Bangladeshi People Living in France

  • Home
  • Bangladeshi People Living in France

Bangladeshi People Living in France [ফ্রান্সে প্রবাসীদের সুবিধার্থে হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে আমাদের এই ছোট প্রয়াস]
(4)

🔺হাজি মুহাম্মদ মহসিনউপমহাদেশের ইতিহাসের এই বিখ্যাত দানবীর মুহাম্মদ মহসিন ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগল...
24/11/2023

🔺হাজি মুহাম্মদ মহসিন

উপমহাদেশের ইতিহাসের এই বিখ্যাত দানবীর মুহাম্মদ মহসিন ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি পুরো বাঙালি জাতি-হিন্দু, মুসলিম সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র।
তার বাবা হাজি ফয়জুল্লাহ ছিলেন একজন ধনী জায়গিরদার। তিনি ইরান থেকে বাংলায় এসেছিলেন। ফয়জুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিলো জয়নব, তার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। সাবেক স্বামী আগা মোতাহারের ঘরে মন্নুজান নামে তাদের একটি মেয়ে ছিল। আগা মোতাহারের হুগলী, যশোর, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় জায়গির ছিল। সেই সম্পত্তি তার মেয়ে মন্নুজান উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন।
গৃহশিক্ষক দিয়ে মহসিন ও তার সৎ বোন মন্নুজান লেখাপড়া করেন।পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজধানী মুর্শিদাবাদে যান। শিক্ষাজীবন শেষ হলে তিনি দেশভ্রমণের জন্য বের হন। এইসময় তিনি হজ্জ্ব করেন, তিনি মক্কা, মদিনা, কুফা, কারবালাসহ ইরান, ইরাক, আরব, তুরস্ক এরকম নানা জায়গা ভ্রমন করেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর ভ্রমন শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
১৮০৩ সালে মন্নুজানের মৃত্যুর পর মহসিন তার সম্পদের মালিক হন। তিনি চিরকুমার ছিলেন।
এতো সম্পদের মালিক হয়েও মহসিন ছিলেন খুব ধার্মিক ও নিরহঙ্কারী। তিনি সহজ সরল জীবনযাপন করতেন।তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ইমাম বাড়া প্রাসাদে বাস করতেন না, তার পাশে একটি ছোট কুটিরে বাস করতেন। কুরআন শরীফ নকল করে যা পেতেন তা দিয়েই চলতেন। নিজ হাতে রান্না করে অধিনস্তদের নিয়ে বসে খেতেন।
তিনি তার অর্থ দিয়ে বহু বিদ্যাপিঠ তৈরি করে গিয়েছেন। হুগলিতে ‘হুগলি মহসিন কলেজ’ ও ‘চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ’ তারই টাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। তার পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে ‘দৌলতপুর মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।
১৭৬৯-৭০ সালের সরকারি দলিল অনুযায়ী তখনকার দুর্ভিক্ষের সময় তিনি অনেক লঙ্গরখানা স্থাপন করেন এবং সরকারি তহবিলে অর্থ সহায়তা দেন। ১৮০৬ সালে তিনি ‘মহসিন ফান্ড’ নামে একটি তহবিল প্রতিষ্ঠা করে তাতে দুইজন মোতাওয়াল্লি রাখেন।খরচের হিসাবে সম্পত্তিকে নয়ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে তিন ভাগ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, চার ভাগ পেনশন, বৃত্তি ও দাতব্য কর্মকাণ্ড এবং দুইটি ভাগ মোতাওয়াল্লিদের পারিশ্রমিকের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
ইতিহাসে দাতা হাজী মুহাম্মদ মহসিনের নাম চিরস্মরণীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের নাম তার স্মরণে রাখা হয়েছে।ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটির নাম বিএনএস হাজী মহসিন।
হাজি মুহাম্মদ মহসিন ১৮১২ সালে হুগলীতে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে হুগলী ইমামবাড়ায় দাফন করা হয়।

By Semira Mahmud

উজবেকিস্তান প্রবাসী আব্দুল মজিদ চাচা বাংলা এভিয়েশনের কাছে জানতে চাইলেন, বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনতে পারবো। নতুন কয়টা, পু...
24/11/2023

উজবেকিস্তান প্রবাসী আব্দুল মজিদ চাচা বাংলা এভিয়েশনের কাছে জানতে চাইলেন, বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনতে পারবো। নতুন কয়টা, পুরাতন কয়টা?
মজিদ চাচার মতো প্রবাসীদের কাছ থেকে যে প্রশ্ন বেশি আসে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে মোবাইল সংক্রান্ত।
বিদেশ থেকে অনুমতি ছাড়া আপনি ৮ টি মোবাইল আনতে পারবেন। মন দিয়ে পড়ুন, আপনার ফোন নতুন নাকি পুরাতন সেটি বিবেচ্য নয়। এন্ড্রোয়েন নাকি আইফোন নাকি বাটন ফোন সেটিও বিবেচ্য নয়। আপনি উপহার পেয়েছেন নাকি নিজে কিনেছেন সেটিও বিবেচ্য নয়। আপনি নিজে ব্যবহার করেন কি করেন না তাও কেউ প্রশ্ন করবে না।
কাস্টমস আপনার সাথে থাকা মোবাইলের হিসেব করবে। ৮ টির বেশি ফোন আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন।
আবারও বুঝে নিন, নতুন কিংবা পুরাতন, কিংবা বিদেশে আপনার নিজের ব্যবহার করা, উপহার পাওয়া. যা হোক ৮টি ফোন।
এই ৮টি ফোনের কি শুল্ক দিতে হবে ?
এই ৮ টির মধ্যে ২টি ফোনের জন্য আপনাকে কোন শুল্ক দিতে হবে না।
বাকি ৬টি মোবাইলের জন্য আপনাকে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে। যা মোবাইলের ক্রয় মুল্যের ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত।
আমি তো ২টি ফোন ইউজ করি, আর ২টি নতুন আনবো। তাহলে শুল্ক লাগবে ?
তার মানে আপনার সাথে থাকবে ৪টি ফোন। ৪টির মধ্যে ২টি ফোনের শূল্ক দিতে হবে না। বাকি ২টির দিতে হবে।
যদি আপনি বিমানবন্দরে ঘোষণা না দেন কিংবা লুকিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখন শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি জরিমানাও করবে কাস্টমস।
কিভাবে শুল্ক দিবো ?
বিমানবন্দরে আপনি শুল্ক পরিশোধ করতে পারবেন। সেজন্য শুরুতেই আপনি কাস্টমস হলের রেড চ্যানেলে গিয়ে আপনার কাছে মোবাইল ফোন আছে সেটি ঘোষণা করবেন। কোন ভাবেই গ্রিণ চ্যানেলে যাবেন না। আপনার কাছে বিদেশি মুদ্রা থাকলে বিমানবন্দরে অবস্থিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে পরিবর্তন করে শুল্ক পরিশোধ করতে পারবেন।
তাৎক্ষনিক শুল্ক দেয়ার মতো টাকা সাথে না থাকলে কি করবো?
তাৎক্ষনিক শুল্ক পরিশোধ করার মত টাকা সাথে না থাকলেও ভয়ের কিছু নেই। সেক্ষেত্রে কাস্টমস আপনার মোবাইল সেট সাময়িক ভাবে আটক করে রাখবে। আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। সাময়িকভাবে আটককৃত পণ্য ২১ দিনের মধ্যে যথাযথ শুল্ক-করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

