বাংলার বায়োস্কোপ

  • Home
  • বাংলার বায়োস্কোপ

বাংলার বায়োস্কোপ ধূলো পরা বায়োস্কোপ আবার নতুন প্রাণ পাবে। আমরা বাংলাকে দেখবো; বাংলাকে দেখাবো।

360 Night View of Rajshahi Medical CollegeMueeb Monon
30/06/2023

360 Night View of Rajshahi Medical College
Mueeb Monon

30/06/2023

30 Second of Rajshahi University
Mueeb Monon Cinematography

পদ্মার অনেক রূপ
21/08/2022

পদ্মার অনেক রূপ

Smile from Padmaবাংলার বায়োস্কোপ
20/09/2021

Smile from Padma
বাংলার বায়োস্কোপ

কান্তজীউ মন্দিরকান্তনগর মন্দির ইটের তৈরী অষ্টাদশ শতাব্দীর মন্দির। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে এবং দিনাজপুর-তে...
29/06/2021

কান্তজীউ মন্দির

কান্তনগর মন্দির ইটের তৈরী অষ্টাদশ শতাব্দীর মন্দির। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে এবং দিনাজপুর-তেতঁলিয়া সড়কের প্রায় এক মাইল পশ্চিমে ঢেপা নদীর পারে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দিরটি স্থাপিত। বাংলার স্থাপত্যসমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দিরটির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণকি কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ নবরত্ন বা ‘নয় শিখর’যুক্ত হিন্দু মন্দিরের চুড়া হতে আদি নয়টি শিখর ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সর্বৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নির্দশন রয়েছে এ মন্দিরে।মন্দিরের নির্মাণ তারিখ নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা অপসারিত হয় মন্দিরের পূর্বকোণের ভিত্তি দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত সংস্কৃত ভাষায় লেখা কালানুক্রম জ্ঞাপক একটি শিলালিপি থেকে। সূত্র অনুযায়ী দিনাজপুরের মহারাজ প্রাণনাথ ১৭২২ সালে এ মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং তাঁর স্ত্রী রুকমিনির আদেশে পিতার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মহারাজের দত্তকপুত্র মহারাজ রামনাথ ১৬৭৪ সালে (১৭৫২) মন্দিরটির নির্মাণ সম্পন্ন করেন। যা হোক, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা গিরিজানাথ বাহাদুর ধ্বংস হয়ে যাওয়া নয়টি শিখর বাদে মন্দিরটির ব্যাপক পুনর্গঠন করেছিলেন।এ জমাকালো পিরামিড আকৃতির মন্দিরটি তিনটি ধাপে উপরে উঠে গিয়েছে এবং তিন ধাপের কোণগুলির উপরে মোট নয়টি অলংকৃত শিখর বা রত্ন রয়েছে যা দেখে মনে হয় যেন একটি উচুঁ ভিত্তির উপর প্রকান্ড অলংকৃত রথ দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরের চারদিকে খোলা খিলান পথ রয়েছে যাতে যে কোন দিক থেকেই পূজারীরা ভেতরের পবিত্র স্থানে রাখা দেবমূর্তিকে দেখতে পায়।বর্গাকৃতির মন্দিরটি একটি আয়তাকার প্রাঙ্গনের উপর স্থাপিত। এর চারদিকে রয়েছে পূজারীদের বসার স্থান যা ঢেউ টিন দ্বারা আচ্ছাদিত। বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠটিকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ ইমারত নির্মিত হয়েছে। পাথরের ভিত্তির উপর দাঁড়ানো মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি। ধারণা করা হয়, গঙারামপুরের(দিনাজপুর) নিকট বাননগরের প্রাচীর ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মাণ উপকরণ এনে এটি তৈরি করা হয়েছিল। বাইরের দিকে উচুঁ করে তৈরী তিনটি চতুষ্কোণাকার প্রকোষ্ঠ এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরণের নকশা কেন্দ্রীয় প্রকোষ্ঠটিকে শক্তিশালী করেছে, তাই উপরের বিরাট চূড়াটিকে এ প্রকোষ্ঠটির পক্ষে ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাকি আটটি অলংকৃত চূড়া নিচের দু’তলার ছাদের আটটি কোণে সংযোজন করা হয়েছিল। নিচতলার বাঁকা কার্নিস কোণগুলিতে এসে ঝুলে আছে। এর মধ্যবাগ কিছুটা উঁচু হওয়ায় ভিত্তি থেকে এর উচ্চতা দাড়িয়েছে ২৫ ফুট, যার দ্বিতীয় তলার উচ্চতা ১৫ ফুট এবং তৃতীয় তলার ৬‘-৬‘‘। নিচের চারকোণের প্রত্যেকটির সঙ্গে একটি করে ছোট প্রকোষ্ঠ রয়েছে এবং এগুলি দ্বিতীয় তলার উপরে স্থাপিত কারুকার্য খচিত অষ্টকোণাকৃতির কোণের বুরুজগুলির ভর বহন করছে। নিচতলার প্রার্থনা ঘরের চারদিকে মন্দিরে মোট চারটি আয়তাকার বারান্দা রয়েছে।নিচতলার প্রত্যেক দিকের প্রবেশ পথে বুহু খাঁজ যুক্ত খিলান রয়েছে। সমৃদ্ধ অলংকরণ যুক্ত দুটি ইটের স্তম্ভ দ্বারা প্রতিটি খিলানকে পৃথক করা হয়েছে। নিচতলার চার প্রকোষ্ঠের বাইরে মোট ২১টি খিলান দরজা আছে, আর দ্বিতীয় তলায় এ খিলান দরজার সংখ্যা ২৭টি। ছোট হয়ে আসা তৃতীয় তলার মাত্র তিনটি প্রবেশ দরজা এবং তিনটি জানালা রয়েছে। পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে ২‘-৩‘‘প্রশস্ত সংর্কীণ সিঁড়ি পথ উপরে উঠে গিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন এ প্রবেশ পথ এঁকে বেঁকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় উঠে গিয়েছে।
