Satsang barta

  • Home
  • Satsang barta

Satsang barta সৎসঙ্গ, বালাগঞ্জ, সিলেট।

07/04/2024
"আমি বলি, যে-অবস্থার মধ্যেই থাক না কেন, ওরই মধ্যে ঈশ্বরের প্রীতির জন্য, ইষ্টের প্রীতির জন্য কিছু কর। যতখানি পার করতে শুর...
21/03/2024

"আমি বলি, যে-অবস্থার মধ্যেই থাক না কেন, ওরই মধ্যে ঈশ্বরের প্রীতির জন্য, ইষ্টের প্রীতির জন্য কিছু কর। যতখানি পার করতে শুরু ক'রে দাও। এই করাটাই সপরিবেশ তোমাকে বাঁচাবে। তুমি এখনই নিজেকে এমনভাবে ব্যাপৃত ক'রে তোল, নিজের চারিদিকে এমন ক'রে ইষ্টকর্ম্মের ক্ষেত্র রচনা ক'রে তার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেল, যাতে আবোল- তাবোল জঞ্জাল ও অনিষ্ট তোমাকে স্পর্শ করবার অবকাশ না পায়।"

--পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬/৮.১২.১৯৪৪

সৎসঙ্গের নিন্দাকারী ও অপপ্রচারকারীদের প্রতি আন্তরিক  ধন্যবাদ জ্ঞাপন***********************************ইদানীং বেশ কিছু মা...
21/03/2024

সৎসঙ্গের নিন্দাকারী ও অপপ্রচারকারীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন
***********************************
ইদানীং বেশ কিছু মানুষ ও কিছু গ্রুপ প্রতিনিয়ত শ্রীশ্রীঠাকুর, তাঁর বংশধর ও সৎসঙ্গ সম্পর্কে ভুলভাল, বাজে বাজে কথা স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের নানা এডিটেড বিকৃত ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে। সারাক্ষন তারা প্রচেষ্টায় রত,- সৎসঙ্গের গতি কিভাবে রোধ করা যায়।

যদিও তারা সৎসঙ্গের দ্রুত বিস্তারে এবং নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের কারনে ভীত হয়ে এমন উল্টোপাল্টা আচরন করছে, - কিন্তু তারা পরোক্ষে সৎসঙ্গের খুব উপকারই করছে। আমি সত্যি কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি!!

আমরা, সৎসঙ্গীরা, এতদিন যা করতে পারিনি,- তা এবার সেই অপপ্রচারকারীরাই বিনামূল্যে করে দিচ্ছে।যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রীশ্রীঠাকুর এবং তাঁর সৎসঙ্গের প্রচারে তাদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। নেগেটিভ প্রচারও তো আরেক প্রকারের প্রচারই বটে,- যা আমাদের প্রসারে ভীষণ সহায়ক হয়ে উঠছে।

যে যুবক-যুবতিদের কাছে এতদিন আমরা ঠাকুরের কথা পৌঁছাতে পারিনি,- তারাও এইসব অপপ্রচারকারী গ্রুপের বদান্যতায় সৎসঙ্গের কথা শুনতে পাচ্ছে। তাদের মাধ্যমে এত এত নেগেটিভ কথা শুনে সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মনে স্বভাবতই একটু হলেও সৎসঙ্গ সম্পর্কে কৌতুহল জাগ্রত হবে। শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর সৎসঙ্গ নিয়ে একটু চিন্তা করতে বাধ্য হবে। তাঁকে চিন্তা করাই তো তাঁর ধ্যান করা। মানুষ তাঁদের মিথ্যা অপপ্রচারের সাথে বাস্তবের মিল খুঁজে পায় না।

ভাবে যে, - এতই যদি খারাপ হয়ে থাকে তবে কোটি কোটি মানুষ সৎসঙ্গের আশ্রয় নিচ্ছে কেন? এত বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষিত কেন? এত এত অপপ্রচার ও বিরোধিতা সত্ত্বেও সারা বিশ্বব্যাপী সৎসঙ্গের এত দ্রুত বিস্তার ঘটছে কিভাবে? কই,-এত এত অপপ্রচার শুনে আজ অব্দি কোন সৎসঙ্গীকে তো দেখলাম না ঠাকুরের পথ থেকে সরে আসতে? স্যোসাল মিডিয়ায় যা শুনি-দেখি,- তা যদি সত্য হয় তবে তো সৎসঙ্গের জোয়ার ধীরে ধীরে কমে আসার কথা? কিন্তু উল্টো সেই জোয়ার যে বেড়েই চলেছে?!!

সাধারণ মানুষের অবচেতন মনেই এইসকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা চলতে থাকে। স্বাভাবিক নিয়মেই সে সত্যের সন্ধানে ব্রতী হয়। এই প্রচেষ্টার কারনেই সে হয়ত কোন একজন সৎসঙ্গীকে কাছে পেয়ে প্রকৃত সত্য জানতে আগ্রহী হয়, ঠাকুরের বই পেলে একটু পড়ে দেখতে পারে। এইভাবে ধীরে ধীরে সে সত্যের কাছে পৌঁছায়। তখন সে অনুভব করে যে এতদিন সে যা জেনে এসেছে সৎসঙ্গ সম্পর্কে, - তা সম্পূর্নই উল্টো। তখন হয়তো সেও সৎসঙ্গের আশ্রয় পেতে আগ্রহী হয়। যতই সে জানবে প্রকৃতভাবে,- ততই সে বুঝবে শ্রীশ্রীঠাকুর মানুষের জন্য কি করেছেন, কি বলেছেন, তিনি কেমন ছিলেন,- সব সত্য জানতে পারবে সে। কিন্তু এই যে, -মানুষের মনের গভীরে প্রাথমিক কৌতূহল জাগ্রত করার কাজটা বিরোধীরা করে যাচ্ছে,- এটা কিন্তু সত্যি ধন্যবাদের যোগ্য।

শ্রীশ্রীঠাকুর এমন অনেক কিছুই বলেছেন, এমন অনেক বিধানই দিয়েছেন,- যা সরাসরি মানুষের প্রবৃত্তির গায়ে আঘাত করে। মানুষের অভ্যস্ত সংস্কারের সাথে তাঁর কথা মিল খায় না। তাই কিছু অংশের মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা শুনতে, তাঁর আশ্রয় নিতে ভয় পায়। তাঁর কাছ থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে। এইসব মানুষগুলিকে শ্রীশ্রীঠাকুরের সম্পর্কে নেগেটিভ কথা বলেই আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই তারা হয়ত ধীরে ধীরে ঠাকুর সম্পর্কে জানতে চাইবে,- এবং একসময় বুঝতে পারবে তিনিই একমাত্র বাঁচার উপায়।

কিছু মানুষ যদি জন্মের পর থেকেই অন্ধকার ঘরে আবদ্ধ থাকে তবে সেই অন্ধকারের প্রতিই তাদের আকর্ষন জন্মাতে বাধ্য। তারা সূর্যের নাম শুনলেই ভয় পাবে,- এই বুঝি তাদের চির অভ্যস্ত অতি প্রিয় অন্ধকার দূরীভূত হয়ে যাবে। তখন যদি তাদের কাছে বলা যায়,-" সূর্য ও তো তোমার ঘরের মতই অন্ধকার পূর্ন। কোন তেজ নেই তার, কোন আলো নেই। সূর্যের কোন ক্ষমতাই নেই তোমাদের অন্ধকারকে দূর করার।" - বারে বারে সূর্যের সম্পর্কে এমন কথা শুনে যদি একবার তারা ভয়শূন্য হয়ে স্বচক্ষে সূর্যকে দেখার উদ্দেশ্যে বন্ধ জানালাটা খুলে দেয় তখনই সূর্যের আলো তাদের সমস্ত আঁধার দূর করে দেয়। তারা বুঝতে পারবে আলোর কত শক্তি, কি সুন্দর!

