খামারকান্দি পুজা উদযাপন ও মন্দির সংঙ্কার কমিটি, খামারকান্দি, শেরপুর, বগুড়া।

  • Home
  • Bangladesh
  • Bogura
  • খামারকান্দি পুজা উদযাপন ও মন্দির সংঙ্কার কমিটি, খামারকান্দি, শেরপুর, বগুড়া।

খামারকান্দি পুজা উদযাপন ও মন্দির সংঙ্কার কমিটি, খামারকান্দি, শেরপুর, বগুড়া। খামারকান্দি পুজা উদযাপন ও মন্দির সংঙ?

Our page is video creator and religious organisations publish this status
খামারকান্দি পুজা উদযাপন মন্দির সংস্কার কমিটি,
খামারকান্দি, শেরপুর, বগুড়া।

একাদশী বার্তা ❇️ একাদশী বার্তা ❇️ একাদশী বার্তা আগামী ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩ ইং শনিবার৬ই পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দপবিত্র মোহ্মদা একা...
19/12/2023

একাদশী বার্তা ❇️ একাদশী বার্তা ❇️ একাদশী বার্তা

আগামী ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩ ইং শনিবার
৬ই পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
পবিত্র মোহ্মদা একাদশী
পারনঃ পরের দিন সকাল ০৬:৩৭ থেকে ০৬:৫৬ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময় এবং সকাল ০৬:১৩ থেকে ০৬:২৭ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময়।

ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ যুধিষ্ঠির বললেন- হে বিষ্ণো! আপনাকে আমি বন্দনা করি। আপনি ত্রিলোকের সুখদায়ক, বিশ্বেশ্বর, বিশ্বপালক ও পুরুষোত্তম। আমার একটি সংশয় আছে। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের যে একাদশী তার নাম কি, বিধিই বা কি ও কোন দেবতা এই একাদশীতে পূজিত হন, তা আমায় বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন – হে মহারাজ! আপনি উত্তম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, যার মাধ্যমে আপনার যশ চতুর্দিকে বিস্তৃত হবে। এখন এই একাদশীর কথা আমি বর্ণনা করছি যা শোনা মাত্রই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘মোক্ষদা’ নামে পরিচিত। সর্বপাপনাশিনী ও ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠা এই একাদশীর দেবতা শ্রীদামোদর। তুলসী, তুলসী মঞ্জরী, ধূপ, দীপ, ইত্যাদি উপচারে শাস্ত্রবিধি অনুসারে শ্রীদামোদরের পূজা করতে হবে। পূর্ববর্ণিত বিধি অনুসারে দশমী ও একাদশী পালন করতে হবে। এই উপবাস দিনে স্তবস্তুতি, নৃত্য-গীত আদি সহ রাত্রিজাগরণ করা কর্তব্য। হে মহারাজ! প্রসঙ্গক্রমে একটি অলৌকিক কাহিনী আমি বলছি। মনোযোগ দিয়ে এই ইতিহাস শ্রবণ মাত্রই সর্বপাপ ক্ষয় হয়। যে পিতৃপুরুষেরা নিজ নিজ পাপে অধ:যোনি প্রাপ্ত হয়েছে, এই ব্রত পালনের পুণ্যফল বিন্দু মাত্র তাদেরকে দান করলে তারাও মুক্তিলাভের যোগ্য হন।

কোন এক সময় মনোরম চম্পক নগরে বৈখানস নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন সমস্ত বৈষ্ণব সদ্‌গুণে বিভূষিত। প্রজাদের তিনি পুত্রের মতো পালন করতেন। তাঁর রাজ্যে বহু বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ বাস করতেন। রাজ্যের সকলেই ছিল বেশ সমৃদ্ধশালী। একবার রাজা স্বপ্নে দেখলেন যে তার পিতা নরকে পতিত হয়েছেন। তা দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হলেন। পরদিন ব্রাহ্মণদের ডেকে বলতে লাগলেন- হে ব্রাহ্মণগণ। গতরাত্রিতে স্বপ্নে নরকযাতনায় পিতাকে কষ্ট পেতে দেখে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে। তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বলতে লাগলেন- ‘হে পুত্র, তুমি আমাকে নরকসমুদ্র থেকে উদ্ধার কর।’ তাঁর সেই অবস্থা দেখে আমার অন্তরে সুখ নেই। আমার এই বিশাল রাজ্য, স্ত্রী-পুত্র, কিছুতেই আমি শান্তি পাচ্ছি না। কি করি, কোথায় যাই কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমার পূর্বপুরুষেরা মুক্তিলাভ করতে পারেন এমন কোন পুণ্যব্রত, তপস্যা ও যোগের কথা আমাকে উপদেশ করুন। আমি তা অনুষ্ঠান করব। আমার মতো পুত্র বর্তমান থাকা সত্ত্বেও যদি পিতামাতা পূর্বপরুষেরা যদি নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে থাকেন, তবে সে পুত্রের কি প্রয়োজন?

ব্রাহ্মণগণ বললেন- হে মহারাজ! আপনার রাজ্যের কাছেই মহর্ষি পর্বত মুনির আশ্রম রয়েছে। তিনি ত্রিকালজ্ঞ। তাঁর কাছে আপনার মুক্তির উপায় জানতে পারবেন। ব্রাহ্মণদের উপদেশ শ্রবণ করে মহাত্মা বৈখানস তাঁদের সঙ্গে নিয়ে সেই পর্বত মুনির আশ্রমে গমন করলেন। তাঁরা দুর থেকে ঋষিবরকে সষ্টাঙ্গ প্রণাম করে তার কাছে গেলেন। মুনিবর রাজার কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন। রাজা বললেন- হে প্রভু! আপনার কৃপায় আমার সবই কুশল। তবে আমি একদিন স্বপ্নযোগে পিতার নরকযন্ত্রণা ও কাতর আর্তনাদ্‌ শুনে অত্যন্ত দু:খিত ও চিন্তাগ্রস্থ হয়েছি। হে ঋষিবর। কোন পুণ্যের ফলে তিনি সেই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবেন, তার উপায় জানতেই আপনার শরণাগত হয়েছি।

রাজার কথা শুনে পর্বত মুনি কিছুক্ষণ ধ্যানস্থ হয়ে বললেন- হে মহারাজ! পূর্বজন্মে তোমার পিতা অত্যন্ত কামাচারী হওয়ায় তার এরকম অধোগতি লাভ হয়েছে। এখন এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় বর্ণনা করছি। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের মোক্ষদা একাদশী পালন করে সেই পুণ্যফল পিতাকে প্রদান কর। সেই পুণ্য প্রভাবে তোমার পিতার মুক্তি লাভ হবে। মুনির কথা শোনার পর রাজা নিজগৃহে ফিরে এলেন। সেই পবিত্র তিথির আবির্ভাবে তিনি স্ত্রী-পুত্রাদিসহ যথাবিধি মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করলেন। ব্রতের পুণ্যফল পিতার উদ্দেশ্যে প্রদাণ করলেন। ঐ পুণ্যফল দানের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি হতে লাগল। ‘হে পুত্র তোমার মঙ্গল হোক।’ এই বলতে বলতে বৈখানস রাজার পিতা নরক থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গে গমন করলেন।

হে মহারাজ যুধিষ্ঠির! যে ব্যাক্তি এই মঙ্গলদায়িনী মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করে, তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ করে। এই ব্রতের পুণ্যসংখ্যা আমিও জানি না। চিন্তমণির মতো এই ব্রতটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই ব্রত কথা যিনি পাঠ করেন এবং যিনি শ্রবণ করেন, উভয়েই বাজপেয় যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হন।শ্রীকৃষ্ণ বললেন – হে মহারাজ! আপনি উত্তম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, যার মাধ্যমে আপনার যশ চতুর্দিকে বিস্তৃত হবে। এখন এই একাদশীর কথা আমি বর্ণনা করছি যা শোনা মাত্রই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘মোক্ষদা’ নামে পরিচিত। সর্বপাপনাশিনী ও ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠা এই একাদশীর দেবতা শ্রীদামোদর। তুলসী, তুলসী মঞ্জরী, ধূপ, দীপ, ইত্যাদি উপচারে শাস্ত্রবিধি অনুসারে শ্রীদামোদরের পূজা করতে হবে। পূর্ববর্ণিত বিধি অনুসারে দশমী ও একাদশী পালন করতে হবে। এই উপবাস দিনে স্তবস্তুতি, নৃত্য-গীত আদি সহ রাত্রিজাগরণ করা কর্তব্য। হে মহারাজ! প্রসঙ্গক্রমে একটি অলৌকিক কাহিনী আমি বলছি। মনোযোগ দিয়ে এই ইতিহাস শ্রবণ মাত্রই সর্বপাপ ক্ষয় হয়। যে পিতৃপুরুষেরা নিজ নিজ পাপে অধ:যোনি প্রাপ্ত হয়েছে, এই ব্রত পালনের পুণ্যফল বিন্দু মাত্র তাদেরকে দান করলে তারাও মুক্তিলাভের যোগ্য হন।

