Gift for you

Gift for you Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Gift for you, Video Creator, .

10/09/2021
10/09/2021

আল্লাহ কেমন দোয়া পছন্দ করেন।

10/09/2021

🤲🤲🤲🤲🤲মিজানুর রহমান আজহারী সাহেব

তুমি আমায় বললে,তুমি একাকীত্বে সুখ পাও।আমি বললাম,একাকীত্বে কখনো সুখ পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র নিরাশা আর হতাশা ছাড়া।তুমি একগ...
05/09/2021

তুমি আমায় বললে,তুমি একাকীত্বে সুখ পাও।
আমি বললাম,একাকীত্বে কখনো সুখ পাওয়া
যায় না। শুধুমাত্র নিরাশা আর হতাশা ছাড়া।

তুমি একগাল হেসে উড়িয়ে দিলে আমার কথাটি।
প্রতিত্তোরে তুমি আমাকে জানিয়ে দিলে,
একাকীত্বের মাঝে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়।
নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়,মেলে ধরা যায়।
ফিরে পাওয়া যায় হারানো স্বত্বাটাকে।বন্দী জীবনের মাঝেই নিজেকে বুঝা যায় সঠিক ভাবে।
একাকীত্বের মাঝে নেয় কোনো বেদনা,নেয় কোনো
যাতনা,দুঃখ নিরাশা আর হতাশা। জীবন ধারণে একাকীত্বের মাঝেই রয়েছে উত্তম প্রেরণা।

আমার বোধগম্য হলো না।
"সত্যিই কি একাকীত্ব এমন?
আচ্ছা, " তুমি ফুলকে ভালোবাসো,
বা পাখিকে,অথবা প্রকৃতির মায়াকে যা আচ্ছন্ন করে রাখে আমাদের আত্মাকে। তাছাড়া তুমি কি ভালোবাসো নির্জনতার মাঝে আধার রাতে উঁকি মেরে জ্যোৎস্না ছড়ানো রূপালী চাঁদটাকে।
উপভোগ করো ত উড়ে যাওয়া জোনাকিপোকার আড়ালে সুদর্শন গুলোকে?"
তুমি বললে, হ্যা! ভালোবাসি তো।খুব ভালোবাসি।
এরাই ত আমার একাকীত্বের সঙ্গী!

"তবে, তবে তো তুমি একা নও।
একাকীত্বের মাঝেও ত নও তুমি।"
এগুলো কি তোমার সাথ দিচ্ছে না!
তবে তুমি একা কোথা থেকে!
এরাও ত তোমার পাশে থেকে
জাগিয়ে রাখছে তোমার হৃদয়টাকে!
তুমি অবাক হয়ে গেলে,খুব অবাক।
"আসলেই কি আমি একা নয়!
এগুলোও কি আমায় সাহারা দিচ্ছে!

" হ্যা,এরা ত সবাই তোমার সাথে আছে।তোমার পাশে আছে। তবে কোথা থেকে তুমি একা?
তুমি জানো না,তুমি কি জানো না একাকীত্বের মাঝে
কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। একাকীত্ব যে মানুষকে
ঠেলে দেয় ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে।
আশার আলো দূরে ছেঁয়ে যায় আধারের কালোতে।
একাকীত্বের মাঝে হারিয়ে যায় নিজ স্বত্বা!

একাকীত্বের মাঝে কখনোই সুখ খুঁজে পাওয়া
যায় না,শুধুমাত্র নিরাশা আর হতাশার গ্লানি ছাড়া।
একাকীত্ব যে মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়েও বিষাক্ত।
দূরে নিয়ে যায় মানুষের কাছ থেকে।
মনুষ্যত্বহীনে বাঁচিয়ে রাখে নিথর দেহটাকে।
একাকীত্ব,,একাকীত্বই নিজকে হারিয়ে দেয়
নিজের কাছে। সব সুখ কেড়ে নিয়ে যায় অবলিলায়।
তুমিও তো একা নও,শুধু নিজকে আড়ালে রেখেছো কতক প্রাণের সঞ্চার থেকে।
তুমি ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো মানুষের
ভীড়ে ফিরে পেতে নিজ হারানো স্বত্বাটাকে।
নতুন প্রাণে সাজাতে পুনঃ নব জীবনটাকে।
কেননা, একাকীত্বের ধারণা নিয়ে যাবে
তোমাকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।

○○○ Tonu □□□

#অনি

04/09/2021

একদিন চলে যেতে হবে।

13/09/2020

তুই যদি চিনতি আমায় পরাণের পাখি,

অনেক কষ্টের একটা গান।

16/08/2020

অনেক কষ্টের কথা গুলে
প্রপ্রোজ করলেই তো প্রেম নষ্ট হয় না

এই মাদকাসক্ত অসৎরা সাক্ষী দিবে ওসি প্রদীপ কুমার ও লিয়াকতের বিরুদ্ধে.? এটা হাস্যকর।
15/08/2020

এই মাদকাসক্ত অসৎরা সাক্ষী দিবে ওসি প্রদীপ কুমার ও লিয়াকতের বিরুদ্ধে.? এটা হাস্যকর।

10/08/2020

Boro Eka Eka Lage Amar বড় একা একা লাগে আমার।
যত শুনি ততই ভালো লাগে

04/08/2020

যদি কখনো আমার কথা মনে পরে

 #প্রথম_প্রেম       #কলমে- সুমনা সাহা পর্ব -১/২অত্যন্ত মেধাবী ছাএী দীপা, স্কুলে বরাবরই প্রথম হত। এবার উচ্চ মাধ্যমিকেও জে...
29/07/2020

#প্রথম_প্রেম
#কলমে- সুমনা সাহা

পর্ব -১/২

অত্যন্ত মেধাবী ছাএী দীপা, স্কুলে বরাবরই প্রথম হত। এবার উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলায় প্রথম। আর হবে নাই বা কেন ! পাড়ার সবথেকে শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে সে। বাবা খুব নামি একজন উকিল, মা স্কুলে রসায়নের শিক্ষিকা। তাই ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনাটাই প্রাধান্য পেয়েছে বেশী । বই-খাতা যেন তার চারিদিকে এক দেওয়াল তৈরি করে রেখেছে, যা ভেদ করে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। এবছর কলকাতার সবচেয়ে নামী কলেজে ইতিহাসে অর্নাস নিয়ে ভর্তি হয়েছে দীপা। প্রথম দিনই খুব ভালো দুটি বান্ধবী পেয়েছে দীপা নীলা ও তিয়াসা, একই বিভাগেরই ছাএী ওরা।

