The Daily Bangladesh

The Daily Bangladesh ★彡[THE DAILY BANGLADESH彡★

22/12/2024

ধানক্ষেত থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার

09/12/2024

সব প্রতিবেশীদেরই শত্রু বানিয়েছে সাম্প্রদায়িক মোদী, ক্ষোভে ফাটছে ভারতীয়রা

09/12/2024

প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা।।বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। 'দুর্নীতির বিরু...
09/12/2024

কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা।।

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা ' এই ¯েøাগানের মধ্য দিয়ে কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ আয়োজনে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালী'র সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মাননু। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন , সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতা নন্দ দাস, বন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম , কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা মসিউর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকসেদুল আলম প্রমুখ। এসময় বক্তরা দুর্নীতি প্রতিরোধে পরিবার থেকে কাজ করতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে সবাই মিলে একসাথে কাজ করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। এসব কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাংস্কৃতিক সংগঠক মোস্তফা জামান সুজন।
# # #

কলাপাড়ায় বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভাবিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। "নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহ...
09/12/2024

কলাপাড়ায় বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। "নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি" এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১ টায় একটি র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ মো. জুয়েল ইসলাম। কলাপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কলাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কলাপাড়া প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মান্নু, উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি (সিপিপি) সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকসেদুল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতা নন্দ দাস, বন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা মসিউর রহমান প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও কর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীসহ স্বাবলম্বী নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫ জন নারীকে উপজেলা শ্রেষ্ট জয়িতা নির্বাচিত করে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
# # #

কলাপাড়ায় ১৫ টি খাল দখল মুক্ত করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।। বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। ক...
09/12/2024

কলাপাড়ায় ১৫ টি খাল দখল মুক্ত করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।।
বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়ার ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের ১৫ টি খাল দখল মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে দুই ইউনিয়নের কয়েকশ কৃষক ও গৃহিণী। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কলাপাড়ার লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের খাল সমূহের মিষ্টি পানি ব্যবহারে সচেতনকরণ বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে সিবিও গোলাপ ও সিঁড়ি’র সহযোগিতায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষক মাওলানা হাবিবুর রহমান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিঁড়ি আদিবাসী নারী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক চান চান, গোলাপ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আকন, ধুলাসার উপকূল উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি উম্মে হাসা রিপা। উপস্থিত ছিলেন আভাস সিএএসআর প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ধুলাসার ইউনিয়নের কাচারীখাল, দাসখালীখাল, খেসারীখাল, বাদাম খালী খাল, ধোরাখাল, হেতালবুনিয়া খাল, ভাংগা খাল, লতাচাপলী ইউনিয়নে সিক্রিখাল, লক্ষী খাল, পূর্ব দিয়ারআমখোলা খাল, থনজুপাড়া খাল, তুলাতলী খালসহ ১৫ টি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে দুই ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রামের প্রায় ৪০০০ পরিবার কৃষিকাজসহ দৈনন্দিন কাজে মিঠা পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে ১০০০ একরেরও বেশি জমি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে মিঠা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছে না কৃষকরা। যার ফলে কৃষকরা কৃষি কাজের আগহ্র হারিয়ে ফেলছে।
তাই অবিলম্বে খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা ও ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের খালের সকল বাঁধ কেটে খালের মিষ্টি পানি সকলের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কৃষকরা।
# # #

কলাপাড়ায় মিশবাহুল কুরআন আশরাফিয়া মাদরাসামাদানী নেসাব্ #৩৯;র উদ্বোধনবিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। মিশবাহুল কুরআনআ...
08/12/2024

কলাপাড়ায় মিশবাহুল কুরআন আশরাফিয়া মাদরাসা
মাদানী নেসাব্ #৩৯;র উদ্বোধন
বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। মিশবাহুল কুরআন
আশরাফিয়া মাদরাসা মাদানী নেসাব উদ্বোধন ও দোায়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত
হয়েছে। রবিবার সকাল দশটায় নতুন বাজারস্থ মেহেরুনা প্লাজা চতুর্থ তলা এ
মাদরাসা উদ্বোধন করা হয়।
মিশবাহুল কুরআন আশরাফিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও নতুন বাজার জামে
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল আজিজ তাজ এর সভাপতিত্বে
বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ সাইদুর রহমান,
এতিমখানার জামে মসজিদের ইমাম মো.নিজাম, নতুন বাজার জামে মসজিদের
সাবেক সভাপতি ডা: মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ
নাসির উদ্দিন, সদস্য শাহজাহান, মধুখালী দাখিল মাদ্রাসার সাবেক
সুপারেনটেন্ট আহালউল্লাহ মাওলানা।
এ সময় কলাপাড়া পৌর শহর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল,
সাইয়েদ উদ্দিন সুপার মার্কেটের সত্তাঅধিকারী শাহজাহান মিয়া, কলাপাড়া
সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোট্ #৩৯;র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. রাসেল,
বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল আজিজ তাজ বলেন
কুরআন ও সুন্নাহ আলোকে পরিপূর্ণ দিন প্রতিষ্ঠার লক্ষে এ মাদ্রাসা পরিচালিত
হবে। মুহতারাম মাওলানা আবু তাহের মেজবাহ (আদিব হুজুর) দা: মা: প্রণীত
সিলেবাস অনুসারে দরদ প্রদান করা হবে।

