The Trioo

The Trioo Let's explore the world

01/05/2024

যেই মেয়ে রা ব্রেকাপের পরে 'hair holds memory' বলে চুল কেটে ফেলে, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন আছে। তোমাদের চুল যদি আগে থেকেই ছোট হইতো তাহলে কি মেমোরি দূর করার জন্য ন্যাড়া হইতে?🤓

25/04/2024

সবাইকে Blur করে তোমাকে Focus করলাম!
আর সেই তুমি কিনা আমাকেই Crop করে দিলে!!🙂

18/04/2024

অধিকাংশ ছেলেদের ই দেখি পারফেক্ট এক জোড়া ভ্রু থাকে। চোখ এমন যেন কাজল পড়িয়ে দেয়া। ইয়া বড় বড় আই ল্যাশ। দেখে যে কোনো মেয়েই বলবে, "ইশ, এমন টা যদি আমার হতো!"
এখন আমার প্রশ্ন হলো, মেয়ে রা কি এত সুন্দর করে চোখ সাজায় শুধুমাত্র নিজেদের কে ছেলে বানানোর জন্য?🙂

15/03/2024

একটা মনের মানুষও নাই যে ঈদে তারে কিছু গিফট করবো...🙂

14/03/2024

আজকে π দিবস অথচ তোমাকে π লাম না! 🙂

05/03/2024

তারপর বলুন, কে কয়বার আইডি লগ-ইন করার বৃথা চেষ্টা করেছেন? আর আইডি হ্যাক হয়েছে ভেবে এতক্ষণ ধরে কারা কারা হাহুতাশ করলেন? 🙂

05/03/2024

আরেকটু হলেই হার্ট অ্যাটাক করতাম 🙂

05/03/2024

জানে পানি আসলো 🥺🥲

Timeless love৭ দিন পর...ডাক্তার : তোমার নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিৎ। মাস খানেক পরেই তোমার অপারেশন। শুভ: আমি কি আজ বাড়ি...
07/02/2024

Timeless love

৭ দিন পর...
ডাক্তার : তোমার নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিৎ। মাস খানেক পরেই তোমার অপারেশন।
শুভ: আমি কি আজ বাড়ি যেতে পারি?
ডাক্তার: হ্যাঁ

শুভর কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরের মাসেই তার অপারেশন। ডোনারও পাওয়া গেছে

লাল গোলাপের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে শুভ। রুহি কে মেসেজ দিয়ে বলল তাড়াতাড়ি ক্যাফে তে পৌছাতে। সাথে হুমকিও দিল দেরি করলে দুই ঘন্টা বসিয়ে রাখবে।

আজ রুহি দারুন খুশি। কারণ আজ শুভ নিজে ক্যাফে তে বসার কথা বলেছে।

----

পশ্চিম আকাশে সূর্য অনেক আগেই ঢলে পড়েছে। ক্যাফে থেকে বেড়িয়ে বাড়ির রাস্তা ধরছে শুভ। আজ সারাদিন সে রুহির জন্য অপেক্ষা করেছে কিন্তু রুহি আসেনি। বাড়ি ফিরে টিভিতে শুভ একটা নিউজ দেখতে পায়। তাদের ইউনিভার্সিটির একটা মেয়ে সকালে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে। পুরো নিউজ টা সে আর শোনে না। কারণ সে অনেক ভীতু...

৬ মাস পর...
হ্যাঁ, রুহি মারা গেছে আজ ৬ মাস হলো। রোজকার মতো আজও শুভ চেয়ারে বসে আছে হায়ে নোটস গুলো নিয়ে যেগুলো রুহি তাকে দিয়েছিল। নোটস বললে ভুল হবে। আসলে ওগুলো রুহির লেখা কিছু কথা যা রুহি শুভ কে বলতে চাইতো

