Suman Dutta - Gogol

  • Home
  • Suman Dutta - Gogol

Suman Dutta - Gogol ভিন্ন গল্প, ভিন্ন গোগোল, ভিন্ন ভয়।
Profile Managed by Bellephant Literary Agency

 ্টেশনে_গোগোল ২০১৯-এর জানুয়ারি, সকাল পৌনে দশটা। দমদম স্টেশনে ট্রেন ধরবো বলে দাঁড়িয়ে আছি। স্টেশনে সেই সময়ই একটা লোকাল ট্র...
16/08/2025

্টেশনে_গোগোল

২০১৯-এর জানুয়ারি, সকাল পৌনে দশটা। দমদম স্টেশনে ট্রেন ধরবো বলে দাঁড়িয়ে আছি। স্টেশনে সেই সময়ই একটা লোকাল ট্রেন ঢুকলো।

আমি যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে দেখি একটা কামরায় জানলার ধারে বসে এক পঞ্চাশোর্ধ ভদ্রলোক মুদিত নয়নে কমলালেবু চেবাচ্ছে। আমি ওনার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "স্যার, এটা কি ঘুঁটেডাঙা লোকাল?"

ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে এক ধমক দিয়ে বলে, "না.. গোবরডাঙা। ট্রেনে কি প্রথমবার চড়তে এসছো?"

বুঝলাম ওনার মনে হয় ওখানেই বাড়ি। তাই আমি অতি বিনীতভাবে বললাম, "না না সেটা না, আসলে এর আগে আমি বর্ষাকালে একবার গেছিলাম গোবরডাঙা। এখন শীতকালে তো গোবর শুকিয়ে যাওয়ার কথা, তাই.."

শুনেই ভদ্রলোক আমার দিকে কমলালেবুর দুটো বিচি ছুঁড়ে মারলেন! 😕

 ্টেশনে_গোগোল উচ্চারণের প্রবলেম না বিশাল প্রবলেম! বিশেষ করে 'গ' যদি ভুল জায়গায় বসে!আগে প্রতি ১৫ই আগস্ট আমাদের পাড়ায় সারা...
16/08/2025

্টেশনে_গোগোল

উচ্চারণের প্রবলেম না বিশাল প্রবলেম! বিশেষ করে 'গ' যদি ভুল জায়গায় বসে!
আগে প্রতি ১৫ই আগস্ট আমাদের পাড়ায় সারাদিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন হতো।

পাড়ার সবাই নাম দিত।
আগের দিন লটারি করে টিম তৈরী হতো।

আমার একটা বন্ধু ছিল, নাম অপা। ওর একটা স্পেশালিটি ছিল, সেটা হল ওর বাবা না 'র' বা 'ড়' বা 'ঢ়'-কে 'গ' উচ্চারণ করত।

যেমন রেলগাড়ি-কে বলত 'গেলগাগি', ক্যরিনা কাপুর-কে বলতো 'কগিনা কাপুগ',
গাঢ়-কে বলতো 'গাগো', ড় হলে বলত 'গাঁগ' ইত্যাদি।

তো একবার ১৫ই আগস্ট পাড়ার ফুটবল টুর্নামেন্টে অপা দায়িত্ব নিয়ে নিজের টিমকে হারিয়েছে। কিচ্ছু খেলতে পারেনা। যে টিমে পড়ত সেই টিমের সবার মুড অফ্ হয়ে যেত।

খেলা শেষ করে অপা মাঠ থেকে বেরোচ্ছে আর অপার বাবা সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে! রাগে ফুসছে!

অপা সামনে আসতেই বলে, "আজও হেগে এলি? নিজেও হাগলি, গোটা টিমকেও হাগালি? যে টিমে খেলিস সেই টিমকেই হাগিয়ে দিস হতচ্ছাগা!"

আমরা সব বন্ধুরা সাইডলাইনে বসে হাসতে হাসতে লুটোচ্ছি! অপাও হাসি কোনোমতে চেপে! কিন্তু অপার বাবা থামছেই না! বলেই চলেছে,
"পোগা মুখো! লজ্জা নেই হে** এসে হাসছিস!"

ওইদিন সন্ধ্যেবেলা পাড়ার অনুষ্ঠানে আমাদের অনেকের অনেক অনুরোধে অপার অনেক আপত্তি সত্ত্বেও অপার বাবা একটা গান গেয়েছিল,
চিগোদিনই.... তুমি যে আমাগ!
যুগে যুগে আমি তো মা...

ষোলোই আগস্টও হাসি থামছিল না অনেকের! সেই থেকে অপার বাবাকে আমরা কাকা না বলে পিসি বলে ডাকতাম।

আর একবার তো আমরা না থাকলে অপার বাবার যে কি হতো!

