Al Firdaws

Al Firdaws Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Al Firdaws, TV Network, .
(8)

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِ...
18/03/2024

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ * أياماً مَّعدوداتٍ)
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العالمين حمدًا كثيرًا طيبًا مباركًا فيه، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، أما بعد:

ইসলাম যে বিষয়গুলোর প্রতি খুব গুরুত্ব ও উৎসাহ প্রদান করেছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মহান একটি বিষয় “উত্তম চরিত্র”। অনেকেই উত্তম চরিত্র শব্দটি শুনেছেন কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি উত্তম চরিত্র বলতে কী বুঝেন? এর সংজ্ঞা কী? এর উপাদান কী? এর ভিত্তি কী? তাহলে অনেকেই এই প্রশ্নগুলোর সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হবে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উত্তম চরিত্রের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। রাসূলকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়:
أكثر ما يدخل الناس الجنة,
“কোন জিনিস মানুষকে অধিক পরিমাণে জান্নাতে প্রবেশ করাবে?”
জবাবে তিনি বলেন:
قال: “تقوى الله وحُسن الخُلُق”
“আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২০০৪]

আল্লাহর ভয় আপনার ও আল্লাহর মধ্যকার বিষয় আর উত্তম চরিত্র আপনার ও মানুষের মধ্যকার বিষয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
“إنّ الرجل ليُدرك بحُسن خلقه درجة الصائم القائم”
“নিশ্চয়ই একজন ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে রোযাদার নামাযীর মর্যাদা লাভ করে”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২৫৫৩৭]

চিন্তা করুন! আমাদের কাছে একজন রোযাদার নামাযী আছে এবং একজন উত্তম চরিত্রবান আছে। উত্তম চরিত্রবান লোকটি উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে রোযাদার নামাযীর মর্যাদা লাভ করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “কেয়ামতের দিন [বান্দার আমলের] পাল্লায় সবচেয়ে ভারি বস্তু হবে উত্তম চরিত্র”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং, ২৭৫৫৫]

যা-ই হোক, উত্তম চরিত্রের সংজ্ঞা কী? আজকের মজলিসে আমরা তা জানব। একজন মুসলিমকে কীভাবে চেনা যাবে বা একজন মুসলিম নিজেকে কীভাবে যাচাই করবে? সে কীভাবে নিজেকে জানবে যে, তার মাঝে উত্তম চরিত্র আছে নাকি নেই?

উত্তম চরিত্রের সংজ্ঞায় ইমাম হাসান আল-বসরী রহ. বলেন: তিনটি বিষয়ের সমষ্টিকে উত্তম চরিত্র বলে। যথা:
“كف الأذى, وبذل المعروف, وبسط الوجه”
“কষ্ট না দেওয়া, ভালো কাজের প্রসার করা ও হাস্যোজ্জ্বল থাকা”।

১। কষ্ট না দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। “মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা” এর মর্ম কী? এর মর্ম হচ্ছে, কথা ও কাজের মাধ্যমে কাউকে কষ্ট না দেওয়া। যবান দ্বারা মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে সাবধান হওয়া। অন্যের গীবত, পরনিন্দা, অপবাদ, গালি, তিরস্কার, উপহাস, তাচ্ছিল্য ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। এসবই যবানের দ্বারা কষ্ট দেওয়ার নমুনা। তাইতো প্রকৃত মুমিন কে? কাকে আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন ও কার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট তা স্পষ্ট করতে গিয়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“المسلم من سَلِم المسلمون من لسانه ويده”
“সেই প্রকৃত মুমিন যার যবান ও হাত থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ থাকে”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং, ১০) যার যবান থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ থাকবে।

যে ব্যক্তি নিজের যবান সংযত রাখে না তার যবান দ্বারা মানুষ কষ্ট পাবে। সে মানুষকে গালি দেবে, তিরস্কার করবে, অভিশাপ দেবে। অনেকের যবানে তো সবসময় লা‘নত ও গীবত আঠার মতো লেগে থাকে। তাকে বলব, আপনার মাঝে উত্তম চরিত্রের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। কেননা, আপনার কথার কষ্ট থেকে মানুষ নিরাপদ নয়।

কাজের মাধ্যমেও কাউকে কষ্ট দিবেন না। মানুষের হক নষ্ট করা, অন্যায় রক্তপাত ঘটানো, যিনা, চুরি, মানুষকে প্রহার করা— এগুলো হচ্ছে মানুষকে কাজের মাধ্যমে কষ্ট দেওয়ার কিছু উদাহরণ। অতএব, উত্তম চরিত্রের সংজ্ঞার প্রথম বিষয় হচ্ছে, কথা ও কাজের মাধ্যমে কষ্ট না দেওয়া।

২। উত্তম চরিত্রের দ্বিতীয় আলামত, নেক কাজের প্রসার করা। অর্থাৎ, মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা; চাই তা সম্পদ, উপকরণ দিয়ে হোক বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে হোক কিংবা কথার মাধ্যমে হোক। আপনি মানুষকে সহায়তা করেন, তাদের সাথে উত্তম ও কল্যাণের আচরণ করেন, তাদের হাজত পূরণের চেষ্টা করেন। এসবই হচ্ছে নেক কাজের প্রসার করার অন্তর্ভুক্ত। যেমন: আপনি রাস্তায় একজনের গাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে দেখে থেমে গেলেন আর তাকে সাহায্য করলেন। এটি উত্তম চরিত্রের পরিচায়ক। কারণ, আপনি মানুষের সাথে ভালো আচরণ করেছেন। যে ব্যক্তি মানুষের সাথে ভালো আচরণ করে না তার মাঝে উত্তম চরিত্রের অভাব রয়েছে।