।।।।।।।।।।।।।।রুহির লেখা কথা।।।।।।।।।।।।।
বলো তো আমাদের প্রথম কবে দেখা হয়েছিল? তুমি বলবে ক্লাসে। কিন্তু না। আমি তোমাকে চিনি আরো এক বছর আগে থেকে। আমি প্রথম তোমায় হসপিটাল এ দেখেছিলাম। সেই দিন ডাক্তার বলেছিলেন আমি আর বেশি দিন বাচবো না। কাওকে আবার এ কথা বলো না, এটা সিক্রেট। জান প্রথম দিন আমি যখন তোমার নাম জিজ্ঞেস করলাম আর তুমি চলে গেলে সেদিন আমার অনেক খারাপ লেগেছিল। তার পরেও আমি তোমার সাথে হেসে কথা বলেছি। মনে আছে হসপিটালে যেদিন তোমার সাথে দেখা হলো? ওই দিন কোনো কাজিনের জন্য নয়, আমার নিজের জন্য গিয়েছিলাম। সেদিন রাতে তোমায় ফোন দিয়েছিলাম। কারণ তখন মনে হচ্ছিল আমি মারা যাচ্ছি। খুব কষ্ট হচ্ছিল।
শুভ, আমি মরতে ভয় পাই। আমি বাচতে চাই। প্রতিটি শিশির কণা হতে চাই। রোদের প্রথম পরশ হতে চাই। অনেক অনেক দিন বাচতে চাই। তবুও আমি খুব খুশি কারণ আমার মৃত্যুর পরে আমার কিডনি তোমায় দেয়া হবে। জীবন টা খুব ছোট। প্লিজ ইনজয় ইট। কিন্তু তুমি যদি জীবন টা বন্ধ দরজার মধ্যে কাটাতে চাও তবে কাটাতে পার। আর যদি খোলা আকাশের নিচে বুক ভরে বাচতে চাও, তবে বলব 'ওয়েলকাম মিস্টার '
আর হ্যাঁ, আমি বেচে থাকবো তোমার মধ্যে....

এই নিয়ে কত বার লেখাটা শুভ পড়েছে সে নিজেও জানে না। তবুও পড়তে ভালো লাগে। প্রতিবার মনে হয় রুহি তার সামনে বসে বিনা সংকোচে কথা গুলো বলছে।

(সমাপ্ত)

Written by Kumori Sora

Part 3পরের দিন সকালে সাকিব আমায় সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। আমার শশুর মশাই কে দেখে মনে হচ্ছে না সে আমার প্রতি সন্তুষ্ট। জ...
01/02/2024

Part 3

পরের দিন সকালে সাকিব আমায় সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। আমার শশুর মশাই কে দেখে মনে হচ্ছে না সে আমার প্রতি সন্তুষ্ট।
জয়েন্ট ফ্যামিলি সবসময়ই আমার কাঙ্খিত। তাই নিজেকে যথেষ্ট মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমি আর রেণু সাহেদের বাসরের খাট সাজাচ্ছি। হ্যাঁ, সাহেদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সেই মেয়েটির সাথে যাকে ও প্রেগন্যান্ট করে ফেলেছে। রেণু বলল সেই জন্যই হয়তো আমার শশুর মশাই এর মন মেজাজ ভালো নেই।

৩ মাস পর :
আজ তিন মাস হয়ে গেল আমার আর সাকিবের বিয়ের। শশুর বাড়ি তেই আছি। গ্রামের মধ্যে শশুর বাড়ি আমার।বাইরের দুনিয়ার সাথে আমার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। আমার জা সবিতা বেশ ভালো মেয়ে। চার মাসের অন্তঃস্বত্তা সে। আমি যথেষ্ট খেয়াল রাখার চেষ্টা করি মেয়েটার। এখানে এসে যা বুঝলাম তা হলো এই পরিবারের ছেলেরা মেয়েদের অতটা সম্মান করে না। সাহেদ সবিতার সাথে খুব একটা ভালো ব্যবহার করে না। মেয়ে টা প্রায়ই কান্নাকাটি করে। ভাবলাম সাহেদের সাথে কথা বলি। সাহেদ এর সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখি সাকিব আর সাহেদ কোনো একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করছে। আমি সাহেদ কে ডাকতেই সাকিব চিৎকার দিয়ে উঠল, "দেখছ না আমরা দুই ভাই কথা বলছি? এর মাঝে কথা বলতে আসো কেন?"
আমি ভয়ে থমকে দাড়ালাম। "সাহেদ এর সাথে একটু কথা ছিল।"
"দেওর এর সাথে আবার কিসের কথা! যাও ভেতরে যাও!"
আমি কান্না করতে করতে ভেতরে চলে গেলাম। কখনো কল্পনাও করতে পারিনি সাকিব আমার সাথে এমন টা করতে পারে!
অনেক কিছু বলার ছিল সাকিব কে। কিন্তু আমি বলব না। রাগ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সে কখন ঘরে এসেছে তা বুঝতেও পারিনি।

