02/10/2023
ঢাকা যেন দূষিত বাতাসের শহরে পরিণত হয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) এই শহরের স্কোর হয়েছে ১৫৬। এ সময়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ঢাকা।
News and Media Website
ঢাকা যেন দূষিত বাতাসের শহরে পরিণত হয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) এই শহরের স্কোর হয়েছে ১৫৬। এ সময়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ঢাকা।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এর সময়সূচি
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণপদক জয় করেছে বাংলাদেশের তরুণ রোবটিক দল ‘টিম অ্যাটলাস’
আমি রোজা, ইফতার শেষে আমাকে মেরো; তবুও শেষ রক্ষা হলো না মোরশেদের
একটা মামলার বলিদান!
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার অপরাধে সৌদি রাজ পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ডজন খানে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল তুরস্কের আদালতে। এই মামলায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফেঁসে যেতেন বলে মনে করছেন অনেকেই। এ কারণে এই মামলাটি ছিল মোহাম্মদ বিন সালমানের গলার কাঁটা। তাই তুরস্ক-সৌদি সর্ম্পকের প্রধান অন্তরায় হিসেবে এই মামলাটিকেই দেখা হতো। উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্য সব দেশের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও সৌদি আরব এই মামলার কারণেই তুরস্কের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেঁকে বসে। এবং শর্ত দেয় যে, তুরস্কের আদালত থেকে এই মামলাটি খারিজ করে সৌদি আরবে ট্রান্সফার করতে হবে। তুরস্ক এতদিন ধরে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু আজ তুরস্কের আদালত এই মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত করে এবং মামলাটি সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তরে সিদ্ধান্ত দেয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার পর তুরস্কের সাথে সৌদি সম্পর্কে খুব দ্রুত উন্নতি ঘটবে। হয়ত দু-এক মাসের মধ্যে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান সৌদি সফরে যেতে পারেনল্ল। ©Sorwar Alam - সরোয়ার আলম
কপালে টিপ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর যুগে প'তিতা সনাক্তের চিহ্ন হিসাবে প্রচলন হয়
হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আ,গুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না।অবশেষে একটি চরক বানানো হল যার মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে ছুড়ে আ,গুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না।
তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু পতিতা (নগ্ন) মেয়ে এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন।পরবর্তীতে ওই মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।
যেসব মুসলিম নারীরা টিপ পরে, তারা এই ঘটনা জানেনা। জেনেও যদি কেউ পরে তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য। হিন্দুরা টিপ পরে, এটা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ।
পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হতো, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে মুসলমানদের মধ্যেও ফ্যাশনে রূপান্তরিত হয়েছে !
ওহে মুসলিম মা-বোনেরা! এই সত্য কথাটা জানার পরও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পরবেন ? সুতরাং এই অবমাননাকর চিহ্নটি মুসলিম মা বোনরা এড়িয়ে চলুন।
সূত্র : তাফসীরে মা-রেফুল কোরআন, হযরত ইব্রাহিম (আ.) মূলগ্রন্থ। তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসীর।
Collected
ইফতারের পর হার্ট এটাক বাড়ছে
সতর্ক হতে হবে! ইফতারের পর হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হওয়ার হার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।অনেকে হার্ট এটাকের ব্যাথা কে ভুল করে এসিডিটির পেইন মনে করে এন্টাসিড বা ইনো খেয়ে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে বা তীব্র বুকের ব্যাথা নিয়ে রমজান মাসে সন্ধ্যা বেলা ইফতারির পর চিকিৎসক এর চেম্বারে বা হসপিটালের ইমারজেন্সী বিভাগে চলে আসেন। ইসিজি করার পর প্রতীয়মান হয় যে উনার হার্ট এটাক হয়েছে এবং ততক্ষণে জটিলতা বেড়ে যায়।
যেকোনো ভারী খাবার দাবারের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রচুর খাবার একসাথে গেলে সেগুলোকে সামাল দেয়ার জন্য পাকস্থলীকে তার কাজ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে হয়। বেশি কাজ মানেই বেশি শক্তি। এই অতিরিক্ত শক্তির জন্য তার রক্তও দরকার হয় বেশি। কিন্তু এই রক্ত সে পাবে কই?