দাঁতে ব্যাথা নিয়ে আর.জি.কর.-এর এমার্জেন্সিতে গিয়ে নার্সকে ডেকে বলার চেষ্টা করল,
"এই যে শুনছেন, আমার না মাড়িতে খুব ব্যাথা!"
তাই বলছি, গ-এ প্রবলেম থাকলে সব জিনিস Raw-ই লাগে! 😕

 ্টেশনে_গোগোল নভেম্বর ২০১৮, কলকাতা থেকে দুর্গাপুরে একজনের সাথে দেখা করতে গেছিলাম তাকে না জানিয়েই। দেখা করা তো দূর, ফোন ক...
16/08/2025

্টেশনে_গোগোল

নভেম্বর ২০১৮, কলকাতা থেকে দুর্গাপুরে একজনের সাথে দেখা করতে গেছিলাম তাকে না জানিয়েই। দেখা করা তো দূর, ফোন করতে সে পাত্তাই দিলো না!

তাঁর বাড়ি খুঁজে কলিংবেল টিপতে একজন ভদ্রমহিলা বেরিয়ে বললেন, "ওরা তো বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে দশ বছর আগেই কলকাতা চলে গেছে!"

শুনে আমি চরম অবাক হয়ে গেছি! কিছুটা ধাতস্থ হতেই মটকাটা বিশাল গরম হলো আমার! এতগুলো টাকা জলে! সোজা স্টেশনে গিয়ে বাস ধরলাম শান্তিনিকেতন যাব বলে।

বাস চলছে পানাগড় হাইওয়ে ধরে। ঝকঝকে রোদ। শীতের আমেজ। হু হু করে হাওয়া বইছে। আমি জানলার ধারে বসে মাইন্ড ডাইভার্ট করার চেষ্টা করছি। বাসে অনেকে দাঁড়িয়েও আছেন।

হঠাৎ শুনি আমার ঠিক সামনের সিটে একটা অদ্ভুত শব্দ হল!

"ওয়্যা.."

বললে বিশ্বাস করবেন না, শব্দটা বুঝে ওঠার আগেই আমি দেখি সাইক্লোনের গতিতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে সামনের সিটে বসা মেয়েটার বমি!

আমিও পুরো ম্যাট্রিক্সের মতো অসাধারণ রিফ্লেক্সে স্যাঁট্ করে নীচু হয়ে শুয়ে পড়লাম আমার পাশে বসা লোকটার কোলে মাথা দিয়ে।

কিন্তু বুঝলাম আমার পাঞ্জাবীটা ভিজে গেছে বমিতে!

মাথাটা আবার গরম হচ্ছিল! তার উপর আমার পিছনের সিটে বসা এক দাদা বৌদি গোছের কাপল্ দেখি আমাকে কি টেম্পার নিচ্ছে! বলে,
"ইডিয়ট, তুমি ঝুঁকলে কেন?? আমরা তো ভিজে গেলাম! কোনো কমন সেন্স নেই নাকি??"

কি আশা বান্টুটার! ওনাকে সেভ করার জন্য নাকি বুক চিতিয়ে বমি খেতে হবে আমাকে! মাথাটা এমনিতেই গরম ছিল। আরও হলো। বললাম, "ধ্যার্বাল, আপনার বমিগার্ড নাকি আমি? গাঁড় ঠেসিয়ে বসেছিলেন কেন? নীচু হতে কি ফাঁটছিল?"
সারা বাসের লোক হাসছে ঝগড়া শুনে! আর ওই লোকটার পিছনের সিটে যে বসেছিল সে আমাকে বলে, "ভাই, এসব কুবুদ্ধি একদম দিতে নেই! উনিও ঝুঁকে গেলে আমাদের কি হতো!"

শালা যে মেয়েটা বমি করছিল সে-ও বমি থামিয়ে হেসে উঠেছে! একমাত্র আমারই মটকা গরম হচ্ছিলো।

নেমে পড়লাম বাস থেকে। অবশ্য ততক্ষনে আমার স্টপেজ এসে গেছিল, এগারো মাইল।

নেমে ওই শীতে দুটো এক লিটারের জলের বোতল কিনে চান করেছি হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে!

টাকা তো জলেই, আমিও জলে 😠

সেই থেকে কেউ আমাকে নিজে থেকে ডাকলেও আমি যাইনা। বলা যায়না, গিয়ে হয়তো দেখবো যে সে দাঁড়িয়ে কিন্তু তার বুকটা দশ বছর আগে চায়না চলে গেছে!

কি দরকার!