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সৎসঙ্গের অপপ্রচারকারীদের। তারা দীর্ঘায়ু হোক,- সুস্থ থাকুক। আরো নতুন উদ্যমে নিত্য সৎসঙ্গের অপপ্রচার করুক,- এই প্রার্থনা করি।

জয়গুরু।
*********************
ডাঃ রাজেশ চৌধুরী
আগরতলা

12/03/2024

#আসুন জেনে নেই সৎসঙ্গে #নারীর অবস্থান কি!!

* #শ্রী_শ্রী_ঠাকুর_অনুকূলচন্দ্রে'র* দৃষ্টিতে #নারী _জাতি।🙏
■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■ ■
#শ্রদ্ধেয় দাদা ও মায়েরা হেডলাইন পড়ে হয়তো বুঝতে পারছেন এই লেখাটিতে কোন বিষয় তুলে ধরব আজ।
আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

#বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কুচক্রী মহল *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর*-কে নিয়ে নারী-বিদ্বেষী! বলে অপপ্রচার করতে মারিয়া হয়ে উঠেছে। তারা নারীর নীতি, অনুশ্রুতি ১ম খন্ডের কিছু বাণীর অর্থ নিজেদের খেয়াল খুশিমতো ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।

#অথচ *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর_অনুকূলচন্দ্র* নারীদের দিয়েছেন বর্ণনাতীত মর্যাদা ও সম্মান। *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* ও সৎসঙ্গ নারীদের যতটা শ্রদ্ধা ও সম্মান করে তা' অন্য কোনো সংগঠনে খুব কম দেখা যায়।

#আজকে আমি তুলে ধরছি সেরকম কিছু তথ্য যা পড়লে ও জানলে আপনারা বুঝতে পারবেন, *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর_অনুকূলচন্দ্র* নারীদের কতটুকু সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন এবং পুরুষদের নারীদের প্রতি কি ধরনের চোখে দেখতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

* #শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* একমাত্র মহাপুরুষ যিনি বাঙালিকে তথা বিশ্ববাসীকে নারীকে "মা" বলতে শিখিয়েছেন নতুন করে। তাঁর আদর্শে চলা সকল ভক্ত অনুগামী 'সৎসঙ্গীরা' সকল বয়সের মেয়ে, নারীদের 'মা' বলে। *শ্রী_শ্রী_ঠাকুরে'র* তেমনি নির্দেশ দেওয়া আছে।

✳️ একবার *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর*-কে প্রশ্ন করা হল✳️
★ #প্রশ্ন :- মেয়েদের কি ব'লে ডাকা ভাল?

#উত্তরে *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* বললেন,- মেয়েদের Sublime from (মহিমান্বিত রূপ)-ই হ'লো 'মা' তাই মা ব'লে ডাকাই ভাল।
( #আলোচনা _প্রসঙ্গে, ২১.১৩৮)

#মেয়েদের শ্রদ্ধা করার প্রসঙ্গে *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন 'আলোচনা' প্রসঙ্গে।

* #শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* :- মেয়েদের প্রতি সমীহ ও সম্ভ্রম যেন আমার মজ্জাগত হয়ে গেছে। ছেলেবেলায় যখন বুঝলাম, মেয়েদের পেটে মেয়ে ও ছেলে দুই-ই হয়, কোন মানুষই মায়ের পেট থেকে ছাড়া জন্ম নিতে পারে না, তখন মেয়েদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা হল। ভাবলাম এরা তো ভগবানের মত। তাই একটা বাচ্চা মেয়ে দেখলেও, সে মায়ের জাতের একজন এই কথা মনে করে শ্রদ্ধা হয়।
( #আলোচনা _প্রসঙ্গে, –৪/৮১)

* #শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* যেখানে একটা বাচ্চা মেয়েকেও মায়ের আরেক রূপে দেখে ভক্তির কথা ও ভগবানের মত বলেছেন। সেখানে তাঁর নামে নারী-বিদ্বেষী ট্যাগ লাগিয়ে অপপ্রচার করাকে হাস্যকর ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে। আর এমন মিথ্যা অপপ্রচার কেবল মানুষ নামক এযুগের কিছু রাবণ, কংস, পিশাচরা ছাড়া কোন ভাল মানুষ করতে পারে না।

#আমি এই রাবণ, কংসদের এরকম অপপ্রচারে ওততটা কান দিই না কারণ যেখানে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-কে নারীআসক্ত সহ বিভিন্ন ভাবে অযৌক্তিক কথা বলে এখনো বদনাম করা হয়। এমনকি ভগবান শিবের ৬০,০০০ স্ত্রীর তথ্য নিয়ে খিল্লি, খিস্তি হয় সেখানে *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর_অনুকূলচন্দ্র*-এর ক্ষেত্রে হবে না!!! তা কি হয়?🤔

#প্রতি যুগে-যুগে এরকম অপপ্রচার, মিথ্যাচার করা হয়েছে ভগবান, মহাপুরুষ, মুনি, ঋষিদের নামে।
কিন্তু তাঁদের আদর্শে এতটুকু কালিমালিপ্ত কেউ কি করতে পেরেছে? প্রশ্ন রইলো! তেমন কোন প্রমাণ থাকলে ইমেইল বা কমেন্ট করুন।

#সূর্য উদয় হলে জগত যেমন আলোকিত হয় কেউ তা' আটকে রাখতে পারে না তেমনি ঈশ্বর যখন ভগবান, মহাপুরুষ হয়ে জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মগ্রহণ করেন তখনও জগত তাঁর আদর্শে, শিক্ষায় আলোকিত হয়। কারো শক্তি নেই সেই আলোকে আটকানোর।
যারা আজ সমাজে নারী-ধর্ষণ, স্ত্রী নির্যাতনের অপরাধে জেল খাটছে তারাই বলে কিনা *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর_অনুকূলচন্দ্র* ও তার ভক্তরা নারী-বিদ্বেষী। যারা সমাজে নারীদের তথা মায়েদের তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য, কমজোর ভাবে তাদের উদ্দেশ্যে *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* বলছেন,👇
"মায়েদের তুই বোকা বলিস্? বোকা হলে কখনও সন্তান পেটে ধরে মানুষ করে তুলতে পারে?
দে তো একটা ব্যাটা ছাওয়ালের কাছে একটা মা হারা শিশুকে মানুষ করার ভার। প্রায়ই হাগে-মুতে একসা করে ফেলবেন। কিন্তু মায়েরা কেমন অনায়াসেই করে তা। তাই নিজেদের কখনও ভাববি না। তোরাইতো বুদ্ধিস্বরুপিনী, লক্ষ্মীস্বরুপিনী, দূর্গতিনাশিনী, দুর্ম্মতিদলনী দূর্গা। তোরা আছিস, তাই তো আমাদের আগলে রেখেছিস। নইলে আমাদের উপায় ছিল কী?"
( তথ্যসূত্র:- আলোচনা_প্রসঙ্গে, ৬ই কার্তিক শুক্রবার, ১৩৪৯ –২৩/১০/১৯৪২ইং)।

*শ্রী_শ্রী_ঠাকুরে'র* উপরোক্ত কথা থেকে বোঝা যায় তাঁর কাছে পুরুষের চেয়ে নারীর অবস্থান ছোট নয়।
বরং যারা এমনটা ভাবে তাদের চ্যালেঞ্জ করেছেন পারলে একটা মায়ের মত সন্তানকে লালন, পালন করে মানুষের মত মানুষ করে দেখানোর।

কন্যা সন্তান প্রসঙ্গে *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* বললেন,-
সমাজে মেয়ে বেশী হলে জাতির Longevity denote (দীর্ঘায়ু জ্ঞাপন) করে।
(আলোচনা_প্রসঙ্গে, –৯/১৩১)।

*শ্রী_শ্রী_ঠাকুরে'র* সহধর্মিণী জগতজ্জননী *শ্রীশ্রী_বড়মা* এক মায়ের সন্তান জন্ম নেওয়ায় জিজ্ঞেস করলেন:👇

"কি লো কি হইছে? একজন নিচু গলায় বললেন,- 'আজ্ঞে, মেয়ে হয়েছে।'
তখন বড়মা বললেন,- 'আস্তে-আস্তে কস্ ক্যান? প্রথম মেয়ে হওয়া ভাল, বাপের আয়ু বাড়ে।'
( সূত্র :- আলোচনা শ্রাবণ, –১৪২৫/৫৮৪)।

#সমাজে যখন নারীদের তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য, অবলা বলে বিভিন্ন- -ভাবে ছোট করা হয় তখন অনেক নারী-ই নিজেদের অসহায় মনে করে তারা ভাবতে শুরু করে যে, তারা সত্যিই পুরুষের চেয়ে কমজোরি।
মায়েরা যেন এমনটা ভেবে দূর্বল না হয়ে পড়ে।
তাই *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* নারীদের উৎসাহিত করে বললেন,-
"তোরাইতো বুদ্ধিসরুপিনী, লক্ষ্মীসরুপিনী, দূর্গতিনাশিনী, দুর্ম্মতিদলনী দূর্গা। তোরা আছিস তাই তো আমাদের আগলে রেখেছিস। নইলে আমাদের উপায় কি ছিল?

*শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* নারীদের দেবী দূর্গা ও লক্ষ্মীর চোখে দেখতে বলেছেন কারণ অবিবাহিত মেয়ে বা পরস্ত্রীগনকে আমরা যখন মাতৃরূপ জ্ঞান করবো তখন সেই চিন্তায় কোন ধরনের কুচিন্তা বা কামের উদ্ভব হবে না কেননা আমরা যখন কাউকে প্রকৃতভাবে মায়ের স্থানে স্থান দেই তখন সেখানে শ্রদ্ধা আর পবিত্রতা বিরাজ করে। মূলত সেই কারণেই *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* যেকোন বয়সের নারীকে "মা" বলে সম্বোধন করতে বলেছেন।

*শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* তাঁর ২২বছর বয়সে নিজ হাতে লেখা 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থে বলেছেন,-
'কামিনী থেকে কাম বাদ দিলে ইনি মা হয়ে পড়েন। বিষ অমৃত হয়ে গেল। আর মা মা-ই, কামিনী নয়কো। মার শেষে গী দিয়ে ভাবলেই সর্বনাশ। সাবধান! মা কে মাগী ভেবে মর না।'
'প্রত্যেক মা-ই জগজ্জননী। প্রত্যেক মেয়েই নিজের মায়ের বিভিন্ন রূপ, এমনতর ভাবতে হয়। মাতৃভাব হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত না হলে স্ত্রীলোকে ছুঁতে নেই—যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল; এমনকি মুখদর্শন না করা আরও ভাল।'

এছাড়া *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* আরও বলেছেন,-👇

✳️ 'মাতৃভক্ত যারা, তারা প্রায়ই
সুখী হয়, বড় হয়,
কোমলহৃদয় হয়।'
✳️ 'কাম-কুহেলে পড়িস্ যখন আমার কথা,
শোন্-মাতৃচিন্তা-বিভোর হয়ে সৎকাজে দিস্ মন।'
✳️ 'মাতৃসেবার অমোঘ টানে চল ওরে তুই চল,
থাকবি হ'তে বীর্য্যবান পাবেই বুকে বল।'o
✳️ 'মাতৃভক্তি অটুট যত,
সেই ছেলে হয় কৃতি তত।'
✳️ 'ধাত্রী যা'রা পাত্রী যা'রা
হোত্রী-নেত্রী প্রাণ,
আহৃতিদক্ষা পোষন-দীপ্তা
লক্ষ্মী লোকত্রাণ;
শিষ্টা নারীর বিশেষ স্বভাব
ঐ তো নারীর টান।' ৩।r

#বর্তমান সমাজের কিছু মানুষের কাছে নারী যেন শুধুই ভোগবস্তু। যাদের ঘরে নারী নির্যাতন, ডিভোর্স সহ ঘৃণিত কর্মকাণ্ডে ভরা তারাই আজ *শ্রী_শ্রী_ঠাকুরে'র* কিছু বাণীর অপব্যাখ্যা করেo *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর*-কে নারী বিরোধী বলে প্রচার করতে ব্যস্ত।y
নারী তথা মায়েরা যেন নিজেদের কমজোর না ভাবে এবং সকল প্রতিকূলতা জয় করতে পারে তাই *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* উৎসাহ দিয়ে বাণীতে বললেন,-

✳️ 'ধর্ষণমুখী যদিই বা হ'স্
পরাক্রমী মেয়ে,
মারবি না হয় মরবি তখন
রাখিস্ কীর্ত্তি ছেয়ে!' ৮০।
✳️ 'বহ্নিশিখায় খোপা বেঁধে
পাপহননী ত্রিশূল ধর্,
সিংহ-ধাওয়ায় খড়্গ নিয়ে
অসুরবুদ্ধি নিপাত কর্। ৮২।
✳️ 'দশপ্রহরণ দশহাতে ধর
বক্ষ বিদরি 'ধ্বংসি' ইতর,
সূর্য্যরাগী বজ্র তেজে
আর্য্যনারী! শত্রু টোট্। ৮৩।
✳️ 'বুকের আগুন দাউদহনে
সাধ্বী মেয়ে জ্বালিয়ে তোল্,
বৃত্তিজ্ঞানীর ইতর নীতি
পুড়িয়ে হুলুর কর্-রে রোল। ৮৪।
✳️ 'সাধ্বী তোরা নারী তোরা
ফাগুন রাগে আগুন জ্বাল্,
দুর্ব্বিনীত ইতরামি যা'
জ্বালিয়ে ফ্যাল্ পুড়িয়ে ফ্যাল্। ৮৬।
✳️ 'শঙ্খ ফুঁকে অমর হাঁকে
উচ্চ রোলে পরুষ-বুক,
তাথৈ থিয়ায় নাচাও নারী
বর্ম্মে ঢেকে মৃত্যুমুখ। ৮৭।
✳️ 'সতীর তেজে ঝলসে দে মা
নিঠুর-কঠোর অন্ধকারে,
মদন-ভস্ম বহ্নি-রাগে
বৃত্তিরিপু দে ছারখারে;
প্রণবতালে ইষ্ট-মন্ত্রে
ঝঙ্কারি' তোল্ সকল তন্ত্রে,
বিষাণ-হাঁকে রুদ্র দোলায়
বজ্র হানি' মৃত্যুদ্বারে;
আয় ছুটে আয়, আয় মা আমার!
ধর দীপকে আর্য্যতান,
ফুলিয়ে তোল্, দুলিয়ে তোল্
তাথৈ তালে আর্য্যমান। ৮৯।
✳️ 'ইতর নীতির প্রগতি-পথ
শম্ভুশূলে কর্ নিরোধ,
মেয়ে আমার, সতী আমার!
খড়গশূলে রোধ্ নিরোধ। ৮১।
( অনুশ্রুতি ১ম, নারী-পুরুষ)

#নারীরা খুব স্পর্শকাতর অশ্রদ্ধা, অবহেলা, অসম্মান ঘৃণা, রাগ ক্ষোপ, গালিগালাজ, অল্প পরিমাণ হলেও গ্রহণ করতে পারেনা। কিন্তু সমাজ নারীদেরকে এই নিকৃষ্ট উপাদানের জালে আটকে রেখেছে কিছু কুচক্রী মহল।r
অন্যদিকে সৎসঙ্গ শিক্ষা দেয় নারীদের সম্মান করার। তাইতো সৎসঙ্গের কীর্তনে নারীদের সম্মান করে গাওয়া হয়,

'জাগো লক্ষী মায়ের দল
তোমরা না জাগলে
মাগো দেশের অমঙ্গল।'

*শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* শিবের বুকে মা কালীর পা এর উদাহরন টেনে বললেন,-

শিবের বুকে শ্যামা যদি না নাচে, তবে Conscious(সচেতন) হয় না। আবার, ধেই-ধেই-নৃত্য-পরা শ্যামা হওয়া চাই।
( #আলোচনা _প্রসঙ্গে, -২২/৩০৮)।

