পার্শ্ব শিক্ষক বার্তা

  • Home
  • পার্শ্ব শিক্ষক বার্তা

পার্শ্ব শিক্ষক বার্তা WE THE FACE OF ALL PARA-TEACHERS PARSHOW SHIKSHAK BARTA is the face of all the para-teachers of west bengal.

05/02/2024
✍️সরকারপন্থী শিক্ষক নেতা সেলিম পাইকের কলামে :--সর্ব প্রথম তৃণমূল পার্শ্ব শিক্ষক সহায়ক সমিতির-র পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরক...
09/09/2023

✍️সরকারপন্থী শিক্ষক নেতা সেলিম পাইকের কলামে :--

সর্ব প্রথম তৃণমূল পার্শ্ব শিক্ষক সহায়ক সমিতির-র পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কে শুভেচ্ছা অভিনন্দন, তৎসহ অভিনন্দন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মহাশয়কে এবং অভিনন্দন জানাই West Bengal State Education Policy 2023 এর প্রনেতাদের, গত 14/6/2023 এবং 15/6/2023 আমাদের দুরাবস্থা নিয়ে মাননীয় মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সাথে তৃণমূল শিক্ষা সেলের (প্রাথমিক, মাধ্যমিক)সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন। দীর্ঘক্ষন আলোচনা হওয়ার পর মাননীয় মন্ত্রী মানস বাবু আমাদের কে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতির মধ্যে আমাদের উন্নতির বিষয়টি যাতে রাখা যায় তার সব রকম প্রচেষ্টা উনি করবেন। তার জন্য উনি 2 টো মাস সময় নিয়েছিলেন। সেই দিন আমাদের সামনে মানস বাবু বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে ওনার নিজস্ব প্যাডে দাবিপত্র লিখে মেল করে ছিলেন। অবশেষে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম এর আবেদন ও মানস ভুঁইয়ার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে,যার ফলে আমাদের উন্নতির কথা নতুন শিক্ষা নীতিতে মান্যতা পেয়েছে l পশ্চিমবঙ্গের গৃহীত নতুন শিক্ষানীতিতে পশ্চিমবঙ্গ এর বঞ্চিত পার্শ্বশিক্ষকদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নর জন্যে এই নতুন শিক্ষানীতির ৮৮ পৃষ্ঠায় 3.14.7 নম্বরে পার্শ্বশিক্ষকদের উন্নয়ন র বিষয়ে সুপারিশ করেছেন , এবং মাননীয় সরকার সেই সুপারিশ গ্ৰহন করে সেই শিক্ষা পলিসি প্রকাশ করেছেন।এর জন্য মাননীয় মন্ত্রী মানস বাবুকে কুর্নিশ জানাই, এবং সেই সাথে রাজ্য সভাপতি মইদুল বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।
আশা করছি সরকার দ্রুত পার্শ্বশিক্ষকদের উন্নয়ন-র জন্যে এইবার সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁদের এই গৃহীত নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী l🙏🙏🙏🙏

আদালত সংবাদ আজ(31.03.2023 তারিখ)  কলকাতা উচ্চ আদালতের 18 নাম্বার কোটে *মহামান্য বিচারপতি বিশ্বজিত বাসু মহাশয়ের* এজলাসে U...
31/03/2023

আদালত সংবাদ
আজ(31.03.2023 তারিখ) কলকাতা উচ্চ আদালতের 18 নাম্বার কোটে *মহামান্য বিচারপতি বিশ্বজিত বাসু মহাশয়ের* এজলাসে UpperPrimary Parateacher-দের --
*WPA/25295/22*
*Debmalya Ghosh & Ors*
. VS
*The Union of India & Ors*
কেসটির শুনানী ছিল । আমাদের আইজীবি হলেন *Mr. Biswaroop Bhattacharya, Mr. Golam Mohiuddin ও Ms. Puja Mondal* ।
আপনারা সকলেই জানেন যে গত 28.03.2023 তারিখ আমাদের এই কেসের পঞ্চমতম শুনানী ছিল। ঐ দিন মহামান্য বিচারপতি আমাদের এই কেসের সঙ্গে *D.S.G.I* ( Deputy solicitor General of India) কে যুক্ত করার কথা বলেন। সেই কারণেই আজ *Mr. Billwadal Bhattacharyya, Ld( D.S.G.I)* আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ওনার সাথে ছিলেন *Mr. Hemanta Coomer Mitter* । উনি *The Union of India..পক্ষে আইনজীবী* । আজকের এই Order copy তে ওনারা *Respondent no-1*

