Cinema Journey By Niel

Cinema Journey By Niel Photographer, Cinematographer
Contact me @ 0468368439
http://www.flickr.com/photos/rudroniel/ Attention all photography enthusiasts!

Capture life's precious moments with our professional photography service. Our experienced photographers specialize in capturing memories that will last a lifetime. From intimate family gatherings to grand weddings, our team is equipped to handle all of your photography needs. We understand that every occasion is unique and we strive to personalize each experience to fit your specific vision. Our

state-of-the-art equipment and attention to detail ensure that every shot is stunning and true to life. We offer a range of services, including portrait photography, event coverage, and landscape photography. Book your appointment today and let us preserve your memories for years to come. Our team is dedicated to providing the highest quality service and we guarantee that you will be thrilled with the results. Contact us for more information and to schedule your photography session

New Video is here. Video link in 1st Comment...
04/09/2024

New Video is here. Video link in 1st Comment...

09/04/2024

রেলস্টেশন এ দাড়িয়ে আছে গত দুই ঘন্টা। এইদিকে ট্রেন আসার কোন আশা দেখা যাচ্ছে না। মে মাসের গুমোট গরম। কোন বাতাস নেই। রাত ১২ টায় ও গরম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ধরে গেছে। বসার ও কোন জায়গা নেই। সব বেঞ্চি গুলতে মানুষ ঘুমাচ্ছে। মফস্বল শহরের স্টেশন এ আর কোন যাত্রী ও নেই। অথবা সবাই জানেই যে গাড়ি লেট এ আসে তাই এখন কেউ আসেনি। স্টেশনের দোকান গুলোও একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন একটা সিগারেট হাতে নিয়ে বসে আছে সে। দিয়াশলাই নেই। আসে পাশে কাউকে বলবে সেটাও ইচ্ছে করছে না। স্টেশন মাষ্টারের রুমও খালি, কেউ নেই। ওয়েটিং রুম এর এক সাইডে বসার জায়গা পেয়ে বসে পরলো আবির।

না জ্বালানো সিগারেটই মুখে দিয়ে আনমনে টানতে থাকে। নিস্তব্ধ চারদিক। আসেপাশে এত মানুশ তবু মনে হয় আবীর একা। তার শহরের কোলাহল থেকে কত দূরে। মাথার ভিতরে বাজছে সেই বিখ্যাত কান্ট্রিসং,
If you miss the train I'm on
You will know that I am gone
You can hear the whistle blow a hundred miles
Lord I'm one, Lord I'm two, Lord I'm three, Lord I'm four
I'm 500 miles away from home...

