08/10/2024
চুলের যত্নে প্রয়োজনীয় খাবার চুলের যত্নে শুধু শ্যাম্পু যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সঠিক যত্ন নেওয়া। কিন্তু বাচ্চাকাচ্চা, সংসার, পড়াশোনা, চাকরি ইত্যাদির নানা ঝামেলায় অনেকেরই সময় হয়ে উঠেনা আলাদাভাবে চুলের যত্ন নেওয়ার। কিন্তু আপনি কি জানেন সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও আপনি নিতে পারেন চুলের যত্ন?? সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য প্রয়োজন কিছু নিউট্রিয়েন্ট, যেমন প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, বায়োটিন, ভিটামিন ও, সি, ই এবং ডি। এ সকল নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনি চুলকে দিতে পারেন সঠিক পুষ্টি। আসুন জেনে নেই কিছু খাবারের নাম যাতে এসকল নিউট্রিয়েন্ট অধিক পরিমাণে রয়েছে।
১. সামুদ্রিক মাছঃ
সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন এবং টুনা মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ডি যা চুলের জন্য উপকারী।
২. গাঢ় সবুজ পাতাযুক্ত সবজিঃ
গাঢ় সবুজ পাতাযুক্ত সবজি যেমন পালংশাক, পাতাকপি ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন সি এর খুবই ভালো উৎস। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকাতে মেদ হয়না। কাঁচা সালাদ হিসেবে বা রান্না করে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, চুলের জন্য সমান উপকারী।
৩.বাদাম
আলমন্ড, পিক্যান, আখরোেট এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ প্রোটিন, বায়োটিন, মিনারেল ও ভিটামিন ই। এছাড়াও, আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। সুতরাং প্রতিদিনের ডায়েটে সুন্দর চুলের জন্য অবশ্যই বাদাম রাখতে হবে।
৪. মিস্টি আলু ও লাল আলুঃ
মিস্টি আলু ও লাল আলু মিটামিন এ সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন ও ক্যালশিয়াম।
৫. ডিমঃ
ডিম প্রোটিন ও বায়োটিনের চমৎকার উৎস, এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ই, আয়রন ও ক্যালশিয়াম। এছাড়া বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো মুরগীর ডিম থেকে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এসব ডিমকে ওমেগা ডিম বলে।
৬. শিম জাতীয় খাবারঃ
মটরশুঁটি, মসুর ডাল ও সয়াবিনে রয়েছে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, বায়োটিন যা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
৭. দুধ ও দুধের তৈরি খাবারঃ
দুধের তৈরি খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া নন-ফ্যাট দুধ ও চীজ ক্যালরি কমাতেও সাহায্য করে।
৮. লাল ক্যাপসিকামঃ
লাল ক্যাপসিকামে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। এছাড়া এটিতে অতিরিক্ত কম পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে।
৯. চর্বিবিহীন গরুর গোস্তঃ
গরুর গোস্ত প্রোটিন ও জিংকের খুবই ভালো উৎস। তবে এতে ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ বেশি।
হটাৎ করে চুল পরা বেড়ে গেলে বা চুল রুক্ষ্ম হয়ে গেলে আগে আপনার খাবার পরীক্ষা করবেন। সঠিক পুষ্টির অভাবে চুল পরা বেড়ে যায়। তাই খাবার পরীক্ষা করে চুলের জন্য উপকারী যে খাবারটা আপনার প্রতিদিনের ডায়েট থেকে বাদ যাচ্ছে তা ডায়েটে যোগ করে নিবেন।