পাকস্থলীর মোটামোটি কাছের প্রতিবেশী যেহেতু হার্ট, তখন হার্টকে স্যাক্রিফায়েস করতে হয় বেশ খানিকটা রক্ত। আর ঠিক তখনই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
রোজায় সারাদিন না খেয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুধার্ত থাকি। ব্রেইন বারবার সিগনাল পাঠাতে থাকে - খাবার দাও, খাবার দাও।
টেবিলে সাজানো সুস্বাদু সব খাবার আর ব্রেইনের সিগনালের ফাঁদে আমরা খুব সহজেই ধরা পড়ে যাই। গোগ্রাসে প্রচুর খাবার গিলতে থাকি।
তারপর আমাদের অজান্তেই শরীরের মধ্যে চলতে থাকে আন্তঃপ্রতিবেশী রক্ত আদান-প্রদান। কখনো কখনো হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে শরীরের বিভিন্ন অর্গান বা অংগ থেকে পাকস্থলী বা স্টম্যাক এর দিকে রক্তের ডাইভারসন হয়, এর মাঝে হৃদপিন্ড বা হার্ট অন্যতম যেখানে রক্ত চলাচলে স্বল্পতা ঘটে।ফলশ্রুতিতে ভারী খাবার দাবারের ২ ঘন্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় চারগুণ।
তাই, ইফতারে খাবার কম খান। দরকার হলে অল্প অল্প করে ২/৩ বারে খান।
নিজের স্বজনদের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখুন।
Collected
মাকে সাথে করে নিয়ে কষ্টের এক আনন্দাশ্রু বইছে আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমদের চোখে!
সেগুফতা তাবাসসুম ছিলেন তার বাবার হত্যার মামলার একজন আইনজীবী। দীর্ঘ ১৬ বছর কঠিন আইনি লড়াই শেষে তিনি তার বাবার হত্যার চূড়ান্ত রায় পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে। তার পরিশ্রম সার্থক। এজন্য মাকে সাথে নিয়ে মিডিয়ার সামনে এসে আর কান্না লুকিয়ে রাখতে পারেননি!
তার বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তাহের আহমেদকে যখন হত্যা করা হয় সেগুফতা তখন ইন্টারের ছাত্রী! বাবা হত্যার বিচারের জন্য তিনি সিদ্ধান্ত বদলে আইনে পড়াশুনা শুরু করেন। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের রায় হাইকোর্টে গেলে সেটা যেন নিশ্চিত হতে পারে সেজন্য হাইকোর্টে প্রাক্টিস শুরু করেন! শুনেই চোখ ভিজেছে।
গতকাল দেশের আপিল বিভাগ খুব গুরুত্বপূর্ণ এই রায় দেয়। অধ্যাপক তাহের আহমেদকে নৃশংসভাবে হত্যা করার জন্য দুজনকে মৃত্যুদন্ড ও আরো দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়! তার জন্য লেগে গেল ১৬ বছর! অবিশ্বাস্য! ২০১৩ সালে হাইকোর্টের থেকে আপিলেট ডিভিশনের রায় পেতেই ৯ বছর!!
***ভয়ংকর ব্যাপার হল মূল আসামী তারই ডিপার্টমেন্টে সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন যে কিনা একসময় তার ছাত্র ছিলো! শুধুমাত্র পদন্নোতির পথে বাধা হওয়ায় খুনী মহিউদ্দিন কেয়ারটেকার সাথে নিয়ে তাহের স্যারকে খুন করে সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখে! ভাবা যায়! সারা দেশ তখন তোলপাড় হল৷ প্রক্রিয়া শেষে হারামিগুলিকে ঝুলায় দেয়া হোক। এই পরিবারটির উপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে গেছে ভাবতেই চুপসে যাচ্ছি! শেষ পর্যন্ত বাবা হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরেছেন। (Collected)
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্ব-গতির প্রতিবাদে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ছবির মানুষটির নাম রাশেদ, জন্ম ১৯৮৪ সালে ।
ওমানের মাস্কাটে তিন বছর আগে বিল্ডিং রং করতে গিয়ে উঁচু বিল্ডিং থেকে পড়ে পুরো শরীর এমনই ফ্র্যাকচারড হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্যারালাইজড।
শুধুমাত্র মাঝে মাঝে চোখটা খুলে নির্বিকার তাকিয়ে থাকে।আবার চোখ বন্ধ করে।কথা বন্ধ।ছেলেটি এভাবেই তিন বছর ধরে মাস্কাটে হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় পড়ে ছিলো। সে যে কোম্পানিতে কাজ করতো, তারা পুরো খরচ বহন করেছে। উনাকে ফেলে দেয়নি।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যপার হলো উনার পরিবারের সাথে তার কোম্পানি থেকে কয়েকবার যোগাযোগ করেও তারা তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে।পঙ্গু ছেলে তারা ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।তার ভার তারা নেবেনা।তাকে যেন দেশে পাঠানো না হয়।
ধরে নিলাম তারা দরিদ্র। দায়িত্ব নিতে পারবেনা।তারপরেও তাদের এই সন্তান যদি সুস্হ থাকতো, কাঁড়ি কাঁড়ি রিয়াল পাঠাতো, তাহলে কিন্তু এরাই তাকে পুজা করতো, মাথায় তুলে রাখতো।বিষয়টা আমার কাছে অত্যন্ত অমানবিক মনে হয়েছে। আহারে জীবন।
রাশেদ যে হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই হসপিটালের বাংলাদেশি ডক্টররা, ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস, যে কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় তাকে এবার দেশে আনা হয়েছে। তবে কী অবস্থায় তা তো ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে তার্কিস কোওপারেশন এন্ড কোওরডিনেশন এর পক্ষ থেকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দু,টি ইউনিয়নে কোন ভেদাভেদ না রেখে দরিদ্র পরিবারদের মাঝে রমজান এর খাদ্য বাক্স বিতরণ করা হয়।
জামানত হারালেন নৌকার প্রার্থী
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চতুর্থ দফায় ৮ ইউপি নির্বাচনে চিরিঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহনেওয়াজ রুমেল ম.....