আজ ছ-দিন যাবৎ কলেজ করছে ওরা। নীলা ও তিয়াসা কদিন ধরেই লক্ষ্য করেছে যে অয়ন প্রায় প্রতিদিনই অপলক দৃষ্টিতে দীপার দিকে তাকিয়ে থাকে। অয়ন, ক্লাসের সবথেকে সুদর্শন ছেলে, লম্বা -চওড়া, ফর্সা, গালে হালকা চাপদাড়ি ; এককথায় পুরো কার্তিক।

দীপা ওদের চুপ করিয়ে দেয়।
- মন দিয়ে ক্লাস কর, কী সব যে ভাবিস না তোরা।
ওরা চুপ করে যায়।
সেদিন ওদের চুপ করিয়ে দিলেও আজকাল দীপারও মনে হয় অয়ন সত্যিই ওর দিকে কেমন যেন তাকিয়ে থাকে। এই প্রথম পড়াশোনার বাইরে অন্য কিছু নিয়ে ভাবছে সে। এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার, এক অদ্ভুত ভালোলাগা যেন মিশে আছে সবকিছুতে।

বইয়ে মুখ গুজেঁ পড়ে থাকা দীপা আজ আয়নার সামনে। সবসময় ওই এক খোপা কিংবা বেনুনী করা দীপা আজ খোলা আকাশে মেলে দিয়েছে চুল। চোখে টানা টানা করে কাজল, ঠোঁটে হালকা করে গোলাপি রংয়ের লিপস্টিক সাথে ম্যাচিং সালোয়ার আর একটা কালো টিপ ;পুরো লক্ষী প্রতিমা মনে হচ্ছে। দীপার মা তো অবাক এই প্রথম মেয়েকে এভাবে দেখছে সে।
বাবা বলে - "আরে ওসব এখন একটু হবেই। সবে কলেজে উঠেছে, সব মেয়েদের দেখে বেশ সেজেগুজে কলেজ যায় তাই ওরও হয়ত ইচ্ছে হয়েছে। আর কী!

দীপা ক্লাসে ঢুকতেই সবাই হতবাক। নীলা আর তিয়াসা তো চিনতেই পারছে না এ সেই দীপা। সবাইকে এভাবে তাকাতে দেখে লজ্জায় দীপা মাথা নীচু করে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে পড়ে।

ক্লাস শেষে দীপা আর তার বান্ধবীরা বকুল গাছের নীচে দাঁড়িয়ে গল্প করছে। অয়ন সেদিকে এগিয়ে এল । অয়নকে দেখে নীলা আর তিয়াসা সরে যায়।অয়ন দীপার কাছে এসে দাঁড়াল। দীপার হাত পা কাঁপছে, এক অদ্ভুত রকমের ভয় কাজ করছে তার মনে, কোনো কথা বলতে পারছে না ।
অয়ন নিস্তব্ধতা ভাঙল।
- আসলে কলেজের প্রথম দিক থেকেই তোমাকে একটা কথা বলতে চাইছি কিন্তু বলতে পারিনি। তবে আজ তোমায় দেখে আর না বলে থাকতে পারলাম না। আসলে ... মানে ...আসলে....আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। দীপা হতভম্ব হয়ে গেল। কী বলবে বুঝতে পারছে না।
চারদিক যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। আবার অয়ন স্তব্ধতা ভেঙে বলল-" যদি কিছু মনে না করো, তোমার ফোন নম্বরটা পেতে পারে কী ?"
এতক্ষণে কথা বলল দীপা
- "আসলে নতুন ফোন নিয়েছি নম্বরটা ঠিক মুখস্থ নেই। আর তাড়াহুড়োয় ফোনটাও বাড়িতে ফেলে এসেছি। তবে নীলা আর তিয়াসার কাছে আছে ওদের থেকে নিতে পার ।"
আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না দীপা ।লজ্জায় এক দৌড় দেয় গেটের দিকে। পেছন থেকে একটা আওয়াজ ভেসে আসে "তবে আজ রাত ১০ টায় কল দিব, ফোনটা ধরো।"

বাড়ি গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ায় দীপা। "এটা কী সত্যি! অয়ন তাকে সত্যিই ভালোবাসে। এতো ভালো দেখতে সে, কলেজে কত মেয়ে তার পেছনে পাগল । আর সে কী না আমায় ভালোবাসে। " এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনটা বেজে ওঠে।কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা তোলে দীপা
- হ্যালো ,আমি অয়ন বলছি
- হুম্ বলো ......
এভাবেই ঘন্টা তিনেক কথা হয় ওদের। পরদিন কলেজে হাতে হাত রেখে ক্যান্টিনে বসা । জীবনে কোনোদিনও যেগুলো করেনি দীপা, অয়নের প্রেমে পড়ে তা করছে এখন। ক্লাস বাঙ্ক করে আড্ডা দেওয়া, পড়তে না গিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া। আর এসব করতে করতে লেখাপড়ার সাথে সম্পর্ক প্রায় মিটে গেল। দেখতে দেখতে প্রথম বর্ষের পরীক্ষাও চলে এল। কিন্তু কোনো প্রস্তুতি নেই দীপার। পরীক্ষার খবরে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে দীপার মাথায়। ঠিক সাতদিন পর প্রথম বর্ষের পরীক্ষা, কোনো কিছুই পরা হয়নি দীপার। দেখতে দেখতে পরীক্ষার দিনও চলে এল। এই প্রথমবার পরীক্ষা দিতে যেতে এত ভয় পাচ্ছে দীপা। কারণ কখনও দীপার সাথে এমন হয়নি, পরীক্ষার আগে অনেকবার রিভিশনও করত। তবে এবার .......
পরীক্ষা দিয়ে বের হয় দীপা। আশেপাশে সবাই বলাবলি করছে এবারের প্রশ্ন নাকি অন্যান্য বারের তুলনায় সোজা হয়েছে। দীপা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বাড়ি চলে গেল, অয়নের সাথেও কথা বলেনি। পরীক্ষা যে খুবই খারাপ হয়েছে তার। চিন্তায় ঘুমও আসছে না।

ঠিক একমাস পর ফলপ্রকাশ হল। একটা পেপারে ব্যাক পেয়েছে দীপা। অন্যগুলিতেও কোনোমতে পাশ। ভয়ে ,দুঃখে সে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটা কীভাবে হতে পারে, কী বলবে সে মা-বাবাকে। যে মেয়ে কোনোদিন সেকেন্ড পর্যন্ত হয়না সে কিনা ব্যাক ?


