গা শিউরে ওঠা ভয়ঙ্কর গল্প - Scary Ghost Stories

  • Home
  • গা শিউরে ওঠা ভয়ঙ্কর গল্প - Scary Ghost Stories

গা শিউরে ওঠা ভয়ঙ্কর গল্প - Scary Ghost Stories লোমহর্ষক সব ভৌতিক ও অপ্রাকৃতিক বাস্ত?

03/10/2022

জ্বীনেে সাথে দেখা হয়েছে কখনো?

এইখানে যাওয়ার ইচ্ছে হয় কারো?😅
27/09/2022

এইখানে যাওয়ার ইচ্ছে হয় কারো?😅

24/09/2022

নতুন স্টোরি খব শীঘ্রই আপলেড করা হবে আশা করছি পাশেই থাকবেন😊

22/09/2022

পেইজে আপলোড দেওয়া স্টোরিগুলো কি আপনাদের ভালো লাগছে?

21/09/2022
20/09/2022

কখনো কি ভৌতিক কোনো ঘটনার স্বীকার হয়েছেন?

18/09/2022

একলা ঘরে.

17/05/2022

আপনারা যারা চান তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ভৌতিক ঘটনাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে , তারা তাদের ঘটনাগুলো লিখে আমাদের ইনবক্স করে দিন। বেস্ট ঘটনাগুলো আমরা পেজ এ শেয়ার করে দিব........❤️❤️

সে আজ অনেক দিন আগের কথা। এক হাজার কি দেড় হাজার বছর তো হবেই। প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স বলে একটা জায়গা ছিল। এথেন্স কিছু অপর...
14/05/2022

সে আজ অনেক দিন আগের কথা। এক হাজার কি দেড় হাজার বছর তো হবেই। প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স বলে একটা জায়গা ছিল। এথেন্স কিছু অপরিচিত নাম নয়, সবাই এর নাম শুনেছে ইতিহাসে। এথেন্সে একটা পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রামে এক জঙ্গলের মধ্যে পুরনো একটা বাড়ি ছিল। অবশ্য বাড়িটি অনেকদিন ধরে খালি পড়ে ছিল। এক নির্জন পাহাড়ি অঞ্চল তার ওপর জঙ্গল দিয়ে ঘেরা পরিবেশ এবং লোকজন পরিতক্ত। লোকজন না থাকলেও বাড়িটা কিন্তু খুব একটা ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল না অর্থাৎ ইচ্ছে করলে পরিষ্কার করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে বসবাস করা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ওই বাড়ির মালিক কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও অনেকদিন পর্যন্ত কাউকে বাড়িটা ভাড়া দিতে পারেনি ।আসলে পাহাড়ের উপর নির্জন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত বাড়িটার বেশ কিছু বদনাম হয়ে গিয়েছিল । একবার এক শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোক এই বাড়িটা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ছুটি কাটাবার জন্য ওই কুটিতে এক রাত কাটাতে আসেন। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল লোকটির মৃতদেহ পড়ে আছে কুটির দালানে । প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় নি, তবে যারা তাঁর মৃতদেহ দেখে ছিল তাদের মধ্যে কিছু সন্দেহ দানা বেঁধেছিল।

কারন মৃত্যুর পরেও লোকটির চোখ মুখে একটা অস্বাভাবিক ভয় লেগেছিল। আর চোখ দুটো ভয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু পরে মানে বেশ কিছুদিন পর আর একজন সৈনিক ধরনের লোক বাড়িতে এসেছিল রাত কাটাতে। লোকটি ছিল অসম্ভব সাহসী। তিনি প্রাণ হারাননি ঠিকই কিন্তু তার মুখ থেকে রাতের অভিজ্ঞতা যা শোনা গিয়েছিল তা ছিল রীতিমতো ভয়াবহ।খাওয়া-দাওয়া সেরে রাত্রে সবেমাত্র তিনি ঘুমোতে গিয়েছিলেন এমন সময় হঠাৎ সে দেখতে পেলো ছাই রঙের দাড়িওয়ালা চেহারার বিশাল এক বুড়ো হাতে পায়ে শিকল পরা অবস্থায় তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ চেহারা থেকে কেমন এক ধরনের গো গো আওয়াজ বেরোচ্ছিল। সৈনিক পুরুষটি মারা যায়নি, কিন্তু অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল । পরদিন জ্ঞান ফিরে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটি ছেড়ে সে পালিয়ে যায়। সৈনিকটির মুখে শোনার পর সারা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। এমনকি দিনের বেলাতেও আর কোনও সাহসী লোক ঐ বাড়ীর দিকে পা মাড়ায়নি।