৪ হাজার বছর আগের কথা। ম্যাগনেস নামে এক রাখাল ছিল দক্ষিণ গ্রিসে। মাঝে মাঝেই সে ভেড়া চরাতে যেত মাঠে। পাথুরে পাহাড়ি মাঠ।এখা...
23/11/2023

৪ হাজার বছর আগের কথা। ম্যাগনেস নামে এক রাখাল ছিল দক্ষিণ গ্রিসে। মাঝে মাঝেই সে ভেড়া চরাতে যেত মাঠে। পাথুরে পাহাড়ি মাঠ।
এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অজস্র পাথর। একদিন সে একটা ভেড়া হারিয়ে ফেলে। খুঁজে খুঁজে হয়রান। কোথাও পায় না। অবশেষে ভেড়ার খোঁজে পাহাড়ে ওঠে ম্যাগনেস। হঠ্যাৎ একটা কালো পাথরে তার পা আটকে যায়। অবাক হয় ম্যাগনেস। কীসে আটকালো ভেবে পায় না।
বোঝার চেষ্টা করে। এক সময় সে আবিষ্কার করে কালো পাথরের সাথেই তার জুতো আটকে গেছে।
অদ্ভুত ব্যাপার! ম্যাগনেসের জুতোর নিচে পেরেক জাতীয় কিছু ছিল, যাতে পাহাড়ে উঠতে গিয়ে পিছলে না যায়। ম্যাগনেস বুঝতে পারে লোহার পেরেকেকে টেনে ধরেছে কালো পাথর। অপ্রাত্যাশিতভাবেই আবিষ্কার হয়ে যায় চুম্বক পাথরের।
ম্যাগনেসের নাম থেকেই ওই পাথরের নামকরণ করা হয় ম্যাগনেট।
সূত্র: History of Magnets/byjus.com

21/11/2023

বাংলাদেশের বেডা মানুষ বৌ রে সময় দেওয়া মানে রুমে বসে মোবাইল টিপাকে বুঝায়।

(ইহা আমার একটি ব্যাক্তিগত মহিলা কমিটির সাথে আলোচনার জরিপে জানা গেছে।)

#জাকিয়া_হোসেইন_তৃষা

বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যাতি দাস।  কিন্ত তাকে সেটা দেওয়া হয়নি। তিনি বীরের মত যুদ্ধ করতে করতে বীরগতি পেয়ে...
21/11/2023

বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যাতি দাস। কিন্ত তাকে সেটা দেওয়া হয়নি।
তিনি বীরের মত যুদ্ধ করতে করতে বীরগতি পেয়েছেন। তিনি ছিলেন শত্রুদের কাছে জীবন্ত এক ভয় আর বিস্ময়। তিনি দুর্ভাগা, তিনি স্বীকৃত নন এই খেতাবে, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নন। নিজের জীবন তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন, মৃত্যুর পরেও তাঁর শব ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে শত্রুদের আঘাতে- প্রকাশ্যে, তিনি যে দেশকে ভালবেসেছিলেন।
যে বীরের কথা বলতে এসেছি, তিনি বাংলার ঘোষিত-অস্বীকৃত প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যোতি! হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে বিংশ শতাব্দীর এই অভিমন্যু জন্ম গ্রহণ করেন যিনি বাংলার কুরুক্ষেত্রের চক্রব্যূহে প্রাণ দিয়েছেন বাংলার তরে। জলসুখা গ্রামের জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস ও হরিমতি দাসের কনিষ্ঠ পুত্র জগৎজ্যোতি দাস।
১৯৭১ সালে ছিলেন এইচএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিশেষ দায়িত্ব পালনে ভারতের গৌহাটির নওপং কলেজে ভর্তি হন; বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা আয়ত্তের পাশাপাশি ধারণা নিয়ে আসেন অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উপর। ভাটি-বাংলার মাটিকে মুক্ত করার শপথ নিয়ে তিনি হন দাস পার্টির কমান্ডার। প্রতিজ্ঞা করেন দেশ মাতৃকার মুক্তির।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের কাছে জগৎজ্যোতি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। বিশাল ভাটি-বাংলায় শত্রুসেনাকে পদদলিত করতে দাবড়ে বেড়িয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের অধীনে বিস্তীর্ণ ভাটি অঞ্চল শত্রু মুক্ত রাখার দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর উপর। দিরাই, শাল্লা, ছাতক, আজমিরিগঞ্জ, বানিয়াচং, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার নৌপথ পাক দখলমুক্ত রাখার যুদ্ধে প্রাণের বাজি রেখে লড়ে যান দাস পার্টির যোদ্ধারা।
দাস পার্টির সাফল্যে ভীত ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী, আর তাই পাকিস্তান সরকার রেডিওতে ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়, এই রুট দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিদের জানমালের দায়িত্ব সরকার নেবে না। মাত্র ১৩ জন সহযোদ্ধা নিয়ে বানিয়াচং-এ পাকবাহিনীর ২৫০ জন সেনা ও দোসরদের অগ্রগতি রোধ করে দেন, যুদ্ধে প্রাণ হারায় শত্রু সেনার ৩৫ জন।
পাকিস্তানীদের গানবোট ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌ-বন্দর সাচনাবাজার শত্রু“মুক্ত করে লাইম লাইটে চলে আসেন তিনি।তাঁর নেতৃত্বে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বদলপুর ব্রিজ বিধ্বস্ত করা হয় আর তাঁরই কৃতিত্বের কারণে ভারতীয় কমান্ড বাহিনীর মেজর জি,এস,ভাট প্রশংসা লাভ করেন। ১৭ আগস্ট পাহাড় পুরে কমান্ডার জগৎজ্যোতির রণকৌশল আর বীরত্বে রক্ষা পায় অসংখ্য নিরীহ নর-নারী। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে তাঁর বীরত্ব-গাঁথা প্রচার হয়। জগৎজ্যোতি একা হাতে একটি এলএমজি নিয়ে দখন করে নেন জামালপুর থানা যেখানে আস্তানা গেড়েছিল স্থানীয় পাকি-দোসর রাজাকাররা।
জামালপুর মুক্ত করার অভিযানে সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হন তাঁরা, হারাতে হয় তাঁর সহযোদ্ধা বীর সিরাজুল ইসলামকে। মাত্র ১০-১২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে তিনি মুক্ত করেন শ্রীপুর। খালিয়াজুড়ি থানায় ধ্বংস করে দেন শত্রুদের বার্জ।
আগস্ট মাসে গুলি ব্যয় ছাড়াই দিরাই-শালায় অভিযান চালিয়ে কৌশলে আটক করেন দশ সদস্যের রাজাকারের দলকে। যারা এলাকায় নির্যাতন চালাচ্ছিল, খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট চালাচ্ছিল। রানীগঞ্জ ও কাদিরীগঞ্জে অভিযান চালিয়েও জ্যোতি আটক করেন ঘরের শত্রু রাজাকারদের। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌ-বন্দর সাচনাবাজার শত্রুমুক্ত করে লাইম লাইটে চলে আসেন।
১৬ নভেম্বর ১৯৭১; এই দিন ছিল বীরের ললাটে লেখা শেষ দিন। ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথেই ৪২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে অভিযানে যাত্রা করেন জগৎজ্যোতি। কে জানত- এই অভিযান তাঁর শেষ অভিযান, বীরত্বের অন্তিম-গাঁথা এখানেই রচিত হবে। তাঁদের লক্ষ্যস্থল ছিল বানিয়াচং/বাহুবল। কিন্তু লক্ষ্যস্থলে যাওয়ার পূর্বেই বদলপুর নামক স্থানে হানাদারদের কূট-কৌশলের ফাঁদে পা দেন জগৎজ্যোতি। বদলপুরে ৩/৪ জন রাজাকার ব্যবসায়ীদের নৌকা আটক করে চাঁদা আদায় করছিল।
দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ জ্যোতি রাজাকারদের ধরে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পিছু হঠতে থাকে কৌশলী রাজাকাররা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জগৎজ্যোতি- ভাবতেও পারেননি কী ফাঁদ তাঁর সামনে। সাথের ১০/১২ জন মুক্তিযোদ্ধা আর সামান্য গোলাবারুদ নিয়ে তাড়া করেন রাজাকারদের। অদূরেই কুচক্রী পাকসেনাদের বিশাল বহর আর প্রচুর সংখ্যক গোলাবারুদ নিয়ে অপেক্ষা করছিল তাঁর। অজান্তেই চক্রব্যূহে প্রবেশ করেন জগৎজ্যোতি। আগে থেকে প্রস্তুত বিশাল বহর আর মজুদের কাছে বিপদে পড়ে যান জগৎজ্যোতি ও তাঁর সহযোদ্ধারা। তবুও যুদ্ধে করে যান মুক্তিযোদ্ধারা।
সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন জগৎজ্যোতি।
সহযোদ্ধাদের পালানোর সুযোগ করে দিয়ে কভার করতে থাকেন জগৎজ্যোতি ও তাঁর সহযোদ্ধা ইলিয়াস। কিন্তু দুর্ভাগ্য, হঠাৎ করে ইলিয়াসও গুলিবিদ্ধ হন। নিজের মাথার গামছা খুলে জগৎজ্যোতি বেঁধে দেন সহ-বীরযোদ্ধার ক্ষত।
ইলিয়াস তাঁকে পালানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু পিছু ফিরে যাননি জগৎজ্যোতি। একাই যুদ্ধ করতে করতে পাক-বাহিনীর বারোজনকে প্রপারে পাঠিয়ে দেন। বিকেল পৌনে পাঁচটায়, শূন্য অস্ত্রভাণ্ডারে বিকেলের সূর্যের মতই ম্লান হয়ে আসে শত্রু-বধের তেজ, গুলিবিদ্ধ হন জগৎজ্যোতি। নিভে যায় এক বীরের জীবন-প্রদীপ।
শুনা যায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অত্যাচার করতে করতে।তাঁর গায়ে পেরেক বিদ্ধ করে সেই ছবি খবরে ছাপানো হয়। আজমিরিগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসা হয় তাঁর লাশ।
সেদিন ছিল ঈদের বাজার। শত শত লোকের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় তাঁর লাশকে। রাজাকাররা থু থু ফেলতে থাকে তাঁর উপর। এমনকি জগৎজ্যোতির মা-বাবাকেও ধরে আনা হয় বীভৎস লাশ দেখাতে। পরিবারে যখন স্বজন হারানোর কান্নার রোল তখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় জগৎজ্যোতির বাড়িতে। ভাসিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ক্ষত-বিক্ষত কুশিয়ারা নদীর পানিতে।
জগৎজ্যোতি দাসকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল একাধিকবার এবং তাঁর বীরত্ব-গাঁথা প্রচার হচ্ছিল সম্মানের সঙ্গে। অল ইন্ডিয়া রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় জগৎজ্যোতির বীরত্ব-গাঁথা।
অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদক প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জগৎজ্যোতিকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের ঘোষণা সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে প্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে আসেন সরকার। ১৯৭২ সালে জগৎজ্যোতি দাসকে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়। বাস্তবে পুরস্কার প্রদান করা হয় তারও দুই যুগ পরে।
একটি দেশের জন্য জগৎজ্যোতি বিলিয়েছেন নিজেকে। দেশ তাঁকে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়নি! তাঁরা তো কখনো কোনো প্রাপ্তির অপেক্ষায় ছিলেন না! একটি মাতৃভূমির জন্য জগৎজ্যোতি বিলিয়েছেন নিজের প্রাণ।
জগৎজ্যাতি প্রতিটি মুহূর্তে থাকেন এই বাংলার নিঃশ্বাসে, স্পন্দনে।
আজ কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যাতি দাসের জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর প্রতি। 🙏💞
ছবি- ১৭ নভেম্বর আজমীরিগঞ্জ বাজারে জগৎজ্যোতি দাসের লাশ পড়ে আছে।