07/12/2024

নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার পর দাদাগিরির শেষ মাঠটাও হাতছাড়া ভারতের

07/12/2024

শেখ হাসিনাকে মোদির দাসী বললেন ভারতীয় সাংবাদিক।
বিস্তারিত কমেন্টে

06/12/2024

বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় কলকাতায় হাহাকার, আধপেটা থাকছেন ব্যবসায়ীরা |

কলাপাড়ায় ৫নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ ...
05/12/2024

কলাপাড়ায় ৫নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)কলাপাড়া পৌর শাখার উদ্যোগে দলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ৫নং ওয়ার্ড শাখার সাংগঠনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ৫নং ওয়ার্ড চিংগড়িয়া সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কলাপাড়া পৌর বিএনপির(০৫ নং ওয়ার্ড) সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন খান'র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন শিকদার। সভার উদ্বোধন করেন, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হাফিজুর রহমান চুন্নু তালুকদার, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. খন্দকার নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বাবু নিতাই রায় সরকার, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ সিকদার কালা প্রমূখ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আনাম সুমন, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম সিকদার, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি লিলি বেগম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নার্গিস আক্তার কাজল, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক হারুনর রশীদ,পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. সজল বিশ্বাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন বাদল মৃধা, সদস্য সচিব ঢালী রুহুল আমিন অভি,পৌর বিএনপির আহবায়ক বিশ্বাস রাশেদ মোশাররফ কল্লোল, পৌর শ্রমিক দল'র সদস্য সচিব সোয়েবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ফাহিম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, কলাপাড়া পৌর বিএনপি'র সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও কেন্দ্রীয় বিএনপি'র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা আপনাদের কাছে ভোটের কথা বলবো না, আমরা শুধু একটা কথাই বলবো ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরে আমরা আপনাদের জন্য কি কাজ করেছি, আমরা যদি আপনাদের পাশে থেকে থাকি আপনারা যদি শান্তিতে, নির্বিঘ্নে থেকে থাকেন, আমরা যদি ভালো কাজ করে থাকি, তাহলে আপনাদের বিবেক কাজ করবে আপনারা কি করবেন।

# # #

৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কলাপাড়া মুক্ত দিবস।।কলাপাড়া থানা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হা...
05/12/2024

৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কলাপাড়া মুক্ত দিবস।।
কলাপাড়া থানা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা’র স্মৃতিচারণ।।

