Times of Bangladesh

Times of Bangladesh "Times of Bangladesh" is a magazine of news.

সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে। এই সময় সম্পর্কে সচেতন পাঠকদের জন্য বিভিন্ন চমকপ্রদ যুগপযোগী খবর নিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশে Times of Bangladesh এর যাত্রা শুরু। Times of Bangladesh এর মূল লক্ষ পাঠকদের কাছে সাম্প্রতিক দেশ/বিদেশের বিশেষ ঘটনা, গোপন সত্য তথ্য, ছবি, বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরা।

আপনারা (পাঠকগন) আপনাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা, খবর, তথ্য, গোপন তথ্য, ছবি, উপদেশ, মন্তব্য দিয়ে আমাদের

সহযোগিতা করুন। আমরা অপনার যে কোন ঘটনা, তথ্য/ছবি ইত্যাদি সবার সাথে শেয়ার করব। শিক্ষা/জ্ঞান নিজের ভেতর আবধ্য করে রাখবেননা, এটাকে সবার ভেতর বিলিয়ে দিন।

বি:দ্র: - পাঠকের উগ্র আচরন, মন্তব্য গ্রহন যোগ্য নয়। এর কারনে তাকে page থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। Times of Bangladesh এর প্রদত্য তথ্য, ছবি, খবর দেশ বিদেশের বিভিন্ন সনামধন্য পত্রিকা, পাঠকদের প্রদত্ত বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়। সুতরাং, যে কোন প্রকার জটিলতার কারনে Times of Bangladesh এর কতৃপক্ষ দায়ী থাকবেনা।

পাঠকদের একান্ত সহযোগিতা আমাদেরর কাম্য..............................

Page এর সকল সদস্যদেরকে "Times of Bangladesh" এর প্রদত্ত পোস্ট গুলো Like, Comment করে আমাদের(Admin) নতুন নতুন পোস্ট দিতে আগ্রহান্বিত করুন। বেশ কয়াকজন Admin এর সম্মিলিত প্রয়াসে "Times of Bangladesh" পেইজটি চলছে, আগামীতেও চলবে। আপনি নিজে যদি "Times of Bangladesh" এর একজন সাংবাদিক(admin) হতে চান, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। অথবা আপনার ভাললাগা যে কোন খবর আমাদের কাছে পোস্ট করুন, আমরা সবার সামনে তুলে ধরবো।

18/06/2020
13/01/2017

শীতকালে হাত পা ঘামানোর সমস্যা অনেকেরই হয়। অতিরিক্ত ঘাম কোন জটিল সমস্যা নয়, সাধারণ একটি সমস্যা। আনেকটাই স্বাভাবিক বিষয়। ঘামার মাত্রা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয় তাহলে অনেক সময় একটু সমস্যায় পড়তে হয়। একে বলা হয় হাইপার হাইড্রোসিস। এর ফলে হাতে পায়ে গন্ধ হয়। জুতো খুললেই গন্ধে টিকতে পারে না পাশের লোক। তবে, হাত ও পা ঘামার কারণ কিন্তু তেমন কিছু নেই। তবে অতিরিক্ত স্নায়ুবিক উত্তেজনা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে। এছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন- পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডের, ডায়াবেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, ইত্যাদি কারণে হাত-পা ঘামতে পারে। তাই সঠিক কারণ চিহ্নিত না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করলে হাত পায়ের ঘামা কমে যায়। এছাড়াও আয়োনোফোরেসিস নামক বিশেষ থেরাপি নিলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। এসব পদ্ধতি ছাড়াও বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। পাশাপাশি বটক্স ইনজেকশন দিয়েও হাত-পায়ের ঘামা সমস্যা রোধ করা যায়।
• এছাড়া সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে। এতে শরীরে তাপমাত্রা ঠিক থাকবে।
• ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।
• শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
• মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
• জল প্রধান সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

30/07/2016
গুলশান ট্র্যাজেডির কিছু মর্মান্তিক ছবি !
02/07/2016

গুলশান ট্র্যাজেডির কিছু মর্মান্তিক ছবি !

গুলশান ট্র্যাজেডির আনপাবলিশ ছবি !

02/07/2016

গুলশানে জঙ্গি হামলায় যৌথবাহিনীর “অপারেশন থান্ডারবোল্ট” অভিযানের গোপন ভিডিও ফুটেজ ফাঁস! ভিডিওটি এক চাইনিজের ফেসবুকে পাওয়া গেছে।গুলশানে জঙ্গি হামলায় যৌথবাহিনীর “অপারেশন থান্ডারবোল্ট” অভিযানের গোপন ভিডিও ফুটেজ ফাঁস! ভিডিওটি এক চাইনিজের ফেসবুকে পাওয়া গেছে।গুলশানে জঙ্গি হামলায় যৌথবাহিনীর “অপারেশন থান্ডার...

27/05/2016

এদেশে বৃটিশদের শাষনের সময়কালে এই পিলারগুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়মসহ ধাতব চুম্বক সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলারগুলো এবজর্ভ করে আর্থিংএর কাজ করত...

19/05/2016

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘রোয়ানু’।

07/10/2015
06/10/2015

বেতন বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সোমবার মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। এসব দাবি বাস্তবায়নে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি নতুন বেতন স্কেলের সপ্তম গ্রেড অনুযায়ী তাঁদের জন্যও...

