চাষী ভাই

চাষী ভাই কৃষি কাজ করি, এই বলে আমাকে ক্ষেত ভাবতেই পারেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশ ক্ষেত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

💥আজকের আলোচনার বিষয় "গরুর পরজীবী"  মূলত কি? এবং কিভাবে গরুকে সর্বোচ্চ"কৃমি" বা "পরজীবী মুক্ত করণ" করা যায় ।💥♻️ ইনশা, আল্...
23/12/2024

💥আজকের আলোচনার বিষয় "গরুর পরজীবী" মূলত কি? এবং কিভাবে গরুকে সর্বোচ্চ"কৃমি" বা "পরজীবী মুক্ত করণ" করা যায় ।💥

♻️ ইনশা, আল্লাহ আশা করি ধর্য সহকারে এই বিষয়টি একবার পড়লে গরুর কৃমি ও গরুকে সর্বোচ্চ পরজীবী মুক্তকরণ বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না ♻️

💥♻️এই কৃমি বা পরজীবী গরুর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করে ♻️

তাহলে প্রথমেই জেনে নেই গরুর পরজীবী মূলত কি?

♻️যে সব জীব বেঁচে থাকার জন্য ও বংশবিস্তারের জন্য গরুর অভ্যন্তরে ও বাহিরে বসবাস করে তাদেরকে গরুর পরজীবী বলে। গরর পরজীবের মধ্যে অন্যতম হলো : গোল কৃমি, ফিতা কৃমি, পাতা কৃমি, কলিজা কৃমি, ও উকুন, আটুলি, মাইট ।

♻️ গরুর পরজীবীকে আবার দুই ভাগেভাগ করা যায়।
💠 ১) অন্ত:পরজীবী।
💠২) বহি: পরজীবী।


💥💥আন্ত: পরজীবী💥💥
.......//..............//..................//................//..........
⏩ যেসব পরজীবী গরুর শরীরের অভ্যন্তরে বসবাস করে তাকে অন্তঃপরজীবী বলে।
যেমন: গোল কৃমি, ফিতা কৃমি, পাতা কৃমি, ও কলিজা কৃমি।

। 💥💥 বহি: পরজীবী 💥💥
.............//..........//..................//..............//..........
⏩ যেসব পরজীবী গরুর শরীরের বাহিরে বা উপরে বসবাস করে তাকে বহি:পরজীবী বলে।
যেমন : উকুন, আটুলি, মাইট।


💥💥 আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও সৃষ্ট সমস্যা💥💥..........//................//..................//..............//......
♻️ একটি গরু অন্তঃপরজিবি ও বহি:পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলোকেই মূলত অন্ত: পরজীবী ও বহি: পরজীবী আক্রান্ত গরুর লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়। একটি গরুর যেসব সমস্যা দেখা দিলে মূলত গরুটি অন্ত:পরজীবী বা বহি:পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত সে সমস্যা গুলো বা লক্ষণ গুলো হলো :

♻️ ১) আক্রান্ত প্রাণির ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়।
♻️২) ক্ষুধামন্দা ভাব বা লক্ষণ প্রকাশ পায়।
♻️ ৩) প্রাণির শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা যায়।
♻️ ৪) দেহত্বকের লোম উস্কো খুস্কো হয়ে যায়, অনেক সময় লোম ঝরে ঝরে যায় ।
♻️ ৫) প্রাণির ত্বকে প্রচন্ড চুলকানি হয়। এক পর্যায়ে প্রাণি চুলকানির জন্য শক্ত বস্তুর সাথে শরীর ঘষে । ফলে অনেক সময় চামড়া উঠে রক্ত বের হয়ে আসে ।
♻️৬) প্রাণির শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

♻️ কোনো গরুর মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে যে সেই গরু পরজীবীতে আক্রান্ত ♻️

💥 💥চিকিৎসা 💥💥..........//..........//...........................//..........//........
♻️আমরা উপরন্তু আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে গরুর পরজীবী গুলো হলো : গোল কৃমি, ফিতা কৃমি, পাতা কৃমি ও কলিজা কৃমি এবং উঁকুন, আটুলি, মাইট।

