Newspaper/ The Daily Sonaly Khabor

Newspaper/ The Daily Sonaly Khabor সত্য প্রকাশে

20/08/2024

বহুল আলোচিত মোসারাত জাহান মুনিয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার করতে প্রধান অভিযুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপ.....

19/03/2021

  মারুফ মালেক: রাজধানীর পাশ্ববর্তী পোস্তগোলা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি...

11/02/2021

শৈলকুপা প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গরু বোঝায় করিমন উল্টে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো...

সকল ষড়যন্ত্র ফাঁস করবো: প্রধান বিচারপতি---------------------------------------------------প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৯:২৭ ...
24/08/2017

সকল ষড়যন্ত্র ফাঁস করবো: প্রধান বিচারপতি
---------------------------------------------------
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৯:২৭ | আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ২১:০৮
আদালত প্রতিবেদক
---------------------------------------------------
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ------
----- সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও জেল হত্যা মামলার অনেক কিছুই তদন্তে উঠে আসেনি, তাই একদিন আমি লিখে সবকিছু প্রকাশ করে যাবো।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে 'জুডিসিয়াল ইন্টারপ্রিটেশন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, শোকের মাস চলছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যথিত হয়েছি। বাচ্চা ছেলে রাসেলকেও (শেখ রাসেল) পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে। এটা পশুর থেকেও ...

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে ও প্রসিকিউশনে অনেক ত্রুটি ছিলো। বিচারপতি হওয়ায় তা বলতে পারিনি। এ নিয়ে আমি ভবিষ্যতে কিছু লেখার চেষ্টা করছি। জেল হত্যা মামলা ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নিয়ে লিখবো। মামলা দুটিতে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছিলো। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই ষড়যন্ত্রে যারা ছিলো তারা সবাই দায়ী। এরা ওই রাত্রে ষড়যন্ত্র করেছে, মার্চ করেছে। আমি লিখে যাবো। দেখিয়ে যাবো কারা কারা ছিলো (ষড়যন্ত্রকারী)। সেনাবাহিনীতে অনেকেই সুযোগ নিয়ে চলে গিয়েছে (দেশের বাইরে)। ওসব লিখে যাবো।

ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন,

আপনাদের কাছে আমার আবেদন, আমাকে মিস কোট (ভুলভাবে উদ্ধৃত বা ব্যাখ্যা) করবেন না। এতে আমাকে বিব্রত হতে হয়।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আরো বলেন, আমাকে মিডিয়ায় মিস কোট করা হলে আমার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা সম্ভব হয়না। আমি কোর্টে মামলা চলাকালে আইনজীবীদের অনেক কথাই বলতে পারি। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে বলতে পারিনা। এ বিষয়ে আপনারা খেয়াল রাখবেন।

আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার গরীব-অসহায় আইন প্রত্যাশীদের কাছে আইনের ন্যায্য সুবিধা পৌঁছে দেবেন।
বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্র জীবনে অনেকেই অনেক ধরণের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু বিচারপতি হবার পর আপনারা অতীত ভুলে যাবেন। সঠিক বিচারের চেষ্টা করবেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ অসংখ্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

21/08/2017

আমরা গভীর শোকাহতঃ__________________

বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা নায়ক রাজ্জাক আজ সন্ধ্যা ৬.৩০মি: সময়ে আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাএলাহী........)।

মরহুমের বিদেহী আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকাহত পরিবার এর প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

_________________পক্ষেঃ

দৈনিক সোঁনালী খবর
পএিকা পরিবার।

এক নজরে নায়করাজ রাজ্জাক
_____________________________
নাম : আবদুর রাজ্জাক।

উপাধি : নায়করাজ (উপাধি দিয়েছিলেন চিত্রালি সম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরী)।
জন্ম : ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪২।
জন্মস্থান : নাকতলা, দক্ষিণ কলকাতা, ভারত।
জাতীয়তা : বাংলাদেশি।
বাবা : আকবর হোসেন।
মা : নিসারুননেছা।
স্ত্রী: খাইরুন্নেছা (ভালোবেসে লক্ষ্মী বলে ডাকতেন)।

