Al Bakky Al Mizan

Al Bakky Al Mizan Its about farmer farming and modern agriculture.

05/05/2024

" বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে " :

পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!

"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"

আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।

দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।

এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।

আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।

একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।

এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।

সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।

বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।

এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।

একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?

বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।

বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!

এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।

জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।

বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।

আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।

বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?

ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।

আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।

এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।

ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........

তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।

জাফর সাহেবকে দাফন করবার কিছু সময় পর জাফর সাহেবের মনে হলো, যাহ্ শালা... এই তাহলে জীবন ছিলো!  তরুণ বয়সে সুমির সাথে তুমুল প...
05/05/2024

জাফর সাহেবকে দাফন করবার কিছু সময় পর জাফর সাহেবের মনে হলো, যাহ্ শালা... এই তাহলে জীবন ছিলো!

তরুণ বয়সে সুমির সাথে তুমুল প্রেম, অতঃপর তার সাথে বিয়ের পিড়িতে বসে সংসারের মায়াজালে আটকে গিয়ে নিজেকেই নিজে বোঝানো- সংসারী তো একটা সময় আমার হবারই ছিলো!

প্রথম বাবা হয়ে লজ্জা পেয়েছিলেন জাফর সাহেব।

এই তো সেদিনও বন্ধুরা, কলেজে সহপাঠীরা তাকে গুড ফর নাথিং ঢিলা জাফর ডাকতো।

এখন তার কতো দায়িত্ব। সে বাবা হয়েছে!

অফিসে বস একদিন ডেকে বললেন, চুল বাল অর্ধেক তো পাকিয়ে ফেলেছেন জাফর সাহেব। কাজকর্মে প্রফেশনাল আরো কবে হবেন বলেন তো? আপনি আজ ঝেড়ে কাশুন!

আত্মসম্মানের দিকে না তাকিয়ে মধ্যবিত্ত ভীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে বসের সামনে তিনি মাথা নিচু করে ছিলেন।

ঘরে বউটা আছে। সেদিন জন্মেছে ছেলেটা বড় হয়ে তিনমাস পর মেট্রিক পরীক্ষা দিবে। বসকে মুখের উপর বলা হয়নি... অমন আঘাত করে কথা বলতে হয়না রে জানোয়ারের বাচ্চা। আমারো কষ্টবোধ আছে। দিনশেষে লেগুনায় সূর্যের মরা আলো ঘাড়ে করে ফিরবার সময় খারাপ লাগে। ঘামে ভেজা ফরমাল শার্টটা কাঁদে ক্যামন এক বিচিত্র উপলব্ধিতে। তুই দেখতে পাস না!

পেনশনের অর্ধেক টাকা তুলে মফস্বলে টিনের চাল উপরে দেয়া পাকা দালান তুলেছিলেন। কয়েক ঘর ভাড়া দিয়ে বাকিটুকুতে কষ্টেসৃষ্টে পরিবার নিয়ে থাকতেন। ছেলেটা বড় হয়ে আর মানুষ হয়নি।

ছানির অপারেশনটা সময়মতো করতে না পারায় একটা চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। বাকি চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখতেন। ইচ্ছে ছিলো শেষ বয়সে রবীন্দ্র রচনাবলি পড়ে অবসর কাটাবেন। কিসের কি!

সূর্যের মরা আলো উঠানে বসে অক্ষম আধখানি ঠিক আছে চোখে আরো বেশি প্রহসনের ঠেকতো।

যৌবনে চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। খুব চাইতেন, চমৎকার কিছু ছবি বানিয়ে দেশের টিপিক্যাল মানুষগুলোর গোটা মানসিকতাই দিবেন বদলে!

কিন্তু সেই ভয় থেকে বেরুতে পারেননি। চাকরি না করলে মানুষ কি বলবে? প্রেমিকাকে সময়মতো বিয়ে করে ঘরে না তুললে জাগতিক প্রাসঙ্গিক কষ্টগুলো বুকে পুষে কি করে বেঁচে থাকবেন?

ক্যামেরার মায়া বেচে দিয়ে একদিন কিনলেন বৈধ সঙ্গম, সংসার, গতানুগতিক নিরাপত্তার জীবন।

শুধু সময় নামে একজন তার কথা রেখেছিলো। জাফর সাহেবকে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিয়েছিলো তার অবধারিত বার্ধক্যে।

বখে যাওয়া সন্তানও তার বাবাকে ভালোবাসে। শেষ সময়ে জন্মদাতার বুড়ো হাতটা ধরে নরম গলায় বলেছিলো, আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা। আমি তোমার কোন স্বপ্ন পুরণ করতে পারিনি।

জাফর সাহেব সিলিং এর দিকে শুন্য দৃষ্টি দিয়ে অদ্ভুত হেসেছিলেন।

বিড়বিড় করে দুর্বোধ্য স্বরে বলছিলেন- মানুষ তার নিজের স্বপ্নটাই পূরণ করবার পিছে আজীবন ছোটে রে ব্যাটা! শেষ নিঃশ্বাস ফেলার কিছু আগে এসে উপলব্ধি করে, যাহ্ শালা... চুল বাল পাকিয়ে ফেললাম। এখনো আসল কাজগুলোই তো করা হয়নি!

"উপলব্ধি"
২৮ এপ্রিল, ২০১৭

লিখেছেন: Taimoor Mahmud Shoumik

ছোট খাট একটা চাকরি করি। গত মাসে বড় মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছি, ধার দেনা ক‌রে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে। একটু আগে মেয়ের ফোন।বাবা...
05/05/2024