💥তাহলে এই কয়েকটা পরজীবী জীব কে ধ্বংস বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই আমরা গরুকে সর্বোচ্চ কৃমি বা পরজীবী মুক্ত করতে পারবো এবং উপরন্তু সমস্যা গুলো থেকে আমাদের গরুকে হেফাজতে রাখতে পারবো। তাহলে আমরা যেভাবে আমাদের খামারের গরুকে সর্বোচ্চ কৃমি মুক্ত বা পরজীবী মুক্ত করি তার নিয়মাবলী এখানে তুলে ধরতেছি।।।

💥আমরা প্রথমত গরু কিনার ৭ দিন পর, গরুকে সর্বপ্রথম কৃমি মুক্ত বা পরজীবী মুক্ত করণের জন্য কীটনাশক জাতীয় গুলোর মধ্যে টেবলেট জাতীয় একটি ঔষুধ দেই। ঔষুধ গুলোর নাম হলো :

✅১) এলটি ভেট /৫০ কেজির জন্য ১ টা
✅২) রেনাডেক্স ভেট / ৫০ কেজির জন্য ১ টা
✅৩) এলটি ভেট ডিএস / ১০০ কেজির জন্য ১ টা
♻️(বিঃ দ্রঃ যে কোনো একটি দেই )

⚠️⚠️⚠️ শীতকালীন সময়ে আমরা গরুকে কৃমির টেবলেট এর পরিবর্তে "এ-মেকটিন প্লাস " ইনজেকশন করি চামড়ার নিচে ১০০ কেজি ওজনের জন্য ৩ মিলি। এটিও টেবলেটের মতো একই কাজ করে।

শীতকালীন সময়ে কৃমির টেবলেট দিলে গরুর খাওয়ার রুচির সমস্যা দেখা যায় অনেক বেশি তাই ইনজেকশন প্রয়োগ করি।

টেবলেট গরুকে খালি পেতে খাওয়াতে হয় এবং টেবলেট খাওয়ার পর সর্বনিম্ন ২ হতে৩ ঘন্টা কোনো খাদ্য দেওয়া যাবে না। এবং টেবলেট খাওয়ার ৩ হতে ৪ ঘন্টা পর গরুকে গোসল দিয়ে খাদ্য দেওয়া উত্তম। এবং গরুকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিভার টনিক ও জিঙ্ক খাওয়ানো শুরু করা উত্তম।

♻️ এগুলো ঔষুধের মাধ্যমে গরুর মধ্যে থাকা অন্ত:পরজীবীর মধ্যে গোল কৃমি, ফিতা কৃমি, ও পাতা কৃমি ধ্বংস হয়। ♻️

💥তাহলে গরুকে সম্পূর্ণ পরজীবী মুক্ত করণের জন্য আমাদের এখনো "কলিজা কৃমি" ও উঁকুন, আটুলি, মাইট ধ্বংস করা বাকি আছে।এসবের মধ্যে আমরা আগে গরুকে কলিজা কৃমি মুক্ত করি, টেবলেট প্রয়োগের প্রায় ১৫ দিন পর । এর জন্য আমরা ব্যবহার করি

✅১) নাইট্রোনেক্স ইনজেকশন / ৫০ কেজির জন্য "১. ৫" মিলি।

♻️ তাহলে এই ইনজেকশনের মাধ্যমে আমাদের কলিজা কৃমি ধ্বংস হয়ে গেলো ♻️

💥 এখন আমাদের গরুকে সর্বোচ্চ পরজীবী মুক্ত করার জন্য ধ্বংস করা বাকি আছে, " উঁকুন, আটুলি, মাইট " এগুলো ধ্বংস করার জন্য ঔষুধ প্রয়োগ করি কলিজা কৃমি মুক্ত করার ২ দিন পরেই। তাহলে এগুলো ধ্বংস হলেই ইনশা,আল্লাহ আমাদের গরু সর্বোচ্চ পরজীবী মুক্ত হবে। এগুলো ধ্বংসের জন্য আমরা ব্যবহার করি :

✅১) এ- মেকটিন ভেট ড্রপ(১০০ কেজির জন্য ১ টি )
🤔২) অথবা আইভারমেক ড্রপ (১০০ কেজিতে ১ টি