পূজারীদের চালার বাইরে প্রধান মন্দিরের প্রায় একশগজ দূরে আগাছায় ছাওয়া একটি এক চূড়া বিশিষ্ট ছোট ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির রয়েছে। প্রচলিত ধারণা মতে মহারাজ প্রাণনাথ ১৭০৪ সালে এ মন্দিরটি তৈরি করে এখানে কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি সাময়িকভাবে বৃন্দাবন থেকে আনা হয়েছিল। নবরত্ন মন্দির তৈরি সমাপ্ত হলে এ মূর্তিটি এখানে স্থানান্তর করা হয়। এটি এখন একটি পরিত্যক্ত দেবালয়। এ মন্দিরটি ছিল ১৬ পার্শ্ব সম্বলিত সৌধ এবং এর উচ্চতা ছিল ৪০ ফুট এবং এর দক্ষিণ দিকে প্রবেশ পথে ছিল বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান।পোড়ামাটির অলংকরণ ভিত্তি থেকে শুরু করে মন্দিরের চূড়া পর্যন্ত ভেতরে ও বাইরে দেয়ালের প্রতিটি ইঞ্চিতে তিনটি পৌরাণিক কাহিনীর অনুসরণে মনুষ্য মূতি ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলি বিস্ময়করভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহাভারত ও রামায়ণের বিস্তৃত কাহিনী এবং অসংখ্য পাত্র-পাত্রীর বিন্যাস ঘটেছে এখানে।কৃষ্ণের নানা কাহিনী, সমকালীন সমাজ জীবনের বিভিন্ন ছবি এবং জমিদার অভিজাতদের বিনোদনের চিত্র প্রতিভাত হয়েছে। পোড়ামাটির এ শিল্পগুলির বিস্ময়কর প্রাচুর্য, মূর্তির গড়ন কোমল ভাব ও সৌন্দর্য এত যত্নের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, বাংলার যে কোন ম্যূরাল চিত্রের চেয়ে তা অনেক উৎকৃষ্ট। কেউ যদি মন্দির দেয়ালের অলংকরণের দৃশ্য যে কোন দিক থেকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে দেখেন এবং বিষয়বস্তুকে সমন্বিত করেন, তবে এর বিষয় বৈচিত্র দেখে অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হবেন।মন্দিরের বাইরের দেয়ালের পোড়ামাটির অলংকরণের সাধারণ যে চিত্র, তাতে চারদিকের ভিত্তি প্যানেলের নিম্নাংশে চিত্রগুলি সমান্তরাল ভাবে চারটি প্রবেশ পত্রের দিকে এগিয়ে গিয়েছে।এ দিক থেকে ভিত্তির একটু উপরেই ক) লতা পাতার মধ্যে প্রস্ফুটিত গোলাপ এবং এর বিকল্প হিসেবে কোথাও চারটি ধাতুর পাতে ধাতব প্রলেপযুক্ত ডিজাইন খ) স্ত্তম্ভের কার্নিসে যে প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তার মধ্যে সমসাময়িক সামাজিক চিত্র ও মাটির খন্ডে তৈরী অভিজাত জমিদারদের শিকারের দৃশ্য প্রস্ফুটিত হয়েছে গ) উপরের সমান্তরাল প্যানেলে সূক্ষ্ম জটিল অলংকরণের মাঝে প্রস্ফুটিত গোলাপ ছিল, যা সাধারণভাবে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাঘা মসজিদ, কুসুম্বা মসজিদ ও ছোট সোনা মসজিদ প্রভৃতির গায়ে লক্ষ্য করা যায়।দ্বিতীয় পর্যায়ের অলংকরণের উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ হচ্ছে বনের ভেতর শিকার দৃশ্য,হাতি, ঘোড়া, উট সহযোগে রাজকীয় শোভাযাত্রা এবং অভিজাতদের জন্য চমৎকারভাবে তৈরী গরুর গাড়ি। তাদের গায়ে ছিল মুগল পোশাক ও অস্ত্র। সুন্দরভাবে সজ্জিত হাতি এবং ঘোড়া। এদের সঙ্গে যুক্ত রথসমূহ কারুকার্য সমৃদ্ধ ছিল। অলংকৃত পালকিতে গুটিসুটি মেরে বসে থাকা নাদুস-নুদুস দেহের জমিদার, হাতে তার বিলাসী হুক্কা। হুক্কার অন্যদিকে লম্বা নল থেকে ধূঁয়ার কুন্ডুলি ছুড়ছেন। অন্যদিকে নদীর দৃশ্য রয়েছে, যেখানে লোকজনে ঠাসা সর লম্বা নৌকায় সকলে আন্দোৎসবে মগ্ন।ছোট ছোট সৈন্যদলের গায়ে রয়েছে ইউরোপীয় পোশাক, খোলা তলোয়ার ও শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপের অলঙ্করণে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনীর চিত্রণ। এখানে লৌকিকভাবে কৃষ্ণর প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে। এ পর্যায়ের পোড়ামাটির অলঙ্করণে রয়েছে দানব রাজা কংস কিশোর কৃষ্ণকে বধ করতে উদ্ধত, কৃষ্ণ কর্তৃক রাক্ষস পাতনা এবং সারস গলার দানব বাকাসুর হত্যা, গোবর্ধন পার্বতকে উপরে ফেলে কেশি হত্যা; স্বর্প দানব কালিয়াকে দমন এবং লম্বা সরু নৌকায় কৃষ্ণের আনন্দ ভ্রমণ ইত্যাদি। মন্দিরের দক্ষিণ মুখে কিছু বিভ্রান্তকর দৃশ্যসহ রামায়ণের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রামায়ণের কাহিনীর চিত্র পূর্ব প্রান্তের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখানে পঞ্চবটীর বনে রাম চন্দ্র, সীতা ও লক্ষণের বনবাসের রুপায়ণ রয়েছে, সূর্পনখার নাকে আঘাতরত লক্ষণ, দন্ডকের বন থেকে রাবন কর্তৃক সীতা অপহরণ; রাবণের রথকে বাঁধা প্রদানে জটায়ুর ব্যর্থ প্রচেষ্টা, অশোক বনে সীতার বন্দি জীবন; কিশকিন্দিয়ার সিংহাসনের জন্য বালী এবং বানর অনুসারী সহ সুগ্রীভের যুদ্ধ। এছাড়াও আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রাম চন্দ্রের সপ্ততলা বেদ এবং বানর অনুসারীসহ রামচন্দ্রের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় রত ছিলেন সুগ্রীভ।
