Edu. FourTwenty420

Edu. FourTwenty420 Enjoy and be happy.
(77)

https://www.prothomalo.com/business/ifjwhspna3
08/08/2024

https://www.prothomalo.com/business/ifjwhspna3

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য জানাতে সব ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইসিসিবি...

একটি হিংসা মুক্ত , মানবিক পৃথিবী চাই ! কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুব ভাল দৌড়চ্ছিল, সবাইকে পিছনে ফেলে প্রায় পৌঁছ...
13/07/2024

একটি হিংসা মুক্ত , মানবিক পৃথিবী চাই !
কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুব ভাল দৌড়চ্ছিল, সবাইকে পিছনে ফেলে প্রায় পৌঁছে গেছেন শেষ ল্যাপে। তার পেছন পেছনই ধেয়ে আসছেন স্প্যানিশ অ্যাথলেট ইভান ফার্নান্ডেজ। শেষ সীমানার অল্প একটু আগে পৌঁছে বিভ্রান্ত হয়ে পড়লেন আবেল মুতাই, তিনি ফিনিশিং লাইন বুঝতে না পেরে ভাবলেন তিনি জিতে গেছেন আর দৌড়ের গতি কমিয়ে দিলেন।

তার পেছনে থাকা স্প্যানিশ অ্যাথলেট ইভান ফার্নান্ডেজ আন্দাজ করে ফেললেন আবেল মুতাইয়ের কনফিউশানের ব্যাপারটা, আর সাথে সাথেই স্প্যানিশ ভাষায় চিৎকার করে আবেলকে বলতে শুরু করলেন, দৌড় শেষ হয়নি, তুমি দৌড়তে থাকো।

আবেল স্প্যানিশ ভাষা না বুঝে আরো বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। ইভান বুঝতে পারে আর কোনো উপায় নেই, সে আবেলের কাছাকাছি এসে একরকম ধাক্কা মেরে ভিক্ট্রি লাইন পার করে জিতিয়ে দেয় আবেল মুতাইকে।

দৌড় শেষ হবার পর সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে ইভানকে। প্রশ্ন একটাই, তুমি এইরকম কেন করলে?

ইভান ফার্নান্ডেজ বললেন, আমি একটি সামাজিক পৃথিবী চাই, যেখানে আমরা সবাই সবাইকে সাহায্য করব।

সাংবাদিকরা সন্তুষ্ট হয়না এই জবাবে, সাংবাদিক প্রশ্ন করে, কিন্তু তুমি না জিতে ওকে জিতিয়ে দিলে কেন?

ইভান ফার্নান্ডেজ বললেন জয়টা আমার প্রাপ্য ছিলোনা, যে প্রাপ্য ছিলো আমি তাকে সাহায্য করেছি মাত্র। আর এমন জয় দিয়ে কি পাবো, একটা মেডেল? যেখানে নৈতিকতা থাকবে না? আমার মা আমাকে সে শিক্ষা দেয় নি।

কাহিনীটা পড়ে এক অন্যরকম অনূভুতি হলো। আমাদের পরিবার-সমাজ, আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি শুধুমাত্র আমাদেরকে জিততেই শেখাচ্ছে কাউকে জেতাতে শেখায়নি কখনো। আমাদের শুধু জেতা প্রয়োজন, সফল হওয়া প্রয়োজন। সেটা যেভাবেই হোক, যে কোন মাধ্যমেই হোক।

কাউকে জেতানোর মধ্যেও জিতে যাওয়া থাকতে পারে। কাউকে সাহায্য করার মধ্যেও সফলতা থাকতে পারে। এগুলা কখনোই আমাদের শিক্ষায় বা আমাদের চিন্তায় নেই। কেনো নেই?

04/07/2022

আত্তাহিয়াতু এর পিছ‌নে এত সুন্দর এক‌টি গল্প তা জানা ছিল না,আমার বিশ্বাস সবার ভাল লাগ‌বে এবং পড়ার ম‌নো‌যোগ ও বাড়‌বে।

আত্তাহিয়াতু আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া। এই দোয়াটার পিছনের গল্পটা জানার পর সত্যি আমার হৃদয়টা অনেক কোমল হয়ে গেছে!

আত্তাহিয়াতু আসলে,আল্লাহর সাথে আমাদের মহানবী (সঃ) কথোপকথন একটা অংশ। যা আমাদের মহানবী (সঃ) ইসরাইল মিরাজ যাত্রার সময় হয়েছে মহান আল্লাহর সাথে! মহানবী (সঃ) যখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন শুরু করে তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেননি!

তাহলে কি বলেছিল...?

কারন,আমরা মহান আল্লাহকে বলতে পারব না,আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক! কারন,আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সকল শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল!

মহানবী (সঃ) আল্লাহকে উদেশ্য করে বলেছিলেন:-

▪আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া - তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা -তু

অর্থঃ- যাবতীয় সম্মান,যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য।

উওরে মহান আল্লাহ বলেন:-

▪আসসালা-মু'আলায়কা আইয়ুহান্নাবিয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া-বারাকাতুহু।

অর্থঃ- হে নবী,আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক।

এতে মহানবী (সঃ) বলেন:-

▪আসসালা-মু-আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিছছালেহীন।

অর্থ:- আল্লাহর সমৃদ্ধি শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে।

মহান আল্লাহ এবং মহানবী (সঃ) এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেন:-

▪আশহাদু আল লা-ইলাহা ইলল্লালাহু ওয়া আশহাদুআন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থ:- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,মুহাম্মাদ (সঃ) তার বান্দা ও রাসূল।
"সুবহানাল্লাহ"।

এখন আমি এবং আপনি আত্তাহিয়াতু গুরুত্ব এবং পিছনের ইতিহাস জানতে পারলাম,এবার একটু চিন্তা করুন তো,এই লেখাটি যদি আপনার মাধ্যমে অন্যান্য মানুষেরাও জানে তাহলে তারাও এই দোয়ার গুরুত্ব বুজতে পারবে!

12/11/2017

Thanks to all member. Please Share Your Experience.

13/05/2017
13/05/2017

আসমানী
জসীমউদ্দীন

আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।

একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।

মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।

ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।

আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়া আসমানীদের চলে।

পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর

29/04/2017

কেউ আমাকে মিথ্যে বলেছে,সে কারনে আমি হতাশ না।
বরং আমি এ কারনে হতাশ যে,এখন থেকে আমি আর
তাকে বিশ্বাস করতে পারবো না।
্রিডরিক

29/04/2017

যদি উপকার করতে না পার তাহলে ক্ষতি করো না, যদি ভালবাসতে না পার তাহলে প্রতারনা করো না, যদি মন দিতে না পার তাহলে মন ভেঙ্গনা।

14/11/2016

আমি হব.......কাজী নজরুল ইসলাম

আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম-বাগে
উঠব আমি ডাকি !