⚠️⚠️বিঃ দ্রঃ যে কোনো একটি ড্রপ ব্যবহার করি গরুর "গরুর মাথার উপরি ভাগ গুলা উপর থেকে শুরু করে পিঠ দিয়ে লেজের শেষ অংশ পর্যন্ত একটি রেখা টেনে দেই )💠

♻️এতে আলহামদুলিল্লাহ গরুতে থাকা সকল পরজীবী ( গোল কৃমি, ফিতা কৃমি, পাতা কৃমি, কলিজা কৃমি, উঁকুন, আটুলি, মাইট ) ধ্বংস হবে। আমরা এভাবেই আমাদের ২ মাসে হাড্ডিসার গরু মোটাতাজা খামারের সব গরু সম্পূর্ণ রূপে কৃমি, বা পরজীবী মুক্ত করণ করি♻️

⚠️⚠️ বি দ্রঃ অনেক জন পরিপূর্ণ কৃমি মুক্ত করার লক্ষে গরুকে কৃমির বুস্টার ডোস দেয় । আমরা মূলত আমাদের কোনো গরুকে বুস্টার ডোস দেই না। কারণ গরুকে কখনো সম্পূর্ণ কৃমি মুক্ত করা সম্ভব না। আর যদি বুস্টার ডোস দিয়ে সম্পূর্ণ কৃমি মুক্ত হয় তাহলে আবার কেনো ৩ মাস পর গরুকে কৃমির টেবলেট খাওয়াতে হয়??প্রশ্ন থেকে যায়!! যাক এই বিষয়ে আলোচনা করলে অনেক বড়ো হয়ে যাবে অন্য কোনো দিন্ করবো ইনশাআল্লাহ। বলতে কী বুস্টার ডোস করা হয় কৃমির ডিম ধ্বংস করার জন্য, আর কৃমির ডিম সম্পূর্ণ ধ্বংস করা গরুর জন্য হবে ক্ষতিকর, আর এটা সম্ভব না,, সম্ভব হলে ১ বার বুস্টার ডোস দিয়ে সারাজীবন গরুকে কৃমির টেবলেট খাওয়ানো আর লাগতো না।।

⚠️ গরু ও খামার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পেজটিতে ফলো দিয়ে আমাদের সাথে থাকতে পারেন, এবং প্রয়োজনে ইউটুবে গিয়ে চাষী ভাই নাম সার্চ দিয়ে আমাদের চ্যানেলে যুক্ত থাকতে পারেন।
যাজাকাল্লাহ খাইরুন। ♻️♻️
#গরুরহাট

সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
16/12/2024

সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

আলহামদুলিল্লাহ বিক্রি করে দিলাম।
14/12/2024

আলহামদুলিল্লাহ বিক্রি করে দিলাম।

পোড়াদিয়া গরু বাজার।
12/12/2024

পোড়াদিয়া গরু বাজার।

যারা নতুন খামার করতে আগ্রহী এবং ডেইরি খামার করতে চান  তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্ট টি পড়ুনঃ-----মানলে খামার করে লোকস...
09/12/2024

যারা নতুন খামার করতে আগ্রহী এবং ডেইরি খামার করতে চান তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্ট টি পড়ুনঃ-----

মানলে খামার করে লোকসান নয় লাভ হবে।প্রবাসী ভাইয়েরা ও পড়বেন।

শুরুতে ৩টি বিষয় থাকতে হবে।
ধৈয্য'
ডিসিপ্লিন
নিজের_যা_আছে_তা_নিয়ে_সন্তুষ্ট_থাকতে_হবে।

১।আমরা খামারীরা গরীব ঘরের সন্তান হয়ে,বড় ধরনের ঝুঁকি আসলে আমরা সইতে খুবই কষ্ট হয়।
তাই খামারের শুরুতে ছোট্ট আকারে শুরু করবেন।
১/২টি বকনা ও ভালো জাতের ২/৩ টি গাভী দিয়ে শুরু করুন।

২।শুরুতে বড় আকারে ডেইরী নিয়ে শুরু করলে দুধের বাজার,দুধ সেল দিতে পারবেন কি না তা ভেবে নিবেন।নয়তো দুধের দোকানে/মিষ্টির দোকানে ৫০ হাজার ৭০ হাজার বাকী থাকতে হবে, পরে খামার নিয়ে হিমসিম খেতে হবে।

৩।গরু কিনার সময় জাত চিনতে হবে,নিজে প্রথমে জাতের গরু চিনতে অসুবিধা হবে তাই অভিক্ত লোক সাথে নিয়ে গরু কিনতে হবে।
অনলাইন থেকে গরু কিনলে বুঝে শুনে কিনবেন,অসাধু দালালের হাতে পড়লে যা হবে অনলাইনে ২০/২৫ লিটার বলে দিবে পাবেন ১০/১২ লিটার।
সুতরাং সাবধান!

