Muhammad Imam Hossain Sohail

Muhammad Imam Hossain Sohail Business

07/12/2023

ইসলামে ইমামের মর্যাদা ও অবস্থান

ইমাম শব্দের অর্থ পথপ্রদর্শক, নেতা ও পরিচালক। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন ইসলামের প্রথম ইমাম। তাঁর পরে খোলাফায়ে রাশেদিন ইমামতির গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ইমামকে পূর্ণ এখতিয়ার দিয়ে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর জন্য বিশেষ অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইমাম হলেন (সালাতের সার্বিক) জিম্মাদার। আর মুয়াজ্জিন হলেন আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করুন।’(তিরমিজি, হাদিস : ২০৭)

আজকের ঘটনা ০৩/১২/২০২৩…………………………………আজীবন দেখলাম মৃত মানুষকে শেষ গোসল করানোর জন্য লাশ আল মারকাজুলে নিয়ে আসে। আজ দেখলাম ব্য...
03/12/2023

আজকের ঘটনা ০৩/১২/২০২৩
…………………………………

আজীবন দেখলাম মৃত মানুষকে শেষ গোসল করানোর জন্য লাশ আল মারকাজুলে নিয়ে আসে। আজ দেখলাম ব্যাতিক্রমী ঘটনা। একজন জীবিত মানুষকে গোসল করাতে নিয়ে এসেছে!

'জীবিত লাশটা' এখনো আল মারকাজুলের সামনে আছে। মহিলা ডেঙ্গু আক্রান্ত। বয়স চল্লিশের মত। আইসিউ, লাইফ সাপোর্ট সব পার করে ফেলেছেন। ওনার কোন অর্গান কাজ করছে না। ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছে। ডাক্তার বলেছে লাইফ সাপোর্টের মেশিন খুলে ফেললে ১ ঘন্টার মত বাঁচবে আনুমানিক। রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল থেকে বাসায় না নিয়ে সরাসরি আল মারকাজুলে নিয়ে এসেছে। উদ্দেশ্য- এখন যেহেতু মারাই যাবে তাই গোসল করিয়ে একেবারে দাফনের ব্যবস্থা করবে। তাই মহিলাকে এম্বুলেন্সে করে মৃত্যুর অপেক্ষায় পরিবারের লোকজন বসে আছে। কখন মারা যাবে আর মারা গেলে গোসল করাবে।

জীবনের শেষ সময়ে (যদিও জানি না ওনার হায়াত আর আছে কিনা) আমি শুধু আমার মাকে দেখেছিলাম। এখন এই মহিলাকে দেখছি। শুধু বুকটা ওঠানামা করছে, শ্বাস কস্টের ধরপড়ানি।

এ ধরনের ঘটনা জীবনে দেখব কল্পনা করিনি, চিন্তাও করিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে 'শান্তির মৃত্যু' দান করুন। শান্তিতে মরাও যে কারো কারো কামনা হতে পারে তা চোখের সামনে দেখলাম।

আপডেট- লোকজন এই ঘটনা দেখে ভীড় করায় ও সমালোচনার মুখে তারা এম্বুলেন্স নিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে।

আপডেট 6.50 PM -২- এম্বুলেন্সটি বাবর রোডের একটা গলিতে এতক্ষণ ছিল। কিছুক্ষণ আগে মহিলাটি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল মারকাজুলে ওনার শেষ গোসল শেষে ওনাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বাড়ি নোয়াখালী।

Courtesy: Shafayet Monir

মৃত্যু নামক যন্ত্রটি কখন যে কার সম্মুখে এসে কড়ানাড়ে কেউতা বলতে পারে না।

28/05/2023

ফিরিশতার দোয়া লাগবে?

আমরা মা-বাবার কাছে দোয়া চাই। পীর-বুযুর্গ-শায়খের কাছে দোয়া চাই। ময়মুরুব্বি, ওস্তাদের কাছে দোয়া চাই। আমি চাইলে ফিরিশতাগনেরও দোয়া লাভ করতে পারি অত্যন্ত সহজেই। আট সময়ে ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে থাকেন,

১: আমি যখন প্রথম কাতারে নামাজে দাঁড়াই। যতক্ষণ এই কাতারে থাকব, ততক্ষণ ফিরিশতাগনের দুর্লভ দোয়া পেতে থাকব
(সহীহ তারগীব তারহীব ৪৯১)।

২. আমি যখন সলাতের অপেক্ষায় মসজিদে বা জায়নামাজে বসে থাকি। আমি যখন ফরজ নামাজের পর মসজিদে বসে থাকি। যতক্ষণ বসে থাকব, ততক্ষণ ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে থাকবেন । (মুসলিম ৬৪৯)।

৩. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে। ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে, অসুস্থ্যকে দেখে ঘরে ফেরা পর্যন্ত নিষ্পাপ ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে থাকবেন । (সিলসিলা সহীহাহ ৩৪৭৬)।