৩। ইমাম হাসান আল-বসরী রহ. এর উল্লিখিত উত্তম চরিত্রের তৃতীয় বিষয় হলো, হাস্যোজ্জ্বল থাকা। আপনি মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করেন। যে ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এই কাজকে সাদাকা বলেছেন। তিনি বলেছেন:
“لا تحقرنّ شيئًا من المعروف ولو أن تلقى أخاك بوجهٍ طلق”
“তোমরা ভালো কাজকে তুচ্ছজ্ঞান করো না, যদিও তা হয় তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং, ২৬২৬)

কিছুলোক আছে যারা মানুষের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করে না। সবসময় চেহারা মলিন করে রাখে। দাঁতে দাঁত পিষতে থাকে আর একে গম্ভীরতা, দ্বীনদারী, ইবাদত, যুহদ ও তাকওয়া মনে করে। সবসময় ভ্রুকুটি করে ভারাক্রান্ত চেহারায় মানুষকে সালাম দেয়। আমি বলি: তার মাঝে উত্তম চরিত্রের অভাব রয়েছে। একটি মুচকি হাসি, তথা: উপরের ঠোঁট উপরে উঠাতে আর নিচের ঠোঁট নিচে ঝুঁকাতে এবং ঠোঁটযুগল দুইদিকে প্রলম্বিত করতে আপনার কোনো কিছু খরচ হবে না। অথচ, সুবহানাল্লাহ! মানুষ হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তির ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। একজন মানুষের চেহারা যতই বিশ্রী হোক, কিন্তু সে যদি সবসময় মানুষের সামনে হাসিমুখে থাকে, তাহলে মানুষ তাকে ভালোবাসে, তার সোহবতে ও তার কথায় প্রশান্তি ও তৃপ্তি লাভ করে। পক্ষান্তরে একজন মানুষ যতই সুশ্রী হোক; তার চেহারা, চোখ, নাক সবই সুন্দর। কিন্তু সে যদি মানুষের সামনে হাসিমুখের পরিবর্তে মলিন মুখে থাকে, তাহলে মানুষ তাকে ভালোবাসে না। তার কাছ থেকে প্রশান্তি পায় না। তার কাছে নিজের দুঃখ-কষ্ট, গোপন কথা— কিছুই শেয়ার করে না।

অতএব প্রিয় ভাই, ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিন যে, উত্তম চরিত্রের আলামত তিনটি। এই তিনটি কষ্টিপাথরে নিজেকে যাচাই করুন।
১। কষ্ট না দেওয়া।
২। ভালো কাজের প্রসার করা।
৩। হাস্যোজ্জ্বল থাকা।

আমি মহান আরশের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদেরকে তাঁর পছন্দনীয় কাজ করার তাওফীক দান করেন এবং আপনাদেরকে উত্তম শ্রবণের সর্বোত্তম বদলা দান করেন, আমিন।

মূল: শায়খ খালিদ আল-হুসাইনান (আবু যায়েদ কুয়েতি) রহমাতুল্লাহি আলা

18/03/2024

আল ফিরদাউস বুলেটিন || মার্চ ২য় সপ্তাহ, ২০২৪ || Al Firdaws

শ্রেণিকক্ষে বোরকা ও নিকাব পরায় ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক।...
17/03/2024

শ্রেণিকক্ষে বোরকা ও নিকাব পরায় ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক।

সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের আইডি থেকে পোস্ট করে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান রাফি।

ভুক্তভোগী ছাত্রী তার পোস্টে লিখেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের কাজ কী? অবিবাহিত শিক্ষকদের কেন ক্লাস দেওয়া হয় যারা বোরকা এবং হিজাবের মতো এত সেনসিটিভ একটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে? ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হয়ে তার এই সাহস কিভাবে হলো? নেকাব খুলতে বাধ্য করা, পর্দাশীল মেয়েদের হেনস্তা করা, ‘মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্যাকেট হয়ে এসেছ’, ট্যুরের নাম দিয়ে নিয়ে গিয়ে বাংলা-হিন্দি গানে নিজে নাচা ও ছাত্রীদের নাচানো এসব কিছু এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা কিভাবে করে?

আরও লেখা আছে, সংখ্যাটা যদি কমও হয়, অন্য শিক্ষকরা কি এতটাই জিম্মি তাদের কাছে? নাকি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ইসলামি ভাবধারার বাইরের শিক্ষক বেশি? এই শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বলছি তোমরা এক হও। এ সকল বেয়াদব শিক্ষকদের সকল ইয়ারে ক্লাস থেকে বিরত রাখার দাবি জানাচ্ছি। চেয়ারম্যান স্যার এবং ডিন স্যারের কাছে এর একটা সুষ্ঠু ফয়সালা কামনা করছি।

পোস্টকারী নারী শিক্ষার্থীর সাথে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বললে তিনি জানান, ১ম বর্ষের ক্লাসে স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। একটা মেয়ে গরম লাগায় শক্ত একটা কাগজ দিয়ে বাতাস খাচ্ছিল। স্যার তাকে ডেকে বললেন এতো গরম লাগে প্যাকেট হয়ে আসো কেন? কী দরকার এভাবে প্যাকেট হয়ে আসার।

