10/12/2024
একটা মেয়ে একটুতেই কান্না করে, রাগ করে, ঝগড়া করে। আপনার মনে হলো আপনাকে বিরক্ত লাগে জন্য এমন করে। এদিক দিয়ে আপনি মেয়েটার থেকেও বোকা। কেননা একটা মেয়ে তার প্রিয়তম স্বামীর নিকটেই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে, নিজেকে মেলে ধরে আপন সত্তায়, তার যত আহ্লাদ, বাচ্চামি আপনাতে প্রকাশ পায়। মেয়েটা সারাদিনে ঘটে যাওয়া হাজারটা কথা উগরে দিচ্ছে, আপনার মনে হতে পারে সে বকবক করছে। কিন্তু না, আপনি আবারও ভুল। সে আপনাকে প্রায়োরিটি দিচ্ছে। সে আপনার প্রতি বিরক্তবোধ করলে আপনাকে নিজের সবচেয়ে আপন ভাবতে পারত না বরং এই একই কথা আপনি বুঝে গেলে আপনার কাছে তার আর দাম থাকে না।
বিয়ের আগে একটা মেয়ে নিজের যে কি পরিমাণ যত্ন নেয় সেটা অন্য একটা মেয়ে ছাড়া কেউ বুঝবে না। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ যত্ন করে, পেডিকিউর মেনিকিউর কি করে না সে নিজের জন্য৷ অথচ সেই মেয়েই আপনার সংসারে এসে ব্যস্ত হয়ে যায়, আপনার সংসারকে আগলে রাখে পরম যত্নে। সেই যত্নে একটু ভাঁজ পড়লে সে যদি বলে কাপড় এলোমেলো কেন,জুতা এখানে কেন আপনি ভাবেন আপনার উপর বিরক্ত। উপরন্তু ভাবলেন না আপনার সংসারের সাজানো জিনিসের কথায় সে বলছে যাতে সে শ্রম দিয়েছে। সংসারের দায়িত্বের চাপে পড়ে, স্ত্রীকে ভাল রাখতে আপনি যখন নিজের কথা, নিজের পছন্দের জিনিস কেনা বাদ দিয়ে দেন। তখন সেই মেয়েটাই সংসারের জন্য কিছু করতে তার সর্বস্ব দেয়, চেষ্টা করে আপনার পছন্দের সব আপনাকে দিতে। এসব অন্তরাত্মা দিয়ে দেখতে পান না, দেখতে পান তার রাগ, বিরক্তি, আপনার কাজ তার পছন্দ না ইত্যাদি।
তবে হ্যাঁ, যখন থেকে সে রাগ, ঝগড়া করবে না, এটা কর, ওটা করো না, এসব বলবে না তখনি সে আপনার থেকে দূরে যেতে থাকবে। সংসার যেমন শখের, একটা মেয়ের কাছে স্বামীও শখের, স্বপ্নের, আশার, অনুপ্রেরণার, আত্মার। একটা মেয়ে সারাজীবন যেমন নিজের একটা ঘর চায়, তেমনি চায় তাকে আদ্যপান্ত বোঝার একটা মানুষ হোক। কিন্তু হায়, তার আবেগ (কান্না, রাগ, জেদ) এর কারনে সে ঠকে যায় নিজের কাছে, হেরে যায় ভাগ্যের কাছে!
✍️
12.22am