”প্রেম করেছ তাতে কি, আগেরটা বাদ আমি তো আছি”.

  • Home
  • ”প্রেম করেছ তাতে কি, আগেরটা বাদ আমি তো আছি”.

”প্রেম করেছ তাতে কি, আগেরটা বাদ আমি তো আছি”. Some love stories… live forever.

12/08/2023
29/09/2022

Send a message to learn more

29/09/2022

😭😭😭😭

07/12/2020

ফেজবুক এ প্রেম
অতঃপর...
চোখ রাখুন..

04/11/2020

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে তার জন্য অপেক্ষা করো না.....

😁😂🤣😀
22/09/2020

😁😂🤣😀

23/06/2020

ধন্যবাদ এই পেজটাকে আমার ভালোবাসা খুঁজে দেওয়ার জন্য🥰

প্রথম দেখাতেই তাকে ভীষণ ভালো লেগে গিয়েছিলো। বলতে পারিনি😔 ইগো প্রবলেম!

একদিন এই গ্রুপের ই এক পোস্টে কমেন্ট করলাম, হঠাৎ দেখি সে আমার কমেন্টে লাভ রিএক্ট দিয়েছে!😍আমি তো শেষ!এরপর আমি বেশী বেশী কমেন্ট করি,সে রিপ্লাই ও করে কমেন্টে! উফ😇

এভাবে চলতে চলতে সে রিকুয়েস্ট পাঠায়!মেসেজে কথা শুরু হয়,তারপর ফোনালাপ পর্যন্ত চলে যায়!

অতঃপর... সে আমাকে সেই কাঙ্ক্ষিত 👉 I Love You কথাটা বলেই দেয়।😍

কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারিনা,,দুই পক্ষের পরিবারও জেনে রাজি হয়েছেন, ভবিষ্যতে ঘর বাঁধতে চলেছি আমরা। 👪
আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যেনো আমরা একে অপরের ছায়া হয়ে থাকতে পারি।💑

#খুব_ইচ্ছেকরে_এমন_করে_একটা_পোস্ট_দিতে
কিন্তু তাহাকেই পেলাম না.... 😞

শেষ দুই লাইন পড়ার আগ পর্যন্ত কেমন বোধ করলেন?😄
কমেন্ট করে জানাবেন।

29/04/2020

বাসর রাতে বউয়ের ঘোমটা টা খুলেই

চমকে উঠলাম!😯

মীম মীম বলে এক দৌড়ে রুমের বাহিরে

চলে গেলাম!🏃🏃

-এটা কি করে সম্ভব??🤔🤔

মীম কি দিন দিন যুবতী হচ্ছে??🤨

সেই ১৬ বছর আগে আমার গার্লফ্রেন্ড

ছিলো মীম!💃💃

#ওর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর

ডিসিশন নিয়েছিলাম

আর বিয়েই করবো না জীবনে!😒💔

ব্যাস! বাবার ব্যবসা দেখা-শুনা করতে

শুরু করলাম!

অনেক উন্নতি করেছি ব্যবসায়

এই ১৬ বছরে!🚗🏩🏣

বিয়ে করতে চাইছিলাম না!😒

কিন্তু আম্মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায়

আর বাবার চাপে

এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে

হয় আমাকে,,,,,,👸🌺👳

#বউকে আমি দেখতেও যাইনি!😒

বাবা সব ম্যানেজ করেছেন!

কিন্তু মীম এই ১৬ বছর পরেও

এই যৌবন কিভাবে ধরে রাখলো?🤔

ও তো আরও ছোট হয়ে গেছে?😋

এটা কেমনে সম্ভব??😯

#আমার চিল্লানি শুনে বাবা

নিচ তলা থেকে হাক জুড়েছেন,,,,📢

""ছোটকালের স্বভাব এখনো

গেলো না তোর!?? যা রুমে যা!☹️

আমি বাবাকে খুব ভয় পাই!

তাই জলদি করে রুমে চলে গেলাম!🏩

রুমে গিয়ে দেখলাম

বউ আমার খুব কান্না করতেছে!😭😭

আমি বললাম কি হয়েছে তোমার?

কান্না শুরু করলে কেন⁉️

--বউ বললো, আপনি আমার মায়ের

নাম জানলেন কি করে??🤔👸

আমি: মানে কি? প্রশ্ন করলাম??

বউ: মানে আমার আম্মুর নাম হচ্ছে মীম!

আর আমি দেখতে হুবহু আমার

আম্মুর মতো হয়েছি!🙈🙈

আমি: ওহহহহ তাই বুঝি!!😋😋

মনে মনে বললাম,

সবুরে মেওয়া ফলে!💯

একটু ধৈর্য ধরলে গার্লফ্রেন্ড

শাশুড়ীও হয়!!😂😂🙈

24/02/2020

বাসা থেকে প্রেম করার জন্য প্রচুর চাপ দিচ্ছে..!!!!
কেউ কি প্রেম করবে!!!!
হা....! হা....! হা....!

