Ranna Recipes

  • Home
  • Ranna Recipes

Ranna Recipes Hello..Friends,welcome to my cooking page Ranna Recipes.please visite my You Tube Link- https://www.youtube.com/channel/UCpUhtttwPGp_zx5fZG1fHsw

05/08/2024

খায়বার যুদ্ধে এক ব্যক্তি গণিমতের মাল থেকে কিছু একটা সরিয়ে রেখেছিল। পরে সে যখন মারা যায়, রাসূল সা. তার জানাযা পড়ালেন না। সাহাবীরা এতে খুব অবাক হলেন। কারণ, সেও তাদের মতো একজন মুজাহিদ ছিল।
নবিজি সা. তখন বলেন, "সে সম্পদ আত্মসাৎ করেছে।" সাহাবীরা তল্লাসি চালিয়ে দেখলো, আসলেই সে একটি রেশমি বস্ত্র আত্মসাৎ করেছিল। (তিরমিযী, মিশকাত, পৃ. ২৪২)
আরেক হাদীসে রাসূল (সা) সরাসরি বলেছেন, "নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ দখল করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম রয়েছে।" (বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৯৫)।
অথচ আজকে আমরা অনেকেই বিজয়ের খুশিতে উল্লাসিত হতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করছি, লুট করছি। ভুলে যাচ্ছি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা কবিরা গুনাহ। এর ফলে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কেউ কেউ এই সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অমুসলিমদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ইসলাম এবং মুসলিমদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অথচ হাদীসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (বুখারী, হাদিস : ২৯৯৫)
বরং ঈমানের দাবী হচ্ছে, জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হাদীসে এসেছে, "যাকে মানুষ তাদের জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে সে-ই প্রকৃত মুমিন।" (তিরমিযী ২৬২৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বোঝার তাওফীক দিক এবং বিজয়ের আনন্দ প্রকাশের সঠিক পন্থা অবলম্বনের তাওফীক দিক।

Collected

05/06/2024
৮ জুন থেকে ১৭ জুন ইনশাআল্লাহ...এই ১০ দিন একটা মুহুর্তও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন। ❤️🔴 জিলহজ্জ মাসের ...
05/06/2024

৮ জুন থেকে ১৭ জুন ইনশাআল্লাহ...এই ১০ দিন একটা মুহুর্তও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন। ❤️

🔴 জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলঃ

১.অধিক পরিমাণে তাকবির পড়া।
২. ৯ দিন রোজা (না পারলে অন্তত শেষের ২ দিন)।
৩. আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ।
৪. প্রতিদিন কমপক্ষে ২ রাকাআত তাহাজ্জুদ।
৫. ইশরাক, চাশত, সালাতুদ দুহার নামাজ আদায় করা।
৬. সামর্থ্য অনুযায়ী গোপনে দান সাদাকা।
৭. যথাসম্ভব নফল নামাজ পড়া।
৮. কমপক্ষে ১ পারা কুরআন তেলাওয়াত।
৯.অনবরত জিকির ইস্তেগফার ,তাসবীহ ,তাহলীল,দুরুদ পড়া।
১০. অধিক পরিমাণে তওবা করা।
১১. অধিক পরিমাণে জিকির করা (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লহ, আল্লাহুম্মাগফিরলি, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম)।
১২. সুরা বাকারার শেষ ২আয়াত পাঠ করা রাতে ঘুমানোর আগে।
১৩. সুন্নাহ অনুযায়ী সব কাজ করা।

__আলহামদুলিল্লাহ..!! ❤️

05/06/2024

৮ জুন থেকে ১৭ জুন
বেশি বেশি নফল আমল করা , এই ১০ দিন আপনাদের জন্য। একটা মুহুর্ত ও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল
১.অধিক পরিমাণে তাকবির পড়া
২.৯ দিন রোজা (না পারলে অন্তত শেষের ২ দিন)
৩.আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ
৪.প্রতিদিন কমপক্ষে ২ রাকাআত তাহাজ্জুদ

৫.ইশরাক, চাশত, সালাতুদ দুহার নামাজ আদায় করা
৬.সামর্থ্য অনুযায়ী গোপনে দান সাদাকা
৭.যথাসম্ভব নফল নামাজ পড়া

৮.কমপক্ষে ১ পারা কুরআন তেলাওয়াত
৯.অনবরত জিকির ইস্তেগফার ,তাসবীহ ,তাহলীল, ১০.দুরুদ পড়া
১১. অধিক পরিমাণে তওবা করা
১২. অধিক পরিমাণে জিকির করা (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লহ, আল্লাহুম্মাগফিরলি, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবেহানাল্লাহিল আজিম)
১৩. সুরা বাকারার শেষ ২আয়াত, সুরা মুলক পাঠ করা রাতে ঘুমানোর আগে
১৪, সুন্নাহ অনুযায়ী সব কাজ করা।
আল্লাহ্ তা' আলা আমাকে সহ আপনাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক

আমিন🤲🤲

05/05/2024

আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন উত্তম পরিকল্পনাকারী,,তিনি বান্দার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেন তা সবসময়ই উত্তম হয়,,অনেক সময় আমরা বান্দারা আল্লাহ থেকে যা চাই,তা আমাদের জন্য কল্যানময় হয়না,,কিন্তু তা বুঝার ক্ষমতা আমাদের নাই,,রব্ব কিন্তু ঠিকি জানেন,,তার বান্দা যে জিনিস টা প্রাপ্তির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা তার জন্য কষ্টদায়ক হবে,,তাই প্রায়ই দেখা যায়,, আমরা যা চাই,,আল্লাহ তা না দিয়ে,, অন্য কিছু দেন,,,

ঠিক তখন আমরা অনেকেই হতাশ হই,,ভাবি কেন যা চাইলাম তা পাইনি,,এখানেই শুরু হয়, রাব্বুল আলামিনের ফায়সালার বিরোধীতা,, উত্তম মুমিন কখনোই রব্বের ফায়সালায় অসন্তুষ্ট হয়না।।

তারা সব ক্ষেত্রে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলেই যায়।।

রব্ব যখন দেখেন,,তার বান্দা তার রব্বের ফায়সালায় খুশি,,যদিও তার বান্দা উক্ত জিনিস টা আশা করেনি,সে অন্যকিছু চেয়েছিল,,ঠিক তখন রব্ব তার বান্দার তাওয়াক্কুল দেখে খুশি হয়ে যান।।

রব্ব এর খুশি থেকে বড় সুসংবাদ একজনের মুমিনের জন্য আর কি বা হতে পারে?

