Morrelganj, Bagerhat

Morrelganj, Bagerhat Morrelganj (Bengali: মোড়েলগঞ্জ) is an Upazila of Bagerhat District in the Division of Khulna, Bangladesh.

16/12/2024

দাদাদের প্রজন্মের শত্রু ছিলো ইংরেজরা, দাদারা হারিয়েছে। 🇬🇧
বাবাদের শত্রু ছিলো পাকিস্তান, বাবারা তাদের হারিয়েছে। 🇵🇰
আমাদের শত্রু ভারত, আমরাও তাদের হারাবো ইনশাআল্লাহ্‌ । 🇮🇳

এই হোক এবারের মহান বিজয় দিবসের আমাদের অঙ্গীকার। 🇧🇩 🇧🇩

১৯শে জুলাই জুমার খুতবা চলাকালে পুলিশ যখন গু*লি চালাচ্ছিল, এই ছেলেটা সামনে এগিয়ে যায় কথা বলতে, যাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ...
13/12/2024

১৯শে জুলাই জুমার খুতবা চলাকালে পুলিশ যখন গু*লি চালাচ্ছিল, এই ছেলেটা সামনে এগিয়ে যায় কথা বলতে, যাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সংঘর্ষ বন্ধ থাকে। আমরা কয়েকজন তখন আজমপুর বিডি আর মসজিদের দেয়াল ধরে ইট হাতে দাঁড়িয়ে দেখছি সব।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাসিমাখা ছেলেটার সামনে এসেই তারা কোমড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে সবার সামনে গু*লি করে দেয়। খুব সম্ভবত পেটের ডানপাশ থেকে নাড়ি*ভুঁড়ি বের হয়ে আসলে সে নিজের এক হাত দিয়ে তা চেপে ধরে ঐখানেই পড়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ছেলেটার নাম রাতুল, নওয়াব হাবিবুল্লাহর ছাত্র। এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলেও চিকিৎসার অভাবে বেডে পড়ে কাতরাচ্ছে। উত্তরা ক্রিসেন্ট থেকে সিএমএইচ, পরিপূর্ণ চিকিৎসা কোথাও পায়নি।
ঘাতক পুলিশেরও কিছু ছবি পেয়েছি যা এই পোস্টে সংযুক্ত করে দিচ্ছি।

গু*লি চলার পড়ে মসজিদের মিম্বার থেকে খুতবায় ইমাম সাহেবের ঘোষনা আসে, "যারা বাইরে গু*লি চালাচ্ছেন, তাদের জন্য আমি জাহান্নামের সুসংবাদ দিচ্ছি"
শুধু আখেরাতে নয়, দুনিয়াতেও আমরা এদের জীবন জাহান্নাম বানায় দিতে চাই।

ছবির পুলিশ সদস্যদের চিনে থাকলে আমাদের জানান

সংশোধন: আজমপুর বিডি আর মসজিদকে কাচাবাজার মসজিদ লিখেছি, যা ভুল ছিল। এছাড়াও মসজিদের ভেতরে কোনো গুলি চলেছে আমি বলিনি, দুইটা বিজিবি এপিসি এবং ডজন খানেক পুলিশ ছিল যারা নিয়মিত বিরতিতে টিয়ারশেল, ছোড়রা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে যাচ্ছিল।

(কালেক্টেড).

‼️রেড এলার্ট‼️ইস্ট ওয়েস্ট এর একজন শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত!! গাজিপুরের কালিয়াকৈরে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইস্ট ওয়েস্ট...
13/12/2024

‼️রেড এলার্ট‼️
ইস্ট ওয়েস্ট এর একজন শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত!!

গাজিপুরের কালিয়াকৈরে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইস্ট ওয়েস্ট এর শিক্ষার্থী "তাজবির হোসেন শিহান" কে আজ ভোর ৫ টার কিছু পরে ৫ জন দুর্বৃত্ত ধাওয়া করে উপর্যুপরি ছুড়িকাঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে!