উত্তর দিকের প্রতিমূর্তিগুলির মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল কৃষ্ণ বলরাম। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কৃষ্ণের বিভিন্ন বিয়ের ছবি; গোয়ালিনী দন্ডের দু্ই মাথায় ঝোলানো শিকায় (পাটের ঝোলা) দুধ ও দৈ বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। অলঙ্করণের দ্বিতীয় ধাপে একটি আকর্ষণীয় ইউরোপীয় যুদ্ধ জাহাজ খোদিত হয়েছে। এখানে সূক্ষ্ম ও বিস্তারিতভাবে দৃশ্যমান রয়েছে সৈনিক এবং কামান।পশ্চিম দিকের পুরো অংশেই তৃতীয় ধাপের সূক্ষ্ম অলঙ্করণে কৃষ্ণ কাহিনীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এ অলঙ্করণ শেষ হয়েছে মধুরার দানব রাজা কংসকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কংসের দানবাকৃতির খুনে হাতি কবল্লপীড়ার ধ্বংস, মথুরায় কংসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে কৃষ্ণকে অংশগ্রহণে বিরত করতে না পেরে রাধার জ্ঞান হারানো। এসব চিত্রের মধ্যে দন্ডের দুই প্রান্তে ঝোলানো শিকাতে দুধ ও মাখন বহন করা গোয়ালার চিত্র খুবই আকর্ষণীয়, যা এখনও গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত দৃশ্য।বহু খাঁজ বিশিষ্ট খিলানের স্প্যান্ড্রিলের উপরে সম্প্রসারিত প্যানেলে চমৎকারভাবে দৃশ্যমান করা হয়েছে মহাকাব্যগুলির প্রাণবন্ত যুদ্ধের দৃশ্যাবলি। এতে আরও দেখানো হয়েছে একটি বৃত্তের ভেতর নৃত্যরত রাধাকৃষ্ণের যুগলশূর্তিসহ রস-মন্ডল ও এর সাথে অন্যান্য সহায়ক মূর্তি। কুরুক্ষেত্র ও লঙ্কার প্রচন্ড যুদ্ধের দৃশ্যাবলি রুপায়নে স্থানীয় লোকশিল্পীদের কল্পনা ও প্রচুর প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটেছে।আপাতঃদৃষ্টিতে মন্দিরের দেওয়ালে ব্যাপকভাবে পোড়ামাটির চিত্র অলঙ্করণকারী লোকশিল্পীদের অনেকেই এসেছিলেন কৃষ্ণনগর থেকে। তারা তাদের পরিচিত পরিবেশের প্রভাব শিল্পকর্মে প্রতিফলিত করেছেন। প্যানেলে সূক্ষ্মভাবে চিত্রায়িত দেবতাগণের আদল কখনও কখনও বিস্ময়করভাবে তাদের সমাজের পরিচিত সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মিলে গিয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমের সম্মুখভাগের নিচের দিকের প্যানেলের পোড়ামাটির অলঙ্করণগুলির কথা বলা যেতে পারে। এখানে কৃষ্ণ গাছ থেকে নারকেল পাড়ছিলেন এবং গাছের অর্ধেক পর্যন্ত আরোহণ করা তাঁর এক সঙ্গীর হাতে এটি তুলে দিচ্ছেন এবং নিচে অপেক্ষারত অন্য সঙ্গীর হাতে সে দিচ্ছিল নারকেলটি। এটি ছিল বাংলার একটি পরিচিত দৃশ্য। এখানে দেবতাকে এ সমাজের একজন পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। কতিপয় স্বতন্ত্র ফলক চিত্রও রয়েছে যেখানে স্বভাবিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ছিল। যেমন দক্ষিণ দিকে বারান্দার ভেতর দিকে একটি ফলক রয়েছে যেখানে রাধা-কৃষ্ণ একটি হাতির ওপর নৃত্য করছেন, একই সঙ্গে বেশ দক্ষতায় ডজন খানেক মানব মূর্তিও উৎর্কীণ করা হয়েছে। উত্তর দিকের দেওয়ালে কৃষ্ণ তাঁর একজন নবপরীণিতা স্ত্রীর সঙ্গে চাঁদোয়ার নিচে কটি পিঁড়িতে (নিচু করে তৈরী কাঠের আসন) বসেছেন। নববধু লাজনম্রভাবে অবগুন্ঠন দিয়ে আছেন এবং একহাত দিয়ে ধরে আছেন নিজের মাথা। তিনি চকিত দৃষ্টি দিচ্ছেন তাঁর প্রভুর দিকে। এটি বাংলার সুপরিচিত বিয়ের দৃশ্যের প্রতিফলন। কার্ণিসে অলংকৃত বিশৃঙ্খল জনতাদের মধ্যে হাঁটু ও পেছন দিক একটি গামছা পেঁচিয়ে (কাপড়ের টুকরো) হাঁটু ভাঁজ করে গুটিসুটি মেরে নির্লিপ্তভাবে বসে থাকা কৃষ্ণ, এমন দৃশ্যও কেউ খুঁজে পেতে পারেন। এ ভঙ্গি বাঙালিদের মধ্যে দেখা যায় না। তবে এ দৃশ্যের মিল পাওয়া যায় বিহারের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে।যাহোক, কান্তজীর মন্দিরের চমৎকার পোড়ামাটির অলঙ্করণের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক হলো যে, এতে কামদ দৃশ্যাবলির চিত্র অঙ্কন করা হয়নি, যেমনটি দেখা যায় উড়িষ্যা ও দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরসমূহে।কান্তজীর মন্দিরের দেওয়ালের ওপর পোড়ামাটির এ বিশাল অলঙ্করণ সে সময়ের জীব ও প্রাণশক্তিরই প্রকাশ ছিল এবং হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের পলিময় মাটিতে লালিত শক্তির ভেতর থেকেই এ শিল্প বেড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের মতো এমন ব্যাপক উর্বর পলিময় ভূমিতে পাথরের অভাব হেতু দেশীয় ধারায় পোড়ামাটি শিল্পের বিকাশ যৌক্তিক কারণেই ঘটেছিল। আদি ঐতিহাসিক যুগে, বিশেষ করে পাল চন্দ্র বংশের আমলে যখন পাহাড়পুর, ময়নামতী, ভাসু বিহার এবং সিতাকোটে বৌদ্ধ মন্দির এবং অন্যান্য ইমারতসমূহ লতা-পাতা ও পোড়ামাটির মূর্তি দিয়ে প্রাণবন্ত ছিল, তখন থেকেই এ রুপকারক শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। এ সমস্ত পোড়ামাটির ফলক ছিল বড় আকৃতির এবং কিছুটা সেকেলে ধরণের। কিন্তু কান্তনগর মন্দিরের দেওয়াল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। শিল্পীগণ অত্যন্ত উচ্চমানের পরিশীলিত এবং পরিণত শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন, যেখানে সমন্বিত ধারায় অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে অলঙ্করণ করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্ন ধারায় প্রাচীন শিল্প ঐতিহ্যের বিপরীতে এবং কিছুটা অসংলগ্ন বিন্যাসে এ মন্দিরের শিল্পের সমন্বয় ঘটেছিল বেশ কিছু স্বতন্ত্র ফলকে এবং বিস্তৃতভাবে শিল্প প্রকরণের যে সমন্বিত রুপের প্রকাশ ঘটেছিল তার মধ্যে এক ধরণের ছন্দ লক্ষ করা যায়। এরই প্রভাবে কার্পেট ও অন্যান্য সূচী শিল্পে এ ঐশ্বর্যশালী অলঙ্করনের ব্যবহার প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়।
কিভাবে যাওয়া যায়: দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে এবং দিনাজপুর-তেতঁলিয়া সড়কের প্রায় এক মাইল পশ্চিমে ঢেপা নদীর পারে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দিরটি স্থাপিত।