তাই সবসময় রব্বের ফায়সালাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে,,কারন তিনি জানেন আমাদের জন্য কোনটা উত্তম আর কোনটা অনুত্তম❤️

30/04/2024

মোট ১১ টা আমল দেয়া আছে। প্রথম ৪ টা কোনমতেই বাদ দিবেন না।
১। আয়াতুল কুরসী – প্রতি ফরজ নামাযের পরই একবার করে পড়বেন
অবশ্যই অবশ্যই। আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার।

২। সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার (বিঃ দ্রঃ
অনেকে মুখস্ত করেন নি। দ্রুত করে নিবেন। লিখে দিচ্ছি, বাংলা
উচ্চারণে। আরবী ফন্ট অনেকের কাজ করেনা।

"আ-মানার-রাসুলু বিমা- উনজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনুন। কুল্লুন আমানা
বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফার-রিকু বাইনা আহা’দিম-মির
রুসুলিহ। ওয়া 'ক্বলু সামি’না, ওয়া আতা’ না, গুফরা নাকা, রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।
লা~ ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস-আ’হা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আ’লাইহা মাক
তাসাবাত। রব্বানা লা~ তু আখিজনা- ইন্ নাসিনা- আও আখত্বা’না। রাব্বানা ওয়ালা তাহ’মিল
আ’লাইনা ইসরান কামা হা’মালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্ববলিনা। রব্বানা ওয়ালা তুহা’ম্মিল
না মা-লা~ ত্ব কতালানা বিহ। ওয়া আ’ফু আ’ন্না, ওয়াগ ফিরলানা, ওয়ার হা’মনা। আনতা
মাওলানা, ফানসুরনা আ’লাল ক্বওমিল কা-ফিরিন"

(এটার ফযিলত তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমতুল্য!!! আর কি চাই বলুন! এত মর্যাদাপূর্ণ
ইবাদাত, না করতে পারলেও করার সমান সওয়াব হয়ে যাবে এটা পড়লেই!!
সুবহান আল্লাহ্। কতই না বরকতময় এই দুই আয়াত! )

৩। সুরা ইখলাস পাঠ করা – ১০ বার, না পারলে ৩ বার। ( প্রতি ৩ বার পড়লে
একবার কুরআন খতমের সওয়াব হয় ইন শা আল্লাহ)

৪। দশবার দরুদ
শুধু "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" পড়লেও হয়ে যাবে। (একবার দরুদ
পড়লে দশবার আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়, রাসূল ﷺ খুশি হন; বিচার দিবসে তাঁর
শাফায়াত পাওয়া সহজ হবে ইন শা আল্লাহ)

সাথে রাসূল (স) এর ঘুমানোর দুয়া "আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া"
পড়ে নেয়া। ডান কাধ হয়ে শোয়া।

২,,
৫। ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহা’মদুলিল্লাহ ,৩৪ বার আল্লাহু আকবার
পড়া

৬। দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাস পড়ে
তাতে ফুঁ দিবেন: তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতটা অংশ সম্ভব
মাসেহ করবেন। মাসেহ আরম্ভ করবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের
সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার।)

৩,,
৬। ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
যে ব্যাক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’
পড়বে।তার গোনাহ মাফ হইয়া যাইবে,যদিও তা সাগরের ফেনা থেকেও
বেশী হয়’। (বুখারী ও মুসলিম)

৭।
প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন (আশ্হাদু আন লা-~ইলাহা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা~ শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া
রাসূলুহূ) ।
এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে
পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।

৪,,
৮। ঘুমাচ্ছেন, ঘুম যখন ভেঙ্গে যাবে---- তখন এইটা পড়ে নিবেন--
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ‏» ‏« ﺭَﺏِّ
ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ ».
লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া
হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদুলিল্লাহি, ওয়া লা~ ইলা-হা
ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল
‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী
অর্থ- “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো
শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর
ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া
কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং
(সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা
করুন”।

