11/08/2020
আপনি কোথয় জাবেন?
বাংলাদেশ ব্যাংকে→তার নির্বাহী পরিচালকের নাম [শুভঙ্কর সাহা]।
পর্যটন কর্পোরেশনে যাবেন→তার চেয়্যারম্যান [অপরূপ চৌধুরী]।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে যাবেন→তার পরিচালক [প্রশান্ত কুমার রায়]।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে যাবেন→তারও চেয়ারম্যান [তপন কুমার চক্রবর্তী]।
পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (ডিপিডিসি) যাবেন→সেখানেও চেয়ারম্যান [তাপস কুমার]।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে যাবেন→তার মহাপরিচালক [স্বপন কুমার রায়]।
পাবলিক লাইব্রেরী যাবেন→তারও মহাপরিচালক [আশীষ কুমার সরকার]।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে যাবেন→তারও চেয়ারম্যান [নারায়ন চন্দ্র সাহা]।
প্রেস কাউন্সিলে যাবেন→তার প্রধানও [শ্যামল চন্দ্র কর্মকার]।
সর্বত্রই এখন হিন্দুদের দাপট(কেনো)। বেছে বেছে সব উপরের পদগুলোতে বসানো হয়েছে হিন্দুদের (কেনো)। মুসলমানদেরকে করা হয়েছে হিন্দুদের অধিনস্ত(কেনো)। হিন্দু বস যা বলে, অধিনস্ত মুসলিমদের তাই মুখ বুজে মেনে নিতে হয়(কেনো)।
তবে শুধু বস হিসেবে নয়, হিন্দু হওয়ার কারণে তাদের থাকে আলাদা দাপট, বিষয়টা এমন- তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধেও কিছু বলা যায় না।
আমাদের ভাই {আবরার ফাহাদের) হত্যাকারি অনিক সরকার কোন ধর্মের?
হিন্দুদের দ্বারা মুসলিম কর্মকর্তারা এখন পুরোপুরি কোনঠাসা এবং নির্যাতিত। সবাই বুঝতেছে, কিন্তু কিছুই যেন করার নেই।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সাপ্তাহিকী "ঠিকানা" ৩ জানুয়ারি (২০১৪) সংখ্যায় এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
এক নজরে বাংলাদেশের সচিবালয় থেকে "হারিয়ে যাচ্ছে ইসলাম-মোহাম্মদরা, বাড়ছে রায়-বাবুদের আধিপত্য" শীর্ষক প্রতিবেদনের সূচনাতেই বলা হয়, ‘সচিবালয়ে ঢুকে আপনি দয়া করে কনফিউজড বা বিভ্রান্ত হবেন না। হয়তো ভাবতে পারেন, কোথায় আসলাম?
ঢাকা নাকি দিল্লির সিভিল সার্ভিস পাড়া এটা ! ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে সিভিল সার্ভিসে হিন্দু সম্প্রদায়ের আমলাদের আধিক্য দেখে আপনি অবাক হতেই পারেন। সাইনে লেখা রয়েছে অমুক বোস বা অমুক রায়, কোনোটায় অমুক দত্ত, আবার কোনোটায় অমুক বিশ্বাস।
আফসোস ও পরিতাপের বিষয় এই যে, এসব "নেম সাইনের" ভিড়ে হারিয়ে গেছে মোহাম্মদ বা ইসলাম নামের "নেম সাইন"।
সচিবালয়ে এখন নাকি মুখে কথা হয় না, ভাব বিনিময় হয় ইশারায়। হিন্দু অফিসারদের দাপটে মুসলমানরা রয়েছেন কোণঠাসা অবস্থায়। চাকরি আছে কিন্তু চেয়ার টেবিল নাই, মুসলমান এমন কর্মকর্তার সংখ্যা সচিবালয়ে এতই বেড়েছে যে, লাইব্রেরিতে বা ক্যান্টিনেও এখন আর বসে সময় কাটানোর জায়গা নেই।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন অফিসার বললেন, বর্তমান সরকারের শুরু থেকেই একটি চক্র তালিকাহাতে এ কাজটি করে আসছে। চিহ্নিত হিন্দু অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ কোথায় কোথায় বসাবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত। এমনকি কয়েকপদ ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দেয়া হিন্দু ওই কর্মকর্তাদের।
ওএসডি থাকা একজন অতিরিক্ত সচিব বললেন, শুধু সচিবালয়েই নয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিচারালয়, টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর, পুলিশ-প্রশাসন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বত্র এখন দাপটে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন হিন্দু কর্মকর্তারা। তিনি জানালেন, এখন অনেকেই বলে থাকেন, খুব বেশি দূরে নয়, হয়তো দেখা যাবে পাকিস্তান আমলে ‘পাঞ্জাবি খেদাও’ অভিযানের মতো বাংলাদেশেও এ ধরনের কোনো অভিযান শুরু হয়ে যাবে।
আমার দৃষ্টিতে, বর্তমান সময়টা ঠিক ব্রিটিশ আমলের মত। ব্রিটিশ পিরিয়ডের শুরুতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের প্রাধান্য বিস্তারের জন্য সকল মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরিয়ে শুধু হিন্দুদের নিয়োগ করেছিলো।
চাকুরীতে হিন্দুদের তুলনামূলক বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে) হিন্দুদের হাতে দেশ তুলে দিচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে নতুন করে পরাধীনতার শিকল এমনভাবে ঘিরে আছে, ধরছে বাংলাদেশকে তা থেকে বের হতে কত যুগ পেরিয়ে যায় !!!
-