শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের বাদ দিয়ে পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। প্রতিটি শিশু জন্মগ্রহণ করে নিজস্ব কৌতূহল ও কল্পনা শক্তি নিয়ে। সৃজনশীলতা, কৌতূহল ও কল্পনা এ তিনের সমন্বয়ে বিকশিত শিশু নতুন বিষয় সৃষ্টি বা আবিষ্কারে এগিয়ে চলে দুর্নিবার।
শিশুসুলভ দুরন্তপনা ও চাঞ্চল্য শিশুদের একটি বৈশিষ্ট্য, দুরন্তপনার মধ্য দিয়ে শিশুরা নিজস্ব ভুবন সৃষ্টি করে। সে অসংখ্য প্রশ্ন ক
রে তার চারপাশে পরিবেশ ও জগত সম্পর্কে জানতে চায় এবং নতুন কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করে। সাদা পাতায় বা দেয়ালে রঙ দিয়ে দাগ কাটা, কাগজের তৈরি নানা ধরনের জিনিস, ঘুড়ি বানানো, গানের সঙ্গে নাচ, কবিতা আবৃত্তি, বালির মধ্যে খেলা, ড্রয়িং করার সময় পছন্দের গান শোনা, দোল খাওয়া, কার্টুন আঁকা, আকাশের তারা দেখা, পানিতে পাথর ছোঁড়া বা ব্যাঙ চালানো, জোনাকি বা প্রজাপতির পেছনে ছোটা, বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ঘরবাড়ি বানানো, বাঁশি বাজানো, ছবির বই দেখা, চক দিয়ে দাগ কাটা বা নকশা করা, ছবি তোলা, পছন্দের গান করা বা গানের সঙ্গে নাচা, নিজের কণ্ঠ রেকর্ড করা ও তা বাজানো, লেগোস বা ব্লক দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো এমন অসংখ্য সৃজনশীল কাজের দিকে মনোনিবেশ করে।
শিশুর প্রশ্ন, জ্ঞান এবং ধারণা থেকেই সৃজনশীলতার উন্মেষ। তাই তার সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে এবং নানা ধরনের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করতে হবে। তার সৃষ্টির শুধু প্রসার নয়, প্রয়োজন পড়বে প্রচারেরও।
শিশুদের এসব সৃজনশীল কর্মকাণ্ড সকলের কাছে তুলে ধরার জন্য এবং শিশু মনের পারস্পরিক আদান-প্রদান ও ভাববিনিময়ের সহজ মাধ্যম হিসেবে আমাদের পথচলা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিশুদের অংশগ্রহণ শুধু তাদের ইচ্ছা এবং স্বপ্ন জানতে চাওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা বাস্তবে রূপ দেওয়া।