*Mr. Arjun Ray Mukherjee ও Ms. Saheli Chakraborty* হলেন *Respondent no.-3* অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের আইনজীবীগণ।

*Mr.Biswabrata Basu Mallich ও Mr. Sayak Chakraborty হলেন Respondent no. 2 & 4* । অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর, বিকাশ ভবন ও অর্থ দফতর, নবান্ন।

আজ মহামান্য বিচারপতি মহাশয়ের কাছে আমাদের আইজীবিগণ আমাদের দাবি সমূহ কতটা প্রাসঙ্গিক, তা প্রমাণ সহ উপস্থাপন করেন । পক্ষে ও বিপক্ষের আইজীবিদের কথা শোনার পর মহামান্য বিচারপতি মহাশয় যে Order সুনির্দিষ্ট করলেন , তা আমি তুলে ধরলাম । আপনারা তা পড়ুন বা print out করে রাখুন।

এই হল আজকের আমাদের কেসের শুনানীর update তথ্য।

ধন্যবাদ জানাই মহামান্য বিচারপতিগণ, বিচার ব্যবস্থার সাথে যুক্ত সকল আইনজীবীদের, ধন্যবাদ জানাই 97 জন রিট পিটিশনর সহ পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য পার্শ্বশিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষিকাগণকে । কারণ আপনাদের আন্তরিক সাহায্য ছাড়া আমরা এতটা পথ চলতে পারতাম না । আগামী দিনেও আপনাদের সাহায্য পেয়ে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পার। আমরা আশা রাখি আমাদের মহামান্য উভয় সরকারও অবলম্বনে আমাদের অভাব অভিযোগ পূরণ করবেন।

ইতি
দেবমাল্য ঘোষ ( হাওড়া জেলার সাধারণ পার্শ্বশিক্ষক)

18/03/2023
https://youtu.be/2rN9J5C-F5s
08/02/2023

https://youtu.be/2rN9J5C-F5s

Parateacher দের বেতন বৈষম্য ফাইনলা রায়ের আগেই বিস্ফোরক অর্ডার ফাঁস! দেখুন কিভাবে বেতন চুরি হয়েছেplease follow channel in facebook- https:...

https://youtu.be/ae-j_hJdC1I
07/02/2023

https://youtu.be/ae-j_hJdC1I

আজকের হাই কোর্টে কি কি হল | west bengal para Teachers news | west bengal para teacher case update___________________________________1 para teacher2 para teac...

আজ বসন্ত। ***********আজ যখন দ্বিতীয় পিরিয়ডে আমি ক্লাশ করাচ্ছিলাম তখন অলোক সরকারের ফোন এল। হ্যালো বলার অপেক্ষা না করে ওপ্...
02/11/2022

আজ বসন্ত।
***********

আজ যখন দ্বিতীয় পিরিয়ডে আমি ক্লাশ করাচ্ছিলাম তখন অলোক সরকারের ফোন এল। হ্যালো বলার অপেক্ষা না করে ওপ্রান্ত থেকে উচ্ছ্বসিত অলোক বলল, আমরা সুপ্রিম কোর্টে জিতে গেছি।

দুপুরের মধ্যে খবরটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গেল। জীবনে আমরা অনেক জিতে যাওয়ার খবর শুনে উচ্ছ্বসিত হয়েছি, রাস্তায় বাজি পুড়িয়েছি... সে সমস্ত জিতে যাওয়ার থেকে এ জয় যে কোন পার্শ্ব শিক্ষকের জীবনে এ মুহূর্তের সব থেকে বড় জয়। এটাও বলা যায়, ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।

তাই আজ অনেকদিন পর যেন কবিতারা ফিরে এল আমার কাছে। কবিতা লিখতে ইচ্ছা করছে, বলতে ইচ্ছা করছে, পড়তে ইচ্ছা করছে। সে রকমই একটা কবিতা "ছন্নছাড়া" যার সঙ্গে আমাদের জীবনের বড় মিল...

