Mysterious World

  • Home
  • Mysterious World

Mysterious World রহস্যময় পৃথিবীর অবাক করা তথ্য জানতে ল?

এই নারীকে চেনেন? ইনি কারোর জন্যে কিছু করেননি। কেউ তার জন্য কমবেশি দরকারি কিছু নয়। তবুও সারা বিশ্ব তাকে চেনে। কেন? তার না...
16/04/2024

এই নারীকে চেনেন? ইনি কারোর জন্যে কিছু করেননি। কেউ তার জন্য কমবেশি দরকারি কিছু নয়। তবুও সারা বিশ্ব তাকে চেনে। কেন? তার নাম। কথায় বলে নামে কি আসে যায়? না, অনেক সময় অনেক কিছু আসে যায়।

তার বাবা কার্ল বেঞ্জ ১৮৮৬ সালে কম্বাটসন ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। এর ঠিক তিন বছর পরে তার জন্ম। পরে ডিমলারের সাথে গাড়ি বানানো শুরু হয়। অন‍্যতম জগদ্বিখ‍্যাত এই গাড়ি।

বাবা কার্ল বেঞ্জ যিনি গাড়ির নাম রাখেন তার কন্যার নামে। তিনি হলেন সেই বাবার কন্যা মারসিডিজ। সেই গাড়ি হলো মারসিডিজ বেঞ্জ। কিছু না করেও পৃথিবী পরিচিত এক নাম।

হোবাপৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বড় অক্ষত উল্কা পিন্ডটির নাম হোবা (HOBA)। হোবার ওজন প্রায় ৬৬ টন যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উ...
02/02/2024

হোবা
পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বড় অক্ষত উল্কা পিন্ডটির নাম হোবা (HOBA)। হোবার ওজন প্রায় ৬৬ টন যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উল্কাপিণ্ড অহনিগিটোর (Ahnighito) প্রায় দ্বিগুণ।

১৯২০ সালে উত্তর নামিবিয়ার গ্রুটফন্টেইন থেকে ১৯ কি:মি: (১২ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত হোবা ওয়েস্ট নামক একটি খামারে এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল, যার কারনে এর নাম দেওয়া হয়েছিলো "হোবা" । উল্কাটি আবিষ্কার করেছিলেন কৃষক জ্যাকবাস হারমানাস ব্রিটস।


ব্রিটিশরা এটার একটি টুকরো পরীক্ষা করার জন্য সাথে করে নিয়ে যায় এবং পরীক্ষার পরে এটি একটি উল্কাপিণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়।

পাথরের চারপাশে খনন করে দেখা গেছে যে এটির একটি ছোট অংশ মাটির উপরে ছিল। আরো মাটি অপসারণ করা হলে, পাথরের বিশাল আকার বের হয়ে আসে।

১৯২৯ সাল পর্যন্ত এর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তেমনভাবে ছড়িয়ে পড়েনি পরবর্তীতে যখন ডাচ আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলেম লুয়েটেন দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংবাদপত্রের জন্য এই সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। এরপরে এর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরে।

হোবা উল্কা আকৃতিতে মোটামুটি আয়তাকার এবং সমতল শীর্ষ। এটি প্রায় প্রায় নয় ফুট (২.৭ মিটার) লম্বা, নয় ফুট চওড়া এবং প্রায় তিন ফুট পুরু। সম্ভবত হোবা উল্কাটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অগভীর কোণে প্রবেশ করেছে এবং সেকেন্ডে কয়েকশ মিটারেরও কম গতিতে মাটিতে আঘাত করেছে।

প্রভাবটি সম্ভবত শুধুমাত্র একটি ছোট গর্ত তৈরি করেছিল, যা প্রায় ২০ মিটার (৬৬ ফুট) ব্যাস এবং প্রায় ৫ মিটার (১৬ ফুট) গভীর। হোবা উল্কাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক লোহা বলে মনে করা হয়।

এর প্রায় ৮২.৩ শতাংশ লোহা, ১৬.৪ শতাংশ নিকেল এবং ০.৮শতাংশ কোবাল্ট, আর রয়েছে কার্বন, সিলভার, জিঙ্ক এবং কপার।

এক সময় উল্কাপিণ্ডটির ওজন ছিল ৬৬ টন। উল্কাপিণ্ডের চারপাশের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন অক্সাইড থেকে বোঝা যায় যে এটি পতিত হওয়ার সময় এটি ৬৬ টনের চেয়ে অনেক বড় ছিল, এবং জারন (oxidation) প্রক্রিয়ার কারনে এটি বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া ও বিজ্ঞানী এবং স্যুভেনির শিকারীরা বছরের পর বছর ধরে এর কিছু অংশ কেটে ফেলেছে।

হোবা উল্কা ৮০,০০০ বছর আগে আকাশ থেকে পড়েছিল এবং হোবাকে কখনও তার স্থান থেকে সরানো হয়নি।

১৯৫৫ সালে হোবা উল্কাকে একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নামিবিয়া তখন দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা নামে পরিচিত ছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শাসন করত।

১৯৮৭ সালে খামারের মালিক উল্কাপাতের জায়গাটি সরকারকে দান করে দেন। উল্কাপিণ্ডের চারপাশে একটি পাথরের অ্যাম্ফিথিয়েটার তৈরি করা হয়েছে এবং কাছাকাছি একটি দর্শনার্থী কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই স্থান পরিদর্শন করতে আসে।
(কালেক্টেড)

07/04/2023

Homeবাংলা ভার্সন তরমুজ কিনে আর ঠকবেন না যদি এই ৮ টি বিষয় খেয়াল রাখেন তরমুজ খেতে কে না পছন্দ করেন! এই ফল দেখতে যেমন আকর্....

07/04/2023

Homeবাংলা ভার্সন কোন সন্তানকে বেশি ভালোবাসে বাবা-মা? সামনের মাসে বাবাকে নিয়ে ডাক্তারটা না দেখালেই নয়, দিন দিন তার বু.....

29/03/2023

Homeবাংলা ভার্সন জানেন কি চোখের রং নীল হয় কেন? চোখের বর্ণ ও মানব প্রকৃতির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্বে জলবায়ুর...