সুয্যি মামা জাগার আগে
উঠব আমি জেগে,
হয়নি সকাল, ঘুমো এখন,
মা বলবেন রেগে।

বলব আমি - আলসে মেয়ে
ঘুমিয়ে তুমি থাক,
হয়নি সকাল, তাই বলে কি
সকাল হবে না ক ?

আমরা যদি না জাগি মা
কেম্‌নে সকাল হবে ?

তোমার ছেলে উঠলে গো মা
রাত পোহাবে তবে। ।

09/09/2016
Amader Gram
09/09/2016

Amader Gram

25/05/2016

সংক্ষিপ্ত শব্দের পুর্নরুপ জানুন
-
১। Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.
২। HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.
৩। HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol
Secure.
৪। URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.
৫। IP এর পূর্ণরূপ— Internet Protocol
৬। VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resource Under
Seized.
৭। SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.
৮। 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
৯। GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile
Communication.
১০। CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access.
১১। UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunicati
on System.
১২। RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming
১৩। AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
১৪। SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File
১৫। AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Code,

26/04/2016

বন্ধুরা আসুন ২ জার্মানির বিচ্ছেদ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিই।
বার্লিন প্রাচীর ( জার্মান: Berliner Mauer) ইতিহাসে পরিচিত হয়ে আছে পশ্চিম বার্লিন ও পূর্ব বার্লিন -এর সীমানা প্রাচীর হিসেবে, যেটি পশ্চিম জার্মানি ও পূর্ব জার্মানি একটি সীমানা ছিল। ১৩ আগস্ট ,১৯৬১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২৮ বছর এটি পশ্চিম বার্লিন থেকে
পূর্ব বার্লিন এবং পূর্ব জার্মানি র অন্যান্য অংশকে পৃথক করে রেখেছিল। সরকারী হিসাব অনুযায়ী এ সময়কালে প্রাচীর টপকে পশ্চিম বার্লিন যাবার চেষ্টাকালে ১২৫ জন প্রাণ হারান। [১] বেসরকারী হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ২০০।
[২] সদ্য প্রকাশিত দলিলে দেখা যায় কমিউনিস্ট সরকার পক্ষত্যাগকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল। যদিও পূর্ব জার্মান সরকার সবসময় এটা অস্বীকার করে আসছিল। [৩]
কয়েক সপ্তাহের জনঅসন্তোষের পর ৯ নভেম্বর , ১৯৮৯ পূর্ব জার্মান সরকার পশ্চিম বার্লিনে যাবার অনুমতি দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। হাজার হাজার উৎসুক জনতা প্রাচীর টপকে পশ্চিম পাশে যেতে থাকে। পশ্চিম প্রান্তে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের স্বাগত জানানো হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্যুভেনির সংগ্রাহকরা প্রাচীরটির কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো প্রাচীর সরিয়ে নেয়া হয়। বার্লিন প্রাচীর খুলে দেয়ার ঘটনা দুই জার্মানির পুনঃএকত্রিকরণের পথ প্রশস্থ করে দেয়, যার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর।
পটভূমি
ফ্রিএড্রিকশাইনের কাছে
ওসফানহোফের দেয়ালের সংরক্ষিত অংশ, আগস্ট ২০০৬
১৯৪৫ সালে অধিকৃত জার্মানি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তির পর জার্মানি কার্যত চারটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চারটি অংশের শাসনভার ন্যস্ত ছিল মিত্রশক্তির চার পরাশক্তি:
যুক্তরাষ্ট্র , ফ্রান্স , ব্রিটেন এবং
সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর। বার্লিন শহরটি সোভিয়েত অংশের অন্তর্গত হলেও এটিও চার অংশে বিভক্ত করা হয়। দখলদার রাষ্ট্রগুলো উদ্দেশ্য জার্মানি শাসন হলেও শীতল যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত অংশ নিয়ে গঠন করা হয় ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি। এর বিপরীতে সোভিয়েত অধিকৃত অংশে গঠিত হয় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব জার্মানি।
দুই জার্মানির ভিন্নতা
সামাজিক বাজার ব্যবস্থায় পশ্চিম জার্মানি পরিণত হয় একটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে। ৫০ এর দশক থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০ বছর দেশটি বিপুল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। অন্যদিকে পূর্ব জার্মানির অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল সোভিয়েত অনুকরণে সাজানো সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। এর ফলে দেশটি সোভিয়েত ব্লকের অন্যান্য দেশের তুলনায় সম্পদশালী হয়ে উঠলেও, পশ্চিম জার্মানির চাইতে অনেক পিছিয়ে ছিল। পশ্চিম জার্মানির অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধায় আকৃষ্ট হয়ে অনেক পূর্ব জার্মান নাগরিক পশ্চিমাংশে চলে যেতে শুরু করে। বিপুল পরিমাণ অভিবাসন ঠেকাতে পূর্ব জার্মান সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বার্লিনের পশ্চিমাংশ ও পূর্বাংশের মাঝে একটি দেয়াল তুলে দেয়া হবে। [৪]
প্রস্তাবিত প্রাচীর
১লা এপ্রিল, ১৯৫২ পূর্ব জার্মান নেতৃবৃন্দ
স্ট্যালিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভয়েসলাভ মতোলোভ এর সাথে আলোচনায় বসেন। এর ফলে সিদ্ধান্ত হয় পশ্চিমাংশের নাগরিকরা বিশেষ পাশ সংগ্রহ করে পূর্বাংশে আসতে পারবেন। স্ট্যালিন দুই জার্মানির সীমান্তকে বিপদজনক উল্লেখ করে এর দুই স্তরের পাহাড়ার প্রস্তাব করেন, যার প্রথম স্তরে থাকবে পূর্ব জার্মান সীমান্তপ্রহরী এবং দ্বিতীয়াংশে থাকবে সোভিয়েত সেনা।
[৫] পূর্ব জার্মান প্রধানমন্ত্রী ওয়াল্টার উলবিকট এ ব্যাপারে ত্বরিত পদক্ষেপ নেন। প্রস্তাবটি সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী
নিকিতা ক্রুশ্চেভ অনুমোদন করেন। প্রথমে প্রস্তাব করা হয় দুই অংশের মাঝে পৃথককারী তারকাটার বেড়া দেয়া হবে।
নির্মাণ কাজের সূচনা , ১৯৬১
প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার দু'মাস পূর্বে ১৫ জুন , ১৯৬১ ওয়াল্টার উলবিকট এক সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন
Niemand hat die Absicht, eine Mauer zu errichten! (কারও একটি প্রাচীর খাড়া করার উদ্দেশ্য নেই) । প্রথমবারের মত 'প্রাচীর' শব্দটির ব্যবহার প্রাচীর ধারণার জন্ম দেয়। ১২ই আগস্ট, ১৯৬১ পূর্ব জার্মান নেতৃবৃন্দ ডলসি উদ্যান আলোচনায় মিলিত হন। ১৩ই আগস্ট, রবিবার প্রথম প্রহরে নির্মানকাজ শুরু হয়। পশ্চিম বার্লিনের চারপাশে ১৫৬ কিমি দীর্ঘ এ দেয়ালের ৪৩ কিমি সরাসরি দু'অংশকে পৃথক করে। নির্মানকাজের সময় কেউ পশ্চিমাংশে চলে যেতে এই আশঙ্কায় পূর্ব জার্মান সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী দেয়ালের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। নির্মাণকাজে কোন সোভিয়েত সৈন্যের অংশগ্রহণ ছিল না। পশ্চিম বার্লিনের কোন অংশ যেন পূর্বাংশের মধ্যে চলে না আসে, সেজন্য পূর্ব বার্লিনের খানিকটা ভেতরে প্রাচীর নির্মিত হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানির মাঝে প্রকৃত সীমারেখাও কাটাতারের বেড়া, দেয়াল , মাইনক্ষেত্র এবং অন্যান্য স্থাপনা দিয়ে পৃথক করে দেয়া হয় প্রাচীরের কারণে বহু পরিবারের সদস্যরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, পশ্চিম বার্লিন পরিণত হয় পূর্ব জার্মানীর একটি ছিটমহলে। মেয়র উইলি ব্রান্টের নেতৃত্বে পশ্চিম বার্লিনবাসী যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
বার্লিন দেয়াল পরিদর্শনে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি
২৬ জুন ১৯৬৩
২৫শে জুলাই, ১৯৬১ মার্কিন প্রেসিডেন্ট
জন এফ কেনেডি জানান, যুক্তরাষ্ট্র কেবল পশ্চিম জার্মানি এবং পশ্চিম বার্লিনের নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। পূর্ব বার্লিনের ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কেবল কূটনৈতিক পর্যায়ে মৃদু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। এর কয়েকমাস পর যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে প্রাচীর নির্মাণের অধিকারকে আন্তর্জাতিক অধিকারের আওতাভুক্ত বলে স্বীকার করে নেয়।
পূর্ব জার্মান সরকার একে পশ্চিমা আক্রমণ এবং অ্যান্টি-ফ্যাসিবাদী প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর ("antifaschistischer Schutzwall") হিসেবে উল্লেখ করে। [২] কিন্তু এ ধারণার সত্যতা নিয়ে পূর্ব জার্মানিতেও বিপুল সন্দেহ ছিল। প্রাচীর নির্মাণের ফলে পূর্ব বার্লিনবাসীদের অবর্ননীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এ প্রাচীরের মূল উদ্দেশ্য পূর্ব জার্মানি থেকে শরণার্থীদের স্রোতে বাধা প্রদান, পাশাপাশি আরও কয়েকটা ব্যাপার গুরুত্বপূর্ন ছিল। সোভিয়েত দাবী অনুযায়ী এই প্রাচীরের মাধ্যমে পূর্ব জার্মানি এবং ওয়ারশ ব্লক ভুক্ত রাষ্ট্রগুলোতে পশ্চিমা গুপ্তচরদের অনুপ্রবেশ রোধ করা হয়। শীতল যুদ্ধের পটভূমিতে এই প্রাচীর অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। পূর্ব জার্মানি এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিম জার্মানিকে একটি পুতুল রাষ্ট্র হিসেবেই গণ্য করতো। পুঁজিবাদী বিশ্ব, ইউরো ডলার , এবং পশ্চিম জার্মানিতে মেধাপাচার রোধের বিরুদ্ধে এই প্রাচীরের ছিল শক্তিশালী ভূমিকা।
প্রাচীরের কাঠামো এবং পরিবর্তনসমূহ
১৫৫ কিমি প্রাচীরটি গড়ে তোলা হয় পূর্ব জার্মানীর ১০০ গজ ভেতরে। এই ১০০ গজের মধ্যে থাকা বাড়িঘর এবং স্থাপনা ধ্বংস করে একটি নোম্যান্সল্যান্ড তৈরি করা হয়। এখানকার অধিবাসীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। ১০০ গজের এই নিরপেক্ষ এলাকাটি পরিচিত ছিল মৃত্যু ফাঁদ হিসেবে। পায়ের চিহ্ন সহজে চিহ্নিত করার জন্য এ অংশটি নুড়ি এবং বালু দিয়ে ভরে দেয়া হয়। স্থাপন করা হয় স্বয়ংক্রিয় ফাঁদ, যেগুলো কারও পায়ের স্পর্শে সচল হয়ে উঠবে। স্পষ্ট দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকায় প্রহরীদের গুলি চালানোর জন্য সুবিধাজনক এলাকা হিসেবে এ অংশটি আরও গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে।
প্রাচীরটিতে যেসব পরিবর্তন আনা হয় সেগুলোকে মোটামুটি ৪ টি ভাগে ভাগ করা যায় :
1. কাঁটাতারের প্রাথমিক বেড়া (১৯৬১-৬২)
2. কাঁটাতারের উন্নত বেড়া (১৯৬২-৬৫)
3. কনক্রিটের দেয়াল (১৯৬৫-৭৫)
4. গ্রেন্সমাওয়া ৭৫ (সীমানা প্রাচীর ৭৫) (১৯৭৫-৮৯)
চতুর্থ পর্যায়ের দেয়ালটি ছিল সবচেয়ে আধুনিক। এর নামকরণ করা হয় "ইস্টুটসোয়ান্ডঅ্যালিমেন্ট উল ১২.১১" (সাপোর্ট প্যানেল ইউএল ১২:১১)। ১৯৭৫ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, এবং ১৯৮০ সালে শেষ হয়। [৬][৭] এতে ৪৫০০০ পৃথক কনক্রিট স্ল্যাব ছিল। প্রতিটি স্ল্যাবের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট। এতে খরচ হয় ১৬১৫৫০০০ পূর্ব জার্মান মার্ক।
[৮] এটির পাশে স্থাপন করা হয় ১১৬টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, এবং ২০টি বাংকার।
[৯] বর্তমানে অবশিষ্ট থাকা দেয়ালের অংশবিশেষ চতুর্থ পর্যায়ের দেয়ালের স্মারক।
প্রাচীর দু'প্রান্তের মধ্যে পাড়াপাড়ের অফিসিয়াল চেকপয়েন্টসমূহ
বিখ্যাত আপনি বিদায় নিচ্ছেন লেখা সম্বলিত ফলক
পূর্ব এবং পশ্চিম বার্লিনের মাঝে যাতায়াতের জন্য আটটি আনুষ্ঠানিক পথ রাখা হয়। পশ্চিম বার্লিনবাসী,পশ্চিম জার্মান নাগরিক, পশ্চিমা বিশ্বের নাগরিক, অন্যান্য দেশের নাগরিক, অনুমতিপ্রাপ্ত পূর্ব বার্লিনবাসীরা এ পথগুলো ব্যবহার করতেন পশ্চিম বার্লিন এবং একে ঘিরে থাকা পূর্ব জার্মানির অন্য অংশগুলোর মাঝেও কয়েকটি যাতায়াতের পথ ছিল। পশ্চিম বার্লিনবাসীরা পূর্ব জার্মানি, পশ্চিম জার্মানি এবং অন্যান্য দেশসমূহে ( ডেনমার্ক, চেকোস্লোভাকিয়া ) যাওয়ার জন্য, এবং পূর্ব জার্মানদের পশ্চিম বার্লিনে প্রবেশের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হতো। ১৯৭২ সালের চুক্তি অনুযায়ী এ পথগুলো দিয়ে পশ্চিম বার্লিনের বর্জ্ পূর্ব জার্মানির ভাগাড়গুলোতে ফেলার অনুমতি দেয়া হয়।
পূর্ব জার্মানির অভ্যন্তরে স্টানস্টোইন ছিটমহলের সাথে পশ্চিম বার্লিনের যোগাযোগের জন্যও এ পথগুলো ব্যবহার করা হত। ৪টি প্রধান শক্তির চুক্তির অংশ হিসেবে প্রাচীরের ইতিহাসে অধিকাংশ সময় জুড়ে মিত্রপক্ষের এবং সেনা, কর্মকর্তা এবং কূটনীতিবিদগণ বার্লিনের উভয় অংশের মধ্যে বেশ সহজে চলাচল করতে পারতেন। পশ্চিম বার্লিনবাসীদের ক্ষেত্রে বেশ কঠোরতা অবলম্বন করা হয়। ২৬শে আগস্ট, ১৯৬১ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ,
১৯৬৩ পর্যন্ত পশ্চিম বার্লিনবাসীদের জন্য সবগুলো পথ বন্ধ ছিল। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে চুক্তির মাধ্যমে এটি শিথিল করা হয়। পশ্চিম জার্মানির সাথে পশ্চিম জার্মানির সড়ক যোগাযোগের চারটি পথ ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বার্লিনের দক্ষিণ পশ্চিমের বার্লিন-হেমস্টেড আটোবান । এটি বার্লিনের
চেকপয়েন্ট ব্রাভোর মধ্য দিয়ে পূর্ব জার্মানির হেমস্টেড শহরের সাথে সংযুক্ত ছিল। পশ্চিম বার্লিন প্রবেশের জন্য ৪টি রেলপথ ছিল। নৌকায় করে খাল অতিক্রম করেও প্রবেশ করা যেত।
