আমার বগুড়া

আমার বগুড়া বগুড়া উত্তরবঙ্গের একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা।
বগুড়া একটি ঐতিহাসিক এবং ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ অঞ্চল।

06/06/2024

আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। বারান্দায় নাকি মা মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগিকে নিচে রেখে এখানে কেন বাচ্চাগুলো রেখেছেন? মা জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।

চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পঁচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।

আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ।

এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাড়িতে থাকতে হলে বাড়ি ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত।

সেই টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই বেঁচে গেল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জন্মেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল সেটা একটু পরে বলছি।

জীবনের এই প্রথম ধাক্কায় তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে।

আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।

ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালক সুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনো কিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।

আমাদের অধিকাংশ মানুষকে বলতে শুনেছি, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়ি গাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়।

যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম সঙ্কটে জীবনযাপন করে।

আমাদের ভিতরে যাঁরা একটু স্মার্ট এবং বাস্তব সম্মত চিন্তা করেন, তাঁরা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়ি গাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।

তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলে মেয়ের পিছনে অঢেল টাকা পয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুট ঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।

সত্যিকার ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।

একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।

আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবে না, তুমি হবে ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে।

আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।

বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে?
এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাড়ি ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ।

তোমার এইরকম প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।

সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার নিচে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম।

20/05/2024

জরুরী ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন
⛔🔜রোগীর সমস্যা: কিডনি অপারেশন
🔴রক্তের গ্রুপ: B+
💉রক্তের পরিমাণ:২ bag
📆রক্তদানের তারিখ: 20/05/2024
🏥রক্তদানের স্থান: DOCTORS CLINIC BOGURA
☎যোগাযোগ: 01624224888

ঢাকায় এখন ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা নিয়ে যারা কান্নাকাটি করতেসেন, এই আপনারাই আর্কিটেক্টদের কাছে এসে বলেন যে এক ইঞ্চি জায়গাও আপ...
19/04/2024

ঢাকায় এখন ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা নিয়ে যারা কান্নাকাটি করতেসেন, এই আপনারাই আর্কিটেক্টদের কাছে এসে বলেন যে এক ইঞ্চি জায়গাও আপনি ছাড়তে রাজি না মাটি! কেউ আইসা বলেন না যে আমার বাসাটা ছোট হোক, কিন্তু বিশাল কিছু গাছ লাগায় দেন! পুরাটা জুড়ে বিল্ডীং চান, রাজউকের মিনিমাম সেটব্যাক রেখে বাড়ি করার নিয়ম টাও ধান্দাবাজি করে মানেন না, মিনিমাম গ্রিন স্পেইস যেটা থাকার কথা সেটায় আপনি বসান ইট, বালু, সিমেন্ট! কারণ আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আপনার বিশাল টাকার ভান্ডার এই বাড়ি রেখে যাইতে হবে, তাদের জন্য একটু অক্সিজেন রেখে যাবেন না, একটু বাতাস রেখে যাবেন না!
মনে রাখবেন, সবকিছুর সীমা আছে! প্রকৃতি মাফ করে না!
৫০ ডিগ্রীতে শ্বাস নিতে না পারলে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম ও আপনাকে মাফ করবে না।
কবরে বসে দোয়ার আশা করবেন, পাবেন বদদোয়া!

সংগৃহীত

ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটাকে জার্মানির এক রেস্তোরাঁয় খাবার নষ্টের অপরাধে ৫০ ইউরো জরিমানা করা হয়। এই সামান্য অর্থ তাঁর জন্য ...
17/04/2024

ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটাকে জার্মানির এক রেস্তোরাঁয় খাবার নষ্টের অপরাধে ৫০ ইউরো জরিমানা করা হয়। এই সামান্য অর্থ তাঁর জন্য বড় কোনো বিষয় ছিল না। তবে সেদিন রেস্তোরাঁয় গিয়ে তিনি যা শিখেছেন, তিনি তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

তিনি লেখেন— “বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ জার্মানি। একবার সহকর্মীকে নিয়ে হামবুর্গে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম আমি। যেহেতু আমরা খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম, সেজন্য বেশ অনেকটা খাবার অর্ডার করেছিলেন আমার সহকর্মী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খাবারই ছুঁয়ে দেখা হলো না আমাদের।"

এরপর আমি ও আমার সহকর্মী যখন রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ওই সময় এক বয়স্ক মহিলা বিরক্ত হয়ে বললেন, “তোমাদের খাবার নষ্ট করা উচিত হয়নি।”

সহকর্মী ওই মহিলাকে উত্তর দিল, “আমরা টাকা দিয়ে খাবার কিনেছি। খাবার খাব না ফেলে দেব এটাতে তোমার মাথা ঘামানোর কী আছে?”