20/01/2020

ভাইয়া, এই ভাইয়া,,,,,,,

- কি হল, এত সকাল সকাল ডাকতেছিস কেন।
- ভাইয়া ২০০ টা টাকা দে না।
- এই সাঝ সকালে টাকা দিয়ে কি করবি।
- দে না ভাইয়া, দরকার আছে।
- আগে বল কি দরকার, তারপর দিব।
-বলতে পারব না, টাকাটা খুব দরকার, আমার লাইফ এর
প্রশ্ন ভাইয়া।
- বলতে পারলে বল, টাকার কি দরকার। না হলে ফুট
এখান থেকে। আমার কাছে টাকা নাই। আগে বল কি
দরকার তারপর ভেবে দেখব টাকা দেওয়া যায় কি না।
- ভাইয়া অনেক দিন থেকেই একটা মেয়েকে ভালবাসি,
কিন্তু বলতে সাহস পাই না। আজ অনেক কস্টে মনের
সাহস জোগিয়েছি। কিন্তু পকেটে সাহস নাই, টাকাটা
দে না ভাই।
-আমি ওর কথা শুনে থ হয়ে রইলাম। আবার বলতে
লাগলাম। সাব্বাস ভাই এই না হলে আমার ভাই। আমার
মানিব্যাগ থেকে টাকাটা নিয়ে যা, কিন্তু কথা হল
২০০ টাকা দিয়ে কি করে হবে বল, ৫০০ টাকা নিয়ে যা।
- না ভাইয়া ২০০ টাকা দিয়ে হবে, ৩ টা গোলাপ ১৫০
টাকা আর একটা ডেইরী মিল্ক ১০ টাকা। হয়ে যাবে
ভাই।
- আচ্চা, আমার নতুন জুতা টা নিয়ে যা ভাই, দেখতে
ভাল লাগবে। আর শুন, যদি প্রপোজ করার পর রাজি না
হয়। তাহলে কোন কথা নাই উদুম খেলানো শুরু করবি।
- দোয়া করবেন ভাই, যেন সফল হয়ে বাড়ি ফিরতে
পারি।
- best of luck ভাই।
-thank you ভাই, আসি তাহলে।
-ওকে ভাই।
ছোট ভাইকে বিদায় দিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। যাই এবার
ফ্রেশ হয়ে আসি গিয়ে। অহহ, আপনাদেরত পরিচয়টাই
দেওয়া হল না।
* আমি রাজ,
বাকিটা আপনাদের জানাই আছে, নতুন
করে বলার মত কিছুই নাই। নতুন করে বলার মত শুধু এইটাই,
এতক্ষণ যার সাথে কথা বলছিলাম সে আমার ছোট ভাই
আরিফ। এই বছর ক্লাস সিক্স এ উঠলো। ওর সম্পর্কে আর
কি বলব। এমনিতেই বুজতে পারবেন। যাই হোক গল্পে
ফেরা যাক।
- আমি আমার ফ্রেশ হয়ে হালকা একটু নাস্তা করে
বাড়ি থেকে বেরিয়ে পারলাম। একটা চা এর দোকানে
বসে আপন মনে সিগারেট ফুঁকতেছি।(শুধু গল্পে-আমি কোন নেশা করিনা)
এর মাঝেই হটাত
মোবাইল এর রিংটোন বাঁজতে লাগল। মনে মনে কোন
সালায় বিরক্ত করল বলে তাঁর চৌদ্দগোষ্টি উদ্দার
করতে লাগলাম। মোবাইলটা বের করতেই স্তব্দ হয়ে
গেলাম।
আমার একমাত্র প্রাক্তন গফ সমাপ্তির নাম্বার দেখেই
বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো। এই বুঝি থাপ্পড় খেলাম। সেই
থাপ্পড় কি আর ভুলা যায়। ব্রেকাপ করব ভাল কথা,
কিন্তু কি থাপ্পড় ই না মারছিল। এতদিন পর হঠাৎ কল
করলো। কারন কি। ভয়ে ভয়ে ফোন রিসিভ করলাম....
--হ্যা...হ্যা...হ্যলোা...?
-হারামজাদা কই রে তুই, থাপ্পড়ের কথা মনে নাই
নাকি, না ভুলে গেছিস?
--হ মনে আছেতো। কি থাপ্পড় ই না মারছিল, আচ্ছা এই
তুমি কি মানুষ না অমানুষ বলত, একে ত ব্রেকাপ করছ,
আবার যাওয়ার সময় কি না দুই গালে গুনেগুনে মোট ১০
টা থাপ্পড় মেরেছিলে। সেই থাপ্পড় কি আর ভুলা যায়।
এখনও আমি মাঝেমাঝে সেই থাপ্পড় স্বপ্নে দেখি আর
গাল হাতাই।
-ঐ রাখ তর আজাইরা পেঁচাল।
তুই কই আছস এখন?
- কেন! আমি এখন আবার কি করলাম। একেত তুমি
নিজে আমারে কল দিছ, তারউপর এখন বলতেছ পেঁচাল
মারতেছি।
-ঐ তর ছোট ভাইরে তুই কি শিখাইছোস?
-কেন? আমিতো কিচ্ছু শিখাই নাই।
আর আরিফ রে দিয়া তুমি কি করবা। ও আমাদের
বংশের একমাত্র ভাল ছেলে। ওর নামে কিছু বললে
আমি কিন্তু সহ্য করব না।
-মিথ্যা বলবিনা একদম। তর ছোট ভাই আজকে আমার
ছোট বোনরে প্রপোজ করছে।
-আরে বাহহহ। ঠিক-ই তো আছে। তাহলে বেয়ান
সাহেবা বলেন। বিয়া কবে?
অনেক দিন হল কোরমা পোলাও খাই না।
-এই চুপ। থাবড়ায়া তর কান দিয়া গরম ধুমা বাইর করমু।
ফাইজলামি করছ আমার লগে?
-আমি আবার কি করলাম?
-আমার বোইন প্রপোজালে রাজি হয়নাই, যারফলে তর
ভাই তন্নিকে (ছোট ভাই যারে প্রপোজ করতে গেছে
তার নাম) ইচ্ছা মত পিডাইছে।
--সাব্বাস. এই না হল আমার ভাই, আমার অপমানের
প্রতিশোধ নিছে আমার ভাই।
-তর ভাইরে বাঁচাইতে চাইলে এক্ষুনি লেকের পাড় আয়।
- বুজতে আর বাকি রইল না। কাহিনি জটিল। তারাতারি
ফোন কেঁটে দিয়ে লেকের দিখে দৌড় দিলাম। আগে
ভাইকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসি। পরের টা পরে চিন্তা
করা যাবে। লেক বেশি দূর না থাকায় ২০ মিনিট এর
বেশি সময় লাগলনা । দেখি ছোট ভাইকে সমাপ্তি হাত
দিয়ে ধরে রেখেছে। তন্নির দিকে তাকিয়ে দেখি তার
নাকের মাথা লাল হয়ে গেছে। চুল এলোমেলো,
তারমানে চুলের মুডি ধইরা পিডাইছে আবার নাকেও
ঘুষি মারছে। মনে মনে বললাম 'সাব্বাস ভাই সাব্বাস,এই
না হলে আমার ভাই, এতদিনে একটা কামের কাম
করছো। আমার থাপ্পড়েরর প্রতিশোধ ওর বোনের উপর
দিয়া নিছো।
- আমাকে দেখে সমাপ্তি রাগে অগ্নিময় হয়ে গেলো।
আমি বললাম।
-কি হয়েছে?
- কি হয়েছে মানে দেখ তর ছোট ভাই কি করছে আমার
বোনের অবস্তা। (তন্নিকে দেখিয়ে)
-হুমম তাতে আমার কি?
আমি কি করতে পারি। এটা ওদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার

-তর কি মানে, তুই নাকি বলছোস প্রপোজালে রাজি না
হলে পিডাইতে?
-এই খাইছে আমারে। আমিই ওরে বলছিলাম পিডাইতে।
সেটা পরে হবে আগে এখান থেকে উদ্ধার হই।
আরিফকে চোখের ইশারা করলাম, কিরে আমি তরে এই
কথা বলছি?
--না ভাইয়া? (আরিফ)
-মনে মনে বললাম যাক বাবা ভাই আমার চোখের
ইশারা বুজছে তাইলে।
-ঐ তুই না একটু আগেই বললি তর ভাই শিখাইছে ।
(সমাপ্তি)
-বুঝলাম ভাই খুব চাপেই আছে। তাই আমি ভাইকে
উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলাম।
-আচ্ছা আচ্ছা ওয়েট আমি দেখছি কি হয়েছে। আচ্ছা
আরিফ বলত কি হয়েছে? আসল কাহিনি কি বল? (আমি)
-ভাই, অনেক কস্টে খুজে খুঁজে ৩ টা গুলাপ ফুল কিনে
আনলাম। আর তন্নিরে প্রপোজ করছি সে রাজি হয়নাই,
উল্টা আমারে থাপ্পড় দিছে।
--হুমম তারপর?
-প্রেম করবোনা ভাল কথা, আমারে থাপ্পড় মারল কেন।
আমারো রাগ উঠছিলো চুল ধইরা ইচ্ছামত মাইর
দিছি।
--তাইলে তো ঠিকই আছে। সমাপ্তি আমাকে থাপ্পড়
দিয়েছিলো ১০ টা, আর তরে তন্নি দিছে ১ টা। মোট ১১
টা। তুই তন্নিরে কয়টা মারছস। সোদবোধ।
- সটিক বলতে পারব না, তবে একটা ঘুষি দিছি।
-আমদের কথা শুনে সমাপ্তি বলে উঠল...
-তর ভাইয়ের বিচার কর,তা না হলে। বলেই আরিফকে
আমার দিখে এগিয়ে দিল।
সমাপ্তির হাত থেকে ছাড়া পেয়েই আরিফ বিদ্যুৎ
গতিতে দৌড়ে গিয়ে তন্নিকে গুমুর গুমুর কিল শুরু
করলো। এমন পরিস্থিতিতে আমি আর সমাপ্তি দুজনেই
হতবাক হয়ে গেলাম। আরিফের হাত মনে হয় এতক্ষণ
থেকে মারার জন্য চুলখাইতেছে । আমি দৌড়ে গিয়ে
আরিফকে টেনে ধরলাম। কিন্তু ও ছাড়ছেনা। সমাপ্তিও
ধরলো তন্নিকে। কিন্তু কিছুতেই ছাড়াতে পারছেনা।
এত টানাটানিতে বাধলো আরেক বিপত্তি। আরিফ
তন্নির চুল ধরে আছে অপর দিকে সমাপ্তি তার বোনকে
টানছে। তন্নির চুল ছেড়ার উপক্রম প্রায়। উপায়ান্তর
না পেয়ে আমি আরিফ এর হাত ছেরে দিলাম। তা না
হলে যদি চুল ছিরে নিয়ে আসে। আরিফ ছাড়া পেয়েই
ডুম ডুম করে কয়েকটা করে কিল দিয়েই দৌড়াতে
লাগল ।
-দৌড়াইতে দৌড়াইতে বলতে লাগল, ভাই ওরা আমাদের
মোট ১১ টা মারছিল, আমরা আরও বেশি মেরেছি।
আমরা জিতেছি ভাই।এখন পালাও পালাও।
- আমি ভাই এর পিছু পিছু দৌড়াচ্ছি আর বলতেছি।
সাব্বাস ভাই সাব্বাস। তুই আমাদের বংশের গর্ব। তর
জন্য আজ আমার মাথাটা অনেক উঁচু হয়ে গেল ভাই।
- ২০ মিনিট দৌড়াইতে দুই ভাই বাড়িতে আসলাম।
অনেক দৌড়াইছি, এখন একটু বিশ্রাম দরকার, কি বলেন
আপনারা....!!!!