আসলে জিবনের স্টেশনে আমরা কারো জন্য অপেক্ষা করি না, If you miss the train I'm on,You will know that I am gone... অনেক দিন পর একাকীত্ব থেকেই হোক বা অন্যকিছু আবিরের শুধার কথা মনে পরে। স্কুলের সেই সুন্দরী হিন্দু মেয়েটা, খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো ওদের। প্রতিদিন স্কুলের পরে একসাথে বাসায় ফেরা, টিফিনে মারামারি,ডাইরী চুরি করে পড়া, শুধার চুলের বেণী খুলে দেয়া, কতো স্মৃতি।
কিন্তু ওকে কখন একটা কথা বলা হয়নি, হয়ত এই জিবনে কখনো বলা হয়েউঠবে না আর। কারন ট্রেন চলে গেছে আবির কে প্লাটফর্মএ রেখেই, সেই ট্রেন এ চলে গেছে শুধা। আজকে শুধা কি করছে খুব জানতে ইচ্ছা করে আবিরের। সে কি এখন ঘুমাচ্ছে? সে কি জানে কোন এক নির্জন স্টেশন এ কেউ একজন তার কথা ভাবছে। শুধার স্বামী কি তাকে খুব ভালোবাসে? সেই মানুষ টা কি শুধার বন্ধু? শুধার কি আবিরের কথা মনে পরে কখনো? তখন কি শুধা আগের মতই হাসে?
আর ভাবতে পারে না আবির, মাথা ঝিমঝিম করে। আবিরে এক বন্ধু ছিলো রিসাত,ও একটা কথা বলতো যে জিবনের প্লাটফর্মে শেষ ট্রেন বলে কিছুনেই, একটা যাবে আরেকটা আসবে। আবিরের খুব ইচ্ছা করছে রিসাত কে গিয়ে বলে দেখ আমার জিবনের প্লাটফর্মে ওইটাই ছিলো প্রথম ও শেষ ট্রেন। আমি উঠতে পারিনি। আমি আগের জায়গায় দারিয়ে আছি।
রিসাতের মতো হতে পারলে ভালো হতো। ছেলেটা খুব দুরন্ত ,তাকে দেখলে মনে হতো রিসাত পৃথিবীর সবচে সুখী মানুষ। নিজের কস্টগুলো ও খুব ভালোভাবে লুকিয়ে রাখতে পারতো। তার উপরে আশীর্বাদ এর মতো ওর একটা অসুখ হলো, সব কিছু ভুলে যাওয়ার অসুখ। রিসাত সব ভুলে যেত। এক সময় সে কাউকে চিনতেও পারত না। তখন রিসাতকে খুব ক্লান্ত লাগত, ওকে অই কয়েকটা দিন খুব হতাস মনে হতো। এর পর একদিন রিসাত ও ট্রেন ধরে চলে গেলো।
তোমার কথা ভুল ছিল বন্ধু, জিবনে শেষ ট্রেন আছে, সেই ট্রেন এর অপেক্ষা করতে করতেই আমাদের জীবন। সেই জিবনে আমাদের আরও হাজারবার শেষ ট্রেন ধরতে হয়। যারা ট্রেন ধরতে পারে তারা সুখি হয় হয়ত,যারা ধরতে পারে না তারা অবশ্যই অসুখী।

এমন সময় ট্রেনের হুইসেল এর শব্দ শুনতে পায় আবির। ট্রেন প্লাটফর্মে ঢুকছে, আবির প্লাটফর্মে একা যাত্রী । এটাই আবিরের গন্তব্যে শেষ ট্রেন। আবিরের হঠাত শীত শীত লাগে, ট্রেন দ্রুত গতিতে প্লাটফর্মে যায়গা করে নিচ্ছে, আবিরের মনে হচ্ছে অনন্তকাল ধরে ট্রেন আসছে আসছে আসছে, আর ওর ভয় বাড়ছে, শরীরে কাঁপুনি দেয়া শীত লাগছে। সে কি ট্রেন এ উঠতে পারবে নাকি জিবনের অন্যান্য শেষ ট্রেনের মতো এটাও হারিয়ে যাবে...

০৪ জুলাই ২০১৪, রাত ১১:২৮
ঢাকা,বাংলাদেশ

25/03/2024

একদিন মনে হবে, এসব ই ঠিক ছিল। সব কিছু সৃষ্টিকর্তার বিশাল কোন প্ল্যান এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ ছিল। যার পুরোটা বোঝা কারো পক্ষে সম্ভব হয় নি কোনদিন। যখন হারিয়ে যাওয়া ধাঁধার অংশ গুলো শূন্য থেকে এসে বসে যাবে ঠিক ঠাক জায়গায়, তখন মনে হবে, এমন ই তো হওয়ার কথা। এটাই তো ঠিক।

একদিন মনে হবে, যা হয়েছে ভালর জন্যই। এই কথা গুলো শোনা দরকার ছিল, সেই ধাক্কা খাওয়াটা জরুরী ছিল। আবেগে বলা কথা গুলো , উত্তেজনায় লেখা বাক্যগুলো, ভাল লাগা থেকে কেনা জিনিষ গুলো যখন গায়ে ধুলো মেখে ভেঙচি কাটবে তখন মনে হবে এগুলো তো অপচয় হয়নি। ঠিকানাটা ঠিকই ছিল। শুধু চিঠিটা পৌঁছানোর আগেই প্রেরক আর প্রাপক ঠিকানা পালটে ফেলেছেন। তাই বেচারা চিঠিটার এখন কোথাও যাবার নেই।

