05/07/2023
যাদের হার্ট দুর্বল, তারা দয়া করে
এই পোস্টটি পড়বেন না।👈
অনেকদিন থেকে পাশের রুমটা খেয়াল করছি সব
সময় তালা লাগানো থাকে। আমি কখনো রুমটায়
গিয়েছি বলে মনে পড়ে না!
আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম,,
আম্মু ওই রুমটাতে কি আছে..??
তোমার জানার প্রয়োজন নাই। ওই রুমে তোমার
যাওয়ার দরকার আছে বলে আমি মনে করছি না।
আমি শুকনা মুখ নিয়ে আপুর সামনে দাঁড়ালাম।
আপু ওই রুমটাতে কি আছে তুমি জানো কি..??
তোর তাতে কি,, যা থাকার তাই আছে, যা ভাগ।
দাঁড়া এক গ্লাস পানি এনে দে তো।
আচ্ছা বলে রুম থেকে টানা পায় বের হয়ে গেলাম
পানি আনতে।
রাত ১২টা
আপু ঘুমিয়ে আছে মরার মতো,
দেখলেই বালিশ চাপা দিতে মন চায়।
আমার চোখে ঘুম নাই মাথায় একটা কথা ঘুরপাক
খাচ্ছে যে করেই হোক ওই রুমে যেতেই হবে
দেখতেই হবে, কি আছে?
বিছানায় ঘন্টাখানেক গড়াগড়ি করে উঠে গেলাম আপুর পাশ থেকে।
নিঃশব্দে গুটি গুটি পায়ে ঘর থেকে বের হয়ে পাশের রুমটার সামনে দাঁড়াতেই ঘড়িতে শোনান দিল এখন রাত 1:30 বাজে।
উফ এই ঘড়ি টা আধা ঘন্টা পরপর কি যে শুরু করেছে।
ঘড়িটা চেন্জ করতে হবে আম্মুকে বলে।
ছিটকানি খুলে দরজা ধাক্কা দিতেই ক্যা...অ্যা...এচ আওয়াজ করে দরজাটা খুলে গেল আর তখনই মাথার উপর দিয়ে কিছু একটা উড়ে গেলো। খেয়াল করে দেখে বুঝতে পারলাম বাদুড় ছিলো ওগুলো
এই ঘরে বাদুড় আসলো কি ভাবে? আর এতো মাকড়শার জাল!!
কতোদিন এই ঘরে কেউ আসে না বুঝতে পারছিনা!
চারপাশে অন্ধকার.., মাঝে মাঝে দূরে দুই-একটা কুকুর ডেকে ওঠে রাতটাকে আরো ভয়ানক করে তুলছে।
আমি টর্চ মেরে গুটি গুটি পায়ে মাকড়সার জাল ছিঁড়তে ছিঁড়তে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
হঠাৎ টর্চের আলো গিয়ে বাঁধলো দেয়ালে টাঙ্গানো
ফ্রেমে বাঁধানো ছবির দিকে।
আমার সারা শরীরে শীতল শিহরণ বয়ে গেল। কোথাও যেন একটা পেঁচা ডেকে উঠে জানান দিল ভুল করেছিস এখানে এসে।
যেখানে ভয় বেশি সেখানে কৌতুহল ও বেশি।
আমি ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছি কাঁপা হাতে, টর্চ টা মেরে রেখেছি দেয়ালের দিকে।
'' এটাতো আমার ছবি !! "
টর্চ টা আস্তে আস্তে নিচের টেবিলের উপর গিয়ে বিঁধলো।
ধুলোর স্তর জমে আছে টেবিলে।
আর স্যাঁতস্যাতে গন্ধ।
নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম।
মুখ থেকে একটা শব্দ বের হবার জো নেই।
হাত কাঁপতে শুরু হলো আমার।
আমি টর্চ টাকে আপ্রাণ চেষ্টা করছি ধরে রাখার, কিন্ত পারছি না।
শুধু, মুখ দিয়ে একটা কথাই বের হলো।
'' হায় আল্লাহ! এটাতো আমার