সরকারি চাকরির আবেদনে আর সত্যায়ন লাগবে না:----------------------------------------------------চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি...
19/01/2015

সরকারি চাকরির আবেদনে আর সত্যায়ন লাগবে না:
----------------------------------------------------
চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-জাতীয় নানা কাজে সদ্য তোলা কয়েকটি ছবি জমা দিতে হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, প্রার্থীর নিজের রঙিন ছবিও অবিশ্বাস করা হয় উল্টো পাশে সরকারি কর্মকর্তার সিল-স্বাক্ষর না পড়লে। অথচ সব ক্ষেত্রেই সরাসরি ও স্বচক্ষে প্রার্থীর চেহারা ছবির সঙ্গে মিলিয়েই পরীক্ষা দেওয়া, চাকরিতে নিয়োগ বা অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একইভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ যাচাই-বাছাই না করে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেয় না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। মৌখিক পরীক্ষার সময় চাকরিপ্রার্থীর মূল সনদগুলো যাচাই-বাছাই করে কয়েক জোড়া চোখ। তবু প্রতিটি জায়গায় আবেদনের সময় মূল সনদগুলো ফটোকপি করে তা সত্যায়িত করতে ঘুরতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তাদের পেছনে।

প্রার্থীদের মতো চাকরিদাতা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ জন্য কম ভোগান্তি পোহাতে হয় না। প্রতি আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া কয়েক ফর্দ কাগজ আর ছবি উল্টেপাল্টে দেখতে হয় সত্যায়িত করা আছে কি না জানার জন্য। এতে তাদেরও কষ্ট যেমন হয়, তেমনি হয় সময়ক্ষেপণ। এসব বিবেচনায় নিয়ে সরকারি চাকরির আবেদনের সঙ্গে ছবি বা কাগজপত্র সত্যায়িত করার বিধান বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন নিয়মে সরকারের নির্ধারিত একটি ফরমে আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের। সঙ্গে দিতে হবে শুধু দুই কপি ছবি। আর কোনো কাগজপত্র দিতে হবে না। তবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময় ছবি ও মূল কাগজপত্র যাচাই করা হবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

আবেদনের সঙ্গে কোনো কাগজপত্র দিতে না বলা হলেও আবেদনপত্রের অঙ্গীকারনামায় প্রার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে, যেখানে বলা থাকবে, 'আমি এ মর্মে অঙ্গীকার করছি যে ওপরে বর্ণিত তথ্যাবলি সম্পূর্ণ সত্য। মৌখিক পরীক্ষার সময় উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রমাণের জন্য সব মূল সার্টিফিকেট ও রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করব। কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য থাকব।'

পরিপত্রে বলা হয়েছে, 'বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে নিয়োগসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে নানা ধরনের কাগজপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি চাওয়া হয়। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় এসব কাগজপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা অনেক শ্রম এবং সময়সাপেক্ষ। এর পরিবর্তে আবেদনপত্রে আবেদনকারীর ছবি এবং প্রয়োজনীয় তথ্যসংবলিত এক পাতার নির্ধারিত ফরমে আবেদন গ্রহণ ও মৌখিক পরীক্ষার সময় তথ্য যাচাই বাছাই করা হলে প্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে এবং নিয়োগপ্রক্রিয়াকরণ সহজ হবে।'

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, জনস্বার্থে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তি ও জটিলতার অবসান হবে।

চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-জাতীয় নানা কাজে সদ্য তোলা কয়েকটি ছবি জমা দিতে হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, প্রার্থীর নিজের রঙিন ছবিও অবিশ্বাস

17/01/2015

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি এস কে সিনহা নামে পরিচিত। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, বিদায়ী বিচারপতি মো. মোজাম্মেল...

04/01/2015

List of Top 20 Pharmaceutical Companies in Bangladesh :
------------------------------------------------------------------------
1 Square Pharmaceutical
2 Incepta Pharmaceutical
3 Beximco Pharmaceutical
4 Opsonin Pharmaceutical
5 Renata Limited
6 Aristopharma
7 Eskayef Bangladesh
8 ACI
9 Drug International
10 The ACME Laboratories Ltd
11 Healthcare Pharma
12 General
14 Novo Nordisk
15 Novartis
16 Radiant Pharma
17 Glaxosmithkline
18 Unimed & Unihealth
19 Sandoz
20 Nuvista Pharma

Source Link: http://en.wikipedia.org/wiki/Pharmaceutical_industry_in_Bangladesh

28/12/2014

টানা ২৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর ও আবিশ্রান্ত অভিযানের পর অবশেষে তিন যুবকের প্রচেষ্টায় উদ্ধার হলো শিশু জিহাদ।

12/05/2013

সতর্কতা ! সতর্কতা !
ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় !!

ভারত মহাসাগরের একটি বিশাল অঞ্চলে অস্থির আবহাওয়া কারণে চলতি সপ্তাহে দুটি উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় দুটি বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব, মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ উপকূলে ঘূণিঝড়ের এ আঘাত আসতে পারে। এতে লাখ লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

( Share Must )

Courtesy :Banglanews24

-IceCream böy.

