23/09/2023
জিয়া হলের ফিরোজের সম্পর্ক ছিল বঙ্গমাতা হলের এক মেয়ের সাথে। একসময় ওদের প্রেম দেখলে মনে হবে বেস্ট কাপল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। ফিরোজের পরিবারও জানতো বিষয়টা। তারপর মেয়ে তার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে। এরপর থেকে বঙ্গমাতা হলের সামনে কতশত রাত দাড়িয়ে থাকতো শুধু একটু দেখা করার জন্য হিসেব নাই।
ফিরোজ তার মাকে কথা দিয়েছিলো, ওই মেয়ের জন্য নিজের ক্ষতি করবে না। সেই কথা রাখতে পারে নি।
বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে নিয়মিত খুঁজ খবর নেয়ার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার(১৫-০৯-২০২৩) সকাল ১১ টায় ফোন দেই। জানতে পারি ওদের সম্পর্ক ঠিক করার জন্য ফিরোজের মা, বড় ভাই, ছোট ভাই ক্যাম্পাসে আসছে। মেয়েটা সবার নম্বর ব্লক লিস্টে রেখেছে। আমি ওদের কাছে যেয়ে আমার ফোন থেকে ফোন দেই। কথা না বলেই আমাকে ব্লক করে দিল!
মা ও পরিবার সুদূর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা এসেও ব্যার্থ হয়ে বাসায় চলে যায়। ফিরোজকেসহ আমি গাড়িতে তুলে দেই। রবিবার ফিরোজ আবার ক্যাম্পাসে আসে। আমরা সারাদিন একসাথে ছিলাম, রাত ২ টা পর্যন্ত মুহসীন হলের ছাদে আড্ডা দিয়েছি। অনেক আলাপ করেছি। অনেক বুঝিয়েছি। ফিরোজের কষ্টের জায়গাটা হলো, বাসায় যেয়ে ফিরোজের মা মেয়েকে ফোন দিয়েছিল অন্য নম্বর দিয়ে। রিসিভ করার পর ফিরোজের মায়ের পরিচয় জানার সাথে সাথেই ফোন কেটে ব্লক দেয়। অথচ অনেক আগের ভিডিওতে দেখেছি ওর মার সাথে কত মুহাব্বতের সাথে কথা বলেছে। ওর নানার খুঁজ খবর নেয়ার পর ওর বাবার কথা জিজ্ঞেস করার সময় বলেছিল, " আর আমার বাবা কেমন আছে?"
সেই মেয়ে কিভাবে এত অপমান করতে পারলো!
ফিরোজ ওর মাকে কথা দিয়ে এসেছিল মেয়ের জন্য নিজের ক্ষতি করবে না। সেই কথা রাখতে পারেনি।
কতভাবে, কতজনের মাধ্যমে মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। একটু দেখা করার জন্য সারারাত বঙ্গমাতা হলের সামনে দাড়িয়ে থাকতো। মেয়ের সাথেও আমাদের পরিচয় ছিল, ওদের প্রেম ভালোবাসা দেখে বেস্ট কাপল মনে হতো।
আহা ওদের প্রেম, বিয়ে...
ফিরোজের মা আমাকে ওদের বাড়ি যেতে বলতো, আজ যাচ্ছি। তবে ফিরোজের লা*শ নিয়ে...
আমি মেয়েদের অনুরোধ করব,কারো হাত ধরে রাখতে না পারলে প্লিজ অভিনয় করে কাউকে মৃ*ত্যুমুখে ঠেলে দিবেন না
সূত্রঃ ফিরোজের ঘনিষ্ট বন্ধু ©