#ছবি_সংগৃহীত

 # #নিশা  # #অনন্যা_পোদ্দার রাত্রে খেতে বসে তনিমা বেশ একটু বিরক্তি নিয়েই বলল নিশাকে,  " তোকে কতো বার বলেছি দিদি,  তুই আম...
28/07/2020

# #নিশা

# #অনন্যা_পোদ্দার

রাত্রে খেতে বসে তনিমা বেশ একটু বিরক্তি নিয়েই বলল নিশাকে, " তোকে কতো বার বলেছি দিদি, তুই আমার বন্ধুদের সামনে বেরোবি না | তাও বেরোস কেন?? "

নিশা আমতা আমতা করে বলল, " আসলে তনু আমি বুঝতে পারিনি রে,, ডিডো টা এমন ছুট দিলো... ওর পিছনে ছুটতে গিয়েই বসার ঘরে চলে গিয়েছিলাম | "

" এটা কোনো কথা হোলো তোর?? ... ডিডো না হয় একটা কুকুর, অবলা জীব, বোধ বুদ্ধি কম | তাই বলে তুই নিজের বুদ্ধি খরচ করবি না?? "

পাশ থেকে অনিমা বলে উঠলেন, " তুই ওরকম করে কেন বলছিস তনু?? .... নিশা তোর বন্ধুদের সামনে গেল তো কী হোলো?? "

"তুমি আর কথা বোলো না তো মা !!... ওই তো তোমার মেয়ের ওই চেহারা !! নাক কাটা, ঠোঁট কাটা, তার উপর গায়ের রঙটাও হয়েছে সেই রকম !!.... ওকে নিজের দিদি বলে পরিচয় দিতেই আমার লজ্জা লাগে | আমার বন্ধুরা কী ভাবলো বলো তো?? ... "

" কী আবার ভাববে?? আর তোর কাছে তোর দিদি বেশি নাকি বন্ধুরা?? "

"তুমি আর ওর হয়ে কথা বোলো না মা?? .... ওর যা চেহারা তা যে কেউ দেখলে ভয় পেয়ে যাবে !! "

অনিমা প্রায় এক প্রকার চিৎকার করে মারতে উদ্যত হলেন তনিমাকে | পাশ থেকে কুনাল বাবু মানে নিশা, আর তনিমার বাবা বলে উঠলেন, " আহা, ওকে মারতে যাচ্ছ কেন?? .... ও তো ঠিক কথাই বলেছে | ওই ভাবে হঠাৎ করে ও বেরিয়ে আসলে লোকজন তো ভয় পাবেই | ".... তারপর নিশার দিকে তাকিয়ে বলেন, " তুই বা কেন যখন তখন বাইরে বেরোস?? "

পুরো ঘটনায় নিশা অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বসে থাকে | তার অপরাধ, সে বিকলাঙ্গ | অন্ততঃ ছোটো বেলা থেকে সে নিজের পরিচয় এটাই জেনে এসেছে পরিবারের সকলের কাছ থেকে | ব্যতিক্রমী শুধু মা | তার অন্ধকার জীবনের এক চিলতে রোদ্দুরের মতো ঝিলিক মারে তার মায়ের অকৃত্তিম ভালোবাসা |

জন্ম থেকেই তার মুখমন্ডল স্বাভাবিক নয় | তার চেহারায় তার নাকের ও মুখের একটা অংশ পুরো কাটা | তার উপর তার গায়ের রঙটাও বেশ ময়লা | সে শুনেছে, যে, সে যখন মায়ের পেটে ছিলো তখন সূর্যগ্রহণের সময় মা বাথরুমে গিয়েছিলো, তাই নাকি তার চেহারা এতটাই ত্রুটিপূর্ণ, অন্ততঃ ঠাকুমা তো তাই বলে | কিন্তু মা বলে, এটা নাকি বিজ্ঞান | মায়ের গর্ভে থাকাকালীন আম্বিলিকাল কর্ড তার শরীরে এমন ভাবে জড়িয়ে ছিলো যে তার মুখের এক অংশ চাপা পড়ে গিয়েছিলো | ফলে নাক, আর মুখ পূর্ণ রূপে গড়ে উঠতে পারেনি |ঠাকুমার সাথে সাথে তার এই চেহারা বাবার কাছেও গ্রহণযোগ্য ছিলো না | তাই তো আবার তনিমাকে নিয়ে আসা দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে | তনিমা বাড়ির সবার দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে | তার রূপ গর্ব করার মতো !! .... তাই তো বাবার আর ঠাকুমার খুব আদরের ও আহ্লাদের সে |

তবুও দুঃখ নেই নিশার | তার জন্য তার মা আছে | সে আপ্রাণ চেষ্টা করে নিশাকে সমস্ত লজ্জা আর অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে | কিন্তু যার অদৃষ্টে অপমান লেখা আছে, তাকে কী বাঁচানো যায় এই লজ্জা থেকে??