 #নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল ১৯৯০, পুরী। এই তুচ্ছ ঢেউ দেখে ভয় একদমই লাগছিলো না। শুধু ডাইভ দেওয়ার আগে দেখে নিচ্ছিলাম ঢেউয়ের মধ্য...
16/08/2025

#নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল

১৯৯০, পুরী। এই তুচ্ছ ঢেউ দেখে ভয় একদমই লাগছিলো না। শুধু ডাইভ দেওয়ার আগে দেখে নিচ্ছিলাম ঢেউয়ের মধ্যে হাঙর ফাঙর মিশে আছে কিনা। আসলে ছোটো থেকেই আমি কোথাও ঝাঁপ মারার আগে ভালো করে চেক করে নিই যে নীচে কোনো অবলা প্রাণী নেই তো!

লাইফে আমি কোনোদিন কারোর উপর ঝাঁপ মারিনি। মানে এমন কোনো দরদী প্রাণী পাইনি যার উপর আমি ঝাঁপ মারতে গেলে সে মিচকি হেসে আহ্লাদে গেয়ে উঠবে,
"ঝাঁপ মারে, ইয়ে ল্যড়কা ঝাঁপ মারে..."

তবে আমি ঝাঁপ মারি, কিন্তু শূন্যস্থানে। ফাঁকায়।

এই ঝাঁপ মারা নিয়ে অনেক ঘটনা আছে। তার মধ্যে একটা বলি।

°°
তখন আমি ক্লাস সেভেন। আমাদের পাড়ার ক্লাবে শীত উৎসবে পরিবেশিত হতে চলা স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে নাটকের রিহার্সাল চলছিল। আমাকে প্রথমে নেয়নি। ভেবেছিল আমি পারবোনা। বা ভেস্তে দেবো।

কিন্তু আমি কখনোই হাল ছাড়ার পাত্র নই। বিশেষ করে যখন আমি দেখে ফেলেছি যে আমার থেকে সামান্য বড় অনেকনদিদিরা বা আমার বয়সী মেয়েরা রিহার্সাল করছিল।

তাই আমি ডেসপারেটলি গিয়ে নাটকের পরিচালক বাম্পাদাকে বললাম, "একি! তোমরা আমাকে ডাকোনি কেন?"

বাম্পাদা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, "এখানে একটা সিরিয়াস নাটক হচ্ছে। কোনো ছ্যাবলামি হচ্ছে না যে তোকে ডাকার প্রয়োজন পড়বে।"

আমিও মুখটা সিরিয়াস করে বললাম, "তুমি জানো আমাদের স্কুলের নাটকে গোষ্ঠ পালের স্ট্যাচুর ভুমিকায় আমার অভিনয় দেখার পর সবাই বলছিল আমার মধ্যে শম্ভু মিত্রের ছায়া দেখতে পাচ্ছে? তুমি আমাকে একটা রোল দিয়ে দেখো শুধু! যা রোল দেবে তাতেই আমি কাঁপিয়ে দেবো, প্রমিস। প্লিজ একটা সুযোগ দাও।"

মুখ কাঁচুমাচু করে ঢপ মারলে আমার বাবা অবধি বিশ্বাস করে নিত, আর এ তো সামান্য বাম্পাদা! দয়াপরায়ন হয়ে নিলো আমাকে।

আমিও আমার দেওয়া কথা মতোন খুব সিরিয়াসলি রিহার্সাল করছিলাম। প্রতিদিন সবার আগে পৌঁছে যেতাম ক্লাবে।

অবশেষে এলো নাটকের দিন। অডিয়েন্স ভর্তি পাড়া বেপাড়ার লোক। ফার্স্ট সিনেই আমার রোল।
সিনটা হচ্ছে,
একটা চায়ের দোকানে অনেকে বসে আছে। হঠাৎ একটা বোম মারবে কেউ। সবাই উড়ে গিয়ে পড়বে আর যে যার মতো ইম্প্রোভাইজ করে মরবে।

ইম্প্রোভাইজেশনে আমার মতো পটু দ্বিতীয় কেউ নেই, এরম আমার মনে হয়। তাই নাটক শুরু হতেই বোম পড়লো চায়ের দোকানে আর আমিও অসাধারণ কায়দায় নিজেকে উড়িয়ে দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লাম স্টেজের উপর। স্টেজ জুড়ে খালি লাশ আর লাশ। এরম একটা ভয়ঙ্কর সিন দেখে পুরো অডিয়েন্সও খুব সিরিয়াস।

হঠাৎ বিকট আওয়াজ! হ্যাঁচ্চো হ্যাঁচ্চো হ্যাঁ হ্যাঁচ্চো!
পরপর তিনবার! হ্যাঁ আমিই।

স্টেজের উপর মুখ থুবড়ে ঝাঁপ দিতেই স্টেজে থাকা ধুলো আমার নাকে! পুরো অডিয়েন্সের কি হাসি!!