২ দিন পর-
আজ কয়েকদিন ধরেই প্রেগন্যান্সির সিম্পটম দেখা দিচ্ছে। সাকিবের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার সময়ই পাচ্ছি না। ও কেমন যেন হয়ে গেছে। আমার আগের সাকিব এখন আর ও না। এ যেন অন্য কেউ। মাঝে মাঝে চেনা লাগে, আবার মনে হয় অচেনা।
আজ সব অভিমান ভেঙে সাকিবকে কথা টা বলেই দিলাম। ও প্রথমে বিষয় টা বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল। সাকিবের খুশি মুখ দেখে মনে হলো আমি আবার আমার সাকিবকে ফিরে পেয়েছি। আমার হাস্যজ্জ্বল সাকিব, যে কিনা তার মায়ার জন্য পাগল ছিল।
সেদিন সারা রাত সাকিব আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। আমি ভাবতেও পারিনি সাকিব এতটা খুশি হবে।
---
৫ মাস পর।

আমার জা এর একটা ছেলে হয়েছে আজ ৩ দিন। বাড়িতে প্রায় উৎসব মতো লেগে গেছে। শাশুড়ি মা বলেছিলেন ডাক্তারের কাছ থেকে আল্ট্রাসাউন্ড করিয়ে আনতে, আমার সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে জানার জন্য। আমি রাজি হয়নি। বলেছিলাম, যাই ই হোক, আমার সন্তান সে। মা আর বেশি জোর করেন নি। তবে আমার বাহ্যিক ভঙ্গিমায় নাকি মনে হয় আমার মেয়ে হবে।

Part 4রুহি ও তার ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে সুন্দরবন এসেছে। আপাতত সামনের দুইদিন জমিয়ে ঘুরবে সে। কিন্তু অবাক হয় যখন জানতে পার...
27/01/2024

Part 4

রুহি ও তার ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে সুন্দরবন এসেছে। আপাতত সামনের দুইদিন জমিয়ে ঘুরবে সে। কিন্তু অবাক হয় যখন জানতে পারে শুভও এসেছে।
বিগত কিছু সময় ধরে শুভর পিছনে হাটছে সে।
শুভ: আমাকে অনুসরণ করা বন্ধ কর। যাও তোমার সাব্বির ভাইয়ার কাছে যাও।(সাব্বির রুহির ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ভাই। সাব্বিরের সাথেই রুহি কে কথা বলতে দেখেছিল শুভ সেদিন)
বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইল রুহি। কী বলবে বুঝতে পারলো না।

পড়ন্ত বিকেল। ইতিমধ্যে কেউ কেউ বেরিয়ে পরেছে আশ পাশ টা ঘুরে দেখতে। যদিও বেশি দূরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ।
সাব্বির: আমি এর আগেও অনেক বার এখানে এসেছি। তুমি চাইলে তোমায় ঘুরিয়ে দেখাতে পারি।
রুহি: ওকে ডান।
বিদ্যুৎ গতিতে এসে শুভ রুহির হাত ধরে একই গতিতে রুহিকে নিয়ে গেল। উপস্থিত কেউ বুঝলোনা কী ঘটে গেল।
রুহি: এটা কী হলো?
শুভ: তুমি ওই ছেলের সাথে মিশবে না।
রুহি: বললেই হলো হলো নাকি? আর আমি কি বোবা নাকি? নাকি আমার মুখ নেই?
দুজনে কথা বলতে বলতে হঠাৎ খেয়াল করলো তারা জঙ্গলের অনেক ভিতরে চলে এসেছে। একটু পর সন্ধ্যা নামবে। এদিকে পথ হারিয়ে ফেলেছে দুজনেই। রুহির তো হাত পা ছড়িয়ে কান্না করার উপক্রম। আর আমাদের শুভ, তাকে আপাতত বিন্দাস দেখাচ্ছে।
রুহি: সব তোমার জন্য হয়েছে।
শুভ: ফালতু কথা বাদ দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা খোঁজ।
কারো পায়ের শব্দে সজাগ হয়ে ওঠে রুহি আর শুভ। পাশেই কোথাও হয়তো মধু নিতে এসেছিল মৌয়াল এর দল। তাদের সাথে তাদের গ্রামে গেল রুহি আর শুভ।