29/03/2023

Homeবাংলা ভার্সন মাত্র ৫ জন মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ এ এক আজব গ্রাম!! Tags: বাংলা ভার্সন বিনোদন Facebook Twitter You may like these posts

29/03/2023

Homeবাংলা ভার্সন রাম সেতু বানরবাহিনীর তৈরি নাকি প্রকৃতির বিস্ময়? আদম বা রাম সেতুর নাম কমবেশি সবারই জানা। তামিলনাড়.....

29/03/2023

Homeবাংলা ভার্সন আসলেই কি গাধা বোকা প্রাণী! আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা কাজে-কর্মে একটু কম দক্ষ বা বুদ্ধি একটু ক....

29/03/2023

Homeবাংলা ভার্সন দুই স্ত্রীকে সমান সময় দিতে‘অভিনব পদ্ধতি’ যুবকের ভারতের গোয়ালিয়ায় দুই তরুনীর স্বামী একজনই। নিজেদ.....

17/10/2021
17/10/2021
17/10/2021

 "I think the performances over the season haven't been good enough even when they've been winning. Against Newcastle [when Man Utd won 4-1], everyone got carried away but they weren't very good that day."Manchester United now have to play five of the traditional 'Big Six' in their next six league ...

বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটি...
27/05/2021

বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।

ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার বলে আখ্যায়িত করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়।

তবে আসল ঘটনা হচ্ছে- এদেশে বৃটিশদের শাসনের সময়কালে সীমানা পিলার গুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়াম সহ ধাতব চুম্বক সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলার গুলো শোষন করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা।

অসাধু কিছু লোক এই পিলার গুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুজব ছড়ায়। এ কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো নিষ্চিন্ন হয়ে গেছে। কিছু লোক এগুলোকে মহা-মুল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুঁজে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে কেউ ই সীমানা পিলার বিক্রি করে বহু টাকা উপার্জন করার উদাহরণ দেখাতে পারেনি ।

সীমান্ত পিলার গুলোর মধ্যে থাকা তামা, পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুত সু-পরিবাহি হয়ওয়াতে একে মহা মুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।

বৃটিশ শাসন আমলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলার গুলো সারা দেশ জুড়ে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পর পর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে মেপে।( এবং এ পিলারের রেডিও ইলেট্রনিক্স তরঙ্গের সাহায্যে ভূমি জরিপ ও ম্যাপ প্রস্তুতে করতে এবং এটি বিমান চলাচলেও সহযোগিতা করত সে সময় ) এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয় ।

আগেকার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে । এখন নিশ্চই সবাই বুঝতে পারছেন কেন বৃটিশ আমলে এগুলো মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো।

বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পে সরকারকে বৃটিশদের মতো করে পিলার স্থাপনের উদ্দোগ আবার গ্রহণ করা উচিত বলেও মতামত দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

জীবনের শেষ ২০ বছর তিনি কাটান বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছোট এক কামারায়। মাথার উপর পাখাকেও তিনি বিলাস দ্রব্য মনে করে ব্যবহারে অস্বী...
27/05/2021

জীবনের শেষ ২০ বছর তিনি কাটান বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছোট এক কামারায়। মাথার উপর পাখাকেও তিনি বিলাস দ্রব্য মনে করে ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান। তখনকার দিনে একটি নিয়ম ছিল শিক্ষক যখন ক্লাস নিবেন তার আগে একজন কর্মচারী এসে ব্ল্যাকবোর্ড, টেবল মুছে দেবে। এক শীতের দিনে দেখা গেল এক কর্মচারী কোট পরে ব্ল্যাকবোর্ড মুছতে এল। কিছুক্ষন পর প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও একি রকম একটি কোট পরে ক্লাসে প্রবেশ করলেন পরে জানা যায় যে তিনি একই কাপড় থেকে দুটি কোট বানিয়েছিলেন, একটি তার জন্য আরেকটি ওই কর্মচারীর জন্য। ...

● জানা অজানা প্রফুল্ল চন্দ্র রায় :

রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়! ছোটবেলা থেকে ডাল্টন, রাদারফোর্ড, বোর, অ্যাভোগেড্রোর নাম শুনে আসা আমরা কজন জানি বিখ্যাত এই বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম ?

১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাটুলি গ্রামে জন্ম নেন মহান এই বাঙালি বিজ্ঞানী। তিনি মা ভূবনমোহিনী দেবী এবং পিতা হরিশচন্দ্র রায়ের পুত্র। হরিশচন্দ্র রায় স্থানীয় জমিদার ছিলেন। পড়াশুনা শুরু করেন নিজের গ্রামে নিজের বাবার প্রতিষ্ঠা করা এম.ই স্কুলে। জমিদার বংশের সন্তান হলেও অত্যন্ত সাধাসিধে জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি। ছোটবেলায় তার অন্যতম শখ ছিল স্কুল পালিয়ে পাতাঘেরা গাছের মগডালে বসে থাকা!

১৮৭২ সালে পড়াশুনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান কলকাতা হেয়ার স্কুলে। কিন্তু হঠাত করেই অবনতি ঘটে শারীরিক অবস্থার। রক্ত আমাশয়ের কবলে পড়ে ২ বছর ভুগেন তিনি। তবে এই রোগ অন্য আরেক দিক দিয়ে তার জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। এই ২ বছর নিয়ে প্রফুল্ল চন্দ্র তার ব্যাক্তিগত ডায়রীতে লিখেন,

“স্কুলের শুকনো বইখাতা থেকে মুক্তি পেয়ে আমি সুযোগ পেয়েছিলাম নিজের পছন্দানুযায়ী বই পড়ার”।

এই ২ বছরে তিনি তার বাবার বইয়ের বিশাল সংগ্রহশালায় ডুবে ছিলেন। আর অর্জন করেছিলেন নানা বিষয়ে অগাধ জ্ঞানভান্ডার।