গলির মোড়ে একটা গাছ দাড়িয়ে
গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া..
আঁকাবাঁকা কতগুলো কাঠির কঙ্কাল
শূন্যের দিকে এলোমেলো তুলে দেওয়া
রুক্ষ রুষ্ট রিক্ত জীর্ণ
লতা নেই পাতা নেই ছায়া নেই ছাল- বাকল নেই
নেই কোথাও এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি
এক বিন্দু সরসের সম্ভাবনা...

বিগত এগারো বছরে পার্শ্ব শিক্ষকদের জীবনের সঙ্গে এই পাতা ঝরা শুকনো গাছের উপমাটা কতটা সঠিক তা একমাত্র তারাই জানে।
প্রশ্ন আসবে, তাহলে কি আমরা এগারো বছর আগে খুব ভালো ছিলাম? নিশ্চয়ই ছিলাম না কিন্তু সেদিনও আমাদের স্বপ্ন ঝরে যায় নি, আমাদের আশা সেদিনও গাছের সবুজ পাতার মতো ছিল। আর আমাদের যিনি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আজ তিনিই আমাদের প্রতিপক্ষ। আমাদের শেষ স্বপ্নটুকুকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে তিনিই আজ ছুটেছেন সুপ্রিম কোর্টে। তিনি মনে করেছিলেন মেরুদণ্ড ভাঙা হতাশায় ন্যুব্জ গরীব পার্শ্ব শিক্ষকরা সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত যেতেই পারবে না। তিনি কোন অবস্থাতেই আমাদের ন্যায্য অধিকার দিতে চান না। তাই হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চে আমাদের দাবীকে মান্যতা দিলেও সরকার মানতে রাজি নয়। একজন শিক্ষক তার জীবনের কুড়ি বছর যদি শিক্ষকতা করেন, তাকে নিঃস্ব ভিখারি করে ছুঁড়ে ফেলতে চায় প্রতিহিংসা পরায়ণ সরকার। তার বিরুদ্ধে ছিল আইনি লড়াই। পথের আন্দোলনকে স্বৈরাচারী শাসকের মতো দমন করতে পারলেও আাইনের অসম যুদ্ধে আজ আমরাই জয়ী। সব থেকে বড় কথা এই জয় কেবল যারা কর্মরত আছেন তাদেরই নয়, এর ফলে উপকৃত হবেন যারা ইতিমধ্যে ভিখারির মতো অবসর নিয়েছেন তারা, এমনকি মৃত পার্শ্ব শিক্ষকের পরিবারও। শুধু কর্মরত পার্শ্ব শিক্ষকরা নন, তারাও নিশ্চয়ই এই জয়ের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ ও আশীর্বাদ দেবেন সমন্বয় সমিতির 11 man army দের এবং তাদের সেনা নায়ককে। নিঃসন্দেহে এ কথা বলতেই হবে, যো জিতা ওহি সিকন্দর।

তার মানে কি আমরা সকলে EPF পেয়ে গেলাম! তা হয়তো নয়। এ সরকার কোন কোর্টকে মানে না। তবে অবশ্যই আমাদের দাবীকে বৈধতা দিল। আমরা আবার একটা বিশ্বাস ফিরে পেলাম, দাবী যদি ন্যায্য হয়, যুদ্ধ শেষে আসবে জয়। এই জয় নতুন করে যুদ্ধের প্রেরণা দেবে। আমিও বিশ্বাস করি যুদ্ধ এখানে শেষ হল না, যুদ্ধ আমাদের করতেই হবে এবং একদিন আমরা জয়ী হবই। EPF এর পথ ধরেই আসবে বেতন কঠামো। তবুও যে কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেই কবিতার শেষটুকুর মতো মনে হচ্ছে আজকের দিনটা...