রাত কত বাজে জানা নেই। দূর জঙ্গল থেকে পশু পাখির শব্দ শোনা যাচ্ছে। চারদিকে নিস্তব্ধতা। ছোট একটা কাঠে আগুন জ্বলছে। তার পাশে বসে আছে শুভ আর রুহি। আকাশের পানে তাকিয়ে জীবনের হিসাব মিলাচ্ছে শুভ। বেরঙ জীবন টা আজকাল রঙিন লাগে। চারপাশে প্রেম প্রেম আবেশ ঘিরে থাকে। খুব করে বাচতে ইচ্ছা করে।
-
--
খুব ভালোভাবে কাটে তাদের ট্যুর। ক্লাসের শেষ বেঞ্চে রোজকার মতই বসে ছিল শুভ। রুহি দৌড়ে এসে হাত ধরে শুভ কে ক্লাসের বাইরে নিয়ে যায়।
রুহি: আজকে আমরা ক্লাস বাঙ্ক দিচ্ছি।
শুভ: কী!
রুহি: হুম। আজ আমরা পুরো শহর ঘুরবো।
শুভ: একদম বাজে আইডিয়া।
রুহি: উফফ চলো তো

রাত বারোটা বাজে।
খাবারের চামচ হাত থেকে পড়ে যায় শুভর। খেতে পারছে না সে। এ কেমন অনুভূতি? তবে কি এটাকেই মৃত্যু ভয় বলে? সে কি মারা যাচ্ছে? চোখ জোড়া ঝাপসা হয়ে আসছে। সে যেন গভীর খাদে হারিয়ে যাচ্ছে....

Timeless love
Written by Kumori Sora

Timeless love Part- 3১৫ দিন পরবেশ কিছু দিন হলো শুভ হসপিটাল এ ভর্তি। ডাক্তার : হেই ইয়াং ম্যান, কেমন আছ? কিছু দিনের মধ্যেই...
26/01/2024

Timeless love
Part- 3

১৫ দিন পর

বেশ কিছু দিন হলো শুভ হসপিটাল এ ভর্তি।
ডাক্তার : হেই ইয়াং ম্যান, কেমন আছ? কিছু দিনের মধ্যেই তুমি ঠিক হয়ে যাবে। আর তো কয়েক মাস....
ডাক্তারের কথা শেষ করতে না দিয়েই শুভ বলে "আমি বাড়ি যেতে চাই। "
ডাক্তার : অবশ্যই।
হসপিটালের করিডর এ অতি পরিচিত ডাকে থেমে যায় শুভ। এটা রুহি।
রুহি: কী হয়েছে তোমার?
শুভ: এমনি। রুটিন চেকাপ। তুমি এখানে কী করছ? কিছু হয়েছে?
শুভর অস্থিরতায় মৃদু হেসে রুহি বলে, "কাজিনের হাত ভেঙে গেছে তাই দেখা করতে এসেছি।"

আজ রবিবার। অফ পিরিয়ড এ ক্যানটিনের দিকে যাচ্ছিল শুভ। হঠাৎ নজর গেল সামনে বসে থাকা ছেলে মেয়ের ওপর। রুহি ও আরেকটা ছেলে বসে আছে। দুজনের হাসি মুখ শুভর মাথায় আগুন জ্বালানোর জন্য যথেষ্ট। রাগে গজ গজ করতে করতে ক্যানটিন থেকে বেরিয়ে যায় শুভ।

শিউলি গাছের নিচে বসে ছিল শুভ। দৌড়ে রুহি কাছে আসতেই উঠে দাড়ালো সে।
রুহি: কোথায় ছিলে? সারা ক্যাম্পাস খুজেছি তোমায়।
শুভ: কেন, আমায় কী দরকার? যার সাথে ছিলে তার কাছে যাও
বলেই সামনের দিকে হাটা দিল শুভ। এতক্ষণ যা হলো কিছুই বুঝলো না রুহি। সে তো এসেছিল নোটস ফেরত দিতে।
কিছু সময় পর শুভ এসে রুহির হাত থেকে নোটস নিয়ে যায়। রুহি এবারও বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকা।
রুহি: এই লোকটার হয়েছে টা কী??