১৮৭৪ সালে প্রফুল্লচন্দ্র কলকাতায় ফিরে যেয়ে অ্যালবার্ট স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই ১৮৭৮ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন কলেজে (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ) ভর্তি হন। ১৮৮১ সালে সেখান থেকে এফ এ পরীক্ষায় (ইন্টারমিডিয়েট বা এইচএসসি) দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে প্রেসিডেন্সী কলেজে বি এ ক্লাসে ভর্তি হন।

প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় কলেজে তৎকালীন রসায়নের অধ্যাপক ছিলেন আলেক্সান্ডার পেডলার। পেডলার মূলত তার পাঠদান পদ্ধতিতে তাত্ত্বিক দিকের চেয়ে ব্যবহারিক দিককেই বেশি গুরুত্ব দিতেন। রসায়নের মনোমুগ্ধকর এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে অতি সহজেই তিনি আকৃষ্ট করতেন তার শিক্ষার্থীদের। তরুণ প্রফুল্ল ছিলেন তার মুগ্ধ শ্রোতা। পেডলার যেসব এক্সপেরিমেন্ট করতেন তিনি বাড়ি ফিরে তার নিজের বানানো রসায়ন ল্যাবে একই পরীক্ষাগুলো পুনরায় করতেন। মূলত রসায়নের প্রতি তার ভালোলাগার শুরু ওখান থেকেই। যদিও তার প্রথম ভালোবাসা ছিল সাহিত্য। যার ধারাবাহিকতায় তিনি ঘরে বসেই ল্যাটিন ও ফ্রেঞ্চ ভাষা রপ্ত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি রসায়নেই পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সম্মানসূচক গিলক্রিস্ট বৃত্তি(সারা ভারত থেকে সেবছর মাত্র দুজন এই বৃত্তির জন্য উত্তীর্ণ হন) নিয়ে পাড়ি জমান স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবারগে। সেখান থেকে নেন বিএসসি ও পিএইচডি ডিগ্রী। তার থিসিসের বিষয় ছিল, “কনজুগেটেড সালফেট অফ কপার ম্যাগনেসিয়াম গ্রুপ”। অসাধারণ এক গবেষনার জন্য তিনি সে বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের “হোপ পুরষ্কার” লাভ করেন এবং আরো একবছর থিসিস করার অনুমতি পান। তার জ্ঞানের গভীরতা, দায়িত্বশীলতা , সুন্দর আচরণে তার সহপাঠী ও শিক্ষকগণ এতোই মুগ্ধ ছিলেন যে তাকে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। অশিক্ষা , কুসংস্কারে ঘেরা উপমহাদেশের কোন শিক্ষার্থীর এমন বিরল নিদর্শন সত্যিই সেসময় ছিল প্রশংসার দাবিদার।

সেসময়কার আরো একটি ঘটনা প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের তেজস্বীতার পরিচয় বহন করে। ১৮৮৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর স্যার স্টারফোরড নর্থকোর্ট এক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন যার বিষয়বস্তু ছিল “ব্রিটিশ দাসত্বের আগে ও পরে উপমহাদেশের চালচিত্র।" প্রফুল্ল চন্দ্র এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি তার প্রবন্ধে তুলে ধরেন কিভাবে উপমহাদেশীয় ব্রিটিশ শাসকরা শিক্ষা সংস্কার এর দিকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যায় অবিচার লুটপাটের দিকে অধিক ঝুকে পড়ছে। যদিও তিনি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতেন নি, তারপরও তার উচ্চমার্গীয় ও সোজাসাপ্টা কথা বিচারকদের মুগ্ধ করে। প্রফুল্ল চন্দ্র তাঁর প্রবন্ধের একটি কপি ভারতীয় ছাত্র সংগঠন গুলোর কাছে প্রেরণ করেন ও উপমহাদেশীয় শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে বলেন। এছাড়া তিনি প্রবন্ধটি বিভিন্ন ব্রিটিশ গণমাধ্যমেও প্রচারের ব্যাবস্থা করেন। প্রথম দিককার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে এমন পদক্ষেপ সত্যিই ছিল প্রশংসার দাবিদার।

১৮৮৮ সালে প্রফুল্ল চন্দ্র নিজ ভূমির শিক্ষা ও গবেষণার প্রচার ও প্রসারের জন্য তিনি দেশে ফিরে আসেন। সেসময়ে ব্রিটিশরা শিক্ষক সমাজের জন্য দুটি আলাদা স্তরের সৃষ্টি করেছিল। ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ও প্রভিন্সিয়াল সার্ভিস । ইম্পেরিয়ালের অধীনে থাকতো ব্রিটিশ শিক্ষকরা। তারা উচ্চ বেতন ও গবেষনার আধুনিক সুযোগসুবিধা পেত। যার ফলে এডিনবার্গের মত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভ করে এসেও প্রফুল্ল চন্দ্র রায় মাত্র ২৫০ টাকার নাম সর্বস্ব বেতনে প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগদান করেন। তখনকার আরেক বিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুও ছিলেন একই বৈষম্যের শিকার। তবে প্রফুল্ল চন্দ্র থেমে থাকেন নি সব বাধা মেনে নিয়েই তিনি পাঠদান শুরু করেন। সীমাবদ্ধতাকে শক্তি হিসেবে রূপান্তর করেন তিনি। হাতের কাছের যেকোন কিছু দিয়েই তিনি রসায়নের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারতেন ও শিক্ষার্থীদের কাছে মনোমুগ্ধকর ভাবে উপস্থাপন করতেন। তবে তিনি অনুধাবন করেছিলেন রসায়নকে শুধু শ্রেণী কক্ষে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না। একে কাজে লাগাতে হুবে, গবেষনা করতে হবে। ভারতের উন্নয়ন নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ গবেষনার উপর এটা তিনি ভালো করেই জানতেন। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার বীজ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন । যারা প্রতিনিধিত্ব করবে সমগ্র দেশের। তিনি বলে যান,

“ভালো ছেলেরা হল পুতুলের মত। তাদের চোখ আছে, কিন্তু তারা দেখবে না। কান আছে কিন্তু শুনবে না। তাদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই , নিজস্ব স্বকীয়তা নেই। তারা তাদের ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবে না, তারা সবাইকে অনুকরণ করে মাত্র”