ছবি: Mueeb Monon
তথ্য:http://www.dinajpur.gov.bd/site/tourist_spot/1faaaf57-18ff-11e7-9461-286ed488c766/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%89%20%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0

প্রাণের শহর হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় ❤️বাংলার বায়োস্কোপছবি:Mueeb Monon
13/06/2021

প্রাণের শহর হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় ❤️
বাংলার বায়োস্কোপ
ছবি:Mueeb Monon

সমতলের চা বাগানপঞ্চগড়
12/06/2021

সমতলের চা বাগান
পঞ্চগড়

26/05/2021

কৈশোর এর খুনসুটি থেকে ভালোলাগা। ভালোলাগা ভালোবাসা পর্যন্ত গড়িয়েছিল কি না তা বোঝার আগেই অজানা কারণে বারো বছরের দুরত্ব। একদিন হঠাৎ দেখা ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে।তারপর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট ; তা থেকে নতুন ভাবে নিজেদের ফিরে পাওয়া। সব শেষে দুই অধ্যায়ের প্রণয় পরিবারের সহায়তায় কিভাবে বিয়ে পর্যন্ত গড়ালো। সেই গল্প নিয়েই সাজানো
Arich Zamanএবং Arpita Mariaএর Post wedding Cinematography
Choreography: Foysal Murad Sayor Prodhan
Costume: Fatima Raufa Medha
Cinematography and Direction: Mueeb Monon
বাংলার বায়োস্কোপ