একদিন মনে হবে, আচ্ছা, সুখী মানুষ তো কবিতা লেখে না। গলা ছেড়ে গান গায় বড়জোর। সুখে থাকলে কবিতার কথা ভেবেছে কেউ? সুখী কবিতা খুবি ভয়ঙ্কর ব্যাপার। সুখী কবিতা কে ঠিক বিশ্বাস করা যায় না।

একদিন মনে হবে, অনেক দূর এলাম। এবার থামা যাক। বেঁচে থাকা ক্লান্তি আনে। কষ্ট পেতে পেতে মন এর ক্ষয় হয়।

একদিন মনে হবে, থাক, দেখলাম তো অনেক। সেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শেষে এসে একই ভাবে হেরে যাওয়া। একটা জীবনে আর কত হারা যায়। এই বার যারা খেলছে খেলুক। আমি বাড়ি যাই।

Faisal Akram Ether ভাইয়ের লেখা।

10/02/2024
- দাঁড়াও হে, দাঁড়াও! সবটা শুনে যাও। দু পেগ এক সঙ্গে নিয়ে আসবে। দু পেগ ...- সোডা!- না হে না। আমি সোডা দিয়ে কখনো মদ খাইনা।...
06/02/2024

- দাঁড়াও হে, দাঁড়াও! সবটা শুনে যাও। দু পেগ এক সঙ্গে নিয়ে আসবে। দু পেগ ...
- সোডা!
- না হে না। আমি সোডা দিয়ে কখনো মদ খাইনা। যাও। জলদি নিয়ে এসো...জলদি...

ঠোঁটে বিড়ি। হাতে মদের গেলাস...অধিকাংশ সময়ে বাংলা মদের বোতল।। উস্কোখুস্কো মাথার চুল, উদ্ভ্রান্তের মতো এলোমেলো, গালে কয়েকদিনের না কামানো দাড়ি। পড়নে ধূলোমলিন পাজামা পাঞ্জাবির সঙ্গে কাঁধে ঝোলা, ঐ শান্তিনিকেতনি...। কালো ফ্রেমের পিছনে কৌতুক মেশানো ক্ষুরধার দৃষ্টি, অন্তর্ভেদি।
তিনি কে ? মানে ঋত্বিক নামের ঐ মানুষটির পরিচয় কি? জবাব আসে সরাসরি, স্পষ্ট, তরবারির মতো তীক্ষ্ম। হেঁয়ালি নেই সামান্যতম। যেন লেন্সের ভিতর দিয়েই নিজেকে দেখা, - ‘ আমি মাতাল। ভাঙা বুদ্ধিজীবি, ব্রোকেন ইনটেলেকচুয়াল...’