সন্তান : বাপ্পারাজ (রেজাউল করিম), নাসরিন পাশা শম্পা, রওশন হোসেন বাপ্পি, আফরিন আলম ময়না, খালিদ হোসেইন সম্রাট।
পেশা : অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক।

অভিনয়ের শুরু : কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন সরস্বতীপূজায় মঞ্চনাটকে। গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। প্রথম অভিনীত নাটক ‘বিদ্রোহী।’
সিনেমায় প্রবেশ : কলেজজীবনে ‘রতন লাল বাঙালি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। এ ছাড়া কলকাতায় ‘পঙ্কতিলক’ ও ‘শিলালিপি’ নামে আরও দুটি সিনেমায় অভিনয় করেন।

বাংলাদেশে আগমন : ১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
ঢালিউডে নায়ক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র : জহির রায়হানের ‘বেহুলা’।

প্রথম নায়িকা : সুচন্দা।

জুটি হিসেবে জনপ্রিয় নায়িকা : কবরী
নায়ক হিসেবে শেষ ছবি : ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। শেষ ছবি ‘মালামতি’। নায়িকা ছিলেন নূতন।
চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় : ১৯৯৫ সাল থেকে।

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র :
এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নাচের পুতুল’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘আবির্ভাব’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 20/08/2017 রোববার।
19/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
20/08/2017 রোববার।

বগুড়ায় করতোয়ায় স্কুলছাত্রী নিখোঁজ_______________________________স্টাফ করেসপন্ডেন্ট । বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮,...
18/08/2017

বগুড়ায় করতোয়ায় স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
_______________________________
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট । বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭,
__________________________________
নদীর ঘাটে ছোট শিশুর খোঁজে স্বজনরা-

ছবিঃ(ইনিসটেটে ) শিশু ভাবনা শিকদার।

বগুড়া: বগুড়ার শহরের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ভাবনা শিকদার (৮) নিখোঁজ হয়েছে।

বেলা ২টা নাগাদ বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখলেও ওই ছাত্রীর সন্ধান মেলাতে পারেননি।

নিখোঁজ ছাত্রী শহরের চেলোপাড়ার ব্যবসায়ী গৌতম শিকদার ও মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নূপুর শিকদারের মেয়ে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বেলা অনুমান ১১টার দিকে গোসল করতে গিয়ে চেলোপাড়া সংলগ্ন জহুরুল পাড়া ঘাটে করতোয়া নদীতে স্কুল ছাত্রী ভাবনা শিকদার নিখোঁজ হয়।

বেলা ২টার দিকে শহরের নারুলী টাউন ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ছাত্রীর সন্ধান পাননি তারা।

এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় নদীপাড়ে ভিড় জমিয়েছেন বিপুল সংখ্যক জনতা। মা নূপুর শিকদার মেয়ের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তাকে স্বজনরা শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার আর্তনাদ থামাতে পারছিলেন না কেউ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি, দুর্ভোগ চরমে-____________________________________জামালপুর প্রতিনিধিপ্রকাশিত : ...
18/08/2017

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি, দুর্ভোগ চরমে-
____________________________________
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০১৭
____________________________________
জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের বিপদসীমা অতিক্রম করায় মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ ও সদর উপজেলার কমপক্ষে ৪০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।

বন্যার পানির তোড়ে তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়কের স্থল এলাকায় ২৫ মিটার এবং মেলাদন্দহ উপজেলার মেলান্দহ-মাহমুদপুর ও মাদারগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে ও ভেঙে গেছে। ভেঙে পড়েছে জেলা ও উপজেলার সাথে সরাসরি যাওয়ায় সড়ক।

জামালপুরের ইসলামপুরে মাছ ধরতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে আব্দুস ছালাম ও পানিবন্দি অবস্থায় চরম ঠান্ডা জ্বরে বিনাচিকিৎসায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিনেতন নামে এক গহবধূর মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় বন্যার পানিতে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনও বাড়ি-ঘরে পানি থাকায় নিজ ভিটা-বাড়িতে ফিরতে পারছে না বানভাসী লাখো মানুষ। তারা এখনও গবাদি পশুসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, উঁচু সড়ক ও ব্রিজে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।

উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে সেনাবাহিনীঃ_______________________________রিপোর্ট ২৩:০৫ , আগস্ট ১৪ , ২০১৭  ________...
16/08/2017

উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে সেনাবাহিনীঃ
_______________________________
রিপোর্ট ২৩:০৫ , আগস্ট ১৪ , ২০১৭
_______________________________
বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় দিনাজপুরে সেনাবাহিনী।

দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে সেনাবাহিনীর আরও তিন প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গাইবান্ধা সদরে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে তা পুনঃনির্মাণে সেনা সদস্যরা সদস্য কাজ করবে। এ জন্য ৫টি স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রীও নেওয়া হয়েছে সেখানে। এছাড়াও ১৯ পদাতিক ডিভিশন থেকে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল সোমবার (১৪ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা দুর্গত এলাকা কাজিরপুর উপজেলার বাহুকা এলাকা পরিদর্শন করেছে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনও সময় সেনাবাহিনীর আরও সদস্য বন্যা দুর্গত এলাকায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে তলিয়ে গেলে সরকারের নির্দেশে প্রাথমিকভাবে গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় ৬৬ পদাতিক ডিভিশন থেকে এক প্লাটুন সেনাসদস্য ঠাকুরগাঁও শহরে মোতায়েন করা হয়। ওই সেনাসদস্যরা রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরদিন ১৩ আগস্ট সকালে দিনাজপুর সদর ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় দুই প্লাটুন করে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটলে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে রবিবার (১৩ আগস্ট) পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের জন্য আরও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়।

বর্তমানে দিনাজপুর সদরে তিন প্লাটুন ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক কোম্পানি সেনাসদস্য বন্যা দুর্গত মানুষের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব এলাকা থেকে সেনাবাহিনী দুই শতাধিক বন্যা দুর্গত মানুষ উদ্ধারসহ বিপুল পরিমাণ গবাদিপশু ও গৃহস্থালী সামগ্রী উদ্ধার করেছে।

এছাড়াও গত রবিবার সৈয়দপুরে বাঁধ রক্ষা কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দুই প্লাটুন সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। এসব সেনাসদস্য সফলভাবে বাঁধ রক্ষা কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় সেনানিবাসে ফিরে আসে। একই দিনে সেনাবাহিনীর তিনটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও তিস্তা ব্যারেজে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে।

১৫ অগাস্ট:১৬ অগাস্ট : ১৯৭৫,কী ছিল সেদিনের পত্রিকায়ঃ _________________________বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্য...
15/08/2017

১৫ অগাস্ট:১৬ অগাস্ট : ১৯৭৫,
কী ছিল সেদিনের পত্রিকায়ঃ
_________________________
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার খবরটি পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনামেও আসেনি; একই চিত্র ছিল তখন বাংলাদেশের অন্য সংবাদপত্রগুলোতেও।

১৯৭৫ সালের ১৬ অগাস্ট ভোরে বাজারে আসা ওই সময়কার সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক ইত্তেফাকের ৬ কলামের শিরোনাম ছিল- ‘খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর শাসনক্ষমতা গ্রহণ’।

এই প্রতিবেদনের ‘ইন্ট্রো’ বা সংবাদ সূচনাতেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের খবর ছাপিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ‘গ্রহণ’ই প্রাধান্য পেয়েছিল।

সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনের শুরুটা হয়েছিল এভাবে, “রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী বৃহত্তর স্বার্থে গতকাল প্রত্যুষে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতাচ্যুত করিয়া দেশের শাসনভার গ্রহণ করিয়াছেন।”

এরপর লেখা হয়েছিল, “শাসনভার গ্রহণকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান স্বীয় বাসভবনে নিহত হইয়াছেন।”

ছয় কলামের এই সংবাদটির পাশেই দৈনিক ইত্তেফাক দুই কলামে ‘ঐতিহাসিক’ নবযাত্রা’ নামে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে।

ওই সময় পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী; বার্তা সম্পাদক ছিলেন আসাফউদ্দৌলা রেজা।

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাককে স্বাধীনতার আগে আওয়ামী লীগের মুখপত্র হিসেবেই মনে করতেন পাঠকরা।