শিহান ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লেখালেখি করতেন ফেসবুকে!!! সে ইস্ট ওয়েস্ট এর সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থী।

আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই, দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে!

- PUSAB

প্রমানিত 😇
04/12/2024

প্রমানিত 😇

11/11/2024

জিনিসটা যে বানাইছে ভালই বানাইছে।

05/11/2024

*শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য*

গত পরশু দেখছিলেন একটা মেয়ে ভাইরাল হইসিলো মদ খাওয়া নিয়ে? হুম, না দেখলেও সমস্যা নাই। কালকে বা পরশু দেখছিলেন টঙির এক হোটেল থেকে ১০০ লোক গ্রেপ্তার আর কয়েক হাজার বোতল মদ?

এইটা হচ্ছে জাভান হোটেল -

খোদাতালার রহমতে এই জায়গায় আমার যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। টংগির জাভান হোটেল এইটা। এখানে কারা যায় শুনবেন?

১. মেয়ে: বেশিরভাগ থাকে আফতাবনগর বা বসুন্ধরা আইব্লক। কোথায় পড়ে আচ করে নিয়েন? কোন ইউনিভার্সিটির নাম নিবো না।

এক আপুর সাথে হুট করে আলাপচারিতা, ওকে আমার inquisitive মন জিজ্ঞাসা করে বসে এত্ত দামী ইউনিভার্সিটিতে পড়ে আপনি এইখানে আসেন কেন?

উত্তর শুনবেন?

ভাইয়া দেখেন, আমি যেখানে পড়ি ওইখান থেকে টিউশন পাওয়া যায় না, পার্লারের কাজ ও পাওয়া যায় না, রেস্টুরেন্টে কাজ করলে সবাই চিনে যায়। এই বয়সে কি বাবা মায়ের থেকে টাকা নেওয়া যায়? আব্বু অসুস্থ কি আর করবো? নিজের খরচ নিজেকে চালাতে হয়। তাই এই পথে আসা। মাসে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা হলেই আর আসি না।

আমি হকচকিয়ে উঠলাম! ২ লাখ টাকা কিভাবে?

আমাকে আস্তে করে টাকার ব্যাগটা দেখালো, বললো আজকের ইনকাম এইটা।

ওই ব্যাগে বাদ গেলেও ৫০ হাজার টাকা ছিলো। কোন এক লোক যাস্ট মদ খেতে বসে, হাউ কাউ করে ৩০ হাজার টাকা ছিটিয়ে গেছে।

২. এই লোক কারা? কি করে এরা? কোথায় এত্ত টাকা আসে?

হুম, এইটাই সায়েন্স। এইবার বলি?

এইখানে গুলশান ক্লাসের লোকজন যায় না, গুলশানের লোকজনের জায়গা আলাদা। Diplomat ক্লাব, International Club, Gulshan Club আর লোয়েস্ট হলে R bar বা নিকেতনের Celebritia.

এইখানে কারা যায় জানেন?

মিডল ক্লাস পাপীরা। যারা পয়সা কামিয়েছে ৩ উপায়ে:

১। চুরি করে, সরকারি চাকরি করে। আজিমপুরের বাসভবনের গাড়িগুলো এইখানে লম্বা লাইন ধরে। এডুকেশন মিনিস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর টু আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অমুক সচিব, সবার আলাদা টেক্সি আছে যেগুলো জাভান থেকে উত্তরা ৩ নাম্বার সেক্টরে এসে নামিয়ে দিয়ে যায়।

২। মিডল ক্লাস যারা প্রজেক্ট ভিত্তিক পয়সা কামায়। ধরেন টেন্ডার, এলাকার চান্দার, আইটির একটা বিদেশী প্রজেক্ট, ৩ পাত্তি খেলার সোর্স....