দুপেগ মদ এলো। গলায় ঢেলে উঠে পড়লেন গাড়ীতে। গাড়ী ছুটলো শিয়ালদহ। রাতের ট্রেন ধরতে। গন্তব্য বহরমপুর। যাত্রা সঙ্গী পূর্নেন্দু পত্রীর স্মৃতি রোমন্থন’ ‘ ট্রেনে উঠেই ঋত্বিক তার ময়লা পাঞ্জাবিটা খুলে মেঝেতেই দুপা ছড়িয়ে বসে পড়লেন। ঢোলা পাজামা হাঁটু অবদি গুটিয়ে ফের শুরু হলো মদ্যপান।
- কে আমাকে টাকা দেবে শুনি...?
- হাতে টাকা পেলেই তো আপনার অন্য চেহারা। এত মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা...জীবনে তো কম কিছু পাননি। কত লোকে আপনার পিছনে টাকা ঢালতে রাজি, যদি সুস্থ্য থাকেন...সে তো থাকবেন না...
গলা জ্বলতে জ্বলতে কারণ বারি নামে। বোতল থেকে গরল গড়িয়ে পড়ে গেলাসের গা বেয়ে। সঙ্গে ঝাঁঝালো গলায় বলে ওঠেন – ‘আমাকে দেবে টাকা? কে? ঐ বেঙ্গলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি? মরে গেছে...’
আবার ঢক করে গিলে নিলেন বাংলা। সেই সঙ্গে বাকি কথাও।
- কেন মাধবি মুখার্জি ডিস্ট্রিবিউটারদের দোরে দোরে ঘুরে বেরাননি আপনার জন্য? বিশ্বজিৎ প্রডিউসার নিয়ে আপনাকে দিয়ে ছবি করতে একেবারে তৈরী, আপনি স্ক্রিপ্ট শোনালেন না। বোম্বেতে শক্তি সামন্তের অনুরোধ ফেরালেন। কেন? না শ্যুটিং-এ মদ খাওয়া যাবেনা...হিন্দিতে মেঘে ঢাকা তারা হলোনা...রাজেশ খান্নার অফারও ফিরিয়ে দিলেন। ছিঁড়ে উড়িয়ে দিলেন চিত্রনাট্য। বলুন মিথ্যে বলছি! জবাব দিন...’
এই কথায় তাঁর উজ্জ্বল হাসি একটু একটু করে ভেঙে মিশে যাচ্ছে রাতের রেলগাড়ির চলার ধাতব শব্দে। কামরার পেট এফোঁড় অফোঁড় করে দিচ্ছে হাওয়া। ঋত্বিকের মৌতাত ট্রেনের দুলুনিতে বেশ জমে উঠেছে। একটা ফিচেল হাসিতে থামিয়ে দিলেন সব অভিযোগ –‘ হারামজাদা সব জেনে ফেলেছে...’
এরপর প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে বিচরন করে কথোপকথন। ঠিকড়ে ওঠে ক্রোধের আগুন কথার মাঝে।

কিন্তু গোল বাঁধলো যখন হঠাৎ কামরায় উঠে এলো বন্দুকধারী দুজন রেল পুলিশ।
- একি! এখানে কি? ফার্স্ট ক্লাস কামরায় উঠেছো কেন? শালা...জানোনা চোর ডাকাত কোথায় থাকে? জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে এসেছো? শালা...নামো...নামো এখুনি, না হলে লাথি মেরে নামাবো...। আবার বন্দুক...। ঋত্বিক ঘটকের নাম শুনেছো? শোনোনি? তোদের বাবা কে আছে বল যে আমি ঋত্বিক ঘটক আছি এ গাড়িতে। বুঝলি...!
আচমকা এই প্রতিরোধে স্তম্ভিত হতভম্ব পুলিশ দুজন। পূর্নেন্দু পত্রী লিখছেন –‘ ...এরপর হ্যাঁচকা টানে বন্দুক দুটো ছিনিয়ে নিলেন তাদের কাছে থেকে... যে কোন মুহুর্তে রক্তপাত ঘটবে আমরা যেন তার অপেক্ষায় স্তব্ধ। সম্বিত ফিরতেই আমরা অনুনয় করি – চুপ করুন। নেমে যাবে পরের স্টেশনে। পুলিশ গুলো থেকে নিজের অভিব্যক্তি আড়াল করে আমাদের দিকে তাকালেন। চোখে ঠোঁটে দুষ্টুমি হাসি মাখানো...। হাতে গেলাস, টলমল সাদা জল। টলমঅলে তিনিও। হাসিতেও যেন জলের মৃদু ঢেউ...’।