১৬ অগাস্ট ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়

১৬ অগাস্টের ইত্তেফাকে প্রথম পাতায় আরও কয়েকটি খবরের শিরোনাম ছিল, ‘উপরাষ্ট্রপতি, ১০ জন মন্ত্রী ও ৬ জন প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ’, ‘অচল নোটের ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ফেরত’, ‘জাতির বৃহত্তর স্বার্থে শাসনভার গ্রহণ’, ‘যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক কূটনৈতিক কাজকর্ম চালাইয়া যাইবে’, ‘জনসাধারণের স্বস্তির নিঃশ্বাস’, ‘বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন’, ‘বিদেশি দূতাবাসের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকিবে’, ‘বি এ সিদ্দিকী রেডক্রসের চেয়ারম্যান’ ইত্যাদি।

১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধন এনে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর ইত্তেফাকসহ চারটি দৈনিক পত্রিকাই তখন প্রকাশ হচ্ছিল।

এহতেশাম হায়দার চৌধুরী সম্পাদিত ১৬ অগাস্টের দৈনিক বাংলার আট কলামের শিরোনাম ছিল- “খোন্দকার মুশতাক নয়া রাষ্ট্রপতি।”

প্রধান এই শিরোনামের শোল্ডারে লেখা হয়েছে, “শেখ মুজিব নিহত: সামরিক আইন ও সান্ধ্য আইন জারি: সশস্ত্র বাহিনীসমূহের আনুগত্য প্রকাশ”

প্রথম পৃষ্ঠাতেই ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ নামে একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৬ অগাস্ট দৈনিক বাংলা

শীর্ষ দৈনিকটির প্রথম পাতার অন্যান্য সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘দুর্নীতির সঙ্গে আপোস নেই’, ‘জোটনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করা হবে: রাষ্ট্রপতি’, ‘দশজন মন্ত্রী ও ছয়জন প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ’, ‘নয়া সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে’, ‘অচল শতকী নোটের ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য ফেরত দেয়া হবে’, ‘পাকিস্তানের স্বীকৃতি দানের সিদ্ধান্ত’।

ইত্তেফাকের মতোই দৈনিক বাংলাতেও প্রধান সংবাদের সঙ্গে মোশতাকের শপথের ছবি ছাপা হয়েছিল।

দ্য বাংলাদেশ টাইমসের আট কলামের প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘মুসতাক অ্যাসিউমস প্রেসিডেন্সি’।

এই শিরোনামের শোল্ডারে লেখা ছিল, ‘মার্শাল ল প্রক্লেইমড ইন দ্য কান্ট্রি: মুজিব কিলড’।

মূল শিরোনামের নিচে পত্রিকাটির প্রথম কলামে ‘আওয়ার কমেন্টস’ নাম দিয়ে একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়েছিল; যার শিরোনাম ছিল, ‘অন দ্য থ্রেসহোল্ড অব দ্য নিউ এরা’।

আব্দুল গনি হাজারি সম্পাদিত পত্রিকাটির প্রথম পাতার অন্যান্য শিরোনামগুলো ছিল, “পিপল থ্যাঙ্ক আর্মড ফোর্সেস’, ‘মুজিবস পিকচার রিমুভড’, ‘ইউএস রেডি ফর নরমাল টাই’, “ভাইস প্রেসিডেন্ট, টেন মিনিস্টার, সিক্স স্টেট মিনিস্টার সোয়ার্ন ইন’, ‘ভ্যালুজ হ্যাভ টু বি রিহ্যাবিলিটেটেড’, ‘হেল্প মেক বাংলাদেশ এ প্রসপরাস কান্ট্রি’।

প্রধান খবরে সঙ্গে মোশতাকের শপথের ছবি ছাপা হয়েছিল।

ওবায়দুল হক সম্পাদিত সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভারের ১৬ অগাস্টের প্রধান শিরোনাম ছিল- ‘মুশতাক বিকামস প্রেসিডেন্ট’।

শিরোনামের শোল্ডার ছিল- ‘আর্মড ফোর্সেস টেক ওভার: মার্শাল ল প্রোক্লেইমড: কারফিউ ইমপোজড’। কিকারে লেখা ছিল, ‘মুজিব কিলড: সিচুয়েশন রিমেইনস কাম’।