বিদেশী নাগরিকগণ বেশ সহজে দুই বার্লিনের মধ্যে যাতায়াত করতে পারতেন। পূর্ব বার্লিনবাসীদের জন্য প্রক্রিয়াটা ছিল অনেক কঠিন। অবশ্য পেনশনভোগীরা তেমন কোন বাধার সম্মুখীন হতেন না। মোটরযানের নিচের অংশ আঁকড়ে ধরে কেউ পালিয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য পূর্ব বার্লিন ত্যাগকারী মোটরযানগুলো নিচে আয়না দিয়ে পরীক্ষা করা হত। প্রাচীরের
পোস্টডাম অংশে মার্কিন পাইলট গ্যারি পাওয়ারসের সাথে সোভিয়েত গুপ্তচর
রুডলফ আবেলের বিনিময় হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিল। পশ্চিম বার্লিনবাসি
ফ্রেডরিখস্ট্রস স্টেশন এবং চেকপয়েন্ট চার্লি দিয়ে পূর্বাংশে যাতায়াত করতে পারতো। প্রাচীর নির্মাণের ফলে বার্লিনের পরিবহন ব্যবস্থা (এস-বান এবং ইউ-বান) দু'টি অংশে ভাগ হয়ে পড়ে। [৭] অনেকগুলো স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিমাংশের তিনটি রেলপথ পূর্বাংশের স্টেশনের মধ্য দিয়া না থেমে অতিক্রম করতো। এগুলোকে ভূতুড়ে স্টেশন
(গেস্টারবানহোফ) বলা হতো।
পলায়ন প্রচেষ্টা
এ প্রাচীর ছিন্ন করে ফেলুন! বার্লিন প্রাচীরের সামনে দাঁড়িয়ে মিখাইল গর্বাচেভ কে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের বিখ্যাত ভাষণ
বার্লিন প্রাচীরের ২৮ বছর ইতিহাসে প্রাচীর অতিক্রম করে পশ্চিম বার্লিনে যাবার প্রায় ৫০০০টি ঘটনা ঘটে। প্রাচীর অতিক্রমের ঘটনায় ঠিক কতজন মৃত্যুবরণ করেছিল তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
চেকপয়েন্ট চার্লি মিউজিয়ামের ডিরেক্টর আলেকজান্ড্রা হিলডেব্রান্ডের মতে মৃতের সংখ্যা ২০০টি। তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর কনটেম্পরারি হিস্টরিকাল রিসার্চ (জেটজেটএফ) এর মতে মৃতের সংখ্যা ১৩৩টি। পূর্ব জার্মান কর্তৃপক্ষ প্রাচীর অতিক্রমের চেষ্টাকারী যে কাউকে দেখামাত্র গুলি করার জন্য সীমান্ত প্রহরীদের নির্দেশ প্রদান করে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রেও এ আদেশ পালনে কোন ধরণের শৈথিল্যের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ হুশিয়ার করে দেয়।
প্রথম দিকে কাটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে পড়ে বা দেয়ালের পাশের কোন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে লাফিয়ে পড়ে সীমান্ত পাড়ি দেবার ঘটনা ঘটে। তবে সময়ের সাথে সাথে উন্নততর প্রাচীর নির্মিত হলে এভাবে পক্ষত্যাগ করা সম্ভবপর হয়নি।
১৫ই আগস্ট , ১৯৬১ কোনার্ড শুম্যান নামে এক পূর্ব জার্মান সীমান্ত প্রহরী সর্বপ্রথম কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে পশ্চিমাংশে চলে আসেন। পরবর্তীতে মাটির নিচে টানেল খুঁড়ে, ঝোড়ো বাতাসের সাহায্য নিয়ে লাফিয়ে পড়ে, তার বেয়ে, বেলুনে চেপে, স্পোর্টসকার চালিয়ে চেকপোস্টের দরজা ভেঙ্গে প্রাচীর অতিক্রমের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা এড়াতে চেকপোস্ট ধাতব বার স্থাপন করা হয়, যাতে মোটরগাড়ি এতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এরপরও চেষ্টা থেমে থাকেনি। ৪ জন আরোহী বিশেষভাবে তৈরি স্পোর্টকার চালিয়ে বারের নিচ দিয়ে প্রাচীরের দ্বার ভেঙ্গে পশ্চিম পাশে যাবার ঘটনা ঘটে। এটি প্রতিরোধের জন্য পরবর্তীতে সীমান্তচৌকিগুলোর কাছাকাছি রাস্তা আঁকাবাকা করে দেয়া হয়।
অন্য এক ঘটনায় থমাস ক্রুগার নামে একজন পক্ষত্যাগকারী হালকা প্রশিক্ষণ বিমান চালিয়ে পশ্চিম পাশে অবতরণ করেন। খালি বিমানটির গায়ে নানা বিদ্রুপাত্মক কথা লিখে, সড়কপথে পূর্বাংশে ফেরত পাঠানো হয়।
প্রাচীর অতিক্রমের চেষ্টায় গুলিতে আহত হয়ে কেউ দুই বার্লিনের মাঝে নিরপেক্ষ অংশে পড়ে থাকলেও পশ্চিম জার্মানদের পক্ষে তাকে উদ্ধার করা সম্ভবপর হতো না। নিরপেক্ষ অংশের সাথে পশ্চিম বার্লিনের কেবল কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও নিরপেক্ষ অংশটি পূর্ব জার্মানির অংশ ছিল। ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা চললে পূর্ব জার্মান সীমানা প্রহরীদের কাছ থেকে গুলিবর্ষণের আশংকা থাকতো। এরকম ঘটনাগুলোর প্রথমটি ঘটে ১৯৬২ সালের ১৭ই আগস্ট। পিটার ফ্লেচার নামে ১৮ বছরের এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ সময় পশ্চিমাংশে পড়ে থাকেন। পশ্চিমা মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই রক্তক্ষরণের কারণে ধীরে ধীরে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ।
পতন, ১৯৮৯
প্রাচীরের পূর্বাংশের দেয়ালচিত্রে লেখা একটি জনপ্রিয় স্লোগান নয় কোন প্রাচীর, আর নয় যুদ্ধ , একতাবদ্ধ পৃথিবী( No more wars. No more walls. A united world])
২৩শে আগস্ট, ১৯৮৯ হাঙ্গেরি সরকার
অস্ট্রিয়ার সাথে সীমান্তে কড়াকড়ি প্রত্যাহার করে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০০০ জন পূর্ব জার্মান পর্যটক পশ্চিম জার্মানি যাবার জন্য হাঙ্গেরি হয়ে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করে। অক্টোবর মাসে পূর্ব জার্মানিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৮ই অক্টোবর দীর্ঘদিন পূর্ব জার্মানি শাসনকারী এরিক হোনেকার পদত্যাগ করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন এগোন ক্রেনজ । এর আগে ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি মাসে হোনেকার আরও এক শতাব্দী প্রাচীর টিকে থাকার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া বিক্ষোভের প্রথমদিকে স্লোগান ছিল আমরা বাইরে (পশ্চিম জার্মানি) যেতে চাই (Wir wollen raus!) । এটির বদলে নতুন স্লোগান শুরু হয়
আমরা এখানেই থাকবো (Wir bleiben hier) , যেটি জার্মান ঐক্যের পক্ষে আন্দোলনের ইংঙ্গিত দেয। ৪ঠা নভেম্বরের পূর্ব বার্লিনের
অ্যালেক্সসান্ড্রাপ্লাটসে ১০ লাখ বিক্ষোভকারী সমবেত হয়।
ক্রেনজ সরকারের সহনশীল নীতি এবং কমিউনিস্ট চেকোস্লাভ সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব জার্মান শরনার্থীরা চেকোস্লাভাকিয়া হয়ে পশ্চিম জার্মানি যাওয়ার সুযোগ পায়। ক্রমবর্ধমান শরনার্থীর চাপ থেকাতে ৯ই নভেম্বর, ১৯৮৯ ক্রেনজের নেতৃত্বে পার্টি পলিটব্যুরো সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানীর মধ্যে সীমান্ত চৌকি দিয়ে সরাসরি শরনার্থীদের যাবার অনুমতি প্রদান করা হবে। পূর্ব জার্মান সীমান্ত রক্ষীদেরকে সিদ্ধান্তটি জানানোর জন্য এক দিন সময় নিয়ে ১০ই নভেম্বর থেকে এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পূর্ব জার্মান প্রচারমন্ত্রী গুন্টার সাবোয়স্কিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। ৯ই নভেম্বরের পূর্বে সাবোয়স্কি ছুটিতে থাকায়, এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। একই দিনে একটি সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে তাকে ঘোষণাপত্রটি ধরিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু কবে থেকে এটি কার্যকর করা হবে, সে বিষয়ে কোন দিকনির্দেশনা ছিল না। সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণাটি দেয়ার পর এটি কবে কার্যকর হবে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান
যতদূর জানি, এই মুহুর্ত থেকেই কার্যকর হবে ।
ব্লান্ডেনবার্গ গেইটের কাছে দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে ১৭ ফেব্রুয়ারি
১৯৯০
পূর্ব জার্মান টেলিভিশনে এ ঘোষণা শোনার সাথে সাথে হাজার হাজার পূর্ব বার্লিন বাসী প্রাচীরের কাছে সমবেত হয়ে পশ্চিম বার্লিনে যেতে দেবার দাবী জানাতে থাকে। আগে থেকে কোন নির্দেশ না থাকায় সীমান্ত রক্ষীরা জনস্রোত দেখে হতোদ্যম হয়ে পড়ে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে টেলিফোনে যোগাযোগ করে করণীয় জানতে চাইলে, শক্তি প্রয়োগের মত সিদ্ধান্ত দিতে সবাই অপারগতা প্রকাশ করে। এ অবস্থায় গণদাবীর মুখে সীমান্তরক্ষীরা দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। অপর পাশে হাজার হাজার পশ্চিম বার্লিনবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের স্বাগত জানায়। এভাবে ৯ই নভেম্বর, ১৯৮৯ অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রাচীরের পতন হয়।
পূর্ব জার্মান সরকার ঘোষণা করে প্রাচীরে আরও নতুন দশটি চলাচলের পথ খুলে দেয়া হবে। ১৯৯০ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত পুরনো বার্লিনের এসব পথ খুলে দেয়া হতে থাকে। বুলডোজার দিয়ে দেয়াল ধ্বংস করে নতুন প্রবেশদ্বার তৈরির এসব ভিডিও চিত্রকে অনেক দেশের মিডিয়ায় এখনও "প্রাচীর ধ্বংস" করা হিসেবে ভুলভাবে অভিহিত করা হয়। ১৯৮৯ সালের ২২শে ডিসেম্বর খুলে দেয়া হয় বিখ্যাত "ব্রান্ডেনবুর্গ গেইট"।
সে বছর ২৩শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় দুই বার্লিনের মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচল। ৯ই নভেম্বরের পর পূর্ব জার্মান কর্তৃপক্ষ দেয়ালের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামতের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু স্যুভেনির সংগ্রাহকদের উপর্যুপরি ক্ষতিসাধনে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ হাত গুটিয়ে নেয়। ১৩ই জুন, ১৯৯০ থেকে পূর্ব জার্মান সামরিক ইউনিটগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়াল ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে এবং ১৯৯১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এটা চলতে থাকে। ১লা জুলাই, ১৯৯০ পূর্ব জার্মানিতে পশ্চিম জার্মানির মুদ্রা চালু হয়।
বর্তমানে কয়েকটি জায়গায় প্রাচীরটির কিছু অংশটি স্মারক হিসেবে সংরক্ষিত আছে। বার্লিন প্রাচীরের পতন ৩রা নভেম্বর, ১৯৯০ এ জার্মান পুনঃএকত্রীকরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
উৎসব
"Irgendwann fällt jede Mauer"
- "কালের আবর্তে সব প্রাচীরেরই পতন হয়"
২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৮৯ লিওনিদ বার্নেস্টাইন বার্লিন দেয়ালের কাছে প্রাচীরের পতন উপলক্ষে কনসার্ট আয়োজন করেন। বেটোফেনের ৯ম
সিম্ফনির (ওড টু জয়) কথায় পরিবর্তন এনে "জয়" (Freude) শব্দটির বদলে "স্বাধীনতা" (Freiheit) শব্দটি ব্যবহার করে গাওয়া হয়।
২১শে জুলাই, ১৯৯০ বার্লিনে আরেকটি কনসার্টে রজার ওয়াটার্স পিংক ফ্লয়েড -এর অ্যালবাম দি ওয়াল পরিবেশন করেন।
স্করপিয়নস , ব্রায়ান অ্যাডামস , শন ও'কনোর, থমাস ডলবি, জনি মিশেল,
মারিয়ান ফেইথফুল, ফন মরিসন এই কনসার্ট অংশগ্রহণ করেন। বার্লিন প্রাচীরের উপরে দাঁড়িয়ে ডেভিড হ্যাসেলহফের "লুকিং ফর ফ্রিডম" গানটি সেসময় জার্মানিতে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
পরবর্তী প্রভাব
প্রাচীরটির সামান্য অংশই বর্তমানে অবশিষ্ট আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটির প্রথমটি "পোটসডামা প্লাটসের" কাছে। এটির দৈর্ঘ্য ৮০ মিটার।
ওবাবামব্রুকার নিকট স্প্রি নদীর তীরবর্তী অংশটি ইস্ট সাইড গ্যালারি নামে ডাকা হয়। তৃতীয় অংশটি আছে উত্তর দিকে বেনায়ার স্ত্রাসের কাছে। ১৯৯৯ সালে এটিকে বার্লিন প্রাচীরের স্মারক হিসেবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদের মধ্যে কোনটিই মূল বার্লিন প্রাচীরের অবিকৃত অংশ নয়। স্যুভেনির সংগ্রাহকরা প্রত্যেকটি অংশে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। দেয়ালের পূর্বাংশে বর্তমানে দেয়াল চিত্র আঁকা আছে। প্রাচীরের পতনের পূর্বে কেবল পশ্চিমাংশে দেয়ালচিত্র ছিল পূর্ব জার্মান প্রহরীদের প্রহরায় থাকা পূর্বাংশ কোন দেয়ালচিত্র ছিল না।
জাদুঘর
প্রাচীর পতনের ১৫ বছর পর চেকপয়েন্ট চার্লির কাছে একটি বেসরকারী উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হয়। প্রাচীর অতিক্রম করতে গিয়ে মৃতদের স্মরণে ১০০০ এর বেশি ক্রুশ এবং দেয়ালের অংশবিশেষ দিয়ে গড়া অপর একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয় ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
সাংস্কৃতিক বিভেদ
প্রাচীর পতনের পর দেড়যুগ পেরিয়ে গেলেও বার্লিনের দু'অংশের লোকজনের মনস্তাত্ত্বিক পার্থক্য এখনও ধরা পড়ে। জার্মান ভাষায় একে যথাক্রমে "Ossis" এবং "Wessis" শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আরও বলা হয়ে থাকে, মানসিক প্রাচীর এখনও রয়েগেছে "Mauer im Kopf" ("মাথার মধ্যে প্রাচীর")। ২০০৪ সালের সেপ্টম্বর মাসে এক জরিপে দেখা যায় শতকরা ২৫ ভাগ পশ্চিম বার্লিনবাসী এবং ১২ ভাগ পূর্ব জার্মানবাসী প্রাচীরের অস্তিত্ব কামনা করেন। এ সংখ্যাটি সত্যি আশঙ্কাজনক।
গ্যালারি
ডিসেম্বর ১৯৯০, বার্লিন দেয়ালের অধিকাংশ অংশ খুব দ্রুত উৎসুক জনতার হাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
প্রাচীর অতিক্রম করতে গিয়ে মৃতদের স্মরণে ১০০০ এর বেশি ক্রুশ এবং দেয়ালের অংশবিশেষ দিয়ে গড়া স্মৃতিসৌধ ।স্মৃতিসৌধটি সরিয়ে ফেলার আগে ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে ১০ মাস এটি টিকে ছিল।
বার্লিন প্রাচীরের রয়ে যাওয়া অংশগুলো দেয়াল চিত্র অংকনকারীদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।এখানে একটি চিত্রে সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ এবং পূর্ব জার্মান নেতা এরিক হোনেকারকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
স্যাটেলাইট থেকে নেয়া বার্লিনের ছবি, বার্লিন প্রাচীরের অবস্থান হলুদ রং দিয়ে নির্দেশ করা হয়েছে।
Callected