15/04/2013

- খালেদা জিয়ার বক্তব্য উস্কানীমূলক: সংসদীয় কমিটি
- যথাযথ আইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে
- পদ্মায় নৌকাডুবিতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
- আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা
- জরুরি আইন দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায় সরকার
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬০ কি.মি. যানজট

লাক্সতারকা রাহার রহস্যজনক মৃত্যু:------------------------------------লাক্সতারকা সুমাইয়া আজগার রাহা (২০) শুক্রবার রাতে রহ...
24/03/2013

লাক্সতারকা রাহার রহস্যজনক মৃত্যু:------
------------------------------
লাক্সতারকা সুমাইয়া আজগার রাহা (২০) শুক্রবার রাতে রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া হলেও দাফনের পর ক্রমে প্রকাশ পেতে থাকে রাহার মৃত্যুর খবর। তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নিজ বাসাতেই অনেকটা রহস্যজনকভাবে মারা যান রাহা।

তার সহকর্মীদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। প্রভাবশালীদের হুমকির কারণে পরিবার থেকে কাউকে না জানিয়ে তাকে কবর দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে লোকমুথে তারকা রাহার মৃত্যু খবর শুনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি দাবি করেন, তারা ঠিকানা জানতে পারলে ওই বাসার বা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।

রাহার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তার মৃত্যুর খবর মিডিয়ার কেউ না জানার আগেই শনিবার দুপুরে অনেকটা চুপিসারে আজিমপুর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। তবে এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু না আত্মহত্যা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শনিবার বিকেলের দিকে রাহার মৃত্যুর খবর মিডিয়া পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা কথা আসতে থাকে।

তার সহকর্মী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, তার পরিবার থেকে অনেক সমস্যা ছিল। এ কারণে তারা তার বাসায় যেত না। এক সময় তারা জাপান গার্ডেন সিটিতে থাকলেও গত তিন মাস আগে তারা জাপান গার্ডেন সিটির ১৩ নম্বর বিল্ডিংয়ের বাসা ছেড়ে দেয়। এরপর তারা কোথায় উঠেছে তা কেউ জানতো না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে লাক্সতারকা প্রতিযোগিতায় রাহা থার্ড রানারআপ নির্বাচিত হন। তার উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে- হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় `জল তরঙ্গ`, সালাউদ্দিন লাভলুর `স্বপ্নবাজার`, মাসুনের `পুতুল খেলা` ও `পাটিগণিত`, রেদওয়ান রনির `উচ্চতর শারীরিক বিজ্ঞান` ও `লাকি থারটিন`, রিজিয়া মাসুদের `দিন বদলের পালা`, শরাফ আহমেদ জীবনের `কামিং সুন` এবং এক খণ্ডের নাটক `এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি`, `জিম্মি`, `যত চিনি তত মিষ্টি`, `কাজী অফিস`, `ফোরটি টু মিনিটস`, `মেঘ ডেকেছে বেলায় বেলায়`, `টাইম বোম`, শেখ সেলিমের পরিচালনায় `মাকড়সা`, মাছরাঙা টিভিতে `ইউনিভার্সিটি` প্রভৃতি।

মাঝে কয়েক বছর বিরতির পর এবারের এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল রাহার।

ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন..
20/03/2013

ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন..

সাঈদীকে চাঁদে দেখার কথা বলাও কুফরি :-----------------------------------------ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রাজাকার দেলাওয়ার হোস...
03/03/2013

সাঈদীকে চাঁদে দেখার কথা বলাও কুফরি :
-----------------------------------------
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি চাঁদে দেখা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে জামায়াত-শিবির কুফরি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত কোনো নবী, রাসুল ও সাহাবাদের কখনোই চাঁদে দেখা যায়নি কিংবা এই দাবিও কখনো ওঠেনি। সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার জামায়াত-শিবিরের এই অপপ্রচার যারা বিশ্বাস করবে, এটা তাদের কুফরি কাজে পরিণত হবে। এটা খুবই নাফরমানি কাজ বলে দাবি করে তাঁরা বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে কতটা নিকৃষ্টভাবে ব্যবহার করা যায়, এই অপপ্রচারের মাধ্যমে তারই প্রমাণ দিল জামায়াত-শিবির। মহাকাশ গবেষক ও জ্যোতির্বিদরাও এটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করেছেন।
ফটোশপের মাধ্যমে দুই দিন আগে জামায়াত সমর্থকরা সাঈদীর ছবি চাঁদের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার প্রচারণা চালানো হয়। এখন এই গুজবকে ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ ধরনের সংবাদ প্রচার করা হয়েছে বলেও অপপ্রচার চালায় জামায়াত-শিবির। যদিও বাস্তবে এমন কিছুই করা হয়নি।
বাংলাদেশের বৃহত্তম ঈদগাহ শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ কালের কণ্ঠকে বলেন, কেয়ামতের দিন চাঁদ ও সূর্যকে দোজখের অংশ করে নেওয়া হবে। যারা বলছে, সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, তারা কি তাঁকে এখনই দোজখে পাঠাতে চায়? যারা এসব অপপ্রচার চলাচ্ছে তারা ইসলামের শত্রু, সাঈদীরও শত্রু।
'এই অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে আমাকে বলেছেন, সাঈদীকে চাঁদে দেখার কথা শুনেছেন তাঁরা। একজন আমাকে বললেন, তিনি টয়লেটের কমোডের পানিতে সাঈদীর মুখ দেখেছেন। এ ধরনের চিন্তা ইসলামে ইমানের দুর্বলতার পরিচায়ক। ইসলামের দৃষ্টিতে একেবারেই নাজায়েজ ও কুফরি কাজ'- বলেন বৃহত্তম ঈদের জামাতের এই ইমাম।
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন। আর যারা চাঁদে সাঈদীর চেহারা দেখার অপপ্রচার করছে তারা কি সাঈদীর শরীর দ্বিখণ্ডিত দেখতে চায়? নবী করিম (সা.)সহ এখন পর্যন্ত কোনো নবী, রাসুল ও সাহাবাদের প্রতিচ্ছবি চাঁদে দেখা যায়নি। কোনোদিন এ ধরনের প্রতিচ্ছবি দেখা যেতে পারে, তাও কোনো নবী, রাসুল ও সাহাবা কখনই বলে যাননি। চাঁদে প্রতিচ্ছবি দেখা যদি পবিত্রতার পরিচয় হতো, তাহলে তাঁদের ছবিই দেখা যেত। ....

