Shayan’s Mom

  • Home
  • Shayan’s Mom

Shayan’s Mom Hello Everyone ! Welcome to Shayan’s Mom world 🌏. Please follow my page & do like , comment and share to grow my page. Thank you ❤️
(7)

04/02/2025

শিশুটি হারিয়ে গেল, অতঃপর খুঁজেও পাওয়া গেল। কিন্তু প্রচুর বাবা-মা রা শিশুই থেকেই যায়... তারা আর বড় হয় না! দেশের অসংখ্য বাবা-মা মনে করেন তাদের সন্তান তাদের না জানিয়ে কোন কিছু, বা কোনো ভুল করতেই পারেনা! এক্কেবারে ফেরেশতা! সন্তানকে কিছু শিখানো লাগে না! অটো সু-মানুষ হয়ে উঠবে! এতোই সোজা?? জন্ম দেয়ার পর থেকেই বাবা-মায়ের আসল পরীক্ষা আর পারদর্শীতা শুরু হয়। কেউ বাবা-মা হয়ে ওঠে আর কেউ বয়স্ক শিশুই থেকে যায়...🙂

04/02/2025

বউমা মানুষ, কাজের মেয়ে নয়! এটা বুঝতে কবে শ্বাশুড়িরা শিখবে? 🤷‍♀️😤

শুভ সকাল সবাইকে ॥সবাই কেমন আছেন ⁉️
04/02/2025

শুভ সকাল সবাইকে ॥
সবাই কেমন আছেন ⁉️

03/02/2025

এমন শ্বাশুড়ি থাকলে লাইফে আর কিছু চাইই না! 🙄🤣

03/02/2025

এমন সুন্দর, নিষ্পাপ মেয়েকে কোনো মা কেমন করে ছেড়ে যেতে পারে⁉️💔🥹

03/02/2025

মেয়ে এমন হলে সংসারের কিছু কি গোপন থাকে…⁉️😂🤣

03/02/2025

ভালোবাসা বনাম বাস্তবতা! 💔 পরিবারের অমতে বিয়ের আগে এই ভিডিওটি দেখুন… 😓😢

ছোট খালার ডিভোর্স মোটামুটি ফাইনাল।ঘটনা সত্যি। খালা সংসারে পাঁচ বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। হঠাৎ করে এমন একটি ঘটনা কেউ মেন...
02/02/2025

ছোট খালার ডিভোর্স মোটামুটি ফাইনাল।

ঘটনা সত্যি। খালা সংসারে পাঁচ বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। হঠাৎ করে এমন একটি ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। গত দিন কয়েক ধরে ছোট খালার এই বিষয় নিয়ে সবাই চিন্তিত। যে যেমন করে পারে দেন দরবার করল। বড় মামা বেশ কয়েকবার ছোট খালুর বাড়ি গিয়ে ধরনা দিলেন। আমার আব্বাও গেলেন একবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। ছোট খালু তার সিদ্ধান্ত কিছুতেই পাল্টাবেন না। ঘটনা শুনে নানা-নানি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ল।

মেজ খালার বাড়িতে বৈঠক। আজকের বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে ফাইনাল কথাবার্তা হবে। সন্ধ্যা হতে এখনো বাকি। ইতোমধ্যে ছোট খালুর পরিবারের অনেকে এসে পড়েছেন। ছোট খালু এখনও আসেন নি। বড় মামা এসেছেন একটু আগে। তার সাথে ছোট খালাও এসেছে। খালা ছিলেন নানি বাড়ি। আসার পর থেকে বড় মামা কারও সাথে খুব একটা কথাবার্তা বলছেন না। মেজ খালাদের বাড়ির উঠানের দক্ষিণ দিকে বিশাল এক সফেদা গাছ। আসার পর থেকে বড় মামা সেই গাছের নিচে ছোট একটা টুলে বসে আছেন। তার সামনে মোড়ার উপর প্লেটে করে পিঠা দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টা পেরুলেও তিনি সেই পিঠা একটুও মুখে দেন নি। এই বাড়ি আসার পর থেকেই দেখছি, আম্মা, মেজ খালা আর ছোট খালা লুকিয়ে কাঁদছে। সেই কান্না দেখে আমার খুব খারাপ লাগল। কান্না দেখে আব্বা বেশ রাগও দেখালেন। কয়েকবার চিৎকার করে বললেন, এখন কেঁদেকেটে লাভ কী! অপরাধ করার সময় হুশ ছিল না? এমন অপরাধ কেউ ক্ষমা করে না। কেউ না। এখন আল্লাহ আল্লাহ করো। মোজাম্মেল এর মনটা আল্লাহ যদি একটু নরম করে।