18/04/2016

বাংলা সা‌হি‌ত্যিক‌দের উপা‌ধি
* জসীম উদ্দীন => পল্লী ক‌বি।
* ফররুখ আহমদ => মুস‌লিম রে‌নেসাঁর ক‌বি।
* গো‌বিন্দ চন্দ্র দাস => স্বভাব ক‌বি।
* মুকুন্দ দাস => চারণ ক‌বি।
* হাসান রাজা => মরমী ক‌বি।
* সমর সেন => আধু‌নিক যু‌গের নাগ‌রিক ক‌বি।
* শামসুর রহমান => নাগ‌রিক ক‌বি।
* সুকান্ত ভট্টাচার্য => কি‌শোর ক‌বি।
* বিষ্ণু দে => মার্কসবাদী ক‌বি।
* সুধীন্দ্রনাথ দত্ত => ক্ল্যা‌সিক ক‌বি।
* মোজা‌ম্মেল হক => শা‌ন্তিপু‌রের ক‌বি।
* সৈয়দ ইসমাইল হো‌সেন সিরাজী => স্বপ্নাতুর ক‌বি।
* সুভাষ মু‌খোপাধ্যায় => পদা‌তিক ক‌বি।
* যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত => দুঃখবাদী ক‌বি।

(Callected)

18/04/2016

জননী (উপন্যাস) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
জননী(উপন্যাস) শওকত ওসমান

রজনী(উপন্যাস) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রজনী(উপন্যাস) হুমায়ূন আহামদ

কৃষ্ণ কান্তের উইল (উপন্যাস) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বৈকণ্ঠের উইল (উপন্যাস)শরৎচন্দ্বঙ্কিমচন্দ্র চট্টো

কৃষ্ণকুমারী(নাটক) মাইকেল মধুসূধণ দত্ত
বসন্তকুমারী (নাটক) নমীর মোশাররফ হোসে
মধুমালা সলামকাজী নজরুল ই (নাটক)
মধুমালা (নাটক) জসিম উদ্দিন