আট কলামের প্রধান শিরোনামের সঙ্গে মোশতাকের শপথের ছবি ছিল।

১৯৭৫ সালের ১৬ অগাস্টের ডেইলি অবজারভার

প্রধান সংবাদের নিচে ‘হিস্টরিক্যাল নেসেসিটি’ শিরোনামে সম্পাদকীয়। তার পাশের দুটি সংবাদের শিরোনাম, ‘স্পেশাল প্রেয়ার্স’, ‘মুশতাক কলস ফর কো-অপারেশন’।

পত্রিকাটির প্রথম পাতার অন্য শিরোনামগুলো ছিল, ‘পিপল হেইল টেক-ওভার’, ‘পাকিস্তান অ্যাকর্ডস রেকগনিশন’, ‘ইনভায়োবিলিটি অব ফরেন মিশনস অ্যাশিউরড’, ‘জাস্টিস মাস্ট বি এসটাব্লিস্টড: প্রেসিডেন্ট, ওয়ার্ক হার্ড টু ইমপ্রুভ কনডিশন কুইসকলি’, ‘ইউএস রেডি টু কনডাক্ট নরম্যাল ডিপ্লোম্যাটিক বিজনেস’, ‘কারফিউ রিল্যাক্সড ফর জুম্মা প্রেয়ার্স।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 15/08/2017 মঙ্গলবার।
14/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
15/08/2017 মঙ্গলবার।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 14/08/2017 সোমবার।
13/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
14/08/2017 সোমবার।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 13/08/2017 রবিবার।
12/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
13/08/2017 রবিবার।

দৈনিক করতোয়া প্রত্রিকার উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করি। শুভেচ্ছান্তেঃ _______________ ,🌹                            পক্ষে ...
11/08/2017

দৈনিক করতোয়া প্রত্রিকার উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করি।
শুভেচ্ছান্তেঃ _______________ ,🌹

পক্ষে - -

আহব্বায়ক,
গাবতলি উপজেলা কৃষকলীগ,
গাবতলি, বগুড়া।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 08/08/2017 ,মঙ্গলবার।
08/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
08/08/2017 ,মঙ্গলবার।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 08/08/2017 মঙ্গলবার।
08/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
08/08/2017 মঙ্গলবার।

আজ ২২শে শ্রাবণ, ১৪২৪।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬তম প্রয়াণবার্ষিকী।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যাকে বাঙালি নিত্যদিনের যাপনে প্র...
06/08/2017

আজ ২২শে শ্রাবণ, ১৪২৪।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬তম প্রয়াণবার্ষিকী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যাকে বাঙালি নিত্যদিনের যাপনে প্রত্যহ স্মরণ করে তাঁর কবিতা, উপন্যাসসহ অসংখ্য সাহিত্য ও শিল্পকর্মের জন্য।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা পরিবার পক্ষ থেকে কবিগুরুকে প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কলঙ্কিত ইতিহাসঃ'আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি…’আগস্ট ৪, ২০১৭ 1075পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। ভোর সাড়ে ৫টা দিকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি...
05/08/2017

কলঙ্কিত ইতিহাসঃ

'আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি…’
আগস্ট ৪, ২০১৭ 1075

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। ভোর সাড়ে ৫টা দিকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির রক্ষীরা বিউগল বাজিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শুরুকরেছেন।
ঠিক তখনই বাড়িটি লক্ষ্য করে দক্ষিণ দিক থেকে সরাসরি আক্রমণ শুরু হয়।

ধানমন্ডির বাড়িটি আক্রান্ত হওয়ার আগেই শেখ মুজিবুর রহমান আবদুর রব সেরনিয়াবাতের হত্যাকাণ্ডের খবর জেনে যান।

গুলির শব্দ শুনেই বঙ্গবন্ধু তার ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসেন। ঘুম থেকে উঠে পড়েন গৃহকর্মী আব্দুল আর রমা। বেগম মুজিবের কথায় রমা নিচে নেমে দেখেন সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য গুলি করতে করতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে।

এরই মধ্যে লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু নিচতলায় নামতে থাকেন। দোতলায় বেগম মুজিব আতঙ্কিত অবস্থায় ছোটাছুটি করেন। রমা তিনতলায় চলে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামালকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। ঘটনা শুনে শার্ট-প্যান্ট পরে নিচতলায় নামেন শেখ কামাল। সুলতানা কামাল আসেন দোতলায়।