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া।। ৬ ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১’র এই দিনে কলাপাড়ার বীর সন্তানরা দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাক সেনাদের পরাজিত করে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাকে দখল মুক্ত করে। তাই এই দিনটি কলাপাড়ার আপামর জনসাধারনের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মৃতি বিজরিত দিন।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এই বিজয়ের পিছনে রয়েছে ৩০ লাখ বাঙ্গালীর আত্মদান ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি। মুক্তিযুদ্ধে কলাপাড়া মুক্ত হয়েছিল ৬ই ডিসেম্বর। যুদ্ধকালীন কমান্ডার, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রবীণ সদস্য, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার কল্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচিত পরিচালক, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা স্মৃতিচারন করতে গিয়ে এ তথ্য প্রদান করেন। তিনি স্মৃতি বিজড়িত ৫৩ বছর আগের কথা আবেগ তাড়িত হয়ে চলমান প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ব্যাক্ত করে বলেন, ৩ ডিসেম্বর আমরা গলাচিপা থানা আক্রমন ও বিজয় অর্জনের পর সর্তক অবস্থায় বিশ্রামে থাকাকালীন ৪ ডিসেম্বর পড়ন্ত বিকালে প্রায় আরেকটি যুদ্ধাবস্থার মুখোমুখি হই। পটুয়াখালীর দিক থেকে গানবোর্ট সাদৃশ্য একটি জাহাজ পাকিস্তানী পতাকা উড়িয়ে গলাচিপার দিকে আসতে থাকে। নদীর পাড়ের বাংকার গুলোয় আমরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নেই। জাহাজটি কাছাকাছি এসেও যখন কোন রকম ফায়ার করছেনা, তখন লক্ষ্য করি জাহাজে পাকিস্তানী পতাকা ছাড়াও “ইউএস” লেখা নীল রংয়ের জাতিসংঘের পতাকাও রয়েছে। জাহাজটির নাম “ভাট্রি”। বাংকারের একেবারে কাছে নদীর কোলঘেঁষে এসে জাহাজের গতি একেবারেই কমিয়ে দেয়া হয়। আমরা কোন গুলি না ছুড়ে দরাজকন্ঠে জানতে চাই “তোমরা কারা”? নোয়াখালীর বৃদ্ধ নাবিক বলে ওঠে, “আমরা জাতিসংঘের এবং এতে নিরস্ত্র ৮/১০ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। তারা পর্যবেক্ষনে এসেছেন। ওদেরকে সারেন্ডার করিয়ে গলাচিপা থানার সিও (ডেভ.) এর কাছে সোপর্দ করে “ভাট্রি”-কে ক্যাপচার করে নিই। ৪ তারিখ রাতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান শওকত (জাসদ ইনু কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি) সিদ্ধান্ত নেন যে, এই জাহাজে চড়েই পটুয়াখালী আক্রমনে যাওয়া হবে। বেকে বসি আমরা, ভারতের উত্তর প্রদেশে গেরিলা ট্রেনিংপ্রাপ্ত কলাপাড়ার ৬ জন বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্টের (বিএলএফ) মুক্তিযোদ্ধা। আমি জোড়ালোভাবে যুক্তি দেখাই যে, পেছনে অর্থাৎ কলাপাড়ায় শত্রু রেখে সম্মুখে এগোলে গেরিলাযুদ্ধের পরিপন্থী। এতে মোক্ষম কাজ হয়। অনেক দেন দরবারের পর সিদ্ধান্ত হয়, ৫ই ডিসেম্বর রবিরার সন্ধায় কলাপাড়া থানা আক্রমন করা হবে। আক্রমন পরিচালনাকারী নিযুক্ত করা হয় আমাকে। “ভাট্টি” ও আরেকটি ড্রেজার বাহক নিয়ে ৫২জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে গলাচিপা ত্যাগ করি। সন্ধ্যানাগাদ আমি জাহাজ দুটি আমার বাড়ী ইটবাড়িয়ায় ভেড়াই। উদ্দেশ্য, কলাপাড়ার পরিস্থিতি ও শত্রুর অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া। কুদ্দুস নামে এক সহসী মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় আমার বাড়ী যাই। বাড়ি গিয়ে শুনতে পাই। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চরমপত্র কেবল শুরু হয়েছে। এক আত্মীয় বলে যে, সেনাবাহীনীতে কর্মরত আমার দুই সহোদর ভাই বাড়িতে অবস্থান করছেন। যুদ্ধের কৌশল আমি তৎক্ষনে পরিবর্তন করে ফেলি। দুই ভাইকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পোষাক পরিহিত অবস্থায় মেশিনগানসহ ভাট্টিকে পাকিস্তানী পতাকা উড্ডীয়ন করে উঠিয়ে দেই। মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি ভাগে বিভক্ত করে এক দলে আমি নুরুল হুদা ইউপি ট্রেড রেজাউল করিম বিশ্বাস, নাজমুল হুদা ও কামাল পারভেজ (চলচিত্র প্রযোজক) সহ ২৩ জন যারা থানার পিছন থেকে সরাসরি আক্রমন করবো এবং অন্য দল ইউপি ট্রেন্ড শাহআলম তালুকদার, হাবিবুর রহমান শওকত, ইউপি ট্রেন্ড সাজ্জাত বিশ্বাস, আরিফুল রহমান মুকুল খানসহ বাকিরা ওয়াপদার কর্ণার থেকে কোনাকোনি আক্রমন করবে। আমরা সকলেই পায়ে হেঁটে কলাপাড়ার কবরস্থানের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রথমে অবস্থান নেব এবং ওখান থেকে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যার যার অবস্থানে চলে যাব। ওপেনিং ফায়ার করব আমি (হাবিবুল্লাহ রানা)। সে দিনের পাসওয়ার্ড ছিল “কলাপাতা”। পাসওয়ার্ড হচ্ছে যুদ্ধাবস্থায় নিজেদের যোদ্ধাকে ওই শব্দ উচ্চরণে চেনা এবং ফায়ার ইউথড্রল সাইন। কমান্ডার বা নিযুক্ত যোদ্ধা সজোরে পাসওয়ার্ড উচ্চরণ করলে নিজেদের নির্ধারিত আস্তানায় ফিরে যাওয়া সেটি ছিল আমারই দায়িত্বে। ওদিকে ভাট্রির প্রতি নির্দেশ ছিল, আমাদের মার্চ করার অধাঘন্টা পর ইটবাড়িয়া থেকে কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। থানার পিছনের খালপাড় হয়ে পজিশনে যাবার প্রাককালে আমার দলটি বিপাকে পড়ে। কথাছিল কাঠের পুলটির উপর দিয়ে আমরা আমাদের পজিশনে যাব এবং যেহেতু তখন ভাটা ছিল, শাহআলমের দলটি খাল পার হয়ে তারা ওয়াপদার পজিশনে যাবে। এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার যে, আমরা ৬ জন যেহেতু কলাপাড়াবাসী সেহেতু দুই দলে আমরা ভাগাভাগি হয়েই ছিলাম। কাঠের পুলের দিকে যেতে না যেতেই রাস্তার উপরে আমি ও রেজাউল উঠে গেছি, অমনি রমিজ উদ্দিন বেপারীর বাসার ওখান থেকে দুইজন রাজাকার আমাদের দিকে টর্চ জ্বালিয়ে একটি থ্রিনট থ্রি রাইফেল তাক করে ‘কারা’ পেট্রোল? বলে চেচিয়ে ওঠে। টর্চের স্পষ্ট আলোয়ে আমাদেকে তাৎক্ষনিক রাজাকাররা যেমনি দেখতে পাচ্ছিল, আমরাও তাদের রাইফেলের নল দেখতে পাচ্ছিলাম। ওই রাইফেলের ট্রিগেটে চাপ পড়লেই আমাদের নির্ঘাত মৃত্যু হতো। কিন্তু পেছন থেকে কামাল পারভেজ রাজাকারদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়লে আমরা বেঁচে যাই। ততক্ষনে আমরা লইং পজিশনে চলে গেছি। নিয়ম অনুযায়ী কামাল পারভেজের ফায়ার করাটা যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধ ছিলনা। যে যাই হউক ওয়াবদার ওখান থেকে শুরু হয়ে যায় গুলি