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবারের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মুরাদ হাসানকে এরমধ্যেই এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার চলমান বিতর্কের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চেয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান এখন তিনি তেমন কারো সাথেই কথা বলছেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার রাতে তার বাসভবনে ডাক্তার মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুরাদ হাসানকে আগামীকালের মধ্যেই মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং আমি আজ রাত ৮ টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।
এর আগে, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করায় বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দল বিএনপি। এছাড়া নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে তার পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন নারী অধিকার কর্মী।
এরপর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী।
এদিকে, চলমান এই সমালোচনার মধ্যেই ফেসবুকে মুরাদ হাসানের একটি টেলিফোন আলাপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে একজন চিত্রনায়িকাকে নানা অশোভন কথাবার্তা ও হুমকি দিতে শোনা গেছে। এ ফোনালাপের সত্যতা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক ইমন। তার ফোনে কল দিয়েই সেই চিত্রনায়িকার সাথে অশোভন কথা বলেন মুরাদ। ইমন বলেন, এটি আসলে বছরখানেক আগের ঘটনা। একটি সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে প্রতিমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। বাকিটা তো আপনারা শুনেছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর আগে বলেছেন, মন্তব্যগুলো প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত। তখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।
মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমে মুরাদ হাসান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। মন্ত্রিত্বে থাকাকালে বিভিন্ন সময় নানা মন্তব্যের বিভিন্ন মহলে বিতর্কিত হয়েছেন তিনি।
আজ রাতেই শুরু টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বের সত্যিকার প্রস্তুতিটা নেওয়ার জন্য আজ রাতেই ওমানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর সে .....
দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় নয়
কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো দফতরে দুর্নীতি হলে সেই মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সচিবকেই।
চার বছর পর গতকাল অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কঠোর বার্তা দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের ব্রিফিং এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সচিবের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা জানা গেছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সচিবরা মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপ্যাল অ্যাকাউন্টিং অফিসার। সুতরাং ইমোরাল প্র্যাকটিস বা মিসইউজ হলে সংশ্লিষ্ট সচিবকেই দেখতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার যেসব উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তার যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া করোনায় বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজধানীর আগারগাঁও পরিকল্পনা বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সচিব সভা গতকাল সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ৩টায় শেষ হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। অসুস্থতায় একজন সচিব বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় বৈঠকে ১৩টি বিষয়ে ১৭ জন সচিব বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সর্বশেষ সচিব সভা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২ জুলাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সচিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সভার মূল ফোকাস ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যার যার মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দফতরের দুর্নীতির জন্য সেই মন্ত্রণালয়ের সচিবকেই দায় নিতে হবে। এ জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সচিব সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সম্পর্কে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন- প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া দরকার এবং খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুলগুলোও। কারণ বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ২১ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, সভায় স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সভায় খাদ্য সচিব খাদ্যের অবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। খাদ্য এবং কৃষির সমন্বয় প্রয়োজন। যাতে কোনোভাবেই দেশে খাদ্যের ঘাটতি না হয়। সেটি কৃষি বিভাগ যাতে স্পষ্ট করে দেয়, চাহিদা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদন কতটুকু। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে আমদানি করবে। আর উদ্বৃত্ত থাকলে তার প্রয়োজন নেই। সে জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে বসে সেটি ঠিক করে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু বোরো ধান উঠে গেছে, গত বছর তিনবার বন্যা হয়েছে, এবার তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এবার খাদ্য এবং কৃষি সচিব দুজন বসে একসঙ্গে কাজ করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, সরকারি ব্যয় কমাতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে বিভিন্ন ঋণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। যাতে ছোট মাঝারি সবার বিনিয়োগ ঠিক থাকে। আর সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের কাজ যেন আরও বিস্তৃত করা হয়। যাতে গরিব অসহায় মানুষের সুবিধা হয়। মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি রাখতে হবে। ২০২৬ সালের পর কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা কমে গেলে কীভাবে চলব সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শুরু করেছিলাম, করোনাকালে অনেকটা রপ্ত হয়েছে। গ্রামে ডিজিটাল সেন্টারগুলো মানুষের সেবা অনেক সহজ করে দিয়েছে। তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ করতে হবে। আমাদের সব কার্যক্রমের সঙ্গে টেকনোলজি সম্পৃক্ত করতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমার গ্রাম আমার শহর, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, তারুণ্যের শক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুর কল্যাণ, জেন্ডার সমতা, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ নির্মূল- এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ডেমোক্র্যাটিক সিস্টেমে যখন কোনো রাজনৈতিক দল ইশতেহার দেয় সে অনুযায়ী দেশের উন্নয়ন হয়। তবে কত শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এসডিজির বিষয়েও কথা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, কোনোভাবে দুর্নীতি টলারেন্স করা হবে না। সব সেক্টরের অসংগতি দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যার যার সেক্টরের বিষয় তারাই দেখবেন। দুর্নীতি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সচিবদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কোনোভাবে ব্যর্থ না হয়। আমরা এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর যেতে হবে। সেই পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি। যেমন আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ডেল্টা প্ল্যান- সেগুলো মাথায় রেখেই করা হয়েছে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যেন এভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবেই আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে। তারই ভিত্তিটা আমরা তৈরি করেছি।
সূত্র : বিডি প্রতিদিন
ভয়ংকর রূপে পারিবারিক সামাজিক অপরাধ
বেড়েই চলেছে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা। আশঙ্কাজনকভাবে অস্থির হয়ে উঠছে সমাজের পরিবেশ। মাঝেমধ্যেই ঘটছে নৃশংস হত্যার মতো ঘটনা। বাবার হাতে সন্তান কিংবা ভাইয়ের কাছে বোনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ। হুমকির মুখে পড়ছে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গবেষণা চালিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিরতার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। নয় তো চরম মূল্য দিতে হবে খোদ রাষ্ট্রকে। তবে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা অতীব জরুরি। অনেক সমাজবিজ্ঞানীর মতে, অযাচিত আকাশ সংস্কৃতি এবং ইন্টারনেটের অপব্যবহারের কারণেই বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতা। যৌথ পরিবারের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা, সামাজিক মূল্যবোধের অভাব এবং নৈতিকতার অবক্ষয়ও এ জন্য অনেকাংশে দায়ী।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫০২টি। এর মধ্যে গ্যাং রেপ ৯৯টি। ধর্ষণের পর হত্যাকান্ড ২২টি এবং ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে ১০৪টি। স্বামীর হাতে স্ত্রীর মৃত্যুর সংখ্যা ৯৫টি। স্বামীর পরিবারের দ্বারা হত্যার ঘটনা ২৯টি। স্বামী কর্তৃক নির্যাতন ২৩টি এবং স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের সংখ্যা ৬টি। পারিবারিক অশান্তির জন্য আত্মহত্যার ঘটনা ৫৬টি। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ৫২ জন নারী।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হামিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, আস্থার অভাব, অবিশ্বাস থেকেই মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে ইন্টারনেটের অযাচিত ব্যবহার এ ক্ষেত্রে বিরূপ ভূমিকা পালন করছে। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। অভিভাবকদেরও তাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া দরকার। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের উচিত হবে ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক সচেতনতামূলক এবং নৈতিক শিক্ষার ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া। ধর্মীয় অনুশাসন বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দেওয়ারও পরামর্শ তার।
সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা এবং বোনকে খুন করে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করেন মেহজাবিন নামের এক তরুণী। বলেন, ‘বাবা, মা ও বোনকে খুন করেছি, তাদের উদ্ধার করুন। আপনাদের আসতে দেরি হলে আমার স্বামী এবং মেয়েকেও খুন করব।’ ৩০ মে রাজধানীর মহাখালীতে ময়না মিয়া নামের এক অটোরিকশাচালককে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা ছয় টুকরো করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফেলে যান। পুলিশ মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করে জানতে পারে, পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা তার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যার পর একেক টুকরা একেক জায়গায় ফেলে দিয়েছেন। এর পরদিন ৩১ মে কলাবাগানে ডাক্তার সাবিরা নামের এক নারী চিকিৎসককে হত্যা করে তোশকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিরার শ্বাসনালি কেটে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পারিবারিক বিরোধের কারণেই খুন হতে পারেন এই চিকিৎসক। একই দিন রাজধানীর অদূরে গাজীপুরে পরকীয়ার জেরে সুমন মোল্লা নামের এক যুবককে খুন করে লাশ ছয় টুকরো করার দায়ে তার স্ত্রী আরিফা ও স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক তনয়কে আটক করে পুলিশ।
১৯ মে দিবাগত রাতে রাজধানীর দক্ষিণখানের সরদারবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান নিজ কক্ষেই পোশাকশ্রমিক আজাহারকে (৩০) হত্যার পর কোরবানির পশু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরো করেন। পরে টুকরোগুলো গুম করতে মসজিদের নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমের (২৪) সঙ্গে পরকীয়ার জেরেই ইমাম আবদুর রহমান এ হত্যার ঘটনা ঘটান বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওয়ারীতে সজীব হাসান নামে ৩৪ বছর বয়সী এক যুবকের পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। মা ও মেয়ে দুজনের সঙ্গেই পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হন সজীব। পুলিশ এ ঘটনায় শাহানাজ পারভীন নামের এক নারীকে রক্তমাখা ছুরি ও বঁটিসহ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। শুধু ঢাকা নয়, পুরো দেশেই পারিবারিক কলহ আর দ্বন্দ্বের কারণে হত্যা বাড়ছে। মে মাসে সারা দেশে ১২৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন।
এদিকে পারিবারিক সহিংসতা ঠেকাতে কিংবা সামাজিক অস্থিরতার ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার খুব একটা ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিবারের বিষয়ে কীভাবে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে? তবে ইন্টারনেটের ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত পরিবার থেকেই। কারণ বর্তমান সময়ে শুধু শিশু কেন, তার অভিভাবকরাই ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থাকছেন। এতে বাবা-ছেলে, ভাই-বোন কিংবা মা-ছেলের সম্পর্কও চাপা পড়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির কাছে। তবে মাদকাসক্তদের মানুষ হিসেবে মানতেই তিনি নারাজ। তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।’
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে পারিবারিক কলহের অন্যতম নিয়ামক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ধর্মীয় অনুশাসন থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা। আকাশ সংস্কৃতির কারণে বিভিন্ন চ্যানেলের সিরিয়ালগুলোও নৈতিক স্খলনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। দিচ্ছে হত্যার উসকানি। আর তখনই নরকে রূপান্তরিত হচ্ছে পরিবার। বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজেও।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক সাদেকুল আরেফিন মতিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামগ্রিক অসহিষ্ণুতার কারণেই পারিবারিক অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে আকাশ সংস্কৃতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অযাচিত ব্যবহারও অন্যতম একটি কারণ। যৌথ পরিবার থেকে নিউক্লিয়ার পরিবারের দিকে ঝুঁকে পড়াও এমন অস্থিরতার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, এর থেকে উত্তরণের জন্য দৃষ্টান্তমূলকভাবে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে এনজিওগুলোকেও চাইলে সরকার কাজে লাগাতে পারে। পারিবারিক অস্থিরতা বিরাজ করলে তা শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। ক্রমান্বয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে সমাজের প্রতিটি স্তরে।
সূত্র : বিডি প্রতিদিন
আঞ্চলিক শক্তি দেখাতে শুরু করেছে বাংলাদেশ : ডেভিড ব্রিউস্টার
বাংলাদেশ তার আঞ্চলিক শক্তি দেখাতে শুরু করেছে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কলেজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডেভিড ব্রিউস্টার। গত সপ্তাহে এই শিরোনামে ইন্টারপ্রিটারে তার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে ডেভিড ব্রিউস্টার লিখেছেন, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তামূলক ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। একটি দরিদ্র সাহায্য প্রার্থী দেশ থেকে আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশ হওয়ার পথে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’। এটা বাংলাদেশের ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্যতম খেলোয়াড় হয়ে ওঠার কারণে সম্ভব হয়েছে। নিবন্ধে ডেভিড
ব্রিউস্টার লিখেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সময় বাংলাদেশ ছিল ‘আপাত সম্ভাবনাহীন’ পৃথিবীর দরিদ্রতম একটি দেশ, যাকে হেনরি কিসিঞ্জার ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে আজকের বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের আত্মবিশ্বাসী একটি জাতি, যাদের রয়েছে রপ্তানিনির্ভর উদীয়মান এক অর্থনীতি, যা গত দুই দশক ধরে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। ২০২০ সালে কভিড-১৯ এর কারণে প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ এবং ২০২২ সালে এটা দাঁড়াবে ৭ দশমিক ২ শতাংশে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার, যা প্রতিবেশী ভারত (১৯৪৭ ডলার) এবং পাকিস্তানের (১৫৪৩ ডলার) চেয়ে ঢের বেশি। স্বাস্থ্য, গড় আয়ু, জন্মহার এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা নির্দেশকগুলোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য এই অঞ্চলে তার ভূমিকায় কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও অনেক ‘আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়’ ঢাকার দৃষ্টি আকর্ষণে লড়ে যাচ্ছেন।