তাই নিজের দুঃখ গুলিকে সে অশ্রুধারা করে বইতে দেয় না কখনো | তার মা তার জন্য এত কিছু করে | তারও তো কিছু দেবার আছে মাকে?? ... তাই চোখের জল ফেলে মায়ের কষ্টকে আর বাড়ায় না সে | তাই সেই দুঃখ গুলি কথার মুক্তো হয়ে ডায়েরির পাতায় জমা হতে থাকে | কিন্তু লেখার সময় নিশা নিজেকে নিয়ে কিছু লেখে না | তার কষ্টের অনুভূতি গুলিকে তার গল্পের চরিত্রের জীবন কাহিনী দিয়ে ফুটিয়ে তোলে | তার এই বেদনা টুকুও সে কারোর সাথে ভাগ করে না, সন্তর্পনে লুকিয়ে রাখে চুপি চুপি জীবনের কথা বলা সেই ডায়েরিতে

|সেদিন রাতে ছোটো বোনের কাছে চরম অপমানিত হয়ে ঘরে এসে মুখ লুকালো ডায়েরির পাতায় | লিখতে শুরু করলো জীবনের কাহিনী | সারা রাত ধরে লিখে চলল জীবনের গল্পগাঁথা | ভোরের দিকে কখন চোখ লেগে গিয়েছিলো টের পায়নি সে | হঠাৎ ঘুম ভাঙলে সে দেখে, তার মা স্নান করে পুজো দিয়ে তার ঘরে এসেছে ধুপ-ধূনো দিতে | মাকে দেখে তাড়াতাড়ি ডায়েরিটা লুকিয়ে ফেলে নিশা |

মা খুব স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করে, " কাল রাতে পড়ার টেবিলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলি বুঝি?? সামনে কোনো পরীক্ষা আছে বুঝি?? "

নিশা নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বলে, " ওই আর কী মা,, কলেজে ক্লাসেই একটা পরীক্ষা নেবেন প্রফেসর | "

" ও আচ্ছা | ", বলে মা ঘর থেকে বেরিয়ে যায় |

নিশা উঠে পড়ে, কলেজের জন্য তৈরী হয় | ওড়নাটা কে ভালো করে পেঁচিয়ে নেয় নিজের মুখমন্ডলের উপর | কলেজের সবাই তার চেহারার কথা জানলেও সে তার চেহারাকে কারোর সামনে উন্মোচন করে না, পাছে জগৎ সংসারের ভয় পাওয়া দেখে তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা মানুষটা যদি কষ্ট পায় !! তাই নিজের ভিতরের সেই মানবীকে ভালো রাখতে এই আবরণ টুকুর সাহায্য সে নেয় |

দিন এভাবেই চলছিল | বেশ কিছু মাস পরে কলেজে কিছু বেপরোয়া ছেলে একটি নবাগতা ছাত্রীকে হেনস্থা করতে চাইলে নিশা তার প্রতিবাদ করে | ফলস্বরূপ, তার চেহারা নিয়ে তাকে অপমানিত হতে হয় | তার এটাই যে ভবিতব্য !!

বাড়ি ফিরে এসে সে তার ডায়েরি সমুদ্রে ডুব দিতে উদ্যত হয়, কিন্তু সে সমুদ্রের সন্ধান সে কোথাও পায় না | তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সে পায়না তার জীবনের দিনলিপিকে |

তার খোঁজার ধরণে মা উৎসুক হয়ে বার কয়েক জিজ্ঞেসও করেছিল, " নিশা, তোর কী কিছু হারিয়েছে মা?. "

" না, মা | সেরকম কিছু না, কলেজের একটা খাতা খুঁজে পাচ্ছি না | ওটাতে একটা গুরুত্বপূর্ণ নোটস ছিল | "

" আমি খুঁজে দেখবো?? "

প্রায় একপ্রকার আঁতকে উঠে নিশা বলে ওঠে, " না, না, মা | তার দরকার নেই | "........অনিমা আর কোনো কথা না বলে চলে যান ঘর থেকে |

শীতকালীন মরসুমের এক সেরা উৎসব বইমেলা | নিশার খুব ইচ্ছে করে বইয়ের ভিড়ে হারিয়ে যেতে | কিন্তু ভয়ে কোনোদিন ওই পথে হাঁটেনি সে | প্রচন্ড ভিড়ে তার লজ্জা যদি উন্মুক্ত হয়ে যায় লোকের মাঝে, তাহলে কতো লোকই না বিব্রত হবে সে মেলায় !! ... তার চেয়ে নিজের ইচ্ছেকে দমন করে রাখাই ভালো |

হঠাৎ সেদিন সকালে, মা ঢুকল নিশার ঘরে | মায়ের হাতে মায়ের মোবাইল ফোনটা ধরা | ঘরে ঢুকে মা বলল, " ফোনে আমার এক বন্ধু আছে, কথা বল | "

" কে মা?? " বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে নিশা | এই এতগুলি বছরে সে তো কোনোদিনই মায়ের কোনো বন্ধু আছে বলে জানেনি !!

মনের মধ্যে দ্বিধা নিয়ে ফোনটা নেয় সে | " হ্যালো|"

" হ্যালো, নিশা, আমি তোমার মায়ের বন্ধু | আমাকে তুমি রুপা মাসীমণি বলে ডাকতে পারো | আমার স্বামী সুবিমল বিশ্বাস একজন পাবলিশার | তাই প্রতি বছর বইমেলায় আমাদের একটা স্টল থাকে | তুমি আজ মায়ের সাথে চলে আসো বইমেলায়, তোমার ভালো লাগবে | "

" কিন্তু আমি তো কোনো ভিড় সমাবেশের মধ্যে যাই না মাসীমণি | "

" কিন্তু আজ আসবে | দেখো নিশা তিনদিন হয়ে গিয়েছে বইমেলা আরম্ভ হয়েছে | আজ চতুর্থ দিন | আজ আরও অনেক বেশি জমাটি হবে বইমেলা | তুমি চলে আসো, আমি হলপ করে বলতে পারি যে তোমার ভালো লাগবে | "

" কিন্তু.... "" আর কোনো কিন্তু নয়, দুপুরে দেখা হচ্ছে তোমার সঙ্গে | "

অনিমা এগিয়ে এসে বলেন, " তুই আর আমি যাব, একসাথে | কতদিন হয়ে গেছে বইমেলায় যাইনি | তুই আর না করিস না নিশা, লক্ষ্মী মা আমার | "

নিশা আর আপত্তি করে না | মায়ের জন্যই না হয় আজ সে বের হবে জনমানবের মাঝে |

বইমেলায় নির্দিষ্ট স্টলে পৌঁছলে নিশাকে দেখে রুপা ছুটে আসেন | বলেন, " এখানে বসো | আর কলমটা রাখো | আজ এটার আর তোমার অনেক পরিশ্রম করতে হবে | "