৪. শুধু আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে রাজিখুশি করার জন্য, কোনও মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে। বাড়ি ছেড়ে বের হওয়া থেকে শুরু করে, বাড়ি ফেরা পর্যন্ত আমি ফিরিশতাগনের বরকতময় দোয়ায় শামিল থাকব (মুসলিম ২৫৬৭)।

৫. মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপুস্থিতিতে দোয়া করার সময় ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে বসে যান। বিশ্ব মুসলিমের জন্য, নিজের ভাই-বেরাদরের জন্য দোয়া করার সময় খেয়াল রাখব, আমি যত বেশি সময় তাদের জন্য দোয়ায় মশগুল থাকব, তত বেশি সময় আমি ফিরিশতাগনের দোয়ার চাদরে মোড়ানো থাকব (মুসলিম ২৭৩২)।

৬. মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেয়া সময়। সেটা হতে পারে একটি ভাল কথা, একটি ভাল কাজ, একটি উপকারী তথ্য, একটি দরকারি টিপস। সুযোগ পেলেই ফিরিশতাগনের দোয়া নেয়ার চেষ্টা করতে ত্রুটি করব না (জামে সগীর ৫৮৪১)।

৭. ওজু বা পবিত্র অবস্থায় ঘুমুলে। ঘুমের আগে ওজু করতে অলসতা লাগে? উপকারটা একটু চিন্তা করে দেখি? সামান্য কষ্ট করে ওজু করলে, একটানা চার-পাঁচ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করেই যাবেন। দোয়া করেই যাবে। কী অসাধারণ সুযোগ (তারগীব তারহীব ৫৯৯)।

৮. সাহরী খাওয়ার সময়। ফিরিশতাগনের দোয়ার আশায় হলেও সাহরী খাওয়ার সময়টা যথাসম্ভব দীর্ঘ করব। দীর্ঘ করার প্রক্রিয়াটা এভাবেও হতে পারে, সাহরির মূল খাবার গ্রহনের বেশ আগে, সাহরির নিয়তে একঢোঁক পানি পান করে নিলাম।

তারপর মূল খাবার খেলাম। তারপর একেবারে শেষ সময়ে একটা খেজুর খেলাম। তাহলে দীর্ঘ সময় দোয়া। পাবো
(জামে সগীর ১৮১০)।

রাব্বে কারীম বেশি বেশি ফিরিশতাগনের অমূল্য দোয়া হাসিল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

--শায়েখ আতিক উল্লাহ

20/05/2023
হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডি...
20/05/2023

হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, 'যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।' ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।

ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, 'মুসলমান সম্রাটরা বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।' অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এ দেশে আরও কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকত, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।'

মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।

বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় কুরআন মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।

সংগৃহিত।

সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের জানাই পবিত্র ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঈদ মোবারক
20/04/2023

সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের জানাই পবিত্র ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ঈদ মোবারক

03/02/2023

মুছাপুর ক্লোজার এখন ধুধু মরুভূমি।
চলছে জবরদখলের প্রতিযোগিতা।

ইন্নালিল্লাহ😭😭😭মায়ের চিকিৎসা করাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় অ্যাম্বুলেন্সের ও ট্রাক এর সংঘর্ষে মা-ম...
18/01/2023

ইন্নালিল্লাহ😭😭😭
মায়ের চিকিৎসা করাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় অ্যাম্বুলেন্সের ও ট্রাক এর সংঘর্ষে মা-মেয়ে সহ ছয়জন নিহত।😪
আল্লাহ পাক শোকসন্তপ্ত পরিবারটির প্রতি রহম করুক।

আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃতোমাদের কেউ প্রকৃত মু‘মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে ত...
18/01/2023

আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
তোমাদের কেউ প্রকৃত মু‘মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।

সহীহ বুখারী - ১৩

18/01/2023

মহানবী (সা.) আরও বলেন, 'যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।
' (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৬)।

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ  কথা বলতে কাউকে ছাড়ি ন...
17/01/2023

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই"!
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড!
যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!

ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।

উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।

আল্লহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।

আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।

হয়তো আমিও লুমাজার অন্তর্ভুক্ত, তবে চেষ্টা করছি নিজেকে বাঁচাতে। আল্লাহ তৌফিক দান করুন।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন l

16/01/2023

আয়াতুল কুরসীর তাফসীর,


এক.
কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত হলো আয়াতুল কুরসী,

عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبَا الْمُنْذِرِ أَىُّ آيَةٍ مَعَكَ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَعْظَمُ ‏ ‏ قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏ قَالَ ‏
‏ أَبَا الْمُنْذِرِ أَىُّ آيَةٍ مَعَكَ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَعْظَمُ ‏ ‏قَالَ قُلْت
ُ ‏{‏ اللَّهُ لاَ إِلَهَ َ إلا هُو
َ الْحَىُّ الْقَيُّومُ ‏}‏
قَالَ فَضَرَبَ فِي صَدْرِي وَقَالَ ‏"‏ لِيَهْنِ لَكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ الْعِلْمُ ‏
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম” (আয়াতুল কুরসী)। তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৬০
كِتَابُ الصَّلَاةِ بَابٌ : مَا جَاءَ فِي آيَةِ الْكُرْسِي