14/12/2019

বিয়ের পর যখন বাসায় যেতাম, বৌ ডোরবেল শুনেই বুঝত আমি এসেছি। দৌড়ে এসে দরজা খুলে দিত। আমি ঢুকার পরেও দরজার হুক ধরে লাজুক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতো। আমি 'বিশুদ্ধ' উচ্চারণে টেনে টেনে সালাম দিতাম। লজ্জায় সে মুখ ঘুরিয়ে নিত। জবাব দিতে পারত না। কত মানুষ বৌয়ের এমন লাজুক মুখ দেখতে কতকিছু করে, অথচ সেটা আমি একটা সুন্নত আদায়ে পেয়ে যেতাম।

সেদিন দুইটা ইন্ডিয়ান চকলেট কিনেছিলাম। দোকানে এই চকলেট দুইটাই ছিল। একটা ব্যাগে রেখে দিয়েছিলাম। অন্যটা বৌকে দিলাম। অনেকদিন পর চকলেটটা খেয়ে এত ভাল্লাগলো...! পরক্ষণেই আফসোস হলো- ইশ! এটাও যদি বৌটাকে দিতাম!

একবার মাদ্রাসায় এক অনুষ্ঠানে বিরিয়ানির আয়োজন হয়। বিরিয়ানি পেলে আমার আর হুশ থাকে না। আগেভাগেই খেতে বসে গেলাম। পরে কি ভেবে যেন উঠে পড়ি। এক ছাত্রকে ডেকে বললাম, "আমার খাবারটা প্যাক করে দাও"।

আমার মত আমার বৌটারও বিরিয়ানি খুব পছন্দ। তারে একলা ফেলে প্রিয় খাবারটা কিভাবে খাই? এখানে খাবো, ওখানে ঢেকুর তুলব! এটা কি হয়?

গতকাল রাগ করে বৌ মোবাইলটা বন্ধ করে রাখে। ইচ্ছে হচ্ছিল আমিও রাগ করে ফোন বন্ধ করে দিই। এরপর যখন তার রাগ পড়বে, তখন বুঝবে মজা। কিন্তু না... মোবাইল হাতে নিয়ে এসএমএস লিখলাম, "আমি মোবাইল বন্ধ করবো না। কারণ, আমি বুঝি মোবাইল বন্ধ থাকলে অপর প্রান্তে থাকা মানুষটার ছটফটানিটা...."! সকালে বৌ মোবাইল ওপেন করেই এত্তগুলা সরি লেখে পাঠালো। এভাবে আমি হেরেও জিতে গেলাম।

আজ দুপুরে বৌ রান্না করেছে। লবনটা একটু বেশিই পড়েছিল। ছোট বেলা থেকেই। খাবার নিয়ে মন্দ মন্তব্যের অভ্যাস আমার নাই। বরাবরের মত আজও করিনি। বৌ খাবার মুখে নিয়ে বলল, কটা লাগছে না?
: হুম...
: কিছু বললেন না যে?
: কি বলব? (হেসে দিয়ে) আজ রিযিকে একটু বেশিই লবন ছিল!
বৌয়ের মুখে হাসি দেখা না গেলেও ভেতরের ভালোলাগাটা চোখ ঠিকরে ঠিকই বেরুচ্ছিলো।

ছাত্রাবস্থায় অনেক ঘুরেছি। ভাবতাম, বিয়ের পরেও ঘুরবো। বৌকে নিয়ে ঘুরবো। কিন্তু নববধু নিয়ে নাকি ঘুরতে মানা। তাছাড়া এখন সময় সুযোগও তেমন হয়ে ওঠে না। তাতে কি! বৌকে সব সময় বলি, ইনশাআল্লাহ একদিন আমরা সাজেক যাবো! সেন্টমার্টিন যাবো। সেদিন পূর্ণিমারাত থাকবে। তুমি কিন্তু কোনো সাজুগুজু করতে পারবা না। নরমাল থাকবা। চাদের আলোয় তোমাকে দেখব। জানো, মেকাপ ছাড়াই তোমাকে কতটা সুন্দর লাগে? বৌ কথা বলে না। বলতেও পারে না। কিন্তু তখন তার চোখ কথা বলে.....

প্রিয় রসকষহীন দম্পতিগুলো! প্রিয় মানুষটির সাথে কি একটু খুনসুটি করা যায় না....

12/12/2019

তোমার শহরে গিয়েছিলাম প্রেমিক
হবার আশায়
কিন্তু জানতাম না তোমার শহরে
দাদার অভাব

08/12/2019

পাত্রী দেখতে গিয়ে দেখি পাত্রীর ছোটবোন আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। ব্রেকআপের আগে সে বলেছিলো আমি তার থেকে বেটার মেয়ে ডিজার্ভ করি।

এতক্ষন লজ্জা পাচ্ছিলাম। এক্সকে দেখার পর পাত্রীকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলাম।

নাক, চোখ, ঠোঁট, হাসি সবই তো এক্সের কাছাকাছি। তাও ধরে নিলাম, বড় মেয়ে যেহেতু ছোটটার থেকে বেটারই হবে।

পাত্রী আমার পছন্দ হয়েছে। আমি পাত্রীর মা মানে আমার হবু শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে বল্লাম।

- আম্মাজান, আমি তো পাত্রীর সাথে একটু আলাদা কথা বলতে চাই।

এক্সগার্লফ্রেন্ড আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিলো। পাত্রীর মা ব্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকালেন। তারপর কইলেন,
- পরাণডা জুড়ায়া গেল বাবা। মেয়েরে বিয়ের আগেই তুমি আমারে আম্মাজান ডাকলা ! লক্ষী পোলা।

- আম্মাজান! আমরা তো বংশীয় ঘরের ছেলে। এমনই আমরা।

- আহা। জীবন ধন্য বাবা। যাও। কথা বলো তোমরা।

আমি পাত্রীর সামনে বসে আছি। পাত্রী চোখ তুলে আমাকে বার দুয়েক দেখলো। তারপর মিন মিন করে বললো...

- এভাবে তাকাইবেন না। আমার লজ্জা লাগছে।
- আপনার ভয়েস অনেক মিস্টি।
- উমম..হুমমম।
- আমাকে পছন্দ হয়েছে ?
- হুমমম। আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি আমি !

খাইছে ! এক্সগার্লফ্রেন্ডের সাথে না দেখলেই হয়। আবেগী স্বরে জবাব দিলাম....

- আমিও তো দেখেছি।
- কোথায় বলুন তো ?
- স্বপ্নে।
- যান...
- থ্যাংক্স, জান ডাকার জন্য। এমনটা সাধারণত কেউ কখনো ডাকে না।
- এ্যাই! আমি কিন্তু ঐ জান...
- থাক থাক, আর লজ্জা পেতে হবে না। চলেন যাই।

মাথা ঘুরিয়ে দেখি, এক্সগার্লফ্রেন্ড দৌড় দিলো পিছন থেকে। কি খচ্চর রে বাবা। এভাবে কেউ হবু স্বামী স্ত্রীর কথা শুনে...! 😑

- তা কি সিদ্ধান্ত নিলা বাবা ?
- আম্মাজান যেহেতু ডেকেছি। চিরকালই ডাকতে চাই।
- আলহামদুলিল্লাহ।

এরপর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হলো। বিয়েও হলো। বাসরঘরে আমি আর বউ বসে আছি। এ ও আসছে। আদি রসাত্মক জোক বলে আমাদের হাসাচ্ছে।

এরপরই এলো এক্সগার্লফ্রেন্ড, বউয়ের ছোট বোন। তার দিকে তাকিয়ে আমি একটা মুচকি হাসি দিলাম। বউকে বল্লাম, এ্যাই, তুমি কি কোন পোড়া গন্ধ টের পাচ্ছো ? বউ বললো, আমার শর্দি হইছে। কিছু টের পাচ্ছি না।

ব্যাপার না বউ। আমি টের পাচ্ছি। আমি এক্সকে বল্লাম, কেমন বোধ করছো ?
- হুহ
- মুখ ভেংচি দিচ্ছো কেন ? রাতে খাও নাই ?
- তা আপনার না ভাবলেও চলবে।

তাকে, জ্বালানোর জন্য বল্লাম। এক কাজ করো। আমাদের একটা ছবি তুলো তো। ফেসবুকে আপ দিবো।

ছবি তোলার পর বল্লাম।
- আমার মাথা ব্যথা করছে। ছবিটা একটু ফেসবুকে আপলোড দাও তো। ক্যাপশনে লিখবা -

“আমার শিশু বউয়ের সাথে ফার্স্ট সেল্পী”

- ও শিশু ? পাগল হইছেন ?