তিনি আরও বলেন, উনি মুখ খুললে প্রেজেন্ট নেন। মুখ না খুললে উনি শুনতে পান না, সবাইকে না, তবে ৩-৪ জনকে এমন করেছে। সোমবার একটা মেয়েকে- যে খাস পর্দা করে তাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে ‘এটা কী ধরনের হিজাবের স্টাইল?’ এমন প্যাকেট হয়ে আসার কী দরকার? অন্যদের মতো হালকা পরতে পারো না? মেয়েটা বলেছে, ‘স্যার, এটা যার যার অভিরুচি’ পরে স্যার তার উপর রেগে যায়।

শ্রেণিকক্ষে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ সোমবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন। এরপর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্যারিস রোডে এক মানববন্ধনে শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ তথ্যমতে, ঐ শিক্ষককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান।

গত ৩ সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের প্রভাবে আফগানিস্তানে বন্যা দেখা দিয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় বিশেষ করে হেরাত প্রদে...
17/03/2024

গত ৩ সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের প্রভাবে আফগানিস্তানে বন্যা দেখা দিয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় বিশেষ করে হেরাত প্রদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এতে অসংখ্য মানুষ, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইমারতে ইসলামিয়া সরকার আকস্মিক বন্যার ক্ষতি লাঘব করতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে পাওয়া তথ্যমতে, সম্প্রতি বন্যা কবলিত ৪০০জন মানুষের জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ২০৭ আল-ফারুক সামরিক শাখার ৫ম বর্ডার ব্রিগেডের একটি চৌকস উদ্ধারকারী দল। পানি বন্দী অবস্থায় আটকে পড়া মানুষগুলো হেরাত প্রদেশে অবস্থিত দেহরাত-ইসলাম ক্বালা মহাসড়কে অবস্থান করছিল। উক্ত সৈন্যদল সফলভাবে উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
তাৎক্ষণিক উদ্যোগ ও উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যম উদ্ধারকারী দলটি তাদের প্রস্তুতি ও কর্মোদ্যম মানসিকতার প্রমাণ প্রদর্শন করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমালিদের ন্যায্য প্রতিরোধ যু*দ্ধ দমনে মোগাদিশু প্রশাসনকে “বায়রাক্টার টিবি-২” ড্রোন দিয়েছে তুরস্ক। এসব ড্রোন থেকে সম্প্...
17/03/2024

সোমালিদের ন্যায্য প্রতিরোধ যু*দ্ধ দমনে মোগাদিশু প্রশাসনকে “বায়রাক্টার টিবি-২” ড্রোন দিয়েছে তুরস্ক। এসব ড্রোন থেকে সম্প্রতি প্রতিরোধ বাহিনী আ*শ-শা@বা #বের কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শরিয়া শাসিত এলাকায় ব্যাপক বিমান হা*ম #লা চালাচ্ছে মোগাদিশু বাহিনী। এতে নি*হত হচ্ছেন সাধারণ মুসলিমরা।

মোগাদিশু প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৮ মার্চ ড্রোন হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। এতে দাবি করা হয় যে, হামলাগুলো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে TB2 ব্যবহার করে চালানো হয়েছিল।

ভিডিওতে বেসামরিক যানবাহন ও কৃষকদের লক্ষ্যবস্তু করতে দেখা গেলেও মোগাদিশু প্রশাসন দাবি করে যে, হা*ম #লার লক্ষ্যবস্তু ছিলো প্রতিরোধ বাহিনী হা*রা@কা #তুশ শা*বা #ব।

তবে স্বাধীন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মোগাদিশু প্রশাসনের দাবিকৃত হামলাগুলো মূলত বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করেই সবচেয়ে বেশি চালানো হচ্ছে। গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায়ও শরিয়া শাসিত দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন হা*ম #লা চালিয়েছে মোগাদিশু বাহিনী। হা*ম #লাটি উক্ত অঞ্চলের উগুনজি এলাকায় কাজ শেষে ফেরার পথে একদল কৃষকের উপর চালানো হয়েছে। এতে ৫ জন কৃষক মারা যান এবং আরও কয়েকজন আহত হন। পরে মোগাদিশু বাহিনীর ড্রোন হা*ম #লায় প্রাণ হারানো বেসামরিক নাগরিকদের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়।

বর্তমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর তুরস্ক সবচেয়ে সক্রিয়ভাবে সোমালি প্রতিরোধ যো*দ্ধা@দের বিরুদ্ধে মোগাদিশু সরকারকে ড্রোন হামলায় সমর্থন দিয়ে আসছে। এই লক্ষ্য তুরস্ক ইসলামি প্রতিরোধ যো*দ্ধা@দের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মোগাদিশু প্রশাসনকে Bayraktar TB2 দিচ্ছে।

সোমালিয়ায় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইটারে একজন তুর্কি নাগরিক লিখেন, ❝তুরষ্ক তালিবানকে ওহাবি এবং সন্ত্রাসী বলতো, তারা ২০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সাথে একত্রে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং যু*দ্ধে হেরেছে। তারপর হঠাৎ করেই সবাই তালিবানপ্রেমী হয়ে গেল। আ*শ-শা@বা #বের সাথেও তাই হবে, যখন তাঁরা সম্পূর্ণভাবে সোমালিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিবেন।❞

গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ই*স@রা #য়েলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নি*হ #ত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও...
17/03/2024

গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ই*স@রা #য়েলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নি*হ #ত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১৫৫ জন। ১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার এই হা*ম #লার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নি*হ #তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গাজার পৃথক দুটি স্থানে ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ই*স@রা #য়েল এই হা*মলা চালায়। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় দুটি পৃথক ই*স@রা #য়েলি হা*ম #লার ঘটনায় সহায়তার অপেক্ষায় থাকা কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নি*হ #ত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি ঘটনায় ৮ ফিলিস্তিনি এবং অন্য ঘটনায় ২১ ফিলিস্তিনি নি*হ #ত হন। তারা সবাই ত্রাণ নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনায় মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ই*স@রা #য়েলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে উত্তর গাজার একটি মোড়ে ট্রাক থেকে সহায়তা নেয়ার জন্য উপস্থিত লোকজনের ওপর ই*স@রা #য়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ২১ জন নি*হ #ত ও ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়।

এর আগে গত মাসের শেষদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ই*স@রা #য়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০৪ ফিলিস্তিনি নি*হত হয়েছিল, আহত হয়েছিল অন্তত ৭৫০ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আহতরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে মেঝেতে পড়ে আছে। দুর্বল চিকিৎসা সক্ষমতার কারণে চিকিৎসা সেবা দানকারী দলগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমসিম খাচ্ছে।’

আগেরবারের হা*ম #লায় হতাহতের অধিক সংখ্যার পেছনে ই*স@রা #য়েল অতিরিক্ত ভিড়ে চাপা পড়াকে দায়ী করেছিল। আর এবারের এই হতাহতের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে দ*খ #ল@দার অপশক্তি ই*স@রা #য়েল। অস্বীকার করার বিষয়টিকে ই*স@রা #য়েলের মিথ্যা প্রচারণা কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ই*স@রা #য়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি ৩১ হাজার ২৭২ জন ফিলিস্তিনি নি*হত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২ হাজার ৩০০ শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩ শিশুসহ মোট ৭৩ হাজার ২৪ জন আহত হয়েছে।