"মনা"

গণহত্যার মিছিলে আরও ২৪ লাশ:---------------------------------দেশজুড়ে রক্তের হোলি খেলা চলছে। গণহত্যার মিছিলে গতকাল যুক্ত হ...
03/03/2013

গণহত্যার মিছিলে আরও ২৪ লাশ:
---------------------------------
দেশজুড়ে রক্তের হোলি খেলা চলছে। গণহত্যার মিছিলে গতকাল যুক্ত হয়েছে আরও ২৪টি লাশ। পুলিশের গুলিতে বগুড়ায় ১২, জয়পুরহাট সদরে ১ ও পাঁচবিবিতে ৬ জন, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ২, সাতক্ষীরায় ২, নোয়াখালীর সেনবাগে একজন নিহত হয়েছে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের। বৃহস্পতিবার আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে গুলি ও সংঘর্ষে গত চার দিনে লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে গুলিবর্ষণ করায় প্রতিবাদী জনতা বগুড়ায় চারটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। থানা-পুলিশ রক্ষায় সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে জেলা প্রশাসন। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেনা মোতায়েনের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, দেশে সেনা মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, হবেও না। কয়েকটি স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধ করে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। দেশের সব মহাসড়ক ছিল বিক্ষোভকারীদের দখলে। লাকসামে রেললাইন উপড়ে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল বগুড়ায় ২০০ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চারশতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫ হাজার মানুষ। এত লাশ, এত গুলি, এত বিক্ষোভ কেউ কখনও দেখেনি। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অভাবনীয় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। সাঈদীভক্ত সর্বস্তরের জনতার মিছিলে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির নির্বিচার গুলি এবং শাসক দলের ক্যাডারদের হামলায় স্তম্ভিত, শঙ্কিত দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ। অপ্রতিরোধ্য গণহত্যায় দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলেও সরকার বেপরোয়া। আত্মরক্ষার নামে তারা গুলি করেই চলছে নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর। আহত মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে দেশের বহু এলাকার আকাশ-বাতাস। চতুর্দিকে বারুদ আর কাঁদানে গ্যাসের গন্ধ। দেশের সর্বত্র শোনা যাচ্ছে এখন গুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ। এই আতঙ্ক নিয়েই চরম উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায় কাটছে মানুষের দিন।

আল্লামা সাঈদীর মুক্তি দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এখন আর জামায়াত-শিবিরকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। রাস্তায় নেমে পড়েছেন গৃহবধূ, কৃষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনতা; শিশু-কিশোর ও স্কুলছাত্ররাও। তারাও বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। গতকাল বগুড়ায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন গৃহবধূ। সাতক্ষীরায় মারা গেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আর গোদাগাড়িতে নিহত হয়েছে নবম শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্র। এর আগেও নিহত হয়েছিল আরও ক’জন স্কুল-মাদরাসার ছাত্র ও গৃহবধূ। বগুড়া, যশোর, মনিরামপুর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন মহিলারা। ঝাড়ু, ঝাঁটা ও জুতা হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্মম গণহত্যার।
বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ করেছে থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সরকারি দফতর। হামলা-পাল্টা হামলা চলছে সরকারি দলের লোকজনের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। পুরো দেশে যেন গৃহযুদ্ধ চলছে।

01/03/2013

সরকার পাখির মত গুলি করে মানুষ মারছে:--------------------
দেশে ফিলিস্তিনের মত মানুষ মারা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

01/03/2013

খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন। মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির।
সারা দেশে গণহত্যা চলছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৫ মার্চ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

চল্লিশ বছরব্যাপী বিচার অন্বেষায় একটি জাতি:_____________________________প্রায় মাসব্যাপী শাহবাগ চত্বরে চলছে তরুণ প্রজন্মের...
01/03/2013

চল্লিশ বছরব্যাপী বিচার অন্বেষায় একটি জাতি:
_____________________________

প্রায় মাসব্যাপী শাহবাগ চত্বরে চলছে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে এই আন্দোলন তাঁদের। হাজার হাজার তরুণ এখনও এ দাবিতে অনড় অবস্থানে।