উবাদা ইবনু সামিত (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ( ﷺ ) বলেছে‘ন, “যদি কারো
রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায় অতঃপর সে উপরের যিকিরের বাক্যগুলো পাঠ
করে এবং এরপর সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় অথবা কোনো প্রকার
দু‘আ করে বা কিছু চায় তবে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে এরপর
উঠে ওযু করে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত কবুল
করা হবে।”
(সহীহ বুখারী, ১/৩৮৭, নং ১১০৩)
৯। প্রত্যেক সকাল ও সন্ধ্যায় সাইয়িদুল ইস্তিগফার পড়া। ক্ষমার শ্রেষ্ঠ দুয়া।
~~~~~
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ
করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে
মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻰْ ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻰْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ
ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻰْ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟِﻰْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ -
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী, ওয়া
আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন
শাররি মা সানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বি যাম্বী ফাগফিরলী
ফা ইন্নাহূ লা~ ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
১০। সূরা মুলক (কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে)১১, তাহাজ্জুত সালাত। ( এসময় খুব বেশি দোয়া কবুল হয়)

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে
সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।

- (সুরা ইমরান ৩:১০৪ )

30/03/2024

বিসমিল্লাহীর রহমানির রহীম
যা করবো ৮৩ বছর দিয়ে গুন হবে! সুবহানঅাল্লাহ!❤
১.ফরজ সালাহ অনেক মনোযোগ সহকারে, যত্ন নিয়ে পড়া।

২.তিনবার সুরা ইখলাস =১বার কুরআন খতমের সওয়াব!যা গুন হবে ৮৩ বছর দিয়ে মানে ৮৩ বছর ধরে আমি একবার করে কুরআন খতম দিচ্ছি!

৩.দশবার সুরা ইখলাস =জান্নাতে ১ টি বাড়ি নিরমান হবে!×৮৩ বছর!

৪.শুকুরানার সিজদা (দীর্ঘ করে)=আল্লাহর শোকরগোজারী বান্দার অন্তর্ভুক্ত ×৮৩ বছর!

৫.আল্লাহর ৯৯ নাম পড়তে পারি =৮৩ বছর ধরে পড়ছি!

৬.সুরা মুলক= ৮৩ বছর ধরে কবরের ফিতনা থেকে বাচার চেষ্টা!

৭.সুরা কাহাফ(১ম ১০ আয়াত) =৮৩ বছর ধরে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচার চেষ্টা!

৮.সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত=ঐ রাতের জন্য যথেষ্ট আমল!

৯.মিনিমাম ১ টা কুরআনের আয়াত মুখস্থ /হিফয করা=৮৩ বছর ধরে হিফয করার চেষ্টার সওয়াব!

১০.মিনিমাম ১ টা হাদিস পড়া=৮৩ বছর ধরে হাদিস পড়ার (তালিবে ইলম) সওয়াব!

১১.সাদাকা করা= ৮৩ বছর ধরে করছি!

১২.দুই রাকাত তওবার সালাহ=৮৩ বছর ধরে তওবা করছি!

১৩.যিকির করা=৮৩ বছর ধরে করছি! (বিশেষ করে-কালেমা,দুরুদ,ইস্তেগফার,সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার, সুবহানঅাল্লাহ,অালহামদুলিল্লাহ,আল্লাহুঅাকবার)

১৪.কদরের দুয়া শুদ্ধভাবে পড়ব=৮৩ বছর ধরে পড়ছি!

১৫.সুরা বাকারার ১২৭ নং দুয়াটা পড়তে পারি,ইবাদতে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আল্লাহ মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ! (ইব্রাহিম (অাঃ) কাবাঘর যখন পুনঃস্থাপন করেন তখন এই দুয়া পড়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন) Dua of acceptance!
❤️প্রার্থনা কবুলের দোয়া :

‎ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‎وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
রাব্বানা- তাকাব্বাল্ মিন্না--- ইন্নাকা আন্তাস্ সামী-‘উল ‘আলী---ম্। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা--- ইন্নাকা আন্তাত্ তাওওয়া-বুর্ রাহি---ম্। হে আমাদের রব! আমাদের থেকে আপনি কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু।[২:১২৭-১২৮]

১৬.মজলিস/বৈঠক শেষের দুয়াটা পড়তে পারি(রাসুল সাঃ সালাহ, কুরআন / যেকোনো আমলের শেষে কাফফারা হিসেবে এ দুয়াটা পড়তেন!)
হিসনুল মুসলিম এপ্স এ পাবেন ৮৫ নং দুয়া।
বৈঠকের কাফ্‌ফারা (ক্ষতিপূরণ)

‎196- «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ».
(সুব্‌হা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
১৯৬- “হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ব কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি।”[হাদীসটি সুনান গ্রন্থকারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবু দাঊদ, নং ৪৮৫৮; তিরমিযী, নং ৩৪৩৩; নাসাঈ, নং ১৩৪৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৩। তাছাড়া এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোনো মজলিসে বসেছেন, অথবা কুরআন তেলাওয়াত করেছেন, অথবা সালাত আদায় করেছেন, তখনই একে কিছু বাক্যের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। …। হাদীসটি নাসাঈ তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থে নং ৩০৮ এ বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে আহমাদ, ৬/৭৭, নং ২৪৪৮৬। আর ড. ফারূক হাম্মাদাহ, ইমাম নাসাঈ এর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থের তাহকীকের সময় এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। পৃ. ২৭৩।