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِ...
17/03/2024

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ * أياماً مَّعدوداتٍ)
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العالمين حمدًا كثيرًا طيبًا مباركًا فيه، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، أما بعد:
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হলো যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। রোযা নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য। [সুরা বাকারা, ২/১৮৩-১৮৪]
সম্মানিত সুহৃদগণ, রমাদান হচ্ছে আত্মশুদ্ধির প্রশিক্ষণ-গ্রহণের মোক্ষম সুযোগ। আমি এই মাসকে আত্মশুদ্ধির প্রশিক্ষণ-লাভের মোক্ষম সুযোগ মনে করি। রমাদানের হেকমত ও তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের
রব আল্লাহ তা‘আলা যেমনটি বলেছেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ*
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হলো যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। [সুরা বাকারা, ২/১৮৩]
সুতরাং, রমাদানের হেকমত হচ্ছে, মানুষের অন্তরে তাকওয়া, একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার ভয়ের বীজ বপন করা। এজন্য অনেক মানুষকে দেখতে পাবেন, যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা এই ইবাদাতগুলোর মাধ্যমে তরবিয়ত প্রদান করেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের উপর যে ইবাদাতগুলো ফরজ করেছেন সেগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই ইবাদাতগুলো পালনের মধ্য দিয়ে অন্তর পরিশুদ্ধ করা, কলব ঠিক করা এবং মানুষ আখলাক ও মাসলাকের ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন করে সর্বোচ্চ আখলাকে সুসজ্জিত হওয়া।
যেমন: আল্লাহ তা‘আলা আমাদের উপর যাকাত কেন ফরজ করেছেন? যেন মানুষ কৃপণতা, লোভ-লালসা এবং সম্পদ গচ্ছিতকরণ থেকে পবিত্র হতে পারে। যেন খরচ করা, দান করা ইত্যাদি গুণে গুণান্বিত হয়ে দানশীল ও মহান হতে পারে। যেন সে গরীব, অসহায় মুসলিম ভাই-বোনদের কথা স্মরণ করে, তাদের ব্যাপারেও চিন্তা করতে পারে।
ঠিক রোযা ফরজ করারও একটি তাৎপর্য রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা রোযার মাধ্যমে আমাদেরকে তাকওয়ার তরবিয়ত প্রদান করতে চান। মানুষ আল্লাহ তা‘আলার সাথে মুরাকাবা [আল্লাহর সাথে তার সম্পর্কের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ] করবে, ছোট-বড় সকল কাজে তাকওয়া অবলম্বন করবে। তাইতো রমাদানকে আত্মশুদ্ধির প্রশিক্ষণ-লাভের মোক্ষম সময় বলা হয়। চলুন দেখে আসি তা কীভাবে হয়!
রমাদানের আগে অনেকেই আপনাকে বলেছে: আমি ফজরের সালাত মসজিদে পড়তে পারি না। ফজরের সালাত মসজিদে পড়া তার কাছে কঠিন মনে হয়, এক্ষেত্রে সে অলসতা করে। কিন্তু যখনই রমাদান মাসের শুভাগমন হলো, আপনি দেখবেন সেই লোকগুলো হিম্মত ও সাহসিকতার সাথে, আযীমত ও দৃঢ়তার সাথে সংকল্প করেছে যে, তারা ফজরের সালাত মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করবে। অথচ তারা তা কঠিন মনে করত।
অনেক ধূমপায়ী আছে, যখন আপনি তাকে বলবেন যে, আপনি কেন ধূমপান ত্যাগ করছেন না? সে জবাব দেবে, আমি ধূমপান ছাড়তে পারছি না। মাফ করবেন, এতে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু যখনই রমাদানের আগমন হলো, সে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছে। আমি মনে করি, রমাদান অনেক মানুষের রহস্য উন্মোচন করে দেয়। কেননা, অনেকেই রমাদানের আগে এই গর্হিত কাজ ত্যাগ করতে পারছিল না। কিন্তু রামাদানে সেই ব্যক্তিকেই দশ ঘণ্টার অধিক সময় ধূমপান না করে ধৈর্যধারণ করতে দেখবেন। সে এমনটি কারো বাধ্যকরণের ফলে অপারগ হয়ে করেনি; বরং স্বেচ্ছায় করেছে। সে দূরে কোনো মরুভূমি বা জঙ্গলে গিয়ে একাকী ধূমপান করতে পারত। কিন্তু সে তা করেনি। সে জানে আল্লাহ তাআলা তাকে দেখছেন। তাই একমাত্র আল্লাহর জন্য এই দীর্ঘ সময় সে ধূমপান থেকে বিরত থেকেছে। যেহেতু সে নিজ নফসকে এই মাসে আয়ত্তে রাখতে পেরেছে, অনেক ইবাদাত ও আনুগত্যের কাজে নফসকে বাধ্য করতে পেরেছে, যা সে রমাদানের পূর্বে কঠিন মনে করত। লক্ষ করে দেখুন, সে রামাদানে নজরের হেফাজত করেছে। গালিগালাজ, হিংসা-বিদ্বেষ ছেড়ে দিয়েছে। যবানের হেফাজত করেছে। অনেক হারাম কাজ বর্জন করেছে। সুবহানাল্লাহ! সে আপনাকে বলবে, কেন আমি এগুলো বর্জন করব না? আল্লাহর শপথ! এখন আমি রামাদানে প্রবেশ করেছি, এখন আমি রমাদান মাসে আছি।
তাই বলছি, রমাদান মানুষকে কিসের তরবিয়ত প্রদান করে? রমাদান মানুষকে ইবাদাত ও আনুগত্যের তরবিয়ত প্রদান করে। রমাদান আপনাকে তরবিয়ত দেবে যে, আপনার কাছে শক্তি, সাহস ও দৃঢ়তার সম্বল আছে। আমাদের উচিত এই ঈমানী কেন্দ্রবিন্দুকে গনীমত মনে করে এর যথাযথ কদর করা। এই মাস তরবিয়ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু। এই ইবাদাতগুলো তরবিয়ত-লাভের কেন্দ্রস্থল। মানুষ এই ইবাদাতগুলো পালনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের পাথেয় অর্জন করে। নফসকে ইবাদাতের প্রশিক্ষণ দান করে। যেন রমাদানের পরেও ইবাদাত অব্যাহত রাখা তার জন্য সহজ হয়।
প্রিয় ভাইয়েরা, যেমনটি আপনাদের বলেছি, বাস্তবেই রমাদান মাস মানুষকে এমন অনেক কাজে অভ্যস্ত করে তোলে, যে কাজগুলোতে সে আদৌ অভ্যস্ত হয়নি। রমাদান আসার সাথে সাথে দেখবেন সে কিয়ামুল লাইল করছে। প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াতের জন্য সময় ও পরিমাণ নির্ধারণ করছে। মাশাআল্লাহ! দেখবেন সে অনেক হারাম কাজ থেকে বিরত থাকছে। তার হালত, আখলাক ও মাসলাক পরিবর্তন হচ্ছে। এর কারণ কী? আর কী-ই বা এর গোপন রহস্য?
এটি এমন এক সুবর্ণ সুযোগ যা আপনাকে এই নেক আমলগুলো করা এবং বদ আমলগুলো না করার ধারাবাহিকতা দান করবে। কেননা, আপনি রমাদান মাসের মধ্য দিয়ে আত্মশুদ্ধির মোক্ষম সময়কে কাজে লাগিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যে অভ্যস্ত হয়ে পাথেয় সংগ্রহ করেছেন।
আমি মহান আরশের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদেরকে তাঁর পছন্দনীয় কাজ করার তাওফীক দান করেন।
সকল প্রশংসা সমগ্র জগতের রব একমাত্র আল্লাহর জন্য।

ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণে পর থেকে স্বনির্ভর আফগানিস্তান গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাই বৈদেশিক ঋণ...
16/03/2024

ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণে পর থেকে স্বনির্ভর আফগানিস্তান গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাই বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের মুখাপেক্ষী হওয়ার পরিবর্তে দেশীয় রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, রাজস্ব বাজেটের আওতায় গেলো ২০২৩ অর্থবছরে সারাদেশে ১৭৯ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৭ বিলিয়ন আফগানি।

আর চলতি বছরে আফগানিস্তানের জাতীয় কর্ম কমিশন ইতিমধ্যেই ১৪২ টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এগুলোর বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বাজেটে মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৪০ বিলিয়ন আফগানি।

জাতীয় ক্রয় কমিশনের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় হাজারও নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এছাড়া প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশীয় পণ্য অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানত দেশের পরিবহন, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, কৃষি এবং গ্রামীন পুনর্বাসন খাতে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পগুলো বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, কৃষি, সড়ক নির্মাণ এবং নিষ্কাশন সংক্রান্ত। দ্রুত এগুলোর বাস্তবায়নের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।

অর্থনীতি বিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল লতিফ নাজারী বলেন, ইমারতে ইসলামিয়া সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের স্বনির্ভরতা অর্জন করা এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রকল্পসমূহ দেশের রাজস্ব বাজেটের আওতায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রাজস্ব বাজেটের অর্থ আমানত দারিতার সাথে ব্যবহারের পাশাপাশি বৃহৎ প্রকল্পসমূহে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে তুলতে সচেষ্ট আছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। তাই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারেও সচেতন রয়েছে এই সরকার।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিতর্কিত ‘নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন’ (সিএএ) চালু করল ক্ষমতাসীন হি*ন্দু #ত্ব@বাদী সরকার। সোমবার ...
15/03/2024