কোন এক সময় মনোরম চম্পক নগরে বৈখানস নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন সমস্ত বৈষ্ণব সদ্‌গুণে বিভূষিত। প্রজাদের তিনি পুত্রের মতো পালন করতেন। তাঁর রাজ্যে বহু বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ বাস করতেন। রাজ্যের সকলেই ছিল বেশ সমৃদ্ধশালী। একবার রাজা স্বপ্নে দেখলেন যে তার পিতা নরকে পতিত হয়েছেন। তা দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হলেন। পরদিন ব্রাহ্মণদের ডেকে বলতে লাগলেন- হে ব্রাহ্মণগণ। গতরাত্রিতে স্বপ্নে নরকযাতনায় পিতাকে কষ্ট পেতে দেখে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে। তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বলতে লাগলেন- ‘হে পুত্র, তুমি আমাকে নরকসমুদ্র থেকে উদ্ধার কর।’ তাঁর সেই অবস্থা দেখে আমার অন্তরে সুখ নেই। আমার এই বিশাল রাজ্য, স্ত্রী-পুত্র, কিছুতেই আমি শান্তি পাচ্ছি না। কি করি, কোথায় যাই কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমার পূর্বপুরুষেরা মুক্তিলাভ করতে পারেন এমন কোন পুণ্যব্রত, তপস্যা ও যোগের কথা আমাকে উপদেশ করুন। আমি তা অনুষ্ঠান করব। আমার মতো পুত্র বর্তমান থাকা সত্ত্বেও যদি পিতামাতা পূর্বপরুষেরা যদি নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে থাকেন, তবে সে পুত্রের কি প্রয়োজন?

ব্রাহ্মণগণ বললেন- হে মহারাজ! আপনার রাজ্যের কাছেই মহর্ষি পর্বত মুনির আশ্রম রয়েছে। তিনি ত্রিকালজ্ঞ। তাঁর কাছে আপনার মুক্তির উপায় জানতে পারবেন। ব্রাহ্মণদের উপদেশ শ্রবণ করে মহাত্মা বৈখানস তাঁদের সঙ্গে নিয়ে সেই পর্বত মুনির আশ্রমে গমন করলেন। তাঁরা দুর থেকে ঋষিবরকে সষ্টাঙ্গ প্রণাম করে তার কাছে গেলেন। মুনিবর রাজার কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন। রাজা বললেন- হে প্রভু! আপনার কৃপায় আমার সবই কুশল। তবে আমি একদিন স্বপ্নযোগে পিতার নরকযন্ত্রণা ও কাতর আর্তনাদ্‌ শুনে অত্যন্ত দু:খিত ও চিন্তাগ্রস্থ হয়েছি। হে ঋষিবর। কোন পুণ্যের ফলে তিনি সেই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবেন, তার উপায় জানতেই আপনার শরণাগত হয়েছি। রাজার কথা শুনে পর্বত মুনি কিছুক্ষণ ধ্যানস্থ হয়ে বললেন- হে মহারাজ! পূর্বজন্মে তোমার পিতা অত্যন্ত কামাচারী হওয়ায় তার এরকম অধোগতি লাভ হয়েছে। এখন এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় বর্ণনা করছি। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের মোক্ষদা একাদশী পালন করে সেই পুণ্যফল পিতাকে প্রদান কর। সেই পুণ্য প্রভাবে তোমার পিতার মুক্তি লাভ হবে। মুনির কথা শোনার পর রাজা নিজগৃহে ফিরে এলেন। সেই পবিত্র তিথির আবির্ভাবে তিনি স্ত্রী-পুত্রাদিসহ যথাবিধি মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করলেন। ব্রতের পুণ্যফল পিতার উদ্দেশ্যে প্রদাণ করলেন। ঐ পুণ্যফল দানের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি হতে লাগল। ‘হে পুত্র তোমার মঙ্গল হোক।’ এই বলতে বলতে বৈখানস রাজার পিতা নরক থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গে গমন করলেন। হে মহারাজ যুধিষ্ঠির! যে ব্যাক্তি এই মঙ্গলদায়িনী মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করে, তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ করে। এই ব্রতের পুণ্যসংখ্যা আমিও জানি না। চিন্তমণির মতো এই ব্রতটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই ব্রত কথা যিনি পাঠ করেন এবং যিনি শ্রবণ করেন, উভয়েই বাজপেয় যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হন।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

22/09/2023
04/09/2023

জন্মাষ্টমীতে কি কি করা যাবে না_ । জন্মাষ্টমী 2023 উপবাসের নিয়ম এবং করণীয় _janmashtaminiyomk

🌹🌻চাতুর্মাস্য ব্ৰত কথা...শ্রাবণ-ভাদ্র-আশ্বিন ও কার্তিক এ চারমাস শ্রীভগবান বিষ্ণু ক্ষীর সাগরে শ্বেতদ্বীপে অনন্ত শয্যায় ন...
08/07/2023

🌹🌻চাতুর্মাস্য ব্ৰত কথা...

শ্রাবণ-ভাদ্র-আশ্বিন ও কার্তিক এ চারমাস শ্রীভগবান বিষ্ণু ক্ষীর সাগরে শ্বেতদ্বীপে অনন্ত শয্যায় নিদ্রিত হন। বলা হয় শয়নী একাদশী (জগন্নাথ রথযাত্রার পর আষাঢ়ী শুক্লা একাদশী) তিথিতে ভগবান শয়ন গ্রহণ করেন। পার্শ্ব একাদশী (ভাদ্র শুক্লা একাদশী) তে পার্শ্ব পরিবর্তন করেন, এবং উত্থান একাদশী (কার্তিক শুক্লা একাদশী)তে উত্থিত হন।

বছরের এই চারি মাস প্রাকৃতিক কারণে মানুষের দেহ ও মনে রজো ও তমোগুণী প্রভাব অধিক দেখা যায়। অঘটন বেশী ঘটে। তাই কায়মনোবাক্যে সংযত থাকা বাঞ্ছনীয়। কোনও কোনও বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ভক্তগণ কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চাতুর্মাস্য ব্রত নিয়ম করেন। চতুর্মাসেষু কর্তব্যং কৃষ্ণভক্তি বিবৃদ্ধয়ে ॥

পুরাণে বলা হয়েছে....

