17/04/2024
[ প্রিয় ভৈরববাসী! দয়া করে সময় নিয়ে পড়ুন!
এংগ্রি রিয়েক্ট দিবেন না। ]
উগ্র হি'ন্দু'ত্ব'বাদীদের চক্রান্ত: ফেসেঁ যাচ্ছে শত-শত মুসলিম তরুণী!
★ভা'গ'ও'য়া লাভ'ট্র্যাপ (গেরুয়া প্রেমের ফাদঁ) কি?
Bhagwa_love_trap হলো ভারতীয় উগ্র হি'ন্দু'ত্ব'বাদী সংগঠন BJP ও RSS এর মুসলিম পরিবারব্যবস্থা ধ্বংস করার এজেন্ডা। বিষদভাবে-
*হিন্দু যুবক কর্তৃক মুসলিম মেয়েকে বিভিন্নভাবে ফুসঁলিয়ে,
*মুসলিম মেয়ের জন্য নিজে মুসলিম হবে এমন অভিনয় করে,
*জ্বিনযাদু-কুফরি-তাবিজের মাধ্যমে হিন্দু ছেলের সাথে বন্ধুত্ব এবং
*পরবর্তীতে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে মুসলিম মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে;
১. ধর্মান্তরিত করা,
২. অপহরণ করে ধর্ষনের ভিডিও ধারণ করে এর ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা,
৩. ধর্মান্তরিত করে হিন্দু বানাতে না পারলে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ভোগ(গণধর্ষণ) করা এবং
৪. পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিভিন্ন পতিতাপল্লীতে বিক্রি করা।
★ভা'গ'ও'য়া লাভ'ট্র্যাপ কারা বাস্তবায়ন করে?
চরম দুশ্চিন্তার বিষয় এই যে, ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমটি -ইসকন, বাংলাদেশ (জাতীয়) হিন্দু মহাজোটসহ বিভিন্ন হি'ন্দু'ত্ব'বাদী সংগঠনের হাত ধরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম,রাজশাহী,ঢাকাসহ বেশিরভাগ এলাকা এমনকি গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। ট্র্যাপ/ফাদঁটি আমাদের কাছে অপরিচিত হলেও এটা পরিচালনা করে আমাদেরই আশপাশের কিছু উগ্র হি'ন্দু'ত্ব'বাদী। যাদের সাথে স্বাভাবিক চলাফেরায় কখনোই মনে হবে না যে, সে এমন নোংরা কোনো পরিকল্পনায় যুক্ত। হতে পারে সে আপনার ছোটবেলার স্কুলপড়ুয়া সাথী, অনলাইনে পরিচিত হওয়া বন্ধু, ব্যবসায়ীক অংশীদার কিংবা পাড়ার ফার্মেসী, মুদি, কাপড় বা কসমেটিক দোকানদার।
★কেন মু'শ'রি'ক'রা এই নোংরা কাজ করছে?
লাভ জি'হা'দ নামক এক ভুয়া প্রোপাগান্ডার নাম তুলে আজ উগ্র হি'ন্দু'ত্ব'বাদীরা মাঠে নেমেছে মুসলিম মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করতে। যেখানে ইসলামী পরিভাষায় লাভ জি'হা'দে'র নাম থাকা তো দূর, মুসলিম ছেলে-মেয়েদের বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কই হারাম। এমন কোনো আলিমকে দেখানো যাবে না যিনি বিবাহবহির্ভূত প্রেমকে সঠিক/বৈধ বলেছেন বা বিধর্মীদের সাথে প্রেম করে তাদের ধর্মান্তরিত করতে উৎসাহিত করেছেন।
কিন্তু মুদ্রার অপরপিঠে মু'শ'রি'ক'দের ধর্মনেতারা প্রকাশ্যে হিন্দু যুবকদের আহ্বান করছে মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাদেঁ ফেলে, ব্ল্যাকমেইল, ব্ল্যাকমেজিক করে ধর্মান্তরিত করার জন্য। তারা এটাকে পুণ্য ধর্মযুদ্ধ (পড়ুন পাপমোচঁনের কাজ) মনে করছে এবং এই কাজে সফল হলে সাথে সাথে দেয়া হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা, বাসস্থান এবং চাকরী। পরবর্তীতে মুসলিম মেয়েকে ভালো না লাগলে মেরে ফেলার বা পতিতাপল্লিতে বিক্রির নজির তো অহরহ!