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিতর্কিত ‘নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন’ (সিএএ) চালু করল ক্ষমতাসীন হি*ন্দু #ত্ব@বাদী সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনটি কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিতর্কিত এই আইনে বলা হয়েছে যে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব হি*ন্দু #, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ও পার্সি ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভারতে গেছে, তাদের সকলকেই নাগরিকত্ব দেবে হি*ন্দু #ত্ব@বাদী এই রাষ্ট্রটি। তবে এখানে মুসলিমদের বিষয়ে কোন উল্লেখ না করে শুধু অমুসলিমদের সুরক্ষার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। যার ফলে সারা দেশেই মুসলিমদের মধ্যে তা ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

ইতোমধ্যেই আইনটি নিয়ে আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আসামে রাতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আইনের অনুলিপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে সোমবার রাতে দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হলে এর বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণ করে হি*ন্দু #ত্ব@বাদী বাহিনীর সদস্যরা।

ভারতের অন্যতম উগ্র হি*ন্দু #ত্ব@বাদী নেতা ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই দেশজুড়ে স*হিং@স বিক্ষোভের মধ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিতর্কিত সিএএ আইনটি পাস করা হয়। সেসময় স*হিং@সতায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নি*হ@ত হয়েছিল, যার অধিকাংশই ছিলো মুসলিম।

আসামে বিতর্কিত এনআরসি (নাগরিক পঞ্জি) করার পর ১১ লাখ হি*ন্দু #র নাগরিকত্ব বাতিল হলে, উদ্ভূত পরিস্থিতির সমন্বয় সাধন করতে তখন তারা এই সিএএ বিল নিয়ে আসে, যাতে করে মুসলিম বাদে বাদপড়া অন্যদের নাগরিকত্ব নিয়ে আর কোন সমস্যা না থাকে। সুতরাং এই সিএএ যে স্পষ্টভাবেই একটি মুসলিমবিদ্বেষী আইন, এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে রীতিমতো জোরদার হা*ম@লা চালাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যো*দ্ধা #রা। সেই ধারাবাহিকতায় মু*জা@হি ...
15/03/2024

সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে রীতিমতো জোরদার হা*ম@লা চালাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যো*দ্ধা #রা। সেই ধারাবাহিকতায় মু*জা@হি #দগণ সম্প্রতি মোগাদিশু বাহিনী থেকে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৩টি গুরত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শাহাদাহ এজেন্সি ও স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শাবাব মু*জা@হি #দিন গত ১০ মার্চ রবিবার ১২ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে জালাজদুদ রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ ২টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। প্রথমে মু*জা@হি #দগণ ভোর রাতের অভিযানে রাজ্যটির আমারা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন। আর কয়েক ঘন্টা পরে রাজ্যটির মিসগাওয়াই শহরেরও নিয়ন্ত্রণ নেন মু*জা@হি #দগণ।

ভোর রাতে আমারা শহর শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর থেকেই অনেকটা ভয়ে ছিল মিসগাওয়াই শহরে অবস্থিত মোগাদিশু বাহিনী। আর এই ভয়ের কারণে দুপুরে কিছুক্ষণ আগে প্রতিরোধ যো*দ্ধা #রা যখন আমারা শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন, তখন মোগাদিশু বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিবর্তে পালাতে শুরু করে। ফলে সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেন ইসলামি প্রতিরোধ যো*দ্ধা তথা মু*জা@হি #দগণ। এসময় তাঁদের হা*ম@লায় ১ সেনা নি*হ@ত এবং অন্য এক সেনা সদস্য আহত হয়।

এদিকে গত ৯ মার্চ শনিবার, কোনো যু*দ্ধ ছাড়াই একই রাজ্যের বাকাদাউইন শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন মু*জা@হি #দগণ।

প্রতিরোধ বাহিনীর সামরিক মুখপাত্র জানান যে, মু*জা@হি #দগণ শহরগুলো বিজয় পর মোগাদিশু বাহিনীর সমস্ত সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রগুলো গনিমত হিসাবে জব্দ করেছেন।

এশিয়ার মেগা প্রজেক্ট ‘CASA-1000’ এর কাজ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দিল ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জা...
15/03/2024

এশিয়ার মেগা প্রজেক্ট ‘CASA-1000’ এর কাজ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দিল ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতি অনুসারে, এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রজেক্ট CASA-1000 এর কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল।

২দিন ব্যাপী বৈঠক শেষে গত ৯ মার্চ একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়। বিশ্বব্যাংকও এই গুরুত্বপূর্ণ ও মেগা প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করতে আর্থিক সহায়তার দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। চলতি বছর মার্চের শেষ দিকে প্রজেক্টটির কাজ পুনরায় শুরু করা হবে, এবং আগামী ২ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, CASA-1000 হলো মধ্য-এশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় নবায়নযোগ্য বিশুদ্ধ শক্তির বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি বৃহত্তর প্রজেক্ট। এর মাধ্যমে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান।

প্রজেক্টটি বাস্তবায়নে কিরগিজস্তানের ডাটকা থেকে পাকিস্তানের পেশোয়ারের নওশেরা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮৭ কিলোমিটারের সুদীর্ঘ ট্রান্সমিশন লাইন ও ৪ হাজার ২৬৪টি ট্রান্সমিশন টাওয়ার স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে ৩০০ ও পাকিস্তান সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর বিশাল চাহিদা পূরণ করা হবে।