মেজ খালুকে দেখা গেল ভীষণ ব্যস্ত। তার ব্যস্ততা দেখে মনে হলো বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছে। খালু আব্বার কাছে গিয়ে বেশ খোশ মেজাজে বলল, দুলা ভাই ভোরেই চলে গিয়েছিলাম আবুল কসাইয়ের দোকানে। সকাল সকাল না গেলে ভালো গোশত পাওয়া যায় না। তিন কেজি গোশত নিলাম। মুখে দিলেই বুঝতে পারবেন এই গোশতের তুলনা নাই।

আব্বার চেহারা দেখে মনে হলো তিনি খালুর কথায় খুব বিরক্ত হচ্ছেন। বিরক্ত হলেও মুখে কিছু বললেন না। যদিও আব্বার বিরক্তি নিয়ে খালুর খুব একটা মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হলো না। আব্বার সাথে কথা শেষ করে রান্না ঘরে গিয়ে খালাকে তাগাদা দিয়ে বলল, সন্ধ্যার আগে আগে যেন রান্না বান্না শেষ হয়।

খালুকে এমন করতে দেখে মেজ খালা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু খালু থামিয়ে দিয়ে বলল, কেউ তো মারা যায়নি। কান্নাকাটি থামিয়ে রান্নায় মনোযোগ দাও। কপালে যদি ক্ষতি লেখা থাকে তুমি আমি কেউ পাল্টাতে পারব না।

এই প্রথমবার মেজ খালার বাড়ি এসে আমার মন টা খুব খারাপ হয়ে গেল। মেজ খালু ছাড়া সবাই কেমন যেন মন মরা হয়ে বসে আছে। আম্মা আর খালারা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদছে। এসব দেখতে আমার একটু ভালো লাগছে না। এমন কী হলো যে ছোট খালার সংসার টা এমন করে ভেঙ্গে যাবে! তাছাড়া বড় মামার সংসারের যে অবস্থা তাতে খালাকে নিয়ে রাখার সাধ্যও তার নেই। আমি বেশ কিছুক্ষণ বড় মামার কাছে গিয়ে বসেছিলাম। দেখলাম মানুষ টা লুকিয়ে চোখ মুছছেন। সহজ সরল মানুষটাকে দেখে আমার খুব মায়া লাগল। কেন জানি মনটা একটু বেশিই খারাপ হলো।

আমার শেষ কথা, এই বউ আমি রাখব না। বৈঠকের শুরুতেই ছোট খালু বেশ রাগান্বিত গলায় কথাটা বলে উঠল।

এই বাড়ির উত্তর দিকে বড় এক বৈঠক ঘর। সেই ঘরেই সবাই বসল। ছোট খালা-খালুর ডিভোর্সের ফয়সালা এখানেই হবে। ছোট খালুর আব্বাও এসেছেন। বড় মামা, মেজ খালু, আব্বা, রইচ চেয়ারম্যান ছাড়াও আরও তিন চারজন লোক আছেন বৈঠকে। আমি সবে ক্লাস এইটে উঠেছি। বৈঠকে আমাকে রাখা হয়েছে ফুট ফরমায়েশ খাটার জন্য। বড়দের কখন কী লাগে সেটা যেন আমি এক দৌড়ে নিয়ে আসি তার পুরো দায়িত্ব আমার উপর দিয়ে রেখেছেন মেজ খালু। আমি দাঁড়িয়ে আছি আব্বার ঠিক পেছনে। একটু আগে থালায় করে পান সুপারি এনে মাঝের টেবিলের উপর রাখলাম। মেজ খালু বেশ আদর করে বলল, বাপজান, পান সুপারি আনলা কিন্তু চুন তো আনলা না।