মির্জাপুর শাহী মসজিদ,আটোয়ারী,পঞ্চগড়মসজিদের শিলালিপি ঘেঁটে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন মির্জাপুর শাহী মসজিদটি ১৬৫৬ সালে ...
04/05/2021

মির্জাপুর শাহী মসজিদ,আটোয়ারী,পঞ্চগড়

মসজিদের শিলালিপি ঘেঁটে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন মির্জাপুর শাহী মসজিদটি ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মসজিদটি কে নির্মাণ করেছেন এটি নিয়ে ঐতিহাসিক মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, মালিক উদ্দিন নামে মির্জাপুর গ্রামেরই এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মালিক উদ্দিন মির্জাপুর গ্রামও প্রতিষ্ঠা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দোস্ত মোহাম্মদ নামে জনৈক ব্যক্তি মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, মুঘল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।(উইকিপিডিয়া)

স্বপ্ন দিয়ে রাঙাই আকাশ, স্পর্ধায় ভরা বুকশেকল ছিঁড়ে, নিয়ম ভেঙে, সারাই হাজার অসুখতুমিও কি চাও আকাশ ছুঁতে? অন্ধকারের বল...
03/03/2021

স্বপ্ন দিয়ে রাঙাই আকাশ, স্পর্ধায় ভরা বুক
শেকল ছিঁড়ে, নিয়ম ভেঙে, সারাই হাজার অসুখ
তুমিও কি চাও আকাশ ছুঁতে? অন্ধকারের বলি?
চল তবে আজ, ছেঁড়া ঘুড়ি হয়ে, সূর্যটাকে ধরি
-বাংলার বায়োস্কোপ

20/02/2021

একুশের একুশ || মুয়ীব মনন || ডা: তোফায়েল আহমেদ সজীব || এ এম গোলামুম মুশফিক ||
বাংলার বায়োস্কোপ
আবহসংগীত:
"একুশের গান"
গীতিকারঃ আবদুল গাফফার চৌধুরী
সুরকারঃ আলতাফ মাহমুদ (প্রথম সুরকার আবদুল লতিফ)
ভিডিওতে ব্যবহৃত সংস্করণঃ "অমর একুশের গান-নিবেদনে প্রথম আলো"
Trailer এ ব্যবহৃত বাঁশির সুরঃ Flute Sumon
ব্যবহৃত কবিতাসমূহ:
১. "আমার পরিচয়"- সৈয়দ শামসুল হক
২. "মায়ের ছেলে"- অজিত রায় ভজন
অভিনয়ে:
১. তরুণ চিকিৎসক - ডাঃ তোফায়েল আহমেদ সজীব
২. ভাষা সৈনিক- এ এম গোলামুম মুশফিক
৩. ভাষা সৈনিকের মা - রওশন আরা আহমেদ
৪. তরুণ চিকিৎসকের মা - আফরোজা বেগম
৫. পোস্টম্যান - মইনুল হাসান
কলাকুশলীবৃন্দ:
১. ভিডিও সম্পাদনা ও গ্রাফিক্স - সুলতান আল মারুফ
২. আবৃত্তি ও অলংকরণ- আরিফ রায়হান শুভ
৩. শিল্প নির্দেশক - ফাতিমা রাউফা মেধা, ফয়সাল মুরাদ
৪. ক্যামেরা সহকারী - তারেকুজ্জামান তন্ময়
৫. চিত্রনাট্য ব্যবস্থাপক - আরমান উৎস, রোকনুর জামান রোকন
৬. সম্পাদনা সহযোগী - ডাঃ তোফায়েল আহমেদ সজীব, আনিকা সালসাবিল
৭. বিশেষ কৃতজ্ঞতা - জিল্লুর রহমান, ফারুক
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা - মুয়ীব মনন

19/02/2021

অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে।
৫২ আসবে আবার; বার বার
Official Trailer - একুশের একুশ
আসছে আগামীকাল
বাংলার বায়োস্কোপ

"আমি তো দুরন্ত ফাল্গুন"ছবি:Mueeb Mononটাইপোগ্রাফি: এহসানুল হক ফাহিম
13/02/2021

"আমি তো দুরন্ত ফাল্গুন"
ছবি:Mueeb Monon
টাইপোগ্রাফি: এহসানুল হক ফাহিম

বাংলায় বসন্ত Mueeb Monon ছবিতে:Sadia Jahan Dia
13/02/2021

বাংলায় বসন্ত
Mueeb Monon

ছবিতে:Sadia Jahan Dia

Ligh painting (Fire)Panchagarh
22/01/2021

Ligh painting
(Fire)
Panchagarh

২০২০ অনেক ভূমিকা করে অনেক কথা বলা যায়। বছরের শুরুতে নতুন শহরে। রাজশাহী। পদ্মার পাড়ে বসে প্রচুর সময় কাটিয়েছি। ক্যামেরাটা ...
31/12/2020

২০২০
অনেক ভূমিকা করে অনেক কথা বলা যায়। বছরের শুরুতে নতুন শহরে। রাজশাহী। পদ্মার পাড়ে বসে প্রচুর সময় কাটিয়েছি। ক্যামেরাটা সাথে ছিল না; মন খারাপ হত। তাতে কি? চোখ আমার বড় লেন্স,মন আমার বড় ক্যামেরা। ১৭ মার্চ এ বাসায় আসলাম। লকডাউন।
লকডাউনে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট,ভাগ্যের সহায়তায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে উপভোগের সুযোগ,লাইট পেইন্টিং নিয়ে কাজ করতে পারা; তবে আমার অর্জন কিংবা ভালোলাগা যেটাই বলুন না কেন, লাইফস্টাইলগুলো তুলতে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রচুর সময় কাটাতে পেরেছি।তাদের গল্পগুলো জানতে পেরেছি। ছবি সব গল্প বলতে পারে না। কিছু গল্প জীবনের ক্যামেরায় বন্দি থাকে। মানুষকে জানতে পারাটাই আমার কাছে ফটোগ্রাফি।