না কোন রক্তপাত ঘটেনি সেদিন। রেল পুলিশের রক্ষী দুজন নূন গোলা জোঁকের মতো চুপটি করে নেমে গিয়েছিলো পরের স্টেশনেই। আর তাদের নামার সময় বন্দুক দুটো, যেন খেলনা ছড়ি এমন ভঙ্গিতে ছুঁড়ে দিয়ে হাসতে হাসতে আবার ডুবলেন মদ্যপানে। তিনি ঋত্বিক, তাঁর চাহনি তখন বাইরের নিকষ কালো অন্ধকারের দিকে। হাওয়ায় হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে চুল। ইথারে যেন খেলে বেড়াচ্ছে তাঁর সেই অসম্ভব দম্ভ আর আত্মবিশ্বাসে দৃপ্ত ঘোষনা – ‘ আমি প্রতি মুহুর্তে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে বোঝাবো যে ইট ইজ নট অ্যান ইমেজিনারি স্টোরি বা আমি আপনাকে শস্তা আনন্দ দিতে আসিনি। প্রতি মুহুর্তে আপনাকে হাতুড়ি মেরে বোঝাবো যে যা দেখছেন তা একটা কল্পিত ঘটনা। কিন্তু এর মধ্যে যেটা বঝাতে চাইছি, আমার সেই থিসিসটা বুঝুন, সেটা সম্পূর্ণ সত্যি। সেটার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই আমি আপনাকে এলিয়েন্ট করবো প্রতিমুহুর্তে। যদি আপনি সচেতন হয়ে ওঠেন। আমার প্রটেস্টটাকে যদি আপনার মধ্যে চাপিয়ে দিতে পারি তবেই শিল্পী হিসেবে আমার সার্থকতা’। স্ত্রী সরমা ঘটককে তিনি বলতেন, ‘ লক্ষ্মী টাকা হয়তো আমার থাকবেনা কিন্তু কাজটা থাকবে। তুমি দেখে নিও মারা যাবার পর সব্বাই আমাকে বুঝবে...’।

জানিনা সত্যিই আমরা ক’জন অনুধাবন করতে পেরেছি তাঁকে, যেমনটি তিনি চেয়েছিলেন।
প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধা হে ব্রোকেন ইন্টেলেকচুয়াল। আমরা সবাই বিক্রি হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সত্যি আমরা বিক্রি হতে চাইনি।

29/01/2024

দাস এক্সপেরিমেন্ট নামে একটা জার্মান সিনেমা আছে। বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমার গল্প শুরু হয় কয়েকজন লোক দিয়ে, যারা স্বেচ্ছায় টাকার লোভে সাইকোলজিক্যাল একটা এক্সপেরিমেন্টের জন্য রাজি হয়। তাদের মধ্য থেকে চৌদ্দজন বাছাই করে নেওয়া হয়। চৌদ্দজনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ওদের সময় হচ্ছে পনেরদিন। এই পনেরদিন ওদের একভাগ কারাগারের কয়েদি হিসেবে অভিনয় করবে, বাকিরা থাকবে কারাগারের গার্ড এবং ওদের সবসময় সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটর করা হবে। শর্ত ছিল, কোনো গার্ড কোনো কয়েদিকে শারীরিক আঘাত করতে পারবে না। কোনোরকম ভায়োলেন্স এলাউড না। প্রথম প্রথম ঠিকঠাক থাকলেও কিছুটা সময় যাওয়ার পর গার্ডরা কয়েদিদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। সিনেমার শেষদিকে পুরো এক্সপেরিমেন্টেরই বারোটা বেজে যায়।

লক্ষ করুন, ওরা জানে ওরা আসল গার্ড নয়। যারা কারাগারে বন্দি, ওরাও প্রকৃত বন্দি নয়। ওদের শুধু অভিনয় করতে বলা হয়েছে। কয়েকটা দিন। অথচ বাহাত্তর ঘন্টা পার হওয়ার আগে শুধুমাত্র বন্দিদের ওপর নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য ওরা কারাগারের লাইট অফ করে, গ্যাস ছেড়ে, কয়েদিদের জামা কাপড় খুলে ন্যাংটো করে, শোয়ার একমাত্র বিছানাটাও বের করে নেয় যাতে কেউ ঘুমাতে না পারে। শুধু তাই না, সময় গড়ানোর সাথে সাথে কয়েদি একজনকে গোপনে হাত পা বেঁধে অত্যাচার করে, মুখের ওপর প্রস্রাব করে, এক তরুণীকে ধ র্ষ ণে র চেষ্টা করে এবং একজনকে হ ত্যাও করে।