সাধারণ মানুষসহ যুদ্ধ চলাকালে যে যুবক কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র- যে অবুঝ শিশু নিহত মায়ের স্তনে খুঁজেছিলো বেঁচে থাকার আশা। চল্লিশ বছর পর তাঁদের ঠিকানা এখন শাহবাগ। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা এসেছেন হুইল চেয়ার চেপে। মুখে তাঁদের লম্বা সফেদ শ্মশ্রু। নির্যাতিতা স্বজন হারানো নারী- অনেকে আপাদমস্তক বোরখায় আবৃত। চল্লিশ বছর ধরে চোখ যাদের বড্ড জলজ ভারি।

হয়তো ভাবেননি কখনও দেশের তরুণরা আবার তাঁদের নতুন মর্যাদায় নিয়ে আসবেন। অন্যদিকে তরুণরা- পরনে যাদের টাইট জিন্স আর টি-শার্ট- পোশাকী বৈসাদৃশ্যসহ প্রজন্মান্তরের এই মিলে যাওয়া, এই যুথবদ্ধ স্রোত- অভূতপূর্ব। যে শিশুর কণ্ঠে এখনও স্পষ্ট কথা ফোটেনি, বাবা-মায়ের কাঁধে বসে কণ্ঠে স্লোগান তারও- "রাজাকারের ফাঁসি চাই।"

হাজার হাজার তরুণী-নারী। কারও শরীরে নিষিদ্ধ স্পর্শ পড়েনি। অর্থ খোয়া যায়নি কোনো। এমন শৃঙ্খলায় যে জনসমুদ্র বইতে পারে- এ এক বিরল দৃশ্য এ অঞ্চলের সংগ্রামশীল মানুষের জীবনে। প্রত্যেকের চোখে আগুন আর বিদ্রোহের বার্তা, একই সাথে আবার জয়োল্লাসের ডঙ্কা-ভেরি। প্রেম আর দ্রোহের এ সম্মিলন সত্যিই বিস্ময়কর।

এক চরম অনিবার্যতায় একাত্তর এসেছিলো এ ভূখণ্ডে। আমাদের সব অধিকারে চালানো হয়েছিলো লুণ্ঠন প্রক্রিয়া। যার শুরু সাতচল্লিশে দেশ বিভাগের পর থেকে। যুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানও অনেকের সমর্থন পেয়েছিল এ কাজে। যুক্তরাষ্ট্র আর চীন সমর্থন দিয়েছিল নব্য সাম্রাজ্যবাদী সেনাশাসিত এই রাষ্ট্রটিকে। এতে হত্যাকাণ্ড চালাতে অনেকটা সহজ হয়েছিল তাদের। তিরিশ লক্ষ নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করেছিল তারা আজকের জামায়াতের মত দলের সহযোগিতায়।

মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার নামে পরিচিত এ দলটি পাকিস্তানি সেনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানসহ হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, নির্যাতনের মতো সব যুদ্ধাপরাধই করেছিল। দেশের বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছিলো।

দেশ স্বাধীনের পর রাজাকার ও তাদের অন্য সহযোগীদের আমরা বিচারের আওতায় আনি। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পরিচালনায় আমরা সবাই তখন নতুন। বাঙ্গালির এই নতুন জাতি রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীর বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। কয়েক হাজার মামলাও হলো তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ১৯৭৩ সালের শেষদিকে হঠাৎ করেই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হলো। যাদের বিচার কাজ শুরু হয়নি তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলো। এর দুই বছর পর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর থেকেই আমরা আমাদের মৌলিক স্তম্ভ থেকে ক্রমাগত সরতে থাকি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ধারণা বিলুপ্ত হতে থাকে। পরিবর্তে স্থান পায় সমস্ত ক্ষেত্রে মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা। ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জায়গায় ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করা হয়। বাংলাদেশকে পরিণত করা হয় ধর্মীয় রাষ্ট্রে। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় সামরিক আইন জারি করে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সমঝোতা চলে। রাজনীতির মূল স্রোতে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যান তারা অনায়াসে।

অবশেষে বর্তমান সরকার ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। বিচারের প্রথম রায়ে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সাবেক জামায়াত নেতা আবুল কালাম আযাদকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। সবকিছু চলছিল ঠিকঠাক মত। এরই মধ্যে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের শীর্ষনেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ ঘটনায় অনেকে এই সন্দেহ পোষণ করে যে, জামায়াতের সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হয়তো গোপন আঁতাত হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তরুণ ব্লগাররা বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। যৌথভাবে শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চ গঠন করেন তারা। প্রায় মাসব্যাপি সেখানে অবস্থান চলছে তাদের। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তাদের। এ ঘোষণায় অভূতপূর্ব সাড়া মেলে দেশের মানুষের।

আন্দোলনের ১০ দিনের মাথায় গণজাগরণ মঞ্চের একজন উদ্যোক্তা ব্লগার রাজিবকে দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করলে আন্দোলন আরো গতি পায়। হত্যাকাণ্ডের আলামত অনুযায়ী জামায়াতকে সন্দেহ করা হয়। জামায়াতও নানা আকার ইঙ্গিতে জানিয়ে দেয় এ তাদেরই কাজ। আন্দোলনকারীরা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেয়। তবে তা অহিংস উপায়ে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে।

গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি সেই কাঙ্ক্ষিত রায় আসে যখন জামায়াতের আরেক শীর্ষ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে এ ঘটনায় জামায়াতের তাণ্ডবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপি। শাহবাগ চত্বরে আন্দোলনকারীরাও পূর্বের ন্যায় অবস্থান করে অশুভ জামায়াতী শক্তিকে মোকাবিলার ঘোষণা দেন।