যো বিনা নিয়মং মর্ত্যো ব্রতং বা জপ্যমেব বা। চাতুর্মাস্য নয়েন্ মূর্খো জীবন্নপি মৃতো হি সঃ ॥

যে ব্যক্তি নিয়ম, ব্রত বা জপ ব্যতীত চাতুর্মাস্য যাপন করে, সেই ব্যক্তি অজ্ঞ ও জীবন্মূত।

শ্রীব্রহ্মা নারদমুনিকে বলছেন, হে নারদ, চাতুর্মাস্য ব্রত ভক্তি সহকারে পালন করলে মানুষ পরমাগতি লাভ করার সুযোগ পাবে।

ব্রত নিয়মগুলি হলো :

১) বেশী বেশী করে হরিনাম জপ করতে হবে। যারা হরেকৃষ্ণমহামন্ত্র জপ করেন না, তাঁরা শুরু করে দেবেন। যারা নিয়মিত মন্ত্র জপ করেন, তাঁরা জপসংখ্যা বৃদ্ধি করবেন। কলিবদ্ধ জীবের সদ্গতি লাভের একমাত্র উপায় হরিনাম। আমাদের মনকে সুরক্ষা দান করে মন্ত্র হরিনাম।

২) প্রতিদিন গীতা-ভাগবত শ্রবণ বা পাঠ করতে হবে। ভগবানের কথা, ভক্তের কথা আলোচনাই আমাদের অসার হৃদয়ে আশা ও আনন্দ সঞ্চার করে থাকে। যারা ভগবৎ কথায় সময় দিতে পারে না, তারা আজেবাজে কথায় সময় পেয়ে বসে।

৩) তর্ক, গালগল্প এড়িয়ে চলতে হবে। কলিযুগের মানুষ আমরা তর্ক করতে, ঝগড়া বাধাতে, গালগল্পে খুবই উন্মুখ হয়ে থাকি। টিভি দেখা, নভেল পড়াও এর অন্তর্ভুক্ত। এসব অসৎসঙ্গ দোষ ছাড়া অন্য কিছু নয়।

৪) প্রত্যূষে স্নান সারতে হবে। ভক্তগণ তো ভোর চারটায় স্নান সেরে মঙ্গল আরতিতে যোগ দেন। যত্ন নেন কোনও দিন যেন ফাঁকি না যায়। মঙ্গলময় শ্রীহরির কৃপাকটাক্ষ লাভের উপযুক্ত ব্রাহ্মমুহূর্তে শুচিশুদ্ধ হয়ে জেগে থাকা বাঞ্ছনীয়।

🌹🌹৫) শ্রাবণে-- শাক,
ভাদ্রে --দই,
আশ্বিনে-- দুধ,
এবং কার্তিকে --মাষকলাই,
ডাল খাওয়া চলবে না। এই সময়ে এই দ্রব্যগুলি রোগ সৃষ্টি করে। মন বিক্ষিপ্ত করে।

স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে-
শ্রাবণে বর্জয়েৎ শাকং
দধি ভাদ্রপদে তথা।
দুগ্ধম্ আশ্বযুজে মাসি
কার্তিকে চামিষং ত্যজেৎ ॥

বিশেষতঃ, কার্তিক মাসে বেগুন, বরবটি, শিম আহার নিষিদ্ধ।

৬) শ্রীহরি অর্চন কিংবা শ্রীহরিভক্তিমূলক অন্য কোনও সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। সবসময় জানতে হবে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আচারে হোক, প্রচারে হোক যেকোনও সেবায় সবসময় সংযুক্ত থাকতে হবে, তাহলেই আমরা ভালো থাকবো।
এই চাতুর্মাস্য ব্রতের ব্রতকারীরা কেউ শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত, কেউ আষাঢ় মাসের গুরু পূর্ণিমা থেকে কার্তিক মাসের হৈমন্তী রাস পূর্ণিমা পর্যন্ত, আবার কেউ কর্কট সংক্রান্তি থেকে মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত- এইভাবে পালন করে থাকেন। মোটামুটি যে দিন শুরু করবেন তার চার মাস পরে সমাপন করবেন।

সাধারণত, মায়াপুর ইসকন ভক্তবৃন্দ গুরু পূর্ণিমা থেকে রাস পূর্ণিমা পর্যন্ত এই ব্রত পালন করে থাকেন।

কৃপা করে সবাই চাতুর্মাস্য ব্রত পালন করবেন...

হরে কৃষ্ণ

অগ্রীম_একাদশী_বার্তা 30 শে জুন 2023, 13 আষাঢ় 1430 বঙ্গাব্দ রোজ শুত্রুবার পবিত্র শয়ন একাদশী।পরদিন পারণের সময় সকাল 05:20 থ...
28/06/2023

অগ্রীম_একাদশী_বার্তা

30 শে জুন 2023, 13 আষাঢ় 1430 বঙ্গাব্দ রোজ শুত্রুবার পবিত্র শয়ন একাদশী।
পরদিন পারণের সময় সকাল 05:20 থেকে 09:41 এর মধ্যে (বাংলাদেশ সময়)

শয়ন একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন, হে কৃষ্ণ । আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি ? এর মহিমাই বা কি ? তা আমাকে কৃপা করে বলুন ।

শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ব্রহ্মা এই একাদশী সম্পর্কে দেবর্ষি নারদকে যা বলেছিলেন আমি সেই আশ্চর্যজনক কথা আপনাকে বলছি ।

শ্রীব্রহ্মা বললেন-হে নারদ ! এ সংসারে একাদশীর মত পবিত্র আর কোন ব্রত নেই । সকল পাপ বিনাশের জন্য বিষ্ণু ব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক । যে ব্যক্তি এই প্রকার সকল অভিষ্ট ফলদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে নরকগামী হতে হয় । আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের এই একাদশী 'শয়ন' নামে বিখ্যাত । শ্রীভগবান ঋষিকেশের জন্য এই ব্রত পালন করতে হয় । এই ব্রতের সম্বন্ধে এক মঙ্গলময় পৌরাণিক কাহিনী আছে । আমি এখন তা আপনার নিকট বলছি ।

বহু বছর পূর্বে সূর্যবংশে মান্ধাতা নামে একজন রাজর্ষি ছিলেন । তিনি ছিলেন সত্যপ্রতিজ্ঞ এবং প্রতাপশালী রাজা । প্রজাদেরকে তিনি নিজের সন্তানের মতাে প্রতিপালন করতেন । সেই রাজ্যে কোনরকম দুঃখ, রােগ-ব্যাধি, দুর্ভিক্ষ, খাদ্যাভাব অথবা কোন অন্যায় আচরণ ছিল না । এইভাবে বহুদিন অতিবাহিত হল । কিন্তু একসময় হঠাৎ দৈবদুর্বিপাকে ক্রমাগত তিনবছর সে রাজ্যে কোন বৃষ্টি হলো না । দুর্ভিক্ষের ফলে সেখানে দেবতাদের উপশ্যে দানমন্ত্রের 'স্বাহা’ ‘স্বধা' ইত্যাদি শব্দও বন্ধ হয়ে গেল । এমনকি বেদপাঠও ক্রমশ বন্ধ হল ।

তখন প্রজারা রাজার কাছে এসে বলতে লাগল মহারাজ দয়া করে আমাদের কথা শুনুন । শাস্ত্রে জলকে নার বলা হয় আর সেই জলে ভগবানের অয়ন অর্থাৎ নিবাস । তাই ভগবানের এক নাম নারায়ণ ।

মেঘরূপে ভগবান বিষ্ণু সর্বত্র বারিবর্ষণ করেন । সেই বৃষ্টি থেকে অন্ন এবং অন্ন খেয়ে প্রজাগণ জীবন ধারণ করেন । এখন সেই অন্নের অভাবে প্রজারা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে । অতএব হে মহারাজ আপনি এমন কোন উপায় অবলম্বন করুন যাতে আপনার রাজ্যের শান্তি এবং কল্যাণ সাধন হয় ।

রাজা মান্ধাতা বললেন, তােমরা ঠিকই বলেছ । অন্ন থেকে প্রজার উদ্ভব । অন্ন থেকেই প্রজার পালন । তাই অন্নের অভাবে প্রজারা বিনষ্ট হয় । আবার রাজার দোষেও রাজ্য নষ্ট হয় । আমি নিজের বুদ্ধিতে আমার নিজের কোন দোষ খুঁজে পাচ্ছি না । তবুও প্রজাদের কল্যাণের জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব ।

তারপর রাজা ব্রহ্মাকে প্রণাম করে সৈন্যসহ বনে গমন করলেন । সেখানে প্রধান প্রধান ঋষিদের আশ্রমে ভ্রমণ করলেন। এভাবে একদিন তিনি ব্রহ্মার পুত্র মহাতেজস্বী ঋষি অঙ্গিরার সাক্ষাৎ লাভ করলেন। তাকে দর্শনমাত্রই রাজা মহানন্দে ঋষির চরণ বন্দনা করলেন । মুনিবর তাকে আশীর্বাদ ও কুশল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন । রাজা তখন তার বনে আগমনের কারণ সবিস্তারে ঋষির কাছে জানালেন । ঋষি অঙ্গিরা কিছু সময় ধ্যানস্থ থাকার পর বলতে লাগলেন, হে রাজন !