ইয়া যুলফাদ্বলিল আযীম!
আমাদের সকলকে কবুলযোগ্যভাবে শেষ ১০ দিন অন্তরের তৃপ্তি মিটায়, ইবাদাতের স্বাদ নিয়ে নিয়ে আমল করার তৌফিক দিন।এমন স্বাদ এই অন্তরে বাকি দিনগুলোতে দিন, যাতে করে রামাদানের চলে যাওয়া দিন,সময় ও মুহূর্তগুলার জন্য আর এতটুকুও আফসোস না হয়!

ইয়া আরহামুর রহিমীন!এই রামাদানে কদর রাত আমাদের কবুলযোগ্যভাবে পাওয়ায় দিন,সেই রাতে পৃথিবীতে যতটুকু কল্যাণ আপনি নাযিল করবেন তার সবটুকু আমাদের পাওয়ায় দিন,স্বাদ নিয়ে যেন জীবনের সর্বোওম ইবাদাত যা আপনার অনেক পছন্দ হবে,করতে করতে যেন সেই রাত অতিবাহিত করতে পারি সেই তৌফিক দিন আপনার অনুগ্রহে। আমীন❤

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা আয়েশা রা. কে শিখিয়েছিলেন।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বল:
‎اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারীম তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী।
“হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন। অত:এব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।”
(তিরমিযী, অনুচ্ছেদ, কোন দুয়াটি শ্রেষ্ঠ। তিনি বলেন: হাদিসটি হাসান, সহীহ, শাইখ আলবানী রহ. এ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। দ্র: সহীহুত তিরমিযী, হা/৩৫১৩)।
মুসনাদে আহমাদে كريمٌ ”কারীমুন” শব্দ ছাড়া বর্ণিত হয়েছে। উভয়টি সহীহ।সংগৃহীত

02/03/2024

এক ব্যক্তি ইব্রাহীম বিন আদহাম রহ. কে বললেন, তিনি রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতে পারেন না। তিনি তাহাজ্জুদ পড়তে চান।
====================================================
ইব্রাহীম বললেন, তুমি দিনে গুনাহ করো তাই রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে পারো না। রাতে তাহাজ্জুদে দাঁড়ানো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সম্মান যা গুনাহগারদের দেয়া হয় না।
বিখ্যাত তাবেঈন সুফিয়ান আস সাওরি রহ. বলেন, তিনি একবার টানা ৫ মাস তাহাজ্জুদ পড়তে পারেননি। কারণ তিনি বলেছেন তিনি গুনাহ করেছেন! সুবহানাল্লাহ!
অথচ সুফিয়ান আস সাওরি রহ. ছিলেন উনার যুগের একজন শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ!
এক ব্যক্তি হাসান আল বসরি রহ. এর কাছে এসে বলল, আমার ভাল ঘুম হয়, ভাল বিশ্রাম হয়, আমার কোন অসুস্থতা নেই। কিন্তু এতো প্রস্তুতির পরও আমি শেষ রাতে ক্বিয়ামের জন্য দাঁড়াতে পারি না।
হাসান রহ. বললেন, তোমার গুনাহ তোমাকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে। তোমার দিনের গুনাহ তোমাকে রাতের ক্বিয়াম থেকে বিরত রাখে। দিনের গুনাহর ফলে একজন মুসলিম রাতের ক্বিয়ামের সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়।
আবু জাফর রহ. বলেন, আমি আহমাদ ইবন ইয়াহিয়ার রহ. কাছে গেলাম এবং দেখলাম তিনি কাঁদছেন। আমি কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম।
আহমাদ বললেন, আমি তাহাজ্জুদ মিস করেছি।
আবু জাফর বললেন, ঠিক আছে। আল্লাহ্ আপনাকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন। আবু জাফর বললেন, আমি যতই উনাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম তিনি ততই কাঁদতে লাগলেন।
আহমাদ বললেন, এটি আমার গুনাহের কারণেই হয়েছে।
ক্বিয়াম হল আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়া।
আল্লাহর ডাকে আমরা কীভাবে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারি?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সবাইকে তাহাজ্জুদ গুজার তাওফিক দান করুন।
"শাইখ আহমাদ মুসা জিব্রিল হাফিযাহুল্লাহ-এর লেকচার থেকে অনূদিত"
Collected

31/12/2023

'জান্নাতীদের কেউ কেউ জাহান্নামীদের দেখে বিস্ময় প্রকাশ করবে। বলবে, আরেহ, আপনারা জাহান্নামে গেলেন কী করে? অথচ আমরা আপনাদের কাছ থেকেই আদব কায়দা শিখেছিলাম, দ্বীনের জ্ঞান পেয়েছিলাম। এগুলোর বরকতেই তো আমরা জান্নাত পেয়েছি। কিন্তু আপনাদের এই অবস্থা কেন?'' তখন উত্তরে তারা বলবে, 'আমরা আমলের কথা বলতাম ঠিকই, কিন্তু নিজেরা করতাম না।'

— ইমাম শাবী (রহ.)
[মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ, ১৩/৪]

OHEE - ওহী

25/06/2023

#পিরিয়ড ও নিফাস অবস্থায় নিষিদ্ধ ও করণীয় আমল -
পিরিয়ড অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবেনা, এবং তিলাওয়াতের নিয়তে ছোট এক আয়াতও পড়া যাবেনা। এব্যাপারে হাদীসে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১)