Written by Kumori Sora

Timeless lovePart 2আজ ইউনিভার্সিটি তে অনুষ্ঠান। আসবে না ভেবেও এসেছে সে। বিগত কিছু দিন আসা হয় নি ভার্সিটিতে। পরনে নীল পাঞ...
26/01/2024

Timeless love
Part 2

আজ ইউনিভার্সিটি তে অনুষ্ঠান। আসবে না ভেবেও এসেছে সে। বিগত কিছু দিন আসা হয় নি ভার্সিটিতে। পরনে নীল পাঞ্জাবি তে তাকে দারুন লাগছে। আকস্মিক চোখ গেল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে। আর কেউ না, মেয়েটি রুহি। তখন সে বাকি মেয়ে দের সাথে হাসাহাসি করছে।শুভ নিজের চোখ ফিরিয়ে নিল। না, সে তাকাবে না। কিছুতেই না। আজকাল এই মেয়েটা তাকে খুব বেশিই ভাবায়।
রুহি মাত্রই শুভকে লক্ষ্য করে এগিয়ে এসে কোমরে হাত রেখে বলল, "এই যে সংক্রামক রূগী, আপনি তো বিনা পাসপোর্টেই ভিনদেশে চলে গেলেন। কোথায় ছিলেন আপনি?"
চুল গুলো খোলা রেখেছে রুহি। কথার সাথে সাথে চোখ-মুখের এক্সপ্রেশন বদলাছে। সব মিলিয়ে বড় শুভ্র দেখালো শুভর কাছে।
শুভ: শাড়ি তে তোমাকে বাজে লাগে। একদম পরবে না
বলেই চলে যেতে নিলে পিছ থেকে রুহি ডেকে বলে, "মোটেও না। বল তোমার হিংসা হয়। হিংসুক কথাকার।" বলেই মুখ বাকায়।

ঘড়ির কাটার ঢং ঢং শব্দ জানান দিচ্ছে রাত ২ টা বাজে। ফোনের কর্কশ শব্দে ঘুম ভাঙে শুভর। সবে ঘুমিয়েছে, তার ওপর ফোন কল। বিরক্তি নিয়ে কল টা রিসিভ করল।
"হ্যালো "
"বুড়ো লোকদের মতো ঘুমিয়েছ কেন তুমি? জান, একটা স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছে। স্বপ্নে দেখেছি একটা ছেলে হাতে জবা নিয়ে আমার সামনে বসে আছে। তারপর-""
টুট টুট শব্দ জানান দিল শুভ ফোন টা কেটে দিয়েছে।
রুহি: ভালো স্বপ্ন বলেই তো শোনাতে গিয়েছিলাম, খারাপ হলে শুনাতাম নাকি। কিন্তু এই এলিয়েন তা শুনলো কই

Written by Kumori Sora

সারা ক্লাসের ছেলে মেয়ে রা নিজেদের আড্ডা দিতে ব্যাস্ত থাকলেও শেষের বেঞ্চের পরিবেশ একদম ভিন্ন। বাইরের দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে ...
25/01/2024

সারা ক্লাসের ছেলে মেয়ে রা নিজেদের আড্ডা দিতে ব্যাস্ত থাকলেও শেষের বেঞ্চের পরিবেশ একদম ভিন্ন। বাইরের দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে আছে শুভ। আপাতত বাহিরের কোনো কিছু তে আগ্রহ নেই তার। বেশ অনেক দিন পর শুভ ক্লাস করছে।
মেয়েটি: হাই। আমি রুবিনা তাজনুম। সবাই আমাকে রুহি বলে ডাকে। তুমি?

একে তো পড়াশোনার মধ্যে ডিস্টার্ব শুভর পছন্দ হয় নি, তার ওপর তুমি সম্বোধনে বেশ বিরক্ত সে।

রুহি: কী হলো? জান আজ রাস্তায় অনেক ট্রাফিক জ্যাম ছিল। তাই তো প্রথম ক্লাস টা মিস করলাম। কই তোমার নাম তো বললে না? ওয়েট, তোমার কি লজ্জা লাগছে? তোমার কি নামটা পছন্দ না?