বর্ষন। থানার ছাদ থেকে ও নিচে বাংকার থেকে পাল্টা গুলি শুরু হয় মিনিট পনের পর থেকে। এ সময় পূর্বাকাশে চন্দ্রের দেখা মেলে। ঘড়িতে চোখ ফেলে দিখি রাত পোনে আটটা। সার্চ লাইটের প্রচন্ড আলো বিকিরন করে “ভাট্টি” যখন থানার দক্ষিন পাশে নদীতে অবস্থান নেয় তখন রাত নয়টা। ভাটার কারনে ওটি আটকা পরে গিয়েছিল। জোয়ার আসার পর তা ইটবাড়িয়া থেকে অবমুক্ত হয়। এই জাহাজে আমার আমার দুই আর্মি সৈনিক ভাইকে দিয়ে যে যুদ্ধ প্লান করেছিলাম, সে টিও ভেস্তে যায়। আমরা আক্রমন করার কিছুক্ষন আগে ভাট্টি আসবে এবং সার্চ লাইটের আলোর সামনে সেনা পোষাক পরিহিত অবস্থায় দাড়িয়ে আমার দুই ভাই আহম্মদ আলী ও আশ্রাফ আলী উর্দুতে চিৎকার করে সিদ্দিক বিহারীকে এক মালাই নৌকা গুলোতে চরে রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের নিয়ে জাহাজে উঠতে বলবেন। জাহাজটি তখন নদীর মাঝবরাবর অবস্থান নেবে। সিদ্দিক বিহারীর প্রতি তাদের ওই নির্দেশের পরপরই আমি ফায়ার স্টার্ট করব। এতে ভয় পেয়ে ওরা জাহাজ মুখো হবে এবং এলএমজি’র ব্রাশ ফায়ারে আন্ধারমানিকের পানিতেই পাকহানাদার বাহিনীর দোসরদের কবর রচিত হবে। কিন্তু প্রচন্ড গোলাগুলির মধ্যে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে জাহাজ থেকে থানার উপর সরাসরি আক্রমন চালানো হয়। শুরু হয় কলাপাড়া থানার দোতলা লাল বিল্ডিং এর দিকে মুক্তিযোদ্ধারে ত্রিমুখি আক্রমন। এক সময় লক্ষ করলাম, থানার ছাদ থেকে যে সব গুলি আমাদের দিকে আসছে, তা অনেক উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমার গ্রুপের ফায়ার স্টপ করে আমি রাজাকার কমান্ডার সেরাজের নাম ধরে নিজের পরিচয় দিয়ে জয় বাংলা বলে সারেন্ডারের আহ্বান জানাই। থানার বাংকার থেকে রাজাকার সেরাজ কমান্ডার বলে উঠে, হাবিব ভাই, আমরা বিপদে আছি, ছাদের উপর থেকে গুলি থামানোর ব্যবস্থা করেন।
জীবনের প্রতি আরেকটি রিস্ক নিলাম। দুটি থার্টি ছিক্স এইচই হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে থানার সঙ্গে সংযোগকারী সরু রাস্তাটিকে আড়করে ক্রলিং দিয়ে থানার পিছনের টয়লেটে গিয়ে হাজির হই। শরীরের সর্বশক্তিদিয়ে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারি থানার ছাদকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটি ছাদে না গিয়ে নিচে রাজাকারের একটি বাংকারে পরে। বিকট শব্দে ব্লাস্ট হয়। ওখানে মনা নামের এক রাজাকারের মৃত্যু ঘটে অন্য দু’জন গুরুতর আহত হয়। অন্য গ্রেনেডটি পায়খানার মধ্যে রেখেছিলাম। খুজেঁ সেটি আর পাইনি। বিস্টার মধ্যে ডুবে গেছে। মল পরিবেষ্টিত হয়ে পজিশনে ফিরে এসে আবার গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধাদের ফায়ারের নির্দেশ দেই। এভাবে রাত আড়াইটা পর্যন্ত চলে গোলাগুলি। অতপরঃ কমান্ডার নুরুল হুদার নির্দেশে রাত পৌনে তিনটার দিকে ফায়ার উইথড্রোলের ঘোষনা দিয়ে সকলে সেই ইটবাড়িয়ার নদীর পাড়ে চলে যাই। ভাট্টি কে সংকেত দেয়ায় সেটিও যথা সময় ফিরে আসে। আমরা গলাচিপার উদ্দেশ্য পাড়ি জমাই। ৬ ডিসেম্বর ভোর বেলা পুলিশ ও রাজাকাররা তৎকালিন আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ আবুল কাশেম ও মোশারেফ হোসেন বিশ্বাস এর কাছে অস্ত্রসস্ত্র হস্থান্তর করে।
# # #