"ফিরে আসতেই দেখি
গলির মোড়ে গাছের সেই শুকনো বৈরাগ্য
বিদীর্ণ করে বেরিয়ে পড়েছে
হাজার হাজার সোনালী কচি পাতা
মর্মরিত হচ্ছে বাতাসে বাতাসে,
দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠছে
ফুল
ঢেলে দিয়েছে বুকের সুগন্ধ
উড়ে এসেছে রঙ বেরঙের পাখি
শুরু করেছে কলকন্ঠের কাকলি,
ধীরে ধীরে ঘন পত্রপুঞ্জে ফেলেছে স্নেহার্দ্র
দীর্ঘ ছায়া
যেন কোন শ্যামল আত্মীয়তা।
অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম
কঠোরের প্রচ্ছন্নে মাধুর্যের বিস্তীর্ণ
আয়েজন।
প্রাণ আছে, প্রাণ আছে.. শুধু প্রাণই
আশ্চর্য সম্পদ
এক ক্ষয়হীন আশা
এক মৃত্যুহীন মর্যাদা। "

হ্যাঁ, শামীম আখতার প্রমাণ করেছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের আশা, স্বপ্নের এখনো মৃত্যু ঘটে নি, এখনো প্রাণ আছে। শুধু বেঁচে থাকার জন্য প্রাণ যথেষ্ট কিন্তু আশা, স্বপ্ন এবং সম্মান নিয়ে বাঁচতে সকলকে এগিয়ে এসে যোদ্ধাদের হাত শক্ত করতে হবে।

সে দায় আমাদের।

28/10/2022

প্রসঙ্গঃ- EPF ও আমরা।

এটা আমার অভিজ্ঞতা ঐক্য মঞ্চের নেতৃত্বে যতবার আন্দোলন ডাকা হয়েছে সমস্ত সংগঠন তাকে সক্রিয় সহযোগিতা করে নি। নৈতিক সমর্থন জানিয়ে একটা দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। ঐক্য মঞ্চের নেতৃত্বরা যেভাবে আন্দোলনটা নিজেদের ভেবেছিল, ঐক্য মঞ্চের বাইরের সংগঠন সেই অর্থে সেই আন্দোলনকে "আমাদের " ভাবি নি। সরকারি সংগঠনের অবস্থান স্পষ্ট ছিল, তাদের কাছে কোনদিনই পার্শ্ব শিক্ষকদের স্বার্থ প্রধান ছিল না, তাদের সংগঠনের সরকারি স্বীকৃতি থাক বা না থাক তারা নিজেদের সরকারি ভাবত। কাদম্বিনীর মতো আজও তারা "মরিয়া প্রমাণ" করতে রাজি যে তারা সরকারের কত অনুগত। সুতরাং তাদের অবস্থান স্পষ্ট আছে। কিন্তু বাকি সংগঠন গুলোর অবস্থান সব সময় স্পষ্ট ছিল না। তারাও পার্শ্ব শিক্ষকদের উন্নয়ন চাইত কিন্তু দাবী পূরণটা অন্যের নেতৃত্বে হোক সেটা কোনদিন কোন নেতা বোধহয় চান নি। এবং এই সমস্ত নেতার একটা অনুগামী দল আছে। নেতার নির্দেশ ছাড়া তারা যুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে না।

এই ট্রাডিশন আজো সমানে চলেছে। তাই সমন্বয় সমিতির নেতৃত্বে ইপিএফ সংক্রান্ত বিষয়ে আজ তারা যেন Host আর অন্য সংগঠনের নেতৃত্বরা নিজেকে guest ভাবছেন৷ এ যুদ্ধটাকে নিজেদের বলে ভাবতে পারছেন না। তারা গ্যালারির দর্শক বলে নিজেদের ভাবছেন। তাই তার দলবল সহ তারা ময়দানে নামছেন না। বরং পূর্বের উদাহরণ টেনে নৈতিক সমর্থন করছেন।

কিন্তু আগের আন্দোলনের সঙ্গে ইপিএফ এর একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। হতে পারে এই কেস যারা করেছিল তারা আমার সম্মতি নেয় নি, আমি কোন সহযোগিতা বা অসহযোগিতা কিছুই করি নি। কিন্তু এর ফলাফলের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে সরকারপন্থী, বেসরকারি, ঐক্য মঞ্চী, নিখিলপন্থী... সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষকের ভাগ্য। অনেকটা "লগন" সিনেমার কাহিনির মতো। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভুবন একা চ্যালেঞ্জ নিলেও তার গ্রামের সমস্ত মানুষের ভাগ্যের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল সেটা। হারলে তিনগুন লগন, জিতলে তিন বছর কোন লগন দিতে হবে না।

