13/10/2022
”জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে” দুই বছরের এলএল.বি পাশ করে যা হতে পারবেন। বিস্তারিত পড়ুন।
১। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী
আপনার আইনজীবী সনদের বয়স ২ বছর পূর্ণ হলে হাইকোর্ট পারমিশনের পরীক্ষা দিতে পারবেন। উক্ত পরীক্ষায় পাশ করলে আপনি বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গন্য হবেন। এলএল.এম করা থাকলে ১বছর পূর্ণ হলে এই পরীক্ষা দিতে পারবে।
২। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি
সুপ্রীমকোর্টর আইনজীবী হিসেবে ১০ বছর অতিবাহিত হলে আপনি হাইকোর্টর বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন। এখন সরকার চাইলে আপনাকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন। পরবর্তীতে সুপ্রীমকোর্ট সর্বোচ্চ বিভাগ- আপীল বিভাগের বিচারপতি হওয়ারও সুযোগ আছে। অর্থাৎ ২ বছরের এলএল.বি কোর্স করার পর সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি হওয়ার সুযোগ আছে।
৩। জজ কোর্টের আইনজীবী
৪। পিপি/জিপি
৫। বিভিন্ন ব্যাংকের লিগ্যাল এ্যাডভাইজার
৬। আয়কর আইনজীবী
৭। নোটারি পাবলিক
৮। আরো অন্যান্য সেক্টরে জব করতে পারবেন আইন বিষয়ে ডিগ্রী থাকলে।
এছাড়া আপনি, অধিকার, দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিচারপতি অথবা এ্যাডভোকেট হওয়ার পর পূর্বের তুলনায় বহুগুনে সামাজিক মর্যাদা বেড়ে যাবে।
👉👉 অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, আইন বিষয়ে দুই বছরের কোর্সে পড়ে বিজেএস দেয়া যাবে কিনা।
অবশ্যই আবেদন করা যাবে। জুডিশিয়াল শর্ত অনুযায়ী আপনার বয়স ৩২ বছরের কম হলে আপনি অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন।
বি.দ্রঃ (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদপত্র অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হবে।) প্রার্থীর বয়স বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
আইন পেশা নিয়ে যারা নেগেটিভ মন্তব্য করেন তারা আসলে অনেক বিষয় না জেনেই বলে থাকেন। কোন পেশাকে বুঝতে হলে ঐ সমাজের সফল ও জ্ঞানী মানুষদের কাছ থেকে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিৎ। ব্যার্থরা কেবল নেগেটিভ ফিডব্যাক দিবে। এটাই বাস্তব।
আসলে এতো কথা বলে লাভ কী? পৃথিবী যতোদিন টিকে থাকবে, মানুষ বাড়বে, সম্পর্কগুলোর মধ্যে জটিলতা হবে, মানুষে মানুষে ঝগড়া-বিবাদ বা গ্যাঞ্জাম লাগবে। নিশ্চয়ই সকলে জানেন, যেখানেই গ্যাঞ্জাম বা ঝগড়া-বিবাদ সেখানেই আইনের প্রয়োগ, আর যেখানেই আইনের প্রয়োগ- সেখানেই আইনের ডিগ্রিধারী !
তাই আইন পড়া জীবন- আসলেই একটা আলাদা জীবন। যে জীবন সবাই পায় না