৩। বাবা মায়ের বিপুল সম্পত্তি আছে, ওইগুলো বিক্রি করে খায় আস্তে আস্তে করে।

এক টেবিলে, স্বচক্ষে দেখা বিল ছিলো ১৫ লক্ষ টাকা! ইউএস ইকোনমিতে কোন বারের মালিক এইটা শুনলে কালকেই বাংলাদেশে বারের লাইসেন্স নিবে। কিচ্ছু করে নাই, শুধু হাউ কাউ করছে, মেয়ে গুলোকে হাউ কাউ করাইসে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে গেছিলো ৬ জন। কে দিয়েছে, ওদের নাম আপাতত বলবো না, একজন বিশাল বুজুর্গ ও আছেন।

এত্ত কিছু লেখার মানে কি?

কোন মানে নাই - মানে একটাই। আপনি আমি গরীবের বাচ্চা, টাকা দেখি নাই, বুঝিও না কিভাবে খরচ করতে হয়। যেখানে টাকা উড়ে ওইখানে গেলে বলদ হয়ে থাকি, আর দেশে টাকা নাই এইটা একটা মিথ।

অনেকে আবার ভং ধরবে, এইগুলো অন্য সমাজের গল্প!

অনেক কথা বলে ফেললাম, মাইন্ড করিয়েন না। এইগুলো লাইফ স্কিল, বইয়ের গল্প - গল্প না, যদি না চোখে দেখা যায়। চোখ মেলিয়া তাকান, কষ্ট পাবেন, পেতে পেতে আপনি নিজের অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবেন।

© Mohidul Alam

বাংলাদেশ বিমানে জাপান যাওয়ার ফ্লাইটে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে টয়লেটে বসিয়ে বললেন, তুমি টয়লেট করো, আমি পাঁচ মিনিট...
03/11/2024

বাংলাদেশ বিমানে জাপান যাওয়ার ফ্লাইটে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে টয়লেটে বসিয়ে বললেন, তুমি টয়লেট করো, আমি পাঁচ মিনিট পর আসছি।

বাচ্চাটা ২ মিনিট পরই টয়লেট থেকে বের হয়ে ওর মায়ের কাছে না গিয়ে ভুল করে উল্টা দিকে চলে গেল🙆🏿‍♂️
এদিকে প্রথমবার প্লেনে চড়ে আমাদের রাজু মিয়া (৩২) জাপান যাইতেছিলো, হঠাৎ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সে টয়লেটে ঢুকলো🙄
পাঁচ মিনিট পর বাচ্চার মা এসে দরজায় টক টক আওয়াজ করছেন আর বলছেন, হয়ে গেছে নাকি? তাহলে দরজা খোল, আমি ধুইয়ে দিয়ে প্যান্ট পরিয়ে দেব🤭

টয়লেটের ভিতর থেকে বিস্মিত রাজুমিয়া ভাবছে, উফ! একেই বলে সার্ভিস!🫠🫠
কে বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সার্ভিস খারাপ?🌚
Copied.

[আমি কাউকে ছোট-হেয় করার জন্য এই পোস্টটি করি নাই। কাউকে কামলাও বলি নাই। কারো ঘামের গন্ধ কিংবা কারো লুংগি পড়াতেও আমার আপত্...
03/11/2024

[আমি কাউকে ছোট-হেয় করার জন্য এই পোস্টটি করি নাই। কাউকে কামলাও বলি নাই। কারো ঘামের গন্ধ কিংবা কারো লুংগি পড়াতেও আমার আপত্তি নাই। আমি শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করেছি। পোস্ট পড়া শুরু করার আগে শেষ প্যারাটি পড়ার অনুরোধ থাকলো।]

আজকে দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে সাত সকাল বেলায় যাত্রা শুরু করি বলোনিয়া, ইটালি থেকে। বলোনিয়া থেকে রোম মাত্র ২ ঘন্টায় চলে আসি হাই স্পিড ট্রেনে। সেখান থেকে সরাসরি চলে যাই রোমের FCO এয়ারপোর্টে। আমার ফ্লাইট ছিলো কাতার এয়ারওয়েজে। চেক-ইন শুরু হলে আমি আমার লাগেজ কার্গোতে দিয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করি। আমার দেশে আসা পর্যন্ত ১ টি ট্রান্সফার ছিলো। প্রথমে রোম থেকে দোহা। এরপর দোহা থেকে ঢাকা।

