05/05/2024
তারা সবাই সাধারণ পাহাড়ী!?
ব্যাংক ডাকাতির পর যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যে সকল কুকিচীন সন্ত্রাসী দলের সদস্য বা তাদের সহযোগী আহত, নিহত বা আটক হয়েছে তাদের কাউকেই এই সন্ত্রাসী গ্রুপের বলে স্বীকার করেনি কেএন এফ। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ ও তথ্য থাকা সত্ত্বেও, তাদের সাধারণ পাহাড়ী জনগণ বলে দাবী করেছে সন্ত্রাসী দলটি ।
যৌথ বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে কুকি সন্ত্রাসীরা আটক ও হতাহত হওয়ায় তারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তাদের দলের সদস্য সংখ্যা এবং শক্তি দুটিই কমে গেছে। শক্তি এবং জনবল বৃদ্ধি করার লক্ষে কুকীচীন সন্ত্রাসী দলের বিষাক্ত নজর সবসময়ই পাহাড়ি যুব সমাজের দিকে ছিল। তাদের অস্তিত্ব রক্ষা , পাহাড়ের স্বাধীনতা, আলাদা রাজ্য গঠন এবং পাহাড়কে রক্ষা করার মত মিথ্যা গালভরা গল্প দিয়ে ব্রেইন ওয়াস করিয়ে সাধারণ তরুণদের এতদিন সন্ত্রাসী দলে যোগ দেওয়াতে সক্ষম হলেও বর্তমানে এই কুকি সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্ম, নিজ স্বার্থ রক্ষা এবং ভন্ডামি প্রকাশ্যে আসার পরে তাদের দলে আর কেউ যোগ দিতে চাচ্ছে না। নিজ জাতিকে কঠিন বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়া ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরনের মত হঠকারী সিদ্ধান্ত তাদের জাতিসত্তাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে । সাধারণ জনগণকে দেখানোর জন্য তারা পাড়াবাসী সকল নিরীহ বম সম্প্রদায়ের জনগনকে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।
অন্য দিকে সেনাবাহিনীর সাথেও এই সন্ত্রাসীরা পেরে উঠছে না। আর তাই কুকি সন্ত্রাসীরা সবসময়ই এক ঢিলে দুই পাখি মারার ধান্দায় আছে। যারা তাদের সন্ত্রাসী দলে যোগ দিত অনিচ্ছুক, তাদেরকে হত্যা করে বাকিদের ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসী দলে যোগ দিতে বাধ্য করে এবং সেনাবাহিনীর নামে সাধারণ পাহাড়িদেরকে হত্যার দায় চাপিয়ে দেয়। অন্যদিকে পাহাড়ি যুবসমাজকে ঠেলে দেয় ধ্বংসের অতল গহবরে ।
সর্বশেষ গত ০৪ মে ২০২৪ (শনিবার) লাইরুনপি পাড়ার কাছে হিটলার বম (২২) নামের কুকিচীন সন্ত্রাসী একজন গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য নিহত হয়। এই হিটলার বম নাথান বমের ভাইয়ের ছেলে। নাথান বম সপরিবারে ভারতে পালিয়ে গেলেও তার ভাইয়ের ছেলেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে রেখে বাকি সাধারণ বমদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিল এবং তাকে পরবর্তী প্রজন্মের নেতা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিল। সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কুকি সন্ত্রাসী এই হিটলার বম কুকিচীন সন্ত্রাসী দলের একজন সক্রিয় সদস্য । কিন্তু পূর্বের ন্যায় এই হিটলার বম’কেও এই কাপুরুষ কুকি সন্ত্রাসীরা সাধারণ পাহাড়ি বলে দাবি করছে। এই হিটলার বম যদি সাধারণ কেউ হত তবে পাড়াবাসীদের পক্ষ থেকে নিশ্চয় কোন অভিযোগ বা প্রতিক্রিয়া থাকত। যার কোনটাই নেই। এই হিটলার বম অনার্স পড়ুয়া বলেই যে সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় তার কোন যুক্তি নেই। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র নাথান বম আজ এই সন্ত্রাসী দলটির নেতৃত্বে , সেখানে কলেজ পড়ুয়া হলেই যে পবিত্র হবে এটা ধারণা করার কোন অবকাশ নেই। কুকি সন্ত্রাসীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যই বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী
দেখা যাক কুকি সন্ত্রাসীরা তাদের নিজ দলের সন্ত্রাসীদের’কে আর কতদিন সাধারণ পাহাড়ী জনগন বলে চালিয়ে দিতে পারে?? কিন্তু শেষ রক্ষা যে হবে না এটা সহজেই অনুমেয়। কারণ আমরা সকলেই জানি- পাপ ছাড়ে না বাপকে।সুতরাং পাপী যেই হোক তাকে পাপের সাজা ভোগ করতেই হবে।
#কুকিচিন #কুকিআর্মি #কুকিসন্ত্রাসী #জঙ্গীসন্ত্রাসী #হিল