তাই তিনি শুধু ভালো মেধাবী শিক্ষার্থীই চান নি চেয়েছিলেন একদল দেশপ্রেমী মেধাবী। তিনি কিছু ত্যগী মেধাবীকে এক ছাদের নিচে জড়ো করেছিলেন এবং তাদের নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক দল গড়ে তুলেন । এই দলের অনেক মেধাবী (পঞ্চানন নিয়োগী, নিল রতন ধর, প্রিয়াদা রঞ্জন রায়, বিরেশ চন্দ্র গুহ, এস এস ভাটনগর প্রমুখ) পরবর্তীতে সারা ভারতবর্ষে বিজ্ঞান গবেষনার প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছিলেন।

তৎকালীন সময়ে প্রফুল্ল চন্দ্র রায় নিজে প্রায় রসায়নের ১৫০টি গবেষনা পত্র প্রকাশ করেছিলেন, যার ৬০ টি প্রকাশ পেয়েছিল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের সংস্থা রয়েল সোসাইটির সংবাদপত্রে।

তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে মারকিউরাস নাইট্রাইট (HgNO2) আবিষ্কার করেন যা বিশ্বব্যাপী আলোড়নের সৃষ্টি করে। এটি তার অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। তিনি তার সমগ্র জীবনে মোট ১২টি যৌগিক লবণ এবং ৫টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন।

১৯১৬ সালে প্রফুল্ল চন্দ্র প্রেসিডেন্সী ছেড়ে বিজ্ঞান কলেজে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ৬০ বছর বয়সে তিনি তার পরবর্তী সমস্ত বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যানে উৎসর্গ করেন। যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফেলোশিপকারীদের ২ লাখ ভারতীয় রুপি প্রদান করা হয়। এভাবে তিনি ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষাদান করে গেছেন।

জীবনের শেষ ২০ বছর তিনি কাটান বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছোট এক কামারায়। মাথার উপর পাখাকেও তিনি বিলাস দ্রব্য মনে করে ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান। তখনকার দিনে একটি নিয়ম ছিল শিক্ষক যখন ক্লাস নিবেন তার আগে একজন কর্মচারী এসে ব্ল্যাকবোর্ড, টেবল মুছে দেবে। এক শীতের দিনে দেখা গেল এক কর্মচারী কোট পরে ব্ল্যাকবোর্ড মুছতে এল। কিছুক্ষন পর প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও একি রকম একটি কোট পরে ক্লাসে প্রবেশ করলেন। পরে জানা যায় যে তিনি একই কাপড় থেকে দুটি কোট বানিয়েছিলেন, একটি তার জন্য আরেকটি ওই কর্মচারীর জন্য। দৈনিক আহারে তিনি কখনও ১ পয়সার বেশি খরচ করতেন না, কিন্তু কেউ কিছুর সাহায্য চাইলে হাজার টাকা দিতেও কুন্ঠাবোধ করতেন না তিনি। তাঁকে নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাত্মা গান্ধীর বানী উল্লেখযোগ্য ....

বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যথার্থ বলেছেন :

“আচার্য নিজের জয়কীর্তি নিজে স্থাপন করেছেন উদ্যমশীল জীবনের ক্ষেত্রে, পাথর দিয়ে নয়, প্রেম দিয়ে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বাঙালির অহংকার, বিশ্বের গর্ব। তার র্কীতি বিশ্বে থাকবে চির বহমান। এ মহামানবকে বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।"

আচার্য সম্পর্কে গান্ধীজি বলেছেন :

“এটা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে সাধারণ ভারতীয় পোশাক পরিহিত একজন মানুষ, যার আচার- ব্যবহার আরও সাধারণ, আসলে এক বড় মাপের বিজ্ঞানী এবং অধ্যাপক হিসাবে ইতিমধ্যেই স্বীকৃত। আমি রূদ্ধ নি:শ্বাসে শুনলাম যে আচার্য রায় তার রাজচিত বেতন থেকে সামান্য কিছু টাকা নিজের জন্য রেখে বাকি সবটাই জনহিতকর কাজে বিশেষ করে দরিদ্র ছাত্রদের সাহায্যদানে নিয়োজিত করতেন। ভারতের এই মহান সেবক এই তিরিশ বছরে একটুও বদলাননি। বিরামহীন সেবা, উদ্দীপনা এবং আশাবাদের যে দৃষ্টান্ত তিনি আমাদের সামনে রেখেছেন তা নিয়ে অবশ্যই আমরা গর্ব করতে পারি”।

সারা জীবন বিজ্ঞান, দেশ , মানুষের উৎকর্ষ সাধনকারী এই মহান বিজ্ঞানী ৮৩ বছর বয়সে ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন না ফেরার দেশে গমন করেন। আমরা কি পেরেছি তাকে যোগ্য সম্মান দিতে ?

মরা মাছ খাওয়া গেলে মরা মুরগির মাংস খেলে অসুবিধা কোথায়?এবিষয়ে বিজ্ঞান কি বলে তা জানতে আলোচনা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও...
25/05/2021

মরা মাছ খাওয়া গেলে মরা মুরগির মাংস খেলে অসুবিধা কোথায়?

এবিষয়ে বিজ্ঞান কি বলে তা জানতে আলোচনা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও মুফতি ফয়জুল্লাহর সঙ্গে। তারা জানান মরা মুরগির মাংস বিজ্ঞান বা ধর্মীয় ভিত্তিতে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
তিনি বলেন, স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বণ ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।

অন্যদিকে মাছ পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা কার্বণ ডাই অক্সাইড মুক্ত। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে মাছের মৃত্যু হলেও তার ভেতর ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না। তাই মৃত মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর নয়।

কারো মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।♥
25/05/2021

কারো মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।♥

দীর্ঘ ২৭ বছর জেল খাটার সময় , নেলসন ম্যান্ডেলা সূর্য কি জিনিস চোখে দেখেননি । তারপর তিনি  দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একদি...
25/05/2021