রুপা মাসীমণির কথা সে কিছুই বুঝতে পারে না | ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে | বইপ্রেমীরা আসতে থাকেন স্টলে | বেশিরভাগ বইপ্রেমীর হাতেই একটি বই দেখা যাচ্ছে | বইটির নাম " জীবনগাঁথা " | নিশা চেয়ার ছেড়ে উঠে টেবিলের দিকে যায় | যে বইয়ের এত জনপ্রিয়তা, সেই বইকে পড়ার ইচ্ছে নিয়ে হাতে নেয় সে | বইয়ের প্রথম পাতা দেখে সে স্থির হয়ে যায় | লেখক পরিচিতি দেওয়া আছে লেখকের ছবি সহ | নিশা স্থির পলকে চেয়ে থাকে লেখক পরিচিতির নির্বন্ধে | হুশ ফেরে যখন তারই বয়সী একটি মেয়ে "জীবনগাঁথা" নিয়ে এসে বলে, " অটোগ্রাফ, প্লিজ | "

নিশা চরম দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পালাতে উদ্যত হয় | তার পথ রোধ করে দাঁড়ায় তার মা আর রুপা মাসীমণি | "আজ পালাবার দিন নয় নিশা | বইমেলায় তোমার এই বই ই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে | নিজেকে জানো | তোমার তুমিকে তুমি না চিনলে কে চিনবে বলো তো?? "

নিশা মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে | মা হেসে উত্তর দেয়, " দেখ নিশা | তোর ডায়েরির কোনো পরিবর্তন নেই, এমন কী বইয়ের নামটাও না | তুই যেমন করে সাজিয়েছিলি তোর জীবনগাঁথা কে, ঠিক সেভাবেই প্রকাশ পেয়েছে সে | "

নিজের ছবির দিকে তাকিয়ে নিশা বলে, " ছবিটা না দিলেও তো পারতে মা | এই চেহারা দেখলে কেউ আর আমার লেখা পড়তে চাইবে না | "

" তোর কলমই তোর পরিচয় | সেখানে চেহারার কোনো ভূমিকা নেই | তুই তোর অন্তর্নিহিত শক্তিতে শক্তিশালী, মনের সৌন্দর্য্যে সুন্দর | তাই এই আবরণ খুলে ফেল | জগৎ কে জানতে দে, চেহারাতে কিচ্ছু থাকে না | মানুষের সৌন্দর্য তার মনে, তার অনুভূতিতে, তার প্রতিভায় | "

অনিমার কথায় নিশা মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে | সে কী কোনোদিন ভেবেছে, যে, এমন দিনও হঠাৎ করে আসবে তার জীবনে !!.... তার জীবনের সেই এক চিলতে রোদ্দুর তার জীবনকে কেমন আলোয় ঝলমল করে তুলবে !!!

মায়ের পাশে বসে, নিশা একের পর এক তার লেখা বইতে স্বাক্ষর দিতে থাকে | নিশা তেও যে এমন ভোরের উন্মোচন হবে, তা কী সে জানতো | মায়ের ভালোবাসা, সন্তানের ভালো করা ইচ্ছে এরকম কতো নিশার জীবনেই না ভোরের আলো দেখায় |

স্বাক্ষর দিতে দিতে নিশা ভাবে, এর পরের বইটা তার মাকে নিয়ে, তার মায়ের মতো সেই মানুষ গুলিকে নিয়ে লিখতে হবে যারা এক পলকে হঠাৎ করেই একদিন সন্তানের জীবন আলোকিত করে খুশিতে ভরিয়ে তোলে |

-----------------------------------------------------------

সমাপ্ত

ঘরের বড় ছেলে প্রথম টানতে হয় মা,বাবাকে, তারপর ভাই বোনকে, তারপর নিজের স্ত্রী সন্তাকে, তারপর সবাই একদিন বলে তুমি কি করেছ?
28/07/2020

ঘরের বড় ছেলে প্রথম টানতে হয় মা,বাবাকে, তারপর ভাই বোনকে, তারপর নিজের স্ত্রী সন্তাকে, তারপর সবাই একদিন বলে তুমি কি করেছ?

প্রেমিকা হিসেবে আমি তোমার অযোগ্যই ছিলাম। তোমার সামনে গেলেই কেমন জড়সড় হয়ে যেতাম, কথা বলতে গিয়ে কেমন যেন জড়িয়ে যেতো। তোমার...
28/07/2020

প্রেমিকা হিসেবে আমি তোমার অযোগ্যই ছিলাম।
তোমার সামনে গেলেই
কেমন জড়সড় হয়ে যেতাম, কথা বলতে গিয়ে কেমন যেন জড়িয়ে যেতো।
তোমার পর্বতসম বিশালত্বের সামনে আমি ছিলাম অতি ক্ষুদ্র, অতি তুচ্ছ।

জানি না, হয়তো আমার সেই নগণ্যতা, সেই অজ্ঞতাকেই তোমার ভালো লাগতো।
নিজেকে উচ্চতায় দেখতে কার না ভালো লাগে!

তুমি যখন বলতে, আমি কেবল মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতাম,
শ্রদ্ধায় আনত হতাম।
তুমি যখন আমার অজ্ঞতাকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে,
আমার দু'চোখে জল আসতো, সে জল লুকিয়ে ফেলে ভাবতাম,
এই যে তোমায় পেয়েছি নিজের করে, এই তো আমার ভাগ্য বটে।

মানুষ যেমন যত্ন করে আগলে রাখে রত্নাকর,
তার চেয়েও অধিক যত্নে পুষতাম প্রেম তোমার জন্য,
নিয়ম করে যত্ন নিতাম তোমার মনের,
শত ভুলের করছো ক্ষমা, শত প্রেমের দিচ্ছো অল্প দাম।
কমটা কিসের?

গর্ব হতো।
এমন জ্ঞানী প্রেমিক আমার, তার প্রেমিকা
কথা কি আর চাট্টিখানি?
জানবে লোকে, তুমি আমার।
স্বপ্নঘোরে জাল বুনতাম।

তারপর,
একদিন তুমি বললে ডেকে,
শুনছো বালা, আমি কোথায়, কোথায় তুমি?
জগতজুড়ে লোকে আমায় দিচ্ছে মান,
তোমায় লোকে কত'টা চেনে?
আদৌ কি আর যোগ্য তুমি এই প্রেমিকের, নিজেই ভাবো?