দুই.
কুরআনের প্রধান আয়াত হলো আয়াতুল কুরসী,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏‏ لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامٌ وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَفِيهَا آيَةٌ هِيَ سَيِّدَةُ آىِ الْقُرْآنِ هِيَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ ‏
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তুরই চূড়া আছে। কুরআনের উঁচু চূড়া হল সূরা আল-বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত আছে যা কুরআনের আয়াতসমূহের প্রধান। তা হল আয়াতুল কুরসী।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৭৮
أَبْوَابُ فَضَائِلِ الْقُرْآنِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ | بَابٌ : مَا جَاءَ فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

তিন.
আয়াতুল কুরসীর জিহবা এবং ঠোঁট রয়েছে,

عن أبي بن كعب
أنَّ النبيَّ ﷺ سألَه أيُّ آيةٍ في كتابِ اللهِ تبارك وتعالى أعظمُ قال اللهُ ورسولُه أعلمُ فردَّدها مرارًا ثم قال أبي آيةُ الكرسيِّ فقال ليهنَك العِلمُ أبا المنذرُ والذي نفسي بيدِه إنَّ لها لسانًا وشفتيْنِ تُقدِّسُ المَلِكَ عند ساقِ العرشِ
আয়াতুল কুরসীর জিহবা এবং ঠোঁট রয়েছে, যা দিয়ে এটা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকে।
الهيثمي (ت ٨٠٧) مجمع الزوائد ٦‏/٣٢٤ رجاله رجال الصحيح
মাজমাউয যাওয়াইদ- ৬/৩২৪

চার.
আয়াতুল কুরসীর তাফসীর,

اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ*
আল্লাহ! তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি স্বাধীন ও নিত্য নতুন ধারক, সব কিছুর ধারক।

لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ
তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
এটা হলো তাওহীদের বাক্য,

তাফসীর:

ইলাহ একজন ই হয়,

لَوۡ کَانَ فِیۡہِمَاۤ اٰلِہَۃٌ اِلَّا اللّٰہُ لَفَسَدَتَا ۚ
যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত।
আম্বিয়া-২২

একাধিক ইলাহ হওয়ার ক্ষতি,

وَّ مَا کَانَ مَعَہٗ مِنۡ اِلٰہٍ اِذًا لَّذَہَبَ کُلُّ اِلٰہٍۭ بِمَا خَلَقَ وَ لَعَلَا بَعۡضُہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ
তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত।
মুমিনুন-৯১

কলিমাতুত তাওহীদ এর শর্তসমুহ,

মৌলিক চারটি শর্ত মনে রাখা আবশ্যক,

শর্ত-১
কলিমাতুত তাওহীদ এর অর্থ জানা,
আর তা হলো
আল্লাহ ছাড়া সব ইলাহকে নিষিদ্ধ করা এবং এই বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যু বরণ করা,

عَنْ عُثْمَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏
‏ مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏
‘উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্তরে এ বিশ্বাস রেখে মৃত্যুবরণ করলো যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বাক্‌র আল মুকাদ্দামী (রাঃ) ..... ‘উসমান (রাঃ) বলেন যে, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুরূপ বলতে শুনেছি ..... অবশিষ্টাংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৩
(২৬ দরসে নেজামী)

كِتَابٌ : الْإِيمَانُ | بَابٌ : مَنْ مَاتَ عَلَى التَّوْحِيدِ دَخَلَ الْجَنَّةَ
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত এই হাদীসের অনুবাদ এভাবে করে থাকে,
أنَّه مَن ماتَ مُوحِّدًا باللهِ عزَّ وجلَّ دَخَل الجَنَّةَ

শর্ত-২
একত্ববাদের ক্ষেত্রে সামান্যতম সন্দেহ পোষণ করা যাবেনা,
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ لَمۡ یَرۡتَابُوۡا وَ جٰہَدُوۡا بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصّٰدِقُوۡنَ
মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ।
হুজুরাত-১৫

শর্ত-৩
মুখে এবং অন্তরে স্বীকার করা,
মুখে একটা অন্তরে আরেকটা এমন যেন না হয়,

یَقُوۡلُوۡنَ بِاَلۡسِنَتِہِمۡ مَّا لَیۡسَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ ؕ
তারা মুখে তা বলে যা তাদের অন্তরে নেই।
ফাতহ-১১

শর্ত-৪
মুহাব্বতের সাথে আল্লাহর একত্ববাদ মেনে নেওয়া,

عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَال ‏
ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ
أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا
وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ
وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি গুন যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেঃ
১. আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া;
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালবাসা;
৩. কুফ্‌রীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মত অপছন্দ করা।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৬
كِتَابٌ : الْإِيمَانُ بَابُ حَلَاوَةِ الْإِيمَانِ