দীর্ঘ ২৭ বছর জেল খাটার সময় , নেলসন ম্যান্ডেলা সূর্য কি জিনিস চোখে দেখেননি । তারপর তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একদিন তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে বললেন : -
চলো আজ শহর দেখি । চার দেয়ালের ভিতর বন্দি থেকে , জীবনের দীর্ঘ সময় কেটে গেলো । এখন নিজের শহরটি কেমন হয়েছে , নিজের চোখে না দেখলেই নয় ।
সহকর্মীদের সাথে নিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা শহরের অলিতে গলিতে হাঁটলেন । তাঁর খুব ক্ষিদে পেলো । ক্ষিদে লাগার পর ম্যান্ডেলা বললেন : -
চলো , সামনের মোড়ে যদি কোনো রেস্তোরাঁ পাই ,
সেখানেই কিছু খেয়ে নিতে চাই । সহকর্মীরা তো অবাক ! বুঝতে পেরে ম্যান্ডেলা বললেন , অবাক হওয়ার কিছুই নেই , ক্ষিদে পেয়েছে , খাবো । জেলখানার ওই বিভৎস খাবার খেয়েও যেহেতু মরিনি , তাই এতো সহজে মরবো না ।
সবাই মিলে টেবিলে খেতে বসেছেন ।
অল্পদূরে আরেকজন ভদ্রলোক বসে আছেন , বেশ বয়ষ্ক । হোটেলের ওয়েটারকে ডেকে ম্যান্ডেলা বললেন , একটা চেয়ার এনে আমার পাশে রাখো এবং ওনাকে বলো , আমার টেবিলে বসে খেতে ।
ভদ্রলোক আসলেন । এসে তাঁর পাশের চেয়ারটায় বসলেন । খেতে খেতে সবাই গল্প করছেন । কিন্তু পাশে বসা ভদ্রলোকটি কিছুই খেতে পারছেন না । ওনার হাত কাঁপছে । চামচ থেকে খাবার প্লেটে পড়ে যাচ্ছে । ম্যান্ডেলার সহকর্মীদের একজন বললেন ,
আপনি মনে হয় অসুস্থ । ভদ্রলোক চুপচাপ রইলেন । কিছুই বললেন না ।
ম্যান্ডেলা নিজ হাতে ওনাকে খাবার খাইয়ে দিলেন এবং ওয়েটারকে ডেকে বললেন , ওনার খাবার বিলটা আমরা পরিশোধ করবো ।
খাবার শেষে সেই বয়স্ক ভদ্রলোক বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন । কিন্তু সবাই অবাক চোখে দেখলো , লোকটি ভালো করে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না । শরীরের কাঁপুনি ক্রমবর্ধমান ।
ম্যান্ডেলা নিজ হাতে ওনাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন এবং সহকর্মীদের একজনকে বললেন , ওনাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতে ।
সহকর্মীদের মধ্যে আরেকজন বললেন , এতো অসুস্থ শরীর নিয়ে উনি বাড়ী পৌঁছাতে পারবেন তো ! এই সময় ম্যান্ডেলা বলতে শুরু করলেন ,
আসলে উনি অসুস্থ না । আমি জেলের যে সেলে বন্দি ছিলাম উনি ছিলেন সেই সেলের গার্ড । প্রচন্ড মার খেয়ে আমার খুব তৃষ্ণা পেতো । পিপাসায় কাতর আমি যতবার জল জল বলে আর্তনাদ করতাম , ততবার উনি আমার সমস্ত শরীরে প্রসাব করে দিতেন । আজ আমি দেশের প্রেসিডেন্ট ।
দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মানুষ হওয়ার পর , আমি ওনাকে আমার টেবিলে একসাথে খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছি ! তাই সেই সব দিনগুলোর কথা মনে করে উনি খুব ভয় পেয়েছেন ।
কিন্তু ক্ষমতাবান হয়েই ক্ষমতাহীন মানুষকে শাস্তি দেয়া তো আমার আদর্শের পরিপন্থী । এটা আমার জীবনের এথিকসের অংশ নয় । তাই শাস্তি পাওয়ার পরিবর্তে উনি ভালোবাসা পেয়েছেন । আমার মুখে আর শরীরে উনি প্রসাব করেছেন । কিন্ত ওনার মুখে আমি খাবার তুলে দিয়েছি । আমি আপনাদের যেমন প্রেসিডেন্ট , তেমনি ওনারও প্রেসিডেন্ট ।

প্রতিটি নাগরিককে সম্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব । শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেয়ার মানসিকতা'ই একটি তৈরী রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে ।
আর সহনশীলতার মানসিকতা একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রকে তৈরী করতে পারে ।

অসাধারণ প্রকৃতি, মন চায় হারিয়ে যেতে!!!
03/04/2021

অসাধারণ প্রকৃতি, মন চায় হারিয়ে যেতে!!!

29/01/2021
ডাক্তার ভি এস প্রিয়াপ্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ডাক্তার, salute💖💖
06/01/2021

ডাক্তার ভি এস প্রিয়া

প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ডাক্তার, salute💖💖

01/12/2020

ছড়ায় ছড়ায় সিরাজগন্জের ইউনিয়নসমুহ
" সিরাজগন্জে আয় .............................
আয় রে গ্যাদা আয় রে গেদি
আয় রে ভাই আর বু '
সিরাজগন্জের ব্যাবাক ইউনন্
দেখপি নাহি নু |

যমুনার বুহে আছে
আঙ্গোর কাজীপুর
চালিতাডাঙ্গা, চরগিরিশ
নিশ্চিন্তপুর |
সোনামুখী জুইড়্যা আছে
আজার সোনা মুখ
গান্ধাইলের বরইতলা
গর্বে ভরায় বুক |
মনসুরনগর জুইড়্যা আছে
আজার ইতিহাস
ইচ্ছ্যা করে নাটুয়ারপাড়ায়
থাকি বারোমাস |
উইড়্যা উইড়্যা ঘুইরা ব্যাড়াই
তেকানী, মাইজবাড়ি
শুভগাছার শুভ 'র হাতে যাই
হেই খাস রাজবাড়ি |