এ সুযোগে অনেক রাজনৈতিক নেতা কৃতিত্ব অর্জনের সুযোগ- সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। রাজনীতির এই জটিল সমীকরণ বুঝতে বাকি থাকেনা আন্দোলনকারীদেরও। ফলে তাঁদের মধ্যে সত্যিকার অর্থে সচেতনভাবেই একাত্তরের চেতনা পুনর্জাগরণের ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়। যা আরেকটি চূড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধেরই ইঙ্গিত বহন করে। যে যুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জয় নিশ্চিত।

25/02/2013

অমর একুশে বইমেলায় আগুন লেগে ২৪টি প্রকাশনীর ৪০টি স্টল পুড়ে গেছে। রোববার দিবাগত মধ্যরাত বাংলা একাডেমীর নতুন ভবনের কাছে স্থাপিত বইয়ের অস্থায়ী স্টলগুলোতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফায়ার ব্রিগেড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম থেকে জানা যায়, খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের ছয়টি ইউনিট সেখানে পৌঁছে প্রায় এক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই মেলার ২৬৪ থেকে ৩০৪ নম্বর স্টল পর্যন্ত ২৪টি প্রকাশনীর মোট ৪০টি স্টল পুড়ে যায়।

ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হচ্ছে ‘আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবন’ ব্লগ প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে একটি কমিউনি...
29/01/2013

ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হচ্ছে ‘আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবন’ ব্লগ প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে এ ব্লগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে প্রিয় ডটকম, বেসিস ও স্মার্ট টেকনোলজিস।
প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আজ ২৯ জানুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল আয়োজকেরা। রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহসান, বিডিওএসএন এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, প্রিয় ডটকমের সম্পাদক জাকারিয়া স্বপন, স্মার্ট টেকনোলজিসের সহকারী ব্যবস্থাপক মোজাহিদুল আল বেরুনি, ইল্যান্স-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সাইদুর মামুন খান, ওডেস্ক এর অ্যাম্বাসেডর মাহমুদ হাসান সানি ও ফ্রিল্যান্সারের মো. আলী আজগর।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারকে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা লিখতে হবে। লেখার জনপ্রিয়তা ও মান বিবেচনা করে পুরস্কার দেবে আয়োজকেরা। সেরা ও জনপ্রিয় লেখাগুলো নিয়ে তৈরি হবে ই-বুক।
আয়োজকেদের ভাষ্য, ফ্রিল্যান্সারদের উত্সাহিত করতেই এ আয়োজন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এ লিংকে http://www.priyo.com/tech

24/01/2013
শীতে কাবু বাংলাদেশ!!!!.......................
10/01/2013

শীতে কাবু বাংলাদেশ!!!!.......................

09/01/2013

ব্রেকিং NEWS:

আজ থেকে মোবাইল ব্যবহারকারীদের ফেসবুকে অনলাইনে দেখা যাবে । :)

23/12/2012

=আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের গোপন সংকেত বা মানে জানুন!=

বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের অনেকের ই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। অনেকে এটাকে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে বলেন যেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
আপনারা দেখবেন এটার নীচে লাল কালি দিয়ে লেখা ১৩ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি
কিন্তু এই ১৩ সংখ্যার মানে কি?
1. প্রথম ২ সংখ্যা – জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।
2. পরবর্তী ১ সংখ্যা – এটা আর এম ও (RMO) কোড।
• সিটি কর্পোরেশনের জন্য – ৯
• ক্যান্টনমেন্ট – ৫
• পৌরসভা – ২
• পল্লী এলাকা - ১
• পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা – ৩
• অন্যান্য – ৪
3. পরবর্তী ২ সংখ্যা – এটা উপজেলা বা থানা কোড
4. পরবর্তী ২ সংখ্যা – এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)
5. শেষ ৬ সংখ্যা – আই ডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর।
বর্তমানে আবার ১৭ ডিজিট ওয়ালা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল!

নিজে জানুন এবং সব্বাইকে জানান!

02/12/2012

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হেনেছেন সোহাগ গাজী। লিন্ডল সিমন্স আগের বলেই তাঁকে লং অনে দিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে আছড়ে ফেলেছিলেন। সেই প্রতিশোধ সোহাগ নিলেন সিমন্সকে বৃত্তের মধ্যে...

02/12/2012

Bangladesh 292/6 (50.0 ov)

West Indies

West Indies won the toss and elected to field

Innings break

West Indies in Bangladesh ODI Series - 2nd ODI
ODI no. 3310 | 2012/13 season
Played at Sheikh Abu Naser Stadium, Khulna
2 December 2012 (50-over match)


Bangladesh innings (50 overs maximum) R B 4s 6s SR
View dismissal Tamim Iqbal c Pollard b Russell 5 10 1 0 50.00
View dismissal Anamul Haque c Narine b Rampaul 120 145 13 2 82.75
View dismissal Naeem Islam c Narine b Rampaul 6 11 1 0 54.54
View dismissal Mushfiqur Rahim*† c Simmons b Rampaul 79 87 8 1 90.80
View dismissal Nasir Hossain c Gayle b Rampaul 4 10 0 0 40.00
View dismissal Mominul Haque c Pollard b Rampaul 31 29 2 1 106.89
Mahmudullah not out 3 3 0 0 100.00
Mashrafe Mortaza not out 18 6 1 2 300.00
Extras (lb 6, w 19, nb 1) 26