ছোট খাট একটা চাকরি করি। গত মাসে বড় মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছি, ধার দেনা ক‌রে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে। একটু আগে মেয়ের ফোন।বাবা কেমন আছো?
-হ্যাঁ মা ভাল। তুই ভাল আছিস তো?
আছি বাবা ভাল।
-এইভাবে বলছিস কেন??তোর শ্বশুর রা খুশি হয়েছে তো?
ওরা কিছু বলেনি। শাশু‌ড়ি বলেছে বি‌য়ে‌তে যে অাসবাবপত্র গু‌লো দি‌য়ে‌ছো ওগু‌লো না‌কি নিম্নমা‌নের ।
-(তখন আমার চোখের জলটলটল করছিল) আচ্ছা মা তোর শাশু‌ড়ি কে ব‌লিস প‌রে না হয় তা‌দের পছন্দমত কি‌নে দেব ।
বাবা শোনো। তুমি আমাদের বাড়িতে পুজার কাপড় দেবে না?
-হ্যা মা দেব। কেন?
তুমি কাপড় দিওনা। ননদ(জামাইয়ের বোন) বলেছে কাপড় দিলে সবার পছন্দ হবে না।কাপড় না দিয়ে টাকা দিয়ে দিতে। ৩০,০০০ টাকা দিলে,সবার নাকি হয়ে যাবে।
-আচ্ছা মা। তুই চিন্তা করিস না। আমি এখন ও বেঁচে আছি।
(আমার বুঝতে দেরি হলনা, এতক্ষনে মেয়ের চোখের অনেক জল গড়িয়ে পড়েছে)
আচ্ছা বাবা,এখন রাখি।
-আচ্ছা মা ভাল থাকিস।
রাতে ছোট ছেলে বা‌ড়ি ফি‌রে আমা‌কে বল‌ছে।
বাবা তুমি আছো ?
-হ্যাঁ আছি। কিছু বলবি?
হ্যাঁ, অামার একটা ল্যাপটপ কিন‌তে হ‌বে। আমার টিউশনির কিছু টাকা আছে। তুমি ৫০ হাজার দিলে হয়ে যাবে ।
-আচ্ছা দেখছি । খেয়ে ঘুমিয়ে পর।
না বাবা,লেট হলে এক্সাম দিতে পারব না।
এইখানে শেষ নয়,, নি‌জের বা‌ড়ি‌তে পুজোর জামা কাপড় কিনতে অা‌রো ১৫ -২০ হাজার টাকা লাগ‌বে। আরো রয়েছে মেয়ের বাড়িতে দেওয়ার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আয়োজন।
এই সব চিন্তা করতে করতে না খেয়ে শুয়ে পড়েছি। অ‌নিতার মা অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছিল,কিছু না বলে শুয়ে পড়েছি।
মাথায় একটা বিষয় কাজ করছে। টাকা!!টাকা!! আর মেয়ের সুখ।

এইভাবে রাত ১২ টা। হঠাৎ করেই বুকের ব্যথাটা বেড়ে গেছে। ধীরে ধীরে আমি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। আমার হাত-পা গুলো অকেজো হয়ে আসছে। আমার সারা জীবনের অনেক স্বপ্ন অসমাপ্ত রয়ে গেছে। সেই চিন্তা গুলো এখনো আমার পিছু ছাড়ছেনা।

পরদিন সকাল বেলা। সবাই কান্না কাটি করছে। আমার ছোট মেয়ে আর আমার স্ত্রী সব চেয়ে বেশি কাঁদছে। শুনলাম বড় মেয়ে অামার অসুস্থতার খবর পে‌য়ে ইতি এরই মধ্যে এসে গেছে। সবার দিকে চেয়ে থাকলাম। অনেক কিছু বলতে চাইছি। কিন্তু কিছুই বলতে পারছিনা। ঠিক ২ মিনিট পর আর কিছু জানিনা। সব শেষ!!!

এইভাবে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক বাবা। আর বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত ছেলে মেয়ে। হয়ত অনেকে এখন ও জানে না,তাদের বাবার মৃত্যুর রহস্য।

এইভাবে প্রতিনিয়ত আমরা হারাচ্ছি আমাদের প্রিয় বাবাদের।।
😢😢😢😢

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত পোস্ট

এই লোকটি সব কিছু ছেড়ে শুধু ভাঙ্গা রাস্তা ঠিক করে বেড়ায়। মানে সে পাকা রাস্তার যেখানেই গর্ত দেখে সিমেন্ট বালি খোয়া দিয়ে তা...
05/05/2024

এই লোকটি সব কিছু ছেড়ে শুধু ভাঙ্গা রাস্তা ঠিক করে বেড়ায়। মানে সে পাকা রাস্তার যেখানেই গর্ত দেখে সিমেন্ট বালি খোয়া দিয়ে তা সমান করে দেই। কারো কাছথেকে কোনোরকম টাকা পয়সা না নিয়ে সে শুধু রাস্তাই ঠিক করে বেড়ায়। আসলে তার সাথে একটা খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। যার ফলে সে এমনটা করে বেড়ায়। এটা শুধু গল্প নই, এটি মহারাষ্ট্রের একটা সত্য ঘটনা।

লোকটির নাম মনোজ পাটিল। তার পরিবারে আছে তার স্ত্রী আর তার ছোট্ট মেয়ে। তার মেয়ের বড়ো হয়ে মহিলা ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন আছে। তাই তার বাবা মেয়ের সপ্ন পূরণের জন্য সব কিছুই করে, তাকে ট্রেনিং সেন্টার এ অ্যাডমিশন করে দেই, যা যা দরকার সব কিছুই করায়। তার মেয়ের সপ্ন যেনো তারও সপ্ন হয়ে গিয়েছে। সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছিল। কিন্তু একদিন রাস্তায় সে তার মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ জলে ভর্তি রাস্তার এক গর্তে স্কুটির চাকা পরে তারা দুজনেই পরে যায়। তার মেয়ের মাথায় খোয়া লেগে রক্ত বেরিয়ে যায়। তাড়াতাড়ি করে তাকে হসপিটাল এ নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় তার মেয়ে মারা গিয়েছে। তার পুরো পৃথিবী যেনো থেমে যায়। সে পাগলের মত রাস্তা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এরপর থেকেই সে মেয়েকে হারানোর শোকে যেখানেই ভাঙ্গা রাস্তা দেখে সিমেন্ট বালি দিয়ে তা সমান করে বেড়ায়, যাতে আর কোনো বাবা নিজের মেয়েকে না হারায়। 😭

১৯০৭ সালের পূজার ছুটি। কবিগুরুর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ বন্ধু সরোজচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর মামার বাড়ি মুঙ্গের যাত্রা করেন ১৬...
05/05/2024