আমি আবার দৌড়ে গেলাম চুন আনতে। চুন এনে টেবিলে রাখতেই শুনি ছোট খালু বলছেন, এই বউ আমি রাখব না। খালুর কথা শুনে রইচ চেয়ারম্যান বলল, তোমার বউ তুমি না রাখলে আমাদের তো আর কিছু করার নাই। কিন্তু তুমি এখন একটু মাথা ঠাণ্ডা করে বসো। আলাপ আলোচনা করি। যেটা করলে তোমাদের ভালো হবে সেটা আমরা করব।

ছোট খালু বলল, আমার ভালো আমি বুঝি। বউ আমি রাখব না এটা ফাইনাল।

রইচ চেয়ারম্যান বলল, ফাইনাল বুঝলাম কিন্তু সেই বিষয়টা দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে হলে ভালো হবে। পরে থানা পুলিশ করার চেয়ে নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা ভালো। চেয়ারম্যান গিরি করতে গিয়ে এসব ঝামেলা তো কম আর দেখলাম না।

রইছ চেয়ারম্যান কথাটা বলে পানের থালার দিকে হাত বাড়ালেন। ছোট খালুর বাড়ি থেকে আসা একজন বলল, চেয়ারম্যান সাব ঠিক বলেছেন। আফজাল তুমি এবার থামো। বিষয়টা নিয়েই তো আমরা কথা বলতে আসছি। বউ অপরাধ করছে। সেই অপরাধের শাস্তি যদি তুমি তালাক চাও আমাদের তো আর কিছু করার নাই। তবে এই তালাকের বিষয়টাও তো ঠিক টাক করা লাগবে। কোট কাছারি করার চেয়ে দুই পক্ষের সম্মতি তে সমাধা করা শ্রেয়। তুমি এখন চুপ করে বসো। আমরা আলোচনা করি।

মেজ খালু দরজার কাছে বসা ছিলেন। তিনি হাসি হাসি মুখ করে বলল, মিয়া ভাই, তুমি একটু ঠাণ্ডা হয়ে বসো। আগে নাস্তা পানি করো। এখানে সবাই আছে। তোমার বউ তুমি না রাখলে কার সাধ্যে আছে রাখার।

কথা শেষ করে খালু আমার দিকে তাকিয়ে বলল, বাপজান দেখ তো মেহমানদের নাস্তা রেডি হইছে কিনা। হইলে তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো। আচ্ছা চলো, আমি নিজেই গিয়ে দেখি।

মেজ খালুর কথা শুনে ছোট খালু একটু উঁচু গলায় বলল, আমরা এখানে নাস্তা পানি খেতে আসি নাই ভাই। ওসব নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে।

কী যে বলো ভাই। আমার বাড়ি এসে যত্ন আত্তি কম হইছে সেটা তুমি দেখছো কখনও? সম্পর্ক না থাকলেও তুমি আমার ভাই-ই থাকবা। বউ ছাড়বা বলে তোমাদের খাওন দাওন দিব না সেটা কেমনে হয়।

মেজ খালুর কথায় অনেকে বিরক্ত হচ্ছে সেটা বুঝলাম। বিশেষ করে আমার আব্বা। এই বিপদের সময় খাওয়া দাওয়া নিয়ে খালুর এমন আচরণ আব্বা খুব একটা ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। মেজ খালু নিজেও সেটা বুঝতে পারছেন। বুঝতে পারলেও বিষয়টা তিনি খুব একটা গায়ে মাখছেন না। মেজ খালুর আচরণ দেখে আমার নিজেরও খুব অবাক লাগছে। তাকে কেন জানি খুব খুশি খুশি মনে হচ্ছে। খালার ডিভোর্স হচ্ছে তাতে তো মেজ খালুর খুশি হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাকে দেখে আমার একবারও মনে হচ্ছে না বিষয়টা নিয়ে তিনি চিন্তিত।