সিলেটিরা ব্রিটিশ কম্পানিদেরো সিলেটি শিখাই ফেলছিEast London
21/11/2023

সিলেটিরা ব্রিটিশ কম্পানিদেরো সিলেটি শিখাই ফেলছি
East London

21/11/2023

কিছু শখ পুরন করে নিঃস্ব হওয়ার চেয়ে কিছু টাকা সঞ্চয় করা ভাল। অন্তত বিপদে কারো কাছে হাত পাততে হবেনা। আশায় থাকতে হবে না সে দিলেই আমি বিপদমুক্ত হবো।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় সাজার জন্য কিংবা এগিয়ে থাকার জন্য কাউকে দামী উপহার দেয়ার চেয়ে ঢের ভাল উপলক্ষ্যগুলোকে এড়িয়ে চলার। কারন দিনশেষে নিজের সঞ্চয় না থাকলে কেউ মনেও রাখবেনা ।

মাঝেমাঝে দুই টাকায় যদি দশ টাকার কাজ হয়ে যায়, তাহলে সেটাই ভাল। স্ট্যাটাস মেইনটেইন করতে অপচয় করা ঠিক না।

অন্যের কাছে ভাল হওয়ার জন্য যদি অর্থ ব্যয় করতে হয়, তাহলে খারাপ হয়ে বাঁচাই অনেক ভাল।

এক কথায় যে স্ট্যাটাস মেইনটেইন করতে গিয়ে আমাকে দেউলিয়া হতে হবে, আমি সেই স্ট্যাটাস থেকেই দূরে থাকবো।

কারন সাময়িক তিনবেলা বিরিয়ানি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে দীর্ঘদিন নিশ্চিন্তে ডাল ভাত খাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাই করা সবচেয়ে ভাল। এতে কে কি বলে বলুক!

✍️ Ashna Araf

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে। প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ...
20/11/2023

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে। প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ৯২ কোটি ডলার। ৫ শতাংশ প্রণোদনার ফলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানো বেড়ে গেছে।

20/11/2023

আপনাদের "ওয়াজে" প্রভাবিত হয়ে বিয়েতে গেট তৈরী করি নাই, লাইটিং করি নাই, ফুলসজ্জায় ফুল ছিলো না, ফটোসেশন ছিলো না । আজ যখন আপনাদের ওয়াজ-মাহফিলে গগনচুম্বি গেট দেখি, দশ কিলোমিটার লাইটিং দেখি, ফুলেল শুভেচ্ছা দেখি, ডিএসএলআর খাদেম বাহিনী দেখি তখন.....

তখন আমার চিল্লাইয়া জিগাইতে মনে চায় "কী অপরাধ করেছিলাম আমি?