মারিয়া আব্রামোভিচ উনিশশো চুয়াত্তর সালে তর্কসাপেক্ষে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিলেন মানুষকে, একটা এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে। ঐ এক্সপেরিমেন্টের নাম ছিল, রিদম জিরো। লোকজনে ভর্তি একটা রুমের ভেতর মারিয়া স্ট্যাচুর মতোন দাঁড়িয়েছিলেন। সামনে টেবিলে রাখা ছিল বাহাত্তরটা অপ্রাসঙ্গিক অগুরুত্বপূর্ণ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিছু জিনিসপত্র। লিপস্টিক, রুটি, ছুরি, কেঁচি, পিস্তল, গোলাপ সহ অনেক কিছু। বলা হয়েছিল, রাত আট’টা থেকে দু’টো পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা মানুষ যা ইচ্ছে তা করতে পারবে তাঁর সঙ্গে। অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর ছিল মারিয়ার। প্রথম আড়াই-তিন ঘণ্টা মারিয়াকে ফুল দিয়েছিল মানুষ। চুল আঁচড়ে দিয়েছিল। ভালোবেসেছিল। যতই সময় গড়ালো, ততই ওরা হিংস্র হয়ে উঠল। শেষ দুই ঘণ্টায় মারিয়াকে থাপ্পড় মারা হয়, পরনের জামা ছিঁড়ে নগ্ন করে দেওয়া হয়, ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, এমনকি শেষদিকে একজন পিস্তল নিয়ে মারিয়ার গলায় ঠেসে ধরে ট্রিগার টানতে যাচ্ছিল প্রায়।

মারিয়া ওদের কোনো ক্ষতি করেছিল? ওদের কারোর জায়গা জমি নিজের বলে দাবী করেছিল? ওদের কাউকে থুথু মেরেছিল? লাথি দিয়েছিল? প্রতারণা করেছিল? ওদের কাউকে মারিয়া চেনেও না। কিন্তু ওরা মারিয়াকে থাপ্পড় মে রে ছি ল, থুথু ছিটিয়েছিল গায়ে, জামা কাপড় ছিঁড়ে নিয়েছিল, আঘাত করেছিল অনর্গল। এক্সপেরিমেন্ট শেষে মারিয়া যখন হেঁটে সামনে যাচ্ছিল, তখন তাকে আঘাত করা একটা মানুষও চোখের দিকে তাকাতে পারেনি তাঁর। লজ্জায়।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম হ ত্যা কারীর নাম কাবিল। তিনি হ ত্যা করেছিলেন নিজ ভাই হাবিলকে। কারণ, হাবিলের কোরবানী আল্লাহ কবুল করেছিলেন, তার কোরবানী কবুল করেননি। মানুষ সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করলে আপনি জানবেন, মানুষ অন্যকে ঘৃণা করে, অপছন্দ করে, হ ত্যা করে নানান কারণে। তার মগজ বেশী, আমার কম কেন? তার বুদ্ধি বেশী, আমার কম কেন? তার অর্থ বেশী, আমার কম কেন? তার সম্মান বেশী, আমার কম কেন? দাস এক্সপেরিমেন্ট কিংবা রিদম জিরো আপনাকে জানাবে, একটা মানুষের আরেকটা মানুষকে ঘৃণা, অপছন্দ, হ ত্যা করতে আসলে কোনো কারণই লাগে না। মানুষ কোনোরকম কারণ ছাড়াই আরেকটা মানুষকে অপছন্দ করে, ঘৃণা করে, হ ত্যা করে। কেননা মানুষের স্বভাবই অমন। মানুষ কোনোদিনই শান্তিকামী ছিল না, নয় এবং থাকবেও না। এরা সবসময়ই হিংস্র, লোভী, বর্বর, অমানবিক ও ভণ্ড। সুযোগের অভাবে সব শালা মানুষ।

লেখা: Shakhawat Hossen

Photoshoot for the commercial and billboard.
20/09/2023

Photoshoot for the commercial and billboard.


Happy World Photography Day!I'm so grateful for the art of photography, which allows us to capture and share the beauty ...
19/08/2023

Happy World Photography Day!

I'm so grateful for the art of photography, which allows us to capture and share the beauty of the world around us. Whether you're a professional photographer or just someone who enjoys taking pictures, I encourage you to celebrate this day by taking a moment to appreciate the power of photography.