আপনি আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের শয়ন নামে প্রসিদ্ধ একাদশী ব্রত পালন করুন । এই ব্রতের প্রভাবে নিশ্চয়ই রাজ্যে বৃষ্টি হবে । এই একাদশী সর্বসিদ্ধি দাত্রী এবং সর্ব উপদ্রব নাশকারিনী । হে রাজন ! প্রজা ও পরিবারবর্গ সহ আপনি এই ব্রত পালন করুন ।

মুনিবরের কথা শুনে রাজা নিজের প্রাসাদে ফিরে এলেন । আষাঢ় মাস উপস্থিত হলে রাজ্যের সকল প্রজা রাজার সাথে এই একাদশী - ব্রতের অনুষ্ঠান করলেন । ব্রত প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হল। কিছুকালের মধ্যেই অন্নাভাব দূর হল । ভগবান হৃষিকেশের কৃপায় প্রজাগণ সুখী হল ।

এ কারণে সুখ ও মুক্তি প্রদানকারী এই উত্তম ব্রত পালন করা সকলেরই অবশ্য কর্তব্য । ভবিষ্যপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ তথা নারদ-ব্রহ্মা সংবাদ রূপে শয়ন একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে ।

একাদশীর পারন মন্ত্র

অনেকেই হয়তো এই মন্ত্র জানেন না । আপনি কি জানেন ? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে আজকে জেনে নিন 👇👇

একাদশী পারন মন্ত্র :

”একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব ।

প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব ।।”

– এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে পারন করতে হয় ।

গীতা মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে-

”যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।

স্বপন জাগ্রৎ চলন তিষ্ঠন শত্রুভির্ন স হীয়তে।।”

অর্থাৎঃ শ্রী বিষ্ণুর পর্বদিনে, একাদশী ও জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতা পাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগে থাকুন বা যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা ।

একাদশী ব্রত আপনে করুন অন্যকেও উৎসাহিত করুন।

ভুল ত্রুটি ক্ষমা চোখে দেখবেন কারণ আমি এক অধম।

হরে কৃ্ষ্ণ হরে কৃ্ষ্ণ, কৃ্ষ্ণ কৃ্ষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে।।

09/04/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

‘বেদ’ কি- মতভেদ ও সার-সিদ্ধান্ত।‘বেদ’ কি? – এ সম্বন্ধে কতই মতভেদ দেখা যায়। বেদ কি- এই মুদ্রিত বা পুঁথি আকারে অবস্থিত গ্র...
29/03/2023

‘বেদ’ কি- মতভেদ ও সার-সিদ্ধান্ত।

‘বেদ’ কি? – এ সম্বন্ধে কতই মতভেদ দেখা যায়। বেদ কি- এই মুদ্রিত বা পুঁথি আকারে অবস্থিত গ্রন্থখণ্ড? অথবা, বেদ কি কয়েকটা শ্লোক বা মন্ত্র মাত্র? অথবা, বেদ কি সেই সঙ্গীতের উচ্চ স্বর- যে স্বরে বেদ মন্ত্র উচ্চারিত হয়? অথবা, বেদ কি যাগ-যজ্ঞাদি কর্ম মাত্র? কত জন কত ভাবেই বেদের পরিচয় দিয়ে থাকেন। কিন্তু বেদ কি? ধাত্বর্থের অনুসরণ করলে, জ্ঞানমূলক ‘বিদ’ ধাতু হতে “বেদ” শব্দের উৎপত্তি উপলব্ধি হয়। ‘বিদ’-ধাতুর অর্থ ‘জানা’। ‘জানা’ বললেই ‘কি জানা’ ভাব আসে। জানা- ধর্ম জানা, অধর্ম জানা। জানা-সত্য জানা, অসত্য জানা। জানা- স্বরূপ জানা। ফলতঃ যার দ্বারা ধর্মাধর্মের সত্যাসত্যের জ্ঞানলাভ হয়, অর্থাৎ যার দ্বারা স্বরূপ জানা যায়; এক কথায়, যার দ্বারা ঐহিক ও পারত্রিক সর্ব্ববিধ জ্ঞানের অধিকারী হওয়া যায়, তাহাই ‘বেদ’। সেই সর্ব্ববিধ জ্ঞানেরই নামান্তর-পরমেশ্বরের জ্ঞান। ধাতু অর্থের অনুসরণেও (বিদ্যতে জ্ঞায়তে পরমেশ্বরোহনেন ইতি বিদ্‌ ধাতোঃ করণে ঘঞ্‌) এই অর্থই সিদ্ধ হয়। জ্ঞান সত্য, জ্ঞান নিত্য, জ্ঞান সনাতন, জ্ঞান অপৌরুষেয়; সুতরাং জ্ঞানই ধর্ম; যা জ্ঞানের বিপর্য্যয়, তা অধর্ম। বেদ সেজন্যই ধর্ম; বেদ-বিপর্য্যয় সে কারণেই অধর্ম। “বেদপ্রণিহিতো ধর্ম্মহ্যধর্ম্মস্তদ্বিপর্য্যয়ঃ।” বেদ যে সনাতন, বেদ যে নিত্য, বেদ যে সত্য, এই বাক্যেই তা প্রতীত হয়। এজন্যই শাস্ত্র বলছেন,- যা প্রত্যক্ষ বা অনুমান দ্বারা সিদ্ধ হয় না, বেদ তা সপ্রমাণ করে। অনুমান ও প্রমাণের অজ্ঞাত সামগ্রীর সন্ধান করে বলেই বেদের বেদত্ব।

প্রত্যক্ষেণানুমিত্য বা যস্তুপায়ো নঃবুধ্যতে।

এতং বিন্দতি বেদেন তস্মাৎ বেদস্য বেদতা ॥

যা স্বপ্রমাণ, যা স্বতঃসিদ্ধ, যার প্রমাণের আবশ্যকতা করে না, তাই ‘বেদ’। মহর্ষি আপস্তুম্বের মতে- মন্ত্র রুপ ও ব্রাহ্মণ রুপ শব্দ রাশিই ‘বেদ’ মন্ত্র জ্ঞান মূলক; ব্রাহ্মণ কর্মবিধি প্রবর্ত্তক। মন্ত্রের অর্থজ্ঞ‍ান না হলে বৈদিক কর্মে জ্ঞান হয় না; কর্মজ্ঞানের অভাবে, কর্মে প্রবৃত্তির অভাব সংঘঠিত হয়। কর্মে অপ্রবৃত্তি-নিবন্ধন, কর্মানুষ্টান হতে পারে না; কর্মের অনুষ্টানে কর্মের ফললাভ কদাচ সম্ভবপর নয়; এজন্য মন্ত্র জ্ঞানমূলক। এই বিষয়ে নিরুক্ত নামক বেদাঙ্গ গ্রন্থ রচয়িতা মহর্ষি যাস্ক বলেছেন যে- ‘মননাৎ মন্ত্রাঃ’ অর্থাৎ স্বর(উদাত্তাদি) এবং ছন্দ(অনুষ্টুভাদি) সহযোগে উচ্চার্য্যমাণ শব্দসমূহ বৈদিক কর্মে প্রবৃত্তি রুপ জ্ঞানের মনন(অর্থাৎ বোধ) করায় বলে এর নাম মন্ত্র। অর্থোপলব্ধি হলে, মন্ত্র কর্মজ্ঞান প্রবর্ত্তক হয়; কিভাবে কর্ম করলে, কত্তর্ব্য কর্মের যথোক্ত ফললাভ করে, ঐহিক সুখ ও পারত্রিক মোক্ষফল প্রাপ্ত হওয়া যায়, ব্রাহ্মণ, এইপ্রকার কর্ম বিধির বিধান করেন। জ্ঞানলাভ হেতু যে কর্ম সম্পন্ন হয়, অথবা কর্ম সম্পাদন দ্বারা যে জ্ঞান লাভ হয়, তাকেই ‘বেদ’ বলা হয়। এখানে কর্মে ও জ্ঞানে যেন পারস্পরিক সম্বন্ধ। ফলতঃ এতেও বুঝা যায়, যে মন্ত্রে যে প্রক্রিয়ায় পরম জ্ঞান লাভ হয়, তাই বেদ। শ্রীমৎশঙ্করাচার্য্য তাই বলে গেছেন- ‘বেদশব্দেন তু সর্ব্বত্র শব্দরাশির্ব্বিরক্ষিতঃ।’ অর্থাৎ যে শব্দরাশি প্রমাণের অপেক্ষা করে না, তাই বেদ। যা সত্য, তা প্রমাণ করার কখনও প্রয়োজন হয় না। যা সনাতন, তার পরিবর্তন কখনও সম্ভবপর নয়। তা অপৌরুষেয়, মানুষের কি সাধ্য-তার প্রবর্তনার অধিকারী হবে? সত্য যেমন আজ একরূপ এবং কাল আরেক রূপ হয় না; সত্য যেমন চিরদিনই অপরিবর্ত্তিত অব্যয় ভাবে বিরাজমান থাকে; যা প্রকৃত ‘বেদ’, যা যথার্থ জ্ঞান, তা সেইরূপ অবিকৃত, অচঞ্চল ও অবিনাশী হয়ে চিরকাল বিদ্যমান রয়েছে। জ্ঞানও যা, ব্রহ্মও তাই। শ্রুতি বলছে,- ‘বিজ্ঞানং ব্রহ্মেতি ব্যজানাৎ।’ এজন্যই প্রাচীন ঋষিগণ বলে থাকেন,- “ন বেদা বেদমিত্যাহুর্বেদো ব্রহ্ম সনাতনম্‌।” অর্থাৎ, মন্ত্র আদি সম্বলিত পুস্তকখণ্ড মাত্র নয়; সনাতন ব্রহ্মকেই বেদ বলে। ‘বেদ’ তারই নাম- যা সত্যরূপ, জ্ঞানরূপে ও প্রমাণরূপে চির-বিদ্যমান আছে।

