04/11/2018
*লিজি ভালসাকেজ একটি সাহসের নাম*
● ছবির মানুষটি লিজি ভালসাকেজের। জন্মেছিলেন ১৩ মার্চ ১৯৮৯ তে টেক্সাসের অস্টিনে। দেখতে রীতিমত ভয়ংকর, কুৎসিত, যার একটি চোখ ও অন্ধ! রঙিন সভ্যতা স্বীকৃতি দিয়েছিল বিশ্বের সবচাইতে কুৎসিৎ মানুষের! তাদের ভাষায় তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিৎ নারী!
সবাই বলতো, আত্মহত্যা কর, সবার থেকে লুকিয়ে থাক, মুখ ঢেকে রাখ, আলাদা থাক পৃথিবীর সব আলো থেকে। কিন্তু সেইসব কিছু কানে না নিয়ে তখনই নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিলেন লিজি। জন্মের সময় লিজির ওজন ছিল মাত্র ১.২১৯ কিলোগ্রাম। যদি ও এসব কিছু বাঁধা হতে পারেনি সামনের পথচলায়। লক্ষপানে ছুটেছেন নিজের মত করে। পড়াশুনা করেন টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি তে “Communication Studies “নিয়ে। তুখোড় এই নারী মূলত একজন সুবক্তা, ক্যারিয়ারের প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু করেন “বারজিন” মডেলিং ও অভিনয় সংস্থার সাথে। লিজির ইতোপূর্বে বের হয়েছে বেশ কয়েকটি নিজের লেখা বই। গত সাত বছরে ২০০-র বেশি ওয়ার্কশপে বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। ইউটিউবে দেওয়া তার একটি ভিডিও প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। লিজি কে “A Brave Heart” নামক একটি ডকুমেন্টারি ও তৈরী হয়ছে যা বিশ্বে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।
কীভাবে অভিনবত্বকে স্বীকৃতি দিতে হয়; বাধা, বিঘ্ন পেরিয়ে কীভাবে জীবনকে গ্রহণ করতে হয়; প্রতিকুল পৃথিবীতে ঘুরে দাঁড়াতে হয়; ভালোবাসতে হয়, এই সাত বছর ধরে সেই বিষয়ের ওপরই বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন লিজি। ২০১০ এ লিজি লিখে ফেলেন তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘”Lizzie Beautiful’; ২০১২ সালে দ্বিতীয় বই ‘Be Beautiful, Be You’- যা ব্যাপক সাড়া পায় বিশ্বে।
বইটির শুরুতে লিজি বলেন, ‘এপিয়ারেন্স নয়; মানুষকে মূল্যায়নকরতে হবে অর্জিত গুন দিয়ে’। এই বছরই প্রকাশিত হতে চলেছে তার তৃতীয় বই। TWITTER এ লিজির এক বন্ধু বলেছে- ‘This young woman is a very good example of what it means to be truly
beautiful’ আরেক বন্ধু বলেছে, ‘লিজি কুৎসিত নয়। কুৎসিত হল লিজিকে দেখার আমাদের চোখ’ লিজির মা বলেছেন, “I love Lizzie, I would be proud to be her mom” অথচ সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হয়েও আমরা অল্পেতে হতাশ হয়ে পড়ি। নিজের রুপ-চেহারা আমাদের ভোগায়। রঙিন কর্পোরেট বিশ্বে নিজকে অসহায় ভাবি। ভাবি-চেহারায় সব!! লিজি ভালসাকেজের তার কাজ দিয়ে প্রমাণ করেছে ভবিষ্যৎ কখনো রুপ দিয়ে সাজানো যায় না। যার যার কর্মই পারে ভবিষ্যৎ সাজাতে।