১৯০৭ সালের পূজার ছুটি। কবিগুরুর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ বন্ধু সরোজচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর মামার বাড়ি মুঙ্গের যাত্রা করেন ১৬ই অক্টোবর বিজয়াদশমীর দিন। ছূটি-শেষে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় খোলার মুখে কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের কাছে দুঃসংবাদ পৌঁছল শমীর কলেরা হয়েছে। তক্ষুণি (১৭ই নভেম্বর) তিনি ডাক্তার সহ ছুটলেন মুঙ্গের। চিকিত্‍সার কোনো ত্রুটি রাখেন নি রবীন্দ্রনাথ - কিন্তু রাখতে পারলেন না। সকলের প্রচেষ্টা নিষ্ফল করে ৭ অগ্রহায়ণ (ইংরেজি মতে ২৪ নভেম্বর) মাত্র এগারো বত্‍সর বয়সে শমী শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন। ঠিক পাঁচ বছর আগে এমনই এক সাতই অগ্রহায়ণ শমীর মা মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু ঘটেছিল। কী আশ্চর্য যোগ!
পুত্র শোকাতুর রবীন্দ্রনাথ পরের দিনই মুঙ্গের থেকে শান্তিনিকেতনের দিকে রওনা দিলেন। রাত্রে ট্রেনে আসতে আসতে দেখলেন জ্যোত্‍স্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে, কোথা কিছু কম পড়েছে তার লক্ষণ নেই। তাঁর মন বললে, কম পড়েনি - সমস্তের মধ্যে সবই রয়ে গেছে, আমিও তারি মধ্যে। সমস্তর জন্যে আমার কাজও বাকি রইল। যতদিন আছি সেই কাজের ধরা চলতে থাকবে। সাহস যেন থাকে, অবসাদ যেন না আসে, কোনোখানে কোনো সূত্র যেন ছিন্ন হয়ে না যায় - যা ঘটেছে তাকে যেন সহজে স্বীকার করি, যা কিছু রয়ে গেল তাকেও যেন সম্পূর্ণ সহজ মনে স্বীকার করতে ত্রুটি না ঘটে।
এই সংকল্প নিয়ে শোকাহত শান্তিনিকেতনে পৌঁছলেন রবীন্দ্রনাথ। স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা বলেছেন আশ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁর শান্ত সংযত ব্যবহারে সকলে স্তম্ভিত। কেবল তাঁর বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ যখন দেখা করতে এলেন, রবীন্দ্রনাথের চোখে দেখা গেছে জলের রেখা। বড়দাদাও শোকবিমূঢ় কেবল ছোটভাইয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আর বারবার অস্ফুট স্বরে বলেছেন 'রবি! রবি!' এরই মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ডেকে পাঠালেন অধ্যাপক যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে - যাঁর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ভুবনডাঙায় পড়াতে যেতেন বালক শমী। একটি পুঁটলি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, শমীর এই কাপড়-জমাগুলো ভুবনডাঙ্গার ছাত্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিও।
নিদারুণ সংবাদ পেয়ে পুত্র-প্রতিম ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে চলে আসেন - শোকাচ্ছন্ন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যান কলকাতায়। সেখান থেকে প্রকৃতির শুশ্রূষা ও সান্নিধ্যলাভের জন্য শিলাইদহ। জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ তখন আমেরিকায় পাঠরত - দুই কন্যা মাধুরীলতা ও মীরা শিলাইদহে তাঁদের বাবাকে সঙ্গদানের দায়িত্ব নেন॥

Nature and science can make better together ❤️
14/10/2023

Nature and science can make better together ❤️

নন এমপিও ভুক্ত একটি দাখিল মাদ্রাসায় কৌশলে প্রায় ৬ বছর শিক্ষকতা করেছি। উদ্দেশ্য ছিলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এন্টি ব্রেইন...
24/09/2023

নন এমপিও ভুক্ত একটি দাখিল মাদ্রাসায় কৌশলে প্রায় ৬ বছর শিক্ষকতা করেছি। উদ্দেশ্য ছিলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এন্টি ব্রেইন ওয়াশ করা! মাদ্রাসার পড়ার পরিবেশ, মাদ্রাসায় কেমন পরিবারের সন্তানরা পড়ে, কেনো পড়ে।এখানে শিক্ষার্থীরা পড়ে কেমন বোধ করে। বিদ্যালয়, কলেজ, ভিন্ন শিক্ষা নিয়ে তারা কি ভাবে।দেশ,দেশের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি তারা কিভাবে দেখে। ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন মতের, নারীর প্রতি তাদের মনোভাব কেমন। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে তাদের আগ্রহ কেমন- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমার খুব আগ্রহ ছিলো।
এই মাদ্রাসা আমার প্রবেশ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নামমাত্র বেতন ছিলো। আমার মূল প্রফেশন রেখে এখানে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় দিতে হতো। শারিরীক মানসিক অর্থনৈতিক কষ্ট হতো আমার। তারপরও আমি এখানে ছয় বছর কাজ করেছি। এখানের শিক্ষকরা আমাকে প্রথম প্রথম মেনে নেয়নি।একজন বাদে প্রায় ১২ জন শিক্ষকের সবাই জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। মাদ্রাসার সুপার(প্রধান) উপজেলা জামায়াতের রোকন।
এই রকম একটা মাদ্রাসা ঢুকতে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। এখানে আমি অনেক প্ল্যান নিয়ে কাজ করেছি। যারা মোটামুটি মেধাবী ছিলো কৌশলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে স্কুলে ভর্তি করাতাম। দাখিল(এসএসসি)
পাস করার পর বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি করতে উৎসাহ দিতাম। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কলেজেই ভর্তি হতো দুই/তিনজন ছাড়া। পাঠদান ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতাম।
তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে দিতাম। আমি যতোদিন ছিলাম ততোদিন এখানে শিবির শত চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেনি।কৌশলে তাদেরকে রুখে দিতাম। শিক্ষার্থীদের শিবির সম্পর্কে সতর্ক করেছিলাম। জামাত-শিবিরের রাজনীতি সম্পর্কে, একাত্তরে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে অনেক আলাপ করেছিলাম।
আগে এই মাদ্রাসায় এসেম্বলি হতো না। জাতীয় সংগীত হতো না।
মাদ্রাসার প্রধানকে একদিন ভয় লাগিয়ে দিলাম,বললাম উপর থেকে প্রতিটি স্কুল মাদ্রাসা মনিটরিং হচ্ছে। আপনারা এমপিও হওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন। এখন যদি দেখে এই মাদ্রাসা এসেম্বলি হচ্ছে না, শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পারে না। তাহলে এই মাদ্রাসা জীবনেও এমপিও ভুক্ত হবে না! তারপর থেকে এসেম্বলি হতো। শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত গাইতো। এসেম্বলিতে জাতীয় সংগীত কিভাবে সুর করে গাওয়া হয়, দরদ দিয়ে গাওয়া হয় সে অনুশীলন করাতাম ক্লাসে ।
গতবছর একটা ছেলে জিপিএ ৫ পায়। ছেলটাকে সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি করে দিয়েছি। ওর পিছনে আমার অনেক শ্রম ছিলো। অনেক কাউন্সিলিং করতে হয়েছে। ও এখন রাজনীতিও বুঝে মোটামুটি। ওর চিন্তা চেতনা দেখে,ওর ম্যাসিউরিটি দেখে আমি অভিভূত।
আমি গত ডিসেম্বরে চাকুরীটা ছেড়ে দেই। পিছুটান আছে আমার!
মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গল্প আরেকদিন বলবো।

পুনশ্চ : তানজিম সাকিবদের যদি পাইতাম, ওর ব্রেইন ওয়াশ কিছুতেই হতো না!