রোম থেকে দোহা পর্যন্ত ফ্লাইট টাইম ছিলো ৫ ঘন্টা। আমি সিট পেয়েছিলাম শুরুর দিকে। তার উপর আবার পাশের সিটে যাত্রী না থাকায়, বেশ আরামেই এই ৫ ঘন্টা যাত্রা সম্পন্ন করি।

বিপত্তি শুরু হয় পরের ফ্লাইটে এসে। পরের ফ্লাইট ছিলো কাতারের দোহা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা পর্যন্ত। পরের ফ্লাইটে আমার সিট পড়ে বিমানের প্রায় শেষের দিকে। আমার সাথে সহযাত্রী হয় আরো প্রায় 100-150 বাংলাদেশী। ভাগ্যক্রমে এবারও আমার সিটের পাশের সিটে যাত্রী ছিলো না। সাধারনত আমি ফ্লাইটে অপরিচিত কারো সাথে কথা বলি না। আর মাঝে মধ্যে বিদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যাত্রাপথে যাত্রীরা অকারনে শোরগোল করে না। এমনকি সামান্যতম শব্দও করে না।

তো, ফিরে আসি আবার দোহা টু ঢাকা ফ্লাইটে। ফ্লাইটের সহযাত্রীদের প্রায় সবাই ওয়ার্কার ভিসা কিংবা টুরিস্ট ভিসায় কাতারে গিয়েছিলো। এর মধ্যে প্রায় সবাই অবৈধ অভিবাসী হওয়ায় কাতার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে দেশে পাঠাচ্ছিলো। এতকিছুর পরেও তাদের প্রতি আমার সম্মান বজায় ছিলো। কিন্তু ফ্লাইট আকাশে উঠার আগেই তারা যা শুরু করলো এতে আমার মাথাটা আস্তে আস্তে হেট হতে লাগলো।

এক ভদ্রলোক স্পঞ্জের স্যান্ডেল, লুংগি আর একটা ঘামের গন্ধযুক্ত শার্ট পড়ে আমার পাশের সারিতে বসলো। বসেই সে সিটের উপর ২ পা ভাজ করে বসে পড়লো।

সামনের দিকে দেখলাম যে, ফ্লাইট এটেন্ডেন্স কে ডাকার এবং আলো জ্বালানোর যে বাটনগুলো আছে, সেগুলো সামনের যাত্রীরা না বুঝেই টেপাটেপি শুরু করেছে। বিমানের কেবিন ক্রুরা যতবার এসে কল অফ করে, এর থেকে বেশিবার তারা বাটন টেপাটেপি করতে থাকে।

কিছুক্ষন পর বিমান আকাশে ডানা মেলে। পুরোপুরি স্ট্যাবল পজিশনে যাওয়ার আগেই অনেকে সিটবেল্ট খুলে টয়লেটের দিকে রওয়ানা দেয়। কেবিন ক্রুরা বারবার অনুরোধ করার পরেও তারা এভাবে হল্লা করতে থাকে।

আরও কিছুক্ষন সময় পার হওয়ার পর দেখি, ২০-৩০ জন নিজের সিট ছেড়ে বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে জটলা করে আড্ডা শুরু করে। কেবিন ক্রুদের আসা-যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়ে তাদের আড্ডা চলতে থাকে। আর তাদের কথা আর হাসির এতো উচ্চশব্দ হয় যে, আমার মনে হচ্ছিলো পাড়ার কোন চায়ের দোকানে এসে পড়েছি।

কেবিন ক্রুরা বলতে গেলে হাতে পায়ে ধরে অনেককে সিটে বসিয়ে খাবার দেওয়া শুরু করে প্রথম দিক থেকে। এরই মধ্যে কয়েকজন অতি আগ্রহী যাত্রী সিট ছেড়ে সামনের দিকে চলে যায় খাবার সংগ্রহের জন্য। কেবিন ক্রুরা তাদের অনেক কষ্টে বুঝিয়ে শুনিয়ে সিটে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়।