এই উত্তরে বেশ ক্ষেপে গেলেন ওই মহিলা। সঙ্গে থাকা আরেকজন তৎক্ষণাৎ ফোন বের করে কাকে যেন ফোন করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার পোশাক পরা এক ব্যক্তি এসে হাজির হলেন।

ওই ব্যক্তি সবকিছু শুনে আমাকে এবং সহকর্মীকে ৫০ ইউরো জরিমানা করে বসলেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যাই আমি।

তারপর সেই কর্মকর্তা রাগান্বিত সুরে বললেন: "তুমি যা খেতে পারবে, শুধুমাত্র তাই অর্ডার কর। ❝টাকা তোমার ঠিকই, কিন্তু সম্পদ সমাজের❞

এই পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যারা খাবারের অভাবে ভুগছে। সম্পদ নষ্ট করার কোনো অধিকার তোমার নেই।"
#2845


সংগৃহীত পোস্ট

10/04/2024
আমরা দেশীয় পণ্যের প্রচার করি মানে এই না সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দিতে হবে।আবার পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর একটা পায়তারা চলছে। ...
27/03/2024

আমরা দেশীয় পণ্যের প্রচার করি মানে এই না সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দিতে হবে।

আবার পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর একটা পায়তারা চলছে। ইন্ডিয়া রপ্তানি বন্ধ রাখবে, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চালবাজি শুরু হয়েছে এবং একশ্রেণীর ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়তে চাচ্ছে।

ইতিপূর্বের সিন্ডিকেট থেরাপির সফলতা থেকে শিখুন। তরমুজের গলা-কাটা ব্যবসায়ীরা এক সপ্তাহ যাবত মাছি মারছে। আড়তে আড়তে পেঁয়াজ পড়ে আছে। সবাই সবুর করুন এবং দরকার পড়লে অল্প পরিমাণ পেঁয়াজ কিনুন। আধা কেজি/১ কেজি সর্বোচ্চ। হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না।

আপনি আমি যদি ঠিক থাকি, সিন্ডিকেটবাজরা দাম বাড়াবে, কমাবে, হাল ছেড়ে দেবে। এদেরকে ঠিক করার অন্য কেউ নেই। ভোক্তাদের নিস্পৃহতার এক্সারসাইজ বজায় রাখতে হবে, থেরাপি প্রয়োগ করতে হবে। এতে বাজারের চেহারাও ভালো থাকবে, আমাদের অভ্যাসও ভালো হবে।

যখনই যেই পণ্যের সিন্ডিকেট শুরু হবে সেই পণ্যই কেনা বাদ দিয়ে দিতে হবে অথবা অতি দরকারে অল্প পরিমাণ কিনতে হবে। হুমড়ি খেয়ে পড়া যাবে না।

©Sharif Muhammad

গরমের শুরুতেই এসির দাম বেড়েই যাচ্ছে তাই আর দেরি না করে এখনই কিনে ফেলুন Haier এসি।বিস্তারিত জানতে লিঙ্কে ক্লিক করুন: htt...
02/03/2024

গরমের শুরুতেই এসির দাম বেড়েই যাচ্ছে তাই আর দেরি না করে এখনই কিনে ফেলুন Haier এসি।

বিস্তারিত জানতে লিঙ্কে ক্লিক করুন: https://www.mobilehousebd.com/product-category/haier-ac-hiar-haire/

Electronics House
(Prime Bank Building)
Borogola Mor, Bogura
01622334403

Address

Rahman Nagor
Bogura
5800

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমার বগুড়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Digital creator in Bogura

Show All