শেখ জামাল তার স্ত্রীকে নিয়ে দোতলায় বেগম মুজিবের কক্ষে যান। ওদিকে গোলাগুলির মধ্যে অভ্যর্থনা কক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামনেই বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন মহিতুল (বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী)। পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও গণভবন এক্সচেঞ্জের চেষ্টার একপর্যায়ে রিসিভার নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি…’। বঙ্গবন্ধু তার কথা শেষ করতে পারেননি।

একঝাঁক গুলি জানালা দিয়ে অফিসের ভেতরে এসে দেয়ালে লাগে। কাচের জানালা ভেদ করে গুলি এসে মহিতুলের ডান হাতে বিদ্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু টেবিলের পাশে শুয়ে পড়েন।

কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণ থেমে গেলে নিচতলার ওই ঘর থেকে বারান্দায় বের হয়ে বঙ্গবন্ধু পাহারায় থাকা সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘এত গুলি হচ্ছে, তোমরা কী করছ’। এ কথা বলেই বঙ্গবন্ধু ওপরে চলে যান।

এরপর শেখ কামাল নিচে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আর্মি আর পুলিশ ভাইরা, আপনারা আমার সঙ্গে আসেন।’ এ সময় শেখ কামালের পেছনে গিয়ে দাঁড়ান মহিতুল ইসলাম ও পুলিশের ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম খান।

ঠিক তখনই মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) ও ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা সৈন্যদের নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। গেটের ভেতরে ঢুকেই তারা ‘হ্যান্ডস্ আপ’ বলে চিৎকার করতে থাকে।

এ সময় কোনো কথা না বলেই শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। নিজেকে বাঁচাতে লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। তখন মহিতুলকে বলতে থাকেন, ‘আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল। আপনি ওদেরকে বলুন’।

মহিতুল তা বলার সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা তার হাতে থাকা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ব্রাশফায়ার করে। ওখানেই মারা যান শেখ কামাল।

নিচে কী হচ্ছে তার কিছুটা টের পাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তার ঘরের দরজা বন্ধ করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফোনে তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিলউদ্দিনকে পান। বঙ্গবন্ধু তাকে বলেন, ‘জামিল, তুমি তাড়াতাড়ি আস। আর্মির লোকেরা আমার বাসায় অ্যাটাক করেছে। সফিউল্লাহকে ফোর্স পাঠাতে বল। ’

তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল সফিউল্লাহকেও ফোন করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তাকে বলেন, ‘সফিউল্লাহ তোমার ফোর্স আমার বাড়ি অ্যাটাক করেছে, কামালকে বোধ হয় মেরে ফেলেছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও।’

জবাবে সফিউল্লাহ বলেন, ‘আই অ্যাম ডুয়িং সামথিং। ক্যান ইউ গেট আইট অফ দ্য হাউজ?’

এদিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্নেল জামিল তার ব্যক্তিগত লাল রঙের গাড়িটি নিয়ে বঙ্গবন্ধু বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু সোবহানবাগ মসজিদের কাছে আসতেই ঘাতকরা জামিলকে হত্যা করে।

এর কিছুক্ষণ পর ঘাতকরা গুলি করতে করতে ওপরে চলে আসে। তারা শেখ জামালের ঘরের বাথরুমে আশ্রয় নেয়া গৃহকর্মী আব্দুলকে গুলি করে। তারা শেখ জামালের ঘরের বাথরুমে আশ্রয় নেয়া গৃহকর্মী আব্দুলকে গুলি করে। হাতে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থাতে তিনি সিঁড়ির পাশে গিয়ে হেলান দিয়ে বসে থাকেন।

এ সময় নিজ ঘরে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ছিলেন বেগম মুজিব, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, রোজি জামাল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ঘরের বাইরে অবস্থান নেয়। গোলাগুলি থামলে বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বাইরে আসা মাত্রই ঘাতকরা তাকে ঘিরে ধরে। মেজর মহিউদ্দিন ও তার সঙ্গের সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে যেতে থাকে। তখন ঘাতকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, “তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?”