‘ভূতের বাড়ি’ তকমা লেগে গেল। এই বাড়িটির মালিক এই বাড়িটি ভাড়া দিয়েই নিজের সংসার চালাতো। কিন্তু যেই মুহুর্তে ভুতুড়ে বদনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল তারপর থেকে আর কেউই এই কুঠিটা ভাড়া নিতে রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত কুঠির মালিক জলের দরে বিক্রি করে দিতে চাইলেন কুঠিটাকে। কিন্তু কিনবে কে? শখ করে ভুতের হাতে প্রাণ দিতে কে আসবে।তবু একজন রাজি হল। কুঠির মালিক একজন খদ্দের পেলেন। লোকটি ছিলেন তখনকার দিনের একজন নামকরা দার্শনিক। দার্শনিক মানুষেরা সাধারণত নির্জন জায়গা পছন্দ করেন। তারা যুক্তি-তর্ক দিয়ে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করতে ভালোবাসেন।লোকমুখে এই কুঠিটির কথা শুনেই দার্শনিক লোকটি ওখানে এসেছিল। কিন্তু তিনি মনেপ্রাণে কোন অলৌকিক ব্যাপার বিশ্বাস করতে চাইতেন না। তিনি স্থির করলেন বাড়িতে গিয়ে তিনি উঠবেন। মানুষের মধ্যে ভুতের সংস্কারকে উড়িয়ে দেবেন। কুঠির মালিকের কাছে গিয়ে তিনি কুঠিটির কেনার কথা জানালেন। কুঠির মালিক যেন হাতে স্বর্গ পেলেন। সে ধরে নিয়েছিল যে এমন ভূতের বাড়ি কোনদিনও ভাড়া হবে না বা বিক্রি হবে না। তাই দার্শনিক ভদ্রলোকের প্রস্তাব শুনে আকাশ থেকে পড়ল সে। সঙ্গে সঙ্গে জলের দরে বাড়িটি বিক্রি করে হাফ ছাড়লেন তিনি।

যুক্তি ছাড়া দার্শনিকেরা চলেন না। যা চোখে দেখা যায় না, হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় না অথবা অন্তর দিয়ে দেখেও উপলব্ধি করা যায় না, তেমন কিছু কখনো দার্শনিকেরা বিশ্বাস করে না। নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে দার্শনিক ভদ্রলোক উঠলেন সদ্য কেনা সেই বাড়িতে। সারাদিন ধরে নিজের হাতে সবকিছু গোছালেন। নিজের হাতেই সব কাজ করতে হয়েছিল কারণ বাড়িটির এমন বদনাম হয়েছিল যে, বেশি পয়সার লোভ দেখিয়েও কোন চাকর-বাকর রাখতে পারেননি তিনি।যাইহোক সারাদিন পরিশ্রমের পর দার্শনিক ভদ্রলোক বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। খুব একটা খাবার ইচ্ছে না থাকলেও রাতে সামান্য রুটি মাংস আর কফি দিয়ে রাতের আহার শেষ করলেন। তারপর তিনি গিয়েছিলেন তার ছোট্ট বিছানায়। মাথার কাছে সেকেলে ধরনের একটা জানালা ছিল। সেটা খুলেই রাখলেন, গরমের দিন রাতের ফুরফুরে হাওয়ায় অত্যন্ত ক্লান্ত দেহে বাতি নিভিয়ে শোয়ার সাথে সাথেই তিনি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলেন।

কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলেন কে জানে? হঠাৎ, একটা অদ্ভূত আওয়াজ আর অস্বস্তির মধ্যে তার ঘুমটা ভেঙে গেল। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মানুষের হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে প্রকৃতিস্থ হতে সময় লাগে। ভদ্রলোকেরও সামান্য সময় লাগল। তিনি কোথায় আছেন? কেমন ভাবে আছেন এটুকু বুঝতে। তারপর তার সবকিছু একে একে মনে পড়ল তিনি নতুন বাড়িতে এসেছেন আর নতুন বাড়িতে এটাই তার প্রথম রাত্রিবাস মনে পরতে লাগল।

কান খাড়া করে অদ্ভুত আওয়াজ আর অস্বস্তিটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগলেন 2-3 মিনিট মরার মত পড়ে থেকে, তিনি বুঝলেন আওয়াজটা অনেকটা শেকলের আওয়াজের মত। কিন্তু খুব অস্পষ্ট। কে যেন অনেক দূর থেকে শেকল টেনে টেনে আসছে। ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন দার্শনিক ভদ্রলোক। জমাট অন্ধকার সারা ঘরে ছড়িয়ে আছে, মাথার কাছের জানালা দিয়ে কেবল আকাশ টুকু দেখা যায়। অবশ্য সেই সময় আকাশটাকে আলাদা করে চেনা যাচ্ছিল না। আকাশের রং ঘরের রং এক হয়ে গিয়েছিল।দার্শনিক ভদ্রলোক কিন্তু চট করে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলেন না। তিনি লক্ষ্য করতে চাইলেন ব্যাপারটা কি? আরও একটা অস্বস্তি তিনি অনুভব করলেন। সমস্ত ঘরের বাতাস যেন স্তব্ধ হয়ে আসছে। একটা দমবন্ধ করা গুমোট পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকটা সময় যখন এইভাবে কেটে গেল, আর জমাটবাঁধা অন্ধকারটা যখন ধীরে ধীরে সয়ে এল হঠাৎই তিনি আবিষ্কার করলেন হাতে-পায়ে শেকলবাঁধা একটা অস্পষ্ট ছায়ামূর্তি আস্তে আস্তে ভেসে উঠছে। হাত নেড়ে সেই ছায়ামূর্তিটা কি যেন বলতে চাইছে তাকে। দুটো চোখ থেকে যেন জ্বলন্ত আগুনের আভা বেরোচ্ছে। দার্শনিক ভদ্রলোক ছিলেন প্রচন্ড রকমের সাহসী। এই ভয়ানক দৃশ্য দেখেও তিনি ভয় না পেলেও একটা অদ্ভুত বিস্ময় তাকে কিছুক্ষণের জন্য আচ্ছন্ন করে ফেললো।