23/03/2023

আজকে সারাদিনের নীলা কীর্তন এর দলসমূহের নাম

22/03/2023
17/03/2023

হরিবাসরের আজ প্রথম দিনের সময়সূচী

04/02/2023

শ্যামা সঙ্গীতের সুরে মধুর হরিনাম সংকীর্তন।।


 #একাদশী_বার্তা📣📢📣আসছে আগামী ২১ সে অক্টোবর রোজ শুক্রবার রমা একাদশী ব্রত।পারন পরের দিন ২২ সে অক্টোবর রোজ শনিবার বাংলাদেশ ...
17/10/2022

#একাদশী_বার্তা📣📢📣
আসছে আগামী ২১ সে অক্টোবর রোজ শুক্রবার রমা একাদশী ব্রত।পারন পরের দিন ২২ সে অক্টোবর রোজ শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ০৫-৫৯ থেকে সকাল ০৯-৪৮🇧🇩 মিনিট এর মধ্যে এবং ভারত সময় ভোর ০৫-৩৬ থেকে সকাল ০৯-২৬🇮🇳 মিনিটের মধ্যে। নিজে একাদশী ব্রত রাখুন এবং অন্যদের রাখতে উৎসাহীত করুন 🙏
একাদশী আগাম সংবাদ পেতে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সকল বন্ধুদের গ্রুপ এ এড করে আমাদের সাথেই থাকুন🙏

05/10/2022

বিসর্জন মানে মা আসবে আবার ফিরে
খুশিতে থাকুক সবাই তোমায় ঘিরে,
মনকে শুধু বোঝাই তবে
আসছে বছর আবার হবে।
- শুভ বিজয়া

শ্রীমদ্ভগবদগীতা সার সংক্ষেপ-১ম অধ্যায়, অর্জুনবিষাদযোগ৪৬টি শ্লোকবিশিষ্ট গীতার প্রথম অধ্যায়টি ‘অর্জুনবিষাদযোগ’ নামে পরিচ...
24/09/2022

শ্রীমদ্ভগবদগীতা সার সংক্ষেপ-১ম অধ্যায়, অর্জুনবিষাদযোগ

৪৬টি শ্লোকবিশিষ্ট গীতার প্রথম অধ্যায়টি ‘অর্জুনবিষাদযোগ’ নামে পরিচিত। এ অধ্যায়ে অর্জুনের বিষাদ-ই মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। অধ্যায়টি শুরু হয়েছে মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রের উক্তি দিয়ে এবং শেষ হয়েছে তার মন্ত্রী সঞ্জয়ের উক্তি দিয়ে। এ অধ্যায়ে তৃতীয় পান্ডব মহাবীর অর্জুনের উক্তির মাধ্যমে ব্যক্ত তার বিষাদই মূল সুর। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, গীতার সকল কথাই ধৃতরাষ্ট্রের সমীপে বিবৃত করা হয় সঞ্জয় কর্তৃক হস্তিনাপুরের রাজপ্রাসাদে। ধৃতরাষ্ট্র ছিলেন জন্মান্ধ। তিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তার পুত্রগণ এবং পান্ডব পুত্রগণের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বর্ণনা তার মন্ত্রী সঞ্জয়ের নিকট জানতে চেয়েছিলেন। ধর্মপ্রাণ সঞ্জয় ব্যাসদেবের কৃপায় দিব্যদৃষ্টি লাভ করেছিলেন বিধায় তিনি প্রাসাদে থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রের সকল ঘটনা দর্শন এবং কথা শ্রবণ করতে পেরেছিলেন এবং তা ধৃতরাষ্ট্রকে অবহিত করেছিলেন। অন্ধ মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়ের নিকট জানতে চাইলেন যে, ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রে তার যুদ্ধাভিলাষী পুত্রগণ এবং পান্ডু পুত্রগণ সমবেত হয়ে কী করেছিলেন। তদুত্তরে সঞ্জয় রাজাকে জানালেন যে, তার পুত্র দুর্যোধন পান্ডবপক্ষের সৈন্যসজ্জা অবলোকন করে গুরু দ্রোণাচার্যের নিকট গিয়ে বর্ণনা করতে লাগলেন পান্ডবপক্ষে কোন্ কোন্ মহারথী যুদ্ধ করতে এসেছেন এবং তারই (দ্রোণাচার্যের) প্রিয় শিষ্য দৃষ্টদুম্ন কিভাবে পান্ডবপক্ষের সৈন্যসজ্জা পরিচালনা করছেন। অতপর তিনি তার নিজের পক্ষের মহাবীর ও মহারথীগণের সম্বন্ধেও দ্রোণাচার্যকে অবহিত করে এ মর্মে মন্তব্য করলেন যে, পান্ডবদের সৈন্য সসীম কিন্ত তাদের সৈন্য অপরিমিত। দুর্যোধনের নিকট থেকে সব অবহিত হবার পর কুরুবংশের বৃদ্ধ পিতামহ ভীষ্মদেব দুর্যোধনের হর্ষ উৎপাদনের জন্য সিংহের গর্জনের ন্যায় উচ্চনাদে শঙ্খধ্বনি করলেন। সে সাথে কৌরব পক্ষের অন্যরাও তাদের নিজ নিজ শঙ্খ, ভেরী, পনব, আনকশিঙ্গা ধ্বনি করলে সবকিছু মিলে এক তুমুল শব্দের সৃষ্টি হলো। অপরপক্ষে শ্বেত অশ্বযুক্ত দিব্য রথে স্থিত শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনও তাদের নিজ নিজ শঙ্খধ্বনি করলে এ তুমুল শব্দ আকাশ ও পৃথিবী প্রতিধ্বনিত করে ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রগণের হৃদয় বিদারিত করতে লাগলো। এ সময় ধনুর্ধর অর্জুন ধনুক ও শর হস্তে ধারণ করে কৌরবপক্ষের যোদ্ধাগণকে দেখার মানসে তার রথের সারথি শ্রীকৃষ্ণকে উভয় সেনাদলের মাঝখানে রথখানি স্থাপন করতে অনুরোধ করলেন। রথখানি যথাস্থানে স্থাপিত হলে অর্জুন লক্ষ্য করলেন তার সম্মুখে ভীষ্ম, দ্রোণ প্রমুখ গুরুজনের সাথে মাতুল, ভ্রাতা, পুত্র, পৌত্র, শশুর, মিত্র ও শুভাকাংখীগণ উপস্থিত রয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বিপক্ষে আচার্য,আত্মীয়-স্বজনদের অবলোকন করে অর্জুন বিষাদগ্রস্থ হলেন। বিষাদিত অর্জুনের সর্বশরীর কম্পিত ও রোমাঞ্চিত হতে লাগলো এবং তার হস্ত থেকে গান্ডিব যেন খসে পড়ছে। যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক ও করুণ পরিণতির কথা ভেবে অস্থির অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বললেন যে, তিনি এ যুদ্ধ করবেন না, কারণ তিনি এতে কোন মঙ্গল দেখছেন না। যু্দ্ধের চরম অমঙ্গলের কারণ হিসেবে এ মর্মে যুক্তি উপস্থাপন করলেন যে, যুদ্ধে গুরুজনকে হত্যা করে রাজ্যসুখ ভোগ করলে মহাপাপ তাদের আচ্ছন্ন করবে। তাছাড়া আত্মীয় স্বজনকে বধ করে রাজ্য লাভে কোন সুখ ও শান্তি নেই কারণ পুত্র, পৌত্র, ভ্রাতা, আত্মীয় বধ করলে কুলক্ষয় হয়, কুলক্ষয়ে কুলধর্ম বিনষ্ট হয় এবং তাহলে সমগ্র বংশ অধর্মে নিপাতিত হয়। কুল অধর্মে অভিভুত হলে কুলস্ত্রীগণ ব্যভিচারী হয়, তা থেকে বর্ণ সঙ্কর উৎপাদিত হলে কুলঘাতকেরা নরকগামী হয়। সেকুলে পিন্ডদান ও তর্পণক্রিয়া লোপ পাওয়ায় পিতৃপুরুষেরাও নরকে অধঃপতিত হয়। এসব কথা উচ্চারণ করে অর্জুন অত্যন্ত বিষন্ন মনে শ্রীকৃষ্ণ সমীপে মন্তব্য করলেন যে, তাকে নিরস্ত্র অবস্থায় শস্ত্রধারী ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রগণ যুদ্ধে বধ করলেও তার অধিকতর মঙ্গল হবে। এভাবে অর্জুন রণক্ষেত্রে ধনুর্বান ত্যাগ করতঃ শোকভারাক্রান্ত চিত্তে রথোপরি উপবেশন করলেন। যুদ্ধের করুণ ভয়াবহ পরিণতির ভাবনা অর্জুনের ভেতর যে বিহবলতা, বিষন্নতা ও হৃদয়-দৌর্বল্য সৃষ্টি করেছিল তাই প্রকটিত হয়ে উঠেছে প্রথম অধ্যায় ‘অর্জুন বিষাদযোগে’। হরে কৃষ্ণ।।