খাবার দেওয়ার সাথে সাথে ড্রিংস দেয় কেবিন ক্রুরা। সেখানে বিয়ারের ক্যান আর স্কচ দেখে ১/২ জন চায়। তাদের দেখাদেখি সবার মধ্যে শুরু হয়, বিয়ার আর এলকোহলিক ড্রিংক চাওয়া। একেকজন ২/৩ ক্যান বিয়ার, ৪/৫ পেগ স্কচ/হুইস্কি খেয়ে শুরু করে মাতলামি। এর মধ্যে একজন বিমানের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার বায়না ধরে। বহু কষ্টে সবাই মিলে অনুরোধ করে তার এই বায়না নিবৃত করা হয়।

মাতাল যাত্রীদের কেউ কেউ কেবিন ক্রুদের বিরক্ত করা শুরু করে। নাম জিজ্ঞাসা করা, বিয়েশাদি হইসে কিনা সহ এইরকম আরো নানা ফালতু প্রশ্ন করে বিব্রত করতে থাকে।

এরই মধ্যে কেউ একজন ব্লুটুথ পোর্টেবল স্পিকার ব্যাগ থেকে বের করে উচ্চশব্দে ভারতীয় বাংলা সিনেমার গান বাজানো শুরু করে।

এগুলা দেখতে দেখতে আমি একসময় কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। হটাৎ মনে হলো আমার পিছনে কেউ একটা ছালা কিংবা মোটা কাপড় ধরে লাঠি দিয়ে একটি নিয়মিত বিরতিতে খোচা দিচ্ছে। আমার ঘুম কেটে যায়। পিছন ফিরে দেখি যে, আমার পিছনের সিটের যাত্রী তার হাটু দিয়ে আমার পিঠ বরারব সিটের পেছনে ধাক্কা দিচ্ছে। তাকে অনুরোধ করলাম এমন না করতে। এরপর ধাক্কার গতি আরও বেড়ে গেলো। বাধ্য হয়ে জানালার পাশের সিটে চলে গেলাম।

দীর্ঘ সময় না ঘুমানোর কারনে আবারও আমার ঘুম আসলো। সেই ঘুম কেটে গেলো ঘামের দুর্গন্ধের কারনে। চোখ খুলে দেখি যে, আমার গায়ের উপর দিয়ে সেই লুংগি পরিধান করা ভদ্রলোক জানালা দিয়ে মেঘ দেখছেন। আমি তাকে বলি যেন এভাবে আমার গায়ের উপরে না উঠে অন্য কোন জানালা দিয়ে নিচের মেঘ দেখে। এই কথা বলাতে ভদ্রলোক আমাকে যা বললো তা শুনে আমি আর কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছিলাম না। উনার সাথে তর্কে জড়াবো না সিদ্ধান্ত নিয়ে চুপ থাকলাম।

কিছুক্ষণ পর আমি ছোট প্রাকৃতিক কাজ সারতে টয়লেটে যাই। গিয়ে আমার আসলে বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয় যে, এটা পাবলিক টয়লেট নাকি বিমানের টয়লেট! এতো নোংরা হয়েছিলো যে, সেই টয়লেট ব্যবহারের উপযোগী ছিলো না। আমার দেশের মানুষকে বিদেশীরা গালি দিবে, এজন্য সময় নিয়ে নিজে টয়লেট পরিষ্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করলাম।

বিমানের পাইলট ঢাকায় যেতে আরো ৪০ মিনিট সময় লাগবে এমন ঘোষণা দেওয়া মাত্রই, কয়েকজন যাত্রী তাদের লাগেজ নামানো শুরু করলো। এক যাত্রী বললো যে, এতো সময় অপেক্ষা করেছেন, এখন আরেকটু অপেক্ষা করলেই তো হয়। এই কথা শুনে তার সাথে আবার ঝগড়া শুরু করলো তারা।