Total (6 wickets; 50 overs) 292 (5.84 runs per over)

মহানবীকে ব্যঙ্গ করে চলচ্চিত্র, সাতজনের মৃত্যুদণ্ড:--------------------------------------ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র ‘ইনোসেন্স ...
29/11/2012

মহানবীকে ব্যঙ্গ করে চলচ্চিত্র, সাতজনের মৃত্যুদণ্ড:
--------------------------------------
ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নির্মাণে অংশ নেওয়ার অভিযোগে মিসরের কায়রোর একটি আদালত সাত মিসরীয় খ্রিষ্টানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে এ চলচ্চিত্রের ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশিত হলে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
আদালতের বিচারক সাইফ আল নসর সোলিমান বলেন, ‘অভিযুক্ত সাত মিসরীয়কে ইসলাম ধর্ম ও হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে ব্যঙ্গ করে নির্মিত চলচ্চিত্রে অর্থায়ন ও অংশ নেওয়ার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।’ তবে সাজাপ্রাপ্তকে কেউই মিসরে আটক নেই। তাদের অনুপস্থিতিতেই এই রায় দেওয়া হয়।
আজ ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে বলা হয়, ওই চলচ্চিত্রের পরিচালক মিসরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নকুলা বাসেলিকেও এ দণ্ডাদেশের আওতায় আনা হয়েছে। বাসেলি বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি কারাগারে এক বছরের সাজা খাটছেন।
এ বিষয়ে মিসরীয় কপটিক চার্চের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার্চের একটি সূত্র জানায়, ‘চার্চ এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ সমর্থন করে না। তাই এর সঙ্গে চার্চের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ আদালতের আদেশ; আর এ ব্যাপারে চার্চ মন্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবে।’

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যদি তার শতকরা ৭০ ভাগও খরচ হতো, তাহলে এ দেশের রাস্...
10/11/2012

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যদি তার শতকরা ৭০ ভাগও খরচ হতো, তাহলে এ দেশের রাস্তাঘাটের চেহারাই পাল্টে যেত। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রাস্তাঘাটের টাকা আত্মসাৎ হয়। ঠিকমতো কাজ হয় না। যেটুকু হয়, সেটার মান ভালো হয় না।’
আজ শনিবার সকালে টঙ্গী-নরসিংদী আঞ্চলিক সড়ক পরিদর্শন শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় যোগাযোগমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য শুধু বেপরোয়া চালকই দায়ী নয়, বেপরোয়া পথচারীরাও দায়ী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০ বছরের স্বভাব ২০ মাসে পাল্টানো যাবে না। এটা আমাদের বুঝতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে অর্থ বরাদ্দ একটি বিলম্বিত প্রক্রিয়া। অন্য কোনো দেশে বরাদ্দ এত বিলম্বিত হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জাতীয় মহাসড়ক থেকে অবৈধ গাড়ি দুই মাসের মধ্যে তুলে নেব। তবে এসব গাড়ি ফিডার সড়কে চলবে।’ যোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি গরিবের পেটে লাথি মারতে চাই না। এসব গাড়ির ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত এগুলো মহাসড়কে চলবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে যখন যানজট দেখি, মন্ত্রী হিসেবে আমি লজ্জা পাই। আর যানজটের মধ্যে যখন আমি নিজেই পড়ি, তখন মন্ত্রী হিসেবে আমার জন্য এটা বড় লজ্জার ব্যাপার।’ তিনি বলেন, ‘যানজটের কারণগুলো আমার সময় সৃষ্টি হয়নি। এটা অনেক দিনের সৃষ্টি। এগুলো নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
এ সময়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের সাংসদ মেহের আফরোজ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান, সড়ক ও জনপথের (সওজ) ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মফিজুল ইসলাম, ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন খান, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন প্রমুখ।