মু'শ'রি'ক'রা এসব কথিত ধর্মযুদ্ধে উৎসাহিত হচ্ছে যেসব লম্পট ধর্মগুরুর মাধ্যমে, তাদের কয়েকজন:
১. মুসলিম নারীদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ কর: বিজেপি নেতা [জনপ্রিয় হিন্দু ধর্মীয় নেতা যোগী আদিত্যনাথ;
দৈনিক নয়াদিগন্ত, বঙ্গনিউজ.কম, ৫ মার্চ ২০১৫]
২. যারা মুসলিম মেয়েদের ফাসাবে তাদের চাকরি দেয়া হবে : শ্রী রাম সেনা
[চ্যানেল ২৪ নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩]
৩. হিন্দু ভাইদের উচিত মুসলিম মেয়েদের রাস্তায় ফেলে গণধর্ষণ করা: বিজেপি নেত্রী
[যমুনা নিউজ, ১ জুলাই ২০১৯]
★ট্র্যাপ যেভাবে কাজ করে
যদি হিন্দু পরিচয়েই অগ্রসর হয়, তবে:
১. সাধারণত ইসলামের কোনো বিধি -বিধান বা হিজাব- নিকাবের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলা শুরু করে। নিজেকে নিরীহ হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করে।
২. পড়াশোনার দরকারী নোট বা কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দরকারী জিনিস আদান-প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর করতে থাকে। রেস্টুরেন্টে বা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে খাওয়ানো খাবারে কুফরি-যাদুর মাধ্যমে, কাপড় বা শরীরের কোনো অঙ্গের অংশ (চুল, নখ, রক্ত) নিয়ে কুফরী করে ভা'গ'ও'য়া'র বীজ বপন করে। উল্লেখ্য, খাবারের সাথে স্লিপিং পিল বা ঘুমের বড়ি মেশানো তাদের বহুল ব্যবহৃত একটি কৌশল।
৩. মুসলিম হবার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করে, অনেকক্ষেত্রে এফিডেভিটের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করে মুসলিমও হয়। তবে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে মেয়ে প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরই সটকে পড়ে অথবা তখন বাচ্চার ভয় দেখিয়ে হিন্দু হতে বাধ্য করে।
যদি মুসলিম পরিচয়ে অগ্রসর হয় (অর্থাৎ আসল পরিচয় গোপন করে), তবে:
১. সাধারণত অনলাইনে-অফলাইনে মুসলিম নামে পরিচিত হয়। সেটা হতে পারে ফেসবুক, ভুয়া আইডি কার্ড, এফিডেভিট বা অন্য যেকোনো কিছুর মাধ্যমে।
২. মুসলিম ছেলেদের সাথে ঘনিষ্ঠ চলাফেরার মাধ্যমে তার ধর্মীয় অবস্থানের ব্যাপারে মুসলিম মেয়েদের মনে সন্দেহ-ই আসতে দেয় না। সালাম দেয়াসহ ইনশা আল্লাহ, মাশাআল্লাহ-প্রভৃতি ইসলামিক শব্দের ব্যাপক ব্যবহার করে।
★বাংলাদেশে ঘটা কিছু ঘটনা
১. মুসলিম সেজে প্রায় ২০০ নারীর সর্বনাশ করেছে অনুপ পোদ্দার [মানবজমিন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১]
“আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অনুপ পোদ্দার ফেসবুকে মনির খান নামে ফেইক আইডি দিয়ে মুসলিম মেয়েদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতেন। বিয়ের টোপ ফেলে শারীরিক সম্পর্কের পর ভিডিও রেকর্ড দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হতো ৫ লাখের অধিক টাকা, পরবর্তীতে অনলাইন গ্রুপগুলোতে ভাইরাল করে দেয়া হতো সেই ভিডিও/ছবি।”
২. প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ-খুন: গ্রেফতারদের আরো ৩ দিনের রিমান্ড [বাংলানিউজ২৪.কম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২]
“সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জোৎস্না ফার্মেসীতে ঔষধ আনতে গেলে পানির সাথে মেশানো চেতনানাশক খাইয়ে তাকে উপুর্যুপরি ধর্ষণ করে -জিতেশচন্দ্র গোপ, অনজিৎ গোপ এবং অসিত গোপ। পরবর্তীতে জানাজানির আশঙ্কায় তাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে নিথর দেহটি কোমর থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়।”
৩. হিন্দু যুবকের লালসার শিকার মাদ্রাসাছাত্রী, ৩ দিন পর উদ্ধার [দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২৯ মে ২০২১]
“সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে উজ্জল কুমার নামের এক হিন্দু যুবক মুসলিম পরিচয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে।পরবর্তীতে বিয়ের ব্যাপারে কথার জন্য দেখা করতে ডেকে অপহরন করে অন্য এলাকায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে।”
৪. সন্তানের পিতৃপরিচয় পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তানিয়া [দৈনিক খবরপত্র, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩]
“নেত্রকোনার দূর্গাপুর পৌরসভার ইমন সরকার এফিডেভিটের মাধ্যমে মুসলিম হয়ে বিয়ে করে একই এলাকার তানিয়া আক্তারকে। বাচ্চা হওয়ার পর ইমন ফিরে যায় পূর্বের ধর্মে এবং তানিয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু হতে চাপ দেয়।”
৫. ফেনীতে ধর্মপরিচয় গোপন করে পরকীয়া, ধর্ষণের অভিযোগে আইনজীবি কারাগারে [দৈনিক একুশে সংবাদ, ৮ অক্টোবর ২০২৩]
“ফেনী দায়রা জজ আদালতের আইনজীবি পিপলু মজুমদার নিজের হিন্দু পরিচয় গোপন করে মোশাররফ হোসেন তুহিন পরিচয় দিয়ে অনার্স অধ্যয়নরত এক মেয়ের সাথে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের পর অপহরণ করে ৩ দিন উপুর্যুপরি ধর্ষণ করে।”
[দ্রষ্টব্য: ইউনিসেফের তথ্যমতে শুধু গত ১০ বছরে ৩ লাখ শিশু-কিশোরী যৌনকর্মী হিসাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ২০ আগস্ট ২০২৩।]
Disclaimer: This post has no intention of bullying or harassment and does not condone any harm. This post is for raising awareness among girls.