Marketer Riyad

04/11/2022

👉👉ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল👈👈

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 💻💻

যখনই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষকে জানাতে, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করছেন। আপনি সম্ভাব্য গ্রাহকদের জড়িত করার জন্য সামাজিক মিডিয়া, ইমেইল এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং সহ যেকোন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ❓❓

ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে অগ্রসর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এটি একটি বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর এবং সরাসরি তাদের সাথে জড়িত থাকার একটি আরও সাশ্রয়ী উপায়। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন থেকে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টিও সংগ্রহ করতে পারেন যাতে আপনি ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু উদাহরণ কি? 🖥🖥❓❓❓

আপনি যদি এখনও আশ্চর্য হন যে ডিজিটাল মার্কেটিং বাস্তব জীবনে কিভাবে কাজ করে, এখানে কয়েকটি বাস্তব উদাহরণ দেওয়া হল।

১। পে-প্রতি-ক্লিক (পিপিসি)👈👈

পে-প্রতি-ক্লিক (পিপিসি) মার্কেটিং, যাকে সার্চ বিজ্ঞাপনও বলা হয়, এমন এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং যা আপনাকে শুধুমাত্র আপনার বিজ্ঞাপনে পাওয়া ক্লিকের জন্য অর্থ প্রদান করতে সাহায্য করে। পিপিসি ক্যাম্পেইনগুলি আপনার পণ্য বা সেবার সাথে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ডগুলির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান এবং বিশ্লেষণ জড়িত আপনি আপনার কীওয়ার্ড গবেষণার জন্য গুগল অ্যাডওয়ার্ডস বা গুগল কীওয়ার্ড প্ল্যানারের মত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন।
পিপিসি প্রোভাইডারদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ধরনের হচ্ছে গুগল অ্যাড। আপনার ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি স্কোর নির্ধারণ করবে যে আপনি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পেজ (এসইআরপিএস) এ স্পট পাবেন কিনা।
পিপিসি ব্যবহার করা অন্যান্য চ্যানেলগুলির মধ্যে রয়েছে লিঙ্কডইন এবং পরিশোধিত ফেসবুক বিজ্ঞাপনগুলিতে স্পন্সর করা বার্তা।

২. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) 🔭🔭📡📡

এসইও কৌশল ব্যবহার করে যা আপনাকে SERPs-এ উচ্চতর স্থান দিতে সাহায্য করে যাতে আপনি আরো সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে পারেন। অন-পেজ এসইও হল ক্লায়েন্ট জেতার জন্য যা কিছু আপনি আপনার ওয়েবসাইটে করেন তাতে জড়িত বিষয়বস্তু এবং চমৎকার ওয়েবসাইট ডিজাইন সহ।
ব্যাকলিঙ্ক ব্যবহার সহ ওয়েবসাইটের বাইরে আপনি যা কিছু করেন তা হল অফ-পেজ এসইও। এসইও আপনাকে আপনার ডিজিটাল উপস্থিতি অপ্টিমাইজ করতে এবং রূপান্তর হার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট জন্য একজন ব্লগার হিসাবে কাজ করেন।

৩. ইমেইল মার্কেটিং 📩📩📩

ইমেইল মার্কেটিং হল সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের থেকে আগ্রহ এবং সচেতনতা বাড়ানোর একটি চমৎকার উপায় যারা ইতিমধ্যেই আপনার ব্যবসা পছন্দ করে আপনার মেইলিং তালিকায় যোগ দেওয়ার জন্য।
একজন স্মার্ট ডিজিটাল বিপণনকারী তাদের ইমেল তালিকায় লিড যোগ করার জন্য বিভিন্ন বিপণন চ্যানেল ব্যবহার করে। একটি ইমেল তালিকা তৈরি করতে, আপনাকে আপনার লক্ষ্য গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু তৈরি করতে হবে যাতে তারা আপনার কি বলতে হবে তা শোনার মূল্য দেখতে পারে।
যখন আপনি আপনার ইমেল তালিকার লোকেদের ইমেল পাঠান, তখন আপনাকে প্রলোভিত বিষয় লাইন লিখতে হবে এবং ইমেল পাঠানোর সেরা সময় নির্ধারণ করতে হবে।
আপনার ইমেলের বিষয়বস্তু হতে পারে:
আপনার ব্যবসা থেকে সাধারণ নিউজলেটার তথ্য
নতুন পণ্য এবং বা সেবার ঘোষণা
বিশেষ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ।
কুপন এবং বিশেষ অফার
ধারণাটি হল আপনার ইমেলগুলি ব্যবহার করে আপনার ক্লায়েন্টের সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করতে এবং গ্রাহক ধারণক্ষমতা উন্নত করতে।