আমাদেরও কিন্তু জিতলে সুরক্ষিত হবে আমাদের নিজেদের ভবিষ্যত ও আমাদের পরিবারের ভবিষ্যত। অনেকে যেমন শূন্য হাতে অবসর নিয়ে এখন তারা কিভাবে সংসার চালাচ্ছেন আমরা কেউ জানি না তারাও উপকৃত হবে এবং আমরাও ঐ দশা হওয়া থেকে বাঁচব। তাছাড়া অনেকবার হারতে হারতে এই একটা জয় আমাদের মানসিকতা পাল্টে দেবে। আমরা আবার আন্দোলন করার উৎসাহ পাব কারণ আমিও বিশ্বাস করি আমাদের দাবীকে কোর্ট মান্যতা দিতে পারে কিন্তু তাকে বাস্তবায়ন করতে রাস্তার আন্দোলন করতেই হবে।

অথচ কি অদ্ভুত শ্মশানের নিস্তব্ধতা আমাদের মধ্যে। ৪২ হাজার মতো আমরা এখনো আছি অথচ যুদ্ধের রসদ জোগাতে যারা অনুূদান দিয়েছেন সাকুল্যে তাদের সংখ্যাটা এখনো তিন হাজার ছাড়ায় নি! অথচ, কেসটা হাইকোর্টের দুই স্তরে জিতে অন্তিম ফয়সালার জন্য সুপ্রিম কোর্টে গেছে! যারা এখনো কোন সহযোগিতা করেন নি তারা কি ভাবছেন রোগী সুস্থ হয়ে গেলে তখন আপনি এক বোতল রক্ত দেবেন? কিন্তু এক বোতল রক্তের অভাবে যদি রোগী মারা যায়, মারা যায় আপনার ভবিষ্যত, আপনার কি অনুশোচনা হবে না, এক বোতল রক্ত সময় মতো দিলে আপনি আপনার ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে পারতেন, অন্তত অবসরের পরে ভিখারি মনে হত না নিজেকে। কিন্তু হারলে, আপনারা কি আর আন্দোলন করতে পারবেন? সরকার কি তখন বলবে না, কোর্টই আপনাদের দাবীকে অবৈধ বলেছে, তাহলে এখন কেন আন্দোলন করছেন?

সুতরাং জেতা ছাড়া আর আমাদের সামনে কোন পথ নেই। আর যে কেস আমরা হাইকোর্টে জিতে আছি তার যৌক্তিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে না। প্রয়োজন শুধু রসদ জোগান দেওয়া এবং তা করতে সমস্ত ইগো ভুলে আমাদের all out game খেলতেই হবে।

অন্য সংগঠনের নেতৃত্বদের আমার কিছু বলার নেই কিন্তু ঐক্য মঞ্চের নেতৃত্ব ও অনুগামীদের বলার অধিকার আমার আছে। আমরা কোন সংগঠন নই বরং আমরা সমস্ত সংগঠনকে এক করতে চেয়েছিলাম। সেই অর্থে সংগঠন নিয়ে আমাদের কোন ছুৎমার্গ থাকলে বলব সেটা আমাদের আদর্শ বিরোধী। সেদিন আমাদের ডাকে কেউ কেউ যদি আমাদের মতো সক্রিয়তা না দেখিয়ে থাকে, সেটা আজ মনে রাখা মানে সতীনকে বিধবা দেখতে চাওয়ার সুখ ছাড়া কিছু নয়। এ কথা কেন আমরা বলতে পারি না, তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?

সুতরাং আজ আমাদের প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে আমি অধম নই। আর যদি আপনার আমার নিষ্ক্রিয়তা ও অসহযোগিতায় জেতা কেস সুপ্রিমকোর্টে হার হয়, তাহলে দুটি জিনিস প্রমাণ হবে...