মেনেই নিলাম।
ভেবেই নিলাম, যোগ্য হবো।
সব সাধনা এক করে আজ তোমার আমি যোগ্য হলাম।
কিন্তু একি!
যতই তোমার যোগ্য হলাম,
ততই তুমি ভাঙলে কেবল আমার চোখে।

যেই তোমাকে মনে হতো বিশালতা পর্বতেরই,
সেই পর্বত প্রতিদিনই একটু করে হলো ছোট,
একটা করে ধূলিকণা পড়লো নিচে।
বড় থেকে প্রতিদিনই অল্প করে নামলে নিচে আমার চোখে,
চোখটা যত খুললো আমার,
তুমি হলে খুব সাধারণ, এখন তো আর
আগের মত মুগ্ধতা আর পাই না খুঁজে।
তোমার যত বিশালতা, সব'টা কি ভুলই ছিলো?
জাগলো প্রশ্ন নিজের বোধে।
তুমি এখন খুব সাধারণ,
খুব সাধারণ আমার চোখে।

তোমার হেলায় আমি তোমার যোগ্য হবার শপথ নিয়ে,
দেখো আজ যোগ্য হলাম।
তুমি ক্রমেই আমার চোখে হারালে সব শ্রেষ্ঠত্ব,
আমার প্রেমিক হবার তুমি ভীষণ রকম অযোগ্য।

@শ্রেষ্ঠত্ব
জান্নাতুন নুর দিশা

ছবি - Shreyoshi Datta

27/07/2020

দূরে চলে গেছো, যানি সুখে আছে। হয়তো আমাকে মনে করনা।

26/07/2020

অনেক কষ্টের একটা গান।

বধূর সাজে তেরো বছরের ছোট্ট বালিকাটি মাথায় বড় একটি ঘোমটা দিয়ে বসে আছে! ভয়ে সে নড়াচড়া করার মতো শক্তি টুকুও হারিয়ে ফেলেছে!😥...
26/07/2020

বধূর সাজে তেরো বছরের ছোট্ট বালিকাটি মাথায় বড় একটি ঘোমটা দিয়ে বসে আছে! ভয়ে সে নড়াচড়া করার মতো শক্তি টুকুও হারিয়ে ফেলেছে!😥😥
কিছুক্ষণ পর বরের বেশে সানভী রুমে প্রবেশ করলো। সে রুমের দরজা লক করতেই দেখলো মেয়েটি ঈষৎ কেঁপে উঠল। সে ধীর পায়ে বিছানার এক কোনায় গিয়ে বসে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো-
--"নাম কি তোমার?"
মেয়েটি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো-
--"জ্বি নীলা!"

সানভী বুঝতে পারলো নীলা ওকে প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে। তাই সে নীলার ভয় দূর করার জন্য বললো-
--"মাথায় এতো বড় একটা ঘোমটা টেনে রেখেছো কেনো? লজ্জায়?"
নীলা আগের মতোই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো-
--"জ্বি না!"
--"তাহলে এমন জড়সড় হয়ে মাথায় ইয়া বড় একটা ঘোমটা টেনে বসে আছো কেনো? নরমাল ড্রেস পরে নাও!
নীলা তবু আগের মতোই বিছানার এক পার্শ্বে গুটিশুটি মেরে বসে রইলো।

নীলার আচরনে এবার সানভীর কিছুটা হাসি পেলো। কিন্তু সে হাসি চেপে রেখে বললো-
--"ভয় নেই! আমি তোমায় স্পর্শ করবোনা! তুমি নির্দ্বিধায় ড্রেস চেঞ্জ করে এসে ঘুমুতে পারো!"
সানভীর কথায় যেনো নীলা প্রান ফিরে পেলো! সে গুটি গুটি পায়ে ওয়াশ রুমে গেলো ড্রেস চেঞ্জ করতে। আর সানভী পাগড়ী টা খুলে রেখে বিছানার এক পার্শ্বে শুয়ে পরলো!

নীলার মা বহুদিন ধরে সানভীদের বাসায় কাজ করতেন! উনি খুব সৎ আর কর্মঠ মহিলা ছিলেন! এজন্য সানভীর মা সাহানা বেগম ওনাকে অনেক ভালোবাসতেন। নীলা মাঝে মাঝেই ওর মায়ের সাথে এসে এটা ওটা কাজ করতো!
খুব অল্প বয়স থেকেই নীলা প্রতেকটা কাজ নিখুঁত ভাবে করতে পারতো। যেটা সানভীর মাকে সবসময় মুগ্ধ করতো!

সব ঠিকঠাকই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎই আজ সকালে খবর আসলো নীলার মা ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা গেছে। সাহানা বেগম তার পরিবারের সকলকে নিয়ে নীলার মায়ের দাফন কাফনের কাজ সম্পন্ন করলেন।

শেষে চোখ পরলো নীলার উপরে! এই পৃথিবীতে নীলার আপনজন বলতে ওর মা ছাড়া আর কেউ নেই। সাহানা বেগম অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলেন তার একমাত্র সন্তান সানভীর সাথে নীলাকে বিয়ে করিয়ে দিবেন! তারপর নিজের পুত্রবধূ করে সারাজীবন নিজের কাজেই রাখবেন।

যেই ভাবা সেই কাজ। সানভী প্রথমে অনেক আপত্তি করলেও পরে মায়ের মন রক্ষার্থে রাজি না হয়ে আর পারলোনা। কারন কাজের মহিলার মেয়েকে বিয়ে করাটা, সে খুব সহজে মেনে নিতে পারছিলো না! যদিও তার কোথাও কোন মেয়ের সাথে রিলেশন নেই তবুও!

নীলা থ্রি পিচ পরে ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসলো। সানভী একবারো নীলার দিকে তাকালো না পর্যন্ত! এমনকি কোন কথাও বললো না! আর তাতেই নীলা বেশি কমফোর্ট ফিল করলো। সে চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো!
তাদের মধ্যে আর কোন কথা হলো না! কিছুক্ষন পর দুইজন দুইদিকে মুখ করে ঘুমিয়ে পরলো।

পরদিন সকালে নীলার ডাকে সানভীর ঘুম ভাঙলো। সে ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলো নীলা ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
চোখ ডলতে ডলতে সানভী বিছানা থেকে উঠে পরলো। সে এই প্রথমবার নীলাকে খুব কাছ থেকে ভালো ভাবে দেখলো।

নীলার মাথায় ঘাড় পর্যন্ত ছোট ছোট চুল। উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের বরণ। মুখ ভর্তি ছোট ছোট দাগ! শরীর টা ভীষণ শুকনো! চোখ গুলোও বসে গেছে! চেহারায় সৌন্দর্য বলতে কিছুই নেই। সানভীর বিরক্তি যেনো আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেলো!