তিনি বুঝতে চেষ্টা করলেন জিনিসটা কি? কোনো ভয়ঙ্কর দানব, নাকি কোন অসৎ মানুষ ওইভাবে সাজগোজ করে এসে তাকে ভয় দেখাচ্ছে! শুয়ে শুয়ে এসব নানান যুক্তিতর্ক যখন তার মনে ঝড় তুলেছে তখনই তিনি দেখলেন সেই হাতে পায়ে শিকল পরা ছায়ামূর্তিটা ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছে। মূর্তিটার দু-চোখ তখনও জ্বলছে। সে যেন মুখ হাঁ করে আর হাত-পা নেড়ে কিছু বলতে চাইছে তাকে। তার হাত-পা নাড়ার সাথে সাথে শেকলের ঝনঝন আওয়াজটাও ক্রমাগত শব্দ তুলছিল। অন্য কেউ হলে এতক্ষণ নিশ্চয় অজ্ঞান হয়ে যেত অথবা দুর্বল হলে মৃত্যু হত। কিন্তু অত্যন্ত সাহসী এই দার্শনিকের কিছুই হল না। বরং তিনি যেমন ছিলেন সেই ভাবেই তাকিয়ে রইলেন ছায়ামূর্তি টার দিকে। আসলে তিনি দেখতে চাইছিলেন মূর্তিটা এরপর কি করে?

এক মুখ দাঁড়ি গোঁফের জঙ্গল আর এক মাথা চুলে মূর্তি টাকে তখন বেশ ভয়াবহ মনে হচ্ছিল। তার ওপর তার হাতের নখ গুলো বেশ বড় বড়। হাতের তীক্ষ্ণ আর বড় বড় নখ দেখে দার্শনিক ভদ্রলোকের মনে একটা অন্য ধরনের ভয়ের উদয় হল। মৃত্যুর পর আত্মা মানুষের কতটা ক্ষতি করতে পারে সে সম্বন্ধে তার কোনো ধারনাই ছিল না। এমন কিছু পৃথিবীতে আছে বলেও তার বিশ্বাস ছিল না। চোর-ডাকাত ভূতের চেয়ে বেশি ক্ষতি করে বলে তিনি মনে করেন।কিন্তু এখন, এখন তিনি কী করবেন? এই বিপদ থেকে আত্মরক্ষার উপায় ভাবছিলেন যখন হঠাৎ সেই সময়ে দার্শনিক ভদ্রলোক লক্ষ্য করলেন মূর্তিটি আর এক পা এগিয়ে এসে ক্রমাগত পিছু হটতে লাগল। একসময় সে ঘর পরিত্যাগ করল।অশরীরী মূর্তিটিকে পিছিয়ে যেতে দেখে দার্শনিক ভদ্রলোকটি পূর্বের অবস্থা ত্যাগ করে বিছানা ছেড়ে উঠলেন। তারপর নিজের ঘর ছেড়ে বাইরে এসে দাঁড়ালেন। অদ্ভুত বা আজব যাইহোক তিনি লক্ষ্য করলেন ব্যাপারটা। মূর্তিটি ধীরে ধীরে নিচে নেমে এল।তারপর উঠোনের ঠিক মাঝবরাবর গিয়ে হঠাৎই যেনো কর্পূরের মতো মিলিয়ে গেল। দার্শনিক একবার চিৎকার করে বললেন “কে” “কে” বলে। কিন্তু উত্তরে কেবল অনেক দূর থেকে ভেসে আসা অস্পষ্ট গোঙানি ছাড়া আর কিছুই শুনতে পেলেন না। যে জায়গায় মূর্তিটা অদৃশ্য হয়েছিল সেখানে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে কি যেন ভাবলেন। তিনি আরো দু-একবার ডাকাডাকি করেও কারো কিছু উত্তর পেলেন না। বিফল মনোরথ হয়ে তিনি ঘরে এসে শুয়ে পড়লেন। বাকি রাতটি তিনি ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করতে করতে কাটিয়ে দিলেন।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে গত রাতে ঠিক যে জায়গা থেকে মূর্তিটা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল সেখানে এসে অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ এর দৃষ্টিতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ করতে লাগলেন। কিন্তু দিনের বেলায় কোনকিছুই তার অস্বাভাবিক মনে হল না। পাহাড়ের টিলায় এই বাড়িটা ছিল লোকালয় থেকে বেশকিছু দূরে। তার উপর ‘ভুতুড়ে’ বদনামের জন্য, লোকজন এমনকি কোনও সাহসী পুরুষ এই বাড়ির ত্রিসীমানায় আসতে ভয় পায়