তারপরে যাই সদর টাউন
ঘুরি হারাবেলা
শিয়ালকোলের কোল জুইড়্যা
চিতি আতড়াই ম্যালা |
বাগবাটি,রতনকান্দি
বহুলী,খোকশাবাড়ি
ছোনগাছা,মেছড়া'য় যাই
আয় রে তাত্তারি |
কাওয়াখোলার আত্মভোলা
মানুষ বেজায় ভালো
সায়দাবাদের রুপ দেইহ্যা
মন ব্যাক্কের জুড়াইলো |
কাছেই আছে আরাক ইউনন্
নয় রে ম্যালা দুর
নু যাইগ্যা ঘুইড়্যা আসি
কালিয়া হরিপুর |

রায়গন্জ, ব্রহ্মগাছা
ঘুরি চান্দাইকোনা
সোনাখাড়া ইউনন্ জুইড়্যা
উটকাই খালি সোনা |
ধুবিল, ঘুড়কা, নলকা ঘুরি
ঘুরি পাঙ্গাসী
ধামাইনগরের ব্যাক্কের মুহেই
লাইগ্যা থাকে আসি |
ধানগড়া তো পাইছিলো রে
মহান আল্লাহর দান
তিনি আঙ্গোর লাল মওলানা
আবদুল হামিদ খাঁন |

তারপর নু ঘুইড়্যা আসি
চলনবিন আর তাড়াশ
তালম,সগুনা,মাওড়া বিনোদ
নওগাঁ, বারুহাস |
নু যাইগ্যা ঘুইড়্যা আসি
সোন্দর দেশীগ্রাম
আরাক ইউনন্ ঘুইড়্যা আসি
মাধাইনগর নাম |

উল্লাপাড়া ঘুইড়্যা নু যাই
রামকৃষ্ঞপুর
বাঙ্গালা, উধুনিয়া
ঘুরমু মোহনপুর |
বড়পাঙ্গাসী,দূর্গানগর
পূর্ণিমাগাঁতী যাই
নু যাইগ্যা সলপ যায়া
দই আর ঘোল খাই |
হাঁইট্যা হাঁইট্যা নু যাইগ্যা
হাটি কুমরুল
পন্চক্রোশী বারোমাসই
ফোটে হেনে ফুল |
বড়হর, কয়রা ঘুইড়্যা
নু যাই সলঙ্গা
আজার চিতি মনের মইধ্যে
নাচে দোলঙ্গা |

কামারখন্দ নয় রে মন্দ
বেজায় ভালো বটে
জামতৈল ষ্টেশনে
মন যে আইজো ছোটে |
ভদ্রঘাটের ভদ্রছেলের
বিশাল উদাড় বুক
রায় দৌলতপুর, ঝাঐল যায়া
মনে যে পাই সুখ |

বেলকুচির বুক জুইড়্যা আইজ
ওই যমুনার চর
বড়ধূলেও ধূল ওড়ে রে
হারা বছর ভর |
চইরা অইলেও আপন ব্যাক্কেই
নয় রে কেহু পর
রাজাপুরে রাজা না থাইকলেও
ব্যাক্কেরই শান্তির ঘর |
ভাঙ্গাবাড়ি ভাঙ্গা নয় রে
নামেই এইব্যা সুর
ধুকুরিয়াবেড়া অনেক ভালো
ভালো দৌলতপুর |

চৌহালির চরে আছে
বাঘুটিয়া, ঘোরজান
চর যে ব্যাক্কের জীবন মরন
চর যে ব্যাক্কের জান |
উমারপুর, স্হল ঘুইড়্যা
খাস কাউলিয়া যাই
সদিয়া চাঁদপুর, খাস পুকুরিয়ায়
ভালবাসা পাই |

শাহজাদপুরে ঘুইড়্যা দেহি
কবি গুরুর ঘর
পোতাজিয়ার ব্যাক্কেই আপন
নয় রে কেহু পর |
রুপবাটির ওই রুপ দেইহ্যা
নু যাইগ্যা গালা
পোরজনা,হাবিবুল্লাহনগরে
পাবি ফুলের মালা |
খুকনী জুইড়্যা ঘুইরা ঘুইরা
দেখমু আজার তাঁত
কায়েমপুর,জালালপুরে
কাটামু রে রাত |
বেলতৈল,গাড়াদহ
কৈজুরীতে যামু
নরিনা আর সোনাতনী যায়া
মজা ম্যালা পামু |

সিরাজগন্জ জেলা জুইড়্যা
যত ইউনন্ আছে
ভালবাসা পামু ম্যালা
ব্যাবাক মাইনষের কাছে |
ভালবাসা পাইব্যার চাইলে
আয় রে ব্যাক্কেই আয়
ডাইকছে রে দেখ করতোয়া
ডাইকছে যমুনায় |

বিদেশী সব কিছুই সুন্দর এমন কিন্তু না!বাংলাদেশে ও সুন্দর অনেক কিছু আছে।এই রোডটার কথা একবার ভেবে দেখুন!  আকাশে মেঘ যে খানে...
30/11/2020

বিদেশী সব কিছুই সুন্দর এমন কিন্তু না!
বাংলাদেশে ও সুন্দর অনেক কিছু আছে।
এই রোডটার কথা একবার ভেবে দেখুন! আকাশে মেঘ যে খানে জমে তারচেয়েও এই রোডটা উপরে! এটা বান্দরবান জেলার আলিকদম-থানচি রোড।
ধন্যবাদ।

আপনি প্রথম দেখলেন তাই না কাঁচা লবঙ্গ🌼🌺🌹
26/11/2020

আপনি প্রথম দেখলেন তাই না কাঁচা লবঙ্গ🌼🌺🌹

একটি_কাঠঠোকরা_পাখির_শীতকালীন_প্রস্তুতি_ প্রথমে সে একটি মৃত গাছ খুঁজে বের করে এবং খাদ্যশস্য নিরাপদে রাখার জন্য গর্ত তৈরি ...
26/11/2020