ۚ
**হাইয়ুন(حي)এবং কাইয়ুম)(قيوم)এর তাফসীর,,,,

তিনি حي মানে চিরঞ্জিব,,তিনি ছাড়া সব শেষ হয়ে যাবে,

আল্লাহ তাআলা বলেন,

کُلُّ مَنۡ عَلَیۡہَا فَانٍ
যমীনের উপর যা কিছু রয়েছে, সবই ধ্বংসশীল।
আর রহমান-২৬

وَّ یَبۡقٰی وَجۡہُ رَبِّکَ ذُو الۡجَلٰلِ وَ الۡاِکۡرَامِ
আর থেকে যাবে শুধু মহামহিম ও মহানুভব তোমার রবের চেহারা*।
*চেহারা বলতে কোন কোন তাফসীরকার আল্লাহর সত্তাকে বুঝিয়েছেন।
আর রহমান-২৭

তিনি الۡقَیُّوۡمُ নিজেই প্রতিষ্ঠিত,চিরস্থায়ী, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন,
বরং আসমান যমীন তার হুকুমেই স্থিতিশীল।

আসমান যমীন সৃষ্টি করা মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে বড় বিষয়,
لَخَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اَکۡبَرُ مِنۡ خَلۡقِ النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
অবশ্যই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করা মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে বড় বিষয়; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।
আল মুমিন-৫৭

সেই আসমান যমীন আল্লাহর হুকুমে স্থিতিশীল,

وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ تَقُوۡمَ السَّمَآءُ وَ الۡاَرۡضُ بِاَمۡرِہٖؕ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তাঁরই নির্দেশে আসমান ও যমীন স্থিতিশীল থাকে।
রুম-২৫

আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার বক্তব্য,

عن أسماء بنت يزيد أم سلمة الأنصارية
سمِعْتُ رسولَ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ يقولُ في هذه الآيتينِ: {اللَّهُ لا إِلَهَ إِلّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ} [البقرة: ٢٥٥]، و {الم (١) اللَّهُ لا إِلَهَ إِلّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ (٢)} [آل عمران: ١، ٢] إنَّ فيهِما اسمَ اللهِ الأعظمَ

আসমা বিনতু ইয়াযিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার মহান নাম (ইসমে আযম) এই দুই আয়াতের মাঝে নিহিত আছে (অনুবাদ) : “আর তোমাদের মা’বূদ একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি দয়াময়, অতিদয়ালু”- (সূরা বাক্বারাহ্‌ ২৫৫)। আর সূরা আ-লি ‘ইমরানের প্রারম্ভিক আয়াত (অনুবাদ) “আলিফ-লাম-মীম। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী।
تخريج المسند ٢٧٦١١
তাখরিজুল মুসনাদ- ২৭৬১১

আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য,
ويقول أبو أمامة رضي الله عنه
اسم الله الأعظم الذي إذا دعي به أجاب في ثلاث
سورةِ البقرة، وآل عمران، وطه)) قال هشام: أما البقرة فـ ﴿ اللَّهُ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ﴾، وفي آل عمران: ﴿ الم اللَّهُ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ﴾، وفي طه: ﴿ وَعَنَتْ الْوُجُوهُ لِلْحَيِّ الْقَيُّومِ
আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহর মহান দুটি নাম নিয়ে দুআ করলে দূআ কবুল করা হয়, এই মহান দুটি নাম তিনটি সুরায় আছে,,
(১) সুরা বাকারা-২৫৫
(২) সুরা আলে ইমরানে-২
(৩) সুরা ত্বহা- ১১১
تخريج زاد المعاد ٤‏/١٨٨
তাখরিজু যাদিল মা'আদ- ৪/১৮৮

لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌؕ***
তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করেনা।

তাফসীর:

حَدَّثَنَا عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ
আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ঘুমান না এবং ঘুমানো তাঁর জন্য শোভাও পায় না।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৬
الْمُقَدِّمَةُ | بَابٌ : فِيمَا أَنْكَرَتِ الْجَهْمِيَّةُ

لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ****
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর।

তাফসীর:

اِنۡ کُلُّ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اِلَّاۤ اٰتِی الرَّحۡمٰنِ عَبۡدًا
আসমান ও যমীনে এমন কেউ নেই, যে বান্দা হিসেবে পরম করুণাময়ের কাছে হাযির হবে না।
মারয়াম-৯৩

مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ*****
কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে?