৪।গরু কিনার সময় অবশ্যই গরুটি সুস্থ আছে কি না খেয়াল করতে হবে,গাভী হলে দুধ দহনে লাথি মারে কি না,৪টি বাট দিয়ে দুধ ঠিক মতো আসে কি না,বয়স কী ইত্যাদি জেনে নিতে হবে।

৫।শুরুতেই ১০/১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করবেন না।
কারন শুরুতে রিক্স না নেওয়া উওম।শুরুতে ২০ লিটারে গাভী নিবেন না, ১০/১৫ লিটার সবোচ্চ।কারণ এতো দামী গরু দিয়ে শুরু করলে কোন প্রকার সমস্যা হলে খামার করার মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ও আরো অনেক আনুষাঙ্গিক বিষয় আছে তা শুরুতে বুঝতে কঠিন হবে।

৬।টাকা থাকলেই সব কিন্তু সম্ভব নয়,টাকা গরমে ২ লাখ ৩লাখ টাকা করে গরু কিনবেন না শুরুতে।
প্রবাসে থাকেন, ১০ টি গরু কিনে রাখাল রেখে দিয়ে খামার করবেন এমন সিদ্ধান্ত নিবেন না।তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না,যা হারে হারে টের পাবেন।কারণ ভালো রাখাল পাওয়া কঠিন।

৭।লাখ লাখ টাকার গরু খামারে তবে ১০০০/২০০০ হাজার টাকার অতিরিক্ত ঔষুধ খামারে রাখতে কষ্ট লাগে এমন চিন্তা করা যাবে না,প্রয়োজনীয় ঔষুধ কিছু খামারে রাখুন। গভীর রাতে দোকান তো বন্ধ থাকবে।
তাই খামারে রাখুন,
থামোমিটার
গ্যাসের ঔষুধ
জ্বরের
বদ হজমের
পাতলা পায়খানার
ঠান্ডার
আমাশার
ভিটামিন বি, এডি৩ই ইনজেকশন

৮।ট্রেনিং করতে হবে ৩ মাসের, সাপ্তাহিক বা মাসিক প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের খামারী মিটিং ও ট্রেনিং এ উপস্থিত থাকতে হবে।

৯।গরুর যত্ন করতে হবে নিয়মিত।
গরুর গোসল,ঠিকসময়ে খাদ্য দেওয়া,নিয়মিত খামার পরিস্কার করা, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে রাত ১০ টায় খামারের সব গুলো গরুর খেয়াল নিবেন, গরু গুলো জাবর কাটছে কি না, প্রসাব পায়খানা ঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করতে হবে।এই ডিসিপ্লিন গুলো মেনে চলতে হবে।

১০।ধৈয' থাকতে হবে।খামারে লাভ আর লাভ তা কিন্তু নয়,কখনো কোন সমস্যা হতে পারে, আগুন লেগে পুড়ে যেতে পারে,গরু মারা যেতে পারে,গাভী বার বার বীজ/সিমেন দিলে না ও রাখতে পারে তাই বলে গাভী রাগে বিক্রি করা যাবে না।সমস্যা কেথায় তা খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে, লেগে থাকতে হবে।

১১।আপনার খামারে ২ টি ১০/১২ লিটার দুধের গাভী আছে ১/২ টি ভালো জাতের বকনা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।অন্যর বড় খামার ও বড় ওলানের গাভী দেখে পাগল হবেন না।কারন নিজের যা আছে তা নিয়ে শুকরিয়া আদায় করা জরুরী।
হয়তো সময়ের ব্যবধানে আপনি তার চেয়ে বড় খামারী হতে পারেন,তাই সততা নিয়ে পরিশ্রম করুন।