তীব্র বিরক্তি নিয়ে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে গেল শুভ। এই কিছু সময়ের মধ্যে সে বুঝে গেছে মেয়ে টা চরম লেভেল এর বাচাল।

ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকা শিউলি গাছ টার নিচে বসে আছে শুভ। রৌদ্র উত্তপ্ত দুপুরে গাছ টার প্রয়োজনীয় তা অনুভব করে। সে কি কারো জীবনে প্রয়োজনীয় হতে পেরেছে? প্রশ্ন করে নিজেকে। কিন্তু উত্তর পায় না।
খানিকটা আনমনে হাটছিল শুভ।

রুহি: সরো সরো। রুহির কথায় দু পা পুছিয়ে যায় শুভ। রুহি নিচ থেকে শিউলি ফুল টা তোলে যা একটুর জন্য পায়ের নিচে পরেনি।
শুভ: আপনি আমার পিছু করছেন?
রুহি: আহ। আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই নাকি?
শুভ চলে যেতে নিলে রুহি চেচিয়ে বলল, "আমাকে নোটস গুলো তো দিয়ে যাও"

পরের দিন লাইব্রেরি তে শুভ বই নিয়ে বসে আছে।
"তুমি এখানে কেন?" না তাকিয়েই গলার মালিক কে চিনতে অসুবিধা হলো না শুভর। রুহি এগিয়ে এসে কিছুটা আতঙ্কিত গলায় বলল, "নিচে কিছু ছেলেদের মাঝে মারামারি হচ্ছে।" একটু পর চোখ পিটপিট করে তাকালো।একটু রয়ে সয়ে সন্দেহ মিশ্রিত গলায় বলল, "তুমি সবার থেকে দূরে থাক কেন? তোমার কি সংক্রামক রোগ আছে নাকি?"
রুহির প্রশ্নে চোখ বড় হয়ে এল শুভর। "ফালতু।"
শুভ উঠে চলে যেতে নিলে পেছন থেকে রুহি ডেকে উঠলে শুভ বলে,"এই নাও নোটস। আর আমার পিছু করা বন্ধ করো।"
রুহি: আমি তো কফি খাওয়ার কথা বলছিলাম....

Story: Timeless love
Written by Kumori Sora

Part 2 নিয়তির কালো ছায়াশশুর বাড়ি ঢুকেই দেখি একজন কে নিয়ে গোল হয়ে বসে গ্রাম্য শালিস চলছে। পরে জানতে পারি সেটা আমার দেওর, ...
22/01/2024

Part 2
নিয়তির কালো ছায়া

শশুর বাড়ি ঢুকেই দেখি একজন কে নিয়ে গোল হয়ে বসে গ্রাম্য শালিস চলছে। পরে জানতে পারি সেটা আমার দেওর, সাহেদ। আমাদের কে দেখে বয়স্ক একজন মহিলা এগিয়ে এলেন।
'তুমি বুঝি মায়া?'
'জ্বি। আপনি কীভাবে -'
'সাকিব সবসময় বলত তোমার কথা। আমি সাকিবের মা। তোমার শাশুড়ি আম্মা'
আমি আর সাকিব তাড়াতাড়ি সালাম করলাম পায়ে হাত দিয়ে
'কেমন আছ মা? দেখ মায়া কে নিয়ে চলে এলাম। কাল ই বিয়ে করেছি আমরা।'
আমার শাশুড়ি আমার গায়ে হাত বুলিয়ে বললেন,'ভারী মিষ্টি দেখতে আমার বউমা। ওকে নিয়ে ভিতরে যা। রেণু আছে। রেণুর কাছে বসা।'
কী সম্পর্কে বৈঠক চলছে বোঝার আগেই সাকিব আমাকে আমার ননদ রেণুর কাছে নিয়ে গিয়ে আমার পরিচয় করিয়ে দিল। সাকিব আমার কাছে বসতে যাবে তখনই কে যেন এসে ওকে ডেকে নিয়ে গেল। আমি রেণুর কাছে বসে রইলাম।
'জান ভাবি, তোমাকে দেখার আমার অনেক শখ ছিল ভাইয়ার কাছে তোমার কথা কত্ত শুনতাম। আজকে তোমায় প্রথম দেখতে পেলাম'
'ওমা তাই নাকি? আমার ননদ তো খুব সুন্দর করে কথা বলে।'
অনেকক্ষণ এটা সেটা গল্প করার পর আমি জিগেস করলাম 'আচ্ছা, বাইরে কিসের মিটিং চলছে? '
'আর বইল না। ছোট ভাইয়া আবার একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছে।'
'আবার মানে?'
'ওর তো ঐ ই কাজ। খালি মেয়েবাজি করে বেড়ায়।'
'ওমা! সে কি কথা!'
'হ্যা। এবার তো শুনছি মেয়ে টা নাকি অন্ত‌সত্বা।'
'কিহ?!'
'এবার বোধ হয় ভাইয়া কে বিয়ে দিয়েই দিবে ওই মেয়ের-'
'রেণু!'
কে যেন দরজা থেকে চিতকার দিয়ে উঠল। তাকিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি।
'যা সাকিবের ঘর গুছিয়ে দিয়ে আয়। আজ থেকে সাকিব আর মায়া সাকিবের ঘরে থাকবে।'
'আচ্ছা, মা'
'বউ মা, তুমি বরং একটু ঘুমিয়ে নাও। অনেক পথ এসেছ।'
'ঠিক আছে, মা'
আমি আর কথা বাড়ালাম না। কেমন কেমন যেন লাগছে আমার শশুর বাড়ি। সাকিব আমায় কারও সাথে পরিচয় না করিয়ে দিয়ে কোথায় যে চলে গেল। ভয়ে কাউকে কিছু জিজ্ঞেস ও করতে পারছি না।

