্স চাওয়া হয়নি। বেশি স্মার্টনেস দেখাচ্ছেন। নিজেকে বেশি স্মার্ট মনে করেন? কোর্টের সঙ্গে বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না। একেবারে কারাগারে পাঠিয়ে দেব।

পরে আদালত এই মামলার শুনানি দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

গত ১৪ মার্চ মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুবেল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানাকে কেস ডকেটসহ আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। যুগান্তর

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন এৱ  মেয়েকে নিয়ে সাম্প্রতিক  ভিএম স্কুলের  ঘটনা  সম্পর্কে    লিখিত ব...
28/03/2023

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন এৱ মেয়েকে নিয়ে সাম্প্রতিক ভিএম স্কুলের ঘটনা সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য

অধস্থন  আদালত/ ট্রাইবুনাল হতে মামলার বিভিন্ন ডকুমেন্টের  সার্টিফাইড কপি  (জাবেদা নকল) ব্যতীত কোন ধরনের ফটোকপি সরবরাহ  না...
02/03/2023

অধস্থন আদালত/ ট্রাইবুনাল হতে মামলার বিভিন্ন ডকুমেন্টের সার্টিফাইড কপি (জাবেদা নকল) ব্যতীত কোন ধরনের ফটোকপি সরবরাহ না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ , মাননীয় প্রধান বিচারপতি

Address

Altafunnesa Play Ground Lane
Bogura

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bdlawnews24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

বিডি'ল'নিউজ২৪

বিডি'ল'নিউজ২৪ এ আপনাকে স্বাগতম। এটি একটি আইন বিষয়ক দৈনিক নিউজ পোর্টাল। আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিনের আইনের নিউজ সবার আ‌গে আপনাদের মাঝে পৌছে দেওয়া। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এখানে আইন কানুন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশিত হয়ে থাকে যা থেকে আপনারা আইন সম্পর্কে বিস্তারিত নিউজ জানতে পারবেন। এখানে সদা সত্য নিউজ প্রকাশিত হয়ে থাকে যা আমাদের অঙ্গীকার। সর্বশেষে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Visit: www.bdlawnews24.com

Nearby media companies