বউ একটা ধমক দিলো তারে। যেটা বলছে সেটা কর বেয়াদব। আজকেই তো বিয়ে হইছে। আমি তো শিশু বউই।

- ওরে ন্যাকারে।
- চুপ থাক।

আহা। জীবন ধন্য একেবারে। আমি আসলেই এক্সের থেকে বেটার পাইছি। 🥴

07/12/2019

দয়াকরে বিবাহিত মেয়েরা ফেসবুক
চালাবেন না
আমাদের মেয়ে পটাতে সমস্যা হয়।

27/11/2019

সরল মনে এক আইডিতে ম্যাসেজ দিয়েছিলাম বউ হবে, এখন দেখি আইডি বর হয়ে বসে আছে।🏃🙏

26/11/2019

ফেইক আইডি থেকে বয়ফ্রেন্ডকে ম্যাসেজ করলাম।হাই হ্যান্ডসাম,সাথে একটা লাভ ইমুজি।

সে রিপ্লাই দিলো হে সুইটি,ইউ আর সো কিউট।সাথে কত গুলো লাভ স্টিকার।

তারপর বললাম,আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে?

সে বলল,গার্লফ্রেন্ড তো নেই কিন্তু একটা শাকচুন্নি মার্কা বেস্টফ্রেন্ড আছে।

রাগে আমার চোখ মুখ জ্বলে যাচ্ছে।আমাকে বেস্টফ্রেন্ড বানিয়ে দিলো!! আমি নাকি শাঁকচুন্নি!

রিপ্লাই না দিয়ে কিছুক্ষন দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে রইলাম।

হঠাৎ ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি লাভ রিয়েক্টে নটিফিকেশন উরে যাওয়ার অবস্থা।ফান পোস্টেও লাভ রিয়েক্ট দিয়ে ভরে ফেলছে।

এবার ম্যাসেজ দিলাম,আপনাকে আমার খুব পছন্দ সাথে একটা লাজুক ইমুজি।

সে বলল চলো তাহলে মিট করি।তোমাকে সামনে থেকে দেখতে ভীষন ইচ্ছে করছে।

আমি রিপ্লাই না দিয়ে রাগান্বিত হয়ে নেট অফ করে বয়ফ্রেন্ডকে কল দিয়ে ইচ্ছে মতো গালাগালি করে মোবাইল সুইচড্ অফ করে দিলাম।

রাতে ফোন অন করে ফেইক আইডিতে গিয়ে দেখি ম্যাসেজে ইনবক্স ফুল হয়ে গেছে।

হে সুইটি কোথায় গেলে!
কথা বলছো না কেনো!!
কালকে আমরা মিট করবো না!রিপ্লাই দিচ্ছো না কেনো?

এর মধ্যেই আবার আমার রিয়েল আইডিতে সে ম্যাসেজ দিলো।

চলো কাল দেখা করি কফি শপে।

ম্যাসেজটা দেখে অবাক হয়ে বললাম,কখন!

একটু সকাল সকাল এসো আমাকে আবার এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াতে যেতে হবে।

ঠিক আছে।

এরপর আবার ফেইক আইডিতে ম্যাসেজ দিলো আসলে সকালে আমার একটা ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে হবে তোমার সাথে বিকেলে দেখা করব কিউটি।

দাঁতে দাঁত চেপে লিখলাম,আচ্ছা।

নেট অফ করে বালিশে মুখ গুজে কান্না করছি।কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজে গেছে।

হঠাৎ বয়ফ্রেন্ডের কল বেজে উঠলো।

কল ধরে হিচকি দিতে দিতে হ্যালো বলা মাত্রই সে বলল,পরীক্ষা করা হয়েছে!আর কাঁদতে হবে না।একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো।

আমি চোখ কপালে তুলে বললাম,কি?

এরকম আরো কয়টা ফেইক আইডি খুলে রেখেছো!!

#ফেইক_আইডি

22/11/2019

"তোমার ২ ‌ঠোঁট আর আমার দুই ঠোঁট যখন কাছাকাছি থাকে ,তখন ২+২=৪। এটা হল যোগ।
যখন তোমার ২ ঠোঁট একটু দূরে চলে যায়, তখন ৪-২=২। এটা হল বিয়োগ।
যখন‌ তোমার ২ ঠোঁট , আর আমার ২ ঠোঁট দুইজনের কাছে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে, তখন ২*২= ৪। এটা হল গুণ।
আর তোমার ২ ঠোঁট যখন আমার ২ ঠোঁটের সাথে মিশে যায়, তখন ২/২=১। এটা হল ভাগ।"

জনৈক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে Math বুঝাচ্ছিল।

21/11/2019

নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মেয়ে দেখলেই
পুরুষ মানুষের মন উদাস হয়ে যায়। 😑

~ হুমায়ূন আহমেদ

12/11/2019

বিয়ে বাড়ির খাবারের নিন্দা করার আগে একবার ভাবুন, কোনো বাবা হয়তো তার সারাজীবনের পারিশ্রমিক দিয়ে তার মেয়ের বিয়ে দেন।