কার্টেসি: Sohel Mahmood

মজিদের চাচা লন্ডন থাকেন। চাচার কাছে মজিদ আবদার করেছে একটি ইলেক্ট্রিক  স্কুটার নিয়ে আসতে। মজিদের চাচা লন্ডন প্রবাসী মির্জ...
16/09/2023

মজিদের চাচা লন্ডন থাকেন। চাচার কাছে মজিদ আবদার করেছে একটি ইলেক্ট্রিক স্কুটার নিয়ে আসতে। মজিদের চাচা লন্ডন প্রবাসী মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে জানতে চাইলেন বাংলা এভিয়েশনের কাছে।

ইলেক্ট্রিক স্কুটার নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই জানতে চান। ইলেক্ট্রিক স্কুটার শুল্ক মুক্ত পণ্য নয়। ফলে ইলেক্ট্রিক স্কুটার আনলে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে। ইলেক্ট্রিক স্কুটারের শুল্ক হার হচ্ছে ক্রয় মূল্যের ওপর প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ স্কুটারের মুল্য ১০০ টাকা হলে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে ৯০ টাকা।

কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়ে আরও কোন প্রশ্ন থাকলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
প্লট # এফ ১/এ আগারগাঁও, শের-এ-বাংলা নগর, ঢাকা-১২১৭ বাংলাদেশ
টেলিফোন: ০২২২২২১৭৭০০-০৯
ই-মেইল: [email protected]

ইলেক্ট্রিক স্কুটার আনার ক্ষেত্রে আরও একটি বিশেষ সর্তকতা আছে। ইলেক্ট্রিক স্কুটারের ভেতরে বড় আকারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থাকে। ইলেক্ট্রিক স্কুটার আপনি হাত ব্যাগে নিতে পারবেন না। আপনাকে চেন ইন লাগেজ/কার্টনে দিতে হবে। কিন্তু অনেক এয়ারলাইন চেক ইন লাগেজে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বহনের অনুমতি দেয় না। ফলে আপনি যে এয়ারলাইনে আসবেন তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে নিশ্চিত হোন।

অনেকেই ব্যাটারির বিষয়ে না জানিয়ে চেক ইন লাগেজে ইলেক্ট্রিক স্কুটার দিয়ে দেশে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যে দেশ থেকে আনার চেষ্টা করেছেন, সেদেশের নিরাপত্তা তল্লাশিতে ব্যাটারির কারণে সেই কার্টনটি আর ফ্লাইটে দেয়নি। ফলে পুরো ইলেকট্রিক স্কুটার সেদেশের বিমানবন্দরেই রয়ে গেছে। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন যাত্রী।

কার্টেসি: Aviation Bangla

রাস্তার ফুটপাতে হলুদ লাইন কেন দেওয়া হয়আমরা ফুটপাতে হাঁটার ক্ষেত্রে অনেক সময় হলুদ একটি লাইন দেখা যায়। দুই পাশে  একই রঙের ...
15/09/2023

রাস্তার ফুটপাতে হলুদ লাইন কেন দেওয়া হয়
আমরা ফুটপাতে হাঁটার ক্ষেত্রে অনেক সময় হলুদ একটি লাইন দেখা যায়। দুই পাশে একই রঙের থাকলেও মাঝে দিয়ে হলুদ লাইন টানা হয়। কিন্তু এর কারণ আমরা অনেকেই জানিনা।
এই ফুটপাত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বান্ধব। এই হলুদ টাইলসে সোজা স্ট্রাইপ থাকে এবং একটু উচু। একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহজেই পা ফেলে সোজা বরাবর হেটে যেতে পারবে।
আবার দেখা যায়, ফুটপাত যেখানে ঢালু হয়েছে, সেখানে একটা টাইলসে ছয়টি গোলাকার বৃত্ত। পা ফেললে সহজেই বুঝা যায় এখানে ফুটপাত নেমে গেছে।
Source: Science

বলা হয় যে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে একটা এস্টেরয়েড এসে ওই সময়ের ৭৫% প্রানি ধ্বংস করে ফেলেছিল। এই এস্টেরয়েড পৃথিবীর যেই এলাকায় এস...
09/09/2023

বলা হয় যে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে একটা এস্টেরয়েড এসে ওই সময়ের ৭৫% প্রানি ধ্বংস করে ফেলেছিল। এই এস্টেরয়েড পৃথিবীর যেই এলাকায় এসে পড়েছিল সেটা মেক্সিকোর য়ুকাটান পেনিনসুলায়। আজ য়ুকাটান পেনিনসুলায় প্রায় ১০,০০০ এর ও বেশি ছোট ছোট এই গর্ত আছে যেখানে পানি পাওয়া যায়। এদের বলা হয় "চেনোতে"।

ওই এস্টেরয়েড আঘাতের রিং এএ মধ্যেই এদের অধিকাংশ পাওয়া যায়। মায়ান সভ্যতায় এই চেনোতে থেকে পানি ব্যবহার করা হতো, আবার এদের ধর্মিয় কাজেও ব্যবহৃত করা হতো। এই চেনোতের নাম চিচিকান, এবং এটা ২৪ মিটার উচুঁ এবং পানির গভিরতা ৮ মিটার। সুন্দর একটা ওয়াটারফল ও আছে ওপরদিকে।

#কেলেক্টেড

যিনি টক আমকে মিষ্টি জাতে পরিণত করেনস্বাদ নেই বা টক, অথবা গাছ আম ধরার উপযোগী হয়েছে, কিন্তু ধরছে না—এমন সমস্যায় ডাক পড়ে আব...
08/09/2023

যিনি টক আমকে মিষ্টি জাতে পরিণত করেন

স্বাদ নেই বা টক, অথবা গাছ আম ধরার উপযোগী হয়েছে, কিন্তু ধরছে না—এমন সমস্যায় ডাক পড়ে আবদুল মান্নানের। ‘অকেজো’ এমন আমগাছে ‘টপ ওয়ার্কিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে জাত পরিবর্তন করেন তিনি। শুরুতে নিজের গাছে পরীক্ষা চালিয়ে সাফল্য পান। এখন আমের জাত পরিবর্তন করতে তাঁর ডাক পড়ে মিরসরাইসহ আশপাশের উপজেলায়ও। আমগাছের ডাক্তার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। কৃষি উদ্যোক্তা আবদুল মান্নান মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরের বাজার এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।

৩৮ বছর বয়সী আবদুল মান্নান মিরসরাইয়ের স্থানীয় স্নাতক (ডিগ্রি) পাস করেছেন। কৃষি বা উদ্ভিদবিজ্ঞানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তাঁর। পুরোদস্তুর এই কৃষি উদ্যোক্তা নিজের বাগানের আমগাছের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এই দক্ষতা অর্জন করেছেন। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা তাঁকে নানাভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।

আবদুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আমগাছে টপ ওয়ার্কিং হচ্ছে একটি বিশেষ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক আমগাছ ৪-৫ ফুট উচ্চতা পেলে কেটে ফেলতে হয়। এরপর কাটা অংশের চারপাশে কচি ঢাল গজায়। এক মাসের মাথায় গজানো সেসব ঢাল থেকে ৪-৫টি রেখে অন্যগুলো ছেঁটে ফেলে বাছাই করা ডালগুলোতে পছন্দসই জাতের আমের সায়ন দিয়ে গ্রাফটিং করতে হয়। এরপর এসব ডাল বড় হতে থাকে। গ্রাফটিং করার এক বছরের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। তবে ভালো ফলন পেতে প্রথম বছর মুকুল ছিঁড়ে ফেলতে হয়। এ পদ্ধতিতে একটি গাছে ৫-৭টি ভিন্ন জাতের আম ফলানো সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার মিরসরাইয়ের সাহেরখালী ভোরের বাজার এলাকায় দেখা হয় আবদুল মান্নানের সঙ্গে। মো. সেলিম নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ের ২০টি আমগাছে টপ ওয়ার্কিংয়ের কাজ করছিলেন আবদুল মান্নান। সেখানে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

কী করে শিখলেন এ পদ্ধতি, জানতে চাইলে আবদুল মান্নান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বইপড়া জ্ঞান নেই। এলাকায় আমার নিজের আমবাগান আছে। চার বছর আগে ঝড়ে একটি গাছ ভেঙে গেলে সে গাছ থেকে নতুন করে গজানো কচি ডালে ভিন্ন জাতের আমের সায়ন গ্রাফটিং করে সফল হয়েছিলাম। এরপর বাড়ির আশপাশের কিছু টক আম হয়, এমন গাছে জাত পরিবর্তন করেও ভালো ফলন পাই। এটি দেখে এলাকায় অনেকেই টপ ওয়ার্কিং পদ্ধতি প্রয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে আমের জাত পরিবর্তন করে দিতে প্রতিদিন ডাক পড়ে আমার। গত তিন বছরে মিরসরাই ও পাশের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অন্তত ৪০০ আমগাছের টপ ওয়ার্কিং করে সফলভাবে আমের জাত পরিবর্তন করে দিয়েছি। এ বিষয়ে আরও দক্ষতা বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছি।’

আবদুল মান্নানকে দিয়ে নিজেদের অনুন্নত জাতের ১০টি আমগাছের জাত পরিবর্তন করিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবুল হোসেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ একটি ব্যাপার। যে গাছগুলোর আম ছিল টক আর পানসে স্বাদের, আবদুল মান্নানের হাতে টপ ওয়ার্কিং করিয়ে জাত পরিবর্তনের পর সেসব গাছে এখন উন্নত জাতের আম ফলছে। এ মৌসুমেও এসব গাছ থেকে আমরা ৫-৬ মণ সুস্বাদু আম পেয়েছি। এমনটা সম্ভব তা আমার জানা ছিল না। মান্নানের এ উদ্যোগ এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।’

মিরসরাইয়ের বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ভূঞা আবদুল মান্নানকে দিয়ে তার বাড়ির ১২টি আমগাছের টপ ওয়ার্কিং করিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হর্টিকালচার সেন্টারে কাজ করার সময় আমগাছে টপ ওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে জাত পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত থাকায় মিরসরাইয়ের আবদুল মান্নানের আমগাছের টপ ওয়ার্কিং করার বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে মাঝেমধ্যে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। টপ ওয়ার্কিং আমের জাত উন্নয়নে খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। দেশের খুব কম জায়গায় এটি বিস্তার লাভ করেছে। আমি সীতাকুণ্ড উপজেলায়ও এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে চাইছি। মান্নানের উদ্যোগটি অবশ্যই অনুকরণীয়।’

#কালেক্টেড

১৯৫৬ সালে তিব্বত স্নোর একটি বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত নায়ক সন্তোষ কুমার । তাঁর প্রকৃত নাম ছিল স...
02/09/2023

১৯৫৬ সালে তিব্বত স্নোর একটি বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত নায়ক সন্তোষ কুমার । তাঁর প্রকৃত নাম ছিল সৈয়দ মুসা আব্বাস রাজা। পাকিস্তান চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম রোমান্টিক হিরো হিসেবে খ্যাত সন্তোষ কুমার। ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে তাঁর জন্ম । মেধাবী এই অভিনেতা সাফল্যের সাথে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তিনি চলচ্চিত্রেই মনোনিবেশ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান। তাঁর অভিনীত দো আসুঁ, ওয়াদা , সারফারোশ , ইন্তেজার সিনেমা গুলি তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অংশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বিজ্ঞাপনটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত আজাদ পত্রিকায় ১৯৫৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ছাপা হয়।

চাটগাঁ বা চিটাগং বা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের ইতিহাস:-হালিশহরঃ আরবি 'হাওয়ালে শহর' থেকে উদ্ভুত। অর্থ- 'শহর...
01/09/2023

চাটগাঁ বা চিটাগং বা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের ইতিহাস:-

হালিশহরঃ আরবি 'হাওয়ালে শহর' থেকে উদ্ভুত। অর্থ- 'শহরতলি'। এটি ছিল আরব বণিকদের সাময়িক বসবাসের জন্য নির্ধারিত স্থান।

সুলকবহরঃ আরব বণিকদের নৌবাণিজ্যের যুগে প্রাচীন কর্ণফুলী নদীর যে স্থানটিতে বাণিজ্যতরী অবস্থান করত সেটি 'সুলকুল বহর' নামে খ্যাত ছিল। আরবি 'সুলকুল বহর' শব্দের অর্থ- 'বাণিজ্যতরীর বিরতি স্থান- পোতাশ্রয়'। পরবর্তীতে এলাকাটি বর্তমানের 'সুলকবহর' নামে বিবর্তিত হয়েছে।

ষোলশহরঃ সুলকবহরের কাছের এই জায়গাটি 'চাহেলে শহর' নামে পরিচিত ছিল। আরবি চাহেলে শহর নামের অর্থ 'নদীর তীরবর্তী শহর' যা কালক্রমে ষোলশহর নাম ধারণ করে।

আন্দরকিল্লাঃ আরকানি আমলে এখানে প্রাচীন দুর্গ ছিল। নাম ছিল- 'চাটিগাঁ দুর্গ'। ১৬৬৬ সালে মোগল বাহিনী আরকানি বাহিনীকে পরাজিত করে এই দুর্গ দখল করলে প্রধান সেনাপতি উমেদ খাঁ এই দুর্গের নাম দেন 'আন্দরকিল্লা'।

