Total Cablebd

Total Cablebd Welcome to the Total Cable official page! Total Cable is one of the fastest growing IP/Cabl Total Cable Inc.
(17)

has begun its operation in 2009 and has been in production since January, 2011. The inspiration of the company is the realization that there is a need for a company that can provide a wide variety of international channels to the Bangladeshi community in the USA. The company is headquartered in the New York City in the state of New York. has developed a highly innovative product/solution for the I

PTV/Cable product sector. Our research indicates that our technology is unique and will offer significant advantage over all available similar and competing products/services.

08/04/2024

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯: ২৬
বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে তিন শ নদী ও রাজমহল পাহাড় দিয়ে বিচ্ছিন্ন থাকায় বাংলা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রায় সব সময় বিদ্রোহ বজায় রেখেছে। সেদিনের ব্রিটিশ আমলেও ফকির বিদ্রোহ, সন্ন্যাস বিদ্রোহ, তিতুমীরের বিদ্রোহ, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, অনুশীলন সমিতি, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন এবং পরবর্তী সময়ে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, নকশাল আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান এসব তার প্রমাণ। ব্রিটিশকে প্রথমত কলকাতা-ছাড়া ও পরে ভারতছাড়া করেছিল মুখ্যত বাঙালিরাই।
বাঙালির বিদ্রোহী মনোভাবের আরও একটি কারণ আছে। বাইরে থেকে যত নিরীহ আর শান্তই মনে হোক, বাঙালির ভেতরে রয়েছে এক জ্বলিত ইস্পাত। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সে তার স্বাক্ষর রেখেছে। এরশাদের পতনের সময় আমি এক বন্ধুকে রসিকতা করে বলেছিলাম, কোনো একনায়কতন্ত্রী শাসনকে বাঙালি ১০ বছরের বেশি সহ্য করতে পারে না। আইয়ুব খানকে ১০ বছরের বেশি সহ্য করেনি। এরশাদকে ৯ বছরের মাথায় বিদায় করেছে। পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমীনকে (রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ছাত্র হত্যার দায়ে) ৭ বছরের মধ্যে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছে।

১৯৯১ সালে আমরা গণতন্ত্রের যোগ্যতা ছাড়াই গণতন্ত্র পেয়ে যাই। এর ফল যা হওয়ার তা-ই হয়। দেশের প্রধান দুটি দল পালাক্রমে অতীতের একনায়কতন্ত্রীদের ধারায়, নিখাদ স্বৈরাচারীদের মতো, দেশ শাসন শুরু করে। ফলে সেই উদগ্র ক্ষমতালিপ্সার মুখে গণতন্ত্রের মহান স্বপ্ন উল্টে ‘রাষ্ট্রের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়’তে পরিণত হয়। পরিস্থিতির ক্রমাবনতির মুখে বাংলাদেশ প্রায় দুটি দেশে বিভক্ত হয়ে যায় ও দেশ গৃহযুদ্ধের মতো অবস্থায় এসে পড়ে।
সামরিক বাহিনী-সমর্থিত সরকারের পর ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে দেশবাসীর দ্বারা ব্যাপকভাবে অভিনন্দিত হয়। কিন্তু এরপরই তাদের ভেতর উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখা দিতে শুরু করে। বছর দশেক আগে কোনো এক অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারপ্রধানের শিক্ষক ও অতি নিকটজন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নৈতিক স্বপ্ন অর্জিত হয়নি।’ খুব সম্ভব সে সময় দেশে অব্যাহত দুর্নীতির চক্রবৃদ্ধি দেখে গভীর দুঃখ থেকেই তিনি কথাগুলো বলেছিলেন। শুধু একালে নয়, বাঙালির নৈতিকতার খুব একটা সুনাম কোনো সময়েই ছিল না। জৈনধর্মের প্রবর্তক মহাবীরের জীবনীতে, ইবনে বতুতার ভ্রমণবৃত্তান্তে, ব্রিটিশ লেখক ও অফিসারদের রচনায় বা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই অনৈতিকতার হাজারো চিত্র আমরা অহরহ পাই। যে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের নৈতিক মান এমন প্রশ্নবিদ্ধ, সে দেশের কোনো দলীয় সরকারের নেতৃত্বে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ভাবাও কঠিন।
এ কারণে ১৯৯১-এর নির্বাচনের সময় থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলই ঐকমত্যে আসে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার একমাত্র নিশ্চয়তা মনে করায় ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে তৎকালীন সরকারের দ্বারা পদ্ধতিটিকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করিয়ে নেন।
যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ব্যাপক আন্দোলন করেছিলেন, তিনিই স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন সরকারের হাতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পণ করেন।
এতে একটা ব্যাপার নিশ্চিত হয় যে চাইলে ক্ষমতাসীন সরকার কারচুপির মাধ্যমে প্রতিটি নির্বাচনে জিততে ও যত দিন খুশি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার সুযোগ নিতে পারবে। হলোও তাই। একের পর এক অবিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বর্তমান সরকার নির্বিঘ্নে একচ্ছত্র ক্ষমতায় দেশ শাসন করে চলল। অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার সুযোগ একদিক থেকে গভীর স্বস্তির ব্যাপার হলেও আরেক দিক থেকে খুবই বিপজ্জনক। অ্যাবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস অ্যাবসলিউটলি। তাই এই ক্ষমতা যেন চিরস্থায়ী হয়, এমনই একটা দুরপনেয় আকাঙ্ক্ষা, শেক্‌সপিয়ারের ম্যাকবেথ-এর মতো, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের হৃদয়কে লুব্ধ করে তুলতে থাকে। হয়েছেও তা-ই। ধীরে ধীরে, নিপুণ কৌশলে, বিপুল জবাবদিহিহীন সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি অঙ্গকে (সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আমলাতন্ত্র ও অনেকাংশে বিচার বিভাগকে) তারা সম্পূর্ণভাবে বশীভূত করে ফেলেছে। দলের লাখ লাখ কর্মীকে নির্বিচার সন্ত্রাস, লুণ্ঠন, ছিনতাই—এসবের সুযোগ দিয়ে দেশকে অপ্রতিহত লুণ্ঠনের সাম্রাজ্য করে ফেলা হয়েছে।
আজ দেশে এমন মানুষ খুব কমই আছে, যারা প্রতিমুহূর্তে এসব দুর্নীতি আর নিগ্রহে নিষ্পেষিত হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ তাদের নিরাপত্তা ও আশ্রয়স্থল হারিয়ে অসহায়ের মতো ইতিউতি ত্রাণকর্তা খুঁজছে। শুধু গড়পড়তা মানুষ নয়, যারা লুণ্ঠনকারী, তারাও অন্য লুণ্ঠনকারীদের হাতে লুণ্ঠিত হচ্ছে।
এমন মাৎস্যন্যায়ের ভেতর দেশের ছাত্রসমাজ বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা ঘটাল। তাদের দাবি আদৌ অযৌক্তিক ছিল না।
সরকার যে তাদের দাবি এত চটজলদি এবং প্রায় পুরোপুরি মেনে নিল, এটাই প্রমাণ করেছে ছাত্রসম্প্রদায়ের দাবি কতটা যৌক্তিক ছিল। সরকার প্রথমেই ছাত্রদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে আলাপ-আলোচনা করে এর একটা সমাধান অনায়াসে বের করতে পারত। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই, মহাভারতের কর্ণের মতো, জীবনের সঙিনতম মুহূর্তে নিজের সবচেয়ে অমোঘ অস্ত্রটির কথা ভুলে যায়। দীর্ঘদিনের ক্ষমতার প্রতাপ, শক্তির দম্ভ ও অহমিকার কারণে তাঁরা সম্ভবত সে পথ নেননি। তাঁরা বেছে নিলেন শক্তি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যম।

হঠাৎ একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সামনে সরকারপ্রধান এমন একটি কটূক্তি করেন, যাতে ছাত্রছাত্রীরা অনুভব করে সরকারপ্রধান আন্দোলনকারীদের ‘অস্তিত্বকে অসম্মান’ করেছেন। প্রতিবাদে দুপুররাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রাজপথে বেরিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে ছাত্ররা। চলতে থাকে ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ তুলকালাম শোভাযাত্রা।
তারপর সশস্ত্র ছাত্রলীগের বিপুলসংখ্যক কর্মী, পুলিশ, বিজিবি, সামরিক বাহিনীকে দিয়ে নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর যে অকথ্য নিগ্রহ চালানো হলো, যে পরিমাণ হত্যা, মৃত্যু, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চলল, তা আমাদের জাতির ইতিহাসের অন্যতম দুঃখময় অধ্যায়। আজও সেই সরকারি নিগ্রহ ও জনগণের নিরস্ত্র প্রতিরোধ চলমান রয়েছে। ঘটনাটি গোটা বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তিকে টেনেহিঁচড়ে কাদায় নামিয়ে দিয়েছে।
কোটার বৈষম্যবিরোধিতা নিয়ে এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে এ আন্দোলন আজ সরে এসেছে সমাজ ও রাষ্ট্রের বৈষম্য ও মানবিক অসাম্যের বিরুদ্ধে। হ্যাভস আর হ্যাভ নটসের সংঘাতে। যে দুই দলের মধ্যে বিরোধ চলছে, তার একটি মূলত হ্যাভস, একটি হ্যাভ নটস।
সরকার বিরোধী দলগুলোর ওপর এ দুর্ঘটনার পুরো দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোথায় এ দেশে বিরোধী দল? তারা তো বহু আগেই নিশ্চিহ্ন। যে সোয়া দুই শ মানুষ নিহত হয়েছেন, তাঁদের কজন বিরোধী দলের? যে ১০ হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার মধ্যে হিসাবমতে মাত্র ২০০ জন বিএনপি ও ৬৩ জন জামায়াত। কোথায় এখানে বিরোধী দল? মৃত বা গ্রেপ্তার—সবই তো হয় ছাত্র, নয় সাধারণ মানুষ।
একটা আধুনিক রাষ্ট্রে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী, সেনাবাহিনীÑএমন অনেক কিছুই থাকে। এদের শক্তিও অনেক। কিন্তু এদের চেয়েও শক্তিমান একটা জিনিস থাকে প্রতিটি জাতির জীবনে। তার নাম জনগণ। এর চেয়ে শক্তিমান কেউ নয়। আজ আমেরিকার দুর্জয় সেনাবাহিনী পৃথিবীকে ৯০০ বার ধ্বংস করতে পারে, কিন্তু তার নিজের দেশে মার্শাল ল দিতে পারে না। এ জন্য পারে না যে ওই জনগণের মধ্যে এমন কিছু শক্তি আছে, যা ওই সেনাবাহিনীর ক্ষমতার চেয়ে বেশি।

সাময়িকভাবে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও দেশজোড়া দুর্নীতি আর লুণ্ঠনের ফলে মানুষের বুকের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে যে ক্ষোভ, বেদনা, ঘৃণা ও আক্রোশ পুঞ্জীভূত হয়ে আছে, তাকে মুছবে কে? জাতীয় কল্যাণকে আর অহমের দাস করে রাখবেন না। গণতন্ত্র চিরকালই সহযোগিতার, সৌহার্দ্যের—তার এই মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখুন। নমনীয় হোন।
কনফুসিয়াস বলেছিলেন, কোনো রাজা ‘যদি তার নাগরিকদের ভালোবাসে’, তবে তিনি তাঁর নাগরিকদের সঙ্গে যে আচরণ করবেন, তা-ই হলো রাজোচিত আচরণ। সরকারের সেই রাজোচিত আচরণ কোথায়?
আমরা যেন না ভুলি যে স্বৈরাচারীরা ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে ধ্বংস হন আর গণতন্ত্রী সবাইকে ভালোবাসা দিয়ে জয়লাভ করেন।

01/01/2023

12/17/2022

Address


Telephone

+17187776556

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Total Cablebd posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Total Cablebd:

Videos

Share

Our Story

Total Cablbd Inc. has begun its operation in 2009 and has been in production since January, 2011. The inspiration of the company is the realization that there is a need for a company that can provide a wide variety of international channels to the Bangladeshi community in the USA. The company is headquartered in the New York City in the state of New York. Total Cablebd Inc. has developed a highly innovative product/solution for the IPTV/Cable product sector. Our research indicates that our technology is unique and will offer significant advantage over all available similar and competing products/services.