17/12/2023
গল্প :- #ডিভোর্স
পর্ব :- ০১
লেখক :- আবু সাঈদ সরকার
ফিজিক্যাল রিলেশন তাও আবার তোমার সঙ্গে ভুলে যাও তার থেকে ভালো পতিতালয়ে গিয়ে দেহের চাহিদা মিটিয়ে নিয়ে আসেন ( তানিশা )
।
ছিঃ লজ্জা করে না তোমার এসব কথা বলতে নিজের স্বামীকে ( সাঈদ)
।
তানিশাঃ লজ্জা হয়তো তোমাকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দিতে...
।
বেকার অপদার্থ ছেলেট সঙ্গে বিয়ে দিয়ে বাবা আমার লাইফটাকেই নষ্ট করে দিয়েছে..
।
মিথিলাকে দেখে ওর বর কত বড় একটা চাকরি করে আর তুমি নিজের বাপের টাকায় চলো...
।
।
সাঈদঃ চাকরির জন্য তো Apply করেছি দেখবে এক দিন ঠিক হয়ে যাবে...
।
।
তানিশাঃ চাকরি তাও আবার তোমার হা হা এ জন্মে না... আর আমি বাবাকে বলে দিয়েছে তোমার সঙ্গে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না..
।
সাঈদঃ কী বললে তুমি..
।
তানিশাঃ যেটা বললাম শুনতে পাও নি..
।
সাঈদঃ ঠিক তখনি তানিশার বাবার ফোন..
।
হ্যালো..
।
।
তানিশার বাবাঃ দেখো বাবা সাঈদ তুমি তো জানোই তানিশা তোমার সঙ্গে তানিশা কোন মতেই থাকতে চাচ্ছে না..
আর তোমাদের বিয়ের ১১ মাস হয়ে গেছে এখনো তোমাদের মাঝে সংসার কী সেটাই তো শুরু হয় নি আমি জাস্ট এত টুকুই বলবো তুমি যদি তানিশার সঙ্গে সব কিছু মিটমাট করে নিতে পারো তাহলে তো ভালোই না হলে তানিশাকে তোমাক ডিভোর্স দিতে হবে...
।
সাঈদঃ বলেই ফোনটা কেটে দিলো...
।
।
এর পর হাজার বার বুঝানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই বুঝাতে পারলাম না ঘুরে ফিরে সে একই জায়গায় তুমি তো বেকার...
।
।
আজ তানিশাকে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছি..
।
সাঈদঃ তানিশা আরেক বার ভেবে বলো না..
।
তানিশাঃ অনেক বার ভাবছি কিন্তু তোর সঙ্গে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না...
।
।
সাঈদঃ ওকে ঠিক আছে যখন এত বুঝানোর পরেও বুঝাতে পারলাম না তখন কালিজাটা কেটে দেখালেও বিশ্বাস করবে না..
।
।
তার পর ডিভোর্স পেপার এ সাইন করে..
।
সাঈদঃ ডিভোর্স চেয়েছিলে না এই নাও... আমার থেকে বেটার কাউকে পাবা কিন্তু তার মাঝে আমাকে পাবা না..
আর হ্যা তুমি আমাকে টাকার জন্য ছেড়ে যাচ্ছো না একদিন তোমার সামনে এই শহরের সব থেকে বড় ধনি হয়ে তার পর তোমার সামনে আসবো...
।
।
তানিশাঃ হ্যা দেখা যাবে শুধু বড় বড় কথায় কাজে করে দেখাও....
।
।
।
সাঈদঃ ঠিক আছে বলেই চলে আসলাম..
।
।
।
।.....১ বছর পর.....
।
।
।
তানিশাঃ বাবা ৫ হাজার টালা দাও...
।
।
তানিশার বাবাঃ এত টাকা দিয়ে হবে..
।
তানিশাঃ পালারে যাবো 😁😁 রাতের বেলা তো আংটি পড়াতে আসবে না ছেলে পক্ষ...
।
।
( আজ আমার engaged ছেলে ব্যাংক ম্যানেজার মাসে ৫০+ সেলারি পায়...
।
যাই হোক এবার গল্পে আসা যাক
।
।
রাতের বেলা...
।
ছেলে পক্ষ এসে আংটি পড়িয়ে গেলো বিয়ের তারিখ ঠিক হলো সামনের মাসের ১ তারিখ...
।
।
অবশ্য আমার ছেলেটাকে অনেক ভালো লেগেছে....
।
।
তার পরের দিন হঠাৎ একটা unknown number থেকে কল আসলো...
।
।
তানিশাঃ হ্যালো...
।
অপর পাশ থেকে হ্যালো আমি নীল...
।
তানিশাঃ sorry চিনতে পারি নি...
।
নীলঃ its ok.. কেমন আছো .
।
তানিশাঃ এই তো ভালোই আপনি...
।
।
নীলঃ হুম ভালো আচ্ছা আজ বিকেল বেলা দেখা করতে পারবে...
।
।
তানিশাঃ অবশ্যই কোথায়...
।
নীলঃ নীলাশা রেস্টুরেন্ট এ বিকেল ঠিক পাচ টায়...
।
।
তানিশাঃ ওকে...
।
।
।
।
বিকেল বেলা...
।
নীলাশা রেস্টুরেন্ট এ বসে আছি ঠিক তখনি নীল আসলো...
।
।
তানিশাঃ আপনি কোথায় আসলেন..
।
।
নীলঃ অটোতে..
।
তানিশাঃ আপনার বাইক বা গাড়ি নেই..
।
।
নীলঃ না তবে নিবো..
।
।
তানিশাঃ হঠাৎ চোখটা পড়লো হোটেলের ওয়েটার এর দিকে...
।
আরে এটা সাঈদ না..
।
ভালো দেখলাম আরে না ওয়েটার হতেও যোগ্যতা লাগে ওটা ওর নেই
।
।
চলবে............