Mueeb Monon
বাংলার বায়োস্কোপ

26/12/2020

" হাসি "
Every smile matters
বাংলার বায়োস্কোপ
Video and edit: Mueeb Monon
Aerial Video: Sayor Prodhan
Special Thanks: Foysal Murad
Music: citycell theme song
Device: Sony A7iii ,50 mm 1.8, GM 70-200 2.8
Ronin sc
Dji Spark

07/12/2020

Cinematography: Mueeb Monon
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ Sayor Prodhan, Foysal Murad
Music:
Flute Cover - Bakhtiar Hossain
Title - Bhalobasha Tarpor
Contributing Artist - Arnob
Album - Hok Kolorob

সব জানালা দিয়ে আলো আসে নাবাংলার বায়োস্কোপ
03/12/2020

সব জানালা দিয়ে আলো আসে না
বাংলার বায়োস্কোপ

জীবনের ভাঙ্গা গাড়ির স্টিয়ারিং বেশ শক্তবাংলার বায়োস্কোপ
03/12/2020

জীবনের ভাঙ্গা গাড়ির স্টিয়ারিং বেশ শক্ত
বাংলার বায়োস্কোপ

বাংলার পথেঘাটে বাংলার মানুষের অবিরাম চলা চলবেই।সাদাকালো চোখে বাংলা আরেকবার।
09/11/2020

বাংলার পথেঘাটে বাংলার মানুষের অবিরাম চলা চলবেই।
সাদাকালো চোখে বাংলা আরেকবার।

কাঞ্চনজঙ্ঘা। হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত ভয়ংকর সুন্দর এক পর্বতশৃঙ্গের নাম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮৫৮৬ মিটার। উচ্চত...
01/11/2020

কাঞ্চনজঙ্ঘা। হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত ভয়ংকর সুন্দর এক পর্বতশৃঙ্গের নাম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮৫৮৬ মিটার। উচ্চতার দিক দিয়ে এটি পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। তবে ১৮৫২ সাল পর্যন্ত মনে করা হত, কাঞ্চনজঙ্ঘাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই শুভ্র অপরুপা আবার একইসাথে পৃথিবীর অন্যতম দূর্গম এবং ভয়ংকর পর্বতশৃঙ্গও। সুন্দরের সাথে ভয় না মিশলে নাকি নান্দনিক আবহ তৈরী হয় না। সেই হিসেবে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে নান্দনিকতার বিশেষ মাত্রা বলা যেতে পারে। এত বেশি দূর্গম আর প্রতিকূল এর যাত্রাপথ যে, এর চূড়ায় পৌছাতে প্রতি পাঁচজনের একজনকে ব্যর্থ হতে হয়। আক্ষরিক অর্থে যদিও এর চূড়ায় কেউ পা রাখতে পারেন নি কোনোদিন। সে নিয়ে আছে আরেকটা গল্প।
নেপাল আর সিকিমের অনেক মানুষ এই পর্বতকে পূজা করে। তারা বিশ্বাস করে, কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় পবিত্র আত্নারা থাকে। যার কারণে এর চূড়ায় পা রাখলে এর পবিত্রতাকে অবমাননা করা হবে। তাই এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহন করতে দেয়া হত না কাউকে। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে জো ব্রাউন ও জর্জ ব্যান্ড সিকিমের রাজার কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তারা এর সর্বোচ্চ চূড়ায় পা রাখবেন না, শুধুমাত্র আরোহন করবেন। এভাবে শর্ত মেনেই তারা আরোহন করলেন। এটিই ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘায় প্রথম মনুষ্য আরোহন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সকল অভিযাত্রী দল এই নিয়মটি মেনে এসেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে নিয়ে অনেকরকমের মিথ প্রচলিত আছে। যেমন এর নিচে বাস করা লেপচা জনগোষ্ঠী বিশ্বাস করে, এই পর্বতে ইয়েতি থাকে। এর চূড়ার বরফের মধ্যেই এই পৃথিবীর প্রথম নারী এবং প্রথম পুরুষের সৃষ্টি হয়েছে, এমন বিশ্বাসও প্রচলিত আছে লেপচাদের মধ্যে। কেউ কেউ মনে করেন, অমরত্বের রহস্যও নাকি লুকানো আছে কাঞ্চনজঙ্ঘাতে।

শেরপা তেনজিং এর বই 'Man of Everest' অনুযায়ী কাঞ্চনজঙ্ঘা নামের অর্থ "বরফের পঞ্চরত্ন"। কাঞ্চনজঙ্ঘার পাঁচটি চূড়া থেকেই এই নামকরণ। এই পাঁচটি চূড়ার প্রতিটিরই উচ্চতা ৮৪৫০ মিটারের উপরে। দুইটি চূড়ার অবস্থান নেপাল এবং বাকি তিনটির অবস্থান ভারতের উত্তর সিকিম ও নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায়। দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের অপার্থিব সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সাদা বরফে আচ্ছাদিত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় প্রথম সূর্যের আলো পড়ার সাথে সাথেই এক অপূর্ব মাদকতার সৃষ্টি হয়। সূর্যের আলোর ক্রমাগত আলিঙ্গনে কালচে, লাল, সোনালি, কমলা, হলুদ এবং সাদা বর্ণ ধারণ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যের এই বৈচিত্র্যতাকে নিঙরে নিতে চাইলে তাই সারাদিনই তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।

কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোরম সৌন্দর্য উপভোগের জন্য কেউ ছুটে যান সিকিমে, কেউ কালিম্পং আবার কেউ কেউ ছুটে যান দার্জিলিংয়ে। দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার দূরত্ব ৮০ কি.মি। ২৫৭৩ মিটার উঁচু টাইগার হিল থেকে এর সৌন্দর্য অবলোকন করতে যান অজস্র দর্শনার্থী। বিশেষ করে বাঙালিরা। কেননা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আবেগ এবং অনুভূতির অনেক উপাদান আছে এইসব জায়গায়। বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো দেখতে পাওয়া যায় অক্টোবর মাসে। সূর্য একটু দক্ষিণে হেলে থাকার কারণে বেশি পরিস্কার দেখতে পাওয়া যায় এই সময়ে। যদিও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে সৌন্দর্যপূজারীদেরকে পুরোমাত্রায় হতাশ হতে হবে। তবে সুন্দরের স্পর্শ পেতে এইটুকু কষ্ট সহ্য করাই যায়। গোলাপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গেলেও তো কাঁটার সম্মুখীন হতে হয়।

মনোরম এই সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে থেকেও। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের যেকোনো খোলা জায়গা থেকেই এই কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। বছরের অন্যান্য সময়ে টুকটাক দেখা গেলেও এই সময়টাতে সবচেয়ে পরিস্কার দেখা যায়। সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে। কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে তেঁতুলিয়া শহরের দূরত্ব মাত্র ১৩৭ কি.মি। মহানন্দা নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা তেঁতুলিয়া শহর। কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যের টানেই প্রতিবছরই তেঁতুলিয়ার ঐতিহাসিক ডাকবাংলোয় ছুটে আসছেন অসংখ্য মানুষ। হেমন্তের পাকা ধানের রঙ, শীতের আগমনী গান, তেঁতুলিয়ার সমতল ভূমির চা বাগান আর কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মিশে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফিরছেন দর্শনার্থীরা। তেঁতুলিয়া শহরে রয়েছে অজস্র চা বাগান৷ বাংলাদেশে সমতল ভূমিতে চা চাষ হয় একমাত্র এই পঞ্চগড় জেলাতেই।

ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন থেকে পঞ্চগড় শহরে যেতে যেতেই চোখে পড়বে কাঞ্চনজঙ্ঘা। করতোয়া ব্রীজ থেকে সকালের সূর্যের আলোয় লজ্জ্বায় লাল হয়ে থাকা সুন্দরীকে দেখলেই মন ভরে যাবে। এশিয়ান হাইওয়ে ধরে সেই অপরুপাকে তাড়া করতে করতে চলে যেতে পারেন বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত। এর মধ্যে অনেকবারই তার রংবদল দেখতে পারবেন। প্রশাসনের অনুমতি জোগাড় করলে পারলে থাকতে পারবেন মহানন্দার তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয়। এছাড়াও তেঁতুলিয়া শহরে থাকার জন্য ৫০০ টাকার মধ্যে আবাসিক হোটেলে সিঙ্গেল রুম পেয়ে যাবেন। আবার চাইলে পঞ্চগড় শহরেও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবেন। ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে পঞ্চগড় শহর থেকে বাসে চড়ে দেড়ঘন্টার মধ্যেই পৌছাতে পারবেন তেঁতুলিয়া শহরে। সারাদিনই বাস পাওয়া যায়। জানালার পাশের সিটে বসবেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতেই পৌছে যাবেন তেঁতুলিয়ায়। তেঁতুলিয়া শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। সময় থাকলে ঘুরে আসবেন শালবাহানের দিকে। ডাকবাংলো, চা বাগান আর সীমান্তের মনোমুগ্ধকর কিছু জায়গায় সারাদিন ঘোরাঘুরি করবেন। তেঁতুলিয়া শহরে বাংলা খাবারের বেশ কিছু ভালো হোটেল আছে। খাবার-দাবারে কোনো অসুবিধা হবে না। চা বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কোনো একটা নদীর পাড়ে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে তাকিয়ে থাকবেন। কিছুক্ষণ পর পর দেখবেন আপনার মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে অজস্র পাখি, যাদেরকে সচরাচর দেখা যায় না। অনেক অচেনা পাখির সাথে পরিচয় হয়ে যাবে এভাবে।যাদের কাউকেই ওই কাঁটাতার বা সীমান্ত দিয়ে আটকে রাখা যায় নি, যেমন আটকে রাখা যায় নি কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যকে।