অনেকেই মনে করেন কুরআন দেখে পড়া না গেলেও ওজীফার বই ও মোবাইল ফোন থেকে কুরআন পড়া যাবে, এটি ভুল ধারণা। এসময় কুরআন তিলাওয়াতই নিষিদ্ধ। চাই কুরআন দেখে পড়েন বা মোবাইল, কম্পিউটার জাতীয় অন্য কোনো ডিভাইস থেকে। এমনকি মুখস্থ সূরা বা কোনো আয়াতও তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য পড়া যাবেনা। তবে কুরআন শিখার উদ্দেশ্যে, বাচ্চাদের শিখানোর জন্য ও মুখস্থ জন্য স্পর্শ ব্যাতিত অল্প অল্প করে ভেঙ্গে শব্দ উচ্চারণ করে পড়তে পারবেন। কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারবেন।

কুরআন পড়া নিষেধ হলেও কুরআনের যে সমস্ত আয়াত দোয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে আয়াত গুলো দোয়ার জন্য পড়া যাবে। যেমনঃ রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিপদ আপদ বা বালা মুসিবত হতে মুক্তির জন্যে কুরআনে যে সমস্ত আয়াত রয়েছে, নিজেদের রক্ষার্থে মহিলারা এঅবস্থায় সেগুলোও পড়তে পারবে। যেমনঃ তিন কুল (সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস), আয়াতুল কুরসী, দোয়া ইউনুস ইত্যাদি। কিন্তু সুরা কাফিরুন পড়া যাবে না।
অনেকেই মনে করেন এসময় হাদীস বা অন্যান্য আরবী লিখিত বই, ইসলামিক বই পড়া ও স্পর্শ করা যাবেনা। অন্যান্য ভাষার মত আরবী একটি ভাষা। অতএব কুরআনের আয়াত ছাড়া আরবী ভাষায় লিখা অন্য যেকোনো কিছুই পড়া ও স্পর্শ করা যাবে। নিষিদ্ধতা কেবল কুরআন তিলাওয়াত ও স্পর্শের ক্ষেত্রে।

পিরিয়ড হলে অনেক মহিলারাই কোনো ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন না মনে করে হীনমন্যতায় ভুগেন। পিরিয়ড মহিলাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক উপকারী রীতি তাই পিরিয়ড হলে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। এসময় যেহেতু নামাজ ও তিলাওয়াত করার সুযোগ হচ্ছেনা সেহেতু বেশি পরিমাণে দোয়া দুরুদ, যিকির ও ইস্তেগফার বাড়িয়ে দিবেন। কেননা সূরা আনকাবুতের ৪৫ নাম্বার আয়াতে যিকিরকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে।
এছাড়াও, আল্লাহর অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারী নারীর জন্য আল্লাহ প্রস্ত্তত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (সূরা আহযাব : ৩৫)
পিরিয়ডের গ্যাপের কারণে নামাজ শুরু হলে অনেকের নামাজের প্রতি গাফলতি চলে আসে, নামাজ পড়তে ইচ্ছে করেনা। বা পড়লেও অনেক হেলে দুলে কোনো রকমে নামাজ শেষ করে। এই অনীহা দূর করতে এবং নামাজের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে প্রতি ওয়াক্তে নামাজের সময়টাতে জায়নামাজে বসে তাসবীহ, দোয়া দুরুদ ও যিকির করতে পারন। এতে করে ইনশাআল্লাহ সুস্থ হওয়ার পর অনীহা ভাবটা আসবেনা।

✍️Sadia Samha
(দাওরায়ে হাদীস)

#এডমিন

14/04/2023

যে কোনো অসুস্থতার জন্য একটা পরিক্ষিত আমল....

১. সূরাহ ফাতিহা ৭ বার

২. তিন কূল ৩ বার

৩. আয়াতুল কুরসী ১ বার

৪. বিস্‌মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম ৩ বার

(بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ)

৫. আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খলাক্বা। ৩ বার

(أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ)

৬. আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল-ফাক্বরি ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা

(اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ)

৭. আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকামি

(اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئْ الأَسْقَامِ)

এক বোতল পানিতে দম করে রেখে বাসার ছোটো বাচ্চাসহ অন্যান্য সদস্যদেরও খাওয়ানো।

সাথে সুন্নাহ তরীকাতে অল্প পরিমানে খাওয়া, খাবারের ম্যানুতে দুধ, কালোজিরা, মধু, খেজুর, বাদাম, জমজম পানি রেগুলার রাখা। কাজগুলো ইয়াকিনের সাথে করলে আশ-শাফি অবশ্য অবশ্যই শিফা দান করবেন।

প্রতিনিয়ত ইস্তিগফার, দূরূদ, দুয়া ইউনুস, সাদাকাহ আর মাখলুকের উপকারের ফিকিরের মাধ্যমে মিলে শরীর এবং আত্নার প্রশান্তি, নিরাপত্তা। সুবহানআল্লাহ!

হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি আমার চল্লিশ টি হাদিস আমার উম্মতের কাছে পৌঁছাবে তার জন্য আমি বিশেষ ভাবে কিয়ামতের দিন...
20/03/2023

হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,
যে ব্যক্তি আমার চল্লিশ টি হাদিস আমার উম্মতের কাছে পৌঁছাবে তার জন্য আমি বিশেষ ভাবে কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবো🕌
সুবহানাল্লাহ! ❤️✨

01/03/2023

আমার স্ত্রীকে আমার আর ভালো লাগে না,এর ব্যাখ্যা কি ডক্টর?তাকে এখন আর আমার পছন্দ না।সাইকোলজির মতে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।

অপর পাশে বসা ভদ্রলোকের কথা শুনে বিস্মিত হইনি মোটেই।এরকম উদ্ভট ঘটনা নিয়ে প্রায়ই লোক আসে আমার কাছে।আমি মুচকি হেসে চশমা ঠিক করলাম।বললাম,

চা খাবেন নাকি কফি?

কিছু খেতে চাই না।আমি আমার সমস্যা নিয়ে সিরিয়াস ডক্টর।এর পার্মানেন্ট সলুউশন দরকার।

আমি চা অর্ডার করলাম।বললাম আপনি আপনার প্রবলেম টা ক্লিয়ারলি বলুন।কেন ভালো লাগে না,কবে থেকে ভালো লাগে না এ টু জেড।