শুধু মায়ের মন রক্ষার্থে নীলার সাথে কোন উল্টা পাল্টা আচরন করতে পারছে না। কিন্ত সবসময়ই নীলার থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলছে!

নীলাকে কোন দিক থেকেই সানভীর সাথে মানায় না। সানভী বিশাল ঢণাঢ্য বাবা মার একমাত্র সন্তান। যেমন ট্যালেন্ট স্টুডেন্ট তেমনি সুন্দর দেখতে। ছয় ফিট লম্বা। কাঁচা স্বর্নের মতো গায়ের বরণ! ছিপছিপে শরীর। চোখ দুটো ভাসা ভাসা। ভরাট ঠোঁট। ধনুকের মতো জোর ভ্রু আর তীক্ষ্ম নাকে তার সৌন্দর্য যেনো আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।

সানভী ভিষন ম্যাচিউর একটা ছেলে। সে নীলার সাথে খুব নরমার ভাবে মিশতে লাগলো। যাতে ফ্যামিলির কেউ ওর আচরন দেখে বুঝতে না পারে যে নীলাকে তার পছন্দ নয়। কিন্তু নীলার বয়স অল্প হলেও সে ঠিকই আঁচ করতে পারলো সানভী ওকে পছন্দ করে না। তবে নীলার তাতে কিছু যায় আসে না। কারন সে দুবেলা দুমুঠো খেতে পরতে পারলেই মহাখুশি। তাছারা সানভীর মাও তাকে অনেক ভালোবাসে! এটাই তার কাছে অনেক। এর চেয়ে আর বেশি কিছু সে চায়না! আশাও করেনা!

এভাবেই কয়েকদিন কেটে গেলো। সানভী মাস্টার্স কমপ্লিট করার জন্য লন্ডনে চলে গেলো!
তিন বছর কেটে যাওয়ার পরও যখন সানভী দেশে ফিরতে চাচ্ছিলো না, তখন ফ্যামিলির সবাই বুঝতে পারলো, ওর সমস্যা টা কোথায়! তার উপরে আবার লন্ডন যাওয়ার পর থেকে সানভী কখনো নীলার সাথে কথা বলেনি!

নীলা এই তিন বছরে অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে! অনেকটা বড়ও হয়ে গেছে! সে আর আগের মতো নেই। অনেক সুন্দরীও হয়ে গেছে! কোমড় অব্দি ছড়ানো সোনালি চুল, দুধে আলতা গায়ের বরন, ঘন কালো ভ্রু! হরিনীর মতো টানা দুই চোখের ঢলঢল চাহনী, দীর্ঘাকৃতির হালকা পাতলা শরীর, যেনো সদ্য ফোটা ফুলের মতো নগ্ন রুপসী। ছুঁয়ে দিলেই মুড়ে যাবে!

নীলা যখন বুঝতে পারলো সানভী ওর জন্যেই বাসাতে আসছে না, তখন সে বাধ্য হয়ে সানভীকে ডিভোর্স দিতে চাইলো! কিন্তু সানভীর মা সাহানা বেগম কিছুতেই সেটা মেনে নিতে চাইলেন না। তিনি নীলাকে ওনার মায়ের বাসায় রেখে আসলেন। ওনার মা অনেক বয়স্ক মহিলা। তাকে দেখাশুনা করার জন্য একটা মেয়ে রাখা ছিলো। তিনি সেই মেয়েকে বাদ দিয়ে নীলাকে তার মায়ের দেখাশোনা করার জন্য রাখলেন। যাতে একি সাথে দুই কাজ হয়ে যায়।

নীলার বাসা থেকে চলে যাওয়ার কথা শুনে কয়েকদিন পরই সানভী দেশে ফিরে আসলো। এসেই সে নীলাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে লাগলো। আর অবশেষে পেয়েও গেলো! সে ওর মাকে জানালো, যদি ওনারা নীলাকে ডিভোর্স দিতে না দেয়, তাহলে সে লন্ডনে গিয়ে আর কখনো দেশে ফিরবে না!

শেষে অনেক ভেবে চিন্তে সাহানা বেগম তার ছেলেকে বললেন-
--"নীলাকে ডিভোর্স দেওয়ার দরকার নেই। সে কখনো তোর সামনে এমন কি এই বাসাতেও আসবে না! চলবে?" সানভী তবু ডিভোর্সের বিষয়টার জন্য সে মুখ ভার করে বসে রইলো!
সাহানা বেগম সেটা বুঝতে পেরে বললেন-
--"তুই যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাস তাহলে করতে পারিস! এতে নীলার কোন আপত্তি নেই! তবে সে বেচারী অনাথ মেয়ে। ডিভোর্সের কথা শুনে যদি কোন অঘটন ঘটায় সেই ভার কে নেবে?"
সানভী তবু চুপ করে রইলো! সাহানা বেগম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন-
--"সে কখনো তোর কাছে স্বামীর অধিকার চাইতে আসবেনা। অমন মেয়ে সে নয়! এতটুকু আস্থা রাখতে পারিস!"
সানভী নাছোড় বান্দা। সে কোনভাবেই তার মায়ের কথাতে সায় দিলোনা!

এতে সাহানা বেগম মনে মনে অনেক কষ্ট পেলেন! তবে সেটা সানভীকে বুঝতে দিলেন না। কারন তিনি নীলাকে সারাজীবনের জন্য পুত্রবধূ করে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছেলের অটল সিদ্ধান্তে তিনি হার মেনে গেলেন।

কয়েকদিন পরই নীলার কাছে এক দুঃসংবাদ আসলো! সানভী ওকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছে! সে প্রথমে কিছুটা কষ্ট পেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলো। সানভীর দেওয়া অবহেলা সহ্য করতে করতে সে এখন অনেক বড় বড় কষ্টও হজম করতে শিখে গেছে!
নীলা ডিভোর্স পেপারটা হাতে নিয়ে সানভীদের বাসায় রওনা দিলো! কারন সে আজ সানভীকে অনেক কিছু বলতে চায়। যেগুলো সে তিনটা বছর ধরে মনের মধ্যে জমা করে রেখেছে!