২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে এই মেগা প্রজেক্টটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে সে সময় এর কাজ শুরু করতে পারেনি দেশগুলোর সরকার।

আফগানিস্তানের মধ্যদিয়ে ৫৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বৃহৎ ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের পরিকল্পনাও কাজ শুরুর অন্যতম প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। কেননা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা না থাকায় এবং আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্তানের তৎকালীন বৈরী সম্পর্কের ফলে বিশ্বব্যাংক এই মেগা প্রজেক্টে সহায়তা প্রদান করা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলো।

মূলত ২০০৬ সালে এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যখন কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানে তাদের প্রয়োজনের অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে তা বিক্রয়ের প্রস্তাব দেয়।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে আমেরিকার পরাজয়ের পর তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় বর্তমানে এই মেগা প্রকল্প চালু করা সম্ভব হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বর্তমানে এর আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পবিত্র রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ হাফিযাহুল্লাহ এ...
13/03/2024

পবিত্র রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ হাফিযাহুল্লাহ একটি বার্তা প্রদান করেছেন। উক্ত বার্তায় তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা, নিপীড়িত ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সাহায্যার্থে কাজ করা ও আরও বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ প্রদান করেছেন। প্রদত্ত বার্তাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

হামদ ও সালাতের পর! আফগানিস্তানের সম্মানিত মুসলিম জাতি এবং বিশ্বে আমার সকল মুসলিম ভাই! আপনাদের ওপর আল্লাহর তা'য়ালার পক্ষ থেকে শান্তি, ক্ষমা ও রহমত বর্ষিত হোক!

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রীতি ছিল রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই সাহাবায়ে কেরাম ও অন্যান্য মুসলিমদের নির্দেশনা ও উৎসাহ প্রদান করতেন। এই রীতির চেতনা ধারণ করে আমি বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের অভিনন্দন জানাচ্ছি, বিশেষ করে আফগানিস্তানের মুসলিম জনগণকে পবিত্র রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

এই পবিত্র মাসটি তওবা এবং একনিষ্ঠ ইবাদতের সময়, এই সময়ে সকল ভাল কাজের বিনিময় অন্যান্য সময়ের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তা'আলা এই পবিত্র মাসে আপনার এবং আমাদের সকলের ওপর তাঁর রহমত বর্ষণ করুন, আমাদেরকে আন্তরিকভাবে তওবা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, আনুগত্য করা এবং ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে পূর্ণ আন্তরিকতা ও অধ্যবসায়ের সাথে রোজার পালনের শক্তি ও কল্যাণ দান করুন, আমিন।

পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। এই মাসটি আত্মশুদ্ধি, সর্বশক্তিমান আল্লাহর তা'য়ালার দিকে ফিরে আসা, মুসলিম জাতির মধ্যে সহানুভূতি ও ঐক্য গড়ে তোলা এবং দুর্বল ও দরিদ্রদের জন্য সহানুভূতি দেখানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এসেছে।

আমি আশা করি যে, রমজান মাসকে মূল্যায়ন করে মুসলিমরা এই আধ্যাত্মিক মুহূর্তগুলি থেকে উপকৃত হবেন, আল্লাহ তা'য়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং পুরস্কার কামনা করবেন।

আমি আলেম, তাবলিগ ও মসজিদের ইমামদের প্রতি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারাবীহ নামাজের পাশাপাশি এ মাসে ধর্মীয় শিক্ষা, দাওয়াহ এবং কুরআনের অনুবাদ বা ব্যাখ্যার আয়োজন করুন যাতে সাধারণ মুসলিমরা ঐশী কালামের অর্থ ও এটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে। আমি মুসলিম ভাইদেরকে পবিত্র কুরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যার পাঠে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার জন্য উৎসাহিত করছি।

রমজানুল মোবারক সহানুভূতি এবং শান্তির বার্তা বহন করে এবং এটি মানুষকে ক্ষুধা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। আমি আশা করি, সরকারি কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও সকল নাগরিক দরিদ্র মুসলিমদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন। বিশেষ করে ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক, ফিরে আসা শরণার্থী, শহীদদের পরিবার এবং বিধবা ও এতিমদের প্রতি আমাদের সহায়তা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক সময় এমন হয় যে, পবিত্র রমজান মাস আসার সাথে সাথে কিছু সুবিধাবাদী লোক বাজারে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়। আমি তাদেরকে দরিদ্র নাগরিকদের সাহায্যার্থে মূল্যবৃদ্ধি কমানোর জন্য অনুরোধ করছি। আমি সকল সরকারী দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন এবং সব শ্রেণির মানুষের সুবিধার্থে মূল্য বৃদ্ধি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করছি।

এ বছর রমজান মাস এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইহুদিবাদী হানাদাররা মুসলিম বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় অসহায় মুসলিমদের ওপর জুলুম চালাচ্ছে, আর বিশ্ববাসী তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে।

গাজায় নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর চলমান নিষ্ঠুরতা ও পাশবিকতা বন্ধের জন্য আমরা আবারও বিশ্ব সম্প্রদায়, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গাজার পরিস্থিতি মানব ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত হয়েছে। গাজায় নিষ্ঠুরতায় যেসব জাতিগুলি অবদান রাখছে বা গাজায় আগ্রাসন বন্ধে চেষ্টা করছে না, প্রকৃতপক্ষে তারা সবাই জায়নবাদী ইসরায়েলের সহযোগী।