11/11/2019

আবেগ😇

ক্লাস সেভেনের এক মেয়ের কাছে জানতে চাইলাম তোমার বাড়ি কোথায়? 🏡

সে বলল, "আমার বয়ফ্রেন্ডের বুকে"!👥🤔

17/10/2019

#মাদ্রাসার একটা মেয়ের সাথে ধরে বেধে আমার বিয়ে দিয়ে দিলো। যেখানে আমি ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হ্যান্ডসাম ডেসিং স্টুডেন্ট । এটা কি মেনে নেওয়া যায়। আমি হলাম ডিপার্টমেন্ট এর সেলফি বয়। সব সময় সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করি। তিন বেলা নতুন ড্রেসে নতুন জায়গায় ফটো তুলে ফেসবুকে না দিলে আমার পেটের ভাত হজম হয়না। কত আশা ছিলো আমার বউ হবে খুব মর্ডান একটা মেয়ে।যে সব সময় মর্ডান ড্রেস পড়ে সেজেগুজে থাকবে। যাকে নিয়ে ফটো তুলবো আর ফেসবুকে পাবলিক পোস্টে দেবো। সবাই দেখবে তখন এই সামিরের বউ কতটা বিউটিফুল।সবাই সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করবে আমার বউয়ের। ওর রুপের প্রশংসা করবে।কিন্তু এখন তো আমার সব আশায় জল ঢেলে দিলো এই মাদ্রাসার মেয়েটা। পুরো বডি বোরখা দিয়ে ঢাকা থাকবে পা থেকে মাথা পর্যন্ত। কিছুই দেখা যাবেনা। ভাবতেই আমার রাগে মাথায় আগুন জ্বলছে।
আমাকে এক প্রকার জোর করে বাবা মেয়ে দেখাতে নিয়ে গেলো ময়মনসিংহের সুতিয়া খালিতে।
ভাবলাম যাইহোক, মেয়ে কে অন্তত বিয়ের আগে দেখতে পারব। সুন্দরী হলে ভাবা যাবে বিয়ের বিষয়টা। বিয়ে হলে আমার কথায় চলতে হবে বউকে কারণ আমি হলাম তার স্বামী। আমি তাকে আমার মতো মর্ডান বানিয়ে দেবো।
আমার কথায় সে চলবে। স্বামী আদেশ শুনবে এটাই তো মেয়েটার সাত কপালের ভাগ্য।
পছন্দ না হলে আমি অযুহাত দেখাতে পারব বিয়ে না করার।
আমি মেয়ে দেখে সেন্স হারাবো
এমন অবস্থা হয়েছে। মেয়ের পা থেকে মাথা অব্দি পর্দা করা। কালো বোরখা পড়েছে ঢিলেঢালা। বডি স্লিম নাকি ফ্যাট সেটাও বোঝা যাচ্ছেনা।
চোখ পর্যন্ত কালো নেট দিয়ে ঢাকা নেকাবের সাথে।
আমার প্রচন্ড রাগ উঠে গেলো। একটু ফেসও দেখতে পারলাম না।
আমি উঠে যেতে চাইলে বাবা রাগী লুকে তাকালো আমার দিকে।
আমি ধপ করে বসে পড়লাম।
মেয়ে ফিস ফিস করে কিজানি বলল। মনে হয় সালাম দিলো।
পুরো বাড়িটাতে কোন মহিলা দেখালাম না। সারা বাড়ি স্তব্ধ।
মেয়ের বাবা হাতে করে সব নাশতা আনলেন।
আমি বললাম মেয়েকে বললাম...নাম কি?
মেয়ে মাথা নিচু করে আছে।
মেয়ের বাবা কাশতে শুরু করলেন। বাবা রাগী লুকে তাকালেন।
শুধু নাম জিজ্ঞেস করাতে এমন রিয়াকশন।
আমি সমুচা খেতে খেতে এদিক ওদিক তাকালাম শালিদের দেখার জন্য।
কিন্তু কোথাও কেউ নেই।সোনায় বাঁধানো কপাল আমার একটা শালিও নেই আর থাকলেও দেখার সৌভাগ্য হতো না আমার।
আহত চোখে মেয়ের চলে যাওয়া দেখে হলো।
তারপর সাহস জমা করে বলল...আমি মেয়ের সাথে আলাদা কথা বলতে চাই। অমনি মেয়ের বাবার হার্ট অ্যাটাক এর মতো অবস্থা হলো। আর বাসার ভেতর থেকে সম্ভবত মেয়ের মায়ের হাত থেকে কিছু কাচের জিনিসপত্র ভাঙার শব্দ এলো। সিচুয়েশন আমার প্রতিকূলে। চারদিকের সিচুয়েশন স্তব্ধ। বাবা আমার দিকে এমন লুকে তাকিয়ে আছেন যে মনে হচ্ছে আমাকে গিলে খাবেন রেজালা ভেবে কাবাবের মতো।
তারপর হঠাৎ কি মনে করে যেনো বাবা উঠে পড়লেন। আর আমাকে নিয়ে চলে এলেন।
বুঝতে পাচ্ছিনা বিয়ে আধ হবে কি হবেনা।
পরেরদিন বাবার ডাকে দেখা করতে গেলাম বাবা মায়ের রুমে।
বাবার মুখ গম্ভীর। বাবা বলল... দেখো সামির বিয়ে হলো আল্লাহ তায়ালার হাতে। এখন বিয়ে না হলেও একসময় তো বিয়ে হবেই। আমি তো সেই লেভেলের খুশি।
বাবার কথা শুনে মনে হচ্ছে বিয়ে ভেঙেছে। ইচ্ছে হচ্ছে এখনি ইমরান হাশমির একটা গানে ডান্স দিই।
কষ্ট পেয়েছি এমন লুক নিয়ে বললাম...বাবা দুঃখ পেয়োনা। এর থেকেও ভালো বৌমা এনে দেবো তোমাদের জন্য। বিয়ে তো তোমার আমার হাতে নেই।
বাবা আমার মাথায় হাত রেখে এরপর যা বলল তাতে আমি স্তব্ধ।
বিয়ে হচ্ছে এই সপ্তাহে। আর সেটা ঘরোয়া ভাবে হবে কারণ মেয়ের ইচ্ছে।
মাই গড আমার পক্ষে এই বিয়ে করা অসম্ভব। মাদ্রাসার পর্দা করা মেয়েকে বিয়ে করার চেয়ে বস্তির মেয়ে বিয়ে করাও ভালো। আমি বাড়ি থেকে পালাতেও পারলাম না। বাবা সাফ সাফ বলে দিলো আমি বিয়ে না করলে সব প্রোপার্টি চলে যাবে এতিমখানার মাদ্রাসা। যথারীতি বিয়ে হলো সাদা মাটা। কোন গান বাজনা, আতসবাজি কিছুই হয়নি। এরকম নিরামিষ বিয়েতে আর যাইহোক কোন ফ্রেন্ডদের ইনভাইট করা যায়না। মেয়ের ইচ্ছে অনুযায়ী বিয়ের সব উৎসব এর টাকা মাদ্রাসায় দিয়ে দেওয়া হলো এতিমদের। বিয়েতে বিশিষ্ট অতিথিরা হলো মাদ্রাসার ছেলেরা। যেখানেই যায় শুধু মাদ্রাসা আর মাদ্রাসা। শালী তো একটাও দেখলাম না মাঝখান থেকে চার বছরের শ্যালক পাজামা পাঞ্জাবি পড়ে এসে আমাকে বলল...দুলাভাই আমাকে বাতাসা জিলিপি দিন।
দিলাম এক ধমক। একই অস্বস্তি পরিবেশ তার উপর এই ছেলে বলে কিনা দুলাভাই জিলিপি বাতাসা। আমি কি মসজিদর ইমাম যে জিলিপি বাতাসা নিয়ে বসে আছি বিলি করার জন্য। টুকটুকে সুন্দর আমার শ্যালকটা ধমক খেয়ে মুখ ব্যাকা করে কাদঁতে বসে পড়লো ফ্লোরে। বসলে বসুক তাতে আমার কি।
আমি রুমে গেলাম মাঝরাতে। বউয়ের মুখটাও দেখিনি এখনো। বিয়ের সময়ও পর্দা করে ছিলো। এতোকিছু যাকে নিয়ে হচ্ছে তার নামটাও জানিনা। আমি গিয়ে বিছানায় বসলাম। দেখলাম মেয়েটার গায়ে শাড়ি। কোন বোরখা দিয়ে পর্দা করা নয়।
চিৎকার করে বলললাম... বাসর ঘরেও পর্দা করে রাখতে।এনে দেবো বোরখা। মেয়েটা ধপ করে উঠে বসলো। মেয়ের মুখে ঘোমটা দেওয়া। এটা দেখে আরও রাগ উঠলো। রাগ দেখিয়ে বললাম নাম কি? এখন তো আর আমার সাথে কথা বললে আর মুখ দেখালে আল্লাহ তোমার মুখে গায়ে আগুনের ফোসকা দেবে না । মেয়ে ঘোমটা খুলতেই
মেয়ের মুখ দেখে আমি জ্ঞান হারালাম।
_আমি তরু...আপনার কি হয়েছে। আসুন আমার কোলে মাথা রাখুন আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। সারাদিন বিয়ের ধকল গেলো আপনার উপর। নিন আগে দুধ টুকু খেয়ে নিন। তারপর আমার কোলে ঘুমুবেন।
আমার চোখ বড় বড় হয়ে ছিলো ফেস দেখে তারপর কথা শুনে আমার চোখ বের হতে শুরু করেছে এমন অবস্থা। বউয়ের কোলে মাথা রেখে বউয়ের হাতে দুধ খেলাম। আহা! দুধ সেকি শুধু দুধ। মনে হচ্ছে অমৃত খাচ্ছি। কি সুন্দর মুখখানা। নূরের আলো জ্বল জ্বল করছে মুখে চোখে। যেনো বেহেশতের হুর পাঠিয়েছে আমার ঘরে আল্লাহ তায়ালা। কি সুরেলা কন্ঠ। কন্ঠ শুনেই আমি তো সারাজীবন পার করে দিতে পারব। এমন জান্নাতি হুর জীবনেও দেখিনি আমার জীবনে।
আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কাঁদো কাঁদো লুক নিয়ে বললাম তুমি কি বেহেশতের হুর। পথ ভুলে ভুল করে চলে এসোছো। আবার কি আসমানে চলে যাবে আল্লাহর বেহেশতের বাগানে।
আমার হুর বউ তরু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে সুরেলা কন্ঠে হাসতে শুরু করলো।এবার আমি পুরো পুরি জ্ঞান হারালাম।
রাতে ঘুম ভালো ঘুম হলো। মায়ের সাথে যেমন ছোট বেলায় ঘুমুতে গেলে শান্তির ঘুম হয় ঠিক তেমন ঘুম হলো। মনে হলো সারারাত আমার সদ্য বিয়ে করা বউ তরু তার সব সুখ শান্তি আমাকে উজার করে দিচ্ছে। তরুর গায়ের মিষ্টি গন্ধে আর মাথায় হাত বুলানোর অনুভব আমি টের পাচ্ছি ঘুমে।
আমি এখন পাজামা পাঞ্জাবি পড়ি। মাথায় টুপি দিই। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। মর্ডান থেকে আমি আল্লাহর বোরিং বান্দা হয়ে খুশি। আমি আমার শ্যালক কে এখন কোলে করে নিয়ে স্টোরে যায় গরম গরম জিলিপি বাতাসা খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন। টুক টুক করে শ্যালক জিলিপি খায় আর বলে... দুলাভাই দুলাভাই সালামালিকুম।
আমার মাদ্রাসার পর্দা করা বউ তরু আমার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। আমার বাবা আর মা আমার এই অবস্থা দেখে খুশিতে কাঁদে। আমার মনে এখন অফুরন্ত শান্তি। সবকিছুতেই শান্তি লাগে। আল্লাহর পথে চললে কখনো দুঃখ অনুভব হয়না এটা বুঝতে পারলাম লেট হলেও।
আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে আমার বোরিং ব্যাগটেডেট পর্দাওয়ালী বউ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বউ। আর আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তরুর কোলে মাথা রাখব।
তরুর মাহাত্ম্য দিন দিন আমি বুঝতে পাচ্ছি যত মূহুর্ত যাচ্ছে তত মূহুর্ত। তরুকে ছাড়া আমার কিছুই ভালো লাগেনা। তরুর জন্যই আমি প্রকৃত মুসলিম হয়েছি। আমার মালিক রব মহান আল্লাহকে চিনেছি। আমি সবাইকেই এখন বোঝায় একজন পর্দা করে এমন মেয়েকেই বিয়ে করতে কারণ এরাই ইহকাল আর পরকালের জান্নাতি নূর।
(সমাপ্ত,)