নির্বান্ধব এই পরিবেশে দার্শনিক ভদ্রলোক আবার তন্ময় হয়ে গেলেন নিজের পড়াশোনায়। প্রায় সারাদিনই বইয়ের জগতে ডুবে থাকলেন ফলে রাতের অশরীরী আর অদ্ভূত ঘটনার কথা প্রায় ভুলেই গেলেন। রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে যখন বিছানায় শুতে এলেন তখনই আরেকবার গত রাতের ঘটনার কথা মনে পড়ল। কিন্তু ঘটনাটি তিনি তেমন আমল দিলেন না। ভাবলেন অত্যধিক ক্লান্তি আর চিন্তাগ্রস্থ থাকার জন্য আধা-ঘুম আধা-জাগা অবস্থায় কি দেখতে দেখতে কি দেখেছিলেন!বিছানায় শোয়ার সাথে সাথে ঘুম না এলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলেন। সবকিছুকে অলীক বলে উড়িয়ে দিলেও, আজ রাতেও গত রাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। এমনকি তারপরের রাতেও একই ব্যাপার ঘটল।পরপর তিনরাত্রি এইভাবে অশরীরীর আবির্ভাব এবং একইভাবে হাত-পা নেড়ে কিছু বলতে চাওয়ার চেষ্টা এবং একইভাবে উঠোনের দিকে একই জায়গায় এসে তার মিলিয়ে যাওয়া বেশ ভাবিয়ে তুলল তাকে। তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না এটা কেমন করে হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে? অবশেষে চতুর্থ দিন সকালে দার্শনিক কিন্তু আর সবকিছু নিছক কল্পনা বলে উড়িয়ে দিতে পারলেন না। আবার ভয় পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গেলেন না।

তিনি মনে মনে ভাবলেন নিশ্চয়ই এর মধ্যে অনুসন্ধানের কিছু আছে। সত্যি যদি কোন অশরীরী থেকে থাকে তাহলে সে নিশ্চয়ই তাকে কিছু বলতে চাইছে। আর সবচেয়ে বেশি যেটা তাকে আকৃষ্ট করল সেটা হচ্ছে উঠোনের ওই নির্দিষ্ট স্থানেই কেনইবা প্রতিরাতে অদ্ভুত আর বীভৎস আকৃতির এই মূর্তি উঠোনের ওই বিশেষ জায়গায় এসে হারিয়ে যাচ্ছে? তাহলে ওই জায়গাটিতে নিশ্চয় তাৎপর্যপূর্ণ কিছু আছে। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।চতুর্থ দিন সকালে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দার্শনিক আর বাড়িতে বসে রইলেন না চলে গেলেন শহরে। প্রথমে তিনি যোগাযোগ করলেন স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে। সব কথা খুলে বললেন। অন্য কেউ হলে হয়তো ম্যাজিস্ট্রেট পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু দার্শনিক ওই এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন। জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান হিসেবে তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন সকলের কাছে। তাই তার কথাকে খেলায় উড়িয়ে দিতে পারলেন না ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব। কালবিলম্ব না করে তিনি বেশকিছু মুজুর নিয়ে ফিরে এলেন দার্শনিকের কেনা নতুন বাড়িতে।

উঠোনের ঠিক যে জায়গায় এসে সেই অশরীরী মূর্তিটি গত তিন দিন রাত্রে অদৃশ্য হয়েছে সে জায়গাটির মাটি কোপাতে লাগলো মজুরেরা। অবশ্য বেশি দূর মাটি খুঁড়তে হলো না সামান্য কয়েক হাত জমির নিচে পাওয়া গেল একটা আস্ত কঙ্কাল। কঙ্কালটির হাত পা শেকল দিয়ে বাঁধা রয়েছে। পুরু শেকলেও মরচে ধরেছে। ভূত প্রেতে দার্শনিকের কোনদিনও বিশ্বাস ছিল না ঠিকই, কিন্তু সব ঘটনা চাক্ষুষ করে তার বিস্ময়ের সীমা রইল না। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের পরামর্শে ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে যথাযথভাবে কবর দেওয়া হল সেই কঙ্কালটিকে।আর সবথেকে অদ্ভুত ব্যাপার ভালোভাবে ধর্মীয় রীতি মেনে কবরস্থ করার পর আর কোনদিনও ওই বাড়িতে সেই অশরীরী মূর্তির আবির্ভাব ঘটে নি। এরপর দার্শনিক বলেছিলেন আর কোনদিনও কিছু দেখেননি তিনি। কিন্তু তিনি তবুও বাড়িটির ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করলেন।গ্রামের কেউ কিছু ঠিকভাবে বলতে না পারলেও গ্রামের এক বৃদ্ধার মুখে শোনা গেল “অনেকদিন আগে এক বৃদ্ধ ক্রীতদাসকে সামান্য অপরাধের জন্য ওইভাবে হাতে পায়ে শেকল বেঁধে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়িতে” এই ঘটনা সত্য কি মিথ্যা জানার উপায় নেই, তবে দার্শনিক বুঝেছিলেন মৃত্যুর পরে আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। আর সে আত্মা যদি অতৃপ্ত হয় তাহলে অশরীরীর রূপ নিয়ে মানুষকে দেখা দিতে চায় হয়তবা অতৃপ্ত আত্মা মুক্তির পথ খুঁজতে চাইছে।