#সঞ্চিতা কাব্যকাজী নজরুল ইসলাম
#সঞ্চিয়িতা (কাব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকু

কবর(নাটক) মুনীর চৌধরী
কবর(কবিতা) জসিম উদ্দিন
মানচিত্র (কাব্য)-----------আলাউদ্দিন আল আজাদ
মানচিত্র (নাটক)----------আনিস চৌধুরী

মরুভাস্কর (কাব্য) কাজী নজরুল ইসলাম
মরুভাস্কর(প্রবন্ধ) মোঃ ওয়াজেদ আলী

রাজবন্দীর জবানবন্দী (প্রবন্ধ) কাজী নজরুল ইসলাম
রাজবন্দীর রোজনামচা (প্রবন্ধ) শহীদুল্লা কায়সার

দেনাপাওনা (উপন্যাস) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
দেনাপাওনা (ছোটগল্প) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

*জীবন ক্ষুধা (উপন্যাস) আবুল মনসুর আহমদ
*মৃত্যুক্ষুধা (উপন্যাস) কাজী নজরুল ইসলাম

নীললোহিত (গল্প) প্রমথ চৌধুরী
নীললোহিত (ছদ্মনাম) সুনীলগঙ্গোপাধ্যায়
নীল দংশন(উপন্যাস) সৈয়দ শামসুল হক
নীল দর্পন(নাটক) দীনবন্ধু মিত্র
জমিদার দর্পন(নাটক) মীর মোশাররফ হোসেন

শেষের কবিতা (উপন্যাস) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ সপ্তক(কাব্য) ররবীন্দ্রনাথ ঠাকু
শেষ লেখা (কাব্য) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ কথা (ছোটগল্প) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ রক্ষা (প্রহসন ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ প্রশ্ন (উপন্যাস) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শেষের পরিচয় (উপন্যাস) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শেষ বিকালের মেয়ে (উপন্যাস) জহির রায়হান

রক্তকরবী ( নাটক ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রক্তাক্ত প্রান্তর (নাটক) মুনীর চৌধুরী
রক্তরাগ (কাব্য) গোলম মোস্তফা

সংস্কৃতির সংকট (প্রবন্ধ) বদরুদ্দিন উমর
সভ্যতার সংকট(প্রবন্ধ) ররবীন্দ্রনাথ ঠাকু

পঞ্চতন্ত্র(গল্পগ্রন্থ) সৈয়দমুজতবা আলী
পঞ্চনারী (কাব) জসীম উদ্দীন

কাশবনের কন্যা (উপনাস) শামসুদ্দিন আবুল কালাম
কুচবরন কন্যা (কাব্য) বন্দে আলী মিয়া
ধান কন্যা (গল্প) আলাউদ্দিন আল আজাদ

পদ্মগোখরা (গল্প) কাজী নজরুল ইসলাম
পদ্মা নদীর মাঝি (উপন্যাস) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
পদ্মা মেঘনা যমুনা (উপন্যাস) আবুজাফর শামসুদ্দীন
পদ্মাবতী (কাব্য) আলাওল
পদ্মাবতী (নাটক) মাইকেল মধুসূদন
পদ্মাবতী (সমালোচনা মূলক গ্রন্থ) সৈয়দ আলী আহসান
পদ্মার পলিদ্বীপ আবু ইসহাক
পদ্মপুরান মানিক দত্ত
শূন্যপুরান রামাই পণ্ডিত

পথের পাঁচালী(উপন্যাস) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পথের দাবী(উপন্যাস) শরৎচন্দ্রচট্টোপাধ্যায়

ছায়ানট (কাব্য) কাজী নজরুল ইসলাম
ছায়াময়ী (কাব্য) হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

মরুশিখা (কাব্য) যতীন্দ্রনা্থ সেনগুপ্ত
মরুমায়া (কাব্য) যতীন্দ্রনা্থ সেনগুপ্ত
মরুচন্দ্রিকা (কাব্য) কাজী কাদের নেওয়াজ
মরুকুসুম ( উপন্যাস ) শাহাদত হোসেন
মরুদুলাল (গদ্য গ্রন্থ) গোলম মোস্তফা

ভবিষ্যতের বাঙালি (প্রবন্ধ) এস ওয়াজেদ আলী
আত্মঘাতী বাঙালি ( প্রবন্ধ ) নীরদচন্দ্র চৌধুরী

বাঙালির ইতিহাস ( প্রবন্ধ ) নীহাররঞ্জন রায়
সাবাস বাঙালি (প্রবন্ধ) অমৃতলাল বসু

স্পেনবিজয় (মহাকাব্য) সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
শ্রীকৃষ্ণ বিজয় (নাটক) মালাধর বসু
গোঁরাক্ষ বিজয় (কাব্য) শেখ ফয়জুল্লাহ
রসুল বিজয় (কাব্য) সরদার জয়েন উদ্দিন
রসুল বিজয় (কাব্য) সৈয়দ সুলতান
ধর্ম বিজয় (নাটক) রামনারায়ণ তর্করত্ন
সিন্ধু বিজয় (নাটক) আকবর উদ্দিন

বন্দীর বন্দনা (কাব্য) এস ওয়াজেদ আলী
বন্দীর শিবির থেকে (কাব্য) শামসুর রাহমান
বন্দীর বাঁশি বেনজীর আহমদ

খোয়াবনামা (উপন্যাস) আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
জঙ্গনামা(কাব্য) দৌলত উজির বাহারাম খান
জঙ্গনামা(কাব্য) ফকীর গরীবুল্লাহ
নূরনামা (কাব্য) আব্দুল হাকিম
সফরনামা (প্রবন্ধ) আবুল ফজল
সিকান্দারনামা (কাব্য) আলাওল

বিধবস্ত নীলিমা (কাব্য) শামসুর রাহমান
অরণ্যে নীলিমা (উপন্যাস) আহসান হাবিব

রত্নাবতী (কাব্য) মীর মোশাররফ হোসেন
রত্নদীপ( উপন্যাস) প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়
রত্নবলী (নাটক) রামনারায়ণ তর্করত্ন

গীতানঞ্জলি (কাব্য) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতালি (কাব্য) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতবিতান(কাব্য) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতিগুচছ (কাব্য) সুকান্ত ভট্টাচার্য

সাম্য (প্রবন্ধ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সাম্যবাদী (কাব্য) কাজী নজরুল ইসলাম
সাম্যবাদী ( পত্রিকা ) খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন

বেদান্ত গ্রন্থ রাজা রামমোহন রায়
বেদান্ত সার রাজা রামমোহন রায়
বেদান্ত চন্দ্রিকা মৃতুৎঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার

পদ্মা নদীর মাঝি----------মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

পদ্মা মেঘনা যমুনা -------------মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