একটি_কাঠঠোকরা_পাখির_শীতকালীন_প্রস্তুতি_

প্রথমে সে একটি মৃত গাছ খুঁজে বের করে এবং খাদ্যশস্য নিরাপদে রাখার জন্য গর্ত তৈরি করতে শুরু করে।
প্রতিটি গর্ত খুব চিন্তা করে তৈরি করা হয়,
কারণ যদি গর্তটি বড় হয়, তবে অন্যান্য পাখিগুলি সহজেই তার খাবারকে চুরি করতে পারে।
গর্তটি সংকীর্ণ হলে বাদামটি ভেঙে যেতে পারে এবং খারাপ হতে পারে।
গ্রীষ্মের শেষে, কাঠঠোকরার এই কঠিন শৈল্পিক কাজটি শেষ হয়। এই সময়ের মধ্যে বাদাম গুলি পাকা হয় এবং গাছের মধ্যে তাদের জায়গা নেয়।
একটি বড় গাছের কাণ্ডে প্রায় ৫০,০০০ এমন খাদ্যশস্য থাকতে পারে, যা পাখিকে একটি সন্তোষজনক খাদ্য নিরাপত্তাজনক শীত উপহার দেয়।

আপনি যতক্ষন না চাইছেন , আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না।❤️
26/11/2020

আপনি যতক্ষন না চাইছেন , আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না।❤️

সাতছড়ি হবিগঞ্জ সিলেট।
24/11/2020

সাতছড়ি হবিগঞ্জ সিলেট।

জীবনযুদ্ধে অপরাজিতা এক মা ❤️❤️❤️❤️থাকেন সিলেটে।স্বামী প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন দীর্ঘদিন ধরে।দুই ছেলের মধ্যে একজন...
24/11/2020

জীবনযুদ্ধে অপরাজিতা এক মা ❤️❤️❤️❤️
থাকেন সিলেটে।
স্বামী প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন দীর্ঘদিন ধরে।
দুই ছেলের মধ্যে একজন মৃগী রোগী,আরেকজন মানসিক ভারসাম্যহীন।

উনার চোখে সমস্যা।
দুচোখেই করতে হবে অপারেশন।
শেষ বয়সেও পরিবারের হাল আঁকড়ে ধরে থাকতে হচ্ছে উনার।
যে বয়সে আরাম আয়েশ করে থাকার কথা ছিলো সেই বয়সে সিলেট শহরের ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে হেঁটে বিক্রি করছেন হরেক রঙের বেলুন।
দুমুঠো ভাত আর স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটাতে হয় রাস্তায় রাস্তায়।

জীবন নিয়ে হতাশ না হয়ে আল্লাহর শুকুরগোজার করেন।
কত ভালো আছি আমরা!

(এই মা জিন্দাবাজার পানসীর সামনেই থাকেন বেশিরভাগ সময়)

এক_বাবার_আর্তনাদ :ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনে উঠেই দেখি আমার উল্টো দিকে এক অসুস্থ্য বৃদ্ধ মাথা নীচু করে বসে আছেন। টিটিকে টিকিট...
24/11/2020

এক_বাবার_আর্তনাদ

:

ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনে উঠেই দেখি আমার উল্টো দিকে এক অসুস্থ্য বৃদ্ধ মাথা নীচু করে বসে আছেন। টিটিকে টিকিট দেখাতে না পেরে ভদ্রলোকের চোঁখে মুখে এতটাই অপরাধী ভাব যেনো এক, খুনের মামলার আসামী। টিটির অকথ্য ভাষার গালাগালি আমি tolarate করতে পারছিলাম না। একটু কর্কষ ভাষায় বলে ফেললামঃ "টিটি সাহেব ফাইনসহ কত? আমি দেবো।"

টিটি বললোঃ "আপনি দেবেন কেনো?

আমিঃ "তাতে আপনার কি? টাকা নিয়ে রশিদ কেটে দিন।"

রশিদটা বৃদ্ধের হাতে দিয়ে বললামঃ "বাবা,

রশিদটা রাখুন। পথে লাগতে পারে।"

কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধ বললোঃ "বাবা তুমি আমার

আমার মান সন্মান বাঁচালে।"

পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য মৃদু হেঁসে বললামঃ

"আপনি ঢাকায় কোথায় থাকেন?"

বৃদ্ধ বললোঃ"সে এক ইতিহাস। আপনার কি শোনার সময় হবে?"

আমিঃ "অবশ্যই, বলুন।"

বৃদ্ধ বললোঃ "আমি পাইকপাড়া বশিরউদ্দিন

স্কুলে B.Sc শিক্ষক ছিলাম।"

শিক্ষক শুনেই আমিঃ "স্যার, আমাকে তুমি করে বলবেন।"

স্যারঃ "বাইশ বছর পর স্যার শব্দটি শুনে

চোঁখের পানি ধরে রাখতে পারলাম নারে বাবা।"

টিস্যু এগিয়ে দিয়ে বললামঃ "স্যার, আপনার গল্পটা বলুন।"

স্যারঃ"তিন বছর বয়সের যমজ দুটো ছেলে আর মেয়েটি জন্মের সময় ওদের মায়ের মৃত্য হলো। সন্তানদের দিকে তাঁকিয়ে আর বিয়ে করলাম না। পাইকপাড়ায় মাথা গুঁজার ঠাঁই করি। সন্তানদেরকে

বাবা-মায়ের আদর দিয়ে বড় করলাম। বড় ছেলেটা বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলো। ছোট ছেলেটা ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পাশ করলো।"

আমিঃ "মেয়েটিকে কি পড়ালেন?"

স্যারঃ "নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজনের ধারনা মেয়েকে লেখা পড়া শিখিয়ে লাভ কি? পরের বাড়ী চলে যাবে। বরঞ্চ ছেলেকে সুশিক্ষিত করে তুললে বৃদ্ধ বয়সে একটু মাথা গুঁজার ঠাঁই হবে।

আমরা খুব স্বার্থপর জাতিরে বাবা। মেয়েটি ইন্টারমিডিয়াট করার সাথে সাথে বিয়ে দিয়ে দিলাম। ছাত্রী ভালো ছিলো।"

আমিঃ "তারপর?"

স্যারঃ "ছেলে দুটোকে বিয়ে করালাম। ছেলে দুটোর অনুরোধে

জমিটুকু বিক্রী করে বড় ছেলে পল্টনে আর ছোট ছেলে উত্তরায় ফ্ল্যাট কিনলো।"

আমিঃ "মেয়েকে কিছুই দেন নাই?"

