18/02/2023
ছেলে সিঙ্গেলদের কারণগুলো
l রাজনৈতিক বড় ভাইদের মতো আমার চেহারায়ও ভাই ভাই একটা ভাব আছে। ফলে যেকোনো মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলেই ‘ভাইয়া’ ডেকে বসে।
l আমি যে সিঙ্গেল, এটা আমি ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করে না।
l প্রেমিকাদের প্রিয় খাবার রেস্তোরাঁর চিকেন। হলে থাকার কারণে প্রতিদিন ডাইনিংয়ে এক পিস করে মুরগির টুকরো খেতে খেতে মুরগির প্রতি আমার বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। প্রেমিকার সঙ্গে রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেই মুরগিকে ‘চিকেন’ ভেবে খাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
l ‘বাবু’ বলতে আমি কিউট কিউট ছোট বাচ্চাকে বুঝি। ২০-২৫ বছরের কাউকে আমি আদর করে ‘বাবু’ ডাকতে পারি না।
l প্রেমিকার সঙ্গে ফুচকা খাওয়া প্রেমিকদের প্রধান দায়িত্বের একটা। হাসি হাসি মুখ করে রাস্তাঘাটে যখন-তখন ফুচকার মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে আমার প্রবল আপত্তি আছে।
l ‘স্টার জলসা’র রাশি কেন মারা গেল, কিংবা রাশি মারা না গেলে কেন মারা গেল না—এই বিষয়বস্তু নিয়ে কারও সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।
l অপেক্ষা করতে পারা প্রেমিকদের আরেকটা বড় গুণ, যেটা আমার নেই। কারও জন্য এক মিনিট অপেক্ষা করতে শুরু করলেই নিজের ওপরই বিরক্তি চলে আসে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা অসম্ভব।
l পিচ্চিদের মুখে আধো আধো বোল বড় আদুরে শোনায়। তাই বলে এই বয়সে এসে ‘ওলে আমাল বাবুতা’-টাইপের কথাবার্তার চর্চা অসম্ভব।
l একজনের পোষা বেড়াল কেন রাতে খায়নি, সে জন্য আবেগময় গলায় কাউকে সান্ত্বনা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
l সারা রাত পুটুর-পুটুর করে ‘খাইছ?’, ‘কী দিয়ে খাইছ?’, ‘কীভাবে খাইছ?’, ‘কেন খাইছ?’, ‘তাহলে তুমি খাইছ!’ ধরনের আলাপ আমার ভালো লাগে না।
l সিঙ্গেল থাকা একটা শিল্প। সবাই এটা পারে না।
l বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার মধ্যে হুট করে মোবাইল ফোন কানে চেপে সাইডে গিয়ে কথা বলা সম্ভব না।
l আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড একান্তই নিজের ব্যাপার। এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে আমার রুচিতে বাধে।
মেয়ে সিঙ্গেলদের কারণগুলো
l আমাকে দেখলেই ছেলেরা মনে করে, আমার কমপক্ষে দু-চারটা বয়ফ্রেন্ড আছে। এ জন্য সাহস করে কেউ এগিয়ে আসে না।
l একটা ছেলে সব সময় আমি কী করছি না করছি এসবের খোঁজখবর রাখছে—এটা আমার ভীষণ অপছন্দ।
l রাত জেগে ফুটবল খেলা দেখে ফোন করে কেউ কান্নাকাটি করবে আর রিয়াল মাদ্রিদ কেন গোল পেল না কিংবা বার্সেলোনা কেন কাপ জিতল না—এসব নিয়ে আলোচনা করবে, আর আমি সেটা শুনব! উফ্! অসহ্য!
l কারও সকালে ক্লাস বা পরীক্ষা, আর তাকে ডেকে দেওয়ার জন্য সাতসকালে আমাকে ঘুম ভেঙে ডাকাডাকি করতে হবে। অসম্ভব।
l আমাকে সময় না দিয়ে কেউ ভিডিও গেমস খেলে সময় নষ্ট করবে আর সেটা আমাকে মানতে হবে। এ রকম কিছু সম্ভব না।
l সকাল ১০টায় বের হওয়ার কথা দিয়ে সাড়ে ১০টায় ফোন দিয়ে শুনব এখনো ঘুমে। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না।
l রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় বিল দেওয়ার কথা ভেবে কেউ বাঁকা চোখে তাকাবে, এটা আমার একদমই পছন্দ না।
l তাহসানের গান শুনি কিংবা নাটক দেখি বলে কেউ আমাকে হাসি-ঠাট্টা করবে আর আমি সেটা মেনে নেব! কক্ষনো না।
l এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না কিংবা করলে কেন করছি—আমার ওপর কেউ এমন খবরদারি করবে, তা আমি মানতে পারি না।
l আমাকে সময় না দিয়ে জরুরি কাজের কথা বলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবে, এ রকম মিথ্যুক কারও সঙ্গে চলা সম্ভব না।
l আমি যখন সিরিয়াল দেখব তখন কেউ ফোন দিয়ে বিরক্ত করবে, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না।
l মোবাইল ফোনে ওয়েটিং পেলেই কিংবা চ্যাটে রিপ্লাই দিতে দেরি হলেই তার জন্য জবাবদিহি করতে পারব না।
l আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আমার একান্তই নিজের ব্যাপার। এটা আর কারও সঙ্গে শেয়ার করতে আমার রুচিতে বাধে।