লেখক-
শ্রী স্বপন কুমার রায়
মহা ব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক৷
সাধারণ সম্পাদক, শ্রী শ্রী গীতাসংঘ, মতিঝিল শাখা, ঢাকা৷

প্রশ্নঃ- অজ্ঞানী ব্যক্তিরা যেমন আপন কর্ম অনুয়ায়ি ভূব লোকের বিভিন্ন স্তরে যাতনার কমবেশি ভোগ করে, জ্ঞানীদের কি সেরকম ফলভ...
19/09/2022

প্রশ্নঃ- অজ্ঞানী ব্যক্তিরা যেমন আপন কর্ম অনুয়ায়ি ভূব লোকের বিভিন্ন স্তরে যাতনার কমবেশি ভোগ করে, জ্ঞানীদের কি সেরকম ফলভেদ হয় না?

উত্তরঃ– অবশ্যই হয়, জ্ঞানীগণ আপন জ্ঞানের পরমান অনুসারে জন ও মহ লোকের বিভিন্ন স্তরে সুখ শান্তির কমবেশি ভোগ করেন, আবার যাঁদের চৈতন্য অনুভূতি হয়েছে, তাঁরা সেই অনুভূতির পরিমান অনুসারে চৈতন্যভূমির বিভিন্ন স্তরে আনন্দের কমবেশি সম্ভোগ করেন, তবে চৈতন্যভূমির প্রথম স্তরে উন্নীত হলে বাধা বিঘ্নের সম্ভাবনা না থাকায় তাঁরা দ্রুতবেগে চরম লক্ষ্যে উপনীত হন।

ক্রমশঃ
সংগৃহীত
শেয়ার করে অন্যদের জানতে সহায়তা করুন-

🌺🌼 🌿জয় রাঁধে শ্যাম 🌿🌼🌺 ৬৪ প্রহর ব্যাপী{ ৮ দিন} শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের লীলা যজ্ঞানুষ্ঠানের ৪র্থ দিনের সময় সূচি...
07/09/2022

🌺🌼 🌿জয় রাঁধে শ্যাম 🌿🌼🌺 ৬৪ প্রহর ব্যাপী{ ৮ দিন} শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের লীলা যজ্ঞানুষ্ঠানের ৪র্থ দিনের সময় সূচি...

আগামী 7 সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার পাশ্ব একাদশী সবাই উপবাস থাকবেন 🙏🙏 হরে কৃষ্ণ 🥰🙏
06/09/2022

আগামী 7 সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার পাশ্ব একাদশী সবাই উপবাস থাকবেন 🙏🙏 হরে কৃষ্ণ 🥰🙏

04/09/2022
শ্রী শ্রী গোবিন্দ কাঙ্গাল ভক্ত বৃন্দ , স্যানালপাড়া শেরপুর, বগুড়া ।শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ জয়তুঃপ্রথমদিনের নীলা কীর্তন পর...
04/09/2022

শ্রী শ্রী গোবিন্দ কাঙ্গাল ভক্ত বৃন্দ , স্যানালপাড়া শেরপুর, বগুড়া ।
শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ জয়তুঃ
প্রথমদিনের নীলা কীর্তন পরিবেশন

একাদশী বার্তা ♻️ একাদশী বার্তা ♻️ একাদশী বার্তাআগামী ২৪শে জুলাই ২০২২ইং রবিবার।কামিকা একাদশীপারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:২৪ থেক...
17/07/2022

একাদশী বার্তা ♻️ একাদশী বার্তা ♻️ একাদশী বার্তা

আগামী ২৪শে জুলাই ২০২২ইং রবিবার।
কামিকা একাদশী

পারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:২৪ থেকে ০৯:৫১ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময় এবং সকাল ০৫:০৫ থেকে ০৯:৩০ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময়।

ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ
শ্রাবণ কৃষ্ণপক্ষীয়া কামিকা একাদশীর কথা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ-সংবাদে বলা হয়েছে।যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন-হে গোবিন্দ! হে বাসুদেব! শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম এবং মাহাত্ম্য সবিস্তারে আমার কাছে বর্ণনা করুন। তা শুনতে আমি অত্যন্ত কৌতুহলী।

প্রত্যুত্তরে ভক্তবৎসল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন-হে রাজন! পূর্বে দেবর্ষি নারদ প্রজাপতি ব্রহ্মাকে এই প্রশ্ন করলে তিনি যে উত্তর প্রদান করেছিলেন আমি এখন সেই কথাই বলছি। আপনি মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করুন। একসময় ব্রহ্মার কাছে ভক্তশ্রেষ্ঠ নারদ জিজ্ঞাসা করলেন-হে ভগবান! শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি, এর আরাধ্য দেবতা কে, সেই ব্রতের বিধিই বা কিরকম এবং এই ব্রতের ফলে কি পুণ্য লাভ হয় তা সবিশেষ জানতে ইচ্ছা করি। আপনি কৃপা করে আমাকে তা জানালে আমার জীবন ধন্য হবে।