— হাসান বেরুনী

#সহমতভাই

কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব এবং প্যারিস বন্ধু  নামে পরিচিত সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় প্রয়াত  শহীদুল আলম মানিক সাহেবের  মৃত্যু বার্ষিক...
20/11/2023

কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব এবং প্যারিস বন্ধু নামে পরিচিত সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় প্রয়াত শহীদুল আলম মানিক সাহেবের মৃত্যু বার্ষিকী আজ। বিনম্র শ্রদ্ধা এবং রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

যারা শব্দ করে কথা বলতে শেখেনি,তারা বুকের মধ্যে পদ্মানদী আগলে রাখে।কী ভীষণ স্রোতেও দাঁড় টানে, পথ অনেক দূরে।তবুও বিশ্বাস ...
19/11/2023

যারা শব্দ করে কথা বলতে শেখেনি,
তারা বুকের মধ্যে পদ্মানদী আগলে রাখে।
কী ভীষণ স্রোতেও দাঁড় টানে, পথ অনেক দূরে।
তবুও বিশ্বাস থাকে, সাহস থাকে।
পালে হাওয়া লাগলে, একজনমের দূরত্ব অবধি একদিনে পার করে মানুষ। আর সম্পর্ক কি খুব কঠিন বিষয়?
আমাদের জানা নেই। আমরা শব্দ করে কথা বলতে পারি।
যারা শব্দ করে কথা বলতে পারে না, তারা জানে।
একদম ঠিক ঠিক জানে।।

--- অনিবেন্দ্র 🍁

19/11/2023

যখন স্কুলে পড়তাম, আমাদের পুরো দুনিয়া জুড়ে ছিলো ক্লাসে কার রোল কত, ম্যাথে কে কত পেয়েছে, ইংলিশে হাইয়েস্ট কত উঠেছে, আমাদের পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের কাছেও ছোট্ট এই আমাদের বিচারের মানদণ্ড ছিলো একটাই, ক্লাসে রোল নম্বর কত!
এরপর মাধ্যমিকে জিপিএ কত উঠেছে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতেই শুরু হয়ে গেলো 'কোন কলেজে ভর্তি হয়েছো' এই প্রশ্ন। দিনাজপুররে জাতে উঠার মত কলেজ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, আর হলিল্যান্ড কলেজ। এই দুই কলেজে যারা ভর্তি হতে পারতো তারা সিনা টান করে তাদের কলেজের নাম বলতো। আর যারা অন্যান্য কলেজে ভর্তি হতো তারা গলার স্বর একটু নিচু করে, কেমন যেন আড়ষ্ট ভঙ্গিতে কলেজের নাম বলতো। যেন দিনাজপুর সরকারি কলেজ,হলিল্যান্ড কলেজে ভর্তি হতে না পেরে সে জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধটা করেছে। আমাদের সময়েই জিপিএ ফাইভ মোটামোটি পানির ধরে না হলেও, তখন ভুরি ভুরি জিপিএ ফাইভ পাচ্ছিলো। আমরা তিন বন্ধু আশা করে ছিলাম, কারমাইকেল কলেজে না হলেও অন্তত দিনাজপুর সরকারি কলেজে তো হবেই। সেটাও হলো না, একজন তো ভর্তি হতে না পেরে ওয়েটিং রুম থেকে বেরিয়ে রাগে ফর্মটাই ছিড়ে ফেললো। কেউ জিজ্ঞেস করলে "আমি দিনাজপুর সরকারি কলেজে পড়ি", "আমি হলিল্যান্ড কলেজে পড়ি" এটা ছিলো আমাদের সময়ে কলেজ পড়ুয়াদের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। কেউ দিনাজপুর সরকারি কলেজে পড়ে শুনলে সমবয়সীরা মুগ্ধ হয়ে তাকাতো।
চোখের পলকেই কলেজ লাইফটা শেষ হয়ে যায়। জিপিএ কত এই প্রশ্নের চেয়ে মাস কয়েক পর সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয় ভার্সিটি ভর্তির সময়। স্কুলে ক্লাসে রোল কত, মাধ্যমিকে জিপিএ কত, কোন কলেজ, ইন্টারে জিপিএ কত......সব প্রশ্ন অতীত হয়ে যায়। জীবনের এখন একটাই পরিচয়, কোথায় পড়ো, কোন ভার্সিটি? ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি হলে জীবনের সাত খুন তার মাফ, ভার্সিটি তাও ঢাকা ভার্সিটি হলে চলে, কিন্তু দেখতে হবে কোন সাবজেক্টে পড়ে!
চার পাঁচ বছরের ভার্সিটি লাইফের এক উড়ন্ত জীবন কাটিয়ে ছোট্ট সেই আমরা একদিন অনেক বড় হয়ে যাই। স্কুলের ক্লাসে প্লেস করা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ফাইভ, ভালো কলেজ, ভাল ভার্সিটি, ভালো সাবজেক্ট, ভালো সিজিপিএ......এই সব ভালোও একদিন মানুষ আর খোঁজ করবে না......একদিন শুধু খোঁজ করবে, কোথায় আছো এখন? বেতন কত পাও? দিনশেষে এটাই আমাদের বিচার করার একমাত্র মানদণ্ড।
স্কুল লাইফ থেকে ভার্সিটি অবধি সব ধাপেই মানুষের এই যে প্রশ্ন, তার ভালো জবাব দিতে পেরেছে এমন ছেলেগুলো এখন "ভালো চাকরী", "ভালো ক্যারিয়ার" গড়তে না পেরে মানুষের সামনে যেতে লজ্জা পায়, এমনও দেখেছি। সারাজীবন বাউন্ডুলে জীবন কাটানো ছেলেটা, যার কোন ভবিষ্যৎ নেই বলে সবাই বলাবলি করতো, সে এখন ভালো চাকরি করে, মোটা বেতন পায় বলে মানুষ বলে, "ছেলেটার কিন্তু ব্যাসিক ভালো ছিলো, এসব রেজাল্ট ভালো করে কী লাভ, ব্যাসিক ভালো থাকলে লাইফে কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না।" অথচ এই কথাগুলো যদি স্কুলের ঐ ছোট্ট ছেলেটাকে সে সময় বলা হতো, যদি তাকে এতটুকু আশ্বাস দেওয়া হতো, রেজাল্ট বড় কথা না, বড় কথা হলো ব্যাসিক ঠিক করা, শেখা, জানা!
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়গুলো আমরা এভাবে মানুষের মন রাখার পেছনে, টেনশনে, ভয়ে, আতঙ্কে কাটিয়ে দিই। অথচ দিনশেষে আমাদের একটাই পরিচয়--কী চাকরি করি, কত বেতন পাই...ইত্যাদি।
মানুষ কী বলবে, মানুষকে কী জবাব দিবো, এই চিন্তাটা, এটাই আমাদের সুখ কেড়ে নেয়। সমস্ত শান্তি বিনষ্ট করে দেয়। এই ভয়কে যে জয় করতে পারে, মানুষ কী ভাববে, কী বলবে, এটাকে যে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে পারে, সেই সুখে থাকে।

©Mosharof Hossain

আপনি যদি  🇺🇸 আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে কথাগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো কেউ আগে বিষয়গুলো ন...
19/11/2023

আপনি যদি 🇺🇸 আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে কথাগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো কেউ আগে বিষয়গুলো নিয়ে এত খোলামেলা কথা বলেনি যা আজকে আমরা বলতে যাচ্ছি। তাই ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্টটি পড়বেন আশা করি। যা আপনার ভিসা পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করবে, আর আপনি পেতে পারেন আমেরিকার পাঁচ বছরের মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা ইনশাল্লাহ।
আমেরিকার ভিসা নিয়ে আমাদের অনেক কৌতূহল থাকে। আবার আমাদের অনেকের ড্রিম কান্ট্রি আমেরিকা। সবার একবার হলেও আমেরিকা যাওয়ার ইচ্ছা থাকে। তাই হয়তো আমাদের সবার চেষ্টা থাকে আমেরিকা যাওয়ার। আর সত্যি কথা হচ্ছে আমরা চাইলেই আমেরিকা যেতে পারি, হ্যাঁ আমরা সত্যি বলছি, চাইলে আপনিও যেতে পারেন। এখন আপনি বলতে পারেন এতই কি সহজ আমেরিকা যাওয়া? আমরা বলবো হ্যাঁ আসলেই সহজ আমেরিকা যাওয়া। যদি আপনি আমেরিকা যাওয়ার একজন যোগ্য ব্যক্তি হন। আমরা কিন্তু আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার কথা বলছি।
এখন বলি সঠিক যোগ্যতার মাপকাঠি কি? আসলে এই ব্যাপারে কোন দিক নির্দেশনা নেই, ইউএস এম্বাসির ওয়েবসাইটেও এর কোন চেকলিস্ট বা ক্রাইটেরিয়াও নেই। যেইটা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই এই ক্রাইটেরিয়া ও চেকলিস্ট গুলো ফুলফিল করলে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। তাহলে আপনি বলতে পারেন আমি তাহলে কোন যোগ্যতার কথা বলছি? আসলে যোগ্যতার কোন মাপকাঠি নেই এই ক্ষেত্রে আমি আপনাকে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি যেহেতু আমরা অনেক ফাইল প্রসেস করেছি তাই কেন ভিসা পেয়েছে বা রিফিউজ হয়েছে তা বুঝতে পারছি, তাই একজন ব্যক্তি বা একটি পরিবার যে বিষয় গুলো মেনে তার প্রোফাইল গুলো ঘুছাতে পারলে তার কাঙ্খিত ভিসাটি পেতে পারে, তার একটি বিস্তর ধারণা দিচ্ছি।
আর হ্যাঁ, মাঝখানে ছোট করে একটি কথা বলি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসাটি মূলত ইন্টারভিউ নির্ভর একটি ভিসা। ৫ থেকে ৭ মিনিটের ছোট একটি ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে ভিসাটি হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশের মতো ডকুমেন্ট ভিত্তিক ভিসা নয়। ইন্টারভিউটি আপনি বাংলা অথবা ইংলিশে দিতে পারবেন।
যাক আগের কথায় আসি, আমরা প্রথমেই যে ভুল কাজটি করে থাকি সেটি হলো সঠিক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করে ফেলি। যে কারণে রিফিউজও হয়ে যাই। তাহলে অল্প করে ধারণা দিচ্ছি কি কি যোগ্যতা না থাকার কারণে ভিসা রিফিউজ হয়।