এভাবে দেখতে দেখতে যন্ত্রনাময় দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পার করলাম। বিমান যখন দেশের মাটি ছুলো, এর সাথে সাথেই যাত্রীরা এমন হুড়োহুড়ি শুরু করলো, দেখে মনে হলো ১ মিনিটের মধ্যে যদি তারা বের হতে না পারে তাহলে হয়তো বিমান তাদের না নামিয়েই আবার কাতারে চলে যাবে। বিমান চালু থাকা অবস্থাতেই ব্যাগ নামানোর জন্য সবাই ঠেলাঠেলি শুরু করলো। বসে বসে দেখতে থাকলাম তাদের ঠেলাঠেলি।

এর মধ্যে একজন উঁচু গলায় অন্যদের সাথে গল্প করছিলো। গল্পের বিষয় হচ্ছে, সেই লোক কাতার পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেল খেটে এখন বাড়ি ফিরছে। সে জেলে থাকা অবস্থায় যেই আপেল খাওয়ার জন্য পেয়েছে, সেগুলো সে না খেয়ে ব্যাগে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। তার পরিকল্পনা হচ্ছে, সে কাতার জেলের আপেল নিজ বাসায় বসে আরাম করে খাবে এবং আপেলের বিচি তার উঠানে লাগিয়ে আপেল গাছ বানাবে।

এতোকিছুর পরেও আমি বাংলাদেশের মানুষ হয়ে আরেক বাংলাদেশীকে ঘৃনা কিভাবে করি? কিন্তু আমার সত্যিই খুব খারাপ লাগে এসব ঘটনা দেখতে। এইরকম পরিস্থিতির জন্য বিদেশীরা আমাদের দেশের লোক দেখলে পাত্তা দেয় না, অবজ্ঞা করে, নাক সিটকায়।

আমাদের এই সমস্যার জন্য আসলে দায়ী কে? কেন আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও সভ্য-উন্নত জাতি হতে পারলাম না? এই দায় কার? কে দিবে জবাব?

© লিখেছেন - Sabbir Ahmed

আরভিনের পাহিমালয়ের কোলে পড়ে আছে একটি পা। জুতো আছে। মোজাও আছে। মোজার গায়ে সেলাই করা একটি নাম--AC IRVIN.একশো বছর।ঠিক একশো ...
31/10/2024

আরভিনের পা

হিমালয়ের কোলে পড়ে আছে একটি পা। জুতো আছে। মোজাও আছে। মোজার গায়ে সেলাই করা একটি নাম--AC IRVIN.

একশো বছর।

ঠিক একশো বছরের নিঃসঙ্গতা নিয়ে পড়ে আছে পা-টি।

এই পা হয়তো প্রথম এভারেস্টের শিখর ছুঁয়েছিল।

ইতিহাস সব কিছু জানে না। জানার কথাও নয়।

বেচাকেনা চুকিয়ে, লেনাদেনা মিটিয়ে এসি স্যান্ডি আরভিন হিমালয়ে বিলীন হয়েছিলেন ১৯২৪ সালে।

কিন্তু তাঁর পা-টি এখনও পড়ে আছে। দেহের বাকি অংশ কোথায় ? কেউ জানে না। শুধু পা-টি আছে বরফের কোলে। পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত রহস্যের সাক্ষী হয়ে।

কে এই এসি আআরভিন ? একজন ব্রিটিশ পর্বত অভিযাত্রী।

তিনি এবং জর্জ ম্যালোরি একশো বছর আগে প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন বলে জনশ্রুতি। কিন্তু স্রেফ প্রমাণের অভাবে তাঁরা সেই স্বীকৃতি পাননি। দুর্গম হিমালয়ে মিলিয়ে গিয়েছিলেন অকুতোভয় দুই প্রাণ। এন্ড্রু কোমিন 'স্যান্ডি' আরভিনের বয়স তখন ২২। ম্যালোরির ৩৭। কুয়াশায় ঘেরা, বরফ আচ্ছাদিত হিমালয়ে কোথায় হারিয়ে গেলেন তাঁরা ? আজও পৃথিবীর সেরা রহস্য সেটি।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্কুলশিক্ষক ম্যালোরি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ছিলেন ফ্রান্সে। যুদ্ধের পর দেশে ফেরার পরই পাহাড়ের নেশা চেপে বসে ম্যালোরির। বারবার ছুটে গিয়েছেন হিমালয়ের কোলে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, 'বারবার হিমালয়ে যান কেন ?'

যে-উত্তরটি দিয়েছিলেন ম্যালোরি তা আজও সোনার অক্ষরে খোদাই করা আছে--কেন যাই ?

" বিকজ ইট ইজ দেয়ার। "

ম্যালোরির দেহ পাওয়া যায় ১৯৯৯ সালে। আমেরিকার এক অভিযাত্রী দল তাঁর দেহ খুঁজে পায়। ৭৫ বছর ধরে হিমালয়ে পড়ে আছে একটি দেহ। কোমরে দড়ির দাগ। শুধু কাছে নেই ম্যালোরির স্ত্রীর ছবিটি। প্রিয়তমার এই ছবিটি এভারেস্টের চূড়ায় রেখে আসার কথা ছিল। সন্দেহ আরও বাড়ে। তা হলে কি এভারেস্টের চূড়াতেই আছে স্ত্রীর ছবিটি ?

তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি নন, এভারেস্টে প্রথম ওঠেন ম্যালোরি-আরভিন জুটি ?

সব রহস্যের কিনারা হয় না। এবং হয় না বলেই পৃথিবী এত সুন্দর।

আরভিনের পা খুঁজে পাওয়া যায় গত মাসে। এক পর্বত অভিযাত্রী ও সিনেমা নির্মাতার দলের নজরে আসে জুতো-মোজা পরা একটি পা পড়ে আছে। ম্যালোরির দেহাবশেষ যেখানে মিলেছিল তার বেশ খানিক নীচে শুয়ে আছে আরভিনের পা। ওই দলের সদস্য জিমি চিন বলেন, 'মোজাটা তুলে দেখি একটা লাল রঙের লেবেল। তাতে সেলাই করা আছে আরভিনের নাম।' দেহের বাকি অংশ নেই। নেই আরভিনের কোডাক ক্যামেরাটাও। এই ক্যামেরার হদিস পেলে হয়তো ইতিহাস অন্যরকম ভাবে লেখা হতো।

আরভিনের পায়ের খবর শুনে কেঁদে ফেলেন জুলি সামার্স। জুলি আরভিনের বংশধর এবং তাঁর জীবনীকারও বটে। তাঁর কথায়, 'আমি ছোটবেলা থেকে আমি হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনে এসেছি। যেদিন ম্যালোরির দেহ মিলল, সেদিন ভেবেছিলাম আরভিনের দেহও নিশ্চয় পাওয়া যাবে।' ম্যালোরির দেহ উদ্ধারের ২৫ বছর পর মিলল আরভিনের পা। ঘটনাচক্রে সেই অভিযানের একশো বছর পরে। হয়তো আরও ২৫ বছর পর এভারেস্টের চূড়ায় কেউ খুঁজে পাবে এক নারীর ছবি। প্রচণ্ড তুষারঝড়েও যে-ছবিটি বরফের গায়ে লেগে আছে এক না-লেখা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। সেই নারীর নাম রুথ ম্যালোরি। জর্জ ম্যালোরির স্ত্রী।

কবি জানতেন, তাঁর পায়ের চিহ্ন একদিন পড়বে না এই বাটে। কিন্তু আরভিন কি জানতেন, তিনি নন, তাঁর পায়ের চিহ্নও নয়, তাঁর পা-টিই পড়ে থাকবে বরফে ঢাকা হিমালয়ের কোলে ?

একটা জুতো-মোজা পরা পা কত উথালপাতাল দেখল পাহাড়ে। ঝড় বয়, প্রবল ঠান্ডায় কাঁপতে থাকে চরাচর, কিন্তু পা-টি শুয়ে থাকে একা। একশো বছর ধরে।

একশো বছরের নিঃসঙ্গতা নিয়ে হয়তো অন্য কাহিনি লিখবে কেউ। হয়তো কোনও নতুন অভিযাত্রী বলবে, 'কেন যাই ? বিকজ ইট ইজ দেয়ার।'

হিমালয় তো থাকবেই, যেমন আছেন ম্যালোরি-আরভিন। (সূত্র: গার্ডিয়ান)

সংগৃহিত

27/10/2024

আই মিন সিরিয়াসলি??
কত মেধাবী পড়ুয়া student দের জীবন এভাবে নষ্ট করছে আল্লাহ মালুম।🥺

বাংলাদেশে মূলত এই ২ শ্রেণীর মানুষ বাস করে। আমি অবশ্য ৩ নাম্বার শ্রেণী; যারা না পারে রয়্যাল এনফিল্ড এর লাইনে দাঁড়াতে, ন...
26/10/2024

বাংলাদেশে মূলত এই ২ শ্রেণীর মানুষ বাস করে। আমি অবশ্য ৩ নাম্বার শ্রেণী; যারা না পারে রয়্যাল এনফিল্ড এর লাইনে দাঁড়াতে, না পারে টিসিবির লাইনে।

ইন্না-লিল্লাহ 😭😭সকল কে আল্লাহ হেফাজত করুন। পঞ্চগড় অভিমুখী 7️⃣9️⃣3️⃣ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ০২ নম্...
24/10/2024

ইন্না-লিল্লাহ 😭😭

সকল কে আল্লাহ হেফাজত করুন।

পঞ্চগড় অভিমুখী 7️⃣9️⃣3️⃣ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ০২ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ার ২ মিনিট পর ভয়াবহ ডিরেইল হয়! 💔💔

এখন পর্যন্ত কোনো আহত কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি!

সম্ভব হলে শেয়ার করুন।
কারো পরিচিত এই ট্রেনে যাত্রা করলে খবর নিতে পারবে।

আফা, কষ্টে বুকটা হাডি যাচ্ছে গো আফা। এ বেদনা আমি কেবা করে সবো আফা।😭😭
23/10/2024

আফা, কষ্টে বুকটা হাডি যাচ্ছে গো আফা। এ বেদনা আমি কেবা করে সবো আফা।
😭😭

21/10/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

"মিছিলে সামনে থাকা সৈকতকে দেখিয়ে শাহরিয়ার আরেক পুলিশ অফিসারকে বলে, ‘এই ছেলেটা খুব ডিস্টার্ব করতেছে।’ কোনো কারণ ছাড়াই এত...
20/10/2024

"মিছিলে সামনে থাকা সৈকতকে দেখিয়ে শাহরিয়ার আরেক পুলিশ অফিসারকে বলে, ‘এই ছেলেটা খুব ডিস্টার্ব করতেছে।’
কোনো কারণ ছাড়াই এতো কাছ থেকে সৈকতকে গু-লি করায় ঐ সময় পাশে থাকা গোয়েন্দা বাহিনীর আরেক সদস্য এসআই শাহরিয়ারকে বলতেছিল, কেন এই বাচ্চা ছেলেটাকে গু-লি করলেন?
শাহরিয়ার উত্তর দেয়, দেখেন না এই ছেলে খুব ডিস্টার্ভ করতেছে।
মানে ব্যাপারটা এরকম ছিল, সামনে ঘুরাঘুরি করতেছে মাইরা ফেললাম। ঝামেলা খালাস!"

19/10/2024

প্রতি রাতে কারওয়ান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁ দাবা জি হয়!

19/10/2024

ভালো লাগছে কথাগুলো।
কথা অনুযায়ী কাজ হলে আরো ভালো লাগবে।

Address

Bagerhat
9320

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Morrelganj, Bagerhat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share