লালদিঘিঃ বর্তমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে একটি পাকা ভবন ছিল যেটির দেওয়ালে লাল রঙ দেয়া হয়েছিল যা 'লালকুঠি' নামে পরিচিত ছিল। লালকুঠির সন্নিকটের দিঘিটি 'লালদিঘি' নামে বিখ্যাত হয়ে উঠে।

হাজারি লেনঃ আন্দরকিল্লার মধ্যস্থিত এই গলিতে বারজন মোগল 'হাজারি' বা সেনাপতির অন্যতম ভগবান সিং হাজারির বাড়ি ছিল। তা থেকে এই নামের উৎপত্তি।

মেহেদিবাগঃ চট্টগ্রাম শহরের এই এলাকাটিতে এককালে মেহেদি গাছের আধিক্য ছিল।

চকবাজারঃ পূর্ব নাম- 'সদরবাজার'। আরকানিদের হটিয়ে চট্টগ্রাম মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলে এই বাজার স্থাপনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের গোড়াপত্তন হয়। চট্টগ্রামের ১৮তম মোগল শাসক নবাব অলি বেগ খাঁ সদরবাজারের নাম 'চকবাজার' নামে পরিবর্তন করেন। চকবাজারেই 'অলি খাঁর মসজিদ' নামে পুরাতন একটি মসজিদ এখনো রয়েছে।

কাপাসগোলাঃ কার্পাস শব্দের বিকৃত রূপ 'কাপাস'। প্রাচীনকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্ত কার্পাস তুলা এখানে বিক্রির জন্য গোলাজাত বা জমা হতো বলে এই এলাকাটি 'কাপাসগোলা' নামে খ্যাত হয়।

কাঠগড়ঃ এই স্থানে আরকানিদের কাঠের নির্মিত দুর্গ ছিল। কাঠের দুর্গের অপর নাম ছিল 'কাঠগড়'।

লাভ লেইনঃ ব্রিটিশ আমলে এটি ছিল ইংরেজ কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় ইংরেজ নারী-পুরুষের প্রকাশ্য প্রেমের কারনে এই নামের উৎপত্তি।

আলকরণঃ আলকরণ অর্থ- গণ্ডারের শিং। আরব বাণিজ্যের যুগে এই এলাকায় গণ্ডারের শিং এর আড়ৎ ছিল। তৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে গণ্ডারের শিং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে রপ্তানি হতো।

অভয় মিত্রের ঘাটঃ ফিরিঙ্গি বাজার নিবাসী ধনাঢ্য রায় বাহাদুর অভয়চরণ মিত্রের নামানুসারে এই ঘাট।

দেবপাহাড়ঃ ব্রিটিশ সরকার শরচ্চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তির কাজে খুশি হয়ে তাঁকে পুরষ্কারস্বরূপ 'জয়নামা বা জাঁহানুমা' পাহাড়টি প্রদান করেন। শরচ্চন্দ্র ঐ পাহাড়শীর্ষে একটি দেবমন্দির নির্মাণ করে নতুন নাম দেন 'দেবপাহাড়'।

চন্দনপুরাঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎপাদিত আগরকাঠ প্রাচীনকাল হতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজযোগে ইউরোপে রপ্তানি হতো। আগরকাঠ সেকালে চট্টগ্রামবাসীর কাছে 'চন্দনকাঠ' নামে খ্যাত ছিল। বর্তমান চন্দনপুরা ছিল এসব চন্দনকাঠের গোলাঘর বা মজুতস্থান।

পার্সিভাল হিলঃ চন্দনপুরার বিপরীতের এক উচ্চ পাহাড়ে 'ব্রেডন পার্সিভাল' নামের এক পর্তুগিজ বাসিন্দা সপরিবারে বসবাস করার জন্য বাড়ি তৈরি করেন। এই পার্সিভাল পরিবারের একাধিক সদস্য পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। আরেক সদস্য ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় চট্টগ্রামের পার্সিভাল পরিবারের শেষ পুরুষ চট্টগ্রাম ত্যাগ করে লন্ডনবাসী হন।

পাথরঘাটাঃ কথিত আছে- পীর বদর শাহ আরব দেশ থেকে সমুদ্রপথে একটি পাথরের উপর সওয়ার হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। এবং সেই পাথরখানি কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী একটি স্থানে থেমে যাওয়ার পর তিনি তীরে উঠে আসেন। তখন থেকে এই জায়গার নাম 'পাথরঘাটা' নামে খ্যাত হয়৷

এনায়েত বাজারঃ এনায়েত খাঁ নামের একজন মোগল সেনাপতির নামানুসারে এই নামকরণ হয়েছিল। এনায়েত বাজার ছিল তৎকালীন মোগল সেনাবাহিনীর মুসলমান সেনাদলের আবাসস্থল।

টাইগার পাসঃ দু'পাশে উঁচু পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে এই রাস্তাটি সোজা চলে গেছে সমুদ্রে। ১৯ শতকের শেষার্ধেও এসব পাহাড় ছিল জনবসতিহীন, গভীর জঙ্গলাবৃত এবং বাঘের আখড়া। ১৮৬২ সালে চট্টগ্রামে কর্মরত ব্রিটিশ সিভিলিয়ান মিস্টার ক্লে'র আত্মজীবনী থেকে জানা যায়- এখানে নিয়মিত বাঘের আক্রমনে লোকে প্রাণ হারাতো, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে এই রাস্তা ধরে বাঘ চলাচল করতো বিধায় এটি "টাইগার পাস" নামে খ্যাত হয়। সেই ঐতিহাসিক স্মৃতির স্মারক হিসেবে বর্তমানে টাইগার পাস এলাকায় টাইগার বা বাঘের মূর্তি স্থাপিত আছে।

বাঘ ভ্যালিঃ চট্টেশ্বরী রোডের ওয়ার সিমেট্রির সন্নিকটস্থ এই পাহাড়ি এলাকাটি একসময় ছিল জনমানবহীন ও জঙ্গল আবৃত- সেখানে দিনে দুপুরে বাঘ বিচরণ করতো। এই এলাকায় বাঘ ধরার জন্য ফাঁদ পাতার ব্যবস্থা ছিল, জীবন্ত বাঘ ধরতে পারলে মিলতো পুরষ্কার। এভাবেই এলাকাটি বাঘভ্যালি বা বাঘের উপত্যকা হিসেবে খ্যাত হয়।

খুলশীঃ আরবি ও ফারসি ভাষার প্রচলিত "খোলাসা" শব্দ থেকে খুলশী নাম উদ্ভুত। খোলাসা অর্থ খোলামেলা, জনবিরল স্থান।