কাঁদতে কাঁদতে স্যারঃ "সেটাই একটা বিরাট ভুল। ছেলের বৌদের সিদ্ধান্ত প্রতি মাসের ১ হতে ১৫ বড় ছেলের বাসায় আর ১৫-৩০ ছোট ছেলের বাসা সুটক্যাস নিয়ে ছুঁটাছুটি। মেয়ে অবশ্য বহুবার বলেছে আব্বা আপনি আমার কাছে চলে আসেন। কোন মুখ নিয়ে যাবো? কতদিন যাবৎ বুকের বাম দিকটা ব্যাথা করছে।"

আমিঃ "ডাক্তার দেখাননি?"

মৃদু হেঁসে স্যারঃ "ডাক্তার আবার, ছোট বৌমাকে বললাম আর কয়েটা দিন থাকি। সে সুটকেসটা বাহিরে ফেলে দিয়ে ইংরাজীতে বললো See you next month। বড় ছেলের বাসায় গিয়ে দেখি তালা মারা। দাড়োয়ান বললো ওরা দু সপ্তাহের জন্য মালেশিয়া গেছে। তারা জানে নির্ধারিত সময়ানুযায়ী আমার আসার কথা। পকেটে বিষ কেনার পয়সাও নেই। তাই ভাবলাম মেয়েই শেষ অবলম্বন।"

আমিঃ "মেয়ে কি করে?"

স্যারঃ "স্বামীটা খুব ভালো। ওকে শাহজালাল থেকে কম্পিউটার সায়েন্সএ পাড়িয়ে ওরা দুজনই প্রাইভেট ব্যাঙ্কে আছে।"

আমিঃ "আপনার মেয়ে যদি আপনাকে গ্রহণ না করে।"

স্যারঃ "মেয়ের পায়ে ধরে কান্না করলে। আমাকে তাঁড়িয়ে দেবে না।"

আমিঃ "এতো আত্মবিশ্বাস? মেয়ে কি জানে আপনি আসছেন।"

স্যারঃ "না, আমারতো মোবাইল নেই।"

আমিঃ "নম্বর দিন, কথা বলিয়া দিচ্ছি।"

স্যারঃ "না না বাবা, মোবাইলেতো মেয়ের পাঁ ধরে মাফ চাইতে পারবো না। পরে যদি নিষেধ করে দেয়।"

আমি বলছি আপনার মেয়ে কনোদিন বাবা-মাকে তাঁড়িয়ে দেবে না।

এক প্রকার জুড় করে ফোন ডায়রী দেখে স্পিকার অন করে ডায়াল করলাম

আমিঃ "হ্যালো, আপনি কি শাহানা?"

অপরপ্রান্তঃ "জ্বী, কে বলছেন?"

আমিঃ "একখানা সুখবর দেওয়ার জন্য ফোন করলাম।"

অপর প্রান্তঃ "কিসের সুখবর?"

আমিঃ "কিছুক্ষনের মধ্যে আপনার বাবা অর্থাৎ স্যার রেল স্ট্যাশনে পৌঁছাবেন।"

মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বলে উঠলোঃ "এই শুনছো, আব্বা আসছেন। চলো আমরা স্ট্যাশনে যাই। কতদিন হয় আব্বাকে দেখি না। নিবিড় চল বাবা, তোর নানা ভাই আসছে, চল স্ট্যাশনে যাই।"

কিছুক্ষন পর স্ট্যাশনে ট্রেনটি ধীর গতিতে চলছিলো। জানালা দিয়ে তাঁকিয়ে দেখলাম। ঘরের সাধারণ কাপড় পড়া স্বামী/সন্তানসহ এক নারী অধীর আগ্রহে তাঁকিয়ে যাত্রী খুঁজছিলো। তাঁকানো দেখেই বুঝে গিয়ে স্যারকে বললামঃ "আপনার মেয়ে?"

স্যার বেশ নার্ভাস স্বরে বললোঃ "হো মা।"

আমি ইশারা দিতেই ওরা দরজার সামনে এসেই। স্বামী স্যারের ভাঙ্গা সুটকেসটা নিয়ে পাঁ ছুঁয়ে প্রণাম করলো। মেয়েটি বাবাকে জঁড়িয়ে ধরে কাঁদছিলো। স্যারের চোঁখ ভরা অশ্রু আমাকে বায় দিলো। ট্রেন ছুটতে লাগলো।মেয়ে,জামাই আর নাতি স্যারকে ধরে আস্তে আস্তে নিয়ে যাচ্ছে আর ট্রেনটির দিকে তাকাচ্ছিলো।

মেয়েটির কান্না দেখে মনে হলো মা তাঁর হাঁরিয়ে যাওয়া সন্তানকে বহুদিন পর ফিরে পেলো।

আকাশের দিকে তাঁকিয়ে ভাবছিলামঃ "আজ আমার বাবা বেঁচে থাকলে এই আনন্দের থেকে আমিও বঞ্চিত হতাম না।"

respect """"" ভালো লাগলে কিছু লিখবেন।

সবাই_মা_বাবার_সেবা_করার_চেষ্টা_করবেন।

23/11/2020

এঁটেল মাটির তৈরি এই বিস্কুট ‘ছিকর’ নামেই পরিচিত ছিল। ৭০-৯০ এর দশকে ‘ছিকর’ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রামে নিম্নবিত্...

সিরাজগঞ্জ সদরে সয়াগোবিন্দ মিলন মোড়ের কাছে এখনও একটা গরুর অভাবে প্রতিবন্ধী মেয়ে এবং বৃদ্ধ  শ্বামী,স্ত্রী মিলে ঘানি টেনে ত...
22/11/2020

সিরাজগঞ্জ সদরে সয়াগোবিন্দ মিলন মোড়ের কাছে এখনও একটা গরুর অভাবে প্রতিবন্ধী মেয়ে এবং বৃদ্ধ শ্বামী,স্ত্রী মিলে ঘানি টেনে তেল তৈরি করে সংসারের খরচ চালাতে হয়।নিজের চোখে না দেখলে বুঝা যাবেনা, ঘানি টানা কত কষ্ট।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mysterious World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

শেয়ার করুন

রহস্যময় পৃথিবীর অবাক করা তথ্য জানতে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন