25/11/2023
যদি সারাদিন তাঁকে কাছে পাওয়া যেতো !
ইচ্ছে হয় দেখে আসি,
কীভাবে তার মুখ ফুটে ওঠে চেয়ে থাকে ছায়ায়,আলোয়.!🖤
সময় যখন খারাপ যায় তখন সাদা কাপড় থেকেও ? তুমি সুন্দর ঠিক জেনো একটা কবিতা
যদি সারাদিন তাঁকে কাছে পাওয়া যেতো !
ইচ্ছে হয় দেখে আসি,
কীভাবে তার মুখ ফুটে ওঠে চেয়ে থাকে ছায়ায়,আলোয়.!🖤
হারানো বিজ্ঞপ্তি-
আর একটা দিন_আর একটা রাত।
তারপর হারিয়ে যেতে চাই দেখি-যদি তোমাকে পাই.!!🫠
Hridmohini
হৃদয়ে শূন্যতা,শহরে আর্তস্বর,আকাশে অন্ধকার.!!🥀
মানুষের বেঁচে থাকা প্রত্যেকটা দিন আসলে লটারি জেতার মতো.!
এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারলে যাবতীয় পার্থিব টানাপোড়েন গুলোকে অত্যন্ত তুচ্ছ বলে মনে হওয়ার কথা.!
উৎসর্গ সেই সব মানুষদের যারা আকাশ হতে যেয়ে নদী হয়ে বেঁচে আছে.!🥀
মানুষ জানা যায় না,অভ্যাস জানা যায় ।
আমি তোমায় জানতে গিয়ে অভ্যাসে আটকে গেছি আর তুমি বদলে গেছো মানুষের মতো.!🥀
আচ্ছা একটা দুঃখ বলতে না পারার বেদনা কেমন.!?
সুখের তীব্রতা ভাঙা জানালায়.!
খোলা নীলের তলে হাসির ঝর্না।
এ যেনো আমার তরে চাতকের মত বসে থাকা,,
আমি তো আর তোমার তীব্রতায় এক ক্ষয়ে চলা তীর.!🥀
মেয়ে তুমি কি নিকশকালো রাত চেনো.?
না কি চেনো জমে থাকা নিরবতা !
মেয়ে তুমি কি জানো শ্রাবনের জলে অশ্রুর ধারা.?
তুমি কি জানো তোমার জন্য মস্তিষ্ক আর হৃদয়ে চলা বিদ্রোহ ।
আমি তো তীব্রতার উর্ধে তোমার ই অচেনা.!!🖤
প্রার্থনা
যদি মরে যাই
ফুল হয়ে যেন ঝরে যাই,
যে ফুলের নেই কোনো ফল
যে ফুলের গন্ধই সম্বল;
যে গন্ধের আয়ু এক দিন
উতরোলা রাত্রিতে বিলীন
যেই রাত্রি তোমারই দখলে
আমার সর্বস্ব নিয়ে জ্বলে,
আমার সত্তাকে করে ছাই।
ফুল হয়ে যেন ঝরে যাই.!!🥀
মানুষ তার অনিয়ম কে যখন জীবন বানিয়ে নেয়।
তখন দীর্ঘ রজনী ও অল্প লাগে,
উপন্যাসের ছোট চরিত্র গুলো ও আরেকবার জেগে ওঠে!
তীব্র এক দীর্ঘ অনুভুতি মানুষের মধ্যো হতে বিলীন হয়ে যায় ঠিক মেসোপোটেমিয়া সভ্যাতার মত.!!🥀
আমরা যখন জন্মেছি
জীবন ছিল রঙীন
ছবি উঠত সাদাকালো
এখন ছবি মানেই রঙীন
জীবন সাদাকালো.!🥀
Think you next.!🥀
প্রেম_ভালোবাসা আকাশের মেঘের মতো।
একটার পর আর একটা আসতেই থাকে,
কিন্তু আকাশটা প্রেমিকের মতো একই জায়গায় স্থির থাকে।
আর আমি সেই প্রেমিক.!🥀
🎉 Facebook recognised me as a top rising creator this week!
ভালবাসার তীব্রতা এমনই,
তাতে পোড়া জীবিত এই শবে চিহ্ন বহে না!
তবে তার জমে থাকা চিহ্ন নয়নের পলকে রয়ে যায়.!🖤
আমি শুষ্ক মরুতে হয়ে বন্দী চাতক বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি ডেকে যাই!
ভালোবাসার আগেই কত মানুষের ভালোবাসা ফুরিয়ে যায় হটাৎ।
তোমার চোঁখের তারারন্ধ্রে খানিক আমার ছবি,
নিমিষেই হারিয়ে যায় ভিন্ন যেন দিশেহারা কবি!🥀
প্রেয়সীর রূপের আগুন ঢাকার জন্য হলেও কালো শাড়ির আবরণ প্রয়োজন _!
নাহলে হাজারো প্রেমিক হৃদয় দহনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে.🥀!
আটপৌরে নীল শাড়িতে তোমাকে দেখে প্রেম প্রেম লাগে!💙
যাহার রূপ আছে , সে দেখাবেই!
যাহার গুণ আছে, সে প্রকাশ করবেই।
যাহার হৃদয়ে ভালোবাসা আছে সে ভালোবাসতে জানে,_সে ভালবাসবেই.!🥀
তোমার সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো মনোরম এক একটি তুচ্ছ বাক্যালাপ অন্তহীন নদীর কল্লোল,
তোমার একটুখানি হাসির অর্থ এককোটি বছর জ্যোৎস্নারাত.!
I have laid my heart open at your feet. Even then,
if I don't get you, then I will explain to you,
Love is made not to get.!🥀
মানুষের বেঁচে থাকা-মানুষের শাস্তি পাওয়া শুধু!
-পেতে চাওয়া, পাওয়া এক নয়।
অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি, অন্ধকারে।।
শান্তি বাজেটের বাইরে!
আমি যা লিখতে পারি না, তার সমান তোমায় ভালোবাসি.।
you golds me rainbows everywhere. what is more like a rainbow than tears?
পর্ব: ৪৩
গল্প: হৃদমোহিণী
আজ ( ২৯ অক্টোবর ) তার জন্মদিন আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভ কামনা রইলো জীবনে অনে বড়ো হও নিজের ইচ্ছা গুলো পুরন করো জীবন একটাই এ জীবন চলে গেলে দ্বীতিয় কোন জীবন পাওয়া যাবে না। ছোট্ট এ জীবনে অল্প সময় মানুষ বেচে থাকে আর আমি দোয়া করি তুমি যতোদিন বেচে থাকো তোমার ইচ্ছা গুলো যেন সবসময় পুরন হোক। এবারের জন্মদিনে তুমি আমার পাশে নেই, তবে চেষ্টা করবো দূর থেকে সারাজীবন তোমার পাশে থাকার। শুভ শুভ শুভ জন্মদিন তোমার-!
ধন্যবাদ তোমাকে আমার মতো মানুষকে এতো বছর ধরে আগলে রেখেছো,ভালোবেসেছো আসলেই তুমি মহান। তোমর মনটা ঠিক আমার দেখা সেই ছোট্টবেলার মানুষটার মতোই আছে সুধু বদলে গেছে বাইরের কিছু অংশ। সময়ের সাথে সাথে সবাই পরিবর্তন হয়,পরিবর্তন হয় মানুষে সাথে মানুষের সম্পর্ক। তবে আমার তোমর প্রতি ভালোবাসা চাওয়া পাওয়া কখোনো পরিবর্তন হবে না। আমি ঠিক এভাবেই ভালোবেসে যাবো, ছায়া হয়ে পাশে থাকবো,কখোনো আমার অনুপস্থিতি অনুভব করতে দিবো না তোমাকে। তোমার হাত আমি যেদিনই ধরেছিলাম ওই দিন থেকেই ভেবেনিয়েছি এই হাত আমি মৃত্যুর আগমূহুর্ত পর্যন্ত আগলে রাখবো। আমি আছি সারা জীবন তোমার পাশে। আমকে তুমি সকল স্থানে পাবে অনুভব করতে পারবে। প্রত্যেকের কাছে অন্যের জীবনটা বা অন্যের সম্পর্কটা সুন্দর মনে হয় কিন্তু সেটা সত্য নয় আমার কাছে তোমার আমার সম্পর্কটা ই স্রেষ্ঠ।
ভালোবাসি প্রিয়-জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি-তুমি আমার কাছে সত্যিই অনেক মূল্যবান, আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ--!!
you are the most important part of my life.!🥀
পর্ব: ৪২
গল্প: হৃদমোহিণী
ভালোবাসার মানুষটাকে পেলেই যে ভালোবাসায় পূর্ণতা পাবে এমন নয়, না পাওয়ার মধ্যে ও পূর্ণতা আছে। আমার জীবনে কেনো পূর্ণতা নেই তাই আমি তার জন্মদিনকে আমি আমার পূর্ণতা মনে করি। তার কাছ থেকে পাওয়া আমার সব কিছুই মূল্যবান, সেটা হোক কষ্ট, আথবা ভালোবাসা। আমার জন্য তার দেওয়া সময় গুলোও অনেক মুল্যবান ।এতো না পাওয়ার মধ্যেও আমি অনেক কিছু পেয়েছি,কিন্তু অনেক কিছু মানতে কষ্ট হয়।জীবনে ভালোবাসাকে সবসময় জীবনের একটা অংশ মনে করেছি। আর তাই সে আমার জীবনের একটা অংশ হিসেবে সারাজীবন থেকে যাবে, আমি তাকে সারা জীবন কাছে পাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো বাকিটা আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা। আমি তাকে বোঝাই মাঝে মাঝে আমার কথায় অনেক কষ্ট পায়,আমি দুঃখীত তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। ভালোবাসি আমার উপরে বিশ্বাস না থাকলেও আমার ভালোবাসার উপরে তার বিশ্বাস থাকবে সারা জীবন। তার জন্য আমি কখোনো খারাপ দোয়া করিনি সে খারাপ থাকুক এটাও আমি কখোনো চাইনি। সবসময় দোয়া করি আল্লাহ তাকে সুন্দর একটা জীবন দিক, সে জীবনে যত কষ্ট ,আঘাত পেয়েছে সব কিছু মুছে যাক জীবনে অনেক ভালো থাকুক। তার জন্য আমার দোয়া সবসময় থাকবে,আমি তার পাসে ছায়ার মতো করে থাকবো সবসময়। আর সে যখন কোনো বিপদের সম্মুখীন হবে আমার দেওয়া কিছু উপদেশ যেগুলো তার কাছে মনে হয় তাকে অভিষাপ দেওয়া,বা তাকে ছোট করা সেই সকল উপদেশ গুলো তাকে তার বিপদে রক্ষা করুর। কারন আমি সবসময় চাইবো সে কখোনো কোন কাজে বিপদে না পরে আজ যদি বিপদে পরে তাহলে নিজেকে যেন একাই বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। তাকে আমি প্রাই বলি তোমার মতো যেন আর কেউ না জন্মায়,কারন সে এমন একটা মানুষ যে প্রতিবাদ করতে যানে না মানুষ ক্ষতি করলে কষ্ট দিলে চুপ করে সহ্য করে আপন জনরাই তাকে বোঝেনা,প্রতিটা পদক্ষেপে তার সাথে সবাই অন্যায় করতেছে যেনেও চুপ করে কান্না করা এমন জীবন যেন আল্লাহ কাউকে না দেয় এটাই বোঝাতে চাই। যে নিজের একটা মতামত আছে ইচ্ছা আছে সেটা পুরন করার অধিকার সুধু নিজের আছে অন্য কারো ইচ্ছা জোর করে চাপিয়ে দিলে সেটা কখোনোই সহ্য করতে হয়না জবাব দিতে হয় এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
পর্ব: ৪১
গল্প: হৃদমোহিণী
তাই তাকে আমি খুব করে রিকুয়েষ্ট করেছিলাম যে এইবার যাই হয়ে যাক না কেন সহ্য করে এই কয়টা দিন থাকো আর আমি নিজেকেও বোঝাইছি যাই হয়ে যাক ঝগড়া যাতে না হয়। কিন্তু তার সাথে আমার আবার সামান্য ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে আর সে আমার সথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি এইটারই ভয় পাচ্ছিলাম দুই একদিন পরে জন্মদিন আর তার সাখে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল আমার!!
তাকে আমি এ তিন দিনে ফোন দিয়েছি অনেক বার সারা রাত না ঘুমিয়েও ফোনে ট্রাই করেছি,কিন্তু তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ম্যসেজ করেছি হয়তো সে রিপ্লাই দিবে। কিন্তু আমার আবার তার সাথে ঝগড়া হলে খুব কষ্ট হয় আমি তার সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না । যতোই ঝগড়া হোক আমি কষ্ট পাই বা সে কষ্ট পাক আমি কথা না বলে থাকতে পারি না আমার ন্বিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ছট ফট করি সুধু কথা বলার জন্য। তাকে আমি এখন কাউকে দিয়ে আমার কষ্টের খবর পাঠাতে পারি না !!
জীবনে জতোবারই প্লান করি তার সাথে কোনো একটা স্পেসাল মূহুর্ত কাটাবো তখনই সব এলো মেলো হয়ে যায়। জীবনে হয়তো আর কখোনো তার সাথে থেকে তার জন্মদিন পালন করার সুযোগ হবে না । তাই শেষ ইচ্ছাটা করেছিলাম এটাও হয়তো পূরন হবে না । তবে তাকে তার জন্মদিনে উপহার দিবো বলে স্পেসাল কিছু তৈরি করছি যানিনা এটা দেওয়ার সুযোগ হবেকিনা আমার, যে পোড়া কপাল নিয়ে জন্মেছি তাতে আমার কোনো ইচ্ছাই পূরন হলো না। তার পরেও চিন্তা করি বা চেষ্টা করি। আমি তাকে সত্যি সত্যি যে কতোটা ভালোবাসি তার পরিমাপ করতে পারবো না, তবে সুধু একটা ধীর্ঘ ন্বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারবো ভালোবাসি!!
আমার জীবনের স্পেশাল কোনো দিন নাই আমি তার জন্মদিনটাকে আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন মনে করি। সে আমার জীবনে থাকু বা না থাকুক আমি জতোদিন বেচে থাকবো তার জন্মদিনটা আমার কাছে পৃথিবীর স্রেষ্ঠ দিন হিসেবে থাকবে। আমি তার জন্মদিনটাকে সারাজীবন স্মরণীয় করে রাখবো।
পর্ব: ৪০
গল্প: হৃদমোহিণী
যে মানুষটার আইডি সারা রাত জেগে তল্লাশি করি, খুটিয়ে খুটিয়ে তার ফ্রেন্ডলিষ্ট দেখি তার প্রোফাইল পিকে কে কে লাভ রিয়্যাক্ট দিল তা দেখি। তার ফোনে আসা দু-একটা ম্যাসেজ দেখলে ভেতরটা জ্বলে যায়, অস্থির হয়ে নির্ঘুম রাত পার করি।কারো সাথে তার কথা বলাটা সহ্য করতে পারি না,হিংসুটে হয়ে যাই। তাকে হারানোর ভয় মনের ভিতরে সবসময় থেকে যায়। এই ইমোশনাল মানুষ গুলার মতো বাইরে অনেক কঠিন কিন্ত কেউ ভেতরটা তল্লাশি করে দেখেনি কখোনো ভালো করে। আমার চোখ দুটোতে ডুবে গিয়ে কেউ কখোনো দেখেনি। তার জন্য এই চোখে বিশুদ্ধ ভালোবাসা রয়েছে। যেখানে সেই মানুষটা ছাড়া আর কেউ নেই। তাকে নিয়েই আমার আলাদা একটা দুনিয়া । অথবা এটাও ভাবতে পারেন হয়তো পুরো দুনিয়াটাই তার। আমি তাকে বুঝতে পারিনি বা সে আমাকে বুঝতে পারেনা কথাটা বলা অনেক সহজ কিন্তু কথা গুলো বলা কিংবা যানার আগে এটা আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন যে “প্রতিটা মানুষের বাইরের আবরণের ভেতরে একটা না একটা গল্প থাকে যার প্রভাবেই সে মানুষটার বাইরের আবরণটা গড়ে ওঠে। যেকোনো মানুষকে জানতে হলে-বুঝতে হলে তার আবরণের ভেতরের সেই গল্পগুলো জানাটা খুব জরুরী। সে আমার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে !!
আর সামান্য কিছুদিন পরেই তার জন্মদিন , আামি তার জন্মদিনে প্রতিবারই রাত ১২ টার সময় কেক কাটি,কিন্তু তাকে কখোনো আমার বা পাসে রেখে তার জন্মদিনের কেকটা কাটতে পারিনী।
তবে আমি তাকে অনুভব করি সে আমার বা পাসেই আছে, ঠিক যেমনটা করে অজান্তেই তাকে যেভাবে বুকের বা পাশে রেখেছি সারাজীবন। তাই আমার আশেপাশের কিছু মানুষদের নিয়ে আমি তার জন্মদিন পালন করি। হয়তো ভেবে ছিলাম এবারের জন্ম দিন টা তাকে পাশে রেখেই পালন করবো, ঠিক যেমনটা অনুভব করি সে আমার বা পাশে থাকবে আমি তার হাতটা ধরে দুজনে মিলে জন্মদিনের কেক কাটবো।
আমাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয় দুই দিন ও ভালো ভাবে কথা বলতে পারি না!!!
I've received 1,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
পর্ব: ৩৯
গল্প: হৃদমোহিণী
তবে এটা কথা বলে যেতে চাই আমি তাকে !
শোনো প্রিয়,একজন পুরুষ মানুষের ভালোবাসা দেখা যায় না দেখা যায় শুধু দায়িত্ববোধ। আমি আপনাতে বিশ্বাসী আপনার রূপে নয়। আমার ও ইচ্ছে করে তোমার শাড়ী পড়া ,তোমার জন্মদিনের তারিখটা মনে রেখে তোমার পছন্দের চুড়ি,ফুল আনতে। আমি আনরোমান্টিক না আমি সুধু তোমকে বোঝাতে চাই না। তুমি সারা দিন অনলাইনে না থাকলে ফোন করে কন্ঠস্বর শুনতে চাই, ফোন দিয়ে অহেতুক রাগিয়ে দেই, আমি তোমায় অবহেলা না বরং প্রচন্ড মিস করি সুধু মাঝে মাঝে বলতে চাই না।
আসলে একজন পুরুষ মানুষকে বুঝতে হলে তোমাকে তার মতো করে চিনতে হবে। আমার পকেটে শূন্যতা ,চোখের গভীরতা,আর চুপ থাকার মতো অদম্য সাহসিকতার আড়ালে একজন বোকাসোকা ,সহজ সরল ,সাধারন মানুষ লুকিয়ে আছে।
নারীরা অভিমানে সবটা বলে দিতে পারে কিন্তু একজন পুরুষ তা পারেনা,তারা সঠিকটা বোঝানোর চেষ্টা করে, তোমাকে ছোট করার বা দোষ ধরার কোনো ইচ্ছা নেই। আমি সুধু যানি আমি তাকে ভালোবাসার আগে সে আমার দায়িত্ব,তার ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার,আমি তাকে সারা জীবন আগলে রাখতে চাই ব্যাস। সে নিজেও যানেনা যে সে আমার জীবনে কতটা জুড়ে আছে।
কারো কারো হয়তো ফ্যামিলি প্রবলেম চলে ,কারো কারো হয়তো ক্যারিয়ারের চিন্তায় ঘুম হয়না, কেউ কেউ হয়তো প্রিয় মানুষকে হারিয়ে বিষন্নতায় ভোগে সারাদিন,কেউ কেউ হয়তো রোগে আক্রান্ত ,আমাদের জীবনের সমস্যার শেষ নেই !
তাবুও আমরা কেমন আছি ?
প্রশ্ন করলে হেসে হেসে বলে দেই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি !
আমাদের ভালো থাকা হারিয়ে গেলেও আমাদের ভালো থাকতে হয় !
এটাই জীবন !!!
পর্ব: ৩৮
গল্প: হৃদমোহিণী
আমার তাকে দেখতে ভালোলাগে আমার প্রতি তার ঘৃনা , ভালোবাসা দেখতে ভালোলাগে ।
তাকে সুখী দেখতে ভালোলাগে। আল্লাহ তায়া”লা বলেছেন মানুষের দুঃখে দুঃখী হতে, মানুষের খুশিতে খুশি হতে। আমি ঠকেছি না জিতেছি তার হিসাব করতে আসিনি ।
পরিপূর্ণ ভাবে ভালোবাসতে পেরেছি কিনা আমি তার হিসাব মিলাতে এসেছি।
ভালোবাসা কেবল লোক দেখানো হয়না মন থেকে একসেপ্ট করার ব্যাপার থাকে। তোমার সুন্দর চেহারার কারনে হয়তো অনেকে তোমাকে ভালোবাসার অফার করেছে, পিছে পিছে ঘুরেছে বহু বছর,কিন্তু বিশ্বাস করো যে মানুষটা তোমাকে ভালোবাসবে তার চোখে তোমার সৌন্দর্য্য বাদে সকল কিছু চোখে ফুটে উঠবে। আমি যানি এই রূপ একদিন থাকবে না তাই বলেকি রূপের সাথে সাথে তার প্রতি আমার ভালোবাসা সেষ হয়ে যাবে । না কোনো দিন ও না আমি তাকে নিঃশ্বার্থ ভাবে ভালোবাসি,তাকে ভালোবাসার কোনো ব্যখ্যা আমার কাছে নেই।
আমি সুধু মাত্র একটি কথা যানি যে একটা ছেলে যখন সত্যিকারে কোন মেয়েকে মন থেকে ভালোবাসে তার সমস্ত খুঁতেই মায়া জন্মে।
কেন আমি তাকে এত করে চাই ??
আমি কেদেছি প্রচুর,চোখের পানি মুছে দেওয়ার জন্য কেউ ছিল না।
ক্ষমাহীন প্রান্তর জুড়ে আমাদের বেঁচে থাকা !!!
জীবন আসলেই বড় অদ্ভুত !
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জীবনে ভালো থাকা যায় না। আকাঙ্খার জিনিস পাওয়া হয়ে যাওয়ার পরে শিশুরা যেমন হেলায় ফেলে রাখে ঠিক তেমনি করে ভালোবাসা ফেলে রাখতে নেই।
কারন ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তে প্রতিফলিত হতে চায়,তাকে আগলে রাখতে হয়।
আমার আরও একটা চাকুরি ঠিক হয়েছিল ।
আমার কাজ ছিলো রোজ অপেক্ষা আর রাত জেগে চোখের জল।বেশি খাটতে হয়নি,তার যতোটুকু আবদার ছিলো,সবটুকু পুরন করতে পারলেই আমি প্রেমিক হিসেবে যথেষ্ট উপযোগী। আর কিছু পারুক আর না পারুক অবহেলাটা শুধে আসলে ফিরিয়ে দিত।
আমার দেওয়া পাঁচ মিনিট অপেক্ষা তার কাছে ফিরে পাওয়া পাঁচ ঘন্টার অপেক্ষার সমান। আমি যদিও জোর করি মাঝে মাঝে এইটা করো ওইটা করো, বেশি হলে আমি তার জীবনের ভুল গুলো ধরেই দেই যাতে সে তার ভুল গুলো নিয়ে চিন্তা করে বা সংশোধণ করে নিজেকে সবসময় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। হয়তো মুখের ওপরে বলে দিতাম তোমার ভিতরে নেগেটিভিটি অনেক, আসলে আমি বুঝিনি এই চাকুরিতে মালিকের দোষ ধরতে নেই তাকে সঠিক পথ দেখাতে নেই,এই চাকুরিতে এত আহ্লাদ মানায় না।
সে আমকে হিসাব কষে দুটো জিনিস হাতে তুলে দিয়েছিলো,প্রথম চাকুরির ছারপত্র, আর প্রেমিক নামক মিথ্যা সান্তনা।
প্রেম নামক চাকুরিতে এমন কত প্রেমিক দুটো ভালোবাসার আসায় মন ভর্তি ঘৃনা নিয়ে ইস্তাফা দেয়।
আমার মনের পাখি অসহায় হয়ে কেন ডানা ঝাপটায় ?
আমাদে সকল ভালো থাকা বিলীন হয়ে গেছে। ঠিক যেমস ধুসর মেঘ জমানো আকাশের মতোন। এ শহরে বোঝার মানুষের চেয়ে ভুল বোঝার মানুষ বেশি।
পর্ব: ৩৮
গল্প: হৃদমোহিণী
এখন আমার কাছে প্রতিটা সকাল মৃত্যুর যন্ত্রনার মতো লাগে। তার সাথে আমার কথা হয় রোজ কিন্তু এটা মুহূর্ত আমি চিন্তা না করে থাকতে পারি না। পরিবার মানলো না, মানুষটা আমার আর নেই, হয়তো অন্যকারো ! আমি তাকে ছাড়া বাচতে পারবো কিনা যানিনা,তবে তাকে পাওয়ার ইচ্ছাটা ধরে রাখবো সারা জীবন। পৃথিবী আমাদের বিরুদ্ধে তার পরেও কেন যানি মনে হয় সে আমার, তার জন্ম আমার জন্যই হয়েছে। আমি ভিষন ক্লান্ত,আমি তাকে না পাওয়ার ভয়ে দিন দিন মানুষিক রোগীদের মতো হয়ে যাচ্ছি।এখন প্রায় প্রতিদিন আমার ঘুমের ওষুধের সাহায্য নিতে হয় একটু ঘুমানোর জন্য।কারন আমি যতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকি ততক্ষণ আমি ভালো থাকি,যখন ঘুমটা একটু হালকা হয় ঠিক তখন আমি কাদতে কাদতে উঠে পরি।ভিষন যন্ত্রনা হয় বুকে তখন যদি আমি তাকে কাছে পেতাম শক্ত করে জড়িয়ে ধরতাম ,তাহলে আমার কষ্টটা কমে যেত।কিন্তু আমার পোড়া কপাল আমি তাকে জড়িয়ে ধরতে পারছি না সেই মুহূর্তে। তখন বুঝি আসলে মানুষ আত্যহত্যা কেন করে। আমি কাকে বোঝাবো আমি ভালো নেই,এখন আমার ভালো থাকার অভিনয় করতে হয় সবার সাথে। অভিনয় করাটা আমি কখোনো ভালো করে করতে পারি না,বা কখোনো করিনি তার পরেও মা,বাবার সাথে কথা বলতে গেলে মিথ্যা হাসি ,তার সাথে কথা বলতে গেলে মিথ্যা হাসি, তারা বুঝতে পারে হয়তো আমি ভালো নেই তার পরেও তারা আমায় শান্তনা দেয়। আমি তাকে ভালোবেসে যাবো আর সে ও আমাকে ভালোবেসে যাবে সারাজীবন, আমরা দুজনে এক সাথেও থাকবো সারাজীবন।যতো বাধা বিপত্তি আসুক না কেনো আমরা দুজনে এক সাথে ঘর বাধবো, আমাদে ও ছেট্ট একটা সংসার হবে। আমাদের দুজনের এক সাথে আমৃত্যু পাশে থাকা এবং পাশে পাওয়ার জন্যই জন্ম হয়েছে। কারন আমাদের দুজনের সাথে ঘটে যাওয়া অনেক কিছু মিরাক্কেলের মতো । তার পছন্দ আমার পছন্দ আমাদে অজান্তেই মিলে যায়। তার চাওয়া পাওয়া আমার চাওয়া পাওয়া গুলো না বললেও মিলে যায় যেগুলো সব সম্পর্কের মধ্যে থাকে না।
আমি অনেক কিছু চিন্তা করি যে আমাদের মধ্যে এতো মিল,আমাদের চাওয়া পাওয়ার এতো মিল আসলেই অবাক ভাবলেই কেম যানি একটা ভালোলাগা কাজ করে নিজেদে মধ্যে,আমাদের সম্পর্কটা আসলেই অনেক দামি। আমি জানিনা আমাদের এই সম্পর্কটা টিকবে কতদিন। আজকাল চারদিকে শুধু বিচ্ছেদ দেখতে দেখতে যখন নিজেদের এই সুন্দর খারাপ মূহুর্ত গুলো দেখি তখন অজান্তেই ঠোটের কোনে হাসি আর চোখের কোনে জল চলে আসে। একটা প্রশান্তি কাজ করে ।
কেন জানেন ??
পর্ব: ৩৭
গল্প: হৃদমোহিণী
আমি বলবো না জে তুমি তোমার বাবা মায়ের বিপক্ষে গিয়ে বুকে পাথর জমা রেখে তাদের কষ্ট দিয়ে আমার কাছে চলে আসো। আমি এটাই বলবো যদি তারা আমাদের বিয়েতে রাজি না হয় তাহলে তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ে তাদের মুখে হাশি ফোটাও। আমাকে নিয়ে চিন্তা কোরোনা আমার জীবন কেটে যাবে কোনো এক অন্ধকার ঘরে। তোমার পাশে আমি একটা সময় তোমার ছেলে বন্ধুকে সহ্য করতে পারতাম না ,আর অণ্য কাউকে বিয়ে করলে অন্য পুরুষ তোমাকে তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমাকে স্পর্শ করবে এটা আমি কখোনো সহ্য করতে পারবো না। আমি জদি মারাও যাই তবুও তুমি তোমার বাবা,মাকে কষ্ট দিও না,তাদে ইচ্ছা গুলো পুরোন করো। তবে আমি তোমার জায়গাটা অন্য কাউকে দিতে পারবো না। না তোমার সাথে আমার থাকার সুজোগ হলো না আমার বাচার সুজোগ হলো। তোমার সাথে আমি অনেক অন্যায় করেছি পারলে আমাকে মাফ করে দিও । আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো !!!
আমৃত্যু আমি তোমাকে ভালোবেসে যাবো,!
আমি বলছিনা বাবা মায়ের বিদুদ্ধে তুমি আমার কাছে চলে আসো,আমি শুধু বলতে চাই জীবনের এই একটা সিদ্ধান্ত তুমি সঠিক ভাবে নিও।
আমি বলছিনা তুমি সবসময় আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় করো, আমি আজও শুধু বলতে চাই আমার উপরে একটু বিশ্বাস রেখো আমি আমৃত্যু তোমাকে ভালোবাসবো ,ভালো রাখবো । আমাদে স্বপ্ন গুলো ছিলো অনেক ক্ষুদ্র, বিশেষ কোন স্বপ্ন দেখিনি আমাদের জীবনে বিশেষ কোন দিন ও আসে নি, কিন্তু আমাদের বিশেষ ভাবে ঝগড়া হয়েছে ঠিক। তবে বলতে গেলে আমাদে ভালোবাসার কাছে ঝগড়া গুলা অতি সামান্ন্য।
আজ আমাদের জীবনের কঠিন একটা মুহুর্ত , আমরা যা ই করি না কেন সবছিু ভালো কারে বিবেচনা করে করতে হবে কারন মানশিক শান্তি দেখতে চাই আমি তোমার। তোমার হাসি মুখটা দেখতে চাই আমি সবসময়।
পর্ব: ৩৬
গল্প: হৃদমোহিণী
জীবন থেকে সব কিছু হারিয়ে যাওয়ার পরেও কেন যানি প্রচন্ড ভাবে বাচতে ইচ্ছা করে। জীবন থেকে সব আলো নিভে গেলেও কেন যানি একটুখানি আলো তার জানালা থেকে উকি দেয় রোজ ।তাকে আমি ছাড়া কি করে থাকবো যানি না , বা আমি যদি মারা যাই তাহলেও কারও বুক ফাটবে না । ভালোবেসে অনেক বরো অপরাধি আমরা। ভালোবেসে অপরাধ করেছি নাকি গরীব হয়ে জন্ম নিয়ে অপরাধ করেছি ?
কেউই পৃথিবীতে সারা জীবন বাচে না,তবে জে টুকু সময় বাচে ভালোভাবে বাচতে চায়। আর এই একটুকু সময়ে ভালোভাবে বাচার জন্য হাজারো জীবন নষ্ট হয়ে যায়,শত শত ভুল সিদ্ধান্তের কারনে। আমাদের জীবনে ও হয় কোনো এক ভুল সিদ্ধান্তের কারনে একজন আর একজনকে হারিয়ে ফেলবো। ধ্বংশ হয়ে যাবে তীলে তীলে গড়ে তোলা শত স্বপ্ন !।
অনেক বছর হয়ে গেল কোনো ভালো সংবাদ শুনিনা,এন কোনো সংবাদ যেটা জীবনের তীলে তীলে পাওয়া সমস্ত কষ্ট,অপমান মুছে যাবে। বাচার জন্য হলেও একটু নিশ্বাস নিতে মন চাইবে।
আছে কেউ আমাকে এমন একটা সংবাদ শোনাতে ?
পারবে কেউ আমার হৃদমোহোণীকে আমাকে পাইযে দিতে আছে কেউ ??
আমি তাকে ভিষন ভাবে চাই, তাকে ছাড়া আমার সময় চলে না পুরোনো রেল গাড়িটার মতো অচল হয়ে আছে আমার জীবন। তোমরা কেউ কি আছ আমাদের পাশে থেকে আমাদেরন দুজনের শুখ গুলা এনে দিতে।
আচ্ছা এমন ও তো হতে পারতো যে হঠাৎ করে সে আমায় ফোন করে বললো চিন্তার কোনো কারন নেই আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেছেন, বাবা, মা আমাদের বিয়েতে রাজি হয়েছে। সত্যি বলছি তাহলে আর জীবনে কিছু চাইতাম না । তাকে আগলে রাখতাম বুকের পাজরে,আমার অস্তিত্বে ।
ভালোবাসি সত্যি অনেক বেশিই ভালোবাসি,(হৃদমোহোণী) !!
পর্ব: ৩৫
গল্প: হৃদমোহিণী
শুনেছি ভালোবাসলে নাকি স্পর্শের প্রোয়োজন নেই।তবে ভালোবাসা ছাড়া স্পর্শ,পূর্নতা পায় কি করে ?
জানালার ওপাশে অন্ধকার থেকে তুমি আমাকে দেখছো,আমিও ল্যাম্পোষ্টের নিচে দাড়িয়ে থাকি তোমাকে দেখার আশায়। আমরা দুজনেই কিন্তু ভালোবেসেছিলাম !!
তুমি ছাড়া আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলবো!!!
মানুষ বলে সমবয়সীকে বিয়ে করা ঠিক না শংসারে ঝগরা হয় বেশি। কিন্তু সাইকোলজি বলে-“সমবয়সীকে বিয়ে করা পারফেক্ট,আন্ডারস্ট্যান্ডিং ও ম্যাচিউরড থাকে সব সময়“
মেডিকেল সাইন্স বলে-“জৈবিক চাহিদা পরিপূর্ন ভাবে পেতে সমবয়সীকে বিয়ে করা উত্তম,দুজনের চাহিদার বিষয়ে গভীর ভাবে সতর্ক থাকে“।
আমি ভালোবাসা বোঝাতে গিয়ে তোমাকেই বুঝি ,এশহর জুড়ে বৃষ্টি নামে অখচ তীব্র পিপাসা নিয়ে আমি একা একা ভিজি ।।
কেনো আমি তোমাকে এত করে চাই, কারন তুমি আমার মানসিক শান্তি।তাই পরের বার নীলতিমি হয়ে জন্মাতে চাই । প্রার্থনা করি তুমিও যেনো তাই হও।এই জীবন ছন্নছাড়া ,ছিন্নভিন্ন হৃদয়ে,পেটে,মস্তিষ্কে প্রচুর ক্ষত প্রিয়তমা।পরেরবার সংসারিক,বন্ধুসুলভ হবো নীলতিমির মতো। অতল সমুদ্রে সাঁতারে বেড়াবো তোমায় নিয়ে তোমার খুব কাছাকাছি থাকবো । তারপর তুমি হারিয়ে গেলে আমিও তীরে গিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরন করবো । তখন আর কেউ বলবেনা আত্যহত্যা পাপ!!
আমি সারা জীবন তোমার ছায়া হয়ে থেকে যাবো ,যদি আমি মরেও যাই আমার দেহ থাকবে কবরে কিন্তু আমার আত্মাটা তোমার পাশেই থাকবে, তুমি অনুভব করতে পারবে যে আমি আছি আজও তোমার পথচলায় পায়ে,পায়ে।
পর্ব: ৩৪
গল্প: হৃদমোহিণী
আর আজ পরীবারের লোকজনের কথায় আলাদা হতে হয়েছে। নিজে অনুভূতি বোঝানোর কেউ নেই। নিজেকে তখন নিজেরই বোঝাতে হয়।এই স্বার্থের দুনিয়ায় নিস্বার্থভাবে ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেল্লাম। আফসোস আমি তাকে ধরে রাখতে পারিনী।তোমাকে ছুঁয়ে দেখার কপাল আমার এ জন্মেও হলো না!
রাস্তায় পাশাপাশি পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটার সময় ভুল করে হাতের সাথে হাতটা লাগলো না !
ভরা পূর্ণিমা রাতে তোমার কোলে মাথা রেখে লেখা কোনো কবিতায় সুর দেয়া হলো না !!
অথচ তোমার কোল আজ শূন্য নয়, সে কোলে মাথা রেখে গভীর নিদ্রায় যাবে অন্য কেউ!আমি ভাবি ,ভেবে ভেবেই মনকে স্বান্তনা দেই,”যে স্পর্শে শরীর জাগে,সেই স্পর্শ আমি দিতে চাই না !
আমারও ইচ্ছে হয় কখোনো ছুঁয়ে দেখি তোমার তুমি’টাকে।পুরো তুমিটার মাঝে বিচরন করি নিরবধি!তুমি এসে দাঁড়াও আমার সামনে ,এলো চুল বাতাসে দোল খায়। তোমাকে ছুয়ে দিবো বলে যেই তোমাকে ছুঁতে যাই, ঠিক তখনই তুমি অদৃশ্য হয়ে যাও মরীচিকার মতো!
তোমাকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য কি তবে আমার সত্যিই হবে না ?
তবে কেন বৃষ্টির জল তোমার শরীর ছুঁয়ে দেয়নির্দ্বিধায়,তার এত দুঃস্হস হয় কি করে ?
কেন তোমার চোখ ছুঁয়ে দেয় বিষন্নতারা,কাউকে হারানোর ভয়েরা-শোকেরা ?
চাইলেই কেন তোমার ঠোঁট ছুঁতে পারে,তোমার পান খাওয়া লাল টকটকে ঠোটটা ? কেন আমি আজ থেকেও তোমার মাঝে বিচরন করতে পারছি না ?
পর্ব: ৩৩
গল্প: হৃদমোহিণী
জীবনের প্রতিটা মুহর্তে আমি ভুল করে এসেছি, আমার এ ভুল কখোনো সোধরানোর নয়।আমি বুঝে গেছি এই ভুল আমার স্বভাবের সাথে মিশে গেছে। ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে বাচতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নিয়তি আমায় তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিল ,আমি তার কাছে থেকেও অনেক দূরে। পরীবার মানলো না আত্মীয় স্বজন মানলো না এই পৃথিবী ও আমাদের মানলো না । কাছের মানুষ গুলো যাদের বেশি বিশ্বাস করে ভরসা করি তারাই চায় না যে আমরা এক সাথে থাকি। কিসের এতো চাওয় পাওয়া কিসের এতো চাহিদা দুই দিনের দুনিয়াতে একটু মানসিক শান্তিটা চেয়ে ছিলাম। তারা যদি আজ আমাদের সম্পর্ক টা মেনে নিতো তাহলে কি অনেক বড়ো ক্ষতি হয়ে যেত ?