লোকটি কলার ঠিক করলো।চায়ে চুমুক দিয় বলতে শুরু করলো,

আমার স্ত্রী এর সাথে আমার প্রেমের বিয়ে!তখন তার বয়স ছিল উনিশ।ভার্সিটি লাইফের প্রেম আমাদের।সেসময় সে প্রচন্ড সুন্দর ছিল।তার রুপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেই।তাকে রাজি করাতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে আমায়।সে এতটাই সুন্দর ছিল যে আমার বন্ধুরাও তার রুপে বিমোহিত হতো।গত চার বছর আগে আমি তাকে পালিয়ে এনে বিয়ে করি।কারন তার মা বাবা আমার সাথে অনন্যার বিয়ে দিবে না।তাদের একটাই সমস্যা ছিল যে আমার মাসিক আয় তখন কম,যা এখন একটু বেড়েছে!তাছাড়া অনন্যা তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে তাই বড়লোক ছেলে খুঁজছিল,সেক্ষেত্রে আমি মধ্যবিত্ত।অনন্যা নিজেও আমায় খুব ভালোবাসতো, কেয়ার করতো।ইদানিং সে সবসময় খিটখিট করে।অফিস থেকে ফিরলেই এটা ওটা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে।আগের মতো আমার খেয়াল রাখা তো দূর আমার কোনকিছুই তার মনে থাকে না।তার চেহারায় এখন লাবন্যতা নেই,শরীরের গঠন ভালো নেই,আগে যেমন সুন্দর ছিল এখন তেমনটা নেই,যেন সে ত্রিশ বছরের কোন দূর্বল নারী।তার চোখে মুখে এখন আর কোন মুগ্ধতা খুঁজে পাই না।মনে হয় সে প্রেমিকা হিসেবেই ঠিক ছিল।বিয়ের দু বছরের মাথায় তার প্রতি আমার আকর্ষন কমে যায় আর এখন সেই আকর্ষণ নেই বললেই চলে। আমি জানি আমার মন মানসিকতা কে আপনি দায়ী করবেন কিন্তু অনন্যার পরিবর্তনের কারনে আমি আতঙ্কিত।

আমি হাত বাড়িয়ে ভদ্রলোক অর্থাৎ আয়মান নামক লোকটিকে থামালাম।জিজ্ঞেস করলাম,

আপনার বাসায় কে কে আছেন?

প্রত্যুত্তরে সে বললো,

মা-বাবা,আর আমার ছেলে,অনন্যা,আমি আর আমার এক বোন।তবে বছরের বেশিরভাগ সময় দাদা দাদী এসে আমাদের বাড়িতে থাকেন।

আমি বললাম,
আপনার মাসিক আয় কত?

ত্রিশ হাজার ।

অনন্যা কে বিয়ে করার সময় কত ছিল?

চৌদ্দ হাজার ।

আপনার আম্মুকে কত টাকা দেন,বা পরিবারের জন্য কত টাকা ব্যয় হয়?

বাড়ি ভাড়া,বাজার-সদাই,কারেন্ট বিল,গ্যাস বিল সহ প্রায় সব টাকাই মাকে দিতে হয়।কিছু টাকা রাখি তাতে আমার আর বাচ্চা আরহান এর হয়ে যায়।

আপনার বোনকে কত টাকা দেন হাত খরচ হিসেবে?

ও যখন যেটা চায় তাই এনে দেয়া হয়।হাত খরচ মা ইহ দেন যখন লাগে।একমাত্র বোন বলে সে আদরে মানুষ হয়েছে।

আপনার বাড়ির কাজ কে করে?

অনন্যা সব সামলায়।দাদী বয়স্ক মানুষ,বোনের কলেজ প্রাইভেট আছে তাই তার কাজ শুধু পড়াশোনা।মায়ের শরীর ভালো থাকে না তাই সব দায়িত্ব অনন্যার হাতে।অনন্যা ও সব দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছে।

আপনার কি অন্য কাউকে পছন্দ?

না ডক্টর সেরকম নয়।আমি অনুতপ্ত এটা ভেবে যে কেন অনন্যাকে আমার আর পছন্দ নয়,কেন এখন তার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি না।আগের মতো ভালোবাসা পেলে হয়তো তাকে ভালো লাগতো কিন্তু তার ব্যবহার আর কর্মকান্ড অসহনীয়।আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসি কিন্তু তার রুক্ষতার জন্য মন মালিন্য হচ্ছে।

বন্ধু-বান্ধব কতজন আছে আপনার?

অনেক জন।

তাদের সময় দেন কিভাবে?

অফিস থেকে এসে আড্ডা দিই বাইরে।নইলে ছুটির দিন ঘুরে ফিরে।ভার্সিটি লাইফে এরাই সাহায্য করেছিল অনন্যার হাত ধরতে।

আপনার স্ত্রীকে হাত খরচ কত দেন?

এইবার আয়মান সাহেব ইসস্ত হলেন।বললেন,

ডক্টর আমার সমস্যা আমার স্ত্রীকে নিয়ে।আপনি আমার পরিবারকে টানছেন কেন,বন্ধুদের টানছেন কেন??আর ওর হাত খরচের কোন প্রয়োজন হয় না কারন ও বাইরে বের হয় না তেমন।আর টুকটাক যা লাগে আমিই এনে দিই।কিন্তু আপনার এইসব জেনে আদৌ কোন লাভ হবে?আমার সমস্যা তো অন্য কোথাও।

একটা প্রবলেম সলভ্ড করতে অনেকগুলো বিষয় জানতে হয় দেখা যায় সেগুলোই সমস্যার সমাধান।আপনি যদি বুঝতে পারতেন সমস্যাটা কোথায় তাহলে আমার কাছে কি আসতেন?নইলে আমি কি সাইনস্টিস হতে পারতাম?

আপনার সন্তান কেমন ধরনের?মানে শান্ত না দুষ্টু?

ছেলেটা প্রচন্ড দুষ্টু।দু বছর বয়সী ছেলেটা সবাইকে নাজেহাল করে দেয়।আমি সারাদিন অফিসে থাকি।এইসব কথা অনন্যাই আমায় বলে।আর আমি বাড়িতে থাকলে বাচ্চা দুষ্টুমি করে যা বাড়াবাড়ি রকমের নয়।এটা ওটা ভাঙ্গাভাঙ্গি তার স্বভাব।

অনন্যার পড়ালেখা?

বিয়ের পর আর মা পড়তে দেননি।সংসার সামলানো দায় হয়ে পড়েছে তাই।এছাড়া পাড়া প্রতিবেশীরাও কটু কথা বলে।

আমি হাসলাম একটু,আয়মান সাহেব অবাক হলেন।আমি বললাম,

মিস্টার আয়মান আপনি একজন ভালো প্রেমিক হলেও ভালো স্বামী নন।এটা কি আপনি জানেন?

কি সব বলছেন?তার সব দায়িত্ব নিয়েছি,একটা পরিবার দিয়েছি,ভালোওবেসেছি।ইদানিং ওর পরিবর্তনের জন্যই এত মনোমালিন্য।

আমি আয়মান সাহেব কে বললাম,

অনন্যা যখন আপনার প্রেমিকা ছিল তখন সে সুন্দর করে সেজেগুজে আপনার সাথে দেখা করতো।কোন কালার ড্রেস পড়বে,কোন কালার ইয়ারিং পরবে ভাবতে ভাবতেই তার বহুত সময় লাগতো।আপনার সাথে সে সবসময় স্থির শান্ত হয়ে কথা বলতো কারন আপনি তার প্রেমিক।