ভালবাসার বন্ধন👌❤
15/10/2019

ভালবাসার বন্ধন👌❤

11/10/2019

বিয়ে বাড়িতে এসেছি ৷ আরাম করে চেয়ারে বসে আছি ৷ হঠাৎ কিউট একটা বাচ্চা এসে উচ্চস্বরে বলল,
“আব্বু, আমাকে টাকা দাও!"
বাচ্চাটার কথা শুনে আঁতকে উঠলাম ৷ চোখ কপালে তুলে বাচ্চা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে রইলাম ৷ পেটের নাড়িভুঁড়ি কেমন কেমন করে যেন নড়ছিল?৷ হতবুদ্ধি আমি এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলাম ৷ আর মনে মনে বললাম, “বাচ্চাটা কার হতে পারে? সত্যি সত্যি আমাকেই কি আব্বু বলে ডাকছে সে? বিয়েই করতে পারলাম না, এর আগে বাবা হলাম কেমনে?"
টাকা দিচ্ছিনা দেখে ছেলেটা আমার গায়ে মৃদ্যুভাবে আঘাত করছিল ৷ আর উ উ উ করে কান্না করছিল ৷ ছেলেটার কান্না দেখে একটা লোক আমার নিকট এসে বলল,
“ভাই, টাকা দিয়ে দেন, বিয়ে বাড়িতে এমনিতে গ্যাঞ্জাম তার উপর বাচ্চা ছেলের কান্না, সহ্য করা যায়না ভাই ৷ টাকাটা দিয়ে দেন!"
লোকটাকে কি জবাব দিব বুঝতেছিলাম না! এরমধ্যে একটা রুপবতী মেয়ে এলো ৷ তাকে কেন যেন চেনা চেনা লাগছিল? বাকা চোখে তাকিয়ে উত্তেজিত গলায় আমাকে বলল,
“এই তুমি এখনো বাবুকে টাকাটা দাওইনি! কেমন মানুষ তুমি? শুধু শুধু আমার ছেলেটাকে কাঁদাচ্ছ!
মাথার উপর বাজ পড়লো বলে মনে হলো ৷ নিজেকে মানসিক রোগী মনে হলো ৷ ভাবলাম কবে পাবনা থেকে ছাড়া পেয়েছি? কবেই বা পাগল হয়েছিলাম? নাকি মেয়েটা আর ছেলেটা সহ পাগল?
মেয়েটাকে কিছু না বলে চেয়ার ছেড়ে বন্ধুর রুমে গেলাম ৷ কিন্তু একটু পরই দেখি সেই মেয়েটা এসে হাজির ৷ এসেই ক্ষ্যাপা বাঘিনীর মত রুপ নিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগল,
“কিপ্টামী কবে দূর হবে তোমার? সব জায়গায় কিপ্টামা কিন্তু চলেনা বললাম ৷ তাড়াতাড়ি টাকা বের করতে বলছি বের করো!"
আমার হয়ে বন্ধু বলে উঠল,
“আপু কি শুরু করছিস এগুলা?"
বন্ধুকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিল মেয়েটি ৷ এরপর বলল,
“তুই চুপ থাক! আমার স্বামীকে যা ইচ্ছা তাই বলব, তোর কি তাতে?
আমি বন্ধুর দিকে ভূত দেখার মত করে তাকিয়ে রইলাম, বন্ধুও আমার দিকে!
বাধ্য হয়ে পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে দিলাম ৷ টাকা দেখে মেয়েটি যেভাবে চোখ বানিয়ে তাকিয়ে রইলো, দেখে মনে হলো এখনই আমাকে কাঁচা গিলে খাবে ৷ মানিব্যাগ থাবড়ি দিয়ে ১হাজার টাকার কচকচা নোট নিয়ে নিলো! এরপর ভেংচি কেটে চলে গেল!
বিকেলে খেতে দেওয়া হলো বন্ধুর ঘরে ৷ বন্ধুকে নিয়ে খাচ্ছিলাম ৷ তখন সেই মেয়েটা রুমে এসে আমাকে নরম স্বরে বলল,
“এই তোমার না গরুর গোশত খাওয়া মানা? দাওতো গোশতগুলো দাও, তুমি মাছ দিয়ে খাও!"
এটা বলেই সে প্লেট থেকে সবগুলো গোশত তার প্লেটে নিয়ে নিলো ৷ আর আমার প্লেটে মাছের দুটা টুকরো দিলো!
মেয়েটার আচরণ দেখে আমার বন্ধু হা হয়ে গেল ৷ আর আমি হতভম্ব ও নির্বাক হয়ে প্লেটের মাছের দিকে তাকিয়ে রইলাম ৷ ভাবলাম বিয়ে খেতে তো আসিনি, ফেক বউয়ের জ্বালাতন সহ্য করতে আসছি ৷ এটা যে কোন গন্ডারের বউ? আল্লাহই ভাল জানেন! সেই ব্যক্তি এই পিসকে সহ্য করে কেমনে?
সন্ধ্যা পর মেয়েটা আমার হাত ধরে বরপক্ষের মেয়েদের আত্মীয়দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল ৷ বলল, “এটা আমার স্বামী, ৬ মাস হলো বিয়ে করেছি ৷ সে আমেরিকাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে ব্যস্ত থাকে ৷ আমার খালাত বোনের বিয়ে খেতে আসছে ছুটি নিয়ে!"
মেয়েটার চাপাবাজি শুনে মাথা ভনভন করছিল ৷ চরকির মত করে ঘুরছিল ৷ মনে হচ্ছিল আকাশে উড়ছি পাখা ছাড়া ৷ কখন যে আকাশ থেকে ঠাস করে পড়বো কে জানে?
পড়লাম, যখন মেয়েটি বলল,
“জানেন, তাকে ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম ৷ কিন্তু বাবা, মা শুরুতে মেনে নিতে চাইনি ৷ যখন তারা জানলো সে ইঞ্জিনিয়ার তখন আমাদের দুজনকে মেনে নিলো ৷ আমরা হানিমুন করেছিলাম সুইজারল্যান্ডে গিয়ে!"
এটা শোনা মাত্র বিষম খেলাম ৷ মেয়েটি আমার হাত ধরে নিয়ে গেল বন্ধুর রুমে ৷ পানি খেয়ে শান্ত হবার চেষ্টা করলাম ৷ এরপর গলা ঝেড়ে মেয়েটাকে ক্ষিপ্ত স্বরে বললাম,
“এই মেয়ে তোমাকে বিয়ে করেছি কবে? সেই যে আবল তাবল বকছো থামার খবর নেই! কি শুরু করছো হুম?
তখনই একটা লোক এসে মেয়েটাকে বলল,
“মায়া, তোর কাছে ৫হাজার টাকা হবে? মলির জামাইকে একটা ফোন গিফটি করব কিন্তু আমার কাছে তো টাকা নেই!"
মেয়েটা হাসি মুখে বলল
“বাবা, চিন্তা করোনা ৷ তোমার মেয়ের জামাই থাকতে কিসের টাকার চিন্তা?"
লোকটা ভরকে গেল মেয়েটার কথা শুনে ৷ কপালে ভাঁজ ফেলে লোকটা তাকিয়ে রইলো তার মেয়ের দিকে!
এবার মেয়েটা আমাকে বলল,
“ওগো, দাও! ৫ হাজার টাকা দাও তো?"
আমি ক্ষ্যাপা স্বরে জবাব দিলাম,
“আমি কেন এতগুলো টাকা দিব আপনাকে?
এবার সে আদুরে গলায় বলল,
“দাও বৱছি!"
আমি বললাম,
“কক্ষনো না!"
সে চেঁচিয়ে উঠে বলল,
“বলছি দাও"'
কেঁপে উঠলাম তার হুংকারে!
মেয়েটিই আমার পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে গুনে গুনে ৫ হাজার টাকা নিয়ে তার বাবার হাতে ধরিয়ে দিলো!
আমি কাঁদবো নাকি হাসবো বুঝতেছিলাম না ৷ বুঝলাম মেয়েটা আমার থেকে টাকা খসাতেই এই নাটক করছে!
মেয়েটার বাবা নরম গলায় বিস্ময়বোধ নিয়ে বলল,
“কিন্তু মায়া, সে কবে তোর স্বামী হলো? তুই কবে তাকে বিয়ে করলি?"
মায়া বলল,
“আর বলোনা বাবা, সেদিন ফেসবুকে লগিং করে দেখি অনিকের আইডিতে ট্যাগ করে এই লোকটি আমার একটা ফটো আপলোড করে পোস্ট করছে, ওতে লিখেছে “এটা আমার বউ, কেমন লাগছে বন্ধুরা?" তার স্ট্যাটাস দেখে শপথ করেছিলাম লোকটাকে উচিত শিক্ষা দিব ৷ অপরিচিত কাউকে বউ বলার স্বাদ মিটাব".
মেয়েটার কথা শুনে মনে পড়লো অনিকের দুষ্টুমির কথা ৷ ও তার খালাত বোনের ফটো দিয়ে বলেছিল ওর সাথে প্রেম করতে চাইলে নম্বর দিব ৷ ফটোটা দেখে ওর বোনকে পছন্দ হয়েছিল ৷ এজন্য দুষ্টুমি করে পোস্টটা করেছিলাম ৷ কিন্তু এতকিছু হবে কখনো ভাবিনি!
মেয়েটাকে বললাম,
“দুঃখিত, আমি বুঝতে পারিনি, সেদিনের কাজটার জন্য লজ্জিত আমি!"
মায়া ঝাঁড়ি মেরে বলল,
“রাখ তোর সরি, সাতদিনের মধ্যে তোর বাবা, মা কে আমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলবি! নাহলে তোর খবর করে দিব! তোকে আমারও ভাললেগে গেছে ৷ একবার যেহেতু বউ বলেছিস, সেহেতু সেটা বাস্তবে পরিণত করতেই হবে তোকে!"
মায়াকে ছেলের বউ করতে বাবা, মা প্রস্তাব পাঠালো মায়ার বাবা, মায়ের নিকট ৷ তারা বিয়েতে রাজিও হলো ৷ বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য হলো!
আজ বিয়ে করতে যাচ্ছি! যেই মায়াদের বাসার নিকট পৌঁছলাম তখনই মায়ার ফোন এলো ৷ ফোনটা রিসিভ করলে মায়া বলল, “ফেসবুকে ঢুকে আইডিটা চেক করো!"
আইডিতে ঢোকা মাত্র যা দেখলাম তার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না ৷ মায়া আমাকে ট্যাগ দিয়ে তার সাথে একটা লোকের পিকচার অ্যাড করে পোস্ট করে লিখছে, “এটা আমার বর, কেমন লাগছে বন্ধুরা?"
মেজাজটা গরম তো হলোই, কান্না করতে মন চাচ্ছিল ৷ গাড়ি থেকে নেমে সোজা শ্বশুর আব্বার নিকট গেলাম ৷ পিকচারটা দেখালাম, ওনার মাথা নষ্ট তো হলোই মুখটাও কালো হয়ে গেল ৷ ওনাকে নিয়ে মায়ার রুমে গেলাম ৷ দেখি সে বউ সেজে বসে থেকে আরামে মোবাইল টিপছে! রেগে গিয়ে মায়াকে পিকচাকটা দেখিয়ে বললাম,
___“এসব কি?"
মায়ার সরল সহজ জবাব,
___“কি আবার পিকচার?"
___“লোকটা কে?"
____“আমার হবু বর"
____তাহলে আমি কে?
____হবু বর!
ক্ষ্যাপা স্বরে বললাম,
___মাথা ঠিক আছে তোমার? এই লোকটাও হবু বর, আমিও হবু বর? বুঝলাম না, বয়স্ক লোকটা তোমার হবু বর হয় কেমনে?
মায়া মিষ্টি হেসে বলল,
___বোকা, এই যে ফোনের দিকে তাকাও!"
মায়া তার ফোন দিয়ে আমার একটা ফটো ফেস অ্যাপ সফটওয়্যারে অ্যাড করে মুহূর্তে বয়স্ক লোকের পিকচার বানিয়ে ফেলল ৷ বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা ৷ তাহলে ঐ ফটোর লোকটা আমিই ছিলাম ৷ ফেস অ্যাপের কারসাজী ছিল!
মায়ার কাছ থেকে লাজুক চেহারা নিয়ে রুম থেকে বের হচ্ছিলাম ৷ রুম থেকে বের হতেই ফোন এলো ৷ আমার এক বন্ধু ফোন দিয়েছে, এবং সে বলছে,
___কি রে তোর বউ নাকি বুড়া ব্যাডার লগে পালিয়ে গেছে?"
লও ঠ্যালা অলরেডি ভাইরাল হয়ে গেছে! কেমনডা লাগে..........😍😜😝