🔮প্রথমত আমরা একেবারে সাদা পাসপোর্টে কোন দেশ ট্রাভেল করা ছাড়া ইউএস ভিজিট ভিসার জন্য দাঁড়িয়ে যাই, যেই ভুলটি আমরা অনেকে করে থাকি। আবার অনেকে আপনার ফাইল প্রসেস করার জন্য বলে, সাদা পাসপোর্টে ভিসা হয় এটি একবারে ভুল কথা। আপনি ভিসা অফিসারের কাছে একজন ট্রাভেলার হিসেবে কিভাবে প্রমাণ করবেন যে আপনি আমেরিকা গিয়ে আবার ফিরে আসবেন? যেহেতু এটি একটি টুরিস্ট ভিসা আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি একজন ট্রাভেলার। আর প্রমাণ করার একটি ভালো মাধ্যম হলো আমাদের দেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো টুরিস্ট ভিসায় ভিজিট করা। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ট্রাভেল না করে আমেরিকার মতো প্রথম সারির দেশে কেন ঘুরতে যাবেন? হয়তো আপনি উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
তবে আপনার যদি বয়স বেশী থাকে বা নিজ পরিবার ও আত্মীয়র মধ্যে কেউ যদি আমেরিকায় থাকে সেক্ষেত্রে তেমন একটা ভিজিট না থাকলেও হবে, যেমন ধরেন আপনার বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, চাচা-চাচি, কাজিন কেউ যদি আমেরিকায় থাকেন সেখানে ওনাদের দেখতে যাবেন বা ওনারা কোন প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করেছেন সেখানে আপনি উপস্থিত থাকার কারণ দেখিয়ে আমেরিকা ভিজিট ভিসায় যেতে পারেন যদিও তার যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
অনেকে বলে আমেরিকা থেকে আপনার জন্য ইনভাইটেশন এনে ভিসা করিয়ে দিবে, এটিও ভুল কথা। আপনি চিন্তা করে দেখেন অচেনা লোক বা দূর সম্পর্কের কেউ কেন আপনাকে ইনভাইটেশন দিবেন? যদি দিয়েও দেন সেই ইনভাইটেশনে কোন কাজে আসবে না। আর ইনভাইটেশন ব্যাপারটি শুধুমাত্র মেডিকেল ইমারজেন্সি, বিজনেস, কনফারেন্স, বিয়ে, জন্মদিন এবং ট্রেড ফেয়ার এর ক্ষেত্রে কিছুটা কার্যকর হয়।
🔮 দ্বিতীয়ত আপনি আপনার দেশে প্রতিষ্ঠিত, প্রতিষ্ঠিত মানে হচ্ছে আপনি বাংলাদেশে একজন ব্যবসায়ী বা ভালো কোন জব করেন, আর্থিকভাবে যথেষ্ট সচ্ছল আপনার আমেরিকাতে গিয়ে টাকা পয়সা খরচ করার মতো সামর্থ্য আপনার আছে, এর মানে আপনি আমেরিকাতে যাবেন এবং ফিরে আসবেন। আমার এই কথাটি পড়ে হয়তো চিন্তা করছেন অনেক টাকা থাকলে বা অনেক টাকা ইনকাম করলে হয়তো আমেরিকায় যেতে পারব। তাই না? কথাটি যদিও সত্য, কিন্তু আমরা যারা ভালো কোন দেশে যাওয়ার চিন্তা করি, তখনি যখন এটলিস্ট কিছু ভালো পরিমাণ টাকা আমাদের কাছে থাকে। তাহলেই আমেরিকার ভিসা নিয়ে চিন্তা করি। সেক্ষেত্রে আমরা ভালো জব বা ভালো ব্যবসা দেখাতে পারি। হয়তো আমি কি বুঝাতে চেয়েছি বুঝতে পারছেন।
যাইহোক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্পটি এই কারণেই বললাম। বলার কারণ কি জানেন? ভিসা অফিসার চিন্তা করেন আপনি আপনার দেশে যে পরিমাণ টাকা উপার্জন করেন, হয়তো সেখানে গিয়ে আরো ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করলে আপনি দেশে ফিরবেন না। এটা চিন্তা করে ভিসা অফিসার আপনাকে ভিসাটি নাও দিতে পারে। ইউএস এম্বাসির ওয়েবসাইটে লেখা আছে আপনি যখন নন ইমিগ্রেন্ট তথা টুরিস্ট ভিসায় (B1/B2) আবেদন করেন, ইন্টারভিউর আগের সময় পর্যন্ত ভিসা অফিসার ধরে নেন আপনি আমেরিকাতে গিয়ে আর ফিরে আসবেন না।
🔮 তৃতীয় কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান এম্বাসির একটি অনলাইন ফর্ম আছে ফর্ম টিকে বলা হয় DS-160, ভিসা অফিসারের সামনে নিজেকে প্রেজেন্ট করার সবথেকে বড় একটি মাধ্যম, তবে একটি দুঃখের বিষয় কি জানেন? আমরা DS-160 ফর্মটিকে নিয়ে অবহেলা করি। যেমন অনভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে DS-160 ফর্মটি পূরণ করানো এবং অনভিজ্ঞ কারো সাথে পরামর্শ নেওয়া। অনেকেই এই ক্ষেত্রে খরচ কমানোর জন্য যেখানে সেখানে মোটামুটি ব্রাউজ করতে পারে বা কোন এক কম্পিউটার দোকান থেকে DS-160 ফর্মটি পূরণ করে। এমন কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেয় সে হয়তো আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞ নন, হয়তো বা তিনি একবার ভিসা পেয়েছে, কিন্তু ভিসা পাওয়ার মানে এই নয় যে তিনি সব ব্যাপারে জেনে গেছেন। তাই এরকম অনেকের পরামর্শ নিয়ে ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করে বা ইন্টারভিউ দিয়ে অনেকেই রিফিউজ হয়েছে। কেননা DS-160 ফর্মটি ওভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে যাতে করে ভিসা অফিসার আপনার সম্পর্কে যা জানার বা ডিসিশন নেওয়ার দরকার তা সব ইনফরমেশন DS-160 ফর্মটি থেকে পেয়ে যান।
🔮চতুর্থ যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সেটি হলো ইন্টারভিউ, যেহেতু আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা একটি ইন্টারভিউ নির্ভর ভিসা সে ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারভিউতে ভিসা অফিসারকে কনভেন্স করতে হবে যে আপনি যাবেন আবার ফিরে আসবেন, এজন্য অবশ্যই আপনার একটি বিশ্বাসযোগ্য গল্প থাকতে হবে। এটির মাধ্যমে ভিসা অফিসারকে বোঝাতে হবে -আমি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত, -আমেরিকা যাওয়ার আমার যৌক্তিক কারণ আছে এবং -আমি আমেরিকাতে গিয়ে ঘুরে ফিরে আসবো।
এই যে আমি বললাম আপনি যে ফিরে আসবেন, এটা কনভেন্স করতে হবে, এটা কনভেন্স করার উপায় কি? কাজ হচ্ছে DS-160 ফর্মটি সুন্দর ভাবে, নির্ভুল ভাবে পূরণ করা। অনেকেই (DS-160 ফর্ম ও ইন্টারভিউ) এই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয়কে আলাদাভাবে পার্সেন্টেজ করে। আমরা এই কাজটি করব না কারণ এই দুইটির কম্বিনেশনে কাঙ্খিত ভিসাটি আপনার হবে।
আমরা আরেকটা বড় ভুল করি ডকুমেন্টকে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া ও প্রচুর ডকুমেন্ট রেডি করা, যেগুলো আসলে ইন্টারভিউতে ধরেও দেখবেন না, তবে কিছু ডকুমেন্ট ভিসা ইন্টারভিউর সময় নিয়ে যেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ থাকলে ভিসা অফিসার দেখতে চাইবে। অনেকের মাথায় চিন্তাটি থাকে ব্যাংক ব্যালেন্স কত থাকতে হবে, ট্রানজেকশন কেমন করতে হবে, ব্যাংকে কত টাকা রাখতে হবে। এই প্রশ্নের আসলে কোন উত্তরই নেই, ডকুমেন্ট এর মতো আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক ব্যালেন্সও ভিসা অফিসার ধরেও দেখবেন না। যদিও দেখে খুব রেয়ার কেসে। আমাদের কথাটি হয়তো বুঝতে পেরেছেন ইউএস টুরিস্ট ভিসা ক্ষেত্রে এইসব ডকুমেন্টারি ইস্যু আপনার জন্য কোন ধরনের ভ্যালু রাখে না।
আমেরিকার ভিসার ব্যাপারে কোনভাবে আপনারা কন্ট্রাকে কারো সাথে যোগাযোগ করবেন না। কোনভাবে কন্ট্রাকে আমেরিকার ভিসা নিবেন এই বিষয়টি মন থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলে দিন। আমেরিকার ভিসা কন্ট্রাকে বা টাকা পয়সা দিয়ে কোনভাবে নেওয়া যায় না। সঠিকভাবে আবেদন করে ও সঠিকভাবে ইন্টারভিউ দিয়ে আপনি পেতে পারেন আমেরিকার টুরিস্ট (B1/B2) ভিসা।
💲 আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার বর্তমান এম্বাসি ফি ১৮৫$ ডলার যা বাংলাদেশ এর টাকায় কনভার্ট করলে যা আসে। এই টাকা শুধুমাত্র EBL অর্থাৎ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এ জমা দেওয়া যায়। এই টাকা জমা দিয়ে ইন্টারভিউ এর ডেট নিতে হয়।
🔷 সর্বপরি একটা কথা বলবো, আমেরিকার টুরিষ্ট ভিসার ক্ষেএে যদি DS-160 ফর্মটি একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা পূরণ করাতে পারেন, কারণ এই ফর্ম এর উপর আপনার ভিসা অনেকাংশ নির্ভর করে ও আমেরিকা যাওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেন। এবং ইন্টারভিউতে ভিসা অফিসারকে সন্তুষ্ট করতে পারলে, আপনার ভিসাটি হবে ইনশাল্লাহ।
আপনারা যারা ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্টটি পড়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। ❤️
🟢 আচ্ছা এখন বলি আমাদের কাজ কি। আমরা আপনাকে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা (B1/B2) প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে থাকি। যেমনঃ-
১। DS-160 ফর্ম সঠিক ও সুন্দর ভাবে পূরণ করে দিবো।
২। ইন্টারভিউ এর জন্য ট্রেনিং দিয়ে পুরোপুরি তৈরী করবো।
৩। ইন্টারভিউ এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তার সঠিক গাইড লাইন দিবো।
🟢 আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার যা প্রয়োজনঃ-
১। পাসপোর্ট এর রঙিন কপি।
২। দুইটা ফোন নাম্বার।
৩। একটা ই-মেইল আইডি।
৪। ছবি (২x২ সাইজ) সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড (সফট কপি)।
এগুলো থাকলেই আপনি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনটি করতে পারেন।

18/11/2023

আনুশকরা কখনই বিরাট কোহলিদের তৈরী করেনি।

প্রচণ্ড একাগ্রতা, পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমেই কেবল একজন বিরাট কোহলি হওয়া যায়, তখন আশেপাশে আনুশকাদের অভাব হয় না।

তবে কোন সফল পুরুষের পিছনে যদি কোন নারী থেকে থাকেন সেটা প্রায় সময়ই তার মা কিংবা খুবই সাদামাটা আটপৌরে একজন নারী যে কখনই "সফল হবে একদিন" এই কথা ভেবে পাশে থাকেনি।

ভালোবাসে বলেই থেকেছিলো, সাফল্য সেই ভালোবাসার একটা উপজাত মাত্র।

সফল পুরুষরা প্রায়ই মহাশূন্যের মত একা, ভয়ংকর রকম একাকিত্বের সাথে লড়াই করেই তাদের পৃথিবীর বুকে চিহ্ন আঁকতে হয়েছে।

~মোঃ আসিফ উর রহমান

বয়স যদি হয় ১৮-২৫ তাহলে এই বিষয়গুলো আপনার জন্য।১. যাদের পাসপোর্ট নেই তারা ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করে ফেলুন।২. পুলিশ ...
18/11/2023

