01/04/2024
অনেকের প্রশ্ন কিভাবে কালেরকন্ঠ এতো তথ্য পেল,তাদের জানার জন্য বলছি।
আওয়ামী পুলিশের আইজিপি থাকা অবস্থায় বেনজিরের মেয়ের বিয়ে হয়, আর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আকবর সোবহান। আর বসুন্ধরায় যে ফ্ল্যাটটি বেনজির কিনেছিলেন সেটা কিনতে সব রকম সহযোগিতা করেন বসুন্ধরার মালিক।
এই দুইটা বিষয় উল্লেখ করার কারণ হলো,বেনজিরের সাথে বসুন্ধরার মালিকের ঘনিষ্ঠতা কতটুকু ছিলো তা বুঝানোর জন্য।
এখন আসি মুল কথায়, পুলিশের আইজিপি কিংবা র্যাবের
ডিজি থাকায় অবস্থায় বেনজিরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো বসুন্ধরার। সেই সময় বসুন্ধরায় বিভিন্ন কাজে বেনজিরের ক্ষমতাকে ব্যবহার করা হতো,বিনিময়ে বেনজিরও নানান সুযোগ সুবিধা নিতো,ফলে ঐ সময় বেনজির যেখানে যেখানে সম্পদ গড়ে তুলেছেন তার সব কিছুই বসুন্ধরা জানে,এমনকি কোন কোন জায়গায় বসুন্ধরা বেনজিরকে সহযোগিতাও করেছেন।
হঠাৎ বেনজিরের প্রতি ক্ষেপার কারণ: বেনজিরের এখন রাষ্ট্রীয় তেমন ক্ষমতা নাই,ফলে বসুন্ধরা আর তাকে ব্যবহার করতে পারবে না।
বেনজির সম্প্রতি সময়ে রংধনু গ্রুপের আন্ডা রফিকের বিনিয়োগ করেছে,ফলে রফিক বেনজির ব্যবসায়িক পার্টনার। রফিকের মালিকানাধীন মিডিয়া হাউজ প্রতিদিনের বাংলাদেশ বসুন্ধরার আনভীরকে নিয়ে বেশ কয়েকটি নিউজ করেছে,নিউজ গুলো সত্য হলেও এর মূলে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব। বসুন্ধরার মালিকানাধীন গণমাধ্যমও রফিক কে নিয়ে প্রায়ই নিউজ করে,এসবের মূলে মুক্ত গণমাধ্যম কিংবা সত্য প্রকাশ কিংবা জনস্বার্থে প্রকাশিত নিউজ নয়,এগুলো কেবলই ব্যবসায়িক পারপার্স। বসুন্ধরার আনভীরকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশে রফিক কে শেল্ডার দিচ্ছে বেনজির, যার ফলে বেনজির কে নিয়ে বসুন্ধরার মালিকানাধীন পত্রিকায় এই নিউজ।
বসুন্ধরা,বেনজির, রংধনু, দিন শেষে এরা সবাই এই ফ্যাসিবাদের দোসর।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যম খোলার একটাই কারণ তাদের নিজেদের ব্যবসার প্রয়োজনে গণমাধ্যম কে ব্যবহার করা। বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রধান বাঁধা এই অস্ৎ মালিকরা,আর দ্বিতীয় বাঁধা এই স্বৈ*রাচার।
সংগৃহীত