আমি সেটা বুঝেই ঘাবড়ে গিয়ে মুখটা তুলে অডিয়েন্সের দিকে তাকিয়ে একবার "সরি.." বলে ব্যাপারটা ম্যানেজ করেই আবার লাশ হয়ে গেলাম।

কিন্তু সে কি হুলিগান অডিয়েন্স! থামছেই না!! চোখ বন্ধ করে শুয়ে শুয়ে শুনছি এক একটা টিপ্পনি ভেসে আসছে,

"ওরে, লাশের সর্দি লেগেছে রে.."

"কেউ একটা রুমাল দে.."

"লাশের নাকে ধুলো ঢুকেছে.."

"অ্যাই লাশ, যা ডাক্তার দেখিয়ে আয়.."

সে কি অবস্থা সারা মাঠ জুড়ে! অত সিরিয়াস নাটক শুরু হতেই বন্ধ! সবাই নির্দয়ের মতো হাসছে! আর বাম্পাদা বাম্পার খচে গিয়ে আমাকে তাড়া!!

আমি দৌড়তে দৌড়তে যতই বোঝাচ্ছি যে নাটক শুরুর আগে স্টেজ ঝাড় দেওয়া উচিৎ ছিল তোমাদের, কিছুতেই বুঝছে না!

এত মাথা গরম হলে পরিচালক হওয়া যায়? তাড়া করতে করতে বলে, "উচিৎ-এর মাকে আমি মাসিমা বলি! ধরি তোকে একবার! সারা পৃথিবীর ছায়া দেখিয়ে ছাড়বো তোকে!"

সেবার আমি খুব জোর বেঁচে গেছিলাম দৌড়লে বাম্পাদার থাই দুটো পরস্পরের সাথে ঘষা খেত বলে!

প্রতিভার নাকে ধুলো দিলে এরচেয়ে ভালো আর কি পারফরমেন্স হবে? 😤

 #নব্বইয়ের_দশকে_গোগোলনব্বইয়ের দশকের এক শীতকালে প্রায় সাড়ে আট ঘন্টা ধরে আমার প্রবল অনিচ্ছা সত্তেও বাবা, মা, দাদু, দিদা,...
16/08/2025

#নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল

নব্বইয়ের দশকের এক শীতকালে প্রায় সাড়ে আট ঘন্টা ধরে আমার প্রবল অনিচ্ছা সত্তেও বাবা, মা, দাদু, দিদা, মামা, মাসিরা মিলে আমায় পাড়ার বহুরূপী প্রতিযোগিতার জন্য চ্যাটচ্যাটে আঁঠা দিয়ে কেন যে বাল্মীকি সাজিয়ে ছিল কে জানে! মহাকাব্য আমি থোড়াই লিখবো! কি গাল কূটকূট করছিল আমার! হাতে আবার একটা কমন্ডুল ধরিয়ে দিয়েছে!!

বাবা নিয়ে গেল আমাকে গ্রাউন্ডে। আমি ঢুকেই জিজ্ঞেস করলাম, "এখানে আমি কি করবো?"

বাবা বললো, "তোকে কিচ্ছু করতে হবেনা। চুপচাপ ওই গাছতলায় গিয়ে বসে থাক।"

গেলাম আমি। কিন্তু বসিনি। ভাল্লাগচ্ছিলনা বসতে। প্রতিযোগিতা শুরু হতেই আমি কমন্ডুলের জল ছিটিয়ে বাকি প্রতিযোগিদের মেকাপ তুলে দিচ্ছিলাম। এতে বেশ একটা ফীল গুড ফ্যাক্টর কাজ করছিল।

একজন নীল রঙ মেখে কৃষ্ণ সেজে ছিল। তার গালে এমন জল ছিটিয়েছি যে তার একগালের রঙ নীল আর অন্য গালের রঙ গোলাপি(skin colour) হয়ে গেল। সে কি কান্না! আর আমি কমন্ডুলের জল শেষ হলেই মাঠের পাশের কল দিয়ে আবার জল ভরে নিচ্ছিলাম। সবাই আমার তাড়ায় পালাচ্ছিল।

হঠাৎ বাবা চেঁচালো, "তু্ই বসবি না আমি বসাবো?"

অগত্যা গিয়ে বসলাম গাছতলায়। একটা বাচ্চা অন্ধ ভিখারি সেজেছিল। সে আমার সামনে এসে বলে, "সাধুবাবা, আমি চোখে দেখতে পাইনা। আমাকে ভালো করে দাও।"

কি নিম্নমানের অভিনয় তাঁর! যে অন্ধ সে কি করে বুঝবে গাছতলায় সাধু বসে আছে না গন্ডার??

আমি তাকে কমন্ডুলটা এগিয়ে দিয়ে এক ধমক দিয়ে বললাম, "যা আগে এটায় জল ভরে আন.."