তাফসীর:

وَ کَمۡ مِّنۡ مَّلَکٍ فِی السَّمٰوٰتِ لَا تُغۡنِیۡ شَفَاعَتُہُمۡ شَیۡئًا اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ اَنۡ یَّاۡذَنَ اللّٰہُ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَرۡضٰی
আর আসমানসমূহে অনেক ফেরেশতা রয়েছে, তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তার ব্যাপারে অনুমতি দেয়ার পর।
নাজম-২৬

یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ ******
সম্মুখের অথবা পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন।

তাফসীর:

اَللّٰہُ الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ وَّ مِنَ الۡاَرۡضِ مِثۡلَہُنَّ ؕ یَتَنَزَّلُ الۡاَمۡرُ بَیۡنَہُنَّ لِتَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ۬ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ قَدۡ اَحَاطَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عِلۡمًا
তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ যমীন সৃষ্টি করেছেন; এগুলির মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয় যেন তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞানতো সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে।
তালাক-১২

وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ*******
একমাত্র তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত, তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারেনা।

তাফসীর:
এ ব্যাপারে মুসা আঃ এবং খযীরের ঘটনা দেখা যেতে পারে।

قَالَ هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رَشَدًا قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا، يَا مُوسَى إِنِّي عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَنِيهِ لاَ تَعْلَمُهُ أَنْتَ، وَأَنْتَ عَلَى عِلْمٍ عَلَّمَكَهُ لاَ أَعْلَمُهُ‏.‏ قَالَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا، وَلاَ أَعْصِي لَكَ أَمْرًا، فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ لَيْسَ لَهُمَا سَفِينَةٌ، فَمَرَّتْ بِهِمَا سَفِينَةٌ، فَكَلَّمُوهُمْ أَنْ يَحْمِلُوهُمَا، فَعُرِفَ الْخَضِرُ، فَحَمَلُوهُمَا بِغَيْرِ نَوْلٍ، فَجَاءَ عُصْفُورٌ فَوَقَعَ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ، فَنَقَرَ نَقْرَةً أَوْ نَقْرَتَيْنِ فِي الْبَحْرِ‏.‏ فَقَالَ الْخَضِرُ يَا مُوسَى، مَا نَقَصَ عِلْمِي وَعِلْمُكَ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ إِلاَّ كَنَقْرَةِ هَذَا الْعُصْفُورِ فِي الْبَحْرِ‏
তিনি আরো বললেন, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য আমি কি আপনাকে অনুসরণ করতে পারি?’ খাযির বললেন, “তুমি কিছুতেই আমার সাথে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবে না। হে মূসা (‘আঃ)! আল্লাহর ‘ইলমের মধ্যে আমি এমন এক ‘ইলম নিয়ে আছি যা তিনি কেবল আমাকেই শিখিয়েছেন, যা তুমি জান না। আর তুমি এমন ‘ইলমের অধিকারী, যা আল্লাহ তোমাকেই শিখিয়েছেন, তা আমি জানি না।” ‘মূসা (‘আঃ) বললেন, “আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আমি আপনার আদেশ অমান্য করব না। অতঃপর তাঁরা দু’জন সমুদ্র তীর দিয়ে চলতে লাগলেন, তাদের কোন নৌকা ছিল না। ইতোমধ্যে তাদের নিকট দিয়ে একটি নৌকা যাচ্ছিল। তাঁরা নৌকাওয়ালাদের সাথে তাদের তুলে নেয়ার কথা বললেন। তারা খাযিরকে চিনতে পারল এবং ভাড়া ব্যতিরেকে তাঁদের নৌকায় তুলে নিল। তখন একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার এক প্রান্তে বসে একবার কি দু’বার সমুদ্রে তার ঠোঁট ডুবাল। খাযির বললেনঃ ‘হে মুসা (‘আঃ) ! আমার এবং তোমার জ্ঞান (সব মিলেও) আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় চড়ুই পাখির ঠোঁটে যতটুকু পানি এসেছে তার চেয়েও কম।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১২২
كِتَابٌ : الْعِلْمُ | بَابُ مَا يُسْتَحَبُّ لِلْعَالِمِ إِذَا سُئِلَ : أَيُّ النَّاسِ أَعْلَمُ ؟

وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ********
তাঁর আসন আসমান ও যমীন ব্যাপী হয়ে আছে,

ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ*********
এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণে তাঁকে বিব্রত হতে হয়না। তিনিই সর্বোচ্চ, মহীয়ান। (আয়াতুল কুরসী)
বাকারা-২৫৫

তাফসীর:
বরং আসমান কে সুরক্ষিত ছাদ বানিয়েছেন আল্লাহ,

وَ جَعَلۡنَا السَّمَاءَ سَقۡفًا مَّحۡفُوۡظًا
আর আমি আসমানকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ।
আম্বিয়া-৩২

যমীন কে বিছানা বানিয়েছেন আল্লাহ,

اَلَمۡ نَجۡعَلِ الۡاَرۡضَ مِہٰدًا
আমি কি বানাইনি যমীনকে শয্যা?
নাবা-৬

وَّ الۡجِبَالَ اَوۡتَادًا
আর পর্বতসমূহকে পেরেক?
নাবা-৭

এগুলো কে সংরক্ষণ করতে আল্লাহ বিব্রত হন না।

পাচ.
আবু হুরায়রা রাঃ এর সাথে এক চোরের ঘটে যাওয়া আশ্চর্য একটি ঘটনা।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ وَكَّلَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রমযানের যাকাত হিফাযত করার দায়িত্বে নিযুক্ত করলেন।