১২।অবহেলা দূর করে সাহস রাখুন,গরু অসুস্থ হলে মন খারাপ করবেন না,যখন কোন গরুর সমস্যা হবে তখন নিজের আয়ত্তে না থাকলে দ্রুত ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করাবেন।তবে মনে রাখতে হবে রোগ ছোট্ট হউক বড় হউক অবহেলা করা যাবে না।কারণ একটু অবহেলার কারণে লাখ টাকার সমস্যা তো হতে পারে।

১২।গরু পালতে হলে গরু হতে হবে।
কারণ ৫০০ টাকার প্যান্ট,৪০০ টাকার শাট খুলে লঙ্গি আর কোমড়ে গামচা বেঁধে কাজ করতে হবে।

১৩।গাভী_না_বকনা না মোটাতাজা করন দিয়ে খামার শুরু করবেন।
শুধুই বকনা__দিয়ে শুরু করলে কমপক্ষে হিটে আসার আগ পযন্ত ও বাচ্চা দেওয়ার আগ পযন্ত আপনি কোন লাভের মুখ দেখতে পারবেন না।বরং হিটে আসলে কয়েকবার বীজ দিলে বীজ মিস করবে,খাদ্য খরচ,লেবার খরচ, কারেন্ট বিল হাত থেকে দিয়েই যেতে হবে এতে খামারের প্রতি আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়।

গাভী দিয়ে শুরু করলে দুধ বিক্রির টাকা দিয়েই গাভী ও বাচ্চার খাদ্য খরচ সহ অনন্যা খরচ ও চলে যাবে।ও গাভী হিটে আসলে বীজ দিয়ে আবার পুণরায় বাচ্চা দেওয়ার প্রস্তুতি নিবে।তবে সঠিক ভাবেই লালন পালন করতে হবে।

মোটাতাজা করণ প্রকল্প করলে ৩ মাস বা ৬ মাস মেয়াদী বিক্রির আগ পযন্ত খাদ্য ও ঔষুধ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ হাত থেকে বহন করতে হবে পরে লাভ লসের হিসাব।

সুতরাং আমার মতে শুরুতে ১/২ টি বকনা ও ২/৩ টি গাভী দিয়ে শুরু করাই ভালো।

১৪।নতুন অবস্থায় গাভীন গরু কেউ কিনবেন না।কারণ অনেক সময় গাভীর ১/২টি বাট দিয়ে দুধ আসে না, ও দুধ দহনে নড়াচড়া করে, লাথি মারে তখন সেই গাভী বিক্রি করতে পারে না।পরে ৫/৬/৭/৮/৯ মাসের গাভীন হলে বিক্রি করে।সুতরাং সাবধান!
তবে পরিচিত জনের গাভী হলে ভিন্ন কথা।

১৫।ইউটিওব,ফেসবুকের সফলতার গল্প শুনে কেউ খামার করবেন না, কারণ ঐ গল্প গুলোর পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক তথ্য যা প্রকাশ করে না।
বাস্তবতা বড়ই কঠিন,কল্পনা পরিহার করে বাস্তবতা মেনে খামার করুন দেখবেন সফলতা আপনার পিছু নিবে।

01/12/2024

আহ্ কত সুন্দর। 🥰


#গরু
#গরুর

28/11/2024

বিদেশ নাকি দেশে গরুর ফার্মিং।

অনেক জটিল একটি বিষয়।তবে চেষ্টা করবো সহজ করে উত্তর দিতে।

থ্রি ইডিয়টস মুভিটি যারা দেখেছেন তারা জানেন মুভিটির মুটিভ ছিলো যার যেইটা ভাল লাগে তার সেটা করা উচিৎ। আমার কথাই ধরুন না, Textile পড়াশোনা করেছি যদিও এটা আমার পছন্দের সাবজেক্ট ছিলো না ভাগ্যক্রমে Textile পড়াশোনা করে ফেলেছি আর কি ।স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে চাষী হবো,পড়াশোনা শেষে এখন চাষী হবারি চেষ্টা করছি,এবং পাশাপাশি সেনেটারি মালামাল ও হার্ডওয়ারি পণ্যের ব্যবসা করছি।