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি, কী করবি-বেয়াদবি করছিস কেন?” এ সময় নিচতলা ও দোতলায় সিঁড়ির মাঝামাঝি অবস্থান নেয় বজলুল হুদা ও নূর। বঙ্গবন্ধুকে নিচে আনার সময় নূর কিছু একটা বলতেই মহিউদ্দিন সরে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা ও নূর স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে।

বঙ্গবন্ধুর বুকে ও পেটে ১৮টি গুলি লাগে। নিথর দেহটা সিঁড়ির ওপর পড়ে থাকে। রমার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে গুলির কথা শুনে বেগম মুজিব, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল।রোজী জামাল, শেখ নাসের এবং গৃহকর্মীরা বাথরুমে আশ্রয় নেয়।

ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নিচে নেমে এসে বেরিয়ে যায়। এরপরেই মেজর আজিজ পাশা ও রিসালদার মোসলেউদ্দিন তাদের সৈন্যসহ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আজিজ পাশা তার সৈন্যদের নিয়ে দোতলায় চলে যান এবং ঘরের দরজায় গুলি করতে থাকে। পরে বেগম মুজিব দরজা খুলে তাদেরকে না মারার অনুরোধ করেন। ঘাতকরা বেগম মুজিব, শেখ রাসেল, শেখ নাসের ও রমাকে নিচে নিয়ে আসতে থাকে।

সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখেই বেগম মুজিব চিৎকার করে বলেন, “আমি যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেল।”

বেগম মুজিব অস্বীকৃতি জানালে তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনেন। শেখ রাসেল, শেখ নাসের এবং রমাকে নিয়ে আসে। ওই ঘরেই বেগম মুজিব, শেখ জামাল, সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে গুলি করে হত্যা করে ঘাতক আজিজ পাশা রিসালদার মোসলেউদ্দিন।

শেখ নাসের, শেখ রাসেল আর রমাকে নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের সবাইকে এক লাইনে দাঁড় করানো হয়। লাইন থেকে নিয়ে পাশের ঘরে বাথরুমে নিয়ে শেখ রাসেলকে হত্যা করে। লাইনে দাঁড়িয়ে শেখ রাসের প্রথমে রমাকে ও পরে মহিতুলকে জড়িয়ে ধরে বলে, “ভাইয়া আমাকে মারবে না তো?”

এ সময় শেখ রাসেল মায়ের কাছে যেতে চাইলে আজিজ পাশা মহিতুলের কাছ থেকে জোর করে দোতলায় নিয়ে যেতে বলে। তখন এক হাবিলদার শেখ রাসেলকে দোতলায় নিয়ে যায় এবং সেখানেই শেখ রাসেলকে হত্যা করে। গুলিতে রাসেলের চোখ বেরিয়ে আসে। মাথার পেছনের খুলি থেতলে যায়।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর সেই প্রিয় বাড়িটি যেন রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। যেন গুলির শব্দ আর কামানের গর্জনে কেঁপে ওঠে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে কুচক্রী মহলের হাতে নিহত হবার পর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া :

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি, বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তান ।
-জেমস ল্যামনঞ্জড, ব্রিটিশ এমপি ।

শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই এর সাথে তুলনা করা যায়, জনগণ তার কাছে এতই প্রিয় ছিল যে লুই এর মত তিনিও বলতে পারতেন আমিই রাষ্ট্র ।
-পশ্চিম জার্মানি পত্রিকা ।

আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবের মত তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী ২০ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবেনা ।
-হেনরি কিসিঞ্জার ।

শেখ মুজিব নিহিত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে, অথচ তাকে হত্যা করতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সংকোচবোধ করেছে ।
-বি.বি.সি ১৫/০৮/১৯৭৫ ।

বাংলায় জাতির মহান নেতা আমাদের অনন্য সম্মানের পাত্র ছিলেন । তার মৃত্যুতে পৃথিবী এক শান্তির সৈনিক ও রাষ্ট্রনায়ক হারালো এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন হারালো এক মহান নেতাকে ।
- যুগোস্লাবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।