আমাকে নিয়ে খালু চলে আসলেন বাড়ির অন্দরমহলে। নাস্তা রেডি ছিল। নাস্তা বলতে কয়েক পদের পিঠা। সেই পিঠা নিয়ে আমি আর খালু আবার গেলাম বৈঠক ঘরে। মাঝখানে থাকা টেবিলে পিঠার প্লেট রাখা হলো। পানির জগ আনতে খালু ইশারা করলেন আমাকে। আমি আবার দৌড়ে গিয়ে পানি ভর্তি জগ নিয়ে আসলাম। গ্লাস আনা হয়নি। আবার গেলাম গ্লাস আনতে। গ্লাস এনে টেবিলে রাখতেই আব্বা কিছুটা রাগ দেখিয়ে উঁচু গলায় বলল, তমাল, কথার মাঝখানে বার বার এমন আসা যাওয়া করবি না। সর মাঝখান থেকে।

আব্বার রাগ আমি জানি। জানি বলেই কিছুটা ভয় পেয়ে দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। রইছ চেয়ারম্যান কথা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কথা শুনে বুঝলাম ছাড়াছাড়ির বিষয়টা এবার সত্যি সত্যি ফাইনাল। এবার দেনা পাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল। দেনা পাওনার কথা উঠতেই মেজ খালু উঠে গিয়ে বৈঠক ঘরের বাইরে চলে গেলেন। বাইরে দাঁড়িয়ে খালু বেশ চিৎকার করে ছোট খালাকে ডাকল, রেণু কোথায় গেলি রে, এদিকে আয়। তাড়াতাড়ি আয় হারামজাদি।

মিনিট খানেকের মধ্যে মেজ খালু বৈঠক ঘরে ঢুকল খালাকে মারতে মারতে। খালু ছোট খালাকে মারছেন মোটা এক বাঁশের কঞ্চি দিয়ে। মারের সেই শব্দ হচ্ছে ভয়ংকর ভাবে। একটু আগে হাসি খুশি থাকা উচ্ছল মানুষটা কেমন যেন ভয়ংকর হয়ে গেল নিমেষেই। খালাকে সাথে নিয়ে বৈঠক ঘরে ঢোকার পরও খালু মার বন্ধ করেনি। সবাই খালুকে আটকাতে চেষ্টা করল। খালু থামল না। তিনি চিৎকার করে খালাকে বকতে বকতে মারতে লাগলেন। শেষে রইছ চেয়ারম্যান আর ছোট খালুর বাড়ি থেকে আসা লোকজন মেজ খালুর হাত থেকে বাঁশের কঞ্চি জোর করে কেড়ে নিলেন।

ছোট খালা শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে ছিল। বোঝা যাচ্ছিল তিনি কাঁদছেন। রইছ চেয়ারম্যান জোর করে মেজ খালুর হাত থেকে বাঁশের কঞ্চিটা নেওয়ার সময় খালু কেমন যেন বাচ্চাদের মত করে কেঁদে উঠলেন। খালু চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, তারে মেরে ফেলা উচিত। তারে বাঁচায়ে রেখে লাভ কী! তারে মেরে ফেলাই উচিত। মেরে ফেলা উচিত। অপরাধ যেহেতু করছে তারে তো শাস্তি পাওয়া লাগবে।

আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠল। বড় মানুষদের কাউকে এমন করে কাঁদতে দেখিনি। আমি এক দৃষ্টে খালুর দিকে তাকিয়ে আছি। মানুষ টা কেমন যেন বাচ্চাদের মতো করে কাঁদছে। বড় মামার চোখেও পানি। ছোট খালা বৈঠক ঘরের উত্তরের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। হঠাৎ মেজ খালু কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠল, আমার বয়স তখন সবে তের তে পড়ল। কোনো এক কারণে আব্বা আমার মাকে তালাক দিল। সংসার ভাঙ্গল আমার বাপ-মায়ের। আব্বা আবার বিয়ে করল। আমি আর ছোট বোন যেন মাঝ সমুদ্রে পড়লাম। মামাদের কাছে গিয়ে ঠাঁই হলো না আমাদের। মায়ের নিজেরই তো ঠাঁই হয় না। ভাই বোন দুজন ফিরে আসলাম আবার বাপের কাছে। সেই জীবন কেমন তার গল্প আর করা যাবে না। সেই দিন গুলোর কথা আমরা ভাই বোন স্বপ্নেও মনে করতে চাই না। বাড়ির গরু ছাগলও আমাদের চেয়ে ভালো থাকত। সে দিন আমি স্বপ্নেও দেখতে চাই না। সে যে কী কষ্টের দিন। আল্লাহ যেন এমন দিন আর কাউকে না দেন। মাঝে মাঝে দুই ভাই বোন আলাপ করতাম বিষ খেয়ে মরে গেলে কেমন হয়। একবার তো দফাদার স্টোর থেকে ক্ষেতের বিষও আনলাম। কিন্তু বোন টার মুখের দিকে তাকিয়ে মায়া হলো। সেই মায়া নিয়ে আর মরতে পারি নাই। অনেক কষ্টে আজ আমি এখানে।

কাঁদতে কাঁদতে মেজ খালু কথাগুলো এক নাগাড়ে বলে গেলেন। সবাই একদৃষ্টে মেজ খালুর দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও। অনেকের চোখে পানি। পানি ছোট খালুর চোখেও।

হঠাৎ মেজ খালু নিজের জায়গা থেকে সরে গিয়ে ছোট খালুর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন। তারপর খালুর দুই হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল, ভাই মোজাম্মেল, বয়সে তুমি আমার ছোট। আমি বড়। বড় হয়েও আমি তোমার কাছে দুই হাত জোর করে একটা অনুরোধ করব। আমি জানি আমার অনুরোধ করা মানায় না। রেণুর অপরাধ ভয়ানক। ক্ষমার অযোগ্য। তারপরও ভাই হয়ে বলছি, তুমি এবারের মতো রেণু কে ক্ষমা করে দাও। রেণু নিজের ভুল বুঝতে পারছে। তুমি যদি চাও তবে আমি নিজে তোমার পায়ে ধরব। তারপরও তোমাদের সংসার টা এমন করে শেষ করে দিও না। তোমাদের ছোট্ট মেয়েটার জীবন কষ্টের করে দিও না ভাই। তোমার মেয়েটা দেখলে আমার ছোট বোনের কষ্টের কথা মনে পড়ে। তোমার কাছে আমি হাত জোর করে অনুরোধ করছি। একবার ক্ষমা করে দিয়ে দেখ ভাই। আমার মন বলছে, আল্লাহ তোমাদের জন্য ভালো কিছু রাখছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তুমি এবার রেণু রে ক্ষমা করে দাও। চোখের সামনে আমার বাপ মায়ের মতো সংসার ভাঙ্গার দৃশ্য আমি যে মেনে নিতে পারি না। কোনোভাবেই না। কোনোভাবেই না। কোনোভাবেই না।