সে সেটা নিয়ে জল ভরে আনতেই দিয়েছি পুরো জলটা ব্যাটার চোখের মধ্যে। নিমেষে অন্ধত্ব ঘুচে গেছে তাঁর! সেও শীতে কাঁপতে কাঁপতে কি কান্না শুরু!! দৌড়ে মা বাবার কাছে গিয়ে আমার নামে নালিশ! তখন বুঝলাম ভালো করতে নেই লোকজনের।

আমি ন্যাচারাল অভিনয়ই করছিলাম কিন্তু কমিটির লোকজন "এ ব্যাটা সব মাটি করবে!!", বলে আমাকেই ডিসকোয়ালিফাই করে দিলো!!

আর এসব দেখে রাগে আগুন হয়ে যাওয়া আমার বাবা আমার দাড়িটা একটানে ছিঁড়ে দিলো! আরেকটু হলে গালটাই ছিঁড়ে যেত.. 😕

 #নব্বইয়ের_দশকে_গোগোলনব্বইয়ের দশকে 'কুরবানি' সিনেমায় জিনাত আমন ডান্সবারে লাস্যময়ী দৃষ্টিতে ফিরোজ খানের দিকে তাকিয়ে আমার ...
16/08/2025

#নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল

নব্বইয়ের দশকে 'কুরবানি' সিনেমায় জিনাত আমন ডান্সবারে লাস্যময়ী দৃষ্টিতে ফিরোজ খানের দিকে তাকিয়ে আমার ছোটোবেলার প্রথম ক্রাশের গাওয়া গানটায় লিপ মেলাচ্ছে। আর সেটা শুনে দুষ্টু দুষ্টু হাসছে ফিরোজ খান!
আমিও যা শুনছিলাম তাতে ওরম হাসিই হাসার কথা।

"আপ জ্যায়সা কোই মেরি জিন্দেগী মে আয়ে,
তো বাপ বন জায়ে....
আঁ আঁ আঁ বাপ বন জায়ে.."

বিশ্বাস করুন, অনেক বড়বেলা অবধি আমি গানটা এটাই জানতাম। একদিন বড়বেলার ক্রাশকে গানটা গেয়ে শুনিয়ে আব্দার করেছিলাম এটা আমার জন্য গাইতে,
তখন সে মুখটা দুর্বাসা মুনির মতো করে আমাকে বলেছিল,
"কালার মরণ! তোর পাপী কানে এসবই ঢুকবে!
ওটা 'বাপ বন জায়ে' না, 'বাত্ বন জায়ে'.." 😕

এখন ভাবি ভাগ্যিস আমি ওকে সেদিন এটা আমার উদ্দেশ্যে গেয়ে শোনাতে বলেছিলাম, নইলে ভুলটা তো শোধরাতোই না!

যাই হোক, এরম আরও ছটা গান আমি ভুল শুনেছি। সেগুলো লিখে যাচ্ছি। জানিনা আপনাদের কেউ আমার সাথে মিল খুঁজবেন কিনা!

১.
শোনো মন বলি তোমায়,
শখ কোরো, প্রেম কোরো না..
প্রেম যে কাঁথায় আচার....
লাগলে পরে ছাড়ে না!

২.
আমি দূর হতে তোমাকেই দেখেছি,
আর মুখ ধুয়ে চোখে চোখ রেখেছি....

৩.
রঙ্গ বরসে ভিগে চুন আর বালি রঙ্গ বরসে....

৪.
কোন শেয়ালে স্বপ্ন নিয়ে গেল আমার..?
কে ডাকে আয় ছুঁটে আয়..?

৫.
আমি যে কেত মারি তুমি তা জানোনা, আমি চিরদিনই তোমারই তো থাকবো....
তুমি আমার আমি তোমার... আ আ আ আর
আমি কেত মারি তুমি তা জানোনা..!

আর লাস্টেরটা তো ক্রাশের বাবার সামনে শুনিয়েছিলাম তাদের বাড়িতে রাখী পূর্ণিমার দিন আমাকে করা অযাচিত নেমন্তন্নে,

৬. মিলে সুর মেরা তুমহারা, শশুর ব্যনে হামারা .. 👀

 #নব্বইয়ের_দশকে_গোগোলত্যাদর বাচ্চা কাকে বলে জানেন? না জানলে আমি তিনটের ঘটনা জানাচ্ছি।আপনারাও কয়েকটাকে জানলে জানান।পিকলি ...
16/08/2025

#নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল

ত্যাদর বাচ্চা কাকে বলে জানেন? না জানলে আমি তিনটের ঘটনা জানাচ্ছি।
আপনারাও কয়েকটাকে জানলে জানান।

পিকলি নামে আমার একটা বন্ধু ছিল। ওর যখন ছ বছর বয়স, তখন গড়িয়াহাটে ওর মাসির বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে হরর মুভির বিদেশী পেত্নীদের মতো আর্চ করে উল্টো হয়ে চার হাতপায়ে হামাগুড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে হড়কে সোজা একবারে নীচে!