গল্এক
পরবর্তী পর্ব আসছে-

চলবে....

পড়ার জন্য ধন্যবাদ! ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন!]

26/07/2020

সতর্কতা সৃষ্টি করুন!! স্পীড খেয়ে কি অবস্থা হল দুই ছেলের দেখুন || আমরা জেনে শুনে বিষ খাচ্ছি

26/07/2020
14/07/2020

-একটা মেয়ের জন্য একটা ছেলে
সব করতে পারে🖤😔
-পলাশ ভাই তা বুঝাই দিলো💓

14/07/2020

কথা~গুলো ~ 💔💔

© R 💔 E

11/07/2020
25/06/2020

একজন মা সবকিছুর উর্ধ্বে । মার তুলনা শুধুই মা ❤❤।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কোন এক জায়গায়। ভিডিওতে দেখা যায় একটি মহিলাকে তার স্বামী অথবা কেউ অনেক মারছে।আর তার ছেলেটি পাশে খুব কাদছে😥।আসলে মা তার নিজের কষ্টের থেকেও তার ছেলের কান্না কিভাবে দূর করবে সেই চেষ্টা করেছে।শেষে দেখা গেছে মার কাছে যেয়ে ছেলেটির কান্না থেমে গেছে।একটি সন্তানের সবকিছুর আশ্রয়স্থল হচ্ছে তার মা।কিন্ত ওই মা কিন্তু ভাল নেই কারন সে হয়ত প্রতিনিয়ত নির্যাতন হচ্ছে।আর অনেক মা এইভাবেই নির্যাতন হচ্ছে।
পৃথিবীতে যেইখানেই এইসব ঘটনা ঘটুক। এই ধরনের সকল নির্যাতন এর প্রতিকার চাই।
আর সবশেষে বলতে চাই ভাই ভিডিও না করে তাকে বাচানোর চেষ্টা করা উচিত ছিল😡😡।তুমিও এইখানে সমান অপরাধী😡😡।

24/06/2020

💔💔ভালো লাগার মতো একটা গান 💔💔একবার শুনলে বার বার শুনতে মন চাইবে💔💔💔

24/06/2020

Love - ভালোবাসা।

24/06/2020

প্রবাসীর স্ত্রী গোপনে অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করতে গিয়ে ধরা পরলো শ্বশুরের হাতে !

20/06/2020

টাইটানিক গানটির বাংলা অনুবাদ করলে দেখা যায় যে এটি একটি খুবই মর্মস্পর্শী গান।।. (full post)

Name: my heart will go on.
নামঃ আমার হৃদয়ে রয়ে যাবে

every night in my dreams,
প্রতি রাতে আমার স্বপ্নে
i see you, i feel you.
তোমায় দেখি, তোমায় অনুভব করি
that is how i know you, go on.
এভাবেই তোমায় চিনি, চিনে যাবো।
far across the distance
দূর থেকে সূদর,
and spaces between us
আমাদের মধ্যের দূরত্ব ঘুচিয়ে
you have come to show you, go on.
আমায় তুমি দেখা দিলে, দিয়ে যাও।

near, far,wherever you are.
দূরে কিংবা কাছে- যেখানেই আছো,
i believe that my heart does go on
আমার বিশ্বাস হৃদয় রয়ে যাবে।
once more, you open the door
আরেকটিবার দরজা খোলো,
and you here in my heart
এই যে তুমি আমার হৃদয়ে আছো
and my heart will go on and on.
আর আমার হৃদয়েই রয়ে যাবে।
Love can touch us one time
ভালোবাসা একবার হয়েছে
and last for life time.
তবে রয়ে যাবে চিরদিন
and never let go till we're gone.
আর আমদের মিলন হওয়া অব্দি হাল ছাড়বো না।

love was when I loved you
ভালোবাসা শিখেছি তোমায় ভালোবেসে,
one true time I hold to
সত্যিকারে একবার তোমায় আঁকড়ে ধরে...
in my life will always go on.
এ জীবনে যা চিরদিন রয়ে যাবে।

near, far, wherever you are
দূরে কিংবা কাছে- যেখানেই আছো,
i believe that my heart does go on.
আমার বিশ্বাস হৃদয় রয়ে যাবে।
once more, you open the door
আরেকটিবার দরজা খোলো,
and you're here in my heart
এই যে তুমি আমার হৃদয়ে আছো
and my heart will go on and on
আর আমার হৃদয়েই রয়ে যাবে।

you are here, there's nothing i fear
তুমি কাছে থাকলে কিছুতেই ভয় নেই
and i know that my heart will go on.
আর আমি জানি আমার হৃদয় রয়ে যাবে।

we'll stay, forever this way
এভাবেই আমরা চিরদিন বেঁচে থাকবো,
you're safe in my heart
আমার হৃদয়ে তুমি নিরাপদে থাকবে
and my heart will go on and on
আর আমার হৃদয় রয়ে যাবে, রয়ে যাবে।

20/06/2020

বেঈমান এমন ও আছে। কলিজা ছিরা গান

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দাম্মামে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরো এক রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু।"ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ই...
05/06/2020

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দাম্মামে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরো এক রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু।

"ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন"

নামঃ মোঃ ফারুক
কুমিল্লা জেলা চান্দিনা উপজেলায় তার বাড়ি।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ দাম্মাম ,সিকু মার্কেটে কর্মরত ছিলেন।

আমরা তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক।

একদিকে হাতি মারছে,একদিকে গরুর গায়ে Acid ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে।আর নেওয়া যাচ্ছে না সিরিয়াসলি। কিছু অমানুষের জন্য পৃথিবী আজ সুন্...
05/06/2020

একদিকে হাতি মারছে,একদিকে গরুর গায়ে Acid ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
আর নেওয়া যাচ্ছে না সিরিয়াসলি। কিছু অমানুষের জন্য পৃথিবী আজ সুন্দর নেই।

02/06/2020

আমরা বাঁচতে চাই, আমাদের বাঁচতে দিন...

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gift for you posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share