মুজিব ছিলেন একজন মহান নায়ক, নির্যাতিত মানুষের বন্ধু, তার রাজনৈতিক আদর্শ ও সংগ্রাম সবার জন্য অনির্বান রাখবে প্রেরণার উজ্জ্বল আলোক, তার হত্যাকান্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি বিশ্ববাসী হারালো একজন সন্তানকে। তিনি যদি আরো ৫ বছর দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন তবে সে দেশের ইতিহাস ভিন্নতর হতো, দেশ হতো আরো সুন্দর ও শান্তিময় ।
-জেমন্সল্যান্দ, ব্রিটিশ এমপি

এই করুন মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে ছিল তাহলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কোনো প্রয়োজন ছিলনা ।
-ডেইলি টেলিগ্রাম, ১৬/০৮/১৯৭৫ ।

জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্দি, ডি ব্যালেরার চেয়েও শেখ মুজিব এক অর্থে বড় নেতা ।
-মনীষী লর্ড ফেনার বকোয়ে ।

বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিব একমাত্র নেতা যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, কৃষ্টিতে এবং জন্মসুত্রে ছিলেন খাটি বাঙালি । তার দীর্ঘ দেহ, বজ্ব্রকন্ঠ, মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার ক্ষমতা, অসীম সাহস ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতার জন্য তিনি মহানায়কে পরিনত হন ।
-সিরিল ভান (সাংবাদিক)

শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুস হারালো তাদের মহান নেতাকে আর আমি হারালাম এক অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে ।
-ফিদেলকেস্ট্র ।

আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব এবং কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট ।
-ইয়াসির আরাফাত ।

শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত । তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন । তার অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরনাদায়ক ।
-ইন্দিরা গান্ধী ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম শহীদ ।
-সাদ্দাম হোসেন

শেখ মুজিব ভিয়েতনামি জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ।
-গিয়াস, ভিয়েতনাম ।

আজকের বিশ্বের মুক্তি সংগ্রামীরা মুজিবকে স্মরণ রাখবে চিরদিন ।
-কেনেথ কাউন্ত্রা ।

যিশুমারা গেছেন
-আকাশ বাণী (ভারত)

বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসাবে বিবেচনা করবে।
-ডেইলি টেলিগ্রাফ।

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা। 06/08/2017 রবিবার।
05/08/2017

দৈনিক সোঁনালী খবর পএিকা।
06/08/2017 রবিবার।

আজ ৫ আগস্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৬৮তম জন্মদিন।...
05/08/2017

আজ ৫ আগস্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৬৮তম জন্মদিন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে শেখ কামাল তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে সপরিবারে নিহত হন তিনি।

যোগ্য সংগঠক আর বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি.এ. অনার্স পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনে শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি।

তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তাঁর। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সেই সময়ের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়্যারকোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণের সময় তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

দিশেহারা তবুও স্থিরতায় অটুট থেকে বঙ্গবন্ধু টেলিফোন করলেন ওই সময়ের সেনা প্রধানকে। বললেন, ‘শফিউল্লাহ তোমার ফোর্স আমার বাড়ি এ্যাটাক করেছে । কামালকে বোধহয় মাইরা ফেলছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও ।

১৯৮৭ এবং ১৯৯৩ সালে দুটি সাক্ষাৎকারে তৎকালীন (১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট)সেনাবাহিনী প্রধান শফিউল্লাহ এসব তথ্য উল্লেখ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধের জবাবে সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ বলেছিলেন, ‘আমি কিছু একটা করার চেষ্টা করছি। পারলে আপনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত অষ্টম ওয়েজবোড বাস্তবায়ন কারী দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকায় অভিজ্ঞ বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি ও জেলা...
04/08/2017

ঢাকা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত অষ্টম ওয়েজবোড বাস্তবায়ন কারী দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকায় অভিজ্ঞ বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি ও জেলা ভিত্তিক কিছু সাংবাদিক নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীগন আগামী ১০ আগষ্ট ১৭ ইং তারিখের মধ্যে নিন্ম ঠিকানায় সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। ৫৩ মডার্ণ ম্যানশন (৯তলা) ,মতিঝিল,ব/এ,ঢাকা- ১০০০০। www.sonalykhobor.com

Address

Kazinazrul Islam Road
Bogura
5800

Telephone

88001736502882

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Newspaper/ The Daily Sonaly Khabor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Nearby media companies


Other Bogura media companies

Show All