শ্রীনারদের কথা শুনে ব্রহ্মা অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলেন। তিনি বললেন-হে বৎস! জগৎ জীবের মঙ্গলের জন্য আমি তোমার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিচ্ছি, তুমি তা শ্রবণ কর। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী ‘কামিকা’ নামে জগতে প্রসিদ্ধা। এই একাদশীর মাহাত্ম্য শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। ভগবান শ্রীহরির পূজা-অর্চনা অপরিমিত পূর্ণ ফল প্রদান করে। গঙ্গা গোদাবরী কাশী নৈমিষ্যারণ্য পুষ্কর ইত্যাদি তীর্থ দর্শনের সমস্ত ফল একমাত্র কৃষ্ণপূজার মাধ্যমে কোটিগুণ লাভ করা যায়।

সাগর ও অরণ্য যুক্ত পৃথিবী দানের ফল, দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে এই ব্রত পালনে লাভ হয়। যারা পাপপূর্ণ সাগরে নিমগ্ন এই ব্রতই তাদের উদ্ধারের একমাত্র সহজ উপায়। এইরকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই। শ্রীহরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে যারা এই ব্রত পালন করেন তাঁরা কখনও দু:খ-দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্নযোনি প্রাপ্ত হন না। কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রীহরির পূজা করেন পদ্মপাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণুপূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মা বললেন-হে নারদ! যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদূরিত হয়ে যায়, যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়, তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়, তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রীহরিচরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমায় প্রণাম করি। যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পু্ণ্যের সংখ্যা হিসাব করতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন।

শ্রীকৃষ্ণ বললেন-হে রাজন! আমি আপনার কাছে সর্বপাপহারিনী ‘কামিকা’ একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করলাম। অতএব যিনি ব্রহ্মহত্যা ভ্রুণহত্যা-পাপবিনাশিনী, মহাপুণ্যফলদায়ী এই ব্রত পালন করবেন ও এই মাহাত্ম্য শ্রদ্ধা সহকারে পাঠ অথবা শ্রবণ করবেন তিনি সর্বপাপ থেকে মুক্ত হযে বিষ্ণুলোকে গমন করবেন।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

আগামীকাল শয়ন একাদশী । সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
09/07/2022

আগামীকাল শয়ন একাদশী । সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

16/05/2022

মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান
শ্রী শ্রী কালীবাড়ি,চরফ্যাশন ভোলা।।

আগামী ৪ ই মে , বুধবার অক্ষয় তৃতীয়া 🦋🥀এ দিন থেকে পরবর্তী ২১দিন ব্যাপি ভগবানের চন্দন শোভাযাত্রা মহোৎসব।🥰 ২১ দিন সুগন্ধি চন...
03/05/2022

আগামী ৪ ই মে , বুধবার অক্ষয় তৃতীয়া 🦋🥀

এ দিন থেকে পরবর্তী ২১দিন ব্যাপি ভগবানের চন্দন শোভাযাত্রা মহোৎসব।🥰

২১ দিন সুগন্ধি চন্দন, কর্পূর, ও অগুরু মিশিয়ে ভগবানের শ্রীঅঙ্গে লেপন করা হয়। এতে পরমেশ্বর ভগবান খুবই শীতলতা ও প্রশান্তি অনুভব করেন।

অক্ষয় তৃতীয়া কী এবং কেন?

অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। যদি ভালো কাজ করা হয় তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে লাভ হয় অক্ষয় পাপ।

তাই—
৹ আমিষাহার পরিত্যাগ করা উচিত, কেননা প্রাণিহত্যা মহাপাপ।
৹ কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ করা উচিত।
৹ কৃষ্ণমন্দিরে ভোগ, চন্দন, ফুল, ফল, অর্থ ইত্যাদি দান করা উচিত।
৹ এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত।
৹ কখনো যেন কটু কথা না বেরোয় মুখ থেকে।
৹ কোনো কারণে যেন কারো ক্ষতি না করে ফেলি বা কারো মনে আঘাত দিয়ে না ফেলি।
৹ তাই এদিন যথাসম্ভব কৃষ্ণকথা বলা উচিত।
৹ এদিন পূজা,জপ,ধ্যান,দান,অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত।
৹ যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে।
এবারের অক্ষয়তৃতীয়া সবার ভালো কাটুক – এই কামনায় করি।

যে সকল তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল এ দিনে—

১) বিষ্ণুর অবতার পরশুরাম আবির্ভূত হন।
২) রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
৩) গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে মহাভারত লিখতে শুরু করেন।
৪) চন্দনযাত্রা শুরু হয়।
৫) সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়।
৬) কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
৭) ভক্তরাজ সুদামা শ্রী কৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সকল দুঃখ মোচন করেন।
৮) দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান এবং ভগবান তার সখীকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ। শরণাগতের পরিত্রাতা রূপে এদিন শ্রী কৃষ্ণা দ্রৌপদীকে রক্ষা করেন।
৯) পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ শুরু

হরে কৃষ্ণ 🙏🙏

02/05/2022

শুভ 🥰🌿💟 #অক্ষয়_তৃতীয়া_তিথি💟🌿🥰

🌺 সবাইকে কৃষ্ণ প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো 🌺

আগামি ২০ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ/০৪ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রোজ_বুধবার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই তিথিটি পালন করে থাকেন। এই তিথিতে যদি কোন

#পূণ্য_কাজ করা হয়, তা চিরঅক্ষয় থাকে এবং #পাপ_কাজ করলেও চির অক্ষয় থাকে।

02/05/2022

কখনো কখনো জীবনে কষ্ট আসারও দরকার হয় কারন আমরা যখন অনেক সুখে থাকি ভগবানকে ভুলে যাই, কষ্টে থাকলে প্রতিনিয়ত ডাকতে থাকি।তাই সুখের সাথে সাথে কষ্টের গুরুত্ব অপরিসীম।

এই দুঃখের সংসারের সব সময় সুখ চিরস্থায়ী হবে না।
কারন এই জগৎটা কেবল তো দুঃখের সংসার। কিন্তু এই মিথ্যা সুখের আশায় প্রতিনিয়ত ধাবিত হচ্ছে আমাদের মায়াযুক্ত মন।যার ভবিষ্যৎ হয় ৮৪ লক্ষতে বার বার ঘুরার।

তাই আসুন আমরা প্রকৃত সুখ সেখানে খুঁজি যেখানে পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং বিরাজমান অথাৎ গোলক বৃন্দাবন যেখানে গেলে আর কখনো মায়ার পৃথিবীতে ফিরে আসতে হয় না কষ্ট পেতে হয় না। 🌿🌿😔

💓-রাধা কৃষ্ণময় শুভ সকাল- 💓

,

বাড়ীতে তুলসীতলা থাকলে বৈশাখ মাসব্যাপী তুলসী গাছে জল দান করতে হয়। তুলসী জলদান মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক তিন বার তুলসীতে জল ...
29/04/2022

বাড়ীতে তুলসীতলা থাকলে বৈশাখ মাসব্যাপী তুলসী গাছে জল দান করতে হয়। তুলসী জলদান মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক তিন বার তুলসীতে জল প্রদান করতে হয়। রোজ সকালে পূজা করতে হয় এবং সন্ধ্যায় তুলসীতলায় প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালাতে হয়।

তুলসী জলদান মন্ত্র —

ॐ গোবিন্দবল্লভাং দেবীং ভক্তচৈতন্যকারিণীম্ ।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তিপ্রদায়িনীম্ ॥

শ্রীগোবিন্দের প্রিয়তমা, জগজ্জননী, সকল ভক্তকে কৃষ্ণচেতনা প্রদায়িনী এবং শ্রীকৃষ্ণে ভক্তিপ্রদাণকারিনী শ্রীমতি তুলসীদেবী, আপনাকে আমি স্নানসেবা নিবেদন করছি।

তুলসী প্রণাম মন্ত্র —

ॐ বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ ।
কৃষ্ণ ভক্তি প্রদে দেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ ॥

কেশবপ্রিয়া বৃন্দাদেবী যিনি কৃষ্ণ-ভক্তি প্রদান করেন সেই সত্যবতী তুলসী দেবীকে আমি বারংবার প্রণাম নিবেদন করি।

