03/08/2024
নাহ বড্ড দেরি হয়ে গেলো। তরুণদের পালস বুঝতে পারলেন না, না বুঝতেই চান নি - সে বিষয়ে বিতর্ক করার মতো সময়টুকুও আর নেই। দুই শত’র বেশি তরুণ-কিশোর এর প্রাণ নিয়ে জাস্ট খেলা করলেন! এই খেলা না খেলে সহানুভূতিশীল হতে পারতেন কিনা সে আলোচনা করারও সময় নেই আর! আমার কথা আজ আপনাদের ভালো লাগবে না, ভালো লাগার কথাও না। সত্য হজম করতে বরারবই কষ্ট হয়।
একযুগের কিছু বেশি সময় ধরে বিশ্বাস করা “স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির” কাজ এমন হতে পারে তা কল্পনার একদম বাইরে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কত-শত গুম, খুন, হত্যা, সুপরিকল্পিতভাবে শেয়ার বাজারে ধ্বস নামানো, ব্যাংক লুটেপুটে খাওয়া, রাজনৈতিক ফায়দা নিতে অসংখ্য সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালানো, সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলা, গণমাধ্যমকে দলীয়করণ করে ভিতুর ডিম বানিয়ে রাখা, বিচার বিভাগকে গ্রাস করা থেকে শুরু করে বাক স্বাধীনতার গলা চিপে ধরা - কি করেন নি? আমরা এসবের মধ্যে অভ্যস্ত হয়েই গেছিলাম প্রায়। বলতে আজ কোনও দ্বিধাবোধ করছিনা, এসমস্ত অরাজকতা দেখেও না দেখার ভান করে গেছি আমরা। “স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি” হঠাৎ কোনও এক দৈবগুনে একদিন ভালো হয়ে ফিরে আসবে এই ভ্রান্ত ধারনা নিয়েই এক যুগের বেশি সময় পার করে দিয়েছি আমরা।
এ কোন ধরনের স্বাধীনতা? সত্য কথা বলতে গেলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে কেনো হাজারোবার চিন্তা করতে হবে? গুম হয়ে যাওয়া কিংবা সাইবার নিরাপত্তা আইনে আটক হওয়ার ভয় কেন থাকবে একজন স্বাধীন নাগরিকের? আপনাদের মতের বিরুদ্ধাচরণ করলেই রাজাকার কিংবা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে চালিয়ে দিতে হবে কেন? এসব করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির মান কমে না বাড়ে? এক পরিবারে যদি ৫ জন সদস্য থাকে, এই পাঁচজনের মতামতও কখনো এক হয়না। মানুষ যেহেতু, মতবিরোধ থাকবেই। তাই বলে সহনশীলতা থাকবে না? পরিবারের যিনি কর্তা থাকবেন, সর্বপ্রথম সহনশীলতা তো তাঁরই দেখাতে হবে, তাই না?
সব কিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক কাজটি করেই বসলেন শেষ পর্যন্ত। জনগণের টাকায় কেনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি চালিয়ে দিলেন এই ছাত্রজনতার বুকে! বুকটা কাঁপলো না এক মুহূর্তের জন্য? কয়েক মুহূর্তে শত শত মায়ের বুক খালি করে দিলেন। মায়েদের খালি বুকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন তাঁদের সন্তানদের? এই মায়েদের চোখে চোখ রেখে কোনদিন কথা বলতে পারবেন? এই নাশকতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু মানুষও নিহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতিও আমার সমান সহমর্মিতা আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেকজন সদস্যরা তো নিজের এবং জনগণের জীবন বাঁচানোর জন্য স্পেশালী ট্রেইনড। সাধারণ জনগণ তো অস্ত্রের মুখে নিজের প্রতিরক্ষা করার জন্য ট্রেইনড না। এই নিরস্ত্র মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করার অধিকার কোথায় পেলেন আপনারা? এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়েই পরে। এক কোথায় ডেমোসাইড যাকে বলে।
এখন শুরু করেছেন ন্যাকা কান্না। খুব সুন্দর করে বলছেন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া বাকি গুলি পুলিশ চালায়নি, সুষ্ঠু তদন্তের আগে কিছু বলতেও মানা করলেন। অথচ সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার আগেই আপনারা বলছেন এই নাশকতা চালিয়েছে বিরোধী শক্তি! তদন্ত হওয়ার আগেই কিভাবে বলেন বিরোধী দল করেছে না জঙ্গি করেছে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা-ব্যক্তিরাও রাজনৈতিক মন্তব্য করে যাচ্ছেন নির্দ্বিধায়! আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার জন্য কাজ করে? রাজনৈতিক দলের জন্য নাকি রাষ্ট্রের জন্য? আর ধরেও যদি নেই যে নাশকতা চালিয়েছে বিরোধী দলীয় শক্তি, তারপরও তো আপনারা কোনভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এই দায়িত্ব পালনে আপনারাতো একেবারে ফেইল করেছেন, জাস্ট ফেইল্ড!