চয়েজের কথা আসলো যে কি নিয়ে কাজ করবো?
বড় পশু নাকি মুরগী। আমার ভাল লাগার যায়গা ছিলো লার্জ এনিম্যাল অর্থাৎ গরু, ছাগল এইসব নিয়ে কাজ করা।পছন্দ মতো শুরু ও করলাম।

এই যে এতোক্ষণ কথাগুলা বললাম এর পেছনের কথা হচ্ছে ভাই আপনার কি করতে মনে চায় সেটি আগে বের করুন।আপনি কি বোবা প্রাণি গুলোকে ভালবাসেন নাকি শুধু টাকার জন্য আপনি এই ব্যবসায় নামতে চাচ্ছেন?
যদি কারণ টাকা হয় তবে ভাই আপনি বিদেশ চলে যান চোখ বন্ধ করে। গরুর ফার্মিং আপনার জন্য না।

তাহলে কি ভাই যারা গরুর ফার্মিং করে তারা টাকার জন্য করেনা?

ভাই বিষয়টি কিন্তু এমনটা নয়।টাকার আগে ভালবাসা,পছন্দের যায়গা আছে।আপনি তখনি success হবেন যখন আপনি আপনার পেশাটিকে ভালবাসবেন।

এর পরে যে বিষয়টি আছে সেটি হচ্ছে আপনার প্রয়োজন কেমন। যেমন ধরেন আপনার প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা প্রয়োজন এবং এই টাকাটা প্রতি মাসে অবশ্যই আপনার লাগবে তাহলে ভাই আপনি বিদেশ চলে যান।আমি বার বার বলি গরুর ফার্মিং একটি লম্বা প্রসেস,স্লো ফার্মিং যাকে বলে।অর্থাৎ দীর্ঘদিন যাবত ইনভেস্টমেন্ট করবেন আর রিটার্ন পাবেন অনেক সময় পর।ভাই লাভ লসের হিসাব কিন্তু পরে।এখন আপনার যদি মনে হয় যে গরুর ফার্মের উপর আপনার নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই।আপনার অন্য কোন ইনকামের রাস্তা আছে, আপনি চাচ্ছেন আপনার মোট সম্পদের পরিমান বাড়াতে অর্থাৎ শুরু করলেন ১০ টি গরু দিয়ে ৫ বছর পর হবে ৩০০ গরু।কিছু কিছু করে ইনভেস্টমেন্ট করবেন বিষয়টি অনেকটা ব্যাংকে টাকা জমা রাখার মতো তবে এটি ১০০% হালাল উপার্জন।

তাহলে বলবো ভাই আপনার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই।দেশে পরিবারের সাথে থাকুন পাশাপাশি আপনার গরুর ফার্মটিকে এগিয়ে নিন।সফলতা একদিনে আসেনা সবসময় মাথায় রাখবেন।আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন কারন এতে লাভ এবং লস দুটি হওয়ার চান্স আছে।সুদ হারাম কারণ এতে লসের কোন কারবার নেই।

কি ভাবছেন? চাকরি করবেন নাকি কৃষি সেক্টরে উদ্যোক্তা হবে?
24/11/2024

কি ভাবছেন?
চাকরি করবেন নাকি কৃষি সেক্টরে উদ্যোক্তা হবে?

বাংলাদেশে চাকরির অনেক অভাব, কিন্তু কাজের কোন অভাব নাই। শিক্ষিত তরুণরা শুধু মাত্র চাকরির পিছনে  না ছুটে যদি নিজেরা উদ্যোক...
22/11/2024

বাংলাদেশে চাকরির অনেক অভাব, কিন্তু কাজের কোন অভাব নাই।

শিক্ষিত তরুণরা শুধু মাত্র চাকরির পিছনে না ছুটে যদি নিজেরা উদ্যোক্তা হয় তহলেই কিন্তু বাংলাদেশের বেকারত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।

বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কৃষিকে আমি অনেক বড় একটা সেক্টর হিসেবে বিবেচনা করি।
কারণ শিক্ষিত তরুণরা কৃষিতে আসলে কৃষিতে কখনো লস হবে না, বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব সংগঠিত হবে।কৃষিতে অনেক সাইন্টিফিক বিষয় আছে যা সাধারণ কৃষকরা বুঝতে পারে না।