ঘুম ভাংলো দুই ঘন্টা পরে। উঠে দেখি রেণু আমার পাশে বসা। উঠে দেখি রেণু আমার পাশে বসা।
'ভাবি, তোমাদের রুম ঠিকঠাক করে দিয়েছি। চলো তোমাকে রেখে আসি'
'তোমার ভাইয়া কোথায়?'
'ভাইয়া তো বাইরে গেছে। আজকে থেকে তুমি আর ভাইয়া এক ঘরে থাকবে'
কথা টা শুনে গায়ের মধ্যে হটাৎ একটা শিহরণ দিয়ে উঠল। আজ আমার আর সাকিবের বাসর রাত। যে রাতের জন্য হাজার জল্পনা কল্পনা করে এসেছি।

রেণু আমাকে সাজিয়ে সাকিবের রুমে নিয়ে গেল। অনেক বড় একটা রুম। সেখানে কিং সাইজ একটা বেড এ ফুলসজ্জার খাট সাজানো। আমি লজ্জায় তাকাতে পারছি না কোনো দিকে। এমন সময় রেণু আমায় খাটের ওপর বসিয়ে রেখে চলে গেল। আমি আবার ভাবনায় হারিয়ে গেলাম।
"আমার সিদ্ধান্ত টা কি ঠিক হলো? বাবা মা কে এভাবে ফেলে চলে এসে কি আমি ভালো থাকব?"
"কোনো সমস্যা হবে না, মায়া। তোমার বাবা মা তো একা না, তোমার ভাইও আছে।"
"তুমি এসেছ? কোথায় ছিলে সারাদিন। আমি একা একা কীভাবে দিন পার করেছি তুমি জান?"
"আমি তো দেখলাম তুমি ঘুমাচ্ছ"
"ওহ তুমি এসেছিলে"
"হ্যাঁ মহারাণী, এসেছিলাম। আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন তাই আর ডিস্টার্ব করি নি।"
আমি সাকিবের কথায় লজ্জায়
লাল হয়ে গেলাম। আমরা নতুন জীবন শুরু করতে চলেছি। জীবনের বাকি পথ টুকু একসাথেই পার করতে হবে আমাদের। কিন্তু আমার সে ইচ্ছা ইচ্ছাই রয়ে যাবে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।

Written by - নবনীতা

21/01/2024

The thing is, we all are villains in someone's story. Maybe we are like guardian angel to Someone's story as well. Maybe you are hero/heroin in some people's stories also. But does that make you the leading character? No. So we should stop trying to be a part of other people’s story. Try to make your own story, your own world. Then you will get the best leading role and that is you. That will definitely benefit you, my friend.