فَأَتَانِي آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ وَقُلْتُ وَاللهِ لأرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ قَالَ إِنِّي مُحْتَاجٌ وَعَلَيَّ عِيَالٌ وَلِي حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ قَالَ فَخَلَّيْتُ عَنْهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ النَّبِيُّ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ الْبَارِحَةَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالاً فَرَحِمْتُهُ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ
এক ব্যক্তি এসে অঞ্জলি ভর্তি করে খাদ্য সামগ্রী নিতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং বললাম, আল্লাহ্‌র কসম! আমি তোমাকে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত করব। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি খুব অভাবগ্রস্থ, আমার যিম্মায় পরিবারের দায়িত্ব রয়েছে এবং আমার প্রয়োজন তীব্র। তিনি বললেন, আমি ছেড়ে দিলাম। যখন সকাল হলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হুরায়রা, তোমার রাতের বন্দী কি করলে? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! সে তার তীব্র অভাব ও পরিবার, পরিজনের কথা বলায় তার প্রতি আমার দয়া হয়, তাই তাকে ছেড়ে দিয়েছি।

قَالَ أَمَا إِنَّهُ قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَعُودُ لِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ إِنَّهُ سَيَعُودُ فَرَصَدْتُهُ
তিনি বললেন, সাবধান! সে তোমার কাছে মিথ্যা বলেছে এবং সে আবার আসবে। ‘সে আবার আসবে’ আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উক্তির কারণে আমি বুঝতে পারলাম যে, সে পুনরায় আসবে। কাজেই আমি তার অপেক্ষায় থাকলাম।

فَجَاءَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لأرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ قَالَ دَعْنِي فَإِنِّي مُحْتَاجٌ وَعَلَيَّ عِيَالٌ لاَ أَعُودُ فَرَحِمْتُهُ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ
সে এল এবং অঞ্জলি ভরে খাদ্য সামগ্রী নিতে লাগল। আমি ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। কেননা, আমি খুবই দরিদ্র এবং আমার উপর পরিবার-পরিজনের দায়িত্ব ন্যস্ত, আমি আর আসব না। তার প্রতি আমার দয়া হল এবং আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।

فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالاً فَرَحِمْتُهُ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ قَالَ أَمَا إِنَّهُ قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ
সকাল হলে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হুরায়রা! তোমার বন্দী কী করলে? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! সে তার তীব্র প্রয়োজন এবং পরিবার-পরিজনের কথা বলায় তার প্রতি আমার দয়া হয়। তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বললেন, খবরদার সে তোমার কাছে মিথ্যা বলেছে এবং সে আবার আসবে।

فَرَصَدْتُهُ الثَّالِثَةَ فَجَاءَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لأرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ وَهَذَا آخِرُ ثَلاَثِ مَرَّاتٍ أَنَّكَ تَزْعُمُ لاَ تَعُودُ ثُمَّ تَعُودُ قَالَ دَعْنِي أُعَلِّمْكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللهُ بِهَا قُلْتُ مَا هُوَ قَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ { اللهُ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ } حَتَّى تَخْتِمَ الآيَةَ فَإِنَّكَ لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللهِ حَافِظٌ وَلاَ يَقْرَبَنَّكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ
তাই আমি তৃতীয়বার তার অপেক্ষায় রইলাম। সে আসল এবং অঞ্জলি ভর্তি করে খাদ্য সামগ্রী নিতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে অবশ্যই নিয়ে যাব। এ হলো তিনবারের শেষবার। তুমি প্রত্যেক বার বল যে, আর আসবে না, কিন্তু আবার আস। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিখিয়ে দেব। যা দিয়ে আল্লাহ তোমাকে উপকৃত করবেন। আমি বললাম, সেটা কী? সে বলল, যখন তুমি রাতে শয্যায় যাবে তখন আয়াতুল কুরসী ------------------------- আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়বে। তখন আল্লাহ্‌র তরফ হতে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। কাজেই তাকে ছেড়ে দিলাম।

فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ الْبَارِحَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَعَمَ أَنَّهُ يُعَلِّمُنِي كَلِمَاتٍ يَنْفَعُنِي اللهُ بِهَا فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ قَالَ مَا هِيَ قُلْتُ قَالَ لِي إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ مِنْ أَوَّلِهَا حَتَّى تَخْتِمَ الآيَةَ { اللهُ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ } وَقَالَ لِي لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللهِ حَافِظٌ وَلاَ يَقْرَبَكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ وَكَانُوا أَحْرَصَ شَيْءٍ عَلَى الْخَيْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ أَمَا إِنَّهُ قَدْ صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ تَعْلَمُ مَنْ تُخَاطِبُ مُنْذُ ثَلاَثِ لَيَالٍ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ لاَ قَالَ ذَاكَ شَيْطَانٌ
ভোর হলে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, গত রাতের তোমার বন্দী কী করল? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! সে আমাকে বলল যে, সে আমাকে কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দেবে যা দিয়ে আল্লাহ আমাকে লাভবান করবেন। তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি আমাকে বললেন, এই বাক্যগুলো কী? আমি বললাম, সে আমাকে বলল, যখন তুমি তোমার বিছানায় শুতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসী ---------------------- প্রথম হতে আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়বে এবং সে আমাকে বলল, এতে আল্লাহ্‌র তরফ হতে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকবেন এবং ভোর পর্যন্ত তোমার নিকট কোন শয়তান আসতে পারবে না। সাহাবায়ে কিরাম কল্যাণের জন্য বিশেষ লালায়িত ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, এ কথাটি তো সে তোমাকে সত্য বলেছে। কিন্তু হুশিয়ার, সে মিথ্যুক। হে আবু হুরায়রা! তুমি কি জান, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে কথাবার্তা বলেছিলে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, না। তিনি বললেন, সে ছিল শয়তান।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩১১

كِتَابٌ : الْوَكَالَةُ بَابٌ
إِذَا وَكَّلَ رَجُلًا فَتَرَكَ الْوَكِيلُ شَيْئًا، فَأَجَازَهُ الْمُوَكِّلُ

ছয়.
ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযিলত,

وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم
مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ، لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنَّةِ إِلَّا الموْتُ
وفي روايةٍ و{قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ}
بلوغ المرام ٩٧ صحيح أخرجه
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কেউ আয়াতুল কুর্‌সী প্রত্যেক ফরয সলাতের পরে পাঠ করলে তার মৃত্যুই তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য বাধা হয়ে আছে। নাসায়ী; ইবনু হিব্বান একে সহীহ্‌ বলেছেন।
বুলুগুল মারাম-৯৭

আরিফ বিন হাবিব

ঋণমুক্তির বিশেষ দোয়াএকদিন হজরত আলী (রা.)-এর নিকট এক চুক্তিবদ্ধ দাস এসে বলল, আমি চুক্তির অর্থ আদায়ে অক্ষম, আপনি আমাকে সাহ...
12/12/2022

ঋণমুক্তির বিশেষ দোয়া

একদিন হজরত আলী (রা.)-এর নিকট এক চুক্তিবদ্ধ দাস এসে বলল, আমি চুক্তির অর্থ আদায়ে অক্ষম, আপনি আমাকে সাহায্য করুন। হজরত আলী (রা.) বললেন, আমি কী তোমাকে এমন কিছু (দোয়া) বাক্য শিখিয়ে দেব- যেগুলো নবী করিম (সা.) আমাকে শিখিয়েছিলেন? (এগুলো পাঠ করলে) তোমার ওপর যদি পাহাড় পরিমাণ ঋণও থাকে আল্লাহতায়ালা তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দিবেন।

এরপর তিনি এই দোয়াটি বলেন-
اللَّهُمَّ اكْفِني بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ ، وَأغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِواكَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাকফিনী বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাজলিকা আম্মান সিওয়াকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে এতটুকু পরিমাণ হালাল রিজিক দান কর যা আমার জন্য যথেষ্ট হবে এবং হারাম অর্থের কোনো প্রয়োজন হবে না।
তুমি ব্যতীত আর সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

শুভ জন্মদিন ব্রেট লি 🎂🎉🎈🔰৭১৮ টি আন্তর্জাতিক উইকেট।🔰১৯ বার পাঁচ উইকেট সংগ্রহ করেছেন।🔰২৭২৮ আন্তর্জাতিক রান।🔰৮ টি অর্ধশতক।প...
10/11/2022

শুভ জন্মদিন ব্রেট লি 🎂🎉🎈

🔰৭১৮ টি আন্তর্জাতিক উইকেট।
🔰১৯ বার পাঁচ উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
🔰২৭২৮ আন্তর্জাতিক রান।
🔰৮ টি অর্ধশতক।

প্রাক্তন অসি পেসার ব্রেট লিকে ৪৬ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই 🥀♥️