কথাগুলো বলতে বলতে মেজ খালু মুঠো করে ধরা ছোট খালুর হাতে মাথা ঠেকিয়ে কাঁদতে লাগলেন। বৈঠকে আসা সবাই কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে গেল। কারও মুখে একটা শব্দ নেই। শত শত সালিশ করা রইছ চেয়ারম্যান চোখের কোণে পানি চিক চিক করছে। মেজ খালুর কান্নার শব্দে সব কিছু যেন শব্দহীন হয়ে পড়েছে। আমার কানে যেন সহজ সরল মানুষটার কান্নার শব্দ ছাড়া কিছুই আসছে না। আমার ইচ্ছে করছে দৌড়ে বৈঠক ঘর থেকে পালিয়ে যাই। আমি পালাতেই যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ ছোট খালু কান্না জড়ানো গলায় বলে উঠল, ভাইজান, আপনার মতো ভালো মানুষের উপদেশ এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। আপনি বললে আমি রেণুর অপরাধ ক্ষমা করে তাকে আমার বাড়ি নিয়ে যাব। আমার বিশ্বাস আপনার দোয়া আমার পরিবারের জন্য ভালো কিছু আনবে।

রইছ চেয়ারম্যান এবার সত্যি সত্যি কেঁদে দিল। চোখের কোণে লুকিয়ে রাখা পানি আর আটকে রাখতে পারল না। কান্না জড়ানো কণ্ঠে চোখ মুছতে মুছতে তিনি বললেন, আল্লাহ চাইলে অনেক সিদ্ধান্ত চোখের পলকে পালটে যেতে পারে। আমরা তো কিছুই না। আমার বিশ্বাস তোমরা অনেক সুখে থাকবে মোজাম্মেল। অনেক সুখে।

রাতে বেশ আয়োজন করে খাওয়া দাওয়া হলো। ছোট খালু গরুর মাংস খুব পছন্দ করলেন। খাওয়ার সময় ছোট খালাকে বললেন, রেণু, আমি মনে হয় মাংস একটু বেশি খেয়ে ফেললাম। বাড়ির সবার হবে তো?

প্রায় ত্রিশ বছর হতে চলল। ছোট খালা খালু বছরের ছয় মাস মেয়ের সাথে আমেরিকায় থাকেন। তাদের দুজনকে দেখলে কখনও মনে হবে না এই মানুষ দুইটার সংসার প্রায় ভেঙ্গেই যাচ্ছিল। গত বছর খালা খালু মেয়ের কাছে গিয়েছে মাত্র ছয় দিন হয়েছিল। এরই মধ্যে মেজ খালুর মৃত্যুর সংবাদ গেল তাদের কাছে। সংবাদ পাওয়ার পর পরই দুজন আবার দেশে ফিরে আসল। মেজ খালুর জন্য তাদের দুজনের কান্না দেখে আমার বার বার ত্রিশ বছর আগের বৈঠক ঘরের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠল।

মাঝে মাঝে আমি চোখ বন্ধ করে ছোট খালুর মাংস খাওয়ার দৃশ্যের কথা মনে করি। খালাকে বলা কথা টার দৃশ্য মনে করি। রেণু, আমি মনে হয় মাংস একটু বেশি খেয়ে ফেললাম। বাড়ির সবার হবে তো?

মেজ খালুর মতো কিছু মানুষের জন্য পৃথিবীতে অনেক জিনিস ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে জোড়া লাগে বলেই দুঃখ গুলো সুখ হয়ে উঠে।

©রুহুল আমিন

02/02/2025

পাঁকা বুড়ি একটা ☺️ কথা শুনে হাঁসি থামছেই না!😁😅

আমার ছোট্ট রাজপুত্র 👑
02/02/2025

আমার ছোট্ট রাজপুত্র 👑

02/02/2025

প্রত্যেক বাবা-মা-ই চায়, এমন একটা মেয়ে থাকুক😍✨

01/02/2025

চুমকী চৌধুরী: অভিনয়ের অনন্য নক্ষত্র, যার প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত গল্প বলে! তারকাখ্যাতির আড়ালে একদম মাটির মানুষ! ✨❤️

01/02/2025

ব্রত অংকে কতোটা কাঁচা দেখুন!!!

