28/10/2022
খরগোশ আর কচ্ছপের গল্প আমরা সবাই পড়েছি, তবে আমরা অধিকাংশ সবাই জানি যে খরগোশ অলসতা আর নিজের প্রতি দাম্ভিকতা দেখানোর ফলে নিজে পরাজিত হয়েছিলো। আসলে এটাই শেষ নয়, এর চতুর্থতম অধ্যায় বিদ্যমান। যেখানে প্রথম অধ্যায়ে,কচ্ছপ তার নিজের প্রতি কনফিডেন্স থাকার ফলে, ধীর গতিতে হলেও বিশ্রামহীন কার্যক্রম চালিয়ে গেছে, ফলে তার ফলস্বরূপ এক পর্যায়ে কচ্ছপ বিজয় লাভ করেছে, অপরপক্ষে খরগোশ দ্রুতগামী প্রাণী হয়েও কচ্ছপের সফলতা নির্দ্বিধায় তাকে মেনে নিতে হয়েছে। এখানে নীতিকথা হলো..... নিজের দাম্ভিকতার ওপর ভিত্তি করে কাউকে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ ছোট সবসময় ছোট থাকে না। কিন্তু দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসে খরগোশ আবার প্রতিযোগিতার প্রস্তাব প্রয়োগ করে, ফলে পুনরায় প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবার খরগোশ আর অলসতা না করে দ্রুতগতিতে দৌড়ানো শুরু করে,ফলে খরগোশ বিজয় লাভ করে। আর এখানে প্রধান নীতিকথা হলো......সঠিক সময় সঠিকভাবে পরিশ্রম করলে, সঠিক ফলাফল অবধারিত। এবার তৃতীয় অধ্যায়ে এসে কচ্ছপ আবার প্রতিযোগিতার ডাক দেয়, এবার রাস্তা পরিবর্তন করে প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়, কচ্ছপ তার নির্ধারিত গতিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, এবার যে রাস্তা দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয় সেই রাস্তায় একটি নদী পড়ে, ফলে কচ্ছপ নির্দ্বিধায় সেই নদী সাঁতরে পার হয়ে যায় ফলে এবার পুনরায় কচ্ছপ বিজয় লাভ করে। এখানে নীতিকথা হলো...... শুধুমাত্র দ্রুতগামী প্রাণী হলেই, দৌড়ে বিজয় লাভ করা সম্ভব নয় । কিছু কিছু সময় পরিস্থিতি প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এবার চতুর্থ অধ্যায়ে এসে খরগোশ আবার প্রতিযোগিতার ডাক দেয়, খরগোশ মনে মনে ভাবে আর অহংকার নয়, এবার খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে নিয়ে দৌড় শুরু করে, নদীর কাছে এসে থেমে যায়। কচ্ছপ এবার খরগোশকে পিঠে নিয়ে নদী পথ পাড়ি দেয়, ফলে তারা দুজনেই বিজয় লাভ করে। এখানে নীতি কথা হল.... ভালো সম্পর্ক ব্যক্তি কে ছোট - বড় থেকে বন্ধুত্বে রূপান্তরিত করে।@@@ ইয়ারুল ইসলাম বাঘা, রাজশাহী @@@