The shutter angle and frame rate are two of the most important settings when shooting video. They work together to deter...
13/07/2023

The shutter angle and frame rate are two of the most important settings when shooting video. They work together to determine how much motion blur is visible in your footage.

Shutter angle is a unit of measurement that describes how long the camera's shutter is open for each frame. It is measured in degrees, and a full 360-degree shutter angle corresponds to a shutter speed of 1 second.

Frame rate is the number of frames that are captured per second. Typical frame rates for video are 24, 25, 30, 50, and 60 fps.

The 180-degree shutter rule is a guideline that states that the shutter angle should be set to 180 degrees when shooting video. This will create a natural-looking amount of motion blur that is similar to what the human eye sees.

The following formula can be used to calculate the shutter angle for a given frame rate:

Shutter angle = 360 / frame rate
For example, if you are shooting at 24 fps, the shutter angle should be set to 360 / 24 = 180 degrees.

If you use a shutter angle that is wider than 180 degrees, you will get more motion blur in your footage. This can be used to create a stylized effect, such as the "bullet time" effect seen in the movie "The Matrix."

If you use a shutter angle that is narrower than 180 degrees, you will get less motion blur in your footage. This can be used to create a sharper, more "video game"-like look.

Ultimately, the best shutter angle for your footage will depend on the desired look and feel. Experiment with different settings to see what works best for you.

Here are some additional things to keep in mind when setting the shutter angle and frame rate:

The shutter speed and frame rate must be set in sync. If you set the shutter angle to 180 degrees but the frame rate is 25 fps, the shutter speed will actually be 1/40 of a second.
The shutter angle can affect the exposure of your footage. If you use a wider shutter angle, you will need to increase the exposure to compensate for the loss of light.
The shutter angle can also affect the depth of field. If you use a wider shutter angle, you will get a shallower depth of field

Attention all photography enthusiasts! Capture life's precious moments with our professional photography service. Our ex...
20/10/2022

Attention all photography enthusiasts! Capture life's precious moments with our professional photography service. Our experienced photographers specialize in capturing memories that will last a lifetime. From intimate family gatherings to grand weddings, our team is equipped to handle all of your photography needs.

We understand that every occasion is unique and we strive to personalize each experience to fit your specific vision. Our state-of-the-art equipment and attention to detail ensure that every shot is stunning and true to life. We offer a range of services, including portrait photography, event coverage, and landscape photography.

Book your appointment today and let us preserve your memories for years to come. Our team is dedicated to providing the highest quality service and we guarantee that you will be thrilled with the results. Contact us for more information and to schedule your photography session















Portrait on S&R Orchard Perth
15/09/2022

Portrait on S&R Orchard Perth

























Perth Photography Client
14/08/2022

Perth Photography Client













Photography Clients on Perth
13/06/2022

Photography Clients on Perth

its our client pretty Kaur's birthday in South Perth. Inbox for booking.
27/04/2022

its our client pretty Kaur's birthday in South Perth. Inbox for booking.

Are you looking for Photographer to capture Your beautiful moment?  This is Rudro, Doing photography professionally sinc...
18/02/2022

Are you looking for Photographer to capture Your beautiful moment?
This is Rudro, Doing photography professionally since 2009.
I am now at Thornlie, Perth.
Photography Service Category:
1. Event / Wedding / Birthday / Party Photography
2. Portrait / Single Session / Studio portrait / Family Portrait
3. Product Photography
4. Aerial Photography / Property Photography
5. Photo Editing
6. Video Editing

You can check my portfolio here: www.flickr.com/Rudroniel
Contact for booking: 0468368439

11/09/2021
11/09/2021
07/05/2021

“পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।”

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ।
ইতিহাসে প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সাহিত্যে নোবেল পান।
কবিগুরুর ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে
বিনম্র শ্রদ্ধা।

Today Cloudy sky of summer
06/05/2021

Today Cloudy sky of summer

04/05/2021

Address

18 Haven Place Thornlie, Western
Perth, WA
6108

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Cinema Journey By Niel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Cinema Journey By Niel:

Videos

Share


Other Digital creator in Perth

Show All