Story - Collected

15/10/2021
রাতের প্রায় আড়াইটা বাজছে। দোতালার শোবার ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম।অবশ্যি এই সময়টাতে টিভিতে কিছুই দেখায়না। তারপরেও ইজিচেয়ারে ...
08/02/2020

রাতের প্রায় আড়াইটা বাজছে। দোতালার শোবার ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম।

অবশ্যি এই সময়টাতে টিভিতে কিছুই দেখায়না। তারপরেও ইজিচেয়ারে বসে দুলতে দুলতে চ্যানেল পাল্টাচ্ছি কারণ লোকাল চ্যানেলগুলোতে বারবার দেখাচ্ছে যে শহরের জেলখানা থেকে এক ভয়ঙ্কর খুনী পালিয়েছে। টিভিতে খুনির ছবিও দেখাচ্ছে। ফোন করে কেউ পুলিশে খবর দিয়েছে যে তাকে দেখা গেছে এই আবাসিক এলাকায়। গা শিউরে ওঠার মতো খবর।

ক্যঁরররররচচচ!

চমকে উঠলাম আমি! নিচতলার সদর দরজাটা খুলে ফেলেছে কেউ। মরচে ধরেছে কলকব্জায়, যতই আস্তেই খোলা হোক না কেন, আওয়াজ পাওয়া যাবেই।

টিভিটা বন্ধ করে দিলাম। ঘরটাতে খোলা জানালা দিয়ে চাঁদের আলো আসছে। আবছা আলোয় পথ দেখে এগিয়ে গেলাম দরজার সামনে। নিচ তলায় পায়ের আওয়াজ পাচ্ছি। কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছে বাড়িটা। ভয় পেলে মানুষের শিরদাঁড়া বেয়ে কি যেন নেমে যায় জানেনই তো, আমিও তাই অনুভব করলাম।

নাহ, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ওপরে আসার আগেই আমার পালাতে হবে। নিজের জীবন বাঁচাতে হবে আমাকে।

খোলা জানালার কাছে এগিয়ে গেলাম। শাদা মোটা একটা পাইপ নেমে গেছে ওপর থেকে নিচে। জানালা দিয়ে বের হয়ে হাত বাড়িয়ে আঁকড়ে ধরলাম পাইপটা। নামতে শুরু করলাম। পাইপটার চারদিনে কি সুন্দর আইভিলতা প্যাঁচানো ছিলো। দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে বোধহয়। ধুর ছাই! জাহান্নামে যাক আইভিলতা।

পাইপ বেয়ে পিছলে পিছলে আধ মিনিটেই নিচে নেমে এলাম। যাক বাবা! বাঁচা গেলো। মহাকর্ষ না অভিকর্ষ, কি যেন একটা আছে না? সেটাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না।

দৌড়োতে শুরু করলাম। পেছন থেকে গুম গুম আওয়াজ আসছে। এত সহজ না বাছাধন। ওক কাঠের পেল্লায় দরজা ভাঙ্গার আগেই আমি নিরাপদ জায়গায় চলে যাবো!

বেশ খানিকটা পথ দৌড়ে এসেছি। দূর থেকে দেখছি শোবার ঘরে আলো জ্বলছে। ঘরে ঢুকেছে অবশেষে!

খিক খিক করে হাসছি আমি। কি মজাটাই না হচ্ছে এখন সেখানে!

ঘরে এখন পুলিশ ঢুকেছে। আমিই ওদের ফোন করেছিলাম!

শোবার ঘরে ঢুকে যখন পুলিশ ব্যাটারা দেখবে বিছানায় গলাকাটা দুটো লাশ, লালচেকালচে রক্ত থইথই করছে ঘরময়, কি মজাটাই না হবে!

সামনে আমার এখন আরেকটা বাড়ি। রক্তাক্ত ধারালো ছুড়িটা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি সেদিকে। হাসিমুখে, নতুন শিকারের খোঁজে।

(বিদেশী গল্প অবলম্বনে)

।। একটি সত্যি ঘটনা ।।'' ৭-৮ বছর আগের ঘটনা.. আমরা তখন চট্টগ্রাম পুরনো রেল স্টেশনে এর পাশে থাকতাম.. আমি তখন পুরো মাদকাসক্ত...
18/11/2019