পরিশেষে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমি সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই পবিত্র মাসের বরকত মুসলিমদের মধ্যে পরিপূর্ণ ঐক্য ও সহমর্মিতার জন্ম দিক। দোয়া করি, আল্লাহ তা'আলা তাঁর অসীম রহমতে অসহায় ও নির্যাতিত মুসলিমদের হেফাজত ও সহযোগিতা করুন।

আমি সকল মুসলিমদেরকে তাদের রাত-দিনের সব দোয়া'র মধ্যে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিশেষভাবে স্মরণ করার জন্য এবং তাদের প্রতি সম্ভাব্য সব উপায়ে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি।

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ।

শাহ ওয়া আরুস বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি আফগানিস্তানে অন্যতম একটি মেগা প্রকল্প। কাবুল প্রদেশের শাকারদারা জেলায় এটির অবস্থান। ...
12/03/2024

শাহ ওয়া আরুস বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি আফগানিস্তানে অন্যতম একটি মেগা প্রকল্প। কাবুল প্রদেশের শাকারদারা জেলায় এটির অবস্থান। শাকারদারা নদীতে নির্মিত এই বাঁধটির উচ্চতা ৭৫ মিটার ও প্রশস্ত ৬০ মিটার। এটির প্রকল্প ব্যয় ধার্য হয়েছিল প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১০ সালে তৎকালীন সরকারের শাসনামলে এটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ হয়। অতঃপর দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে অবশেষে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের শাসনামলে এটি নির্মাণের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এই বহুমুখী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত প্রধান কয়েকটি কাজ হলোঃ
১) সংশ্লিষ্ট রাস্তা, ব্রীজ অবকাঠামো নির্মাণ;
২) আরসিসি নির্মিত বাঁধ নির্মাণ;
৩) পাওয়ার হাউজ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাঠামো নির্মাণ;
৪) পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা;
৫) পাওয়ার হাউজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জামাদি স্থাপন।

পাওয়ার হাউজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জামাদি স্থাপনের কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে গত ৭ই মার্চ সংশ্লিষ্ট বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব রয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের পানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রী মুজিবুর রহমান উমর আখুন্দজাদা, কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মৌলভী সাদর আযাম উসমানী, অর্থ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ নাযারী, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মৌলভী কুদরাতুল্লাহ জামাল, শাকার দার জেলার তিন জেলা গভর্ণর এবং প্রযুক্তি বিদ্যায় পারদর্শী একাধিক কর্মী।

পাওয়ার হাউজের সরঞ্জামাদি স্থাপন হওয়ার মাধ্যমে অতি শীঘ্রই সেচ কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বাঁধটির ব্যবহার শুরু হবে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে পানি সম্পদ মন্ত্রী বলেন, বৃহৎ পরিসরে আরও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ইমারতে ইসলামিয়ার নিকট অগ্রাধিকারপূর্ণ একটি বিষয়। শাহ ওয়া আরুস ড্যামের সাথে নিকট ভবিষ্যতে আরও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প শুরু হবে বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য যে, পাওয়ার হাউজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ইতিমধ্যেই নির্মাণ সাইটে পৌঁছে গেছে। দ্রুত এগুলোর ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শাহ ওয়া আরুস বাঁধটির বার্ষিক পানি ধারণ ক্ষমতা ৩০ মিলিয়ন ঘনমিটার। এটির মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৫ মিলিয়ন ঘনমিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। একই সাথে বাঁধটি পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ২৭০০ হেক্টর জমিতে কৃষি আবাদ করা যাবে। এছাড়াও বাঁধের আটকানো পানির হাইড্রোলিক শক্তিকে ব্যবহার করে নির্মিতব্য ১.২ মেগাওয়াট ক্ষমতার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন করে আরও ৩,৫০০ টি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগ...
12/03/2024

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন করে আরও ৩,৫০০ টি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। গত ৮ই মার্চ শুক্রবার আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

ইসরায়েলের এই পদক্ষেপটি চরম নিন্দনীয় আখ্যায়িত করে বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি অবৈধভাবে দখল করার ধারাবাহিক পরিকল্পনায় এটি আরও একটি সুস্পষ্ট সীমালঙ্ঘন। তাই এই জবরদখল প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসার জন্য ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড একমাত্র ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারভুক্ত বৈধ ভূমি, এই স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইহুদি উপনিবেশকারী কর্তৃক চলমান গণহত্যা ও নিষ্ঠুর আচরণের ফলস্বরূপ অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এবং আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয় রোধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইসলামি দেশসহ সংশ্লিষ্ট সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি ইমারত সরকার। সকলে আপন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নির্যাতিত ফিলিস্তিনবাসীর পাশে দাঁড়ালে নির্বিচারে গণহত্যা এবং অবৈধ ভূমি দখল প্রতিরোধ করা সম্ভব হত।

টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন ইহুদি স্থাপনাগুলো জেরুজালেমের নিকটে অবস্থিত বসতিতে নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি পরিকল্পনাকারী সংস্থা জেরুজালেমের নিকটে অবস্থিত পশ্চিম তীরে ৩৫০০টি নতুন বসতি স্থাপনার প্রস্তাবনাটি অনুমোদন করেছে।

উল্লেখ্য যে, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সূত্র ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। তখন থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণ দখলকৃত অঞ্চলে নিজেদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ফিরে পেতে দাবি জানিয়ে আসছে।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al Firdaws posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share