কৃষি ইন্ডাস্ট্রির গভীরতা সাগরের চেয়ে গভীর,যা সাধারণ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে বুঝা কঠিন, যাদের IQ লেভেল কম তারা কৃষিকে শুধু তাচ্ছিল্যের চোখেই উপলব্ধি করে।
এটা অবলীলয় বলা যায় যে একজন শিক্ষিত অভিজ্ঞ কৃষকের বাৎসরিক লভ্যাংশ যে কোন কর্পোরেট চাকুরীজীবী থেকেই বেশি।
সুতরাং শুধু মাত্র চাকরির জন্য সময় নষ্ট না করে কাজে লেগে পড়ুন,চাকরির জন্য যদি মনে অনেক খায়েশ থাকে তাহলে কাজের পাশাপাশি চাকরির জন্য চেষ্টা করুণ।

কেন আপনি গ্রামের বাজারে ব্যবসা দিবেন না 👇১. আপনি যদি পরিচিত বা জনপ্রিয় মুখ থাকেন তাহলেই বিপত্তি, যত পরিচিতি তত বাকি। বাক...
20/11/2024

কেন আপনি গ্রামের বাজারে ব্যবসা দিবেন না 👇

১. আপনি যদি পরিচিত বা জনপ্রিয় মুখ থাকেন তাহলেই বিপত্তি, যত পরিচিতি তত বাকি। বাকির চেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে বাকির সাথে সাথে কাস্টমারও উধাও। আর আপনার দোকান থেকে কেনাকাটা করবে না।

২. ব্যবসায়ে টাকার পাশাপাশি অভিজ্ঞতাটাও জরুরী, আপনার যে বিষয়ে সামান্য জ্ঞান সেই ব্যবসা শুরু না করাই ভালো।

৩. ইনভেস্টে কোন ধার দেনা থাকলে।

৪. কোন কর্মচারী নির্ভর হতে হলে।

৫. ফ্যামেলিতে খরচের অত্যাদিক বেশি চাহিদা থাকলে।

👇👇কেন গ্রামের বাজারেই বিজনেস দিবেন 👇👇

১. ভাড়া কম টেনশন কম, বাসা ভাড়া নেই খাওয়া দাওয়া সহ অনেক সুবিধা।
২. দীর্ঘস্হায়ী বিজনেস করা যায়, যা শহরে অনেক পবলেম।
৩. চোখ রাঙানি মাস্তানি এসবের ভয় নেই।
৪. পর্যাপ্ত মুলধন থাকলে।
৫. মুখের উপর বাকি নিষেধ করতে পারলে।
৬. ধৈর্য ও ব্যবহার চমৎকার থাকলে ( তাহলে মূলধন কম হলেও সমস্যা নেই)
৭. বাড়িতে পাশাপাশি এক্সট্রা কিছু করার সুবিধা থাকলে।
৮. ন্যায্য দামে প্রোডাক্ট কিনে আনার সোর্স জানা থাকলে। তাহলেই ব্যবসা করা সহজ হবে।

সর্বশেষ ফয়সাল হচ্ছে আল্লাহ চাইলেই সম্ভব। কারণ আপনার রিজিকের ফয়সালা কোথায় থেকে দিবে, কোন জায়গায় দেবে, কিভাবে দেবে সেটা একমাত্র আল্লাহর হাতে।

শুধু মাত্র আমাদের দায়িত্ব হালাল পথে চেষ্টা করে যাওয়া।

খানদানি বংশীয় গরু 😏নাম :জায়েদ খাঁন 🙂(খালি ডিগবাজি মারতে চাই) পিতা:- HF 332মা:-দেশি লাল বয়েস:-৮ মাসরং:- কালো শিক্ষাগত যো...
19/11/2024

খানদানি বংশীয় গরু 😏
নাম :জায়েদ খাঁন 🙂(খালি ডিগবাজি মারতে চাই)
পিতা:- HF 332
মা:-দেশি লাল
বয়েস:-৮ মাস
রং:- কালো
শিক্ষাগত যোগ্যতা :-যে কোন মানুষেরচে নিঃস্বার্থকেন্দ্রীক।
দাম কেমন আশা করা যায়?

Address

Binnabaid
Belabo
1640

Telephone

+8801934019702

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চাষী ভাই posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চাষী ভাই:

Videos

Share