05/10/2019

❣- রিলেশনশীপকে কখনো সিরিয়াসলি নিবেন না,হালকা করে ছেড়ে দিন,নিজের মতো চলুক।🌸

🙃-কোনো কিছুকে বেশি গুরুত্ব দিলেই খুব তাড়াতাড়ি সেটা শেষ হয়ে যায়।😌

💔- বেশি কেয়ারিং হতে যাবেন,নিজের গুরুত্ব বোঝাতে যাবেন তো নিজেই কষ্ট পাবেন,আর কিছু না।🙂

🍂-যে গাছটাকে বেশি যত্ন করবেন সেই গাছটাই তাড়াতাড়ি মারা যাবে অথচ দেখুন রাস্তার পাশের গাছগুলো যত্নহীন অবস্থায় অবহেলায় কত সুন্দর বেড়ে উঠছে...!

05/10/2019

বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। প্রায় দশ মিনিট ধরে কলিংবেল চাপছি। কিন্তু কেউ দরজা খুলছে না। সচরাচর এমনটা হয় না। আজ কি হয়েছে বুঝতে পারছি না।

সপ্তাহ দুয়েক পর আমার বিয়ে। গত পরশু হতে হঠাৎ জ্বর চেপে বসেছে আমার। গতকাল ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। বিভিন্ন টেস্ট দিয়েছিলেন। আজ সেই সকল এক্সরে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। সবকিছু দেখিয়ে ফিরেছি। ফিরেই দেখি এই অবস্থা।

আরো কয়েকবার কলিংবেল চাপলাম। না কাজ হচ্ছে না। এবার দরজায় ধাক্কা দেওয়া শুরু করলাম। কয়েকবার ধাক্কা দেওয়ার পর মা দরজা খুললেন। কিছু না বলে তিনি ভিতরে চলে গেলেন।

ভেতরে ঢুকে দেখি বাবা গম্ভীর হয়ে সোফায় বসে জি বাংলার সিরিয়ালের প্রতি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। আমি ঠিক দেখছি তো! উনি তো এসব পছন্দই করেন না। তাহলে আজ কি হয়েছে?

অন্যসময় অসুস্থ হলে মা কখনও এভাবে দরজা খুলে চলে যেতেন না। প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করতে করতে পাগল করে ফেলতেন আমাকে। আজ হঠাৎ কি এমন হলো!

বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। অল্প সময়ে কি এমন হয়ে গেল? পরিবারের বিবাহযোগ্য একটি ছেলে অসুস্থ আর উনাদের কোনো মাথা ব্যাথাই নেই।

বাবার কাছে গিয়ে বললাম, "বাবা এই নাও এক্সরে রিপোর্ট গুলো। ডাক্তার বলেছেন ভাইরাস জ্বর। সুস্থ হতে দিন পাঁচেক সময় লাগবে। আর উনি......"

হাত দেখিয়ে আমাকে চুপ করিয়ে দিয়ে বাবা বললেন, "যাও নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।"

এ কি! ফ্রেশ হয়ে আসতে বলছেন কেন?

ছোটবেলায় কোনো অপরাধ করলে আমি বাইরে খেলতে চলে যেতাম। এরপর যখন বাসায় ফিরতাম তখন ঠিক এইভাবেই গম্ভীর হয়ে বলতেন, "যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।" আমিও বোকার মতো ফ্রেশ হয়ে আসতাম। এরপর সারা বাড়ি দৌড় করিয়ে করিয়ে আমাকে মারতেন উনি।

বিগত দশ-বারো বৎসরে এরকম মারামারির সম্মুখীন হতে হয় নি আমাকে।
আজ কি এমন করেছি আমি।

প্রেম করে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করছি। তাছাড়া আমার প্রেমিকা মানে আমার হবু বৌ নীলা ভীষণ ভালো মেয়ে। রেগুলার পাঁচ-দশ টাকার ঝালমুড়ি আর দুই-এক গ্লাস পানি খাইয়ে এই মেয়েকে দুই-তিন মাস ভাত না খাইয়ে রাখতে পারবেন আপনি।

অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানসিক সকল দিকেই আমার জন্য পারফেক্ট ও। আমার মা বাবাও তাকে বেশ সাদরে মেনে নিয়েছে। কিন্তু আজকের সমস্যা টা কি তা বুঝে উঠতে পারছি না।

রুমে এসে চেইঞ্জ করে টানা আধা ঘণ্টা স্নান করলাম। এরপর লুঙ্গির দুই প্রান্তে দুই গিঁট দিয়ে পা দুটো উপরে তুলে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে শুয়ে রইলাম।

এটা আমার টেনশন কমানোর ফর্মুলা। পায়ের রক্ত মাথায় নামাচ্ছি। রক্তের চাপে আমার সমস্ত টেনশন উপর দিকে উঠে পায়ে চলে আসবে। একে আমি বলি "হাফ স্লিপিং এন্টি-টেনশনিং" ফর্মুলা।

প্রায় মিনিট বিশেক এভাবে রইলাম। এরপর হঠাৎ রুমে মা,বাবা এবং ছোট বোন একসাথে প্রবেশ করলো। আমি পা নামিয়ে বসলাম। ছোটবোন আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে যেন আমি চিড়িয়াখানার খাঁচায় রয়েছি।

বাবা শুরু করলেন, "তোকে নীলা বিয়ে করবে না বলেছে। বিয়ে ভেঙ্গে দিতে চাইছে ওরা। "

তড়াক করে লাফিয়ে উঠলাম আমি।

নিজের অজান্তেই জিজ্ঞেস করলাম, "মানে? কি সমস্যা ওদের?"

নির্লিপ্ত ভাবে বাবা বললেন, "সেটা তো তুমিই ভালো জানবে।"

এই বলে বাবা চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালেন। পিছন থেকে ছোটবোনটা বলে উঠলো, "তাহলে আমি আবার শপিং করতে পারবো বাবা। কি ভালো হয়েছে! দাদার বিয়েটা প্রতিবার ভাঙ্গুক। আমি অনেক অনেক শপিং করতে পারবো।"

শুধু শপিং এর কথা চিন্তা করে এমন অলুক্ষণে চিন্তা একমাত্র আমার বোনই করতে পারে। হয়তো কোনোদিন আমার কিডনিগুলোও বিক্রি করে আসবে আমার অজান্তে।

বাবা চলে যেতে যেতে বলছেন, "ছিঃ! আমার ছেলে হয়ে তুই এই কাজ করবি কখনওই ভাবি নি আমি।"

আমি কোনো কথা না বলে নীলাকে ফোন দিলাম। অনেকবার দিলাম। কিন্তু সে ফোন তুলছে না। নীলার বাবা মানে আমার হবু শ্বশুরকে ফোন দিলাম। দুইবার রিং হতেই উনি ফোন তুললেন।

আমি বললাম, "আংকেল নীলা কই?"

উনি বললেন, "নীলার সাথে তোমার কাজ কি? কখনও ফোন দিবে না ওকে। যদি দাও আমি পুলিশের সাহায্য নিব।"

গতকালও এই মানুষটা আমাকে বাবা বাবা বলে কথা বলতেন। আর আজ পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন আমাকে।

আমি উনাকে বললাম, "আংকেল কি হয়েছে খুলে বলুন আমাকে। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।"

এবার গর্জে উঠে উনি বললেন, "খুলে বলার কি আছে? তুই নিজেই তো সব খুলে রেখেছিস। ফোন দিবি না আর আমাকে।"

এটা বলেই ফোন কেটে দিলেন। তুই করে বলছেন আমাকে। তার মানে আর ফোন দেওয়া ঠিক হবে না। আমি বাবার কাছে গেলাম। দেখি চুপচাপ বসে আছেন।

আমি আস্তে করে বললাম, "কি হয়েছে বাবা? আমাকে কিছু না বললে আমি কীভাবে বুঝবো?"

কিছু বলছেন না উনি।

আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম, "মা কি হয়েছে বলো আমাকে।" উনিও চুপ করে রইলেন। এরপর রান্নাঘরে চলে গেলেন।

এমন সময় দরজায় কেউ জোরে ধাক্কা দিল। ছোট বোন গিয়ে দরজা খুলে দিল। আমি দৌড়ে এসে দেখি নীলা এসেছে। চোখমুখ লাল হয়ে আছে।

মা রান্নাঘর থেকে জিজ্ঞেস করল, "কে এসেছে?"

ছোটবোন বলল, "দাদার সাথে যে বৌদি টার বিয়ে ভেঙ্গে গিয়েছে ঐ বৌদি টা এসেছে। "

ইচ্ছে করছে ঘাড় মটকে দিই মেয়েটার। পরিবেশ প্রতিকূলে থাকায় কিছু বলতে পারছি না আজ।

আমার সামনে এসে নীলা বলল, "ছিঃ! অভি ছিঃ! এটা কীভাবে করতে পারলে তুমি? আমার সাথে এইভাবে প্রতারণা করলে তুমি? তোমার এক্স গার্লফ্রেন্ড আছে সেটা কখনো বললে না কেন আমাকে?"

আমি তাড়াতাড়ি বললাম, "তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে নীলা। তুমি....."
শেষ করতে পারলাম না।
হিংস্র বাঘিনীর ন্যায় গর্জে উঠে নীলা বলে উঠল, "তুই চুপ থাক। আজকের পর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করবি না তুই। "
এরপর আমাকে বিভিন্ন অশ্রাব্য শব্দ শুনিয়ে সে চলে গেল।

এতকিছু হয়ে যাচ্ছে অথচ বুঝতেই পারছি না আমার দোষটা কি। এদিকে কিসব বলে গেল নীলা। আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড মানে! রাগে নিজের মাথার চুল নিজের ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে আমার।

বাবাকে গিয়ে রাগ করে বললাম, " বলবে কি হয়েছে আমাকে? এতো নাটক করছো কেন সবাই?"

বাবা উল্টো ক্ষেপে গিয়ে চিৎকার করে আমাকে বললেন, "সকালে তুই ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়েছিস দেখ। এখন ন্যাকামো করা হচ্ছে না? থাপ্পড় দিয়ে তোর দাঁত সব ফেলে দিব আমি।"

আমি চুপ হয়ে গেলাম।

সামান্য এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য এতকিছু। ডাটা অন করে তাড়াতাড়ি ফেসবুকে ঢুকলাম।

দেখি আমি সকালে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম,

"এক্সরে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলাম। সবাই দোয়া করবেন।"

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ”প্রেম করেছ তাতে কি, আগেরটা বাদ আমি তো আছি”. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share