কলাপাড়ায় কর্মসংস্থান ব্যাংক অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময়বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়ায় কর্মসংস্থান ব্যাংক...
05/12/2024

কলাপাড়ায় কর্মসংস্থান ব্যাংক অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময়

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়ায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কর্মসংস্থান ব্যাংক কলাপাড়া শাখা এর কার্যালয়ে এ অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থান ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. এ এফ এম মতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থান ব্যাংকের পরিচালন ও হিসাব মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম মিঞা ও ঋণ আদায় বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ মোমতাজ উদ্দিন প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম খান। সঞ্চালনা করেন কলাপাড়া শাখার ম্যানেজার মোঃ মিরাজ হোসেন।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে আগত অংশীজনের কাজ থেকে ব্যাংকের সেবা প্রদান সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেন। এছাড়া ব্যাংকের বিভিন্ন সুবিধা/ অসুবিধার বিষয়ে সভায় বিশদ আলোচনা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি কর্মসংস্থান ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করে বেকার যুবদের আত্মকর্মসংস্থানের আহবান জানান। এছাড়া তিনি ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মান আরও বৃদ্ধির জন্য সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারীকে পরামর্শ প্রদান করেন। এসময়ে অংশীজন ব্যাংকের সেবা প্রদানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উন্নত গ্রাহক সেবা, ডিজিটাইলেজেশন, ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণ আদায় বৃদ্ধি, শ্রেণিকৃত ঋণের আদায় বৃদ্ধি, কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ, কর্মদক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে ১০০ দিনের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
# # #

কলাপাড়ায় পৌর কৃষকদল নেতার পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ, আদালতে মামলাবিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়া পৌর কৃষকদলের ...
05/12/2024

কলাপাড়ায় পৌর কৃষকদল নেতার পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ, আদালতে মামলা

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়া পৌর কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কামাল আকনের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে তার মা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মোঃ কামাল আকনের মা মোসাঃ সুফিয়া (৬০) বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোঃ ওলু জোমাদ্দার (৪৮), অনিক জোমাদ্দার (২০), মোঃ রোমান জোমাদ্দার (২৫), মোঃ ইরশাদুল (২৫), মোঃ অন্তর (২০), কিশোর (২১), হাসিব (২৩) কে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর কলাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন কামাল হোসেনের ভাই এবং ফেরিঘাট সংলগ্ন দোকানি ওলু'র ছেলের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের অভিভাবক কামাল ও ওলু উপস্থিত হয়, এতে দুই পক্ষের মারামারি হয়, একপর্যায়ে ওলু ও তার ছেলে সহ ১০/১২ জন কামাল খান ও তার মা সুফিয়া বেগম, ভাই মোঃ হাসান কে লোহার রডের পাইপ দিয়ে আঘাত করে কামাল আকনের পা ভেঙ্গে দেয়।এদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে, তবে আহত কামাল আকন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়।
# # #