আমরাও তো মানুষ আমাদের ও তো কিছু চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে, তারা কেনো আমাদের চাওয়া পাওয়াকে একটু বুঝতে চায়না !!!
মনে হয় জীবনটাকে শেষ করে দেই না পারছি এভাবে বাচতে না পারছি মরতে। জীবনে বেশি কিছুতো চাই নি, তাহলে এতো অপ্রাপ্তি কেন ?
কেউকি আছে যে আমাদের অনুভূতি বুঝতে পারে আছে এমন কেউ ?
তাকে জদি আমি হারিয়ে ফেলি তাকে আমি আমার জীবনে দ্বিতীয় বার পাবো না। কারন সেই মানুষ টা আমার কাছে বিশেষ একজন মানুষ, আর আমি তাই তাকে আগলে রাখতে চাই। আমরা যখন একটা মানুষকে ভালোবাসি,তার সবকিছু দেখেই কিন্তু ভালোবাসি। সেটা অপরপক্ষের ভালো মন্দ অভ্যাস,তার রুচিবোধ,পছন্দ অপছন্দ সব কিছুই থাকে। কিন্তু দেখা যায় সে মানুষটা যখন নিজের মানুষ হয়ে যায়,তখনই আমরা তাকে বদলাতে চাই। তাকে বলি –এভাবে চলো ,এটা করো না ওটা করো না, মূলত তাকে আমার মতো করে সাজাতে চাই। আর সেই মানুষটাও সম্পর্কের খাতিরে সব কিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়। একজন আর একজনকে ঠিক কতোটুকু ভালোবাসলে এমনটা কারতে পারে।
পর্ব: ৩২
গল্প: হৃদমোহিণী
মাথাটা যেমন গরম মনটা তেমন খুব নরম , রাগলে যেমন কাউকে না চিনি, তেমন ভালোও ভীষন বাসতে জানি..অনেকটা নাতিশীতোষ্ণ টাইপের মুড আমার।
আমাদের দুজনকে এমন হতে হবে ,আমরা চাইলে সব কিছু ঠিক করে নেবো তবুও তাকে হারাতে পারবো না।
মাঝে মঝে আমি নিজেকে প্রশ্ন করি এত বছর হয়ে গেল !
আমাদের মধ্যে এতো ঝামেলা রাগারাগি একঘেঁয়েমি হয়,আজও আমরা একসাথে কিন্তু কিভাবে ?
আসলে নির্দিষ্ট কোনো মানুষের মুগ্ধতায় আটকে পরলে কখনও সেই মানুষটার প্রতি একঘেঁয়েমি আসে না। আর হ্যাঁ হয়তো ঝামেল ,বলতে গেলে প্রায়ই হয় কিন্তু আমরা রাগের মাথায় যতই উল্টোপাল্টা বলিনা কেনো, মাথা ঠান্ডা হয়ে গেলে দুজনেই দুজনের কাছে ফিরে আসি মনে কোন রাগ পুষে না রেখে ক্ষমা করে একজন আরএকজনকে কাছে টেনে নেই.........!!
কারন আমরা ভালোবাসি , তাই আমরা ঝগড়া গুলোকে দুরত্বের কারন না বানিয়ে বরং ঝগড়ার পর ভালোবাসাটা আরো বাড়িয়ে দেই। মানুষ তাকেই আকড়ে ধরে রাখতে চায়, যার মধ্যে সে নিজেকে দেখতে পায়। আমিও ঠিক তার মধ্যে নিজেকে খুজে পাই, আমার অস্তিত্বকে খুজে পাই!!!
মানুষের জীবনে সবচেয়ে অস্থির মুহূর্ত কখন আসে ,যখন সে কোনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পখে পা বাড়ায় । হয় সে বিজয়ের বেশে উৎরে যাবে না হয় মুখ থুবড়ে পড়বে। এ ছাড়া সেই পথে তার কোনো মধ্যম উপায় নেই।
Bagerhat
9301
Be the first to know and let us send you an email when Hridmohini posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Hridmohini:
পর্ব : ১০ গল্প: হৃদমোহিনী কেন যানি মনে হয় আমার বুকের বাম পাশের পাজরের হাড় দিয়ে আল্লাহতাআলা তাকে তৈরি করেছেন । তাকে আমার ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হলো তাকে নিয়ে বেচে থাকার ইচ্ছা পোষন করা। আমি তাকে ভালোবাসি হাজার কোটি অজস্রবার ,কারন ভালোবাসার মতো সুন্দর পৃথিবীতে কিছু নেই।কামনা আর ভালোবাসা সম্পূর্ণই ২টি ভিন্ন জিনিস, কামনা একটি অস্থায়ী উত্তেজনা মাত্র, আর ভালোবাসা হলো ধীর প্রশান্ত যা চিরন্তন । মাঝে মাঝে ২টি মানুষের ভালোবাসার আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক কে অতিক্রম করে যায় আর আমি তাই মনে করি। আমি তাকে বোঝাই কাউকে ভালোবাসা কোনো অপরাধ নয়, এটি শুধু মানুষের মধ্যকার অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এবং আমি এটা বিশ্বাস করি যে কাউকে সারা জীবনের জন্য কাছে পেতে চাইলে তাকে প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে নয়, বরং বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো, সে এমনিই তোমার হয়ে যাবে । তাই তার বন্ধু হয়ে কথা বলতে
আকাশ আমায় ডাকছে!🥀! #viral #viralreels #viralvideo #reels #reelsvideo #shorts #shortsvideos #emotions
আমি ধ্বংস তোমার ঝড়ে!!🥀 #viral #video #viralreels #viralvideo #reels #reelsvideo #viralshorts #shorts