জীবনের প্রথম প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচে এক ওভারে ছয়জন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছিলেন বিঙ্গা দ্যা স্পিডষ্টার ব্রেট লি। অবাক হচ্ছেন? আরেকটি অবাক হওয়ার মতো কথা বলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ থেকে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ইঞ্জুরি নিয়ে খেলেছেন তিনি। শতভাগ ফিট হয়ে কখনো কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি;
আরেকটি অবাক করা কথা বলি? ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫৩+ কিলোমিটার গতিতে একটানা পাঁচ বল করার পর ষষ্ঠ ডেলিভেরির সময় তার বাহুর রগ ছিড়ে যায়। তবুও পুরো দশ ওভারের স্পেল শেষ করেছিলেন। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে অঝরো কেঁদেছিলেন তিনি। তার কান্না দেখে সতীর্থ রিকি পন্টিং ও ক্যামেরুন হোয়াইট জিজ্ঞেস করেন "ব্যথা কি খুব বেশি হচ্ছে?" তারা ফিজিওসহ পুরো মেডিকেল বোর্ড নিয়ে আসেন ড্রেসিংরুমে। কিন্তু ব্রেট লি জানান তিনি ব্যথার জন্য কান্না করছেননা, ব্যথার জন্য কান্না করলে রগ ছিড়ে যাওয়ার পরেই মাঠ থেকে উঠে আসতেন। তার কান্না করার কারন হলো তার ব্যক্তিগত ওভারের ষোলটি বল তিনি ১৩০+ গতিতে করেছেন, ১৪৫+ কিলোমিটারের নিচে বল করার কারনেই তিনি কান্না করেছিলেন;
বাঁম পায়ের গোড়ালির জন্য ছয়বার, ডান পায়ের হাটুর জন্য চারবার, কোমড়ের জন্য তিনবার, কাঁধের জন্য পাঁচবার, বাহুর জন্য একবার এবং কনুইয়ের জন্য দুইবার মোট একুশবার সার্জারির ছুড়ি, কাঁচির নিচে গিয়েছিলেন ব্রেট লি। যা সত্যিই এক অদ্ভূত ব্যপার; গতির সাথে কখনো আপোষ না করা ব্রেট লির আজ জন্মদিন‌...
শুভ জন্মদিন ম্যান

মাস্টার্স পাস একজন যুবক চায়ের দোকান দেবেন এটা অনেকে মেনে নিতেই পারছিল না। তাও আবার দোকানের নাম হবে - ‘এমএ পাস চাওয়ালা’!ক...
08/11/2022

মাস্টার্স পাস একজন যুবক চায়ের দোকান দেবেন এটা অনেকে মেনে নিতেই পারছিল না। তাও আবার দোকানের নাম হবে - ‘এমএ পাস চাওয়ালা’!
কিন্তু লোকের কথায় পিছিয়ে যাওয়ার মানুষ নন শহিদুল ইসলাম। পরিশ্রম করে সৎ উপার্জনের চেয়ে আর কিছুই বড় নয়—এই বিশ্বাসে শহিদুল তাঁর আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করে ছেড়েছে।
পরিবারের অন্যরা শহীদুলকে বলেছিল, চায়ের দোকান না দিয়ে অন্তত ক্যাফে জাতীয় কোনো কিছু করতে। যাতে ‘সমাজের চোখে’ বিষয়টা একটু সম্মানজনক হয়। কিন্তু সবার কথা উপেক্ষা করে তিনি চায়ের দোকানই দিয়েছেন এবং নামও দিয়েছেন ‘এমএ পাস চাওয়ালা’।

‘ছয় মাস ধরে অনেক ভেবেচিন্তে দোকানের এই নাম দিয়েছি তিনি। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। কষ্ট আছে। প্রধান দুটি কারণের একটি হচ্ছে, নাম দিয়ে আকর্ষণ করে ক্রেতার নজরে আসা। দ্বিতীয়ত, এই নামের কারণে যাতে অন্য শিক্ষিত বেকার যুবকরা অনুপ্রাণিত হন। কেউ যাতে চায়ের দোকানের মতো ব্যবসাকে ছোট করে না দেখেন,’ বলেন রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৪)।

রাজধানীর ভাটারায় কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে ‘এমএ পাস চাওয়ালা’ দোকানের যাত্রা শুরু। এই স্বল্প সময়েই এলাকার চা'প্রেমীসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সাড়া ফেলেছে উদ্যোগটি। এর মধ্যেই চা খেতে আসা কয়েকজন শহীদুলকে বলেছেন, সব সংকোচ ভেঙে তাঁরাও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ীই কিছু একটা করবেন।

রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার তরুণ শহীদুল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। এরপর ২০১৪ সাল থেকে দুই-তিন বছর চাকরির জন্য চেষ্টা করেও পছন্দমতো কাজ পাননি।
চায়ের দোকান দেবেন এ জন্য ঘর ভাড়া নিতে বেগ পেতে হয়েছে শহীদুলকে। বললেন, ‘যখনই কোনো দোকান ভাড়া নিতে যাই, তখন চায়ের দোকান হবে শুনে মালিক দিতে রাজি হন না। অনেককে মোবাইলে কল দিলেও এটা শুনেই কেটে দেয়।’ জেদ চেপে যায় শহীদুলের। ঠিক করেন সমাজে যারা এ ধরনের কাজকে ছোট করে দেখে, তাদের ভুল ভাঙানোর জন্য চায়ের দোকানই দেবেন। আর নাম দেবেন ‘এমএ পাস চাওয়ালা’।

অনেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছোটখাটো কাজ করলেও প্রকাশ্যে আসেন না বা সহজে স্বীকার করতে চান না। কিন্তু শহীদুল এই ধারনা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাই তিনি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেন।

© সংগৃহীত

Address

Basurhat

Opening Hours

09:00 - 17:00

Telephone

1837817339

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad Imam Hossain Sohail posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

Nearby media companies