তুলসী আরতি —

নমো নমঃ তুলসী ! কৃষ্ণ প্রেয়সী ।
রাধাকৃষ্ণ-সেবা পাব এই অভিলাষী ॥
যে তোমার শরণ লয়, তার বাঞ্ছা পূর্ন হয় ।
কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবনবাসী ॥
মোর এই অভিলাষ, বিলাস-কুঞ্জে দিও বাস ।
নয়নে হেরিব সদা যুগল রুপ রাশি ॥
এই নিবেদন ধর, সখীর অনুগত কর ।
সেবা-অধিকার দিয়ে কর নিজ দাসী ॥
দীন কৃষ্ণদাসে কয়, এই যেন মোর হয় ।
শ্রীরাধাগোবিন্দ প্রেমে সদা যেন ভাসি ॥

তুলসী প্রদক্ষিণ মন্ত্র —

যানি কানি চ পাপানি ব্রক্ষহত্যাদিকানি চ ।
তানি তানি প্রণশ্যন্তি প্রদক্ষিণ পদে পদে ॥

যিনি সকলের শিরোধার্যা, উপাস্যা, জীবন্মুক্তা, মুক্তিদায়িনী এবং শ্রীহরিভক্তি প্রদায়িনী, সেই সমগ্র বিশ্বকে পবিত্রকারিণী বিশ্বপাবনী তুলসীদেবীকে সতত প্রণাম করি।

তুলসী দর্শনেই পাপসমূহ নাশ হয়, জলদান করলে যম ভয় দূর হয়, রোপণ করলে তাঁর কৃপায় কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শ্রীহরির চরণে অর্পণ করা হলে কৃষ্ণপ্রেম লাভ হয়। তুলসী শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী, তাঁর কৃপার ফলেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের সেবার সুযোগ লাভ করতে পারি।

সমস্ত পত্র ও পুষ্পের মধ্যে তুলসী হচ্ছেন শ্রেষ্ঠা। তুলসী সর্বকামপ্রদা, মঙ্গলময়ী, শুদ্ধা, মুখ্যা, বৈষ্ণবী, বিষ্ণুর প্রেয়সী এবং সর্বলোকে পরম শুভা। যিনি নিত্য তুলসী সেবা করেন তিনি সমস্ত ক্লেশ হতে মুক্ত হয়ে অভীষ্ঠ সিদ্ধি লাভ করেন। অতএব শ্রীহরির অত্যন্ত প্রেয়সী তুলসীকে জলদান অবশ্যই কর্তব্য।

বৈশাখে তুলসী দেবী ও ভগবান নারায়ণের অভিন্ন শালগ্রাম শিলায় জলদানের ব্যবস্থা করলে ভগবান শ্রীহরি অত্যন্ত প্রীত হন। এই সময় মাটিতে রস ঘাটতি দেখা দেয়। তাই জলদানের মাধ্যমে তুলসীদেবীর প্রীতিসাধন করলে হরিভক্তি সুলভ হয়।

যে ভক্ত নিষ্ঠা সহকারে ভগবানের উদ্দেশ্যে যদি শুধু একটি তুলসীপত্র এবং এক অঞ্জলি জল নিবেদন করেন, ভক্তবৎসল ভগবান সম্পূর্ণরূপে সেই ভক্তের বশীভূত হয়ে পড়েন। তাই কৃষ্ণভক্তগণের উচিত বৈশাখ মাসে তুলসীবৃক্ষে ও শালগ্রাম শিলায় জলদানের ব্যবস্থা করা।

শাস্ত্রে তুলসীদেবীকে জলদান করা হলে তুলসীমূলে যে জল অবশিষ্ট থাকে তারও বিশেষ মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি কাহিনী বলা হয়েছে যে, কোনো এক সময় এক বৈষ্ণব তুলসীদেবীকে জলপ্রদান ও পরিক্রমা করে গৃহে গমন করেন। কিছুক্ষণ পর এক ক্ষুধার্ত কুকুর সেখানে এসে তুলসীদেবীর মূলে অবশিষ্ট জল পান করে। কিন্তু তখনই এক ব্যাধ এসে তাকে বলতে লাগল, দুষ্ট কুকুর ! তুই কেন আমার বাড়িতে খাবার চুরি করেছিস ? চুরি করেছিস ভালো, কিন্তু মাটির হাড়িটি কেন ভেঙে রেখে এসেছিস ? তোর উচিত শাস্তি কেবল মৃত্যুদন্ড। অতপর ব্যাধ ঐ কুকুরটিকে তখন বধ করে। তখন যমদূতগণ ঐ কুকুরকে নিতে আসে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ পরমনন্ধ বিষ্ণুদূতগণ সেখানে এসে তাদের বাধা দিলে শ্রীবিষ্ণুদূতগণ বলেন, এই কুকুর পূর্বজন্মে জঘন্য পাপ করার কারণে নানাবিধ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ছিল। কিন্তু শুধু তুলসী তরুমূলের জল পান করার ফলে এর সমস্ত পাপ নাশ হয়েছে, এমনকি সে বিষ্ণুলোকে গমনের যোগ্যতাও অর্জন করেছে। অতঃপর সেই কুকুর সুন্দর দেহ লাভ করে বৈকুণ্ঠের দূতগণের সাথে ভগবৎধামে গমন করে।

সমগ্র বৈদিক শাস্ত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়নের ফলে চরম প্রাপ্তি যে কৃষ্ণপ্রেম, বৈশাখ মাসে শ্রীতুলসীকে জলদানের মাধ্যমে তা অতিসহজেই লাভ হয়।

শঙ্খচূড় নামে এক ভয়ানক অসুর ছিল, যার স্ত্রী ছিলেন তুলসী দেবী। তুলসী দেবী ছিলেন একজন সতী নারী। সেই সাথে তিনি ছিলেন শ্রী কৃষ্ণের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উপাসকমণ্ডলী একজন। তার সতীত্ব এতই দৃঢ় ছিল যে ভগবান শিব যুদ্ধে তাঁর স্বামী শঙ্খচূড়কে পরাজিত করতে পারছিলেন না। তিনি পালনকর্তা বিষ্ণুর শরণাপন্ন হলেন।

ভগবান বিষ্ণু কোন উপায় না পেয়ে শঙ্খচূড়ের রূপ ধরে তুলসী দেবীর কাছে গেলেন। তুলসী দেবী ভগবান বিষ্ণুকে তার স্বামী হিসেবে চিন্তা করতেই, মুহূর্তমধ্যে তার সতীত্ব ভঙ্গ হল। আর এই সুবিধা গ্রহণ করে শিব যুদ্ধে শঙ্খচূড়কে বধ করলেন।

যখন তুলসী দেবী ভগবান বিষ্ণুকে চিনতে পারলেন তখন তিনি রাগান্বিত হয়ে ভগবান বিষ্ণুকে অভিশাপ দিলেন যে, তিনি পাথর(শিলা) হয়ে যাবেন। ভক্তের এই অভিশাপ ভগবান গ্রহন করলেন। আর, তাঁর এই রূপ আজ নারায়ণ শিলা হিসেবে পূজিত হয়ে থাকে।

এরপর তুলসী দেবী আগুনে আত্মহুতি দেন। ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে তুলসী দেবীর সেই দেহ ভস্ম হতে সৃষ্টি হয় তুলসী গাছ। এই কারনেই, তুলসী পাতা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের প্রিয় এবং কৃষ্ণ পূজা তথা নারায়ণ শিলা পূজায় তুলসী পাতা অপরিহার্য।

শালগ্রাম শিলা রূপে বিষ্ণু উত্থান একাদশীতে তুলসীর সাথে বিবাহ করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানের স্মরণে এখনও ওই দিনে তুলসী বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।


জয় তুলসী মহারানী কি জয়

(সংগৃহীত)

Address

Bogura
5840

Telephone

+8801734244047

Website

https://khamarkandipujauudjaponomondirunnayoncomity.wordpress.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when খামারকান্দি পুজা উদযাপন ও মন্দির সংঙ্কার কমিটি, খামারকান্দি, শেরপুর, বগুড়া। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to খামারকান্দি পুজা উদযাপন ও মন্দির সংঙ্কার কমিটি, খামারকান্দি, শেরপুর, বগুড়া।:

Videos

Share

Category


Other Video Creators in Bogura

Show All