৪. ভিডিও মার্কেটিং 🎞🎞🎞

ভিডিও একটি বিপণন প্রচারাভিযান পরিচালনার জন্য একটি চমৎকার মাধ্যম যা আপনার পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করে। উচ্চ-মানের ভিডিও বিষয়বস্তু গ্রাহকের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে এবং ওয়েবসাইট ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
গুগল এর পর ইউটিউব দ্বিতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন যেখানে দুই কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। অনেক সম্ভাব্য গ্রাহক ক্রয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইউটিউবে তথ্য অনুসন্ধান করেন।
পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করতে এবং আপনার দর্শকদের শিক্ষিত করতে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারেন।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (এসএমএম) 📲📲📲

সামাজিক মিডিয়া ইদানীং ডিজিটাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিয়েছে। স্ট্যাটিস্তা অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩.৭৮ বিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে।
জনপ্রিয় সামাজিক মিডিয়া চ্যানেলগুলির মধ্যে রয়েছে:
ইন্সটাগ্রাম 📱
টুইটার 📱
লিঙ্কডইন 📱
ইউটিউব 📱
পিন্টারেস্ট 📱
ফেসবুক 📱
সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর অ্যাক্সেসযোগ্যতা এবং সামর্থ্য। যখন আপনি এই প্ল্যাটফর্মে বাজারজাত করেন, আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করা এবং আপনার অনুসরণকারীদের এবং বৃহত্তর ডিজিটাল জনসংখ্যা মধ্যে সামাজিক আস্থা তৈরি করা।
যদি আপনার একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সহজ করতে পারেন এবং আপনার ওয়েব পেজে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাগইন যোগ করে এঙ্গেজমেন্ট বাড়াতে পারেন।

৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 💵💴💶💷

যখন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন, তখন আপনি সরাসরি আপনার পণ্য বা সেবা প্রচার করেন না। পরিবর্তে, আপনি অন্যান্য কন্টেন্ট নির্মাতাদের (এফিলিয়েট) অনুপ্রাণিত করেন আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য। আপনি অধিভুক্তদের একটি অনন্য লিঙ্ক দেন এবং যখনই একজন পাঠক এতে ক্লিক করে ক্রয় করেন, কন্টেন্ট স্রষ্টা একটি কমিশন আয় করেন।
ব্লুহোস্ট সহ অনেক কোম্পানি অধিভুক্ত প্রোগ্রাম অফার করে। এটি একটি সহজ উপায় কোন আপফ্রন্ট খরচ ছাড়াই আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং আউটসোর্স করার।

৭. কন্টেন্ট মার্কেটিং 💿📼

কন্টেন্ট মার্কেটিং এ এমন সম্পদ তৈরি করা জড়িত যা ব্যবহারকারীর মনে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেয়।
আপনার বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
ওয়েবিনার
ব্লগগুলি
অনলাইন টিউটোরিয়াল
ই-বুকস
ইনফোগ্রাফিকস
পডকাস্ট
আপনার বিষয়বস্তু বিপণন প্রচেষ্টা আপনার শ্রোতাদের উচ্চ-মানের বিষয়বস্তু এবং প্রাসঙ্গিক সম্পদ প্রদানের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। আপনি চান না আপনার বিষয়বস্তু বিজ্ঞাপনের মত মনে হোক। পরিবর্তে, মানুষকে তাদের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন যেহেতু তারা আপনার ব্র্যান্ডের অভিজ্ঞতা লাভ করে।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার কি করে?
একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর মৌলিক ভূমিকা হল লিডস তৈরি করা এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে ব্র্যান্ড স্বীকৃতি তৈরি করা, যার মধ্যে রয়েছে:
সামাজিক মাধ্যম
ওয়েবসাইটগুলি
অনলাইন বিজ্ঞাপন
ইমেইল মার্কেটিং

, , ,

03/11/2022