পড়েই "ও মা.. ও মা.." বলে গগনভেদী চিৎকার করে সে কি কান্না! কুনুই হাঁটু সব কেটে ছড়ে একশা! এবার সেটা শুনে ওর মাসি দৌড়ে এসছে আদরের বোনঝিকে তুলতে।

এসে পিকলিকে তুলতেই পিকলি কান্না থামিয়ে মাসিকে কি মেজাজ! বলে, "তুই আমায় তুললি কেন?? আমি মাকে ডেকেছি, মা আসবে তুলতে! তুই তোলার কে??"

বলেই মাসির হাত থেকে এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে যেখান থেকে পড়েছিল, সেখানে দৌড়ে উঠে গিয়ে আবার একই ভঙ্গিতে সিঁড়ির উপর থেকে ইচ্ছে করে ওরম ভয়ঙ্কর ভাবে হড়কে ওলোটপালোট খেয়ে নীচে!

পড়েই আবার কান্না শুরু! কিন্তু অন্য কেউ এসে ওকে তুললে হবেনা, যার নাম ধরে কাঁদছে তাকে এসেই তুলতে হবে!

মাসি অত আদর করে তুলছিল, পিকলির সেটা পোষায়নি! ওর মা এসে ওকে উত্তম মধ্যম দেওয়ার পর তুলেছে।
তাতে পিকলির শান্তি! 😕

••

তবে এই নীচের ছবিটা পিকলির নয় কিন্তু! আমার। 🤨

ছোটোমামা আমার টুপিটা কেড়ে নিতেই আমি বলেছিলাম, "টুপিটা ফেরত দিবি না কাঁদবো?"

ভালো কথায় কাজ হয়নি। কিন্তু আমিও ছোটো থেকেই এক কথার মানুষ। শুরু করলাম মেঝেতে ছিটকে পড়ে সাতবাড়ি মাত করা কান্না!
শুরু করতেই সুড়সুড় করে দিয়ে দিলো টুপিটা। 😜

••

এবার আরেকটা বাচ্চার ঘটনা। এ এমন ত্যাদর যে আমার ফুল সেটিং খারাপ করে দিয়েছিল!

এই কয়েক বছর আগে একটা বিয়েবাড়িতে গিয়ে দেখি ফুচকা স্টলে একটা বিশালাকৃতি চার কি পাঁচ বছরের বাচ্চা দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছে। ছোটোবেলায় আমিও বাচ্চা ছিলাম বলে আমি জানি বাচ্চাদের সামনে বেশি আদিখ্যেতা দেখাতে নেই।
তাই চুপচাপ সাইডে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছিলাম।

হঠাৎ দেখি একটা একঘর দেখতে মেয়ে ফুচকা স্টলে এলো! সাইড থেকে পুরো সোনালী বেন্দ্রে আর সামনে থেকে দিট্টো অপর্ণা সেন!

দেখেই আমিও ফুচকা খেতে এগোচ্ছি কিন্তু মেয়েটার মাথায় কি ভীমরতি চাপলো কে জানে, ওই বাচ্চাটার একগাল টিপে ধরে বলে, "উলি বাবালে..! কিউটি বেবি লে..! পুলুপুলু.."

বলতেই দেখি বাচ্চাটা খপ্ করে ধরে নিয়েছে মেয়েটার হাতটা! ধরেই এক কামড়!

আমি দেখছি ছাড়ছেই না! পুরো চিকেনের লেগপিস কামড়ানোর মতো কামড়ে ধরে আছে হাতটা!! 🥵

আর মেয়েটা ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার জুড়ে বলছে, "হারামির বাচ্চা! ছাড় ছাড়..."

আমি দৌড়ে গিয়ে কোনোমতে বাচ্চাটার খাবলা থেকে মুক্ত করলাম মেয়েটার হাতটা। মেয়েটা যন্ত্রনায় "ওহ্ শেট্! উফ্ আফ্ আউচ্.." এসব করছে!

আমি ব্যাপারটাকে হালকা করতে গিয়ে বললাম, "দুধের শিশু, করে ফেলেছে.. কিছু মাইন্ড করবেন না ম্যাম! আমি শুনেছি বাচ্চারা নাকি ভগবানের অবতার হয়। অবলা বাচ্চার কামড় মানে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আমার মনে হচ্ছে আপনি হয়তো খুব শিগগির শিব ঠাকুরের মতো লাইফ পার্টনার পেতে চলেছেন।"

বলেই নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করালাম, "বাই দ্য ওয়ে আমি গোগোল.."

মেয়েটা যন্ত্রনাক্লিষ্ট মুখে বলে, "আমি হাসি না।"

উনি কতটা শকড্ বুঝতে পেরেই আমি বললাম, "এরম একটা অনভিপ্রেত ঘটনায় হাসবেন আর কি করে!"