এই সত্যগুলো বলার জন্য আজ আপনার দলের মানুষগুলো প্রকাশ্যে বলছে যে প্রোপাগান্ডা বা গুজব ছড়ানো হচ্ছে, গুজবে কান দিবেন না ইত্যাদি ইত্যাদি। শোনেন, আমরা তথ্য-প্রযুক্তির সময়ে বেড়ে ওঠা মানুষ। কোনটা গুজব আর কোনটা সত্য খবর তা বিচার বিবেচনা করার মেধা কিন্তু আমাদের আছে। গুজব আমরা প্রত্যাখ্যান করতে জানি। আর অনলাইন জগতে কারা কারা কি ধরনের প্রোপাগান্ডা চালায়, কি করে এবং কি করতে পারে তা আমাদের খুব ভালো করেই জানা আছে। দয়া করে এসব জ্ঞান আমাদের দিতে হবে না।
এতোসবের মধ্যে আবার সারা দেশে কারফিউ জারি করে দিলেন ইন্টারনেট বন্ধ করে ও টেলিকমিউনিকেশনস সীমিত করে, জাতির সাথে স্রেফ প্রহসন করলেন! এটাও আপনারা করতে পারলেন? দেশের মানুষদের তো দুর্ভোগের মধ্যে ফেললেনই, সেই সাথে লক্ষ লক্ষ প্রবাসী, যাদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, তাদের সাথেও মজা নিলেন! আমার মতো যারা প্রবাসে আছেন, শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন কি পরিমাণের কষ্ট আর উদ্বেগ এর মধ্যে দিয়ে গেছে আমাদের টানা ১১টা দিন! অনেক প্রবাসীরই দেশে থাকা অসুস্থ কিংবা বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খোঁজ না পেয়ে প্রায় পাগল প্রায় হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তাঁদের ইমোশান নিয়ে খেলার অধিকার কিভাবে পেলেন আপনারা? এই ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ৫ বার ৫ ধরনের স্টেটমেন্ট দিলেন। টানা ১১টা দিন আমাদের সবাইকে ট্রমা’র মধ্যে রেখে এখন এক সপ্তাহে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় আবার হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন প্রবাসীদের প্রতি! এসব কি!?
আপনাদের রাজনীতির ইতিহাস তো অনেক পুরনো। ম্যাচিওরিটিটা আপনাদের দেখানোর দরকার ছিল। ছাত্ররা এই করতে পারতো, সেই করতে পারতো বলার কোনও অর্থ নেই। আপনাদের থেকেই কিন্তু আপনাদের সন্তানসম ছাত্রদের ম্যাচিওরিটি শেখার কথা। অথচ সেই ম্যাচিওরিটি বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা দেখালো! এই জেনারেশনের বাচ্চাদের নিয়ে কত কথাই না আমরা বলেছি - সারাদিন পাব-জি খেলে, টিকটক করে, বই পড়ে না, ভিতুর ডিম একেকটা, বই পড়েনা, ইতিহাস জানেনা - কত ধরনের কথাই না হয়েছে এদের নিয়ে। আমি আসলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তারা একদম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তারা আসলে কেমন! কি সুস্পষ্ট তাঁদের দাবী, কি সুস্পষ্ট তাঁদের কর্মসূচি। তবে এটাও সত্যি যে তাদের আন্দোলনে রাজনৈতিক অনেক পার্টি ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু এর দায় কিন্তু এদের না। যেকোন আন্দোলনেই যখন একসাথে অনেক মানুষ মাঠে নামে, তাদের পক্ষে কোনও ভাবেই আইডেন্টিফাই বা ফিল্টার করা সম্ভব নয় কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের ভেতরে ঢুকে গেছে। এটা তাদের কাজ না তো, তারা তো তাদের দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছে। একটা যৌক্তিক আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের অনুপ্রবেশের ব্যর্থতার দায়ও কিন্তু আপনাদের উপরই বর্তায়। আপনাদের এতো এতো গোয়েন্দা সংস্থা আছে। জনগণের ট্যাক্স এর টাকায়ইতো তাদের লালন-পালন করেন। তাদের কাজ কি? গোয়েন্দাগিরি করা না ভাতের হোটেল চালানো? আর যদি গোয়েন্দা তথ্য আপনাদের কাছে যদি আগে থেকেই থেকে থাকতো, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতো এতো ফোর্স থাকতে কেন ঠেকাতে পারলেন না এই রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ? কেন ঠেকাতে পারলেন না নাশকতা!? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তো তাদের দায়িত্বপালনে ফেইল করেছে।
কিছু হলেই দিলাম ইন্টারনেট বন্ধ করে, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, অপছন্দের প্রশ্ন করলে গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার হুমকি - কিসের এতো দম্ভ আপনাদের? সমস্ত কিছুই তো পাবলিক প্রোপার্টি। এই তথ্য-প্রযুক্তি কারো ব্যক্তিগত পকেটের টাকায় তো আসেনি, এসেছে এই জনতার টাকাতেই। যেই জনগণকে ইচ্ছে করে দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য করলেন।
আজ ব্যর্থতার ক্ষুদ্র আলোচনা করেছি বলে এটা ভাবার কোন কারন নেই যে আপনাদের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো দৃষ্টিগোচর করে ফেলেছি। অবশ্যই কাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। তবে প্রশ্ন হলো, এই উন্নয়নগুলো কি নিজের পকেটের টাকায় করেছেন? করেছেন তো সেই জনগণের টাকাতেই, এসকল উন্নয়নমূলক কাজ করতে নিয়েছেন বৈদেশিক ঋণও, যার ঋণের বোঝাও তো জনগণের কাঁধেই বর্তায়, তাইনা? রাষ্ট্রের সঞ্চালক হিসেবে এসমস্ত কাজ করা তো আপনাদের দায়িত্বের মধ্যেই পরে, তাই নয় কি? ঠিক যেমন কোন এড এজেন্সি-তে কর্মরত ব্যক্তি প্রতিনিয়ত সেই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের লক্ষ্যে একের পর এক অসাধারণ এড বানিয়ে যায় তার পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে। এটা তাঁর দায়িত্ব, তাঁর পেশা। ঠিক তেমনি উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করা আপনাদের দায়িত্ব, আপনাদের পেশা। এর জন্য আপনারা রাষ্ট্র থেকে বেতন পাচ্ছেন। হ্যাঁ, এ বিষয় নিয়ে আপনাদের আর্গুমেন্টও জানি, এটাই বলবেন - বিএনপি-জামাত এর সময় তো এমন উন্নতি করেনি। এটা আমি অস্বীকার ও করছি না। কিন্তু আপনারা তো বিএনপি-জামাত আলাদা হবেন এই বিশ্বাসই করেছিলো বাংলাদেশের জনগণ। বিএনপি-জামাত-এর রাজনীতির রোষানল থেকে বাঁচতে আপনাদের উন্নয়নের ইশতেহারে ভরসা রেখে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩২.৪৯% ভোট দিয়ে আপনাদের রাষ্ট্র সঞ্চালনের গদিতে বসিয়েছিল! সে উন্নয়ন আপনারা করবেন না? ইশতেহারে দেওয়া উন্নয়ন করে সে উন্নয়নের গল্প বলে বলে জনগণকে আর কত জিম্মি করে রাখবেন?