।। একটি সত্যি ঘটনা ।।

'' ৭-৮ বছর আগের ঘটনা.. আমরা তখন চট্টগ্রাম পুরনো রেল স্টেশনে এর পাশে থাকতাম.. আমি তখন পুরো মাদকাসক্ত ছিলাম..প্রতিদিনরাতে বন্ধুদের সাথে রেল লাইনে আড্ডা দিয়ে মদ, গাজা, হিরোইন খেতাম..আমাদের পছন্দের আড্ডা দেয়ার জায়গাটা ছিলো দুই রেললাইনের মাঝ বরাবর..মানে আমাদের ডান পাশেই ট্রেন চলাচল করতো.. জায়গাটা পুরো অন্ধকার ছিল,... ঝোপঝাড় গাছপালায় ভরা .. ষ্টেশন গার্ড ছাড়া দিনের বেলায় কেউ সাহস করতো না ওখানে যেতে.. সবাই ঐ জায়গাটাকে ভয় পেত.. বলতো ওখানে নাকি অনেক মানুষ মারা গেছে ট্রেনে কাটা পড়ে.. আমরা ঐসব পাত্তা দিতাম না..বরং আমাদের জন্য সুবিধাই হত.. মাঝে মধ্যে দিনেও নেশা
করতাম ওখানে গিয়ে... একদিন রাতে আমরা ৪জন মিলে নেশা করে ওখানে
ঘাসের উপরে শুয়ে ছিলাম,, চাঁদের আলো ছিল তাই ভাল লাগছিল.. ৪
জনই মোটামুটি মাতাল মাতাল অবস্থা... আমার হাল্কা চোখ বুজে আসতেই
হটাত একটি কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম..আমি উঠে দেখলাম আমাদের থেকে প্রায় ৩০ হাত দূরে, ছোট একটি বাচ্চা রেললাইনের উপরে শুয়ে আছে আর কান্না করছে.. আমি এই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেলাম..আসে পাশে কোন
ঘর বাড়ি ও নেই যে বাচ্চাটা ওখান থেকে আসবে!! তারপর আমি বন্ধুদের
ডাকতে লাগলাম.. কিন্তু আমার বন্ধুরা উঠল না..ঘড়ি দেখলাম তখন বাজে
রাত ৩টা বেজে ৪০ মিনিট.. প্রায় ২০ মিনিট ধরে বাচ্চাটার কান্নার
শব্দ শুনতে পেলাম.. শব্দ বন্ধ হওয়ার পর বন্ধুদের জাগিয়ে সব
খুলে বললাম। তারা বিশ্বাস করল না,,... বলল হয়তো বিড়াল টিরাল হবে.. আমিও বিষয়টাকে পাত্তা দিলাম না। তারপর প্রতিদিনকার মতো সবাই ফজরের
আজান এর ১ ঘণ্টা আগে বাসায় চলে গেলাম.. বিষয়টা কে পাত্তা না
দেয়াটাই ছিল আমার জীবনের মস্ত বড় ভুল.. কারন এরপর দিন আমার জীবনে
যে ভয়াবহ ঘটনাটা ঘটে ছিল তা হয়ত আমার প্রানটাই কেড়ে নিত
আর ছিন্ন ভিন্ন করে দিত আমার এই দেহ.. ঠিক এরপর দিন আমরা ৪ জন
মিলে আবারো সেখানে আড্ডা দেই.. কার্ড খেলার পর আমরা প্রচুর পরিমাণে
ড্রিঙ্কস করি। তারপর আমরা আগের মতো ওখানে শুয়ে পড়ি.. ঠিক রাত ৩টার দিকে বন্ধুরা আমাকে জাগিয়ে তুলল.. বলল তাদের নাকি শরীর খারাপ
লাগছে,, দুজন বমিও করেছে। তারা আমাকে বাসায় চলে যেতে বলল,,তারাও চলে যাচ্ছে.. কিন্তু ড্রিঙ্কস বেশি করাতে আমার ও পুরো মাথা ব্যাথা এবং ঝিম ধরে ছিল। আমি ঘুমের ঘোড়ে তাদের যেতে বললাম.. কিন্তু ফ্রেন্ডরা আমাকে বার বার জাগিয়ে তুলতে লাগলো, আর আমি বিরক্ত হয়ে তাদের যেতে বললাম আর শুয়ে পরলাম। তারাও বিরক্ত হয়ে চলে গেলো.. তারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হটাত আমার ঘুম ভাঙল একটি মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে। উঠে তাকিয়ে দেখলাম চাঁদের আলোতে একটি মেয়ে রেল লাইনের উপরে হাঁটু গেড়ে বসে, মাথা নিচু করে খুব জোরে জোরে কান্না করছে.. গতকাল ছোট বাচ্চাটা যেখানে ছিল ঠিক ওই জায়গাতেই মেয়েটা বসে আছে.. মেয়েটা এত জোরে কান্না করছিল যে, মনে হচ্ছিল কেউ তাকে মারছে.. আমি ঘুম থেকে উঠে এই মেয়েকে দেখে ভয় পেয়ে যাই.. পরে ভাবলাম হয়ত রেল স্টেশনের পাগল-টাগল হবে.. সাহস করে ''এই, কে রে?'' বলে কয়েক বার ডাক
দিলাম.. কিন্তু কোন রিপ্লাই পেলাম না। মেয়েটা কেঁদেই চলেছে.. আমি বিরক্ত হয়ে
লাইন থেকে একটি শিল পাথর নিয়ে তার দিকে ছুঁড়ে দিলাম.. পাথরটা
মেয়েটার পাঁশে পড়তেই কান্নার শব্দ থেমে গেলো। তারপর মেয়েটা আমার
দিকে তাকাল। তার চেহারাটা ঠিক বুঝে উঠার আগেই সে রেললাইন থেকে
হেঁটে পাশের ঝোপের ভিতরে চলে গেলো.. আমি ঘড়ি দেখলাম ঠিক ৪টা বাজে। বাসার দিকে চলে যাবো ভেবে আমি উঠতে লাগলাম.. কিন্তু আমি উঠতে পারছিলাম
না। মারাত্মক ব্যাথা করছিল ঘাড়ে। অনেক কষ্টে দাঁড়ালাম কিন্তু শরীর
নাড়াতে পারছি না.. খুব বাজে একটা গন্ধ নাকে লাগছিল.. হঠাৎ
আবিষ্কার করলাম, কে যেন আমার ঘাড়ে বসে আছে!!! তার দুই পা আমার গলার
দুই পাশ দিয়ে এসে ঝুলছে, এবং দুই হাত দিয়ে সে আমার মাথার চুল
ধরে টানছে আর মুখে খামচি দিচ্ছে.. আমি চিৎকার করতে থাকি আর
হাত দিয়ে নিজের মুখমণ্ডল বাঁচাতে প্রানপণ চেষ্টা করি.. এভাবে প্রায়
কতক্ষন যায়। কখন বেহুঁশ হয়ে গেছি বলতে পারবো না.. হুশ ফিরার
পর নিজেকে বাসার বিছানায় দেখলাম। পাশে আম্মু আববু বসে আছে। তারা
আমাকে জিজ্ঞেস করল “কিরে, কি হৈছিল? তোর মুখে কাটল কিভাবে?”
আমি সব খুলে বললাম আর জানতে চাইলাম আমাকে এখানে কে নিয়ে আসছে।
তখন আববু বলল এলাকার কিছু আঙ্কেল স্টেশনের পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে
যান। তারা লাইন ধরে হেঁটে আসছিলেন, হঠাৎ দূর থেকে লাইন এর উপরে
আমাকে দেখে, তারা মনে করেছেন কোন লাশ !! হয়ত ট্রেনে কাটা
পড়েছে.. কিন্তু কাছে আসার পর আমাকে জীবিত পেয়ে তারা হাসপাতালে নিয়ে
যান.. এর মাঝে আমাকে স্টেশন গার্ড দেখে চিনতে পেরে আমার বন্ধুকে ব্যাপারটা
জানায়। তারপর আমার ফ্রেন্ড আমার বাবাকে ইনফর্ম করে..আববু গিয়ে আমাকে
হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসেন..আববু এটা ও বলেন যে আমাকে রেললাইন থেকে
সময় মতো না সরালে হয়তো আমি কাটা পড়তাম.. কারন ভোরের ট্রেনটা এর
কিছুক্ষণ পরেই আসে..এরপর থেকে আমি মদ, গাঁজা, রাতের আড্ডা একেবারেই
ছেড়ে দেই.....

