07/07/2022
সিলেট বন্যা কবলিত এলাকায় বাড়ছে পানি বাহিত রোগ-বালাই--------
সিলেটের অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার প্লাবিত পানি ধীর গতিতে কমছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার পরিবার, ঘর বাড়ি যা তলিয়ে নিয়েছে বন্যায়, কারো হয়েছে ক্ষয়-ক্ষতি ফলসলাদি, আবার কারো হয়েছে গবাদিপশু পাখির মৃত্যু । এই ভয়াবহ কঠিন মুহুর্তে সিলেটবাসীর পাশে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করেছেন সরকারি, বেসরকারি, সমাজসেবক, প্রবাসী-ব্যক্তিবর্গ, যৌথও ব্যাক্তিগত উদ্দোগে গঠিত বিভিন্ন ফাউন্ডেশন ও ট্রাস্ট।।। সর্বহারা এইসব মানুষ এখনো পানি বন্ধী হওয়াতে সিলেট বিভাগে নতুন করে বাড়ছে চলেছে পানি বাহিত রোগ-বালাই যেমন - জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, সাপের দংশন নানা বিধি পানি বাহিত রোগে হচ্ছেন মানুষ আক্রান্ত।। বন্যায় পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫০৭ জন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, পানি বাহিত রোগে সিলেট বিভাগে প্রায় ৯ হাজার ৮৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২ হাজার ৮৪৭, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৭৭৮, হবিগঞ্জে ৩ হাজার ৩৪ ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ২৩৬ জন। তারা জ্বর,সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, সাপের দংশন, চোখের প্রদাহ ও চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন। তবে এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ছিলো বেশি।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৫০৭ জন ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৫৪, সুনামগঞ্জে ১০০, হবিগঞ্জে ২৩১ ও মৌলভীবাজারে ১২২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নূরে আলম শামীম বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটভিউ-কে বলেন, পানিবাহিত রোগ-বালাই সিলেটে যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য বিভাগজুড়ে ৪২৯টি টিম কাজ করছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪০, সুনামগঞ্জে ১২৩, হবিগঞ্জে ৯২ ও মৌলভীবাজারে ৭৪টি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যা মধ্যে প্লাবিত করে শহর ও গ্রামের ৯০ ভাগ এলাকা। স্মরণকালের ভয়াবহন বন্যার কবলে পড়ে সিলেট। এক সপ্তাহ পর থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করে কয়েকদিন পর ফের বাড়তে থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কবলে পড়েন সিলেটবাসী। এ অবস্থায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
প্রায় দুই সপ্তাহ পর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে গেলেও পানি নামতে থাকে খুবই ধীরে। নগরীসহ সিলেটের বন্যাকবলিত অনেক এলাকার পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখনো প্লাবিত।