কাজির দেউড়িঃ কাজি মির আবদুল গণির নামানুসারে এই এলাকা খ্যাত হয়েছে। ১৮ শতকের গোড়ার দিকে তিনি দিল্লী গমন করে তৎকালীন মোগল সম্রাটের কাছ থেকে চট্টগ্রামের কাজী (বিচারক) এর দায়িত্ব লাভ করেন এবং স্টেডিয়ামের পূর্বদিকে নিজের দেউড়ি (বহির্বাড়ি) ও মসজিদ স্থাপন করেন।

আসাদগঞ্জঃ পটিয়া থানার বড় উঠান গ্রামনিবাসী ১৮ শতকের প্রখ্যাত জমিদার আসাদ আলী খাঁ'র নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয়েছে।

বকশীর হাটঃ ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে বাঁশখালীর নিবাসী বকশী হামিদ নামের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি এই বকশীর হাট স্থাপন করেন। বাঁশখালীর ইলসা গ্রামে বকশী হামিদের নামে দিঘি, মসজিদ ইত্যাদি নিদর্শন আজো বিদ্যমান।

খাতুনগঞ্জঃ উনবিংশ শতকে চট্টগ্রামের একজন অভিজাত, গুণী ও খ্যাতিমান ব্যক্তি ছিলেন খান বাহাদুর হামিদউল্লাহ খাঁ। তিনি ফারসি ভাষায় "তারিখে হামিদী" শিরোনামে প্রথম চট্টগ্রামের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছিলেন। হামিদউল্লাহ খাঁ'র ২য় পত্নীর নাম ছিল- খাতুন বিবি। কালক্রমে তাঁর স্ত্রী খাতুন বিবির নামে এই খাতুনগঞ্জ গড়ে উঠে।

রহমতগঞ্জঃ ১৬৯৮ সালে নবাব রহমতুল্লা চট্টগ্রামের শাসনকর্তা নিয়োগ হলে এই স্থান তাঁর নামে পরিচিত হয়ে উঠে। বর্তমান জে.এম.সেন হলের উত্তর পার্শ্বে নবাব রহমতুল্লাহর কবর বিদ্যমান রয়েছে।

ফিরিঙ্গি বাজারঃ ১৬ শতকের শুরুর দিকে চট্টগ্রামে পর্তুগিজ বণিকরা আগমন করে। তারা এদেশে "ফিরিঙ্গি" নামে খ্যাত ছিল। অত্র এলাকাটি ছিল ফিরিঙ্গি বণিকদের আড়ত।

রেয়াজুদ্দিন বাজারঃ এই এলাকাটি একসময় ছিল জমিদার দেওয়ান বৈদ্যনাথের বাগানবাড়ি। এখানে সেগুনবাগিচা ছিল। পরবর্তীতে এই এলাকাটি কিনে নেন চট্টগ্রামের প্রথম মুসলমান বিএ, বিএল শেখ রেয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির পিতা শেখ মোঃ ওয়াশীল। শেখ রেয়াজুদ্দিন এই এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ঘটালে এটি তাঁর নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

চেরাগী পাহাড়ঃ কথিত আছে- আরব দেশ থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত বদর শাহ নামক এক সুফি সাধক মাটি নির্মিত একটি চেরাগ বা চাটি হাতে নিয়ে সমুদ্রে পাথরের উপর আরোহন করে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান। তখন চট্টগ্রাম ছিল গভীর অরণ্যাবৃত এবং জ্বীনপরীর আবাসস্থল। বদর শাহ একটি অনুচ্চ পাহড়ে উঠতে গেলে জ্বীনপরীরা বাধা প্রদান করে এবং থাকার অনুমতি দেয়না। তখন বদর শাহ রাতের অন্ধকারে হাতের চেরাগটি পাহাড়ে রেখে জ্বালাবার স্থানটুকু দিতে অনুরোধ করলে জ্বিনেরা রাজি হয়। কিন্তু চেরাগ জ্বালাবার পর চেরাগের তেজ সহ্য করতে না পেরে জ্বিনেরা স্থান ত্যাগ করে এবং বদর শাহ সেখানে ইবাদাতের স্থান তৈয়ার করেন। উল্লেখ্য "চেরাগী পাহাড়" টি "চাটির পাহাড়" নামেও পরিচিত, চাটি অর্থ মৃৎপ্রদীপ। অনেকে ধারণা করেন- এই "চাটি" শব্দ থেকেই চাটিগাঁ> চাটগাঁ> চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। বর্তমানে এই চেরাগী পাহাড়ে চেরাগ সদৃশ একটি সুন্দর স্থাপনা নির্মিত আছে।

____________________________
তথ্যসূত্রঃ
* বন্দর শহর চট্টগ্রামঃ আবদুল হক চৌধুরী
* চট্টগ্রামের ইতিহাসঃ পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী
* চট্টগ্রামের ইতিহাসঃ ওহীদুল আলম
* বৃহত্তর চট্টলঃ মোহাম্মদ নুরুল হক
* From a Diary in Lower Bengle: Mr. A.St. Clay.

কপি পেস্ট© ফ্রম ফেইসবুক পেইজ।

28/08/2023
কি অবাক হচ্ছেন! একটি ধানের ছড়া প্রায় ১ ফুট লম্বা। ছড়ায় পুষ্ট ধানের সংখ্যা প্রায়৮৫০টি। হ্যাঁ আপনি ঠিকই দেখছেন। যেটা সমসাম...
28/08/2023

কি অবাক হচ্ছেন!
একটি ধানের ছড়া প্রায় ১ ফুট লম্বা।
ছড়ায় পুষ্ট ধানের সংখ্যা প্রায়৮৫০টি।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই দেখছেন। যেটা সমসাময়িক উফশী ধানের ক্ষেত্রে ২০০-২৫০টির মতো হয়ে থাকে।
এটা হfইব্রিড কোন জাত নয় ব্রি’র গবেষণালদ্ধ ইনব্রিড ধানের অগ্রসর লাইন। ধানের ফলন বৃদ্ধির জন্য ব্রিতে New Plant Type নিয়ে জোরালো গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে Reverse Genetics এর মাধ্যমে প্রতিটি শীষে ৮৫০টি পুষ্ট দানা উৎপাদনক্ষম এই কৌলিক সারি উদ্ভাবন করা হয়েছে যেখান থেকে ভবিষ্যতে আরো অধিক উৎপাদনশীল ধানের জাত তৈরি করা সম্ভব হবে। এই কৌলিকসারি জাত হিসেবে অবমুক্ত হলে ইনশাআল্লাহ দেশে আর কখনোই খাদ্য সংকট হবে না। #জয়তু #ব্রি #বিজ্ঞান #কৃষিবিদ