কুয়াকাটায় বেরীবাধের অবৈধ স্থাপনায় হাড়াচ্ছে পর্যটনের সৌন্দর্য , হতাশ বিনিয়োগকারীরা।বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু,কলাপাড়া ।। ক...
04/12/2024

কুয়াকাটায় বেরীবাধের অবৈধ স্থাপনায় হাড়াচ্ছে পর্যটনের সৌন্দর্য , হতাশ বিনিয়োগকারীরা।

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু,কলাপাড়া ।। কুয়াকাটায় বেরীবাধের অবৈধ স্থাপনা এখন বিনিয়োগকারীদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এসব অবৈধ দখলদারদের দখল বানিজ্যে চিন্তিত হয়ে পরেছে বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের ক্রয়কৃত জমি নানা অজুহাতে দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে অবৈধ দখলদাররা এমন অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের।
এসব অবৈধ দখলদারদের মধ্যে যাদের জমিজমা ঘরবাড়ি নাই তাদেরকে কুয়াকাটার নয়াপাড়া এলাকায় দেড় শতাংশ জমি দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলেও সেখানে তারা যেতে রাজি নয়। অবৈধ দখলদাররা জমির মালিক বলে দাবি করে উল্টো বিনিযোগকারীদের হুমকি দিচ্ছে। এসব অবৈধ দখলদারদের কারণে বিনিয়োগকারীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি পর্যটনের পরিবেশ প্রতিবেশ নস্ট সহ সৌন্দর্য হানি হচ্ছে। এদেরকে উচ্ছেদ করে বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি পর্যটনে বিনিয়োগকারীদের।
জানাগেছে, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে বেরীবাধের ভিতরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে একাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠেছে। এসব অবৈধ দখলদাররা জমিজমা নেই এমন অজুহাতে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রথমে বেরীবাধের স্লপে ছালা বস্তা দিয়ে বসবাস শুরু করলেও পরবর্তীতে টিনের বড় বড় ঘর নির্মাণ করে। বেরীবাধের এসব অবৈধ স্থাপনার পিছনে বিনিয়োগকারীদের জমি রয়েছে। এসব বিনিযোগকারীরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিলে তারা এখন নানা কৌশলে বিনিয়োগকারীদের জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ দখলদারদের অনেকেরই ব্যক্তিগত জমাজমি, ঘরবাড়ি থাকলেও তারা সেখানে বসবাস না করে বেরীবাধের স্লপে এসে বসবাস করছে।
বেরীবাধ সংস্কারের সময় বেরীবাধের স্লপে বসবাসকারীদের ঘর ভাঙার জন্য ক্ষতপুরণ দেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে এখনো তারা স্ব-স্থানে রয়ে গেছে।
কুয়াকাটা গ্রান্ড পার্ল রিসোর্ট কতৃপক্ষ জানান, তার জমির সামনে বেরীবাধের স্লপে অবৈধভাবে বসবাসরত বাবুল পহলান, জাকির পহলান, আমির পহলান ও আ: আজিজ সহ চারটি পরিবারকে সরাতে ১২ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, যখন তিনি জমি কিনে রিসোর্ট নির্মাণের সময় এসব দখলদারদের সরে যেতে বললে তারা এই জমির মালিকানা দাবী করে বসে। এসব বিষয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি টাকা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন।
আরেক বিনিয়োগকারী এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান জানান, তার জমির সামনে বেরীবাধের স্লপে আব্বাস, মনির, খালেক, মিজানুর স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় ঘর নির্মাণ করে। এসময় বাধা দিলে স্থানীয় কাউন্সিলর মনির শরীফ জানান আপনারা যখন ভবনের কাজ ধরবেন তখন এরা চলে যাবে। এখন এসব অবৈধ দখলদাররা তাদের এই জমির কাগজ রয়েছে এমন দাবি করে উল্টো এখন তার জমি দখল করে ঘর নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে।
এমন অভিযোগ রয়েছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ওশান সিটি কতৃপক্ষেরও। ওশান সিটির প্রতিনিধি মো: জাহিদ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, তাদের জমির সামনে বেরীবাধের স্লপে পাউবোর অধিগ্রহণকৃত জমিতে আ: আজিজ, আব্দুর রব সহ তিনটি পরিবার বসবাস করে। এসময় এদের ঘর নির্মাণে বাধা দিলে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যাস্ততায় স্টাম্পে লিখিত দেয়। তখন তারা বলেন, আমাদের থাকার কোন জায়গা নেই। আমরা এখানে থেকে সমুদ্রে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করবো। আপনারা যখন কাজ ধরবেন তখন আমরা চলে যাব। এখন তারা দাবি করছেন তাদের দলিল রয়েছে। উল্টো তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তার দাবী এসব অবৈধ দখলদারদের চলে যেতে বললে তারা মহিলা পুরুষ মিলে দাও ছেনা নিয়ে লাফিয়ে পরছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, এসব অবৈধ দখলদারদের মধ্যে আ: আজিজ, আব্দুর রব, মিজানুর সহ অনেকেই
বেরীবাধ সংস্কারের সময় ঘর ভাঙার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেকে দেড় থেকে তিন লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এরপরও তারা পাউবোর কতিপয় কর্মচারীদের ম্যানেজ করে সেখানেই রয়ে গেছে।
তারা আরো জানান, আ: আজিজের বৌলতলী পাড়ায ৩ কানি জমি রয়েছে। তার ছেলে আল আমিন, আবু সালেহ'র কুয়াকাটা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পান্জুপাড়ায় জমি এবং পাকা বাড়িঘর রয়েছে। আজিজের ভগ্নিপতি আব্দুর রবের লতাচাপলী ইউনিয়নের ডংকু পাড়ায় রেড ক্রসের ঘর রয়েছে। মিজানুরের ধুলাসার ইউনিয়নে জমি রয়েছে। মনিরের মায়ের নামে লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরায় রেড ক্রসের ঘর রয়েছে। বেরীবাধের স্লপে বসবাসরত প্রত্যেকরই বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি ও জমাজমি রয়েছে। সেখানে তারা বসবাস না করে বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করতেই তারা অন্য জায়গায় জমিজমা ঘরবাড়ি থাকতেও এখানে এসে অবৈধভাবে বসবাস করছে।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ সিডর পরবর্তীতে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবারকে সেনাবাহিনী ঘর নির্মাণ করে দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে তিন সতাংশ জমি দলিল করে দেয়া হয়। এসব ঘরবাড়ি ও জমি সমুদ্রের করাল গ্রাসে চলে যায়।
এখন তাদের মধ্যেই অনেকে ওই দলিল দিয়ে বেরীবাধের ভিতরে দাবি করে বিনিয়োগকারীদের হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের ক্রয়কৃত জমির মধ্যে ঘরবাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে এক শ্রেণির অসাধু ভূমি দালাল ও মামলাবাজরা দখলদারদের উস্কানি দিচ্ছে।
তবে অবৈধ দখলদার আব্বাস, আ: রব জানান, আমাদের ঘরবাড়ি সমুদ্রে ভেঙে গেছে। তাদের নামে দলিল রয়েছে। ওই দলিলের দাগ ক্ষতিয়ান অনুযায়ী ৭৮ দাগের জমির মালিক তারা। সরকার তাদের দলিল দিয়েছে। সেই জমি বুঝে নিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় জমির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তারা দাবি করেন, আমরা শীঘ্রই জমি দখলে নিব।
এবিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবারকে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেককে তিন শতাংশ জমি দলিল করে দেয়া হয়েছে। যা এখন সমুদ্রে গর্ভে চলে গেছে। ওই জমি অন্য কোথাও দাবি করার সুযোগ নেই। তিনি জানান, যাদের ঘরবাড়ি, জমিজমা নেই তাদের চিহ্নিত করে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নয়াপাড়ায় পুনর্বাসন করা হবে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রত্যেককে দেড় শতক করে জমি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ এবং কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, পর্যটনের সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে বেরীবাধের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের খুব শীগ্রই উচ্ছেদ করা হবে। কোন বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করার কোন সুযোগ নেই। এমন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
# # #