১৫ বছর কিন্তু অনেক দীর্ঘ একটা সময়। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান-এ আপনাদেরই একছত্র বিচরণ। চাইলেই পারেন ব্যর্থতা মেনে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত করে রাষ্ট্রটাকে ঢালাওভাবে নতুন করে সব কিছু সাজাতে। মানুষের পালস বুঝতে শিখুন। সোনার বাংলা গড়বেন না কোটি মানুষের ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকবেন - সিদ্ধান্ত আপনাদের।
সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক, গণগ্রেফতার বন্ধ হোক, আটক করে রাখা ছাত্রছাত্রীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী রইলো। একই সাথে সত্যিকারের স্বাধীন ও মুক্তভাবে কথা বলার স্বাধীনতা পুনর্জীবিত হোক।
আমার এই পোষ্ট পড়তে আসা সবার প্রতিই আমার কিছু বলার আছে -
আওয়ামীলীগ কর্মী বা সমর্থকদের প্রতি নোটঃ দেখুন আমি মোটেও আওয়ামীলীগ বিদ্বেষী নই। তবে অন্যায়কে অন্যায় বলার সৎ-সাহস আমার আছে। খোদ বঙ্গবন্ধুও আমাদের শিখিয়ে গেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার। যখন প্রশ্ন ন্যায়-অন্যায় নিয়ে হয়, রাষ্ট্র নিয়ে হয়, তখন কোন দল কি করেছে এসব চিন্তা করে হয়না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়াও অন্যায় যা আমরা সবাই ইতিমধ্যে করে ফেলেছি। তবে এই অন্যায় আর চলতে দেওয়া যায়না। তাই মতের অমিল হলেই অহেতুক সবাইকে স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ দিয়ে দিবেন না। আর এই পোষ্ট সরকার পতনের জন্যেও লিখিনি। কোনও দলকেই সরকার থেকে নামিয়ে ফেলা বা বসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তবে যতদিন অন্যায় হতে থাকবে, মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটতে থাকবে, ততদিন কথা বলে যাবো। আর অহেতুক ‘যদি, কিন্তু, তবে, কেন, অমুক কি করেছে, তমুক কি করেছে, অমুক বিষয়ে কেন বলেননি, তমুক বিষয়ে কেন বলেননি’ টাইপের কথাবার্তা বলে তর্কে জড়াতে আসবেন না। কিভাবে নিজেদের সংস্কার করবেন তা নিয়ে ভাবুন। নিজেদের দলের ভেতরের কোন্দল ঠিক করুন। অযথা তর্ক করে সময় নষ্ট করার মতো সময় কিন্তু আপনাদের নেই। বাজে পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছেন। আর সত্যিকারভাবে আওয়ামীলীগকে ভালবাসলে নিজের অন্তরে ঝুঁকে দেখুন, আমার প্রত্যেকটি কথার যুক্তি মিলিয়ে দেখুন, ঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।
বিএনপি কর্মী বা সমর্থকদের প্রতি নোটঃ আমার এই পোষ্ট দেখে খুশিতে আত্মহারা হওয়ার কোন কারন নেই আপনাদের। আমি আপনাদের সমর্থকও নই। আপনাদের সময় কি রকম অন্যায় অবিচার করেছেন সেগুলো কিন্তু আমরা কেউই ভুলে যাইনি। আওয়ামীলীগের সমালোচনা করা মানে এই নয় যে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য জনগণ প্রস্তুত। নিজেদের দলের বিভক্তি আগে সামলান।
জামাত কর্মী বা সমর্থকদের প্রতি নোটঃ আদর্শিক কারনেই কখনো আপনাদেরকে সমর্থন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি কোনও প্রকার ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতি সমর্থন করিনি, কখনও করতেও পারবো না। তাছাড়া আপনাদের দলের ছায়াতলে যে সকল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এসমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য কিন্তু ক্ষমা প্রার্থনা করেননি এখনো। তাই আপনাদের সাথে কোন আপোষ নেই।
বিভিন্ন দল ও বাহিনীর প্রোপাগান্ডিস্টদের প্রতি নোটঃ আপনাদের কারা কি ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ান বা ছড়াতে পারেন তা কিন্তু আমরা জানি। মানুষের পালস বুঝে বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করুন, শুধু শুধু গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করবেন না।
অন্য সবার প্রতিঃ সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শিখুন। নীরবতা কিন্তু অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়। ইতিহাস বলে জনতা সরব থাকলে ঘাঘু থেকে ঘাঘু অন্যায়কারীরাও অন্যায় করার সাহস পায়না। দিনশেষে এই দেশের মালিক জনগণ, এটা ভুলে গেলে চলবে না। ৩০ লক্ষ শহীদ নিশ্চয়ই অন্যায়কারীদের দ্বারা শোষিত হওয়ার জন্য অকপটে রক্ত ঝড়াননি।