এক.. আমরা অধম।
দুই... সত্যি আমরা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নই।
Collected

26/10/2022

এই করুন আর্তি নিয়ে একটু ভাবুন

প্রিয় সাথী
আমরা ডুবন্ত জাহাজের কিনারে দাঁড়িয়ে আছি। সেখান থেকে কোনো একজন আমাদের কে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন।আর যদি আমরা হাত না বাড়িয়ে নিজেদের মৃত্যুকে আহ্বান করি তাহলে কিছু বলার নেই!
নিজেদের বিবেককে জাগ্রত করে একবার অন্তত ভাবুন যে মানুষটি EPF কেশটি নিয়ে এতোদিন ধরে লড়াই করে আমাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়ানো দরকার আছে না নেই! যদি মনে করেন আমাদের মতো সাধারণ পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য EPF কেশটা জেতা খুব জরুরী, তাহলে আসুন বন্ধু নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে সার্বিক ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের পরিবার পরিজনদের বাঁচানোর চেষ্টা করি।
এ লড়াই রাজ্য পার্শ্ব শিক্ষক সমন্বয় সমিতির একার লড়াই নয় এ লড়াই আমাদের সকলের আত্মমর্যাদার লড়াই এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।

অর্থের অভাবে যদি আমরা এই লড়াইয়ে পরাজিত হই তাহলে আমাদের দুর্দিনের জন্য সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তাই সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্নকারী কে অনুরোধ করবো নিজেদের মধ্যে সমস্ত ইগোর লড়াই কে পিছনে ফেলে যে যেমন পারেন সাহায্য সহযোগিতা করুন, অর্থ দিয়ে সাহায্য না করতে পারলেও সামনে এসে দাঁড়িয়ে সুপরামর্শ দিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করুন, কিভাবে আমরা এই কেশটি দ্রুত জয়লাভ করতে পারি।
সকলকে সংগ্ৰামী অভিনন্দন
ইতি
সেলিম পাইক ,
সাধারণ পার্শ্ব শিক্ষক,দঃ 24 পরগনা।