আজকাল মায়ার মনে আবার নতুন করে ভয় ঢুকেছে। কেন যেন মনে হচ্ছে নিয়তি তার পিছু ছাড়বে না। 'তবে কি আমি আমার মেয়ে কে বাচাতে পারব...
18/01/2024

আজকাল মায়ার মনে আবার নতুন করে ভয় ঢুকেছে। কেন যেন মনে হচ্ছে নিয়তি তার পিছু ছাড়বে না।
'তবে কি আমি আমার মেয়ে কে বাচাতে পারব না?' বলেই ডুকরে কেদে দিল মায়া।
'মা, কী হয়েছে? আবার বাজে স্বপ্ন দেখেছ?'
'কিছু না মা। তুই শুয়ে পর।'
'তুমিও আসো আমার সাথে। এত রাতে বারান্দায় বসে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে'
মেয়ে, মেঘার সাথে বিছানায় শুয়ে পরে মায়া। আবার সব চিন্তা ফিরে আসে মাথায়। ১৫ বছর আগে যে অতীত সে ফেলে এসেছে তার চিন্তা।
'মেয়ে কে এতদিন আগলে রেখেও কি শেষ রক্ষা হবে না?'
🟡মায়ার কথা:
'২০ বছর আগে নেয়া একটা সিদ্ধান্তের কারণে আজ আমার এই দশা। তখন যদি বাবা মায়ের কথা শুনতাম, ভাইয়ার কথা শুনতাম তাহলে আজ এই দিন দেখতে হতো না। ২০ বছর আগে সাকিবের সাথে বিয়ে হয় আমার। ৬ বছরের সম্পর্ক আমাদের। সাকিবের বাড়িতে সবাই রাজি থাকলেও আমার বাড়ি থেকে রাজি হয়নি কেউ। একে তো সাকিব ব্যাচমেট ছিল, অর্থাৎ আনএমপ্লয়েড একটা ছেলে। তার ওপর আবার ওর বাড়ি অনেক দূরে, ময়মনসিংহ বিভাগে। একমাত্র মেয়ে আমি। আমাকে এত দূরে বিয়ে দিতে বাবা মা, ভাইয়া কেউই রাজি ছিলেন না। আমিও বাড়ির একমাত্র মেয়ে। জেদ টা একটু বেশিই ছিল। পরিবারের সবার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি সাকিব কে। মাস্টার্স কমপ্লিট করে সেদিনই বিয়ে টা সেরে নেই। সাকিবই সব ব্যবস্থা করে। ভেবেছিলাম একবার বিয়ে টা হয়ে গেলে আর কেউ কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু সেদিন ই সন্ধ্যায় আমার কাছে বাড়ি থেকে চিঠি আসে। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন। ছেলে পুলিশের বড় কর্মকর্তা।সাথে একটি ছবিও আছে ছেলেটার।
সাকিব বলল 'মায়া, আমি তোমাকে ছাড়া বাচব না। চলো আমরা আমাদের বাড়িতে চলে যাই।'
'কিন্তু, সাকিব। বাবা-মা কে একেবারেই কিছু না জানিয়ে যাওয়া তো ঠিক হবে না।'
'ঠিক আছে। তাহলে তুমি না হয় ওনাদের কে একটা চিঠি লিখে দাও।'
'হ্যা এটা ভালো বলেছ। আমি বরং তাই ই করি।'
আমি বাবা মাকে চিঠি লিখে আমার আর সাকিবের বিয়ের কথা জানিয়ে দেই। সাকিব ট্রেনের টিকেট কাটতে চলে গেল। আমি চিঠি টা পোস্ট করে সবকিছু গোছগাছ করতে লাগলাম। আমি কি আর জানি আমার কপালে কী অপেক্ষা করছে!
ভোর ৪ টায় আমরা সাকিবের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি খুব খুশি ছিলাম। নতুন পরিবার। কত স্বপ্ন নিয়ে আছি আমার শশুর বাড়ি নিয়ে। শশুর, শাশুড়ী, ননদ,দেওর সব ই হবে আমার। সুন্দর একটা সংসার হবে। বাচ্চা কাচ্চা হবে। সারাজীবন একক পরিবারে থেকেছি। জয়েন্ট ফ্যামিলি পাবার স্বপ্ন এবার আমার পুর্ন হবে। কিন্তু আমার শশুর বাড়ি গিয়েই যা দেখলাম

💫গল্প- নিয়তির কালো ছায়া
Written by - নবনিতা

Follow for part 2

16/01/2024

Angels Gate Park🫰

14/01/2024

যারা বুঝতেছিলেন না যে এটা গ্রীষ্মকাল,বর্ষাকাল নাকি শীতকাল!
তারা এখন শীতকাল উপভোগ করেন 🙂

29/12/2023

Mini volg at Deane Dana Friendship Park, CA 😉
Follow for more 💚

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Trioo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share