রাস্তাঘাটে খুব ব্যাস্ত ভঙ্গিতে সিএঞ্জি ভাড়া দেবার জন্য কেউ ১ হাজার টাকার নোটের ভাংতি চাইলে নোটটা হাতে নিয়ে ভালো করে চেক ...
27/08/2023

রাস্তাঘাটে খুব ব্যাস্ত ভঙ্গিতে সিএঞ্জি ভাড়া দেবার জন্য কেউ ১ হাজার টাকার নোটের ভাংতি চাইলে নোটটা হাতে নিয়ে ভালো করে চেক করবেন আগে। তারপর ভাংতি চাওয়া ব্যাক্তিকে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন।

এভাবে নকল ১ হাজার টাকার নোট বাজারে ছড়াচ্ছে একটা গোষ্ঠি।
সন্ধ্যা বেলায় তাদের তৎপরতা বেশী থাকে।

খালি চোখে নোটটা ধরার কোন উপায় নাই। তবে দুইটা আলাদা কাগজ জোড়া দিয়ে নোটের জিএসএম বাড়ানো হইছে। কর্নারে একটু ভালো করে মুচড়ে লক্ষ্য করলেই বুঝে যাবেন যে দুটো কাগজ জোড়া লাগিয়ে এই নকল নোট বানানো হইছে।

(আমি ধরা খেয়েছি বেইলি রোডে।)

#জালনোট

This coins save that soldier during world war one. Picture courtesy: collect from internet.
22/08/2023

This coins save that soldier during world war one.
Picture courtesy: collect from internet.

20/08/2023

মাংকি বিজনেস এবং MTFE Scam!
------------------------------------

কোন এক গ্রামে অনেক বানর ছিল। একদিন সেখানে এক দরবেশ বাবার আবির্ভাব ঘটলো। তিনি তার বিশাল শাগরেদ দল নিয়ে গ্রামে আস্তানা গাড়লেন। প্রথমদিনেই দরবেশের শাগরেদগণ ঘোষণা দিলেন যে, বাবা বানর কিনবেন। প্রতিটি বানর ১০ টাকা করে।

১০ টাকার জন্য কে আর বানরের পিছনে দৌড়াবে? তারপরও যাদের কিছু করার নেই, তারা কিছু বানর ধরে এনে বাবাকে দিলেন। কিছুদিন পরে বাবা ঘোষণা দিলেন তিনি বানর ১০০ টাকা করে কিনবেন। এবার অনেকেই নড়ে বসলেন। অনেকেই বানর ধরলেন এবং বাবার কাছে বিক্রি করলেন।

আরও কিছুদিন পর বাবা ঘোষণা করলেন তিনি এখন বানর ৫০০ টাকা করে কিনবেন। পুরো গ্রামে হুলুস্থুল পড়ে গেল। কৃষক মাঠ ফেলে, বাচ্চারা স্কুল ফাকি দিয়ে, গৃহিণী চুলোর আগুন নিভিয়ে, সবাই বানর ধরতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। বাবা বানরের দাম আরও বাড়িয়ে দিলেন। এখন ১০০০ টাকা! গ্রামের লোকেরা এখন আর কিছু করে না। তারা শুধুই বানর ধরে আর বাবার কাছে বিক্রি করে।

এভাবে ভালই চলছিলো কিন্তু গ্রামে বানর শেষ! সব বানর বাবার খাঁচায়। গ্রামের লোক পাগলের মত চারিদিকে বানর খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু বানর আর পায়না।

এর মাঝে বাবার কিছু চালাক শাগরেদ চুপি চুপি লোকদের বলল, তারা বাবার খাঁচা থেকে বানর বের করে দিতে পারবে। বিনিময় মাত্র ৯০০ টাকা।

সবাই আবার হুড়মুড় করে পড়ল শাগরেদদের থেকে বানর কেনবার জন্য। কোন পরিশ্রম ছাড়াই, ঘরে বসে এত লাভ! এর চেয়ে ভাল ব্যবসা আর হয় নাকি। তারা শাগরেদদের থেকে বানর কেনে আর বাবাকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করে। নগদে ১০০ টাকা লাভ।

কিছুদিন পর বাবা ঘোষণা দিলেন তিনি এখন বানর ২০০০ টাকা করে কিনবেন। শাগরেদরাও দাম বাড়িয়ে দিল। তারা এখন প্রতি বানর ১৮০০ টাকা করে বেচে। তারপরও লোকের চাহিদা মেটাতে পারেনা। এবার বাবা দাম বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করলেন। লোকেতো এখন পাগল প্রায়। শাগরেদরা এখন বানর ৪০০০ টাকা করেছে...

শাগরেদরা এখন লোককে বলতে লাগল, যে বানর কিনে নিয়ে যাও, তবে এখনই বিক্রি করে দিয়োনা। আর কিছুদিন পরেই বাবা ১০০০০ টাকা দিয়ে বানর কিনবে এবং তাদের কাছে গোপন সংবাদ আছে যে বাবা বানর সর্বোচ্চ ৫০০০০ টাকা দিয়ে কিনবেন।

আর পায় কে! সবাই তাদের জমানো টাকা ভেঙ্গে, মহিলারা তাদের গহনা বিক্রি করে, বয়স্করা তাদের পেনশনের টাকা তুলে, যুবকেরা পড়া লেখা বাদ দিয়ে, ব্যবসায়িরা ব্যবসার মূলধন ভেঙ্গে ৪০০০ টাকা করে বানর কিনে স্টক করলো। অনেকে জমিজমাও বিক্রি করে দিলেন। সবাই বানর কিনছেই আর কিনছে। বিক্রি করেনা।

এদিকে বাবাও দাম বাড়িয়ে চলছেন । ১০০০০, ১৫০০০, ২০০০০ … । কিন্তু কেউ এখন বিক্রি করবেনা। সবাই অপেক্ষা করছে কখন ৫০০০০ টাকার কাছকাছি যাবে। পুরো গ্রামে উত্তেজনা। এই বুঝি বড়লোক হয়ে গেলাম।

যারা বানর কিনেনি তাদের নিয়ে লোকজন হাসাহাসি করে, ঈশ কত বোকা!

একদিন সকালে তারা দেখল বাবার আস্তানা খালি। বাবা আর তার শাগরেদরা তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে গায়েব। পুরো গ্রাম এখন শুধুই বানরময়। একেই বলে মাংকি বিজনেস।

এই গল্পের বানরের জায়গায় ক্রিপ্টোকারেন্সি কল্পনা করে পড়ে MTFE এর সাথে কি মিল তা আপনারাই খুঁজে বের করুন।

লিখেছেন: Alamin Mohammed


#ক্রিপ্টোকারেন্সি
#প্রতারণা

Address

Sharjah

Telephone

+971555889566

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al Bakky Al Mizan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Sharjah

Show All