ডেভিড ব্রিউস্টার লিখেছেন, শ্রীলঙ্কাকে প্রদত্ত ঋণটি হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্য কোনো দেশকে দেওয়া প্রথম অর্থনৈতিক সহায়তা। ২০০ মিলিয়ন ডলারের এই ঋণ যেমন বাংলাদেশের ৪৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থনৈতিক সুস্বাস্থ্যের নির্দেশ করে, তেমনি কভিড-১৯ পরবর্তী শ্রীলঙ্কার বিপজ্জনক অর্থনীতিকেও প্রতিফলন করে; যা (লঙ্কান অর্থনীতি) অত্যধিক বৈদেশিক ঋণ বিশেষ করে চীনা ঋণের ভারে ন্যুব্জ, যে ঋণ হয়তো কখনো শোধই করা যাবে না। ২০২০ সালে ভারতের কাছেও একই ধরনের ঋণ চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তাতে প্রত্যাখ্যাত হলে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে আংশিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসে।
অস্ট্রেলিয়ান এই গবেষক তাঁর নিবন্ধে লিখেছেন, অস্ট্রেলিয়া হলো অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম, যারা মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের জন্য বর্ধিত সহযোগিতা এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ত্রাণ পাঠালেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে তেমন কিছুই করেনি অস্ট্রেলিয়া। এখন পুরনোদের পাশাপাশি নতুন অংশীদারদের নিয়ে কাজ করলে অস্ট্রেলিয়া ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান ‘মাধ্যমিক শক্তি’র সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত, যা শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে আরও বেশি পরিপূরক করে তুলবে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেশে বাড়ছে মানসিক রোগী
২০১৮-১৯ সালের জাতীয় জরিপ অনুযায়ী ১ কোটি ৭৭ লাখ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছেন, ২০০৫ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২২ লাখ ৪৪ হাজার, এদের ৯২ শতাংশ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না, করোনাকালে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে অপেক্ষমাণ রোগীদের জন্য রাখা বেঞ্চে বসে একমনে কথা বলছে এক কিশোরী। তার পাশে বসে অঝোরে কাঁদছেন মা। একটু কাছে গিয়ে খেয়াল করলে কানে আসে কিছু কথা। মেয়েটি বলছে, ‘আম্মাকে বলি আমার বেড়াতে ভালো লাগে, সাঁতার কাটতে ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে পানিতে নামতে দেয় না।’ সমস্যা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটির মা হাজেরা বেগম বলেন, তার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছোট ১৩ বছরের তানিয়া। পড়াশোনায় মেধাবী তানিয়া নিয়মিত স্কুলে যেত, পড়াশোনা করত। করোনাকালে তার স্কুলের ক্লাস, প্রাইভেট টিউশন সব চলছে অনলাইনে। সে খুব মনোযোগী লেখাপড়ায়। কিন্তু ছয় মাস আগে তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। অনিয়মিত ঘুম, খাওয়া এবং অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা মানসিক হাসপাতালে এনেছেন। ডাক্তার বহির্বিভাগে দেখেছেন আরও কিছু পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। হতাশা, বিষণ্নতা ও অবসাদ থেকে ভয়াবহ আকারে বাড়ছে মানসিক রোগী। সর্বশেষ জাতীয় জরিপে দেখা যায় দেশে প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গত ১৪ বছরে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগী বেড়েছে ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৮ জন। করোনাকালে এ পরিস্থিতি আরও ব্যাপক রূপ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, চারদিকের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ থেকে এবং আমাদের রোগী দেখার অভিজ্ঞতায় বলছি মানসিক রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। নতুন ধরনের জীবন ধারায় মানসিক ভারসাম্য হারানোর উপাদান বেড়ে যাচ্ছে। জীবিকার সংকট, ভয়, আতঙ্ক, চোখের সামনে বীভৎস মৃত্যু দেখা, নৃশংসতা আমাদের মানসিক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, মানসিক সমস্যা বাড়ছে। মানুষের সহ্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। পারিবারিক সহিংসতা বহু গুণ বেড়েছে। দেশে এলএসডির মতো মাদক সেবন চলছে, মাদকাসক্ত হচ্ছে মানুষ, আত্মহত্যা বাড়ছে। সন্তানকে হত্যা করছে, স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করছে, মানুষকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করছে। এ রকম ঘটনা আগেও ঘটত কিন্তু ইদানীং আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৬৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ জন। আর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ অনুযায়ী সে সময় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ ওই সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৩১৯ জন। এর পরে সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে উঠে আসে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১৭ শতাংশ মানসিক রোগে আক্রান্ত। ২০১৮ সালে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ১০৫ জন। সে হিসাবে মানসিক রোগে আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৪ হাজার ১৫৭ জন। এসব ব্যক্তির ৯২ শতাংশ চিকিৎসকের পরামর্শ কিংবা সেবা নেন না। জরিপে জানা যায়, ১৮ শতাংশ শিশু-কিশোরের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। তাদের ৯৫ শতাংশ কোনো চিকিৎসা নেয় না।