সৎসঙ্গীরা অন্যদের মত মুখে মুখে নারীপ্রেম এর কথায় সীমাবদ্ধ নয় তারা *শ্রী_শ্রী_ঠাকুরে'র* আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, নারীরা জাগ্রত হলে তবেই দেশ ও জাতির প্রকৃত মঙ্গল বয়ে আসবে। roy

*শ্রী_শ্রী_ঠাকুর_অনুকূলচন্দ্র বলেছেন,- "মা-কেন্দ্রিক শিশুরা নম্র, শান্ত ও উদার প্রকৃতির হয়।"
শিশুকাল থেকেই ভালবাসার চর্চা করাতে হবে। পিতার খেয়াল রাখতে হবে, মায়ের প্রতি সন্তানের ঝোঁক যেন বাড়ে।
( #আলোচনা_প্রসঙ্গে, ৭ম খন্ড, ০৯/০৫/১৯৪৬)।

#মেয়েদের মাতৃত্বকে *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* সদা সর্বদা বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানিয়ে মেয়েদের মাতৃসরূপকে। আদর্শ জননী হয়ে উঠার পথগুলি ভারতীয়সহ সকল দেশের নারীদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাই তিঁনি মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন,-
অন্যত্র *শ্রী_শ্রী_ঠাকুর* বলেছেন,-
"ছেলে-মেয়ের প্রথম শিক্ষা শুরু হয় মায়ের কাছে। তাই আচার, ব্যবহার, অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত। সন্তান যেমনই হোক না কেন মায়ের প্রতি ভালবাসায় বা টানে তার বৃত্তি কাবু হলে তার উন্নতি হবেই হবে। সেবা-যত্ন দিয়ে আদর্শ মা সন্তানকে সবসময় রাখবেন সুখী ও তৃপ্ত।"
নারী নিজে প্রকৃত শিক্ষিত হলে তবেই সে ছেলেমেয়েকে প্রকৃত শিক্ষিত করতে পারবে। প্রকৃত নারী'ই এমনতর চরিত্রে অধিকারিণী হতে হবে যে চারিত্রিক দ্যুতি নারী জীবনকে তার বৈশিষ্ট্যের ভিতর দিয়ে সার্থকমন্ডিত করে তুলতে পারবে।

#পরিশেষে পরমদয়ালের কাছে বিশ্বের সকল নারীদের, মায়েদের সুস্থ, সুন্দর, বিপদমুক্ত জীবন প্রার্থনা জানিয়ে লেখাটা শেষ করছি।

-------------------------------------------------------------------------------
✍️লেখা:- স্বপন রায় রন।
[email protected]
www.facebook.com/pal.soponroy
What's app:- +8801773099798.

©️ #নারী #মেয়ে #পুরুষ #সম্মান #শ্রীশ্রীঠাকুর #সৎসঙ্গ #সতী #শঙ্খ #শিব #কালী #শ্রীকৃষ্ণ #নারীঅধিকার #ডিভোর্স ।

#তথ্যসূত্র :- আলোচনা_প্রসঙ্গে, আলোচনা,
অনুশ্রুতি, সত্যানুসরণ।

#সবাইকে _জানাই_রাঃনন্দিত * #জয়গুরু *🙏🤍✨️

12/03/2024

১৩৪৫ এর বৈশাখ মাস। মাসের সংক্রান্তির দিন। শ্রীশ্রীঠাকুর পদ্মার তীরে টিনের ঘরে বসে আছেন। বেলা হয়ে গেছে। এমন সময় হরেন ভদ্র দ্রুত ছুটে এলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে।মুখখানা তার বেদনায় ক্লান্ত। সংসারের জ্বালায় যেন উৎক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তিনি ছুটে এসে আর কিছু না বলে শ্রীশ্রীঠাকুরের পা দুটো জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেন- "ঠাকুর,আমি আর পারি নে। আমার একটা ব্যবস্থা করুন। কতভাবে চেষ্টা করেছি, বাড়িতে কেউ আমার কথা শোনে না। দিনরাত এমন অগ্রাহ্য ভাব আর নিয়ত প্রতি বিষয়ে এমন ঝগড়া-বিবাদ অশান্তি আমি যেন আর সহ্য করতে পারিনা। সংসারের জ্বালায় সংঘের কাজকর্মও মন দিয়ে করতে পারি না। আপনাকে আর কত বিরক্ত করব। একবার ভাবি দুঃখের প্রলাপ গেয়ে আর আপনাকে বিরক্ত করব না, কিন্তু না এসেও পারিনে। এই ব্যর্থ দুর্বহ জীবনের কথা আর কার কাছেই বা কইব?"

শ্রীশ্রীঠাকুর চুপ করে শুনছিলেন তাঁর কথা। হরেন ভদ্র হাউ-হাউ করে কাঁদতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুশাসনের সুরে বললেন- "কতবার তো বলেছি শুনিস না, কি আর বলব"?
হরেন ভদ্র কান্না নিয়েই বললেন- "ঠাকুর আমি আর অবাধ্য হবো না।যেমনটি বলবেন পালন করতে প্রানপনে চেষ্টা করব"।

শ্রীশ্রীঠাকুর স্থির হয়ে বসলেন। বললেন-ঠিক তো? তাহলে যা একটা পেন্সিল ছুটে গিয়ে নিয়ে আয়। হরেন ভদ্র ছুটে গিয়ে কাগজ পেন্সিল আনলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর লিখলেন- "মানুষের নিজ প্রবৃত্তিগুলির আকাঙ্ক্ষা পূরণের টানের চাইতে ইষ্টে বা ঈপ্সিতে বেশি টান না থাকিলে অদৃষ্ট বা সঞ্চিত কর্মফলের বিরুদ্ধে কিছুতেই কৃতকার্য হওয়া যায় না।"

শ্রীশ্রীঠাকুর কাগজটা হরেন ভদ্রের হাতে দিয়ে বললেন -"যত্নে রেখে দিস। আর এই মত চলবি- জীবনে সুখী হবি।"

( #মহাজীবন)
Post created by Amiya Mridha

গুরুতে যুক্ত হয়ে জীবনে নিয়ন্ত্রিত হও ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄উপস্থিত এক মা বললেন-আমি কুলগুরুর কাছে দীক্ষা নিয়েছি। সদগুরু কোথায় পা...
20/02/2024

গুরুতে যুক্ত হয়ে জীবনে নিয়ন্ত্রিত হও
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
উপস্থিত এক মা বললেন-আমি কুলগুরুর কাছে দীক্ষা নিয়েছি। সদগুরু কোথায় পাব?

শ্রীশ্রীঠাকুর- কুলগুরুর কাছে গেলেও সদগুরুর কাছে যাওয়া লাগে। কুলগুরুরা culture (কৃষ্টি)-টাকে ধরিয়ে দেন। আগেকার কুলগুরুরা বলতেন- 'সদগুরু পেলেই দীক্ষা নেবে।' এখনকার কুলগুরুরা বোধহয় তা' বলেন না, কিন্তু ঐ কথা বলাই উচিত।

উক্ত মা- বাবা! মৃত্যুর পরে আবার কিভাবে আমাদের জন্ম হয়?

শ্রীশ্রীঠাকুর -এই জন্মে আমরা যে-সব কর্ম্ম করি, সে-গুলি আমাদের সত্তায় গ্রথিত হ'য়ে ওঠে। আর, তার দ্বারাই আমাদের পরজন্ম নিয়ন্ত্রিত হয়।

উক্ত মা-ভগবান, যা' করাচ্ছেন তাই তো আমরা করি?