পদ্মার পলি দ্বীপ-----আবু ইসহাক

পদ্মার পাড় --------------জসীমউদ্দিন

পদ্ম গোখরা(গল্প)--------- কাজী নজরুল ইসলাম
পদ্মাবতী (কাব্য)-----------------আলাওন্দি
পদ্মাবতী (নাটক)----------মাইকাল মদুসুদন দও
পদ্মাবলি (সমালোচনা)--------সৈয়দ আলী আহসান
পদ্মপুরান-----------মানিক
পদ্মরাগ (উপন্যাস)-------------বেগম রকেয়া

পালামি( ভ্রমন কাহিনী)----------সঞ্জিব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

একাওরের কথামালা-------------------------বেগম নুরজাহান
একাওরের দিনগুলি--------------------------জাহানারা ইমাম
একাওরের ডায়রি(স্মৃতিকথা)-----------------বেগম সুফিয়া কামাল
একাওরের নিশান--------------------------রাবেয়া খাতুন
একাওরের বর্ণমালা----------------------- এম আর আক্তার মুকুল
একাওরের বিজয়গাথা--------------------- মেজর রফিকুল ইসলাম
একাওরের রণাঙ্গন--------------------- সামসুল হুদা চৌধুরী
একাওরের যীশু---------------------------শাহরিয়ার কবির
একাওরের ঢাকা-------------------- শেলীণা শেলীণা হোসেন

(Callected)

01/04/2016

আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরি খেলা।

নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই-- লুকোচুরি খেলা॥

আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে-- উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে;

আজ কিসের তরে নদীর চরে চখা-চখীর মেলা॥

ওরে যাব না আজ ঘরে রে ভাই, যাব না আজ ঘরে।

ওরে, আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেব রে লুট ক'রে॥

যেন জোয়ার-জলে ফেনার রাশি বাতাসে আজ ছুটছে হাসি,

আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি কাটবে সকল বেলা॥
রাগ: বিভাস-বাউল
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1315
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1908
স্বরলিপিকার: ভীমরাও শাস্ত্রী

30/03/2016

প্রায় একই নামের বাংলা সাহিত্যকর্মসমূহ
শেষ লেখা (কাব্য) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ প্রশ্ন (উপন্যাস)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শেষের পরিচয় (উপন্যাস)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শেষ বিকেলের মেয়ে (উপন্যাস)- জহির রায়হান
শেষ পাণ্ডুলিপি (উপন্যাস) – বুদ্ধদেব বসু
শেষের কবিতা (উপন্যাস) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ সপ্তক – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেনাপাওনা( ছোটগল্প) : রবীন্দ্রনাধ ঠাকুর।
দেনাপাওনা(উপন্যাস): শরৎচন্দ্র
অন্নদামঙ্গল(কাব্য)- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
সারদামঙ্গল(কাব্য)- বিহারীলাল চক্রবর্তী
মনসামঙ্গল(কাব্য)- কানাহারি দত্ত
কালিকামঙ্গল(কাব্য)- রাম প্রসাদ সেন
গীতাঞ্জলি (কাব্য)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতবিতান (সঙ্গীত গ্রন্থ)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতালি ( সঙ্গীত গ্রন্থ)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতিগুচ্ছ (কাব্য)- সুকান্ত ভট্টাচার্য
মানচিত্র(কবিতা): অালাউদ্দিন অাল অাজাদ।
মানচিত্র(নাটক): অানিস চৌধুরী।
মৃত্যুক্ষুধা(উপন্যাস): নজরুল
জীবনক্ষুধা (উপন্যাস): অাবুল মনসুর অাহমেদ
জননী(উপন্যাস): মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জননী(উপন্যাস): শওকত ওসমান।
অভিযাত্রিক(কাব্য): সুফিয়া কামাল
অভিযাত্রিক(উপন্যাস): বিভূতিভূষণ।
সাম্যবাদী(কবিতা): নজরুল
সাম্যবাদী (পত্রিকা) :খান মোঃ মঈনুদ্দিন
সাম্য (প্রবন্ধ)- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
নীলদর্পণ (নাটক)- দীনবন্ধু মিত্র
নীললোহিত (গল্প)- প্রমথ চৌধুরী
রক্তরাগ (কাব্য)- গোলাম মোস্তফা
রক্তকরবী (নাটক)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রক্তাক্ত প্রান্তর (নাটক)- মুনীর চৌধুরী
রিক্তের বেদন (গল্প)- কাজী নজরুল ইসলাম
দেয়াল(উপন্যাস)- হুমায়ূন আহমেদ
দেয়াল (উপন্যাস)- আবুজাফর শামসুদ্দীন
পদ্মা মেঘনা যমুনা (উপন্যাস)- আবু জাফর শামসুদ্দীন
পদ্মা নদীর মাঝি (উপন্যাস)- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
পদ্মাবতী (কাব্য)- আলাওল
পদ্মাবতী (নাটক)- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পদ্মাবতী (সমালোচনামূলক গ্রন্থ)- সৈয়দ আলী আহসান
পদ্মগোখরা (গল্প)- কাজী নজরুল ইসলাম
পদ্মরাগ (উপন্যাস)- বেগম রোকেয়া
গল্পগুচ্ছ, গল্পসল্প (গল্প)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গল্পবীথি, গল্পাঞ্জলি (গল্প)- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
একাত্তরের ডায়রি -বেগম সুফিয়া কামাল
একাত্তরের দিনগুলি -জাহানারা ইমাম
একাত্তরের বর্ণমালা -এম আর আখতার মুকুল
একাত্তরের যীশু -শাহরিয়ার কবির
সঞ্চয়িতা (কাব্য সংকলন) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সঞ্চিতা (কাব্য) সংকলন – কাজী নজরুল ইসলাম
সঞ্চয়ন (কাব্য) – কাজী নজরুল ইসলাম
সঞ্চায়ন (গবেষণামূলক গ্রন্থ) – কাজী মোতাহের হোসেন
কবর (কবিতা) – জসীমউদদীন
কবর (নাটক)- মুনীর চৌধুরী
পথের দাবী (উপন্যাস) -শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
পথের পাঁচালি (উপন্যাস)-বিভূতিভূষণ বন্দ্যেপাধ্যায়
কৃষ্ণকুমারী (নাটক)- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
কৃষ্ণচরিত (প্রবন্ধ)- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কৃষ্ণকান্তের উইল (উপন্যাস)- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কৃষ্ণমঙ্গল (কাব্য)- শঙ্কর চক্রবর্তী
জঙ্গনামা (কাব্য)- দৌলত উজির বাহরাম খান
জঙ্গনামা (কাব্য)- মুহম্মদ গরীবুল্লাহ
খোয়াবনামা (উপন্যাস)- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
সিকান্দারনামা (কাব্য)- আলাওল
নূরনামা/নসিহৎনামা(কাব্য)- শাহপরান/ আব্দুল হাকিম
আকবরনামা – আবুল ফজল
অভিযাত্রিক (কাব্য)- বেগম সুফিয়া কামাল
অভিযাত্রিক (উপন্যাস)- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
#সংগ্রহ

Address

Dhaka
Alamdanga
1210

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Edu. FourTwenty420 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Nearby media companies