বিকাল পেরিয়ে যখন গোধূলীর আলো নামবে, তখন সীমান্তবর্তী একটা টঙ দোকানে যেয়ে এককাপ চা খাবেন। আপনার পাশে বসে যে লোকটা চা খাচ্ছে, হতেও পারে সে একজন পাথরশ্রমিক। তার সাথে একটু গল্প করবেন। রুমে ফেরার সময় শিশিরের ঘ্রাণ নেবেন। সন্ধ্যায় কুয়াশার চাদর আপনার সঙ্গী হবে। উত্তরের শীতের আলতো স্পর্শ পেয়ে যাবেন এভাবেই। এছাড়াও আপনাকে সঙ্গ দেবে সীমান্তের সোডিয়াম আলো। মহানন্দা সহ আরো বেশ কয়েকটি নদীর অদ্ভুত ছুটে চলা আপনাকে বিস্মিত করবে। নো ম্যানস ল্যান্ডে বেঁচে থাকা কিছু অসহায় জঙ্গল আর সেইসব জঙ্গলকে শাসন করে বেঁচে থাকা কিছু পাখিকে দেখতে পাবেন। পাহাড়ের সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে, পাখির ডাকের সঙ্গে কয়েকদিনের ছুটি কাটিয়ে এক বুক তৃপ্তি নিয়েই ঘরে ফিরতে পারবেন।

লেখা: Arif Rayhan Shuvo (https://www.facebook.com/arif.r.shuvo)
ছবি: Mueeb Monon(https://www.facebook.com/mueebmonon)
সার্বিক সহায়তায়: Foysal Murad (https://www.facebook.com/foysal.murad.716)

31/10/2020

এই অবেলায়, তোমারই আকাশে, নিরব আপোষে ভেসে যায়
বাংলার বায়োস্কোপ
Music: Shironamhin – Ei Obelay (এই অবেলায়)

মাউন্ট এভারেস্ট ও কে২ এর পরে এটি পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় এর আকর্ষণ। সমতলের বাসিন্দাদের পাহ...
29/10/2020

মাউন্ট এভারেস্ট ও কে২ এর পরে এটি পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় এর আকর্ষণ। সমতলের বাসিন্দাদের পাহাড় নিয়ে আগ্রহের কমতি থাকবে না বলেই সিকিম এবং নেপাল সীমান্তবর্তী ৮,৫৮৬ মিটার উচ্চতার এই সুন্দরীকে পঞ্চগড় নিজেদের বলে দাবি করতে কুন্ঠিত বোধ করে না। হিমালয়ের কন্যা হিসেবে এটুকু আবদার খুব স্বাভাবিক। সীমান্ত দেশ আলাদা করতে পারে কিন্তু প্রকৃতি তার সৌন্দর্য থেকে কাওকে বঞ্চিত করে না।

গত বছর মিশন কাঞ্চনজঙ্ঘা ব্যর্থ হওয়ার পর এ বছরে নতুন করে পরিকল্পনা। মিশনে যোগ দিলেন রাজশাহীর অপূর্ব,খুলনার ফাহিম এবং রাজবাড়ির নাহিন ,সাথে পঞ্চগড়ের সিয়াম,সানি,মাশরুফ,মুরাদ। যোগ্য সেনাপতি হিসেবে শুভ ভাই যেখানে, সেখানে কাঞ্চনজঙ্ঘা না দেখে এবং ছবি না তুলে ফিরে আসব এই প্রশ্ন মুখে আনাও অন্যায় । তার উপর মধ্যরাতে দেখা ফিরোজ আল সাবাহ ভাই এর সাথে। ভাই এর তোলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এর বিখ্যাত সেই ছবিটা নিয়ে ভাই এর সাথে ছোট্ট আলাপ,আলাপ থেকেই অবচেতন মনে বিষয়টার ছায়া, তা থেকেই সৌভাগ্যক্রমে এমন ভাবে সাবজেক্ট পেয়ে যাওয়া। সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম আর সবশেষ ৩০ ঘণ্টায় ১.৫ ঘণ্টার ঘুমের ছোট্ট ফলাফল এই ছবি। ভুলগুলো ক্ষমা করে দিবেন।

অজ্ঞাত কারণেই ছবিটা উৎসর্গ করলাম Arif Rayhan Shuvo ভাইয়াকে; সব কারণ জানানো এবং বোঝানো কখনোই সম্ভব না। আর বাকি সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ।
Firoz Al Sabah ভাই এর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং এই ছবির থিম ভাই এর কাছ থেকেই নেয়া।

All the rights are reserved by বাংলার বায়োস্কোপ
অনুমতি ছাড়া ছবির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হল । ধন্যবাদ

One day that inisfree will be oursPlace: Panchagarh
14/08/2020

One day that inisfree will be ours
Place: Panchagarh

05/06/2020

বৃষ্টিস্নাত লকডাউন

স্থবির বাংলার পথে ঘাটে
30/03/2020

স্থবির বাংলার পথে ঘাটে

একজন পরিশ্রমী মানুষ-০১সিরিজ:০২
20/03/2020

একজন পরিশ্রমী মানুষ-০১
সিরিজ:০২

"হরিণ সমাচার"বাংলার বায়োস্কোপ এর চোখ এবার গিয়েছিল সুন্দর বনে। বাংলাকে দেখার এবং দেখাবার এ যাত্রায় আমরা তুলে ধরবো সুন্দরব...
29/12/2019

"হরিণ সমাচার"

বাংলার বায়োস্কোপ এর চোখ এবার গিয়েছিল সুন্দর বনে। বাংলাকে দেখার এবং দেখাবার এ যাত্রায় আমরা তুলে ধরবো সুন্দরবনকে।

বাংলার বায়োস্কোপ এর চোখে কিছু পাখি দেখে নেয়া যাক।
05/12/2019

বাংলার বায়োস্কোপ এর চোখে কিছু পাখি দেখে নেয়া যাক।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলার বায়োস্কোপ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share