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিসাবে, দেশের সাড়ে ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্য মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন ২৭০ জন। আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য সাইকোলজিস্ট রয়েছেন মাত্র ২৫০ জন। যেখানে দেশের প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষের কোনো না কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এর চিকিৎসায় পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। রয়েছে অবকাঠামো সংকট। সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে দুটি, ঢাকা ও পাবনায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, ঢাকায় সরকার অনুমোদিত বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল আছে ১৫টি।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছর করোনাকালে হাসপাতালে সব বিভাগ মিলিয়ে সেবা নিয়েছেন ৪৯ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৫৮২ জন, নারী ১৬ হাজার ৪৮০ জন এবং শিশু ৫ হাজার ৮৫১ জন। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর তুলনামূলক কম রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। ২০১৯ সালে এই হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৭৪ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ৬৩ হাজার ৬৬২ জন, ২০১৭ সালে ৫৮ হাজার ৯৮৪ জন এবং ২০১৬ সালে ৫৫ হাজার ৩৬৭ জন মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিয়েছেন। এই হাসপাতালে ২০১৬-১৯ সাল পর্যন্ত চিকিৎসা নেওয়া রোগীর পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রতিবছর রোগীর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। ২০২০ সালে দেশের আরেক বিশেষায়িত হাসপাতাল পাবনা মানসিক হাসপাতালে সেবা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৭১ জন। ২০১৯ সালে বর্হিবিভাগে সেবা নিয়েছেন ৫১ হাজার ৩৪১ জন। সেখানেও প্রতিবছর বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মানুষের মানসিকতা তৈরি হয় সামাজিক পরিবেশ থেকে। আমরা ইদানীং নৃশংসতা দেখছি মানুষের আচরণে। যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা খুব সহজ হয়ে গেছে। ফলে আমাদের দেশের বিভিন্ন ঘটনা ছাড়াও অন্যান্য দেশের ঘটনাবলিও মানুষের আচরণে প্রভাব বিস্তার করছে। বিশ্বজুড়ে যৌনতা ও মাদক নিয়ে বাণিজ্যের এক বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। এই অপরাধ ও সামাজিক বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হয় সন্ত্রাসমূলক কাজ। এই প্রত্যেকটা বিষয় আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। এর প্রকাশ হিসেবে সম্প্রতি নৃশংস কতগুলো ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেছে। এটা একদিনে হয়নি, দীর্ঘদিনের ফল। টিকটকের মাধ্যমে নারী পাচার হচ্ছে। প্রযুক্তিকে অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার করছে মানুষ। এসব সামাজিক অসুস্থতার প্রকাশ।’
করোনা মহামারীতে জীবন-জীবিকা এলোমেলা হয়ে গেছে। কর্মহারা হয়ে পড়ছে মানুষ, এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা। শিক্ষা জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়া শিশু-কিশোর-তরুণদের আসক্তি বাড়ছে ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সার্বিক এই পরিস্থিতি তাদের মনোজগতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এর প্রমাণ মিলেছে অল্প পরিসরে হওয়া কিছু গবেষণায়। গত বছরের ১৯-২৮ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৫০৯ জন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা মূল্যায়ন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সালমার নেতৃত্ব্ েপাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ খায়রুল আলম, ফেরদৌস বিন আলী, রাজন বণিক ও সাবিনা ইয়াসমিন। এই গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্মান পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। গবেষণার ফলে দেখা যায়, এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ হালকা, ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ মধ্যম, ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ মাঝারিভাবে মারাত্মক এবং ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। পরিবারের সদস্যদের করোনা আক্রান্ত হওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অধিক ব্যবহার এবং ধূমপানের অভ্যাস শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতির কারণ।
এ ছাড়া মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজু মাহমুদ, নাজমুল হোসাইন, শরিফ হোসাইন, রাজন বণিক ও সাবিনা ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে করোনাকালে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে নাহিদা সালমার আরেকটি গবেষণা প্রকাশ পায়। গত বছরের ২৫ এপ্রিল-৯ মে পর্যন্ত ১৫ বছরের কম বয়সী ৩৮৪ জনের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, ৪৩ শতাংশ শিশু অতি অল্প মানসিক অস্থিরতায় ভুগছে, ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ অল্পভাবে, ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ পরিমিত মাঝারিভাবে, ৭ দশমিক ২ শতাংশ শিশু মারাত্মকভাবে অস্থিরতায় ভুগছে।
ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাকালে মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানতে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ সময় মানুষের উদ্বেগ ও বিষণœতার হার কয়েক গুণ বেড়েছে। আয় সংকুচিত হয়ে মানুষের হতাশা বাড়ছে, মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা হয়তো একদিন করোনাভাইরাসের থাবা থেকে মুক্ত হব। কিন্তু আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। মহামারী করোনার প্রতিঘাতে সব বয়সী মানুষকেই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর-তরুণদের মধ্যে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : বিডি প্রতিদিন
বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ
আজ ১৪ জুন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ভূমিকা রাখছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।
১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এর আগে তাকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওয়াহিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বর্তমানে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্বরত জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুলনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৯ম দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। সামরিক কর্মজীবনে তিনি স্টাফ, প্রশিক্ষক এবং কমান্ড নিযুক্তিতে কর্মরত ছিলেন।
জেনারেল শফিউদ্দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশনসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী অপারেশনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মাল্টিন্যাশনাল ফোর্স কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘ মিশনে প্রথম বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন কমান্ডের অনন্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন অফিসার। কমিশন পরবর্তী কাউন্টারইনসারজেন্সি অপারেশন এলাকায় যোগদানপূর্বক তিনি তার সামরিক কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে সেখানে পদাতিক ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে জেনারেল শফিউদ্দিন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে মোজাম্বিকে ১৬ মাস শান্তিরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৪-২০১৬ পর্যন্ত তিনি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসামান্য কর্মদক্ষতা প্রদর্শনের জন্য এসআরএসজি কর্তৃক সাইটেশন প্রাপ্ত হন।
শিক্ষাজীবনেও অনন্য জেনারেল শফিউদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমআইএসটি হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর অসামান্য ফলাফলসহ ডেভলপমেন্ট এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজে এম. ফিল সম্পন্ন করেছেন।
জেনারেল শফিউদ্দিন বর্তমানে বিইউপিতে পিএইচডিতে অধ্যায়নরত আছেন। তিনি তার কর্মজীবনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়াদি, শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং ডিফেন্স এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সম্পর্কিত বিভিন্ন সেমিনার, সম্মেলন, কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশ নিয়েছেন। দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য জার্নালে তার আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
জেনারেল শফিউদ্দিনের আছে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। তিনি মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, চায়না, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ভারত, নেপাল, কুয়েত, মালদ্বীপ, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, মরক্কো, কঙ্গো, জার্মানী, ফ্রান্স, কেনিয়া, ইউনাইটেড আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন।
জেনারেল শফিউদ্দিন দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সুনামের সাথে সম্পন্ন করেছেন। তিনি চীনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি (এনডিইউ)’তে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে ডিফেন্স এন্ড স্ট্রেটেজিক স্টাডিজ কোর্স, এনডিইউ, চায়না সম্পন্ন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে জেনারেল শফিউদ্দিন দুই কন্যা সন্তানের জনক।
Be the first to know and let us send you an email when Dpaper24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Dpaper24.com:
নৌ-পারাপারে ঝুঁকি ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে নৌকা পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উপেক্ষা করছে স্থানীয়রা। ঘাটে নৌকায় যে যার মতো যাত্রী ওঠায়, লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাচ্ছে ছোট-বড় নৌকা। নৌকা পারাপারে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এরপরও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বিআইডব্লিউটিএ’র। লঞ্চের ধাক্কায় প্রায়ই ঘটছে নৌকাডুবি, প্রাণ হারাচ্ছে নদী পারাপারের চেষ্টায় থাকা বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার নদী পারাপারের সময় লঞ্চের ঢেউয়ের ধাক্কায় ডুবে যায় ছোট আকারের একটি নৌকা। প্রাণ হারায় দুই শিশু। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে এমভি রিয়াদ নামের একটি লঞ্চের তলা ফেটে অর্ধেক পানিতে ডুবে যায়। লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করলে অন্য ট্রলার গিয়ে লঞ্চযাত্রীদের উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে যান ২০০ যাত্রী। এদিকে যাত্রী কল
এভাবে চাঁদাবাজির শিকার সাধারণ মানুষ, প্রশাসোনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি,( যাত্রাবাড়ী থানার 5/7 শত গজ পূর্ব থেকে নেয়া )
Want your business to be the top-listed Media Company?