অনন্যা তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে।বাবা মায়ের আদরে আদরে মানুষ হয়েছে সে।আপনাকে বিয়ে করে সে কি পেয়েছি বলুন তো?আচ্ছা আপনি লাস্ট কবে অনন্যা কে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন মনে আছে?আচ্ছা লাস্ট কবে সে আপনার কাছে কিছু চেয়েছে মনে আছে?মিস্টার আয়মান আপনি অনন্যাকে আপনার বউ এর চেয়ে বেশি বাড়ির বউ ভেবেছেন।আদরে বেড়ে ওঠা মেয়েটা আপনার চৌদ্দ হাজার টাকা বেতনেও আপনার পাশে থেকেছে,আপনার হাত ধরেছে।কঠিন সময়ে সে কিন্তু আপনাকে ছাড়েনি। সে মা-বাবাকে ভূলে আপনার সাথে চলে এসেছে,আর আপনি তাকে রানী করে না রেখে বাড়ির ঝি হিসেবে ট্রিট করছেন।

আয়মান সাহেব বেশ চটে গেলেন।বললেন,

কি বলতে চান আপনি?ঘরের কাজ করলেই সে ঝি হয়ে যায়?বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন নয় পরিবারের মাঝেও বন্ধন।

মিস্টার আয়মান গত দু বছর আগে আপনার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে।বাচ্চা প্রসবের যে পেইন তা আপনারা বুঝবেন না।সেসময় শরীর দূর্বলের পাশাপাশি সুইং কাটা ছেঁড়ার কষ্ট সহ্য করেছে সে,আপনি তার পাশে ছিলেন কতক্ষন?অনন্যা আলালের ঘরের দুলালি হয়ে আপনার বাড়ির সব কাজ,বাবা মায়ের সেবা,আপনার দাদা-দাদীর সেবা,বোনের সেবা,আপনার সেবা করে গেছে।এত এত কাজ করার পর তার কি মন চাইবে অফিস থেকে ফেরার পর আপনার সাথে মিষ্টি করে কথা বলতে?সেজেগুজে বসে থাকতে?
আপনি আপনার বোনকে কোন কাজ করতে দেন না কারন সে আপনার বোন। অথচ বাচ্চা সামলানোর পাশাপাশি কিভাবে অনন্যা সংসার সামলেছে আল্লাহ্ তায়ালাই জানে।

আচ্ছা আপনি তো বললেন অনন্যা আপনার সাথে ভালো করে কথা বলে না,আপনি বলুন তো আপনি লাস্ট কবে তার প্রশংসা করেছেন?রান্নার হাতের তারিফ করেছেন?তার দিকে ভালো করে তাকিয়েছেন,এটা ওটা করতে সাহায্য করেছেন?

আয়মান চুপ থাকলো।বললাম,

শুধু শারীরিক সম্পর্ক করলেই স্বামী হওয়া যায় না।স্ত্রী শুধু সবার খেদমত করবে আর আপনার চাহিদা মেটাবে এমন নয়।কবে আপনি তাকে নিয়ে ঘুরেছেন?তার সাথে মন খুলে কথা বলেছেন মনে পড়ে?আপনি তার চেহারায় লাবণ্য নেই তাই দুঃখ প্রকাশ করছেন,কিন্তু কেন নেই খোঁজ নিয়েছেন?ছুটির দিন বাচ্চাকে নিজে রেখে কখনো বলেছেন অনন্যা ঘুমাও,না ঘুমিয়ে চোখের নিচে কালি পড়েছে তোমার?যেই মেয়েটা হাত কেটে গেলে বাড়ি মাথায় তুলেছে সেই মেয়েটা রাত দিন খেটে যাচ্ছে অথচ আপনি ভাবছেন তার রুপ নেই কেন?আপনার স্ত্রী অনন্যা ভালো একটা শাড়ি পড়ে না,মাথা আচরানোর সময় পায় না,রাতে না ঘুমিয়ে শরীর বসে গেছে।এত কিছুর পর সৌন্দর্য থাকবে আপনি ভাবেন কিভাবে?

আয়মান চুপ রইলেন।খেয়াল করলাম তার চোখ চিকচিক করছে।আমি ঠান্ডা চায়ে চুমুক দিলাম গলা ভেজানোর জন্য ।সেসময় আমার ফোনে কল এলো।ওপাশের মানুষটা আমার ভিষণ চেনা।আমার ঘরের মানুষ,আপন মানুষ।কল ধরে লাউড স্পিকারে দিলাম,

হ্যালো?

হ্যাঁ বলুন।

কি করছো?

রোগী দেখছি।

আজ তাড়াতাড়ি আসবে কেমন?আমিও ছুটি নিয়েছি।চিত্রাপাড়ের ওখানে মেলা বসেছে আমরা ঘুরতে যাবো কিন্তু।আর তুমি সাদা রঙের শাড়ি পড়বে কেমন?তোমায় শূভ্রপরী লাগবে।আর চুলে গাজরা দিতে ভুলো না।

আমি হাসলাম।বললাম,

আসবো একটু পরেই।আপনিও পাঞ্জাবী পড়বেন।

মেঘু শুনো,

হ্যাঁ বলুন

ভালোবাসি।অপেক্ষায় রইলাম।

ফোনটা কেটে আমি আয়মান সাহেবের দিকে তাকালাম ।উনি আমার আর আমার স্বামী মাহদির কথোপকথন শুনছেন।বললেন,

আমি খুব লজ্জিত ম্যাম।আমি এখন কি করতে পারি?যে অন্যায় করেছি তা কি ক্ষমার যোগ্য?

আপনি অনন্যাকে সময় দিন।ছুটির দিন বন্ধুদের সাথে না ঘুরে অনন্যার সাথে সময় কাটান।তাকে কিছু হাত খরচ দিবেন যা দিয়ে সে নিজের বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে পারবে।অনন্যার যত্ন নিন,পারলে বাসায় একজন সাহায্যকারী রাখুন।অনন্যার সাথে মন খুলে কথা বলুন দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।অনন্যা পছন্দ করে এমন কিছু করুন,তার পাশে থাকুন।পারলে দুজনে হাওয়া বদল করে আসুন।অনন্যার মনের রাগ,অভিমান,অভিযোগ প্রকাশ করার অধিকার দিন।আয়মান সাহেব,স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর,শান্তির।এতে হারাম নেই,বাঁধা নেই।বিশ্বাস,সম্মান ভালোবাসা একটি সম্পর্কে জরুরী।কেবল সৌন্দর্যের মায়ায় পড়লে চলে না
ব্যক্তিত্ব,এবং মানুষটার অন্তরের প্রেমে পড়ুন।দুজনের প্রতি দুজনের সম্মান বজায় রাখুন।একবার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলে তা ঠিক হবে না।মনে রাখবেন ভাঙা আয়না জোড়া লাগলেও দাগ রেখে যায়,গায়ে কাঁটা বিধে গেলে তা বের করলেও ক্ষত রয়ে যায়।

আয়মান সাহেব শুনলো।তারাহুরো করে উঠে গেল অনন্যার কাছে।আমিও বের হলাম কেবিন থেকে,মাহদি বোধহয় অপেক্ষা করছে।

আয়মান বাড়ি গিয়ে বেল বাজালো।অনন্যা শাড়িতে হাত মুছে দরজা খুলে বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।আয়মান হাতের গাজরা টা অনন্যার দিকে বাড়িয়ে দিল।অনন্যা বিস্মিত চোখে তাকালো,গত কয়েকমাসে এসব সে দেখেনি।

আয়মান বললো,

অনু চলো কোথাও ঘুরতে যাই।কতদিন হলো বলোতো আমরা ঘুরতে যাই না।

অনন্যা খুশি হলো বোধহয়,অভিমান চড়া হলো।ব্যক্তিত্ব টেনে আনলো,পরক্ষণেই বললো,