08/10/2022

এক হতভাগ্য পার্শ্বশিক্ষকের কলমে :---

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস আমরা প্রত্যেকেই জানি। আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে ২০০ বছর সময় লেগেছিল। তার কারণ সংঘবদ্ধতার অভাব, ভারতীয় হয়ে ভারতীয়দেরই ক্ষতি করার মানসিকতা,নানা অজুহাতে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা, একসাথে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে না পড়ে বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা, এমনকি অপরকে সাহায্য না করে তার আন্দোলনকে ব্যর্থ করার চেষ্টা। ভারতীয়দের এই মানসিকতার সম্পূর্ণ ফায়দা তুলতে সমর্থ হয়েছিল ব্রিটিশরা। তাঁরা বুঝতে পেরেছিল এরা যতদিন নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধাচারণ করবে ততই তারা ভারতীয়দের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবে। সবথেকে স্বার্থপর ভূমিকা পালন করে ছিলেন বিভিন্ন বিপ্লবী দলের নেতৃত্ববৃন্দ। তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে রাখতে দলের কর্মীসমর্থকদের ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। যখনই কোনো সংগঠন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে তখন অন্যান্য সংগঠনের সেই সকল কুচক্রী নেতৃত্ববৃন্দ নিজেদের কর্মীদের নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে তো পড়েইনি।উল্টে নিজেদের ইগোর লড়াই বজায় রাখতে মিরজাফরের মতো তার নিজের সৈন্যদের নিয়ে আমবাগানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের পরাজয় দেখে খুশি হয়েছে।আর যেদিন ঐ নেতাদের কথা না শুনে সকল সংগঠন একসাথে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো সেদিন কিন্তু ব্রিটিশরা বুঝতে পারলো যে আর ভারতীয়দের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রেখে অত্যাচার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তখন ভারতীয়রা স্বাধীনতা অর্জন করে স্বাধীনতার সুখ অনুভব করলেন। এতক্ষণ ধরে আমার লেখা পড়ে যারা বিরক্তিকর বলে মনে করছেন, ভাবছেন এসব লেখার অর্থ কি? যত্তসব ফালতু অপ্রাসঙ্গিক কথা। এবার আসল কথায় আসি। আমরা পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকারাও কিন্তু স্বাধীনতার খোঁজে বিভিন্ন আন্দোলন করে চলেছি , কিন্তু সকল পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠন একসাথে নয়, আলাদা আলাদা বিচ্ছিন্নভাবে। আর বিভিন্ন সংগঠন অন্যান্য সংগঠনের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহায্য তো করছি না উপরন্তু নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধাচারণ করছি। নেতারা ও এর সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের ইগোর লড়াই বজায় রাখতে সাধারণ পার্শ্ব শিক্ষকদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। আরে আমরা যারা অন্যদের আন্দোলনে এগিয়ে দিয়ে নিজেরা ঘরে বসে অজুহাত দেখিয়ে আন্দোলনে না গিয়ে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখি , তারা আর কিছু করতে না পারে কিছু অর্থ দিয়ে তো সাহায্য করতে পারি। সেখানে ও অজুহাত দেখিয়ে টাকা দিতে পারছিনা। আমাদের অর্থের অভাব আছে কিন্তু তা বলে নিজেদের প্রয়োজনে অর্থ সাহায্য করতে পারব না।এই আমাদের বিভিন্ন সংগঠন কিংবা বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন দাবিতে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। সব মামলাতেই যদি আমরা কিছু কিছু করে অর্থ সাহায্য করতে পারি তাতে আমাদের ই লাভ। এই মুহূর্তে আমার জানা আছে অন্ততঃ পাঁচ থেকে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । সবকটি খুব ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। সবকটি আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু অর্থের অভাবে কেস চালাতে না পেরে কেস গুলি যদি আমরা পরাজিত হই তাহলে আজীবন আমাদের কোনো দাবি দাওয়া পূরণ হবে না। সবথেকে খারাপ ও লজ্জাজনক পরিস্থিতি আমাদের মহিলা পার্শ্ব শিক্ষিকদের ( কিছু ব্যতিক্রমী শিক্ষিকা ছাড়া) । আমার যেটুকু জানা আছে, তাদের কাউকেই সেভাবে সংসার চালাতে হয় না, কারো স্বামী প্রাইমারি শিক্ষক, কারো স্বামী পার্মানেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কারো স্বামী ব্যবসাদার। অজুহাত দেখিয়ে তারা রাস্তায় আন্দোলনে যেতে না পারেন মামলা চালানোর জন্য অর্থ সাহায্য তো করতে পারেন। কিন্তু সেখানে ও সেই অজুহাত। কেউ কেউ বলছেন আমার Google pay , Phone pay নেই , টাকা পাঠানোর ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। আরে ইচ্ছা থাকলেই অনেক কিছু করা যায় । কোনো সাইবার ক্যাফে থেকে কম্পিউটার এর মাধ্যমে যারা কোন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারে সেখানে গিয়ে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করতে পারেন তো।যাই হোক , আমার মনে হয় এই সময়টাই আমাদের দাবি আদায়ের সেরা সময়।এই সুযোগ যদি আমরা বিভিন্ন অজুহাতে হেলায় হারিয়ে ফেলি তাহলে চিরকাল নিজেরাই নিজেদের কাছে অপরাধী হয়ে থাকব। পরাজয়ের দায় আমার আপনার ,সকল পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমাদের শিক্ষকের তুলনায় শিক্ষিকাদের সংখ্যা অনেক বেশি। যাদের কাছে তাদের প্রাপ্য বেতন বিলাসীতার খরচ মাত্র। কিন্তু আমরা যারা ঐ বেতন দিয়ে সারা মাস সংসার চালাই , চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে নিজের কঠিন অসুখ লুকিয়ে রাখতে হয়, কোনো উৎসবে সন্তানকে জামা কাপড় কিনে দিতে না পেরে রাতে বালিশে মুখ গুজে চোখের জল ফেলতে হয়, স্ত্রীর বিভিন্ন শখ আহ্লাদ মেটাতে না পেরে অপমান সহ্য করতে হয় তাদের কাছে বিলাসীতা কথাটি বড্ড কষ্টদায়ক। তাই বলছি বাজে খরচ মনে করে কিছু কিছু টাকা সেই সকল সংগঠনকে পাঠান যারা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পরিশেষে বলি যদি কিছু ভুল লিখে থাকি, আমার লেখা পড়ে কারও যদি অপমানিত বোধ হয়, কাউকে যদি অজান্তেই অসম্মান করে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন।


অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়
( একজন হতভাগ্য পার্শ্বশিক্ষক)
খানাকুল উত্তর চক্র,
জেলা : হুগলী
০৮/১০/২০২২

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পার্শ্ব শিক্ষক বার্তা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share