শ্রীশ্রীঠাকুর-ভগবান, যা' করাচ্ছেন তাই কি আমরা করি? করি আমাদের প্রবৃত্তিমাফিক। তিনি জীবনীয়, সবারই জীবনস্বরূপ। আত্মিক-সম্বেগ তিনিই। তিনিই ধাতা, পাতা। ধাতা মানে যিনি ধারণ পোষণ করেন। তিনি আবার পাতা অর্থাৎ পালনকর্তা। আমাকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। আমার মন আছে, বুদ্ধি আছে। সব দিয়ে যদি তাঁর সেবা করতাম তাহ'লে তো বেঁচেই যেতাম। কিন্তু তা' তো করি না। খোদার উপরে খোদকারী করি। পরের কথা শুনে চলি। তাতেও ক্ষতি হ'ত না-যদি সেগুলি বাবার কাজে লাগাতে পারতাম। আমরা যাই কিছু করি, সেই কর্ম্মগুলি যদি সাত্ত্বিক সংহতি নিয়ে বিনায়িত হ'য়ে ওঠে তবে আর ভাবনা থাকে না।

উক্ত মা-আমি নাম-টামও করি। সত্যপথে চলার চেষ্টা করি। তবুও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

শ্রীশ্রীঠাকুর-সত্য মানে কি জানিস তো?-সতের ভাব। যথার্থ হ'লেই যে একটা কথা সত্য হ'ল তা' কিন্তু নয়। যার মধ্যে অস্তিত্বের কথা আছে, বাঁচার কথা আছে, তাই সত্য।

উক্ত মা-এখন আমি কী করব তাহ'লে?

শ্রীশ্রীঠাকুর-যদি সদগুরু পাস্ তাহ'লে তাঁকে ধর্, নাম কর। তিনি আমার বাবা, তোর বাবা, সকলের বাবা। তাঁকে ভালবাস্। কেষ্টঠাকুর ছিল অর্জ্জুনের সখা। সখা মানে অর্জ্জুন তাঁকে ভালবাসত। কেষ্টঠাকুর তাকে বলত-'তুই আমাকে ভালবাস্, আমার কথামত চল।' তারপর কেষ্টঠাকুরের কথামত চ'লে যখন অর্জ্জুনের ভাল হ'ল, তখন সে কেষ্ট ঠাকুরকে চিনতে পারল। তখন অর্জন কয়— 'তুমি আমার গুরু, তুমি আমার উপাস্য। আমি না জেনে কত কথা বলেছি তোমাকে, আমাকে ক্ষমা কর।' তাঁর সাথে যুক্ত না হ'লে এ কখনও বোধে আসে না। তাই আগে যুক্ত হ'তে হয়।

ঐ মায়ের চোখমুখে শান্ত হ'য়ে এল শ্রীশ্রীঠাকুরের মধুর কথাগুলি শুনতে শুনতে। আরও কিছুক্ষণ ঠাকুরদর্শন ক'রে মা-টি আভূমি প্রণাম ক'রে আস্তে-আস্তে উঠে গেলেন। অন্য মানুষ এসে পড়ায় শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁদের সাথে কথাবার্ত্তা কইতে লাগলেন।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রে সহিত কথপোকথন।
সঙ্কলয়িত-পূজনীয় শ্রীদেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
সূত্র: দীপরক্ষী প্রথম খণ্ড, ১৫ই অক্টোবর,১৯৫৪
---------------------------------------------------------------

আচার্য্যদেবের অমৃত কথা***********************আমরা ছোটবেলায় পড়েছি,-" জলের আরেক নাম জীবন।" জলের আরেক নাম জীবন কেন? জল পান ...
20/02/2024

আচার্য্যদেবের অমৃত কথা
***********************
আমরা ছোটবেলায় পড়েছি,-" জলের আরেক নাম জীবন।"
জলের আরেক নাম জীবন কেন? জল পান না করলে জীবন বাঁচেনা, - তাই? আমার কাছে এই কথাটির ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে৷

জল নিরপেক্ষ। তাকে যে পাত্র রাখি সেই পাত্রের আকার ধারন করে, তাতে যে রঙ মেশাই সেই রঙ ধারন করে, সুগন্ধি মেশালে সুগন্ধ বিতরন করে, দুর্গন্ধ মেশালে দুর্গন্ধ। জলে চিনি মেশালে মিষ্টি হয়ে যায়, লবন মেশালে নুনতা। জলের নিজস্ব কোন আকার, রূপ, গন্ধ, স্বাদ নেই,- আমি যেমন চাই জল তেমন হয়।

তেমনি আমার জীবনটাও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ,- জলের মত। আমি যেমন রঙ ঢালি আমার জীবন তেমন ভাবে রঙীন হয়ে উঠে, যেমন আকার দিতে চাই তেমন আকার ধারন করে। আমি চাইলে আমার জীবন দিব্যজীবন হয়ে উঠে,- আমার চাওয়াতেই প্রবৃত্তিমুখর জীবন হয়ে উঠে৷ আমার জীবনের জন্য সম্পূর্ণভাবে আমি দায়ী। আমি চাইলেই আমার জীবনকে মহাজীবনের সাথে যুক্ত করতে পারি।
*********************

আমি ঠাকুরের ইচ্ছা পূরন করতে গিয়ে সেই ইচ্ছাতেই আটকে পড়ে যেতে পারি,- আবার ঠাকুরের ইচ্ছা পূরনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরের কাছেও পৌঁছাতে পারি।

তিনি আমায় হয়ত দীক্ষার আশীর্বাদ করলেন। আমি সেই ইচ্ছা পূরন করতে গিয়ে দীক্ষাকাজে ব্রতী হলাম। দীক্ষা দিতে দিতে বুঝতে পারলাম,- এই কাজে তো বেশ লাভ! অনেক যশ, অনেক খ্যাতি, বেশ ক্ষমতা লাভ হয়। আমি তাতেই মত্ত হয়ে গেলাম,- দীক্ষাতেই আটকে গেলাম। ঠাকুর পাওয়া আর হল না।

ঠাকুর প্রতিষ্ঠার জন্য মন্দির স্থাপনের প্রয়োজন হল। সেই মন্দির পরিচালনার দায়ীত্ব পেয়ে আমি মন্দিরের কর্তা হয়ে বসলাম। ঠাকুরকে ভাবলাম পাথরের মূর্তি,- আমি হয়ে গেলাম কর্তা। একে ওকে নির্দেশ দিতে লাগলাম, নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে লাগলাম। আমি মন্দির নিয়েই পড়ে রইলাম,- মন্দিরেই আটকে গেলাম। ঠাকুর প্রতিষ্ঠা আর হল না।

*********************

আমরা ঠাকুরকে মন্দিরে খুঁজি, ফটোতে খুঁজি, বিগ্রহে খুঁজি৷ নিজের বুকে হাত রেখে কেন বলতে পারিনা,-" ঠাকুর দেখতে চাও? আমায় দেখ,- আমার ঠাকুর আমার মতই। "

********************

আমি আমার বউকে খুব ভালবাসি,- আমার বউও আমাকে ভালবাসে, আমার মনের কথা বলে দিতে পারে। কিন্তু আমি জানি,- আমার বউ আমার চেয়ে ঠাকুরকে বেশী ভালবাসে।

আমি চাই আমার ছেলে আমাকে ভালবাসুক,- কিন্তু আমি এও চাই, - আমার ছেলে যেন আমাকে ঠাকুরের চেয়ে বেশী ভাল না বাসে।

আমার বউও জানে আমি তার চেয়ে ঠাকুরকে বেশী ভালবাসি। আমাদের সকলের মাথায় একজনই আছেন। তাই আমি খুব আনন্দে থাকি, সারাক্ষন আনন্দে থাকি৷

আমার ছেলের যখন এক বৎসর বয়স তখন তার পেটে অপারেশন হয়। এই অবস্থায় সাধারণত সকল মা বাবারাই খুব কান্নাকাটি করবে, টেনশন করবে। কিন্তু সেই মুহুর্তে আমি আর আমার বউ বাইরে বসে খুশ মেজাজে গল্প করছিলাম।

কারন,- আমি জানি অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার থাকুক না থাকুক,- ঠাকুর অবশ্যই থাকবেন।

******************
( সারাদিন আচার্য্যদেবের বহু কথাবার্তার মধ্যে যতটুকু আমার স্মৃতিতে ছিল তা থেকেই লেখার চেষ্টা করেছি। লিখতে গিয়ে আচার্য্যদেবের শ্রীমুখ নিঃসৃত হুবুহু শব্দগুলি দুয়েকটি জায়গায় ভুলে গেছি। তাই কথার মূল অর্থ বা ভাব অনুযায়ী কয়েকটি শব্দ আমার নিজের বসানো। তার জন্য আমি একান্তভাবে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে মাফ করবেন। কিন্তু তাঁর এই অমূল্য জীবনীয় কথাগুলি আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন, - তাই লিখে পোস্ট করছি৷)

*****************
সংকলকঃ ডাঃ রাজেশ চৌধুরী
১৬-০৭-২৩
বিশ্বজিৎ কুন্ডু

।। ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নীর গোলমালে বিপদ হয় কেন।।"মানুষের ভিতর থাকে প্রবৃত্তি, আর প্রবৃত্তির প্রতি থাকে তার আবেগ। আর সেই আব...
20/02/2024

।। ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নীর গোলমালে বিপদ হয় কেন।।

"মানুষের ভিতর থাকে প্রবৃত্তি, আর প্রবৃত্তির প্রতি থাকে তার আবেগ। আর সেই আবেগগুলি অবাঞ্ছিতভাবে চলে, অপকর্ম অর্থাৎ সত্তাসম্বর্দ্ধনার পরিপন্থী কর্ম্মের দিকে প্রধাবিত করে তাকে। প্রবৃত্তিস্বার্থী হ'য়ে চললে, ঐটেই পেয়ে বসতে চায়, আমাদের বুদ্ধিও তেমন হয়, চলনও তেমন হয়। যাতে বিপদ, বিধ্বস্তি, অমঙ্গল আসে তেমন ভাবেই চলি আমরা। নারায়ণের জিনিষ খেয়ে ফেলল মানে, প্রবৃত্তির আবেগ তাকে অতখানি ক'রে তুলেছে, তার inner adjustment (আভ্যন্তরীণ বিন্যাস) অতখানি ভেঙ্গে গেছে। তার ফল যা' হওয়ার তা' হ'তে বাধ্য। কতকগুলি অরিষ্ট লক্ষণ আছে। মরণ যখন এগিয়ে আসে তখন অকরণীয় যা' তাই করে, সেই ধরণের কথা, ব্যবহার ও সঙ্গ করে, সঙ্গীরা এমন জোটে যাদের প্রভাবে হয়তো মৃত্যুমুখী পরিস্থিতির মধ্যে গিয়ে পড়ে। এসবের ফল আপনা-আপনিই এগিয়ে আসে।"

আ.প্র. ১৭শ খণ্ড, ৪।৬।৪৯

◾️আগামীকাল সরস্বতী পূজা। সন্ধ্যায় শ্রীশ্রীঠাকুর গোলতাঁবুতে বিছানায় শুয়ে আছেন। শরীর ভাল নয়। পূজনীয় কাজল ভাই, মেন্টু ভাই,খ...
13/02/2024

◾️আগামীকাল সরস্বতী পূজা। সন্ধ্যায় শ্রীশ্রীঠাকুর গোলতাঁবুতে বিছানায় শুয়ে আছেন। শরীর ভাল নয়। পূজনীয় কাজল ভাই, মেন্টু ভাই,খগেনদা (তপাদার), মোহনভাই (ব‍্যানার্জী), দেবুদা (বাগচী), কালিদাসীমা,সুশীলাদি (হালদার),হেমাপ্রভামা প্রভৃতি আছেন।

◾️শ্রীশ্রীঠাকুর সরস্বতী শব্দের ধাতুগত অর্থ দেখতে বললেন। অভিধান থেকে দেখা গেল এর মূলে আছে সৃ-ধাতু। সৃ-ধাতু মানে গতি,আস্তরণ।

◾️তখন শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন-- সরস্বতী মানে গতিতে যার আলয় বা আবাস। সদাই গতিশীল অর্থাৎ চলে যা' তা বায়ু। বায়ুতে আবাস যায়,তা হ'লো ব‍্যোম। ব‍্যোমন্তরে আছে vibration অর্থাৎ কম্পন। তাই বলে বীণাপাণি। ব‍্যোম অর্থাৎ vibration থেকেই শব্দ অর্থাৎ বাক্,তাই বলে বাগ্দেবী।

◾️খানিকটা আগে শ্রীশ্রীঠাকুর গোঁসাইদা ডেকে সুবোধদার উপনয়নের ব‍্যবস্থা করে দেবার কথা বলাতে গোঁসাইদা বললেন- টাকা পয়সার ত দরকার,ওর ত কাল সব চুরি হ'য়ে গেছে।

◾️শ্রীশ্রীঠাকুর-- চুরি হয়েছে তাতে কী হয়েছে? চুরি হয়েছে,আমরা ত আছি। না,আমারও চুরি হয়ে গেছি? আপনি ত আছেন। করে ফেলেন। ওর একটা ব‍্যবস্থা হয়ে গেলে আমার একটা চিন্তা যায়। বামুনের বাচ্চা-এতদিন হয় নি। ও বরাবর কত করেছে আর আজ ওর এই বেকায়দায় আমরা থাকতে ওর এজন্য ভাবা লাগবে কেন? আপনি যেমন আছেন,আমিও ত আছি।

◾️সুবোধদা-- আপনি দয়া করে কিছু দেবেন না।

◾️শ্রীশ্রীঠাকুর-- তোরা সবাই ত আমার ছাওয়ালের মত। ও সব ভাবিস্ কেন? আর এমনিই হয়ে যাবি নি। সবাই ত তোর।

◾️২০শে মাঘ,বুধবার,১৩৫৫ (ইং ২/২/১৯৪৯)।। আঃপ্রঃ-১৫ খণ্ড।।

◽️◾️সৎসঙ্গ বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা🙏🙏

মানুষ যেমন চায়,---   চলেও সে তেমনই, আচার, ব্যবহার, বাক্যও তা'র        তেমনই হ'য়ে চলে, ঐ চলন করায় উদ্ভিন্ন হ'য়ে    তা'কে ...
07/02/2024

মানুষ যেমন চায়,---
চলেও সে তেমনই,
আচার, ব্যবহার, বাক্যও তা'র
তেমনই হ'য়ে চলে,
ঐ চলন করায় উদ্ভিন্ন হ'য়ে
তা'কে তেমনতর অবস্থানের
উপযুক্ত ক'রে তোলে,
সে ভাগ্যের ভজনা করে অমনি ক'রে,
প্রাপ্তিও হয় তা'র তেমনই,
বস্তুতঃ করার ভিতর-দিয়েই
সে হওয়া ও পাওয়াকে আমন্ত্রণ করে,
এবং ঐ কর্ম্মই তা'র ভাগ্য-বিধাতা।
-----শ্রীশ্রীঠাকুর
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
প্রশ্ন--অনেকের ভাগ্য ভাল থাকে,তারা বিশেষ কিছু না ক'রেও অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যায়।
শ্রীশ্রীঠাকুর--ভাগ্য মানে ভজনফল বা কর্ম্মফল।ভাগ্য এসেছে ভজ-ধাতু থেকে।ভজ-ধাতু মানে ভক্তি, অনুরাগ, সেবা,আশ্রয়, প্রাপ্তি, বিভাগ, দান ইত্যাদি।অনেকের পূর্ব্বজন্মে অনেকখানি করা থাকে, যার ফল এ-জন্মে পায়।তাই মনে হয় কিছু না ক'রেও পেল।কিন্তু পেতে গেলেই করতে হয়।অবশ্য দাগাবাজি ক'রে পাওয়ার কথা,বলছি না।পূর্ব্বজন্মের সুকৃতির কথা যা' বললাম, ওর উপর নির্ভরশীল না হ'য়ে যা' পেতে গেলে যা করতে হয়, বর্ত্তমানকালে তা' বিধিমতো করার তালে থাকাই ভাল।ঐ করাই পাইয়ে দেয়।অদৃষ্টবাদী ও আলস্যপরায়ণ হ'লে মানুষ পদে-পদেই ঠ'কে যায়।যে যা' পায় তা' করেই পায়।আগের করা এগোন থাকলে কর্ম্মদক্ষতা, বুদ্ধি ও চরিত্র তদনুযায়ী বিকশিত হয়।তার বিহিত প্রয়োগে মানুষ এ-জন্মে অপেক্ষাকৃত কম চেষ্টায় কৃতকার্য্যতা লাভ করে।
(আঃপ্রঃ--৯/১৫৩)

06/02/2024

প্রসঙ্গঃপূজার সময় পণ্ডিতেরা তুড়ি দেয়, হাততালি দেয় এসব কেন?

শ্রীশ্রীঠাকুর পার্লারে বসে আছেন সকাল বেলা সমবেত প্রার্থনার পর। ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৬২। কথায় কথায় তিনি আমাদের সকলের দিকে চেয়ে বলতে লাগলেন পূজাকর্মে বা প্রার্থনা করার সময় পণ্ডিতেরা তুড়ি দেয়, হাতে তালি দেয় বা গোড়ালি দিয়ে মাটিতে আঘাত করে। এগুলির তাৎপর্য্য আছে। এই যে তুড়ি তার মানে হল আমার মানুসবৃত্তি যাতে দশ'দিকে ছিটকে না যায়, আমি যেন দশ'দিকের আকর্ষনে আদর্শ থেকে দূরে সরে না যাই।

পায়ের গোড়ালি দিয়ে মাটিতে আঘাত করার মানে হল-- আমার অন্তঃস্থ যে ভৌতিক বৃত্তি আছে তা যেন আমার মধ্যে বিক্ষেপ সৃষ্টি না করে। অসৎ যা-কিছু আমাকে টেনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে লাথি মারি শারীরিক ও মানসিক বিধানকে সুস্থ রাখার জন্য এরূপ করি। এভাবে অভ্যাস করার জন্য physical demonstration (শারীরিক অভিব্যক্তি) থাকত। আমি যা করতে ইচ্ছা করি তার সাথে যদি action ( কর্ম্ম) থাকে তবে নিষ্পন্ন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মনে ভেবে রাখলাম অথচ কিছু করলাম না তাহলে কিছুই হয় না। যখনই করার ইচ্ছা হয় তখনই কিছু করা ভাল। তাহলে একটা impression ( ভাব) হয়। কথা কতগুলি শুধু উচ্চারণ করে গেলে হয় না। তার সাথে ভাবা ও করা চাই। তদনুপাতিক বাহ্যিক প্রকাশও চাই এই, যে বললাম-পণ্ডিতেরা মন্ত্রপাঠের সময় তুড়ি দেয়, করতালি দেয়, তার মানেই হল ঐ-সব বাহ্যিক ক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের চেতন রাখে, ইষ্ট বা আদর্শ ছাড়া যাতে মন অভিভূত না হয়ে পড়ে অন্যদিকে তার জন্যই এসব ব্যবস্থা। শাস্ত্রের যা-কিছু সংকেত তা সবই জীবনীয়। জীবনবৃদ্ধির জন্যেই ঐগুলির উদ্ভব।

[সূত্রঃ কত কথা মনে পড়ে,মনি লাল চক্রবর্তী।]

সর্ব্বধর্ম্ম ত্যাগ করতে হবে কেন ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄হরিনন্দনদা (প্রসাদ) ভাগলপুর থেকে আগত কয়েকজন ভদ্রলোককে নিয়ে এলেন। তাঁরা শ্রীশ্...
05/02/2024

সর্ব্বধর্ম্ম ত্যাগ করতে হবে কেন
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
হরিনন্দনদা (প্রসাদ) ভাগলপুর থেকে আগত কয়েকজন ভদ্রলোককে নিয়ে এলেন। তাঁরা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন- আচ্ছা, গীতায় যে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “সর্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ", সেখানে সর্ব্বধর্ম্ম ত্যাগ করার কথা বললেন কেন?

শ্রীশ্রীঠাকুর-প্রবৃত্তির ধর্ম্ম আছে, তারপর বহুনৈষ্ঠিক হ'য়ে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করা আছে। এই যা'-কিছ, পরিত্যাগ ক'রে তুমি আমার দেওয়া নীতিগুলি পালন কর, তবে আমি তোমাকে উদ্ধার করব। এই হল ওর অর্থ। আবার, এমনটা হ'তে গেলেই আমাদের concentric (সুকেন্দ্রিক) হওয়া লাগবে। ওতে আমাদের complex (প্রবৃত্তি)-গুলি adjusted (নিয়ন্ত্রিত) হবে। এর ভিতর-দিয়ে আমাদের বোধি বেড়ে যাবে, মুক্তি হবে।

প্রশ্ন-ভগবানের আত্মাই যখন আমাদের মধ্যে, তখন তা' কলুষিত হয় কী ক'রে?

শ্রীশ্রীঠাকুর- আত্মা যখন প্রবৃত্তি-অভিভুত হয়, তখনই হয় শাতন। আত্মা হচ্ছে অত্-ধাতু, মানে motive power (চালক শক্তি)। আমার এই আত্মা দিয়ে ভগবানকে ভালবাসলে তবেই আমার লাভ।

প্রশ্ন-তাহ'লে প্রধান জিনিসই হল কর্ম্ম করা?

শ্রীশ্রীঠাকুর-হ্যাঁ, কর্ম্ম করা ঠিকই। কিন্তু ভক্তি না থাকলে কৰ্ম্ম' সুষ্ঠু হয় না। ভক্তি ছাড়া কর্ম্ম disintegrated (সংহতিহারা) হ'য়ে যায়। ভক্তি নিয়ে আসে জ্ঞান। যেখানে love (ভালবাসা) সেখানেই lore (জ্ঞান)। আমরা যখন ভগবানকে ভালবাসি, তখনই আমাদের লাভ হয়। নিজে যদি নিজেতে concentric (সুকেন্দ্রিক) হওয়ার চেষ্টা করি তাতে ফয়দা খুব বেশী নেই। তাঁতে concentric (সুকেন্দ্রিক) হওয়া লাগবে।

হরিনন্দনদা ঐ ভদ্রলোকদের সাথে আলাপ করছেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের কথাগুলি স্পষ্ট ক'রে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সেইদিকে তাকিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর বলছেন-হরিনন্দন খুব ভাল, কেমন সুন্দর কথা বলে।

-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
দীপরক্ষী, প্রথম খণ্ড (১৪ই ফেব্রুয়ারী,১৯৫৪)
---------------------------------------------------------------

04/02/2024

❤️ মাতৃভক্তি ❤️

গুরুগৃহ ছিল প্রকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄বিকালে শ্রীশ্রীঠাকুর বড়াল-প্রাঙ্গণে একখানা চেয়ারে এসে বসেছেন। সুশীলদা (...
04/02/2024

গুরুগৃহ ছিল প্রকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
বিকালে শ্রীশ্রীঠাকুর বড়াল-প্রাঙ্গণে একখানা চেয়ারে এসে বসেছেন। সুশীলদা (বসু), গোপেনদা (রায়), রমেশদা (চক্রবর্তী) ও আরো অনেকে আছেন। হরিনন্দনদা একটি ডাক্তারের কথা বলছিলেন। তাঁর আমেরিকায় যাওয়ার কথা হয়েছে। ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল-তিনি গীতা, রামায়ণ, মহাভারত পড়েছেন কিনা, আমেরিকায় যেয়ে অখাদ্য-কুখাদ্য খাবেন কিনা, ইত্যাদি। শুনে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন-