বাসায় অনেক কাজ।কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়।তুমি বন্ধুদের সাথে যাও। তাচ্ছিল্যের সাথে বললো,আমায় নিয়ে তোমার না ভাবলেও চলবে।

কাজের লোক আসবে কাল থেকে।আজ থেকে আমি তোমার সেবা করবো অনু।যা করেছি ভুলে যাও,আমায় ক্ষমা করে দাও।আমি তোমায় অবহেলা করেছি,তোমার যত্ন নেইনি,আমি স্বামী হিসেবে ব্যর্থ।আমি লজ্জিত অনু,আর এমনটা হবে না।আমি আদর্শ স্বামী হবো কথা দিচ্ছি।

অনন্যা কাঁদলো,এটা বোধ হয় সুখের কান্না,নিজের জীবনের পাওয়া আনন্দ সে আবার পেল।অনন্যা কে ধরে আয়মান বাইরে নিয়ে এসে বললো,

কাল থেকে এক সাহায্যকারী আসবে,সেই বাড়ির সব কাজ করবে আর তার সাথে মায়া(আয়মানের বোন)টুকটাক কাজ করে দিবে,আমার বাচ্চাকে সামলাবে।আর আম্মু তুমি দাদির সেবা করবে।অনন্যাকে এইবার নিজের মতো করে বাঁচতে দাও,নিজের স্বাধীনতায় বাঁচতে দাও।মা বাবা ত্যাগ করে মেয়েটি অনেক কষ্ট পেয়েছে।ওকে একটু নিজের মেয়ে ভাবো।

এর দু মাস পরে আয়মানের সাথে আমার দেখা।হুট তোলা রিকশা চড়ে দুজনে কোথাও যাচ্ছিল।অনন্যা মেয়েটি দেখতে সত্যিই চমৎকার।তার এই সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছিল যত্নের অভাবে।এইতো ফাল্গুনের শাড়িতে মেয়েটিকে কি অপূর্বই না লাগছিল।আমি তাকিয়ে ছিলাম দুজনের দিকে।

আয়মানের কাছ থেকে সব শুনলাম।সবকিছু ঠিক হবার গল্প শোনালো।দুজনই ধন্যবাদ দিলো আমায় ।আমি দোয়া করে দিলাম।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এতই ঠুনকো নাকি?

~ সমাপ্ত!

পরিবর্তন

 #নিজের_চরকায়_তেল_দিনমৃত্যু যন্ত্রণা যখন আরম্ভ হবে, তখন আপনি একাই কিন্তু ঐ যন্ত্রণা ভোগ করবেন, অন্য কেউ ভোগ করবে না।কবরে...
17/02/2023

#নিজের_চরকায়_তেল_দিন
মৃত্যু যন্ত্রণা যখন আরম্ভ হবে, তখন আপনি একাই কিন্তু ঐ যন্ত্রণা ভোগ করবেন, অন্য কেউ ভোগ করবে না।
কবরের আযাব ও আপনি একাই ভোগ করবেন,অন্য কেউ ভোগ করবে না।
কিয়ামতের কঠিন সময়ে সেইদিন কেউ কাউকে সাহায্য করবে না।
১ টা নেকি সেই দিন কেউ কাউকে দিবে না।
দুনিয়ায় এত নাম,খ‍্যাতি,সম্মান,ক্ষমতা, টাকা-পয়সা সেই দিন কোনো কাজে আসবে না।
তাই অন‍্যের সমালোচনা বাদ দিয়ে,
নেকি কামাতে চেষ্টা করুন, আর এটাই হবে- বুদ্ধিমানের কাজ।
আজকে যার সমালোচনা করছেন,তার গুনাহ গুলো কিন্তু আপনার আমলনামায় ট্রান্সফার হচ্ছে।
আর আপনার কষ্টে অর্জিত নেকি গুলো চলে যাচ্ছে, অন‍্যের আমলনামায়।
তাহলে কি লাভটা হচ্ছে মানুষের সমালোচনা করে???
এই দুনিয়ায় কি জন্য পাঠানো হয়েছে আমাদের জানেন তো??
শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য।
আর আমরা কি করছি?
ক্ষনিকের এই দুনিয়ার মোহে পড়ে আমাদের দুনিয়ায় পাঠানোর উদ্দেশ্যটাই ভুলে যাই আমরা।
একবার ভেবে দেখুন তো,এই মুহূর্তে যদি আপনি মারা যান তাহলে কি জবাব দেবেন আল্লাহর কাছে।
#সত্যিই_যদি_মানসিক_শান্তি_পেতে_চান-
আল্লাহ তাআলা কে স্মরণ করূন।
জেনে রেখো, "অন্তর আল্লাহর স্মরণেই প্রশান্তি লাভ করে।"(সূরা রাদ, ২৮)
১.নামাজ পড়ুন
২.সহি শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করুন
৩.রোজা রাখুন
৪.যাকাত দিন(যদি আপনার উপর ফরজ হয়)
৫.হজ্জ করুন(যদি আপনার উপর ফরজ হয়)
৬.নেক আমল করুন।
৭.মিথ্যা, গীবত, রিয়া,অহংকার, হিংসা, লোভ হতে দূরে থাকুন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত।
রাসূল সল্লাল্ল-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-"তোমরা কি জান গীবত (পরনিন্দা) কি?" সাহাবারা বললেন-"আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূলই সল্লাল্ল-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাল জানেন"। হুজুর সল্লাল্ল-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
"তোমার (মুসলমান) ভাইয়ের এমন কোন আলোচনা করা যা সে অপছন্দ করে।"
কোন কোন সাহাবা বললেন-"আমার ভাই সম্পর্কে যা বলি তা যদি তার মধ্যে থাকে?" (আর সে তা অপছন্দ করে তবুও কি তা গীবত বা পরনিন্দা হবে?)
রাসূল সা. বললেন-"তুমি যা বললে তা তার মধ্যে (বাস্তবে) থাকলেই গীবত হবে।
আর যা তুমি বললে তা তার মাঝে না থাকলে তবে যেন তুমি তাকে অপবাদ দিলে। (যা গীবতের থেকে মারাত্মক গোনাহ)"
(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৬৭৫৮)
এ ছাড়া সকল ধরনের গীবত করা হারাম, যা কুরআনে মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
#অল্প_আমলই_নাযাতের_জন্য_যথেষ্ট
দুনিয়ায় অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট দূর করতে পরিক্ষীত ৩টি আমল করুন।
১.মন থেকে তওবা করুন,
(সব রকমের হারাম হতে বের হয়ে আসুন)
২.সব সময় দরুদ(যে কোনো) ও
৩.সব সময় আসতাগফিরুল্ল-হ পড়তে চেষ্টা করুন।

{ #লিখেছেন- মুনিয়া মমিন।
প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ও ধর্মীয় লেখক
এসো কুরআন শিখি
এসো কুরআন শিখি ফাউন্ডেশন}
জাযাকুমুল্লাহু খইরন

📊কপি অথবা শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে,আপনার মাধ্যমে তারা ও উপকৃত হবে আর আপনার ও অনেক সওয়াব হবে। ইংশা-আল্ল-হ।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ranna Recipes posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share