বয়স যদি হয় ১৮-২৫ তাহলে এই বিষয়গুলো আপনার জন্য।

১. যাদের পাসপোর্ট নেই তারা ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করে ফেলুন।

২. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট করে রাখুন।

৩. ২-৩ ধরনের CV তৈরি করে রাখুন।

৪. একটা ইনকাম সোর্স তৈরি করুন বা এমন একটা দক্ষতা অর্জন করুন যা দিয়ে ইনকাম করা যায়।

৫. ফ্যামিলি সাপোর্ট ভালো থাকলে দেশ-বিদেশ ট্রাভেল এর চেস্টা করুন।

৬. ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠুন।

৭. গাড়ী ড্রাইভিং শিখে রাখুন।

৮. কম্পিউটারের বেসিক প্রোগ্রামগুলো শিখে রাখুন।

৯. রান্না বা নিজের খাবার নিজে তৈরী করা শিখুন।

১০. বিনোদনের পিছনে সময় নষ্ট না করে পেশাদার যেকোনো কাজ শিখে রাখুন।

১১. ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসুন।

১২. ভাগ্যে থাকলে বিদেশ যাবেন, তাই বলে কাজ বন্ধ না করে কাজ শিখুন অথবা চাকুরি করুন,
ডিপ্রেশন আসবে না, বিদেশ গিয়ে কাজ করতে হতাশ হবেন না।

একটা সময় যখন নিজের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভূগবেন।
তখন এসবকিছুর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন।

সবশেষে সবার জন্য দোয়া রইল ও আমার জন্য দোয়া করবেন।

[চরম বাস্তবতা]
18/11/2023

[চরম বাস্তবতা]

মাত্র ৩৫ বছর বয়সী এই ভদ্রমহিলা চ্যাটজিপিটি-এর নতুন সিইও হয়েছেন আজ। আজকের দুনিয়ার সবচে' পাওয়ারফুল দায়িত্বগুলোর একটা নি:সন...
18/11/2023

মাত্র ৩৫ বছর বয়সী এই ভদ্রমহিলা চ্যাটজিপিটি-এর নতুন সিইও হয়েছেন আজ।

আজকের দুনিয়ার সবচে' পাওয়ারফুল দায়িত্বগুলোর একটা নি:সন্দেহে।

নাম মীরা মুরাতি।

খুবই ইমপ্রেসিভ প্রোফাইল।

উনার জন্ম এক আলবেনিয়ান মুসলিম পরিবারে।

আন্ডারগ্র‍্যাড করেছেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ।
তারপর গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন এনালিস্ট হিসেবে।

এক এরোস্পেস কোম্পানিতে কাজ করেছেন হার্ডওয়্যার প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে।

তারপর ইলন মাস্কের সাথে টেসলায় যোগ দিয়েছেন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লীড হিসেবে।

এরপর দালি নামের আর্টিফিশিয়াল আর্টিস্ট প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। ভদ্রমহিলা পেশাদার আর্টিস্ট।

চ্যাটজিপি-তে আগের দায়িত্ব ছিল প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে হয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

ব্রাউন আংকেল আন্টিদের কাছে যদিও উনি খুবই ব্যর্থ মানুষ হবেন।

এখনও বিয়ে হয় নাই যেহেতু...

- Hasnath A Kalam

17/11/2023

ভার্সিটি পাশ করছি প্রায় ছয় মাস হতে চললো।

এই ছয় মাসে নানান রকমের মানুষের সাথে মিশে আমার উপলব্ধি হলো কোথাও কেউ সুখে নাই।

যার চাকরী আছে সে বলতেছে, চাকরি করা পেইন, প্রতিদিন এক জায়গায় যাওয়া বোরিং। যার চাকরি নাই সে বলতেছে চাকরি ছাড়া ঝামেলায় আছে অনেক।
যে বিসিএস এডমিন সে বলতেছে, পাওয়ার কোম্পানীতে বেতন ভালো। যে পাওয়ার কোম্পানীতে আছে, সে বলতেছে এডমিনদের সেই ক্ষমতা আছে হাতে।

যে ইন্ড্রাস্টিয়াল চাকরি করতেছে, সে বলতেছে টিচিং প্রফেশান ভালো বেশি। অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা। যে টিচার সে বলতেছে, কেন শুরুতে ইন্ড্রাস্টিতে ঢুকলাম না, এতদিনে লাখ টাকা বেতন হতো।

যে বিদেশে আছে সে বলতেছে, দেশে একটা সরকারী চাকরি করে আরামে থাকতে পারতাম, হুদাই আসছি বিদেশে।

যে দেশে আছে, সে বলতেছে বন্ধুরা সব বিদেশে মজা করতেছে, আর আমি পেইন খাচ্ছি দেশে। কী বিগাড় রে ভাই। আসল সুখ কই আছে তাইলে?"

"প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন রাখে, কবরে যাবার আগ পর্যন্ত।"

- (সূরা তাকাসুরঃ১,২)

17/11/2023
জানতেন কি?
17/11/2023

জানতেন কি?

17/11/2023

আমার অনেক বন্ধু আছে যারা কোনমতে ভার্সিটি পাশ করে বউ নিয়ে থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ ঘুরে বেড়ায় আবার অনেক বন্ধু সিজি ৪/৪ পেয়ে লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে অফিস করে...

গুলশান, বনানী যায়া দেখেন কোনমতে পাশ ইন্টার পাশ করলেই কানাডা। ফেসবুকে আমার লিস্টেও অনেকরে দেখি তাদের ছেলেমেয়েরে কানাডা পাঠায়ে রেগুলার পোস্ট দেয়। বিদেশে পড়তে আসার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, টাকা থাকলে বিদেশে পড়তে আসা এক মাসের মামলা। দুনিয়ার যেকোন দেশে যাইতে পারবেন। কিন্তু ফুল স্কলারশিপ নিয়ে আসেন, বুঝবেন এইটা রীতিমতো যুদ্ধ। কাঁধ দিয়ে পাহাড় ঠেলার মতো। ফুল ফান্ডে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করা আর সেল্ফ ফান্ডে হার্ভার্ডে পড়া লোকের মধ্যে যোগ্যতায় আকাশ-পাতাল ফারাক...

জীবনে আপনি কই যাবেন সেটা অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনারে নিচ থেকে যে ধাক্কা দিতেছে তার শক্তি কত, আই মিন বাপের টাকা। লাইফ কখনোই ফেয়ার না, এইটা যত তাড়াতাড়ি মেনে নিবেন ততই আপনার জন্য মঙ্গল ...

© Sadid Al Amaz

বাংলাদেশে সবচেয়ে থ্যাংকলেস জব কোনটি? পুলিশের চাকরি। কড়া রোদে পুড়ে খাঁক হয়ে, খিদে-তৃষ্ণা চেঁপে, ঘেমে নেয়ে একাকার ডিউটি...
16/11/2023

বাংলাদেশে সবচেয়ে থ্যাংকলেস জব কোনটি? পুলিশের চাকরি। কড়া রোদে পুড়ে খাঁক হয়ে, খিদে-তৃষ্ণা চেঁপে, ঘেমে নেয়ে একাকার ডিউটি করে যাওয়া মানুষটিকে দেখলে আপনার মাথায় প্রথমে যে চিন্তা আসবে সেটি নির্মম। আপনার ভাবনায় সে ট্রাক প্রতি, রিক্সা প্রতি দুই টাকা তোলা নিতে, ঘুষ নিতে ডিউটি করছে। আপনি তাকে ঠোলা বলে মজা নিবেন। তর্ক হলে চিৎকার করে জানাবেন সে আপনার চাকর, তার বেতন আপনি দেন!