06/11/2012

বাংলাদেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) গত ১৩ অক্টোবর ৩১টি কোম্পানির ৪৩টি খাদ্যপণ্যের লাইসেন্স বাতিল করে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্যগুলো বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করেই বিক্রি করা হচ্ছে।
বড় কোম্পানিগুলোর নিষিদ্ধ হওয়া বেশি চালু পণ্যগুলো বাজারে বেশি বিকোচ্ছে। এই কোম্পানিগুলোর কেউই তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধের জন্য সরবরাহকারীদের কোনো নির্দেশ গতকাল সোমবার পর্যন্ত দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলোর মাঠপর্যায়ের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এখনো পণ্য বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা পাননি।
বিএসটিআই আইন, ২০০৩ (সংশোধনী)-এর ৮ ধারা অনুযায়ী, অনুমোদন ছাড়া বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। শাস্তিস্বরূপ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের জেল হতে পারে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ পণ্য বন্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিক্রির লাইসেন্স নেওয়ার সময় পণ্যের যে গুণগত মান বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল, তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় মান নিয়ন্ত্রণকারী পরীক্ষাগারের সুপারিশের আলোকে পণ্যগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয় বলে বিএসটিআই জানায়। এসব পণ্যের মোড়কে লোগো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পণ্যগুলো কেনাবেচার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধও জানায় বিএসটিআই।
নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে আছে ফ্রুট ড্রিংকস (ফলজাতীয় পানীয়), ওয়েফার বিস্কুট, সেমাই, ঘি, চাটনি, ধনিয়া গুঁড়া।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলো ঐচ্ছিক পণ্য। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে এসব পণ্য বাজারজাত করতে পারবে, কিন্তু অবশ্যই সে ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এদিকে ৪ নভেম্বর নিষিদ্ধ পণ্যগুলোর মধ্যে প্রাণ কোম্পানির আম, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের নামে জুস উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন।
বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির চিত্র: বগুড়া শহরের বিভিন্ন মহল্লার দোকানগুলোতে দেদার বিক্রি হচ্ছে প্রাণ অরেঞ্জ ও প্রাণ লিচু ড্রিংক। বিএসটিআই প্রাণ কোম্পানির ছয় ধরনের ফ্রুট ড্রিংকস বাতিল করে। গতকাল পাইকারি ও খুচরা উভয় ধরনের দোকানে এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা পর্যায়ে বেশির ভাগ ক্রেতাই শিশু-কিশোর।
বগুড়া শহরের রাজাবাজার ছাতাপট্টি মার্কেটের বেশ কিছু দোকানে দেখা গেছে, প্রাণ অরেঞ্জ ও প্রাণ লিচু ড্রিংকস থরে থরে সাজানো। এখানকার আশরাফিয়া স্টোরের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখনো কোম্পানি থেকে এসব ড্রিংকস বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রাণের পরিবেশক পটু স্টোরের পটু মিয়া বলেন, ‘প্রাণের কোন পণ্যের বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে, সেটা কোম্পানি পরিবেশকদের জানায়নি। জানলে এটা বিক্রি করতাম না।’
বগুড়ায় প্রাণের আঞ্চলিক বিক্রয় প্রতিনিধি কমল দাশ গতকাল মুঠোফোনে জানান, বাজারে প্রাণের ফ্রুট ড্রিংকসগুলো বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বন্ধের কোনো নির্দেশনা গতকাল পর্যন্ত তিনি পাননি।
নড়াইলের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি কোম্পানির নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিএসটিআই প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেডের দুটি ড্রিংকস (অরেঞ্জ ও লিচি) বিক্রি নিষিদ্ধ করে। এই প্রতিষ্ঠানের নড়াইলের বিপণন কর্মকর্তা বজলুর রহমান দাবি করেন, সরকার তাঁদের কোনো পণ্যই বাতিল করেনি। কিছু পণ্য পরীক্ষার জন্য বাজারজাত করতে সাময়িকভাবে নিষেধ করেছে।
ঢাকার তেজতুরী বাজারে ডিংডং নামে একটি ওয়েফার বিস্কুট বিক্রি করছিলেন মো. বাবুল। এই বিস্কুটের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিএসটিআই এই কোম্পানির ছয় ধরনের ওয়েফার বিস্কুট বিক্রি নিষিদ্ধ করে। মো. বাবুল বলেন, ‘আমি জানি না যে এটার বিক্রি নিষেধ। কোম্পানির লোকজনও কিছু জানায়নি। জানলে বিক্রি করতাম না।’
গত রোববার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর, ভানুগাছ, শহীদনগর এবং কুলাউড়া উপজেলার পীরেরবাজার ঘুরে বিক্রয়-নিষিদ্ধ মডার্ন কোম্পানির ফ্রুট ড্রিংকস বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরবরাহকারীদের কাছে বিক্রি বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা আসেনি।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছের ক্রেতা আবদুর রাজ্জাক ও শামছু মিয়া বলেন, ‘বড় বড় কোম্পানি এভাবে নিয়মিত প্রতারণা করছে, তা ক্রেতা হিসেবে আমাদের জানার বাইরে ছিল। এখন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিএসটিআই ও ক্যাবের বক্তব্য: বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, কোম্পানিগুলো বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্য এখনো বাজারে রেখে অন্যায় করেছে। শিগগিরই এসব পণ্য তুলে নেওয়ার জন্য অভিযানে নামা হবে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর পণ্য বিক্রি করাকে নিন্দনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো যে ভোক্তাদের স্বার্থকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, নিষিদ্ধ হওয়ার পর পণ্য তুলে না নেওয়াটাই তার প্রমাণ। আইন অমান্য করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান কাজী ফারুক।
বিভিন্ন কোম্পানির বক্তব্য: হক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর এ হাফিজ জানান, নিষিদ্ধ হওয়া ছয়টি পণ্যের মধ্যে পাঁচটির উৎপাদন ২০১০ সালে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি স্বীকার করেন, বিএসটিআইয়ের লোগোসহ ডিংডং এখনো বাজারে আছে। এগুলো এখনো বাজার থেকে প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন পণ্য বাজারে গেলে তাতে কোনো লোগো ব্যবহার করা হবে না বলে জানান তিনি।
প্রাণ গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর প্রাণ থেকে আর কোনো পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি প্রাণের বিক্রয় প্রতিনিধি ও সরবরাহকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে ঈদের আগেই।
মাঠপর্যায়ে এমন চিঠি না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় চিঠি গেছে। কোথাও দেরি হতে পারে।

Address

Rail Road
Bagerhat Town
9300

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Times of Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Times of Bangladesh:

Share

Nearby media companies


Other News & Media Websites in Bagerhat Town

Show All

You may also like