01/03/2024
"ঘষেটি বেগম"
বাংলার বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নাম।তার বিশ্বাসঘাতকতা,চক্রান্তর শেষ পরিনতি হয়েছিলো ভয়াবহ।নিদারুন কষ্টে বুড়িগঙ্গাায় নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারান ঘষেটি বেগম।জ্বী,আজকে আপনাদের শোনাবো ঘষেটি বেগমের কাহিনি।
নবাব আলীবর্দী খাঁর বড় মেয়ে মেহের উন নিসা বেগম, ঘসেটি বেগম নামেই বেশি পরিচিত। তিনি ছিলেন বাংলা, বিহার ও ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বড় খালা। ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিস মুহম্মদ শাহমাত জংয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা নিঃসন্তান হওয়ায় ঘসেটি বেগমের ছোট বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে ইকরামউদ্দৌলা (সিরাজউদ্দৌলার ছোট ভাই)-কে দত্তক নেন; কিন্তু ইকরামউদ্দৌলা তরুণ বয়সে গুটিবসন্তে মারা যান।
ছেলের শোকে নওয়াজিস মারা গেলে ঘসেটি বেগম উত্তরাধিকার সূত্রে স্বামীর কাছ থেকে প্রচুর সম্পদ পান।
ঘসেটি বেগম চেয়েছিলেন আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দ্বিতীয় বোনের পুত্র শওকত জংকে সিংহাসনে বসাতে; কিন্তু নবাব আলীবর্দী খাঁর ইচ্ছায় সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতায় আরোহণ করেন। ঘসেটি বেগম তা মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি সেনাপতি মীরজাফর, ব্যবসায়ী জগৎ শেঠ ও উমিচাঁদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করেন এবং ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করেন।
ইংরেজরা মীরজাফরকে নবাব বানান; কিন্তু মীরজাফর ইংরেজদের পুতুল হওয়ায় ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তারের স্বপ্ন ঘসেটি বেগমের পূরণ হয় না। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুত টাকা না দেওয়াসহ নানা কারণে মীরজাফর এবং তার পুত্র মিরনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে ভেবে ঘসেটি বেগমকে মিরন বন্দি করেন এবং তাঁর নির্দেশে নৌকাযোগে মুর্শিদাবাদে নেওয়ার সময় নৌকাডুবি ঘটিয়ে ঘসেটি বেগমের সলিল সমাধি ঘটান।