ইতিহাস বলে স্বাধীনতার জন্য প্রথম বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে পুলিশ। প্রথম পাল্টা আঘাত করেছে তারাই তুমুল সাহসে লা'শ হয়ে যেতে যেতে। রাজারবাগে রিকয়েলেস রাইফেলের গোলায়, মেশিনগানের ব্রাশে টপাটপ ঝরে পড়ার আগে থ্রি-নট-থ্রি আর বরাদ্দ ৫টি বুলেট নিয়ে লড়ে গেছে মরে গেছে 'জয় বাংলা' রণ হুংকারে!

আমিরুল ইসলাম পারভেজ সেই বীরদের উত্তরসুরী ছিলেন। যেই দেশটাকে সুরক্ষার শপথ নিয়ে রাস্তায় ডিউটি দিচ্ছিলেন, সেখানেই তার জীবনটা নৃশংসভাবে কেড়ে নিলো সেই দেশেরই মানুষের অবয়বে থাকা পশুরা! পিটার হাসের গণতন্ত্রের প্রথম বলি পারভেজ। তার মেয়েটা যখন বাবা বাবা বলে লুটিয়ে কাঁদছে, মার্কিন এম্বেসি থেকে ধমক আসে- এই তোমরা দুস্টুমী করো না, ভিসা দেবোনা কিন্তু!

যে দেশটার জন্য অকারণে মরে গেলেন পারভেজ, সেই দেশটিকে স্বাধীন করতে আকুণ্ঠ লড়েছেন পারভেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা। সময় এবার শোককে শক্তি বানিয়ে দুর্বৃত্তদের শায়েস্তার। পারভেজের প্রতি ফোটা রক্তের ঋণ পাই পাই হিসেবে শোধ করে যেতে হবে তোদের...

লেখা- collected

নিজের অতীত জীবন নিয়ে অকপট পূজা ভাট!স্টার আনন্দ প্রতিবেদক : এক সময়কার লাস্যময়ী বলিউড তারকা পূজা ভাট সম্প্রতি এক অনুষ্ঠ...
16/11/2023

নিজের অতীত জীবন নিয়ে অকপট পূজা ভাট!

স্টার আনন্দ প্রতিবেদক : এক সময়কার লাস্যময়ী বলিউড তারকা পূজা ভাট সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এসে নিজের অতীত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি মনের অর্গল খুলে না বলা অনেক কথাই শেয়ার করেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে। কথা বলতে গিয়ে পূজা ভাট শুরুতেই বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি যে, সমাজ আমার জন্য যে বাক্সটি তৈরি করেছে তাতে টিক দেওয়ার সময় আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। এটা বুঝতে আমার কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে। আমি এমন একটা বিয়েতে আটকা পড়েছিলাম, যা আমার জন্য আদৌ ঠিকঠাক ছিল না। আমি আমার নারী সত্ত্বা হারিয়েছি। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমি কে ?।

মহেশ ভাট তনয়া পূজা ভাট এসেছিলেন ‘আনচেইন মাই হার্ট’ বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে, সেখানে এসেই ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন পূজা। তিনি কথা বলেছেন ছোট বোন আলিয়াকে নিয়েও। পূজা আলিয়ার সাফল্য নিয়ে বলেন, আমার বোন আলিয়া এত সফল কারণ ও জানে কী শেয়ার করতে হবে। ও জানে, কোনটা কোনটা নিজের কাছে রাখতে হবে, আর কোনটা নয়। তবে আমি শিখেছি যে আপনি যখন খাঁটি হন, যখন আপনি হৃদয় থেকে কথা বলেন, আর তখনই সংযোগ তৈরি হয়। যখন আমি আমার জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, আমি উপভোগ করছি তারা যাকে খ্যাতির চতুর্থ মৌসুম বলে। একজন শিল্পীর জীবনে চারটি ঋতু থাকে। প্রথমে তারা বলেন যে তার সম্ভাবনা আছে, তারপর তারা বলেন তিনি এসেছেন, তারপর তারা বলেন তিনি শেষ হয়ে গিয়েছেন এবং তারপর আবারও বলা হয় যে, তিনি ফিরে এসেছেন। আর তাই আমি বোম্বে বেগমদের সঙ্গে ফিরে এলাম।

পূজা বলেন, আমি এমন একটা বিয়ে করেছি যা ভেঙে গিয়েছে। এটা কোনও বেদনাদায়ক পরিস্থিতির কারণে ভাঙেনি, বরং বিষয়টা বিরক্তিকর ছিল। আমরা কেউই কাউকে প্রতারণা করিনি, আমাদের এই বিয়ে নিয়ে আগ্রহই ছিল না। একজন মহিলা হিসেবে, আমি বুঝতে পেরেছি যে, সমাজ আমার জন্য যে বাক্সটি তৈরি করেছে তাতে টিক দেওয়ার সময় আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। এটা বুঝতে আমার কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে। আমি এমন একটা বিয়েতে আটকা পড়েছিলাম যা আমার জন্য আদৌ ঠিকঠাক ছিল না। আমি আমার নারী সত্ত্বা হারিয়েছি। আমি ভুলেই গিয়েছিলান আমি কে ?। তিনি (আমার স্বামী) একজন দারুণ মানুষ ছিলেন, কিন্তু আমার মধ্যে একাকীত্ব তৈরি হয়।

কথায় কথায় পূজা আরও বলেন, আমি আমার ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে অ্যালকোহলে ডুবে যাই। আটকে পড়িছিলাম, যেন আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। প্রথমে একজন ভালো স্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছি, তারপর বোতল ডুব দিয়ে তৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করি। আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম খারাপ সম্পর্ক এবং বোতলের মধ্যে পার্থক্য কী ? আমি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এসব করেছি। ধীরে ধীরে যন্ত্রণা ও শূন্যতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে শিখেছি। তারপর ধীরে ধীরে অ্যালকোহল মুক্ত হই। শান্তি ফিরে আসার পর সাত বছর হয়ে গিয়েছে।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladeshi People Living in France posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladeshi People Living in France:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

আমাদের উদ্দেশ্য

প্রিয় সুধী, ফ্রান্সে প্রবাসীদের সুবিধার্থে হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালনকে মূল মন্ত্ররূপে সামনে রেখে ফ্রান্সে বাংলাদেশিরা এগিয়ে যাবে এই উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই ছোট প্রয়াস। সকলের সুবিধার্থে তথ্য শেয়ার করা হবে বিনামূল্যে।

প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা,অনুভূতি অথবা যে কোন বিষয়ে আপনি কমিউনিটির সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলে লেখা পাঠাতে পারেন।তথ্য এবং পোস্টের কপিরাইট আপনার নামেই থাকবে,আমরা শুধু সম্পাদন করব।

আমাদের প্রত্যাশা আমরা সবাই মিলে ফ্রান্সের মাটিতে বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে তুলে ধরব।প্রবাসীদের উপকার হবে এমন সকল তথ্য বিনামূল্যে শেয়ার করা হবে এবং কমিউনিটিতে যেকোন অসঙ্গতি দৃশ্যমান হলে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।আমরা আপনাদের কথা দিচ্ছি,বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলে বন্ধ করব সকল অন্যায়।

চলুন আমরা সবাই মিলে ফ্রান্সের বাংলাদেশিদের উপকারে এগিয়ে আসি এবং এদেশে সম্মানজনকভাবে দেশকে উপস্থাপন করি।