10/05/2024
একজন মানুষের লাইফে যত দুঃখ কষ্ট আসে, তার একটি বড় কারন সে হয়তো অতিত লাইফে কাউকে অন্যায় ভাবে কষ্ট দিয়েছিল, কিন্তু তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয় নি।
একটা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না, কোন ছেলের চাকরী হচ্ছে না, কোন দম্পত্তির সন্তান হচ্ছে না, সে হয়তো শত চেষ্টা করছে, দুআ করছে, কিন্তু আল্লাহ তাআলার তাকদীরে বাইরে কিছু করা তো তার হাতে নেই। কিন্তু আশেপাশের কিছু মানুষ তাকে কথা শোনাতে ছাড়ে না। এমন না যে, তাদেরকে গালি দেয়া হয়। কটু কথা বলা হয়। বরং মিষ্টি হাসি দিয়েই নরম ভাষাতেই এমন সব কথা বলা হয়, যে অন্তর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়।
আমার এক রিলেটিভ দেশের বাইরে (কথিত) সবচেয়ে সভ্য দেশে থাকে। বিয়ের পর তার বেবী হচ্ছিল না দেখে সেই এলাকার প্রবাসীদের যেই পরিমান কথা তারা সহ্য করেছে, সন্তান হওয়ার পর সেই কষ্টের কথা গুলো বলতে গিয়ে ৩৫ বছরের সেই ছেলে মানুষটিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারে নি।
নিজ চোখে এরকম খোঁচা দানকারী মানুষগুলোর পরিণতি দেখেছি। জীবনের কোন একসময় এসে এমন মারাত্মক বিপদে পড়ে, এমন ভাবে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতগুলো আল্লাহ ছিনিয়ে নিয়ে যান, দিকবিদিকশুন্য হয়ে যায়। আল্লাহ! কোন পাপের শাস্তি দিলা বলে পাপ তালাশ করতে থাকে, অথচ দুই ঠোটের মাঝের জিহবার কামাইয়ের কথা ভুলে যায়।
কুরআনের আয়াতটি কী অদ্ভুত, তাই না!
তোমরা এটাকে খুবই সাধারন ভাবতে, অথচ তা আল্লাহর কাছে ছিল বিশাল গোনাহ। - সুরা নূর।
✍️ Rizwanul Kabir