এইসব খুব ভাল। এ-সবে মানুষের নিজের ঐতিহ্য, কুল-কৃষ্টি ইত্যাদির দিকে নজরটা আসে। আগেকার দিনের university (বিশ্ববিদ্যালয়)-ও ছিল এই আমার এখানকার মত। সেই সব university-র (বিশ্ববিদ্যালয়ের) ছাত্র ছিল উপমন্যু, উদ্দালক, আরুণি। তারা গুরুর আদেশে গরু চরাত, ক্ষেতের কাজ করত। এই করতে-করতেই সমস্ত বিদ্যায় পারদর্শী হ'য়ে উঠল। ওগুলো আমার এত ভাল লাগে! Student (ছাত্র)-রা নিজেরাই সব কাজ দেখেশুনে করত। বাইরের থেকে কিছু impose (আরোপ) করানো হ'ত না। আমার এখানেও বাঁধন নেই, আছে সাধন। আগেকার দিনের সেই ভরদ্বাজের আশ্রম, বশিষ্ঠের আশ্রম, গৌতমের আশ্রম, কত ছিল! সেখানে প্রত্যেক student (ছাত্র)-ই ছিল teacher (শিক্ষক)। আবার, প্রত্যেক teacher-এরও (শিক্ষকেরও) attitude (মনোভাব) ছিল student-এর (ছাত্রের) মত। ভরদ্বাজ, বশিষ্ঠ এরা ছিলেন সব principal (অধ্যক্ষ)। ভরদ্বাজ ছিলেন মস্তবড় scientist (বৈজ্ঞানিক)। প্রত্যেক ঋষিরই কলেজ ছিল। কিন্তু একটা কলেজের সাথে আর একটা কলেজের কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। কোন কলেজ যদি কোন theory (মতবাদ) বের করত, আর একটা কলেজকে তা' জানাবার জন্য student (ছাত্র) পাঠিয়ে দিত।

-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
দীপরক্ষী, প্রথম খণ্ড (৮ই অক্টোবর, ১৯৫৩)
--------------------------------------------------------------

প্রসঙ্গঃ ইষ্টভৃতি  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄কুমারটুলি থেকে জীবনদা নামে একটি দাদা আরো কয়েকজনকে নিয়ে এসেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বিকালে গোল তাসুর ব...
03/02/2024

প্রসঙ্গঃ ইষ্টভৃতি
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
কুমারটুলি থেকে জীবনদা নামে একটি দাদা আরো কয়েকজনকে নিয়ে এসেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বিকালে গোল তাসুর বারান্দায় সমাসীন। নিজের কিছু টাকা অপব্যয় হ'য়ে যাওয়ায় জীবনদা সমস্যাপীড়িত। শ্রীশ্রীঠাকুরকে বলছিলেন-ছেলেকে ব্যবসার জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু অন্যরকমভাবে খরচ ক'রে নষ্ট ক'রে ফেলল।

শ্রীশ্রীঠাকুর-ছেলেমানুষ তো! টাকা হাতে পেয়েই মনে করেছে রাতারাতি বড়লোক হওয়া যাবে। কিন্তু আসলে "slow but steady wins the race" (ধীর অথচ দৃঢ় ব্যক্তিই দৌড়ে জয়লাভ করে)।

জীবনদা-আমার সাথে এই যে ডাক্তার-দা এসেছেন, ইনি বলছেন, ইষ্টভৃতি রোজ না ক'রে মাসে কিছু টাকা দিলেই তো হয়।

শ্রীশ্রীঠাকুর-ইষ্টভৃতির ভয়ানক গুণ। ওটা আগন্তুক অনেক ব্যাঘাত ঠেকিয়ে দেয়। আমাদের গীতাতে আছে, ইষ্টকে না দিয়ে যে খায় সে চোর হয়। এমন-কি, আমেরিকান সাহেব জেমস্-ও বলেছেন যে, এইভাবে দেওয়ার action (ক্রিয়া) অসম্ভব। ওটা করাই লাগে। ইষ্টভৃতিটা তো চাঁদা নয়, গুরুকে যা' দিত সেই বার্ষিকীও নয়। এর যে কী গুণ, তা' ঠিকমত করলেই বোঝা যায়। যখনই চলার পথে কোন ভুল হয়, তখনই বুঝতে হবে ইষ্টভৃতিতে কোন গণ্ডগোল আছেই। অত simplest (সরলতম) এবং strongest (সব থেকে শক্তিশালী) পথ আর নেই। ওটা দৈনিকই করতে হবে এবং ত্রিশ দিনের দিন পাঠিয়ে দিতে হবে।

জনৈক দাদা-আমি দৈনিক ইষ্টভৃতি করি বটে, কিন্তু ত্রিশ দিনের দিন পাঠানো হয় না।

শ্রীশ্রীঠাকুর-তাহ'লে ঐ জায়গায় আমার গন্ডগোল আসার পথ খোলা থাকে। আর, মাথায় বিষয় ও ব্যাপারগুলির adjustment (নিয়ন্ত্রণ) ঠিকমত হয় না। আমার বাবা ব'সে আছেন দূরে। আমি যদি ত্রিশ দিনের দিন না পাঠাই তাহ'লে তিনি যে না খেয়ে থাকবেন, এইরকম চিন্তাটি ক'রে নিলেই হয়।

-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
দীপরক্ষী, প্রথম খণ্ড (২৬শে সেপ্টেম্বর,১৯৫৩)
---------------------------------------------------------------

▪️▪️▪️   ||  আগে দীক্ষা, পরে শিক্ষা-  ||   ▪️▪️▪️▪️ ◾ এই ছিল ঋষির বিধান। ৫-বৎসরে নামগ্রহণ, ১২ বৎসরে দীক্ষা উপনয়ন নির্ধা...
30/01/2024

▪️▪️▪️ || আগে দীক্ষা, পরে শিক্ষা- || ▪️▪️▪️▪️

◾ এই ছিল ঋষির বিধান। ৫-বৎসরে নামগ্রহণ, ১২ বৎসরে দীক্ষা উপনয়ন নির্ধারিত। আগের দিনে, সে রাজার ছেলে হলেও ঋষির আশ্রমে গিয়ে রান্না, কাঠচেলা, কাঁপড়কাঁচা, ফসল লাগান, জমি চাষ, গো-পালন, নিজ হাতে গুরু সেবা, গাঁয়ে গিয়ে ভিক্ষা করা-এইসব হাতে-কলমে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করার পর উন্নত শিক্ষা বা বিয়ে করার উপযুক্ততা নির্বাচিত হত

👤 শ্রীশ্রীঠাকুরঃ গুরু হলেন তিনি যাঁকে দিয়ে মা, বাবা ও সব কিছুর পরিপূরণ পাই, সেই জন্য সব কিছু ইষ্টানুগ হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজগুলি ব্যর্থ হয়ে গেছে, এটা নেই বলে । [আ.প্রঃ ২১/২৫৬]

" শোনরে তুই বলছি আমি
জ্ঞানের যদি করবি চাষ,
আচারবান আচার্য ধর
চর্যাতে থাক তার সকাশ ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর

"দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা ধরিস্
আচার্যকে করে সার,
আচারণী বোধ-চয়নে
জ্ঞানের সাগর হ' না পার ।
- শ্রীশ্রীঠাকুর

👤 শ্রীশ্রীঠাকুরঃ Discipline (শৃঙ্খলা) তখনই হয়, যখন মানুষ at heart really disciple (অন্তরে ঠিক ঠিক শিষ্য) হয়। আর তখনই সে disciplined (অনুশাসিত)। [আ.প্র.১৪/১৬৪]

👤 শ্রীশ্রীঠাকুরঃ মানুষ যতক্ষণ disciple(শিষ্য) না হয়, ততক্ষণ discipline (শৃঙ্খলা) আসে না। [আ.প্র.১৫/২৩৫]

👥 হাউজারম্যানদাঃ ছাত্রদের কিভাবে discipline শেখান যায়?

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ Discipline শেখাতে গেলে ছেলেপেলেকে আগে disciple (শিষ্য) করে তুলতে হয়। আর, disciple করা মানে তাদের ভালবেসে শ্রদ্ধাশীল করে তোলে ।

মাঃ তাতে অনেকটা সময় লাগে ।

👤 শ্রীশ্রীঠাকুরঃ Teacher যদি ভাল হয় তাহলে অল্প সময়েই পারে। [দীপর ৩/২৫৫]

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satsang barta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share