31/03/2022
ফেসবুক সূত্রে জানলাম, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসনে প্রথম স্থান (কুয়েট), পুলিশে প্রথম স্থান (কুয়েট), পররাষ্ট্রে প্রথম স্থান (বুয়েট),কাষ্টমসে প্রথম স্থান (বুয়েট), ট্যাক্সে প্রথম স্থান (বুয়েট)।
বুয়েট, চুয়েট, কুয়েটে যারা পড়েন, তাঁরা ছাত্র হিসেবে মেধাবী। নিশ্চয়ই তাঁরা এই পেশাগুলোতেও ভালো করবেন। কিন্তু যে শ্রম ও সময় দিয়ে তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলেন, সেই বিদ্যা আর তাঁদের পেশাজীবনে সরাসরি প্রয়োগ হবে না। শ্রম, সময় ও রিসোর্সের এ এক অপচয়।
তাই আমার কাছে মনে হয়, এইচএসসি পরীক্ষার পরই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ হওয়ার সুযোগ হলে ভালো হয়। সামরিক বাহিনীর অফিসার পদের নিয়োগ কিন্তু এইচএসসির পরপরই হয়, সেই অফিসাররা পরবর্তীতে নিজ সেক্টরে গ্রাজুয়েশন করেন।
বেসামরিক প্রশাসনেও এটি ভাবা যেতে পারে। যারা যে বিভাগের জন্য মনোনীত হবেন পরবর্তীতে তাঁরা সেই বিষয়ের উপরই অনার্স ও মাস্টার্স করবেন। সেটি আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে অথবা সাধারন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও হতে পারে। পাস করার পর নিজনিজ মন্ত্রনালয়ে ৬ মাসের ইন্টার্নিশিপও চালু করা যেতে পারে। নিজেদের পেশাগত বিষয়ের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে সাপ্লিমেন্টারি কোর্স থাকবে, যাতে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরি হতে পারেন।
এই সিস্টেমে সুবিধা হবে, যিনি পুলিশে যাচ্ছেন তিনি এইচএসসির পরে ৪ বছর অপরাধ বিদ্যা বিষয়ে গভীর জ্ঞান লাভ করে তারপর স্বল্প মেয়াদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষনে যেতে পারেন। হয়তো থানাতে গিয়ে তিনি এসাইনমেন্ট করবেন, পুলিশিং নিয়ে ছাত্রাবস্থাতেই গবেষনা করবেন। একই ভাবে যিনি কর কর্মকর্তা হচ্ছেন তিনি যখন মাস্টার্স শেষ করবেন ততদিনে কর আদায়ের আইনকানুনগুলো তাঁর মুখস্ত হয়ে যাবে। রেল বিভাগের তরুণ অফিসার এর আগে ৪ বছর রেল নিয়ে পড়াশোনা করবেন, যাত্রীসেবার উপর এসাইনমেন্ট জমা দিবেন, গবেষণা করবেন- তাঁর অধীত বিদ্যা হবে টনটনে।
একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনগুলোর পুরোপুরি ব্যবহার হবে।
গরীব দেশের রিসোর্স, যত ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় ততোই তো ভালো।
RE: Arif Jebtik