মেয়েটা ততধিক বিরক্তি সহকারে বলে, "ইডিয়ট্! আমার নাম হাসিনা.. হাসিনা খাতুন।"

বলেই পিটি ঊষার মতো হেঁটে চলে গেল!

বাচ্চাটা মুডই খারাপ করে দিলো মেয়েটার! আমিও ছাড়িনি। বাচ্চাটার দিকে কটমট করে তাকিয়ে হুল দিলাম, "কামড়ে ভালো করলি না কিন্তু ভাই.."

সেটা শুনে ত্যাদর বাচ্চাটা আমার দিকেও এগোচ্ছিল! আর ওখানে দাঁড়ায় কেউ? 😕

 #নব্বইয়ের_দশকে_গোগোলএটা ১৯৯৪ সাল। বোনের অন্নপ্রাশনের দিন তোলা ছবিটা।সামনে থলথলে মতোন যেটা বসে আছে, সেটাই আমি।ছোটোবেলায় ...
16/08/2025

#নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল

এটা ১৯৯৪ সাল। বোনের অন্নপ্রাশনের দিন তোলা ছবিটা।
সামনে থলথলে মতোন যেটা বসে আছে, সেটাই আমি।
ছোটোবেলায় আমি সামান্য মোটা ছিলাম। তখন আমাদের পাড়ার পিনিকবাজ পিন্টাদা আমাকে দেখলেই না 'কুমড়োপটাস', 'মোটুরাম', 'খোদার খাসি', 'ভুসিমাল' এসব বলে ডাকতো!
চরম রাগ উঠতো আমার! বিশেষ করে পাড়ার মেয়েদের সামনে বললে। মনে হতো দিই পিন্টার কানের গোড়ায় বেহালা বাজিয়ে..
কিন্তু আমি বুঝে গেছিলাম যে তখন আমি পিন্টার বেহালা বাজাতে গেলে পিন্টা আমাকে ঢোল ভেবে ভালোমতো বাজিয়ে দেবে। তাই কিছু বলতে পারিনি।
এই কয়েকদিন আগে পাড়ায় চা খেতে বেরিয়ে দেখি রাস্তা দিয়ে পিন্টাদা আর পিন্টাদার বউ দামিনী বৌদি আসছে। শরীরগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো যেন গজগাম্বার্ট আর গজগামিনী!
আমি ভদ্রতার খাতিরেই ওদের কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম, "মোটামুটি চলছে। তোমাদের কি খবর?"
বলতেই পিন্টাদার মাথায় যেন আগ্নেয়গিরি জ্বলে উঠলো! সে কি ভয়ঙ্কর এক্সপ্রেশন মুখের! যেন বেগুনের বস্তায় জ্বলন্ত দোদোমা ছুঁড়ে মেরেছি!!
বলে, "ট্যামনার গাছ... তোকে আমি জিজ্ঞেস করেছি তোর কেমন চলছে?"
এ যুগে না মানুষের হালহকিকত জিজ্ঞাসা করতে নেই। দূর থেকে দেখেই দেখে বুঝে নিতে হয়। দামিনী বৌদির মুখটাও কেমন যেন অসন্তুষ্ট লাগলো!
যেন আমাকে অনেক কিছু করতে চেয়েও পারছেনা!
এরম অবস্থায় ওখানে আর দাঁড়িয়ে থাকাটা ঠিক মনে হলো না। ভালো কথা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে অপমানিত হয়ে দুবার শুষ্ক কাশি কেশে চা খেতে এগোলাম আমি।
পরদিন সকালে দেখি পাড়ার জিমে অ্যাডমিশন নিলো দুজনে! 😕

 #নব্বইয়ের_দশকে_গোগোলকানে ভুল শোনা কখনও কখনও শরীরের পক্ষে হানিকারক হতে পারে, আবার কখনও কখনও প্রাণদায়ক হতে পারে।এই কথার প...
16/08/2025

#নব্বইয়ের_দশকে_গোগোল

কানে ভুল শোনা কখনও কখনও শরীরের পক্ষে হানিকারক হতে পারে, আবার কখনও কখনও প্রাণদায়ক হতে পারে।
এই কথার প্রমান দিয়ে দুটো ঘটনা।

°°
(১)
তখন আমার সাত কি আট বছর বয়স। এক রোববার উত্তর কলকাতার দেশবন্ধু পার্কে বাচ্চাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আমার বাবা আমাকেও অংশগ্রহণ করাতে নিয়ে গেল।

আমার তখন ফুটবল আর ক্রিকেট ছাড়া কিছুই ভালো লাগতো না। এদিকে বাবাকেও চরম ভয় পেতাম। তাই বাধ্য হয়েছিলাম যেতে।

পঞ্চাশ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। বাকি বাচ্চাগুলো স্টার্টিং লাইনে এক হাঁটু গেড়ে বসে। যদিও বাচ্চাদের সাথে কোনোরকম প্রতিযোগিতাই আমার পোষায় না তাও আমি এক হাঁটু গেড়ে বসলাম কারণ ঠিক পিছনেই বাবা দাঁড়িয়ে!