31/01/2025

রাজ চক্রবর্তী হাজব‍্যান্ড হিসেবে কেমন⁉️শুনুন শুভশ্রী গাঙ্গুলী এর মুখে🥰

যে নারী দেখতে যত সুন্দর তিনি তত সুন্দর মনের অধিকারী"যে নারী দেখতে যত সুন্দর, তিনি তত সুন্দর মনের অধিকারী"—এই বক্তব্য অনে...
31/01/2025

যে নারী দেখতে যত সুন্দর তিনি তত সুন্দর মনের অধিকারী

"যে নারী দেখতে যত সুন্দর, তিনি তত সুন্দর মনের অধিকারী"—এই বক্তব্য অনেকাংশেই যুক্তিসঙ্গত এবং গভীর অর্থবহ, বিশেষ করে যদি আমরা সৌন্দর্যের গভীরতর মানে অনুধাবন করি। বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং মনের সৌন্দর্যের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ সংযোগ রয়েছে। কারণ, সত্যিকারের সৌন্দর্য তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা একটি সুন্দর মনের প্রতিফলন ঘটায়।

সৌন্দর্য প্রাকৃতিক দান এবং এটি একজন নারীর ব্যক্তিত্ব ও আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। সুন্দর চেহারার নারীরা সাধারণত নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হন এবং এই আত্মবিশ্বাস তাঁদের মনকে আরো উন্নত ও মহৎ করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী মানুষ সহজেই অন্যের প্রতি সদয় হতে পারেন এবং চারপাশের পরিবেশকে আনন্দময় করতে সক্ষম হন। সুন্দর নারীদের আচরণে একটি শালীনতা এবং কোমলতা থাকে, যা তাঁদের মনের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রতীয়মান হয়।

তাছাড়া, যাঁরা দেখতে সুন্দর, তাঁরা সাধারণত ছোটবেলা থেকেই সমাজের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়ে থাকেন। এটি তাঁদের চরিত্র গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাঁরা ভালোবাসা, সম্মান এবং উদারতার মূল্য সহজেই বুঝতে পারেন এবং অন্যদের প্রতিও ভালোবাসা ও সম্মানের মনোভাব পোষণ করেন। গবেষণায়ও দেখা গেছে, চেহারার সৌন্দর্য মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়, যা মনের সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে।

সৌন্দর্যের সংজ্ঞা কখনোই কেবল বাহ্যিক নয়। প্রকৃত সৌন্দর্য হলো মনের সুন্দর গুণাবলির প্রতিফলন। যে নারী দেখতে সুন্দর, তাঁর চেহারার উজ্জ্বলতা অনেক সময় তাঁর আন্তরিকতা, দয়া, এবং সহমর্মিতার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। সুন্দর নারীরা সাধারণত তাঁদের সৌন্দর্যকে অন্যদের জন্য উৎসর্গ করতে পছন্দ করেন—তাঁদের হাসি, আচরণ, এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে।

অতএব, বলা যায়, চেহারার সৌন্দর্য এবং মনের সৌন্দর্য একে অপরের পরিপূরক। একটি সুন্দর মন ছাড়া বাহ্যিক সৌন্দর্য পূর্ণতা পায় না। এই কারণেই বলা হয়, "যে নারী দেখতে যত সুন্দর, তিনি তত সুন্দর মনের অধিকারী।" এটি কেবল একটি বিশ্বাস নয়; বরং প্রকৃত সৌন্দর্যের গভীর উপলব্ধি।

©️সংগৃহীত

31/01/2025

সন্তানের সামনে খা’রা’প আচরণের পরিনতি দেখুন !💔🥹😢

ড্রাইভিং সিটে আমি,চাইলে পাশে বসতে পারো😉🚗✨
31/01/2025

ড্রাইভিং সিটে আমি,চাইলে পাশে বসতে পারো😉🚗✨

30/01/2025

শুধুমাত্র মেয়ে হওয়ার কারণে সন্তানের মুখ দেখতে যায়নি বাবা—আর শেষ পর্যন্ত ডি’ভো’র্স দিলো মেয়ে হওয়ায়!💔🥹

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shayan’s Mom posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share