Collected

আসসালমু আলাইকুম,আশা করি সবাই ভালো আছেন, অনেক দিন ধরে কোন গল্প দিতে পারছি না তার জন্য দুঃখিত, আজ আবারো আপনাদের জন্য আরেকট...
09/11/2019

আসসালমু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, অনেক দিন ধরে কোন গল্প দিতে পারছি না তার জন্য দুঃখিত, আজ আবারো আপনাদের জন্য আরেকটি গল্প নিয়ে এসেছি,
এটিও একটি বাস্তব ঘটনা, ঘটনাটি ঘটেছে বেশি দিন হয়নি আপনারা সবাই হয়তো বোবা জিনের কথা জানেন, জানেনই তো রাতে ঘুম উল্টা পাল্টা হলে এই বোবা জিন এসে ধরে বসে, এর ফলে কেউ কথা বলতে পারে না বা নড়াচড়া করতে পারে না যার ফলে অনেকে মারা যায় এমনটি শুনেছি , কয়েক দিন আগের কথা বাসার সবাই বেড়াতে গিয়েছিল, আমার সামনে পরীক্ষা থাকার কারণে আমি তাদের সাথে যেতে পারিনি. তো রাতে আমি পড়া শেষ করে শুতে যাই, হঠাৎ আমার মনে হলো আমার পিছনে কে যেন হাটছে, আমি চোখ খুললাম আমার পিছনের দিকে তাকানোর চেষ্ঠা করলাম কিন্তু আমি নড়তে পারছিলাম না, আমার মনে হচ্ছিল যে আমার গায়ে কোন শক্তি নেই, তখনই মনে হলো কে যেন আমার গলা চেপে ধরল এসময় আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, আমি অনেক চেষ্ঠা করলাম চিৎকার করার কিন্তু পারছিলাম না, তখনই আমার মনে পড়ল যে বাসায় কেউ নেই, তখন আমি কি করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম, আমি চোখ বন্ধ করে সূরা পড়তে শুরু করলাম, একটু পড়েই মনে হলো আমার গলা ছেড়ে দিল, তখন আমি আবারও নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম আমি লাফ দিয়ে উঠে বসি, বসে ভাবতে থাকি এটা আমার সাথে কি হলো, পরে আমি উপলব্ধি করতে পারি যে এটা বোবা জিন

আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকে শুনেছেন নিরজন রাস্তায় শুটকি অথবা মাছ নিয়ে হাটলে আমাদের ভুত বা এরকম কোনো কিছুর কবলে পরতে হয়।আজ আ...
24/11/2018

আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকে শুনেছেন নিরজন রাস্তায় শুটকি অথবা মাছ নিয়ে হাটলে আমাদের ভুত বা এরকম কোনো কিছুর কবলে পরতে হয়।
আজ আমি আপনাদের এরকম একটি ঘটনা লিখব।

ঘটনাটি ঘটেছিল আমার নানার সাথে। তিনি ছিলেন একজন ব্যাবসায়ি। গ্রামে তখন মেলা চলছিল। একদিন রাতে তার দোকান বন্ধ করতে করতে রাত প্রায় ১২টা যায়। তো সে বাসায় পথে রওনা দিল। তার হাতে ছিল শুটকি মাছ। সে একটি নিরজন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে সে খেয়াল করতে পারল কেউ তার পিছন থেকে ডাকদিচ্ছে। সে পিছন ফিরে দেখে কেউ নেই সেখানে। তো সে আবার হাটতে লাগল। কিছুক্ষন পর সে আবার সেই শব্দ শুনতে পারল। এবার তার কাছে মনে হলো কেউ যেন তার কাছে বলতেছিল আমাকে একটা শুটকি দিবি। সে চিন্তা করল কে আবার তার কছে শুটকি চাইলো। কিন্তু একই কথা সে আবারও শুনতে পারল। এবার সে বলল আমি কেন আমার জিনিস তোমাকে দিব। কারন সে তার বাবার কাছ থেকে শুনছিলো ভুত বা এরকম কিছুকে মাছ দিলে এরা যে তাকে দিল তাকেই মেরে ফেলে। এজন্য সে দেয় নাই। সে যখনই না বলল সাথে সাথে কে যেন তার মুখ কাদায় চেপে ধরল। সে অনেক চেষ্টা করল কিন্তু সেই জিনিসটা থেকে বাচতে পারতেছিল না। এমতাবস্তায় জমির কৃষক সেখানে হারিকেন এর আলো ধরে। আর সাথে সাথে ওই জিনিসটা তাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে একতানা ওনেকদিন জ্বর ছিল।

আমরা অনেকে হয়তো শুনেছি রাস্তায় একা চললে হয়তৈা জীন বা ভূতের কবলে পড়তে হয়।কিন্তু আজকের ঘটনা পড়ে আপনারাও অবাক হয়ে যাবেন।গ্র...
09/06/2018

আমরা অনেকে হয়তো শুনেছি রাস্তায় একা চললে হয়তৈা জীন বা ভূতের কবলে পড়তে হয়।কিন্তু আজকের ঘটনা পড়ে আপনারাও অবাক হয়ে যাবেন।

গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল এক বন্ধু। তার তাশ খেলার প্রতি ছিল প্রবল নেশা।সে প্রতিদিন পাশের গ্রামে যেত।সেখানে সে খুব গভীর রাত পর্যন্ত তাশ খেলত।একদিন সে খেলার প্রতি এমন মগ্ন হয়ে যায় সে ভুলে যায় রাত ২.৩০ বেজে যায়।তো সে বাসায় যাওয়ার জন্য রওনাপ দিল সে দেখল যে রাস্তা পুরোই নির্জন। সে যেই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তার দুই পাশে ছিল বন।রাস্তায় সে শুনতে পেল একটি ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। সে গিয়ে দেখে একটি ছোট বাচ্চা কাদছে ।সে মনে কষ্ট অনুভব করলেন বাচ্চাটির জন্য। সে বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে হাটা শুরু করলেন। একটু পরে সে খেয়াল করল সে বাচ্চাটিকে নিয়ে যতূরে যাচ্ছেন বাচ্চাটির ওজন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক পর্যায়ে সে আর হাটতে পারছে না। সে তখন পিছে তাকিয়ে দেখলেন সে বাচ্চাটিকে যেখান থেকে কোলে নিয়েছিলেন বাচ্চাটির পা সেখানেই রয়েছে। এবং সে বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে দেখে বাচ্চাটির চোখ উল্টানো। এটা দেখে সে চিৎকার করে সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং এক বাড়ির সামনে গিয়ে ঞ্জান হারিয়ে ফেলেন ।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গা শিউরে ওঠা ভয়ঙ্কর গল্প - Scary Ghost Stories posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share