তাই আমি সবার দেখাদেখি মাথা নীচু করে কনসেনট্রেট করছি। আমি জানি পিঁপ্ করে বাঁশি দিলেই দৌড়োবো।

বাঁশি বাজলো না। বদলে সাইডে দাঁড়ানো লোকটা চেঁচালো,
"রেডি.. স্টেডি.. অন ইওর মার্ক.. গো....."

আমি শুনলাম, "রেডি স্টেডি অনিমা, গো....." 😕

তো আমি বসেই আছি। হঠাৎ বাবা পিছন থেকে বলে, "গাধা.. দৌড়া!"

আমি মাথা নীচু করা অবস্থাতেই বললাম, "দাঁড়াও, এ অনিমাকে দৌড়াতে বললো তো! আমাকে বলুক.."

বাবা চরম রেগেমেগে বলে, "তোর পাশের সবাই অনিমা????"

আমি মুখ তুলে সাইডে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই! 😕

বাবা কান ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে পাড়া দিয়ে নিয়ে আসতে আসতে বলে, "আজ থেকে সব খেলা বন্ধ! এবার থেকে রোজ দুবেলা জোরে জোরে ইংরেজি পড়বি যাতে পড়া নিজের কানে আর সবার কানে ঢোকে.."

একটা সামান্য ভুল শোনার জন্য কি প্রাণওষ্ঠাগত শাস্তি!! টিনাদের বাড়ির সামনেও কানটা ছাড়ছিল না! আমি বাধ্য হয়ে বললাম, "কানটা ছাড়লে তো কানে ঢুকবে যেটা বললে! কানটা ছাড়ো! এখানে আমার একটা প্রেস্টিজ আছে।

শুনে বাবা পায়ের জুতোটা হাতে নিতে যেতেই আমি খিঁচে দৌড়! এক দৌড়ে দিদার কাছে।
বাবা আমাকে দৌড়ে ধরতে পারেনি 😎

°°
(২)
দ্বিতীয় ঘটনাটা বড়বেলার। ভুল শোনা যখন প্রাণ বাঁচায়।

তখন আমি ভূবনেশ্বরে ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট। প্রথম প্রথম হস্টেলে সব সিনিয়ারগুলো তাদের নাম মুখস্থ রাখতে বলতো। আমার মনে হতো পান্ডুগুলো নিজের নাম নিজেই মনে রাখতে পারেনা, আমাকে দায়িত্ব দিচ্ছে মনে রাখার! আবার একটা ছোটো নোটবুক দিয়েছিল গজনির ভাইগুলো ওদের নাম লিখে রাখার জন্য!

একদিন সন্ধ্যেবেলা রুমে বসে আছি, হঠাৎ এক থার্ড ইয়ারের সিনিয়ার এসে ঢুকেছে! ঢুকেই আমার সামনে এসে বলে, "চল্ ব্যতা মেরা নাম.."

বিকেলেই নোটবুকে টুকেছিলাম এটার নামটা, তবে কিছুতেই পেটে আসছে কিন্তু মনে আসছে না!!

আমি ননবং সিনিয়ারটার চোখে চোখ রেখেই বাঙালি রুমমেটটাকে বললাম, "এই পোঁদুর কি নাম রে?"

শুনেই সিনিয়ারটা "গুড বেটা.." বলে পিঠ চাপড়ে দিয়ে চলে গেল!

আমি অবাক হয়ে ভাবছি কি হলো কেসটা!

তারপর নোটবুকটা খুলে দেখি বিকেল চারটে তিপ্পান্নয় লেখা নামটা,

Third year sir, A. E. Pradakshin Amre 😕

https://amitghosh.net/death-merchant/
17/04/2024

https://amitghosh.net/death-merchant/

1 Arpan lived in a small, forgotten town where the days stretched long and the nights even longer. He was a simple man with a complicated past, a past he kept hidden behind a crooked smile and tired eyes. Nobody in the town knew much about Arpan, and Arpan preferred it that way. He lived...

16/08/2023

Apnar Raay: 'মহিলা সহপাঠীদের শারীরিক বর্ণনা দিতে বাধ্য করা হতো!': শুভ্রজিৎ ঘোষ | Zee 24 Ghanta






Today,s Best photo ❤❤❤❤❤❤
16/05/2023

Today,s Best photo ❤❤❤❤❤❤

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Suman Dutta - Gogol posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share