কলাপাড়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য আটক বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে ...
03/12/2024

কলাপাড়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য আটক

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামুরতলা গ্রামের ডাকাত দলের সদস্য কাসেমের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
আটককৃতরা হলো ছগির হাওলাদার (৩৩), রাহাত ফকির (২৭), মনির ডাকুয়া (২৭), সফিক গাজী (২৮), আবুল হাসেম (৪০) ও রাকিবুল খান (২৭)। এদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি কলাপাড়ার গামুরতলা গ্রামে ও চার জনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদলের সদস্যরা ওই বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তারা গৃহকর্তা রাসেল হাওলাদার ও তার স্ত্রী নুপুরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা বেধে লেপের নিচে আটকে রাখে। এরপর আলমিরাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা ও প্রায় আড়াই লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম কাসেমের বাড়িতে গিয়ে ডাকাতদলের সদস্যদের সনাক্ত করেন। অভিযোগ রয়েছে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কাশেমের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জুয়েল ইসলাম এখবর নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা চলছে বলে তিনি জানান।

02/12/2024

কলাপাড়ায় পরকিয়া অতঃপর প্রতিবেশীদের
ফাঁসাতে চুরির অপবাদ, সালিশ বৈঠকে হামলা

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া ।। কলাপাড়ায় পরকিয়া প্রেম
ধামাচাপা দেয়ার জন্য মিথ্যা চুরির নাটক সাজিয়ে প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর
চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিমাংসায় শালিস বৈঠকে মারধরের ঘটনায়
শালিসদ্বারসহ ৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার শেষ বিকেলে উপজেলার নীলগঞ্জ
ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামুইরতলা গ্রামের
বাসিন্দা মিজানুর ঘরামীর বাড়িতে গত মঙ্গলবার রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী জাকির আকন ও তার পরিবারকে তারা সন্দেহ করেন। চুরির
মালামাল ও চোরকে জনসম্মুখে আনতে তারা স্থানীয় এক গণনাকারীর কাছে যান।
গণনাকারীর তথ্য মতে খালু মিজানুর ঘরামী ও তার ভায়রাজী মারুফা আক্তার পরকীয়া
করার জন্য ঘরের সবাইকে ঘুমের মধ্যে রাখতে খাবারের সাথে চেতনানাশক ঔষূধ
খাওয়ায়। শেষে ধরা পরার ভয়ে ঘরের মালামাল চুরির নাটক সাজায়। বিষয়টি স্থানীয়দের
মধ্যে জানাজানি হলে, প্রতিবেশী জাকির আকন ও মিজানুরের মধ্যে মিমাংসার
জন্য পারিবারিকভাবে শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মিজানুর ও তার
পরিবার শালিস বৈঠক অমান্য করে উল্টো শালিসদ্বারদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও তাদের
উপরে হামলা চালায়। এতে দু-পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে শালিসদ্বার হাবিব ঘরামী বলেন, মিজানুর ঘরামী সম্পর্কে তার ভাতিজা।
মিজানুর ঘরামীর বাড়িতে একটি চুরির ঘটনায় প্রতিবেশী জাকির আকন ও তার
পরিবারকে তারা সন্দেহ করেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য পারিবারিকভাবে সালিশ
বৈঠকে বসলে মিজানুর ও তার পরিবার তার উপর চড়াও হয়ে গালমন্দ ও গায়ে হাত
তোলে। এতে দুপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে মিজানুর ঘরামী ও তার স্ত্রী ছাবিনা বেগম বলেন, শালিস বৈঠক কিছুই
না, পরিকল্পিতভাবে তাদের মারধর করা হয়েছে। তবে, পরকীয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে
দাবী করলেও গণনাকারীর কাছে গিয়েছেন বলে তারা উভয়ই স্বীকার করেন।

এখনো ৪ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানরাজনৈতিক আশ্রয়ে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ত...
02/12/2024

এখনো ৪ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান

রাজনৈতিক আশ্রয়ে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। ২০০৭ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৮৪টি মামলায় হয়। এসব মামলার মধ্যে ৫টিতে দণ্ড হয় তারেক রহমানের। আর খারিজ, খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন ৩৯ মামলায়।

গতকাল রোববার (০১ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপি আশা করছে, দণ্ডের বাকি চার মামলায়ও ন্যায়বিচার পাবেন তারেক রহমান।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল জানান, তারেক রহমান মিথ্যা ও সাজানো আরও চার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আছেন। রোববার যেভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বাকি চারটা মামলায়ও আশা করছি ন্যায়বিচার পাবেন।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৪ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০-৬৫টা মানহানির মামলা। ইতোমধ্যে ৩৯টা মামলায় খালাস, খারিজ ও চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আদালত থেকে তিনি এসব মিথ্যা মামলায় ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে এসব মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল।

কায়সার কামাল আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো ৪টি মামলা বাকি রয়েছে। মামলাগুলো হচ্ছে- জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট মামলা, সম্পদ বিবরণীর মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা ও নড়াইলে মানহানির একটি মামলা। এসব মামলাতেও তিনি আইনি মোকাবিলা করতে চান। কারণ তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। সেনা নিয়ন্ত্রিত সেই সরকার আমলেই পরের বছর জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। তারপর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমান আর দেশে ফেরেননি। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বাড়তে থাকে, রায়ও হতে থাকে।

বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন।

ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুদকের আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছিলেন হাইকোর্ট।

২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে।

এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এই মামলায় নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন

Address

Barishal
8650

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Daily Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Daily Bangladesh:

Videos

Share